Mahi's World

Mahi's World To Earn, you must first Learn. Learn how to remove the ‘L’.

তখন শব্দের দাম ছিলো...১১ টাকার কার্ড scratch করে রিচার্জ করলে ১০০ টা 'SMS' পাওয়া যেতো।প্রতিটা massage এ শব্দ সংখ্যার lim...
06/09/2025

তখন শব্দের দাম ছিলো...
১১ টাকার কার্ড scratch করে রিচার্জ করলে ১০০ টা 'SMS' পাওয়া যেতো।

প্রতিটা massage এ শব্দ সংখ্যার limitation ও ছিলো। কথা বলতে বলতে 'SMS' ফুরিয়ে গেলেও অনলাইনে recharge করার সুযোগ হতনা। তাই প্রতিটা শব্দ খুব ভাবনা চিন্তা করে লিখতে হত। তখন একটা 's' লেখার জন্য keypad টাকে বার চারেক press করতে হত, তবু কেও বিরক্ত হতনা। massage বড় হয়ে গেলে তাকে কে'টে কু'টে ছোট করে পাঠাতে হত। তখন নামের পাশে সবুজ বাতি থাকুক বা না থাকুক তা নিয়ে ঝামেলা হতনা। অনলাইন না অফলাইন দেখার সুযোগও ছিলো না। ছিলো প্রতিটা massage এর পর দুই তিন মিনিটের অপেক্ষা, ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকা আর মনের মধ্যে অস্থিরতা, massage এর শব্দ হলেই মনে হত এই বুঝি প্রিয় মানুষটা text করেছে কিন্তু তখন আসত অফিস থেকে বা বিভিন্ন offer এর massage তখন মন'টা সাময়িক ভাবে খারাপ হত... এভাবে অপেক্ষা করতে করতে প্রিয় মানুষ'টার massage আসত আর তখন মুখে একটা মুচকি হাসি ফুটতো আর আবেগ নিয়ে তার reply করা, কথা বলতে বলতে re-check দেওয়া কয়টা 'SMS' বাকি আছে, রাতের 'good night' আর সকালের 'good morning' বলার জন্য আলাদা করে 'SMS' বাঁচিয়ে রাখা।

তখন emoji ছিলো না, আবেগ গুলোকে অনুভবে বুঝে নিতে হত। তখন শব্দের দাম ছিলো, আবেগের দাম ছিলো, অপেক্ষার দাম ছিলো, efforts এর দাম ছিলো।। ❤️

অজানা_আলোর_খোঁজে #পর্ব-২ভাবলো তার বাবার লোক এসেছে। কিন্তু পাশে তাকাতেই দেখল একটা চিপচিপা গড়নের ছেলে দাঁড়িয়ে  আছে। চুলগুল...
05/09/2025

অজানা_আলোর_খোঁজে

#পর্ব-২

ভাবলো তার বাবার লোক এসেছে। কিন্তু পাশে তাকাতেই দেখল একটা চিপচিপা গড়নের ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। চুলগুলো খাড়া খাড়া। মুখে এলো মেলো উসকো খুসকো খুচা খুচা দাঁড়ি । গায়ের রঙ শ্যামবর্ণ। উচ্চতা মাঝারি গড়নের। দাঁড়িয়ে থাকা সে ছেলেটির নাম হলো তানভীর। পড়ালেখা শেষ করে এখন ভবঘুরের মতো এদিক ওদিক দৌঁড়ে বেড়াচ্ছে। বেকার জীবনটা ঘুরাঘুরি করে উপভোগ করছে। বেশ ভ্রমণ পিয়াসী ছেলেটা। তার জীবনের একটা অংশ হলো ঘুরে বেড়ানো। তানভীরকে দেখে রুকু একটু চুপ হয়ে সশব্দ নিঃশ্বাস নিয়ে নীচের দিকে তাকিয়ে পড়ল। এর মধ্যেই তানভীর হাতটা বাড়িয়ে জানালা লাগাতে নিলে রুকু একটু অস্বস্থি নিয়ে বলল

- জানালা আটকাচ্ছেন কেন?

তানভীর ভ্রূটা কুঁচকে চোখগুলো কপালে তুলে বলল

- বাইরে থেকে বৃষ্টির ছাঁট আসছে৷ জানালা লাগাব না তো খুলে রাখব?

রুকু কপট রেগে গলাটা ভার করে বলল

- বৃষ্টির ছাঁট তো আর আপনার শরীরে আসবে না যেহেতু আমি জানালার পাশে বসেছি সেহেতু ছাঁটটা আমার কাছেই আসবে। আপনি আপনার জায়গায় বসুন।

- আপনাকে কে বলেছে বৃষ্টির ছাঁট আমার গায়ে আসবে না।

বলেই শার্টের বুকের অংশ এগিয়ে দিয়ে বলল

- দেখুন অলরেডি ছাঁটটা চলে এসেছে। শার্টটা পুরো ভিজে যাচ্ছে।

রুকু তানভীরের এমন আচরণে কথার জবাব না দিয়ে চট করে জানালাটা লাগিয়ে দিল। তানভীর মুচকি হেসে বাসের পাশের সিটে বসলো। পাশে বসে কানে ইয়ার ফোন গুজে দিল।

"আমার পরাণও যাহা চায়
তুমি তাই
তুমি তাই গো
আমারও পরাণও যাহা চায়।"

গানটা ইয়ার ফোনে হালকা আওয়াজে বাজতে লাগল আর তানভীর সেটা বাসের সীটে হেলান দিয়ে শোনতে লাগল। তানভীর খুব রবীন্দ্র সংগীত প্রিয়সী। ভ্রমণের মতো সারাদিন কানে ইয়ার ফোন গুজে রবীন্দ্র সংগীত শোনার একটা বদ অভ্যাস তার আছে।

এদিকে রুকুর চোখে শুধু মৃতদেহগুলো ভেসে উঠছে আর ভেতরটা কেঁপে উঠছে। মুখের আদলে ভয়ার্ত একটা ছাপ যেন রুকুকে গ্রাস করছে। এর মধ্যে মোবাইল স্ক্রিনে আবির নামটা ভেসে উঠল। উল্লেখ্য যে রুকু মোবাইলটা ব্যবহার করতো পরিবার থেকে লুকিয়ে। রুকু কলটা দেখে কলটা কেটে দিল। বারবার কল আসতে লাগল আর রুকু কল কাটতে লাগল। ঠিক সে মুহুর্তে তানভীরের নজর গেল রুকুর দিকে। রুকুকে বারবার কল কাটতে দেখে বলে উঠল

- কী ব্যপার কল ধরছেন না কেন?

রুকু বিরক্তি নিয়ে গলাটা খেকিয়ে জবাব দিল

- সবকিছু কী আপনাকে বলতে হবে?

- নাহ তা বলতে হবে না তবে বারবার কল কাটছেন তো তাই বললাম।

- আমার ইচ্ছা হয়েছে তাই কল কাটছি আপনার কোনো সমস্যা?

- আমার সমস্যা হতে যাবে কেন?

- তাহলে চুপ করে বসে থাকুন। এত কথা কেন বলছেন?

এর মধ্যেই রুকুর ফোনে আবার কলটা ভেসে উঠল। রুকু কলটা কেটে দিলে পাশ থেকে তানভীর বলে উঠল

- কলটা বারবার না কেটে ব্ল্যাকলিস্টে ফেলে দিলেই তো পারেন। তাহলে তো সময় ও বাঁচে আপনার কষ্টও কমে যায়।

তানভীরের কথাটা শোনে রুকুও ভাবতে লাগল যে সত্যিই তো ব্ল্যাকলিস্টে ফেলে দিলেই তো হয়। সাথে সাথে মোবাইলটা নিয়ে নম্বরটা ব্ল্যাকলিস্টে দিল। তারপর বাসের সিটে হেলান দিয়ে বসল। চারদিকে মাতাল হাওয়া বইছে। বৃষ্টির বড় বড় ছাঁটগুলো তখন বাসের কাচের জানালায় আঁচড়ে পড়ছে। এ বৃষ্টিতে ভিজে নিজেকে শীতল করতে খুব ইচ্ছা করছে রুকুর। তবে শীতল করার মতো কোনো উপায় এখন নেই। তাই মাথাটা সিটে ঠেক দিয়ে হালকা চোখটা বুজল। এর মধ্যেই মোবাইলটা কেঁপে উঠে ভাইবার্ট হয়ে ভো ভো শব্দ করে উঠল। রুকু হালকা কেঁপে উঠে চোখটা খুলে দেখল অন্য একটা নম্বর থেকে কল আসছে। বেশ বিরক্ত নিয়ে কলটা ধরতেই ওপাশ থেকে বলে উঠল

- রুকু আমি আবির আমার কথাটা শোনো। আমার কথাটা শোনে কলটা কাটো। অনেক কথা আছে তোমার সাথে।

কথাটা শোনার পর রুকুর বিরক্তির মাত্রাটা যেন আরও বেড়ে গেল। আস্তে বলতে চেয়েও কন্ঠটা বেশ জোরালো হয়ে গেল। তাই একটু জোরে বলে উঠল

- তুমি আমাকে কল দিয়ে আর ডিস্টার্ব করবে না প্লিজ। আমি এসব নিতে পারছি না। অনেক পেইন হচ্ছে আমার।

রুকুর জোর গলা শোনে তানভীর তার কানে থাকা ইয়ার ফোন টা খুলে অবাক দৃষ্টিতে তাকাল। তানভীরের তাকানোতে রুকু একটু ইতস্তত অনুভব করছিল। ইতস্তত অনুভব করে ফোনটা কেটে বন্ধ করে দিল। তারপর বাসের সিটে পুনরায় হেলান দিয়ে শুয়ে রইল। তানভীর ও আর কোনো কথা বলল না। পুনরায় ইয়ার ফোন কানে গুজে দিয়ে গান শোনতে লাগল। রুকু ফোনটা ব্যাগে রেখে চুপটি করে কাঁদতে লাগল। এখন রুকুর বেশ জোরে জোরে হেঁচকি তুলে কাঁদতে মন চাচ্ছে কিন্তু বাসে থাকায় সেটা পারছে না। বাসায় হলে হয়তো দেয়ালে মাথাটা আঁচড়ে দিয়ে কাঁদত। ভেতরে তার কান্নাটা জমে যেন ভ্যাবসা হয়ে বুকের ভেতরের ছাতিটা ফুলে গিয়েছে। নিজের সমস্যাগুলো তার উপর গন্তব্যহীন এক পথে যাওয়াটা তাকে অস্থির করে তুলছে।

তানভীর আঁড়চোখে রুকুকে খেয়াল করে দেখল তার চোখের জল যেন টুপ টুপ করে পড়তেছে। ততক্ষণে বৃষ্টি থেমে গেছে। মনে হচ্ছে বাইরের বৃষ্টিটা থেমে গিয়ে রুকুর চোখ দিয়ে বেয়ে পড়ছে। আঁড়চোখে তাকিয়ে থাকতে তানভীরের মাথাটা বেশ ব্যাথা করলেও রুকুর মুখ থেকে দৃষ্টি সরাতে ইচ্ছা করছিল না। কিছুক্ষণ মাথাব্যথা উপেক্ষা করে তাকিয়ে থাকলেও সে তাকানোর স্থায়িত্বটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারল না। কারণ ইতিমধ্যে তানভীরের মাইগ্রেনের ব্যথাটা বাড়তে শুরু করেছে। বাইরের দিকে জানালার কাচঁটা ভেদ করে আকাশটা দেখার চেষ্টা করলো। আকাশের রঙটা এই হলুদ, এই লাল, এই নীল হলেও এখন আকাশের রঙটা ধূসর হয়ে আছে। মনে হচ্ছে হুরহুরিয়ে আবার বৃষ্টি নামবে। আকাশে মেঘের গর্জন দেখা গেলেও সে মেঘ বৃষ্টি হয়ে নামতে চাচ্ছে না। এর মধ্যে এক কাপ চা খেলে মন্দ হয় না। তবে বাসে যে ভীড় আর রাস্তার যে হাল চা টা খেতে গেলে নির্ঘাত ঝাঁকুনিতে চোখে মুখে ছিটকে পড়বে। তাই চা খাওয়ার ইচ্ছাটা মাটি চাপা দিয়েই ব্যাগ থেকে একটা পেপার বের করে পেপারে মুখ গুজে পড়তে লাগল। বাসের মধ্যে ভ্যাবসা গরমে যেন তানভীর অস্থির প্রায়। কিছুক্ষণ পেপারে মুখ গুজে হুট করে রুকুকে খেয়াল করে দেখল খুব মায়াময় ভাবে ঘুমাচ্ছে। মুখের আধখানা ঢেকে আছে চুলে। চুলগুলো সরাতে ইচ্ছে করলেও সেটা পারছে না কারণ এতে অনধিকার চর্চা হয়ে যাবে। তাই বেশি কিছু না ভেবে জানালা খুলে দিল। জানালা দিয়ে শীতল বাতাস আসতে লাগল। শীতল বাতাসে রুকুর চুলগুলো উড়তে লাগল। অনেকটা কাশফুলের মতো লাগছিল। মনে হচ্ছে কালো কুচকুচে চুলগুলো কাশফুলের মতো এদিক ওদিক হেল খাচ্ছে। রুকুর দিক থেকে চোখটা সরিয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল বিকাল পাঁচটা বাজে। সদরঘাট পৌঁছাতে আরও দুই ঘন্টা সময় বাসে বসে থাকতে হবে। জ্যামের কারণে আগের জার্নিটা বেশ বোরিং লাগলেও আজকে তেমনটা লাগছে না৷ চারদিকে রিকশা, বাসের শব্দ, সেই সাথে পথচারীর ব্যস্ত ভীড়। মাঝে মাঝে কেউ বাসের জানালা দিয়ে পানি নিয়ে আসছে। আবার বাসে কেউ হরেক মালের জিনিসপত্র এক দাম এক রেটে বিক্রির স্লোগান তুলছে। এর মধ্যে বাদাম বুট,ঝালমুড়ির মাখা তো আছেই৷

ততক্ষণে তানভীরের মাথাটা বেশ ঝিমঝিম করতে লাগল চোখটা প্রায় বুজে এলো। কখন যে ঘুমিয়ে গেল টের পেল না। ঘুমটা ভাঙ্গে বাসের হেল্পারের ডাকে। বাসের হেল্পার ডেকে বলল

- মামা ভাড়া দিবেন না?

কথাটা তানভীরের কানে আসলেও হালকা বুজে রইল কারণ এখন তাকাতে একদম ইচ্ছা করছে না। তবুও বাসের হেল্পার এমন ভাবে ডাকতে শুরু করল যে না উঠে পারল না। চোখগুলো টেনে টেনে তাকিয়ে ভ্রূটা কুঁচকে বলল

- একশ টাকা ভাংতি হবে?

- হ মামা হবে।

তানভীর কথাটা শোনে পকেট থেকে একশ টাকা বাড়িয়ে দিয়ে বলল

- আমার আর পাশের জনের ভাড়াটা রাখুন।

এরমধ্যে রুকু উঠে রাগী চোখে তাকিয়ে গম্ভীর গলায় বলল

- আমার ভাড়া আপনি কেন দিবেন? এ অধিকার আপনাকে তো আমি দেয়নি। আপনি আমার ভাড়া দিতে যাবেন কেন? সাহস তো কম না আপনার।

তানভীর হতচকিয়ে বলল

- আপনি ঘুমাচ্ছিলেন তাই ভেবেছিলাম আপনার ভাড়াটা দিয়ে দিই। পরে ঘুম থেকে উঠলে আপনার কাছ থেকে নিয়ে নেব। সত্যি বলতে এত ঘুমের মাঝে উঠাটা যে কতটা বিরক্তিকর সেটা শুধু আমি জানি। তাই এমন ভাবনা থেকে এ কাজটা করা। নেতিবাচক ভাবে নিবেন না দয়াকরে।

রুকু তানভীরের কথা শোনে রেগে আগুন হয়ে পার্স থেকে চকচকা একটা একশত টাকার নোট বের করে বাস হেল্পারটার দিকে এগিয়ে বলল

- আমার ভাড়া এখান থেকে রাখুন।

বাসের হেল্পার রুকুর হাত থেকে টাকাটা নিয়ে নিজের হাতে থাকা টাকা কয়টা দেখে বলল

- আপা আপনি ভাংতি দেন। একশত টাকার ভাংতি হবে না।

কথাটা শোনে রুকু ব্যাগটা চেক করে দেখল ভাংতি নেই। তানভীর পাশ থেকে দাঁতটা কেলিয়ে বলল

- আমি ভাড়াটা দিয়ে দিই। আপনি বাস থেকে নেমে আমাকে দিয়ে দিবেন। হয়ে গেল। উত্তেজিত হওয়ার মতো কিছু হয়নি।

রুকু আর কোনো কথা বলল না। হেল্পার রুকুর দিকে টাকাটা বাড়িয়ে দিতেই সে হেল্পারের থেকে একশ টকা ফেরত নিয়ে ব্যাগে পুরে নিল।

হেল্পারটা তানভীরের একশত টাকা নিয়ে বলল

- মামা আপনারা কে কোথায় যাবেন?

তানভীর হালকা হেসে বলল

- আমি সদরঘাট যাব।

- মামা আপনি সদরঘাট যাবেন ঠিক আছে আপা কোথায় যাবে?

তানভীর কপালটা কুঁচকে হেল্পারে দিকে তাকিয়ে বিরক্ত গলায় বলল

- কে কোথায় যাবে পরে বলছি আগে বলেন আমাকে মামা আর পাশের জনকে আপা কেন বললেন? আপনি জানেন না ছেলে মেয়ে সমান অধিকার। ডাকতে হলে উনাকে আপা ডাকবেন নাহয় আমাকে ভাইয়া। সমতায় এনে ডাকবেন। একজনকে মামা একজনকে আপা এটা আবার কেমন ডাক শোনি?

বাসের হেল্পার জিহ্বায় কামড় দিয়ে বলল

- সরি ভাইয়া। আপা কোথায় যাবে সেটা বলেন।

তানভীর কথাটা শোনে রুকুর দিকে তাকাতেও দেখল রুকু রাগে গজ গজ করছে। তানভীর নিজের মুখে জমে থাকা থুথুটা ঠুস করে গিলে নিয়ে বলল

- আমি সমতার কথা বুঝাতে চেয়েছিলাম। রাগ হয়ে আছেন কেন। কী হয়েছে?

রুকু চেহারাটা স্বাভাবিক করে নিয়ে বলল

- নাহ কিছু না। এমনি।

- তা আপনি কোথায় যাবেন?

এবার বুঝতে পারছে না রুকু কী বলবে। চুপ হয়ে রইল একদম। রুকুর নীরবতা দেখে তানভীর পুনরায় জিজ্ঞেস করল

- বললেন না তো কোথায় যাবেন। চুপ হয়ে আছেন কেন?

রুকু তানভীরের ডাকে সাড়া দিয়ে অসহায় চোখে তাকিয়ে বলল

- আপনি কোথায় যাবেন?

- আমি তো সদরঘার যাব।

রুকু হালকা হেসে বলল

- আমিও তো ঐখানে যাব।

তানভীর রুকুর কথা শোনে হেল্পারকে জবাব দিল

- দুজনেই সদরঘাট যাব। এবার ভাড়াটা রাখো।

হেল্পার দুজনের ভাড়া কেটে বাকি টাকা তানভীরকে এগিয়ে দিল। তানভীর টাকাটা নিয়ে মানিব্যাগে ভরতে ভরতে রুকুকে বলল

- আপনার নামটা কী জানতে পারি?

রুকু তানভীরের কথার ভ্রুক্ষেপ না করে চোখ বন্ধ করে বাসের সিটে ঠেক দিয়ে শুয়ে পড়ল। তানভীরও পাল্টা প্রশ্ন না করে কানে ইয়ার ফোন লাগিয়ে পুনরায় রবীন্দ্র সংগীত শোনতে লাগল।

এদিকে টানা এক ঘন্টা ব্যস্ত শহরের জ্যাম পেরিয়ে বাসটা সদর ঘাট এসে পৌঁছাল। দুজন সিট থেকে উঠে বাস থেকে নামতে নিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়ল।

চলবে..

চার বছর আগে আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর আমার ভাবীকেও ভাইয়ের সাথে জ্যান্ত কবর দেওয়া হয়। নিজের সামনেই যেন সতীদাহ প্রথাটা দেখেছি...
05/09/2025

চার বছর আগে আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর আমার ভাবীকেও ভাইয়ের সাথে জ্যান্ত কবর দেওয়া হয়। নিজের সামনেই যেন সতীদাহ প্রথাটা দেখেছিলাম। বারবার বুকের ভেতরটা মুচরে গিয়েছিল। এ কি নির্মম পরিহাসের সম্মুখীন হয়েছিলাম। কখনো চিন্তা করেনি এমন একটা বিশ্রি ব্যপারের সাক্ষী হয়ে থাকব আমি।
চার বছর আগে বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় হুট করে ভাইয়ের মৃত্যু হয়।একদিন রাতে ভাইয়া বুক ব্যাথায় কাতরাতে থাকে। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। ডাক্তারের কাছ থেকে যখন বাড়িতে আনা হলো তখন আমার তৃতীয় মা। তৃতীয় মা কথাটা শোনে হয়তো একটু অবাক হতে পারেন। তবে আমার বাবা মোট তিনটে বিয়ে করেছে। ঐদিন যে ভাইয়ার লাশের সাথে ভাবীকে জ্যান্ত দাফন করা হয় সে ভাইয়ার মা আয়েশা হলো প্রথম স্ত্রী। বিয়ের দুবছর পর উনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তাই উনাকে পাগলা গারদে রেখে আসা হয়।শোনেছি তখন ভাইয়ার বয়স ছিল মাত্র দুই বছর। তখন আমার মা সুরাইয়া বেগম দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে এ বাড়িতে পা রাখে। তারপর আমি জন্ম নিই। আমি আর ভাইয়া মায়ের আদরে বড় হতে থাকি। তবে সে আদরটাও কপালে বেশিদিন জুটেনি। উনি আমার ৫ তম জন্মদিনে আত্নহত্যা করে মারা যায়।

সেদিনের কথা মনে হলে এখনো গা টা শিউরে উঠে। সন্ধ্যায় আমার বার্থ ডে কেক আনা হয়। খুব সুন্দর করে সেজে মায়ের রুমে গিয়ে দেখলাম দরজা আটকানো। অবাক হয়ে দরজা ধাক্কাতে লাগলাম। কোনো সাড়া শব্দ ছিল না। দরজা ভাঙ্গার পর খেয়াল করলাম মায়ের জুলন্ত দেহটা ফ্যানের মধ্যে আটকে আছে। কালো কাপড় দিয়ে মা গলা পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করেছে। মাকে যখন নামানো হয়েছিল মায়ের হাতে কালো টিক চিন্হ দেখে অবাক হয়ে গেছিলাম। গলার নীচের দিকে হলুদ মাখানো ছিল। ঠোঁটে মুখে আঁচড়ের দাগ ছিল। মনে হয়েছিল কোনো হিংস্র পশু মাকে আঘাত করেছে। মায়ের লাশটা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে নিলে বাবা আটকে দেয় আমাকে। আমি জোর করে যেতে নিলে আমাকে বাবার কথায় বাবার কর্মচারী গুলো টেনে হিঁচড়ে ঘরে আটকিয়ে রাখে। তারপর মাকে উঠানে নেওয়া হয়। তখন ঘরের জানালা দিয়ে চাঁদের আধো আধো আলোতে যা দেখলাম তা আর সহ্য করার মতো ছিল না। কচি বয়সে এত হিংস্রতার সাক্ষী হতে হবে বুঝতে পারেনি। ভাইয়াও তখন মামার বাড়িতে বেড়াতে গেছিল। তাই বিষয়টার সাক্ষী শুধু আমিই থাকি। খেয়াল করলাম মাকে আমার বাবা কুপাচ্ছে। কুপিয়ে গলাটা আলাদা করে এক পাশে রেখে সারা শরীর পানি দিয়ে ধৌত করে হলুদ মাখাচ্ছে। আমি চিৎকার দিতে চেয়েও চিৎকার করতে পারছিলাম না। মনে হয়েছিল কন্ঠনালিতে কথা আটকে গেছে সেই সাথে জিহ্বার জড়তাটাও বেড়ে গিয়েছিল। মনের ভেতরটা যেন পুড়ে ছাড়াখাড় হয়ে যাচ্ছিল।অল্প বয়স ছিল তাই সহ্য করতে বড্ড কষ্ট হচ্ছিল। হলুদ মাখা শেষে মায়ের মাথাবিহীন লাশটা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বলে রাখা ভালো আমি মুসলিম পরিবারের মেয়ে। মুসলিম পরিবারের লাশকে এভাবে সৎকার করা হয় সেটা জানা ছিল না। পুড়ানোর পর সে ছাইটা বাবা সংরক্ষণ করে রাখে এরপর মায়ের মাথাটা আলাদা করে কোথায় যেন নিয়ে যায়। উল্লেখ্য যে একটা আত্নহত্যার লাশ পুলিশে দেওয়া হলেও আমার বাবা মায়ের ব্যপারটা কাউকে জানতে দেয়নি। আমাদের বাড়িটা এমন জায়গায় ছিল যেখানে লোকালয়ের আভাস কম। যার দরুণ ব্যপারটা লুকাতে বাবার সমস্যা হয়নি। আর নানা বাড়িটা দূরে থাকায় তারা আসার আগেই রাতের আধাঁরেই কাজটা সাড়া হয় এবং তাদের বলা হয় মাকে দাফন করা হয়ে গেছে। তারাও কোনোরুপ সন্দেহ করতে পারেনি বাবাকে। কারণ বাবার সাথে মায়ের সম্পর্কটা বেশ ভালো ছিল। সেদিনের পর থেকে মানসিকভাবে কিছুদিন ভেঙ্গে পড়েছিলাম। বাবার ভয়ে বিষয়টা কাউকে বলার সাহস পাইনি। তবে বয়স কম ছিল তাই সে হিংস্র ঘটনাটা বেশিদিন মনে টিকেনি।

মায়ের মৃত্যুর পনের দিন পর আমার বাবা তেজস্বীনি নামের এক কুমারী অল্প বয়স্ক মেয়েকে তৃতীয় বিয়ে করে। তখন থেকে তৃতীয় মায়ের কাছে আমি আর আমার বড় ভাই মানুষ হতে থাকি। বেশ ভালোই দিন কাটছিল আমাদের। এর মধ্যে তেমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেনি। বলতে গেলে তেজনস্বিনী নিজের ছেলে মেয়েদের মতো আমাদের ভালোবাসতো। আর উনার কোনো ছেলে মেয়ে না হওয়ায় আমরায় সব ছিলাম। মায়ের কমতি টা বুঝিনি। ভাইয়ের বয়স যখন আঠার হলো তখন আমার বয়স সবে চৌদ্দতে পড়ে। ভাইয়া সবে মাত্র ইন্টার পরীক্ষা দিয়েছে এর মধ্যেই বেশ তাড়াহুড়া করে ভাইয়াকে বিয়ে করানো হয়। ভাইয়ার বিয়ের পাঁচমাস পর এ কাহিনিটা ঘটেছিল।

ঘটনায় আসা যাক ভাইয়াকে মৃত ঘোষণার পর যখন হাসপাতাল থেকে আনা হলো তখন রাত তিনটে বাজে। আমার তৃতীয় মা তেজস্বিনী ভাবীকে বলল
-গোসল করে আসো।
আমার ভাবী তখন স্বামীর শোকে পাগলপ্রায়। নিজের স্বামীর মৃত্যু সংবাদটা নিজের পরিবারকেও তখন জানাতে পারেনি। এর আগেই ভাবীর মোবাইলটা হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম না কি হচ্ছে আর কি হতে যাবে কেনই বা এসব ঘটনা ঘটছে। এদিকে ভাবী তেজস্বিনীর কথা না শোনে চুপ করে বসে কাঁদতেই থাকল।
তখন উনি ভাবীকে টেনে নিয়ে গোসল করিয়ে সাদা কাফনের কাপড় পড়িয়ে দিল। ভাবী একটা চিৎকার দিয়ে বলল

- মা আমাকে কাফনের কাপড় পড়িয়েছেন কেন?

তেজস্বিনী বিকট হেসে বলল

- শাদাফের সাথে তোমাকেও যেতে হবে ভালোবাস তো তাকে। ভালোবাসার মানুষের সাথে সবসময় একসাথে থাকতে হয়। এতে ভালোবাসার পূর্ণতা পায়।( ভাইয়ার নামটায় তো বলা হলো না।আমার ভইয়ের নাম শাদাফ ছিল)।

ভাবী অবাক হয়ে বলল

- মানে?

তেজস্বিনী ভ্রুটা কুচঁকে কপালটা উঁচা করে বলল

- মানে খুব সোজা শাদাফের সাথে তোমাকেও দাফন করা হবে।

তেজস্বিনীর কথা শোনে আমি ভয়ে আঁৎকে গেলাম। চেনা মুখটা যেন বড্ড অপরিচিত লাগছিল। মনে হচ্ছিল আমি ভুল দেখছি না তো। তেজস্বিনীর মুখোশটা সেদিন প্রথম উন্মোচিত হয়েছিল। যার ফলে সেদিন মায়ের সাথে ঘটে যাওয়া সেই নয় বছর আগের কাহিনি আমার চোখে ভেসে আসলো। কিছু বলতেও পারছিলাম না কারণ আমি বাক প্রতিবন্ধী হয়ে গেছি মনে হচ্ছিল। যাইহোক ভাবী তেজস্বিনীর কথা শোনে আচমকা চেঁচিয়ে বলল

- আমি যাব না শাদাফের সাথে। আমাকে জ্যান্ত কবর দিবেন না।

বলেই ভাবী দৌঁড়ে ছুটে গেল। উনাকে বাকিরা জোর করে ধরে নিয়ে আসলো। মুরগী যেমন জবাই করার আগে প্রাণ বাঁচার জন্য ছটফট করতে থাকে ভাবীও তখন এভাবে ছটফট করতেছিল। আমি শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম আর চোখ দিয়ে অজোরে জল ফেলছিলাম।
উনাকে সবাই জোর করে ধরে রাখল আর উনি ছুটার জন্য হাত পা ছুড়তে লাগল। তখন ভাবীর মুখে বাবা যেন কী দিল সাথে সাথে উনার মুখ থেকে লালা ঝড়তে লাগল। উনি নিস্তেজ হয়ে গেল। তবে উনি জিবীত ছিল। তার মিনেট দশেক পর উনাকে ভাইয়ের সাথে কবরে নামানো হয়। ভাবী তখন কবর থেকে উঠতে নিলে সবাই ভাবীকে বাশ দিয়ে বুকের দিকে চেপে ধরে শুইয়ে দেয়। ইশ কত কষ্টটাই না পেয়েছিল উনি। আর আমার চোখ দিয়ে তখন শ্রাবণের মেঘ ঝড়ছিল। করার মতো কিছু ছিল না
। কারণ আমার হাত পা নড়ছিল না। অমানবিক ভাবে ভাবী আর ভইয়ের দাফন করা হয়। পরবর্তীতে ভাবীর পরিবারকে জানানো হয় ভাবী নিখোঁজ ভাবীর খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ আমি জানি ভাবীকে কীভাবে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এরপর থেকে সে অভিশপ্ত বাড়িতে আমার জীবনটা আটকে যায় আর আমি চুপ হয়ে নীরবে সব সহ্য করতে থাকি। বলতে গেলেও অজানা ভয় যেন সবকিছুতে বাঁধা দিত।

প্রতিবছরেই এ বাড়িতে তেজস্বিনী আর বাবা মৃত্যুর লীলা খেলায় মেতে উঠে। জানি না কেন এমন করে? কী কারণে এমন করে? কী লাভ বা কী ক্ষতি? তবে মনে হয় জীবনটা শেষ হয়ে গেলে হয়তো বেশ ভালো হতো। আত্নহনন বিষয়টাও বেশ কঠিন চাইলেও করা যায় না।
এভাবেই কাটে চার বছর। চার বছর পর আমার আঠারতম জন্মদিনে বাবা আমার দরজা ধাক্কাতে লাগল। আমি দরজা খুলে বাড়ির পরিবেশটা দেখে থমকে গেলাম। বেশ ভয় পেতে লাগলাম। এত থমথমা পরিবেশ কি বলব। আমি চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম গোলাপজলের বোতল পড়ে আছে। আগরবাতি জ্বলছে। আমি বুঝতে পেরেছিলাম আজকে হয়তো আমার সাথে খারাপ কিছু হবে। আমি নিজেকে সামলে নিলাম।বাবা আমার দিকে এগিয়ে এসে বলল

- যাও মা গোসল করে এসো। তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাব।

বাবা কখনো আমার সাথে এত ভালো ব্যাবহার করে না। বাবার এ ব্যাবহারটাও বেশ রহস্যজনক ছিল। তাই নিজেকে শক্ত করে বাবাকে মাথা ঝাঁকিয়ে বললাম

- ঠিক আছে।

বাবা আমার কথা শোনে চলে গেলেন। আমি সরাসরি গোসলে না ঢুকে বাবার দিকে নজর দিলাম। বাবা তেজস্বিনীর ঘরে যেতেই দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে পড়লাম।বাবা তেজস্বিনীকে আলমিরা থেকে একটা কাফনের কাপড় বের করে বলল

- তেজু রুকুকে সারা হাত পায়ে হলুদ মেখে এটা পড়িয়ে দিও।

(ওহ তোমাদের তো আমার পরিচয় দেওয়া হলো না আমি রুকাইয়া। সবাই নামটা ছোট করে রুকু বলে ডাকে। ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি মানবিক বিভাগে। কলেজে তেমন যাওয়া হয় না। যাওয়া হয় না বললে ভুল হবে যেতে দেওয়া হয় না। শুধু পরীক্ষার সময় গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে আসি)

যাইহোক বাবার কথা শোনেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমার সাথে আজকে খারাপ কিছু ঘটবে। হাত পা কাঁপতে লাগল আমার। বুকের পালপিটিশনটাও বেড়ে গেল। মনে হচ্ছিল এ বুঝি আমি হার্ট এটাক করব। নিজেকে বেশ সামলে নিলাম। ঘরে এসে পালানোর কথা ভাবতে লাগলাম। এদিকে হাতে টাকাও নেই কি করব বুঝতে পারছিলাম না। অনেক ভেবে বাবার পকেট থেকে কিছু টাকা চুরি করে নিই। চারদিকে আগরবাতির ঘ্রাণ আর গোলাপজলের ঘ্রাণ নাকে ভেসে এসে যেন মাথাটা ব্যাথা করতেছে। তবুও সাহস করে দরজা বন্ধ করে কিছু কাপড় আর প্রয়োজনীর জিনিসপত্র গুছাতে থাকি। এর মধ্যে দরজায় কেউ একজন খটখট করতে লাগল। আমি খটখটের আওয়াজ শোনে কেঁপে উঠি। কোনোরকমে গুছানো জিনিস পত্রগুলো খাটের নীচে রেখে দরজা খুলে দেখি তেজস্বিনী হাতে সাদা কাফনের কাপড়টা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি ঢুক গিলতে গিলতে বললাম

- মা আপনি?

তেজস্বিনী হালকা হেসে বলল

- হ্যাঁ আমি। তোমার জন্য এ শাড়িটা এনেছি। জন্মদিনে পড়ো কেমন।

আমি একটু ভয়ে ভয়ে বললাম

- সাদা শাড়ি?

তেজস্বিনী মুখের হাসিটা বিস্তৃত করে বলল

- হ্যাঁ সাদা শাড়ি। সাদা তো শুভ্রতার লক্ষণ একে পবিত্র রঙ বলা হয়। তাই এনেছি।

তেজস্বিনীর কথা শোনে কথা না বাড়িয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে সাদা শাড়িটা নিলাম। ভেবেছিলাম এটা কাফনের কাপড়। যাইহোক সাদা শাড়িটা নিয়ে তেজস্বিনীকে বললাম

- আমি পরে আসতেছি।

তেজস্বিনী আমার কথা শোনে গালের এক কোণে হাসির রেখা টেনে চলে গেল।

আমি দরজাটা লাগিয়ে। কোনোরকমে সাদা শাড়িটা পরে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রগুলো নিয়ে বাড়ির পেছন দিয়ে বের হয়ে গেলাম। নিজেকে ভালো করে উড়না দিয়ে মুড়ে নিয়ে বাসে উঠে গেলাম। অচেনা এক শহরে যাচ্ছি মানুষগুলো বেশ অপরিচিত তবুও যেন একটু আশার আলো দেখতে পারছিলাম। জানি না গন্তব্য কোথায় আর কোথায় এটার শেষ হবে। শুধু জানি একটা অজানা আলোর খুঁজে বের হয়েছি। যে আলোর আঁধারে কোনো হিংস্র ঘটনা থাকবে। যে আলোর এক চিলতে রশ্নিতে নিজেকে রাঙ্গিয়ে দিতে পারব।

বাসে বসে রুকু নিজের জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর ঘটনাটা ডায়রিতে লিখে ডায়রিটা বন্ধ করে একটা নিঃশ্বাস নিল। মনে মনে বেশ অস্বস্থি হতে লাগল তার। বড় বড় নিঃশ্বাস নিতে লাগল। নিঃশ্বাসটা যদি কোনো ফাঁকা জায়গায় নিত তাহলে হয়তো সে নিঃশ্বাসের দু তিনটা প্রতিধ্বনি ভেসে আসত। এর মধ্যে কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে লাগল। জানালা দিয়ে বৃষ্টির ছাঁট এসে কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের পরিমাণটা বাড়িয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে পড়তে লাগল। এ মুহুর্তে মনে হলো কেউ একজন তার পাশে এসেছে। আচমকা এমন উপস্থিতি টের পেয়ে পাশে তাকিয়ে ভয় পেয়ে গেল....

চলবে?

অজানা__আলোর__খোঁজে
#পর্ব-১

তাহাজ্জুদ প্রতিযোগিতা আমার শাশুড়ির সাথেযখন জানতে পারলাম আমি গর্ভবতী, আমি গোপনে একটি ছেলের জন্য দোয়া করতাম। আমি আমার ছোট...
04/09/2025

তাহাজ্জুদ প্রতিযোগিতা আমার শাশুড়ির সাথে

যখন জানতে পারলাম আমি গর্ভবতী, আমি গোপনে একটি ছেলের জন্য দোয়া করতাম। আমি আমার ছোট বোনকে নিজের সন্তানের মতো বড় করেছি—তাই এবার আমি শুধু একজন ছেলেকে বড় করার আনন্দ অনুভব করতে চেয়েছিলাম।

কিন্তু আমার শাশুড়ির ছিল অন্য পরিকল্পনা। তিনি সব সময় একটি কন্যা সন্তানের স্বপ্ন দেখতেন, কিন্তু কখনও তা পাননি।

তিনি হাসলেন এবং বললেন, “চলো, তাহাজ্জুদের প্রতিযোগিতা করি। তুমি একটি ছেলের জন্য দোয়া করো, আমি একটি মেয়ের জন্য দোয়া করবো। দেখি কে জেতে।”
আর সেই থেকেই আমরা দুজনেই রাতে শেষ অংশে আমাদের দোয়া ফিসফিস করে বলতে শুরু করলাম।

প্রথম আল্ট্রাসাউন্ড… যমজ!
আমরা দুজনেই হাসলাম এবং কেঁদে ফেললাম। যেন আল্লাহ মৃদুস্বরে বললেন: প্রতিযোগিতার দরকার নেই। তোমরা দুজনেই জিতেছো।

একটি কন্যা শিশু। একটি পুত্র সন্তান।
আমার ছেলে দুর্বল ছিল এবং এনআইসিইউ-তে থাকতে হয়েছিল।
কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, আজ তারা দুজনেই সুস্থ এবং তিন বছর বয়সে পদার্পণ করছে—আমাদের দ্বিগুণ আনন্দ, আমাদের দ্বিগুণ দোয়ার ফল।

তাহাজ্জুদ সত্যিই এক অসাধারণ কিছু!
— ঘটনাটি সংগ্রহ করে অনুবাদ করা হয়েছে.

আলেয়াকে বিয়ে করার মাত্র ২৫ দিনের মাথায় আমি রওনা হই বাহরাইনের উদ্দেশ্যে। সেখানে পৌঁছানোর কিছুদিন পরই শুনতে পেলাম, আলেয়া ত...
04/09/2025

আলেয়াকে বিয়ে করার মাত্র ২৫ দিনের মাথায় আমি রওনা হই বাহরাইনের উদ্দেশ্যে। সেখানে পৌঁছানোর কিছুদিন পরই শুনতে পেলাম, আলেয়া তার আগের প্রেমিকের সঙ্গে চলে গেছে।

আলেয়াকে আমার মা-বাবা নিজেরাই পছন্দ করেছিলেন। বিয়েটা হয়েছিল পুরোপুরি পারিবারিকভাবে। কিন্তু আমি তাকে সত্যিকার অর্থেই মন থেকে ভালোবেসেছিলাম। জীবনে প্রথম কোনো নারীকে ভালোবাসা—আর সে-ই ছিল আমার আলেয়া। তাই তার চলে যাওয়া আমাকে ভীষণভাবে ভেঙে দিয়েছিল। সেই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে দীর্ঘ ২২ বছর আর দেশে ফিরে যাইনি।

কিন্তু একসময় মেডিক্যালে ‘আনফিট’ হয়ে পড়ায় বাধ্য হয়ে দেশে ফিরতে হয়। দেশে ফিরে দেখি, আমার দীর্ঘ প্রবাস জীবনের অর্জিত প্রতিটি টাকাই মা-বোন-ভাইয়েরা শেষ করে ফেলেছে। চার মাস বাড়িতে ছিলাম, কিন্তু তাদের ব্যবহার ও ভেতরের কষ্ট আমাকে রাগান্বিত করে তোলে। একদিন মাত্র একটি কাপড় পরে ঘর থেকে বেরিয়ে যাই।
আজ সাড়ে পাঁচ বছর হয়ে গেল সেই ঘর ছাড়ার। তারপর থেকে মাজারেই কাটছে আমার জীবন। শুধু দুই বেলা ভাতের আশায় মাজারে থাকি। এখন যাচ্ছি চট্টগ্রামের আমানত শাহ মাজারে। শুনেছি, সেখানে নাকি খাবারের ব্যবস্থা হয়।

চাঁদপুর হাজীগঞ্জ থেকে হেঁটে হেঁটে ২১ দিনে পৌঁছেছি কুমিল্লা স্টেশনে। সেখান থেকে যাত্রা চট্টগ্রামের পথে। জীবনের কাছে আর কোনো চাওয়া নেই আমার—শুধু দুই বেলা ভাত খেতে পারলেই আমি সুখী।

চোখের পানি মুছতে মুছতে কথাগুলো বলছিলেন কাশেম আলী।

আমার স্ত্রী প্রাইমারি টিচার। রাতে ডিনারের শেষে আমার স্ত্রী ক্লাস ওয়ানের খাতা দেখছিলো। খাতা দেখতে দেখতে আমার মিসেসের চোখ...
01/09/2025

আমার স্ত্রী প্রাইমারি টিচার।
রাতে ডিনারের শেষে আমার স্ত্রী ক্লাস ওয়ানের খাতা দেখছিলো।
খাতা দেখতে দেখতে আমার মিসেসের চোখ দুটো ছলছল করে করে উঠেছে।
আমি কাছেই বসে টিভি দেখছিলাম। মিসেসের দিকে নজর যাওয়াতে দেখি আমার স্ত্রী চোখের জল মুছছে।
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে কাঁদছো কেনো!!!
আমার মিসেস বললো.. ক্লাস ওয়ানের পরীক্ষায় এক রচনা এসেছে। "my wish"
--তো কাঁদার কি হলো!!
--সব খাতা গুলো দেখলাম। সবাই ভালো লিখেছে। --তো?
--একজনের খাতা দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না। চোখ দুটো জলে ভরে উঠলো।
--আচ্ছা বলো কি লিখেছে ওই বেবি।
মিসেস রচনা পড়তে শুরু করলো.....
আমার ইচ্ছা আমি স্মার্টফোন হবো।
আমার বাবা মা স্মার্টফোন খুব ভালোবাসে। কিন্তু আমায় ভালোবাসে না।
যেখানে যায় আমার বাবা তার স্মার্টফোন সঙ্গে করে নিয়ে যায়। কিন্তু আমায় সঙ্গে করে নিয়ে যায় না।
ফোন এলে আমার মা তাড়াতাড়ি গিয়ে ফোন ধরে। কিন্তু আমি কান্না করলেও আমার কাছে আসে না মা।
আমার বাবা স্মার্টফোনে গেম খেলে। কিন্তু আমার সাথে খেলে না। আমি বাবাকে বলি আমায় একটু কোলে নাও না বাবা। কিন্তু বাবা আমায় কোলে নেয় না। স্মার্টফোনটাই সব সময় বাবার কোলে থাকে।
মা কে গিয়ে বলি, মা মা চলো না আমার সাথে একটু খেলবে। কিন্তু আমার মা আমার উপর রেগে গিয়ে বলে, দেখতে পাচ্ছিস না আমি এখন তোর মামার সাথে চ্যাটে কথা বলছি।
আমার বাবা মা রোজ স্মার্টফোন টাকে যত্ন করে মোছামুছি করে। কিন্তু আমায় একটুও আদর করে না।
আমার মা যখন বাবার সাথে ফোনে কথা বলে তখন মা স্মার্টফোনে বাবাকে চুমু দেয়। কিন্তু আমায় একদিনও চুমু দেয়নি মা।
আমার বাবা মাথার কাছে স্মার্টফোন নিয়ে ঘুমায়। কিন্তু আমায় কোনোদিনও জড়িয়ে ধরে ঘুমায় না।
আমার মা রোজ চার পাঁচবার স্মার্টফোন টিকে চার্জ দেয়। কিন্তু মাঝে মাঝে আমায় খাবার দিতে ভুলে যায় মা। কিন্তু স্মার্টফোন টিকে চার্জ দিতে ভুলে না আমার মা।
তাই আমি স্মার্টফোন হবো।
আমার ইচ্ছা স্মার্টফোন হয়ে বাবা মায়ের সাথে সবসময় থাকতে চাই।
স্ত্রীর মুখে লেখাটি শোনার পর আমি খুব ইমোশনাল হয়ে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম..
--কে লিখেছে এই রচনাটি ?
--আমাদের সন্তান।
আমি স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম কিছুক্ষন। অনেক কিছুই ভেবে চলেছি। আমার আর আমার স্ত্রীর চোখে তখন জলের ধারা নামতে শুরু করেছে।

একটা ছোট কুয়ায় অনেকগুলো ব্যাঙ বাস করত। কুয়ার ভেতরে জলের ঘূর্ণি, শেওলা, পোকা–মাকড়—এই ছিল তাদের পৃথিবী। তারা প্রতিদিন ...
18/08/2025

একটা ছোট কুয়ায় অনেকগুলো ব্যাঙ বাস করত। কুয়ার ভেতরে জলের ঘূর্ণি, শেওলা, পোকা–মাকড়—এই ছিল তাদের পৃথিবী। তারা প্রতিদিন লাফিয়ে, ডুব দিয়ে, খেলে মনে করত—“এটাই তো সবকিছু… এই কুয়াটাই আসল পৃথিবী।” একদিন এক নতুন ব্যাঙ কোথা থেকে যেন এসে পড়ল কুয়ায়। সে বলল—" বন্ধুরা, তোমরা জানো? এই কুয়ার বাইরে এক বিশাল পৃথিবী আছে… আছে নদী, হ্রদ, সমুদ্র, পাহাড়… এমন বড়, যা তোমরা কল্পনাও করতে পারবে না।”
কুয়ার ব্যাঙগুলো হেসে উঠল।একজন বলল—“কি বলছিস? পৃথিবী মানেই তো আমাদের কুয়া!” আরেকজন লাফ দিয়ে মাপতে শুরু করল—“এই দেখ, আমি যতদূর লাফ দিই, এই তো সবচেয়ে বড়। তার চেয়ে বড় কিছু হয় নাকি?” নতুন ব্যাঙ যতই বোঝাতে চায়, তারা ততই হেসে বলে—“তুই আমাদের কুয়ার চেয়ে বড় কিছু দেখাতে পারবি না!”
কিন্তু একদিন প্রবল বৃষ্টি আর ঝড়ে কুয়াটা ভেঙে যায়। পানি উপচে পড়ে চারপাশে নদীর সঙ্গে মিশে যায়। কুয়ার ব্যাঙগুলো প্রথমে ভয় পায়, তারপর ধীরে ধীরে চারপাশে তাকিয়ে দেখে—কুয়ার বাইরের দুনিয়াটা তাদের কল্পনার চেয়েও বিশাল। আকাশ যেন শেষ নেই, জল যেন সীমাহীন, আর নতুন নতুন প্রাণী আর সৌন্দর্যে ভরা এই পৃথিবী। তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে বলে—"আমরা এতদিন নিজেদের ছোট কুয়াকেই মহাবিশ্ব ভেবেছি, তাই অন্যদের সম্মান করতে শিখিনি… তাই বড় স্বপ্ন দেখতে শিখিনি।”
বাস্তব জীবনেও বেশিরভাগ মানুষ এমন—ভাবেন তিনি সব জানেন, তাই নিজেকে আর বদলানোর দরকার নেই। কেউ নতুন কোনো ধারণা নিয়ে এলে তারা সেটা নিজের সীমিত অভিজ্ঞতা বা বোঝার লাফ দিয়ে মাপতে চায়। গ্রামের চায়ের দোকানে বসে অনেকে ড. ইউনুসকে নামিয়ে ফেলে, আবার কোনো কারখানার এক্সিকিউটিভ বা পিএম ভাবে—“আমি তো সব জানি, আমার চেয়ে কেউ বেশি বুঝে না।” এই মানসিকতাই আমাদের বড় হতে দেয় না। কিন্তু গণ্ডি না ছাড়া পর্যন্ত বোঝা যায় না, এই মহাবিশ্ব কত বড় আর কত কিছু শেখার বাকি। আমাদের দরকার নিজের মন, হৃদয় খুলে নতুন করে দেখা—নতুন ধারণাকে সম্মান করা, নতুন কিছু শেখার সাহস রাখা। তাই নিজের গণ্ডি ছাড়ুন, নতুন জায়গা দেখুন, নতুন মানুষের সাথে কথা বলুন, ভিন্ন মতকে সম্মান করুন—তবেই বুঝবেন, এই দুনিয়াটা কুয়ার চেয়ে কত বড়!
আল্লাহ আপানার সম্মান বাড়িয়ে দিন!

একজন ইহুদি ভ্রূণ বিশেষজ্ঞ (যিনি একজন ধর্মীয় পণ্ডিতও ছিলেন) খোলাখুলি বলেছিলেন যে, পৃথিবীতে মুসলিম নারীর চেয়ে পবিত্র ও ব...
08/08/2025

একজন ইহুদি ভ্রূণ বিশেষজ্ঞ (যিনি একজন ধর্মীয় পণ্ডিতও ছিলেন) খোলাখুলি বলেছিলেন যে, পৃথিবীতে মুসলিম নারীর চেয়ে পবিত্র ও বিশুদ্ধ নারী অন্য কোন ধর্মে নেই।
পুরো ঘটনাটি ঘটেছিল যখন আলবার্ট আইনস্টাইন ইনস্টিটিউটের (Albert Einstein Institution) সাথে যুক্ত একজন ভ্রূণ বিশেষজ্ঞ, ইহুদি পেশাদার রবার্ট, তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেন। যার একমাত্র কারণ ছিল, কুরআনে উল্লেখিত তালাক প্রাপ্তা নারীর ইদ্দতের আদেশ সম্পর্কিত আয়াত এবং ইদ্দতের জন্য তিন মাসের সীমা নির্ধারণের পেছনের রহস্য ও হিকমত সম্পর্কে অবগতি।

আল্লাহ তায়ালা কোনো তালাক প্রাপ্তা নারীকে দ্বিতীয় বিয়ের পূর্বে তিন মাসের একটি গ্যাপ রাখতে বলেছেন। তিনি পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন,
وَٱلْمُطَلَّقَٰتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَٰثَةَ قُرُوٓءٍۚ
অর্থাৎ 'তালাকপ্রাপ্তা নারীরা তিন মাসিক পর্যন্ত অপেক্ষা করবে' (সূরা আল-বাকারাহ ২২৮:২)
এই আয়াতটি একটি আধুনিক বিজ্ঞান ডিএনএ এর উদ্ভাবনের রাস্তা সুগম করেছে এবং দেখা গেছে যে একজন পুরুষের শুক্রাণুতে থাকা প্রোটিন অন্য পুরুষের থেকে ৬২% পৃথক ও ভিন্ন থাকে।
আর একজন নারীর শরীর একটি কম্পিউটারের মত। যখন একজন পুরুষ তার সাথে ইন্টারকোর্স করে তখন সেই নারীর শরীর সব ব্যাকটেরিয়াকে শোষণ করে এবং তার শরীরে তা ধারণ করে।
অতএব, বিবাহ বিচ্ছেদের পরপরই, যদি একজন মহিলা অন্য পুরুষকে বিয়ে করেন বা একই সাথে বেশ কয়েকজনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে, তাহলে তার শরীরে বিভিন্ন ধরণের ডিএনএ জমা হয় যা বিপজ্জনক ভাইরাসের রূপ নেয় এবং মারাত্মক রোগ সৃষ্টির কারণ হয়।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখে যে, প্রথম মাসিক আসার পর একজন মহিলার শরীর থেকে ৩২% থেকে ৩৫% পর্যন্ত প্রোটিন শেষ হয়ে যায়, এবং দ্বিতীয় মাসিক আসার পর তার শরীর থেকে ৬৭ থেকে ৭২% ডিএনএ ধ্বংস হয়ে যায়। এবং তৃতীয় মাসিকের পর ৯৯.৯% পর্যন্ত প্রোটিন নির্মূল হয়ে যায়। এরপর জরায়ু আগের ডিএনএ থেকে সম্পন্নরূপে পরিষ্কার হয়ে যায় এবং কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই নতুন ডিএনএ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত থাকে।
একজন গণিকা অনেক পুরুষের সাথে সঙ্গম করে, যার ফলে বিভিন্ন পুরুষের ব্যাকটেরিয়া তার জরায়ুতে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন ধরণের ডিএনএ তার মধ্যে জমা হয়ে সে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

বিধবা মহিলার ক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলো, তার ইদ্দত তালাকপ্রাপ্ত মহিলার চেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪ মাস ১০ দিন।
এর কারণ হলো দুঃখ ও দুশ্চিন্তার কারণে তার শরীর থেকে প্রাক্তন ডিএনএ দ্রুত শেষ হয় না, এটি শেষ হতে আগের চেয়ে বেশি সময় লাগে, আর এ জন্য মহিলাদের ইদ্দত চার মাস দশ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَٰجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًاۖ
অর্থাৎ 'তোমাদের মধ্য হতে যারা স্ত্রীদেরকে রেখে মারা যাবে সে অবস্থায় স্ত্রীরা নিজেদেরকে চার মাস দশ দিন বিরত রাখবে।' (আল-বাকারাহ, ২৩৪)

এই সত্যের মুখোমুখি হয়ে, একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ভিন্ন স্থানে গবেষণা পরিচালনা করেন।
এক. আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মুসলমানরা যে মহল্লায় থাকেন, সেই সব নারীর ভ্রূণের মধ্যে মাত্র একজন স্বামীর ডিএনএ পাওয়া গেছে।
দুই. অন্য মহল্লা যেখানে আসল আমেরিকান মহিলারা থাকেন, তাদের ভ্রূণের মধ্যে একাধিক অর্থাৎ দুই বা তিন জনের বেশি পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গেছে।
অতঃপর যখন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তার নিজ স্ত্রীর ভ্রূণ ​​পরীক্ষা করলেন, তখন তিনি একটি মর্মান্তিক সত্য দেখতে পান যে, তার স্ত্রীর মধ্যে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ডিএনএ আছে। যার অর্থ হলো তার স্ত্রী তার সাথে প্রতারণা করছিল এবং তার তিন সন্তানের মধ্যে কেবল মাত্র একজন ছিল তার নিজ সন্তান, বাকিরা ছিল অন্য পুরুষ থেকে।

ডাক্তার তখন নিশ্চিত হন যে ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা নারীদের নিরাপত্তা এবং সমাজের সম্প্রীতির নিশ্চয়তা দেয়। এবং এই বিষয়েও নিশ্চিত হন যে, একমাত্র মুসলিম নারীরাই পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন, বিশুদ্ধ ও সতী।
والله ورسوله اعلم عزوجل وصل الله عليه وسلم
ইসলামে একজন মহিলার জন্য এক‌ই সময়ে একাধিক বিয়ে বা একাধিক স্বামী রাখার অনুমতি দেয়া হয়নি কেন!
অবশেষে বিজ্ঞানও আল কুরআনের বিধানের নির্ভুল ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হলো।

ভালোবাসাও এক ধরনের রিজিক!যার কাছ থেকে যতোটুকু তোমার রিজিকে থাকবে, তুমি ততোটুকুই পাবা।❤️ End of the day everything is abo...
30/07/2025

ভালোবাসাও এক ধরনের রিজিক!
যার কাছ থেকে যতোটুকু তোমার রিজিকে থাকবে, তুমি ততোটুকুই পাবা।❤️ End of the day everything is about "Rizik"

আপনার রিজিক হতে পারে দেরিতে বিয়ে হওয়া— যাতে আপনি বাবা মায়ের দেখভালে আরও বেশি সময় দিতে পারেন।

আপনার রিজিক হতে পারে দেরিতে সন্তান হওয়া— যাতে আপনি আপনার পার্টনারে সাথে সম্পর্কটাকে আরো ভালোভাবে গড়ে তুলতে পারেন, বোঝাপড়াটা মজবুত করতে পারেন।

আপনার রিজিক হতে পারে দেরিতে পাওয়া— যাতে আপনি ধৈর্য, কৃতজ্ঞতা আর আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ শিখতে পারেন।

আপনার রিজিক হতে পারে একাকীত্ব — যেন আপনি অন্যদের থেকে দূরে থেকে আল্লাহর সাথে আরও ঘনিষ্ঠ হতে পারেন।

সবসময় পাওয়ার মধ্যে নয় বরং অনেক ক্ষেত্রে না পাওয়াটাই হলো রিজিক। একটা বিষয় মাথায় রাখলে সবকিছু মেনে নেওয়া সহজ হবে, আপনার জীবনে যা আছে আর যা নেই সবই আল্লাহ খুব নিখুঁতভাবে বেছে দিয়েছেন।

যে দিন থেকে আমি জানতে পেরেছি, আমার রিজিক আমি ছাড়া অন্য কেউ ভোগ করতে পারবে না, সেদিন থেকে আমার হৃদয়ে একটা অদ্ভুত প্রশান্তি তৈরি হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ!!!

সেদিন থেকে আমি কাউকে নিজের প্রতিদ্বন্দি ভাবিনা, কারও ভালো দেখে আমি আফসোস করি না। জীবনে যা যা পাইনি তার কোনটাই আমার রিজিকে ছিলোনা বিশ্বাস করেছি এবং সেজন্য আফসোস হয়নি আর কোনদিন। আমি একটা শান্তির দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সবকিছু আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিয়েছি।

নিজের রিজিক নিয়ে দুশ্চিন্তার কিচ্ছু নেই। আমার বা আপনার ভাগেরটুকু কেও নিতে পারবেনা, এই অধিকার আল্লাহ তায়ালা কাউকে দেননি।
"রিজিকের ফা'য়'সালা আ'স'মানে হয়, জ'মিনে না"
তাই সব সময় সবকিছুর জন্যই বলুন আলহামদুলিল্লাহ।

কোথায় যেন একটা লেখা পড়েছিলাম,লেখাটা ছিল এমন-“তোমাকে একজন পেয়েছে মানে,আরেকজন কি বিভৎষ ভাবেই না-তোমাকে হারিয়েছে”লেখাটা...
29/07/2025

কোথায় যেন একটা লেখা পড়েছিলাম,লেখাটা ছিল এমন-
“তোমাকে একজন পেয়েছে মানে,
আরেকজন কি বিভৎষ ভাবেই না-তোমাকে হারিয়েছে”
লেখাটা খুব ছোট তবে কথার গভীরতা পৃথিবীর সমান বিশাল ..

13/07/2025

ছেড়ে দেবো বলেও, আমরা অনেক কিছু ছাড়তে পারি না। তার ভিতর অন্যতম হলো কিছু মানুষের প্রতি মায়া।

13/07/2025

আপনি জানতেও পারেননি, আল্লাহ কতবার আপনাকে অদৃশ্য বিপদ থেকে নিরাপদে রেখেছেন।
— আলহামদুলিল্লাহ!
❤️🌸❤️

Address

Khulna

Telephone

+8801515661909

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mahi's World posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mahi's World:

Share