সহজ সরল

সহজ সরল 🔥গল্প খুড়ো🔥
আমাদের পেজে আপনাকে স্বাগতম।

15/01/2025

আমার নতুন ফলোয়ারদের স্বাগত জানাই! আপনাদের ফলোয়ার হিসাবে পেয়ে আমি খুবই খুশি! Wahid Khulna, Wahid Hasan, Md Mahdi Hasan, Saif Rahman

07/01/2025
আব্বু কথা রেখেছেন। তিনবার ইন্টারমিডিয়েট ফে*ল করার পর আমার বোনের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন রিকশা‌ওয়ালার সাথে। সব বাবাই যদিও ...
03/01/2025

আব্বু কথা রেখেছেন। তিনবার ইন্টারমিডিয়েট ফে*ল করার পর আমার বোনের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন রিকশা‌ওয়ালার সাথে।
সব বাবাই যদিও এরকম কথা রা-গ করে বলেন কিন্তু আমার আব্বু এক কথার‌ মানুষ। বলেছেন এবং দিয়েছেন।
আমার রিকশা‌ওয়ালা দুলাভাইকে নিয়ে আমি খুবই বিরক্ত। যখন তখন আমার সাথে এসে শালী শালী বলে ঢং করেন লোকের মধ্যে আমার খুবই বিরক্ত লাগে।
ভয়ে ভয়ে আমি ভালোভাবে পড়াশোনা করছি। আমি ফেল করতে চাইনা। আমি রিকশা‌ওয়ালা বিয়ে করতে আগ্রহী ন‌ই।
দুলাভাইয়ের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড আমরা জানতাম না। আব্বু একদিন ওনার রিকশায় বাজার করে ফিরছিলেন তখন উনি আব্বুর সব বাজার নিজে হাতে করে বাসায় পৌছে দিয়ে গেছেন দেখে আব্বু মুগ্ধ হয়েছেন। যার ফলস্বরূপ ওনার সাথে আমার বোনের বিয়ে। কিন্তু ওনার ফ্যামিলির সাথে আমাদের এখনো দেখা হয়নি। দুলাভাই সারাদিন রিকশা চালিয়ে বাসায় এসে ঘাম মুছতে মুছতে ডাকেন,"ও ব‌উ,ও শালী!পানি দেও।''
মনের দুঃখে আমার বোন কয়েকবার আত**** ত্যা করতে গেছে। প্রতিবার‌ই আব্বুর কাছে জোরসে থা - প্প ড় খেয়েছে।
দুলাভাইকে আমার বোন দেখতে পারে না। রাতে আমার ঘরে এসে থাকে আর সারারাত কাঁ*দে, "লাবণ্য এ আমার কি হয়ে গেল রে!! আমার বয়ফ্রেন্ড ছিল সরকারি অফিসার আর আমার বিয়ে হয়ে গেল একটা রিকশা‌ওয়ালার সাথে রে!!!"
আপুকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা আমার জানা নেই। সামনে আমারো রেজাল্ট আমি খুবই আ-তংকে আছি। হয়তো আমার বর হবে এক অটো‌ওয়ালা। তারপর দুই ভায়রা-ভাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকালে একজন অটো নিয়ে বের হবে একজন রিকশা। এদিকে আমরা দুই বোন প্রাইভেট কার ছাড়া কোথাও যাই না। কি একটা অবস্থা!
দুঃশ্চিন্তায় শিউরে উঠে আমার আর সেই রাতে ঘুম হয় না।
আমার বিদেশ থাকা ফুপী বাসায় এসেই চিল্লাচিল্লি শুরু করেছেন! আব্বুকে বলছেন,এইটা তুমি কি করলা? এতবড় ক্ষতি কেউ নিজের মেয়ের করে? এরচেয়ে আমার কাছে পাঠিয়ে দিতা, আমি কি ম -রে গেছিলাম?
এসব বলতে বলতে আমার দুলাভাইয়ের কাছে গিয়ে রা'গী গলায় বললেন,"you s*coun*drel, How dare you? I will see you!!"
দুলাভাই বললেন, "You can't,bcz she is my legal wife. And whatever, I have no mistakes actually.."
আমরা সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি দেখে দুলাভাই আবার বললেন, "আমিও ভালো ঘরের সন্তান।আমিও ইন্টার ফে*ইল। ইংরেজিতে ভালোই ছিলাম অংকে ধ*রা খাইছি। এজন্য আমার আব্বুও আমাকে রিকশা কিনে দিছে!"

নিয়মিত গল্প পেতে পেইজে ফ'লো দিয়ে সাথে থাকুন। 🌿🥀

25/12/2024

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই
☺️😊☺️

- জ্ঞান না দি'য়ে পাঞ্জাবি'ই দিন...!😒- আমিও পড়ি আপনিও দেখেন...!🫣
25/12/2024

- জ্ঞান না দি'য়ে পাঞ্জাবি'ই দিন...!😒

- আমিও পড়ি আপনিও দেখেন...!🫣

অভিশপ্ত গ্রাম লেখক মোঃ রেশাদ গল্পঃ এই বাড়িটায় জ্বীন থাকে,  পুকুরটাতেও কেউ মাছ ধরতে পারেনা। আমার মুখে কথাটা শুনে বন্ধু সো...
25/12/2024

অভিশপ্ত গ্রাম
লেখক মোঃ রেশাদ

গল্পঃ এই বাড়িটায় জ্বীন থাকে, পুকুরটাতেও কেউ মাছ ধরতে পারেনা। আমার মুখে কথাটা শুনে বন্ধু সোহান বললো।

সোহান: আমরা এযুগের ছেলে বুঝলি, আমাদের বাপ দাদারা যা বলছে সেটা মিথ্যাও হতে পারে।

গল্পের বাকি অংশ এই লিংকেঃ

Explore the mysterious village of Bengal, where the locals whisper about the existence of paranormal entities. In this thrilling episode, we delve into the l...

বুবুনের পোষা ভূতের বাচ্চাচিঁচিঁ করে হাসতে হাসতে সামনের ছায়াটা বলল, ‘আমি হচ্ছি ভূতের বাচ্চা। আমার নাম খখখ।’ ভয়ে চোখ বড় বড়...
22/12/2024

বুবুনের পোষা ভূতের বাচ্চা

চিঁচিঁ করে হাসতে হাসতে সামনের ছায়াটা বলল, ‘আমি হচ্ছি ভূতের বাচ্চা। আমার নাম খখখ।’ ভয়ে চোখ বড় বড় করে ফেলল বুবুন।

‘ওভাবে চোখ বড় বড় করে ফেললে কেন তুমি? বললাম না, আমি ভূতের বাচ্চা।’ খখখ বলল।

‘ভূতের বাচ্চা তুমি!’ চোখ দুটো আরও বড় বড় করে ফেলল বুবুন, ‘কিন্তু আমি তো তোমাকে দেখতে পাচ্ছি না। আর এ রকম বিশ্রীভাবে চিঁচিঁ করে হাসছোই-বা কেন তুমি! এটা কোনো হাসি হলো, না কোনো কান্না হলো!’

‘তোমরা মানুষেরা কীভাবে হাসো?’

‘হিহি করে হাসি।’

‘তোমরা হিহি করে হাসো, আমরা চিঁচিঁ করে হাসি।’ ভূতের বাচ্চা খখখ চিঁচিঁ করেই আবার হেসে বলল, ‘তোমাদের কেউ কেউ আবার হো হো করে হাসে, আমাদেরও কেউ কেউ চো চো করে হাসে।’

‘তোমার নাম খখখ!’

‘হ্যাঁ।’

‘এটা কোনো নাম হলো!’ ঠোঁট উল্টিয়ে অবজ্ঞার স্বরে বলল বুবুন।

‘এই কথা তো আমিও বলতে পারি।’ খখখ গলাটা গম্ভীর করে বলল, ‘তোমার এক বন্ধু আছে না, ওই যে প্রদীপ নাম। প্রদীপ কোনো নাম হলো! প্রদীপ হচ্ছে সেই জিনিস, যার মাথায় আগুন জ্বালানো হয়।’ খখখ আবার হাসতে লাগল, ‘তোমার ওই বন্ধুর মাথায় কি আগুন জ্বালানো হয়?’

‘না।’

‘তাহলে ওর নাম প্রদীপ কেন?’

বুবুন মনে মনে ভেবে দেখল—তাই তো, মানুষের নাম প্রদীপ হবে কেন? মানুষের মাথায় তো আগুন জ্বালানো যায় না কখনো। মানুষের নাম হবে সুমন, ফাহাদ, রাকিব। এই যে তার নিজের নাম বুবুন, এই নামটাও ঠিক আছে। কিন্তু মানুষের নাম কখনো প্রদীপ হতে পারে না।

বুবুন গলার স্বরটা নিচু করে বলল, ‘সরি, তুমি ঠিক বলেছ খখখ।’

‘আসলে সবই ঠিক আছে। তোমাদের মানুষদের একধরনের নাম হয়, আমাদের ভূতদের আরেক ধরনের নাম হয়। যেমন আমাদের কারও কারও নাম—চচচ, পপপ, ককক।’

নামগুলো শুনে ভীষণ হাসি পাচ্ছিল বুবুনের, কিন্তু হাসল না সে। সামনের ছায়াটার দিকে ভালো করে তাকিয়ে বলল, ‘আচ্ছা, তোমরা দেখতে ছায়ার মতো কেন?’

‘না, আমরা কেবল ছায়ার মতো দেখতে না। আমরা মানুষের মতোও হতে পারি। তুমি ছোট মানুষ, আমিও ছোট। আমি যদি মানুষের মতো হই তাহলে তুমি আমাকে দেখে ভয় পেতে পারো।’

‘তোমাকে দেখে ভয় পাব কেন?’

‘তোমাদের যেমন দুটো করে চোখ, আমাদের তিনটা করে। দুপাশে দুটো আর কপালের মাঝখানে একটা। কপালের চোখটা বেশ বড়, আর সেই চোখ দিয়ে আগুন বের হয় মাঝে মাঝে।’

‘বলো কী!’ বুবুন চমকে ওঠা গলায় বলল, ‘আগুনে পুড়ে যায় না তোমাদের শরীর, ব্যথা লাগে না তোমাদের!’

‘না। মাঝখানের চোখের আগুনে অনেক পোকামাকড় এসে জড়ো হয় আমাদের মুখের সামনে, আমরা তখন গপগপ করে ওই পোকাগুলো গিলে খাই।’ খখখ চিঁচিঁ করে হেসে বলল, ‘আমাদের প্রিয় খাদ্য কিন্তু ওইসব পোকামাকড়ই।’

‘পোকা আবার প্রিয় খাদ্য হয় কী করে?’ বুবুন অবাক হয়ে বলল।

‘তোমরা চিংড়ি নামে যে একটা মাছ খাও, ওটা কি মাছ? আসলে ওটা কিন্তু একধরনের পোকাই। ওই পোকাই তোমরা কত মজা করে খাও! আবার অনেক দেশের মানুষ ব্যাঙ খায়, সাপ খায়, গুবরেপোকা খায়, কেঁচো খায়—এসবকে কী বলবে তুমি?’

বুবুন একটু ভেবে বলল, ‘তুমি ঠিক বলেছ খখখ। একেক দেশের মানুষের যেমন একেক রকম খাবার, তোমাদেরও তেমন আলাদা আলাদা খাবার। তা তুমি কি এখন একটু মানুষের মতো হবে?’ ঘরের দরজা বন্ধ করল বুবুন, ‘এখানে আমি ছাড়া কেউ নেই। আমি তোমাকে দেখে ভয় পাব না। কারণ, তোমাকে আমার কেমন যেন বন্ধুর মতো মনে হচ্ছে।’

‘সত্যি!’ চিঁচিঁ করে অনেকক্ষণ হেসে নিল খখখ। তারপর আলতো করে একটা হাত রাখল বুবুনের হাতে। বুবুন টের পেল তা। ঝট করে সে তার নিজের হাতের দিকে তাকাল। ওই হাতের মাঝে একটা হাত দেখা যাচ্ছে। হাতটা আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে, তারপর আরেকটা হাত হলো, মাথা হলো, মুখ হলো, চোখ হলো, পা হলো, ধীরে ধীরে পূর্ণ একটা মানুষের মতো হয়ে গেল খখখ। কিন্তু মানুষ যেমন জামাকাপড় পরে থাকে, খখখ-এর সারা শরীর ধোঁয়ার মতো পাতলা কী দিয়ে যেন মোড়ানো। শার্ট-প্যান্টের মতোই দেখাচ্ছে তা, অনেকটা আলখাল্লার মতো।

বুবুন মুগ্ধ হয়ে গেল খখখকে দেখে। আনন্দে লাফ দিয়ে উঠল সে। তারপর খখখর দিকে দুই হাত বাড়িয়ে বলল, ‘আমি কি তোমাকে একটু জড়িয়ে ধরতে পারি খখখ?’

‘অবশ্যই।’ বলেই খখখও দুই হাত বাড়িয়ে দিল। তারপর দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে রাখল বেশ কিছুক্ষণ।

খখখ হঠাত্ চমকে উঠে বলল, ‘বুবুন, তুমি তো স্কুলের পড়া পড়ছিলে।’

‘হ্যাঁ।’

‘একটু পর তো স্কুলে যেতে হবে তোমাকে।’

‘হ্যাঁ।’

‘আমি আসায় তোমার ডিস্টার্ব হলো। স্কুলের পড়া পড়তে পারছ না তুমি!’ খখখ অপরাধী গলায় বলল।

‘সমস্যা নেই। এক দিন পড়া না শিখলে স্যাররা আমাকে কিছু বলবেন না।’

‘কেন কিছু বলবেন না?’

‘কারণ, প্রতিদিন পড়া করে স্কুলে যাই আমি।’

‘আমি জানি তো। কিন্তু আজও তুমি স্কুলে পড়া করে যাবে।’

‘না, আজ আর পড়তে ইচ্ছে করছে না।’

‘কিচ্ছু করতে হবে না তোমাকে। পড়াগুলো শুধু একবার রিডিং পড়বে তুমি, দেখবে তাতেই মুখস্থ হয়ে গেছে সব।’

‘একবার পড়লেই মুখস্থ হয়ে যাবে?’

খখখ লম্বা একটা হাসি দিয়ে বলল, ‘হ্যাঁ, মুখস্থ হয়ে যাবে।’

বুবুন দ্রুত পড়াগুলো একবার রিডিং পড়ে নিল। তারপর বই বন্ধ করে বুঝতে পারল সত্যি সত্যি সব পড়া মুখস্থ হয়ে গেছে তার। আনন্দে সে খখখর একটা হাত চেপে ধরে বলল, ‘এটা তুমি করেছ না?’

‘হ্যাঁ। ভূতেরা অনেক কিছু করতে পারে।’ বলেই হাত ধরে বুবুনকে জানালার পাশে আনল খখখ। বাইরে তাকিয়ে বলল, ‘ওই যে তোমাদের ছোট্ট একটা ফুলের বাগান, বেশ কিছু আগাছা জন্মেছে সেখানে। দু-এক দিনের মধ্যে তুমিই ওগুলো পরিষ্কার করতে, না?’

‘বাসার অনেক কাজ করতে ভালো লাগে আমার। মা-বাবাকেও সাহায্য করি আমি। বাগানের ঘাস পরিষ্কার করতেও খুব পছন্দ আমার।’

‘তোমার আর পরিষ্কার করতে হবে না।’

‘কেন?’

‘এখানে দাঁড়িয়েই আমি ওগুলো পরিষ্কার করে দিচ্ছি।’

খখখর সঙ্গে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বুবুন অবাক হয়ে দেখল—বাগানের আগাছাগুলো একা একাই মাটি থেকে উঠে যাচ্ছে, একা একাই জড়ো হয়ে যাচ্ছে বাগানের এক কোনায়! একটু পর বাগান একেবারে চমত্কারভাবে পরিষ্কার হয়ে গেল!

বুবুনের পড়ার টেবিলের কাছে ফিরে এল খখখ। টেবিলটা বেশ অগোছালো হয়ে আছে। হাতের আঙুল দিয়ে কেমন একটা তুড়ি বাজাল সে, সঙ্গে সঙ্গে টেবিলটা গোছানো হয়ে গেল। মনেই হচ্ছে না এই একটু আগে টেবিলটা নোংরা ছিল।

বিছানার চাদর, খাটের নিচের জুতো, ওয়ার্ডরোবের ড্রয়ারে রাখা এলোমেলো কাপড়—সব গুছিয়ে দিল খখখ ওই তুড়ি বাজিয়েই। এমনকি ঘরের ফ্যান আর সিলিংয়ে যে মাকড়সা জাল বুনেছিল অনেক, পরিষ্কার করে দিল সেগুলোও। সেদিন ছবি আঁকতে গিয়ে দেয়ালে বেশ কিছুটা রং লাগিয়ে ফেলেছিল বুবুন, ঝকঝকে তকতকে করে দিল সেই দেয়ালটাও।

চোখ-মুখ উজ্জ্বল করে বুবুন বলল, ‘থ্যাংক ইউ, খখখ।’

খখখ খুব স্মার্ট ভঙ্গিতে বলল, ‘ওয়েলকাম।’ তারপর গলাটা নিচু করে বলল, ‘আমি কি তোমার বন্ধু হতে পারব বুবুন?’

‘অবশ্যই।’

‘আমি তো মানুষের মতো না। তোমার যেমন পোষা একটা বিড়াল আছে, আমাকেও তেমন পোষা কিছু ভেবো। তারপর একজন বন্ধু ভেবো।’ খখখ অদ্ভুত একটা হাসি দিয়ে বলল, ‘আমি হচ্ছি তোমার পোষা ভূতের বাচ্চা বন্ধু।’

হেসে ফেলল বুবুন।

দরজায় নক করার শব্দ হলো হঠাত্। সঙ্গে সঙ্গে খখখর দিকে তাকাল বুবুন। চমকে উঠল সঙ্গে সঙ্গে। খখখ নেই। কেবল একটা ছায়া সরে যেতে দেখল পড়ার টেবিলের কোনার দিকে।

আম্মু ঢুকলেন ঘরে। ইস্তিরি করা স্কুলড্রেসটা বিছানার ওপরে রাখতে গিয়েই সোজা হয়ে দাঁড়ালেন তিনি। বুবুনের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘তুমি স্কুলে যাওয়ার পর আমি সাধারণত এই রুমের বিছানা ঠিক করি।’

‘তা তো জানি।’

‘কিন্তু আজ কে ঠিক করল? তুমি?’

মুচকি একটা হাসি দিল বুবুন। মায়ের দিকে একটু এগিয়ে গিয়ে বলল, ‘আমি কি বিছানা ঠিক করতে পারি, আম্মু?’

‘আমি জানি পারো না।’ আম্মু আবার বিছানার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘তাহলে ঠিক করল কে?’

বুবুন রহস্যের একটা হাসি দিয়ে বলল, ‘কেউ না কেউ একজন তো করেছে, আম্মু।’

‘সেই কেউ একজনটা কে?’ কথা বলতে বলতে ঘরের চারপাশটা দেখতে লাগলেন আম্মু। তিনি আগের চেয়ে অবাক হয়ে বললেন, ‘রাতে শোয়ার আগেও তো তোমার পড়ার টেবিলটা অগোছালো দেখে গেছি, এটাও তুমি ওই স্কুলে যাওয়ার পর গুছিয়ে দিই আমি। আজ এটা একেবারে ফিটফাট দেখাচ্ছে।’

‘এটা গোছানো দেখে ভালো লাগছে না তোমার?’

‘তা লাগছে। কিন্তু গোছাল কে?’ খাটের নিচে তাকালেন আম্মু। চোখ বড় বড় করে বললেন, ‘জুতোগুলো সুন্দর করে সাজানো আছে!’ ওয়ার্ডরোবের একটা ড্রয়ার খোলা। আম্মু তার কাছে গিয়ে উঁকি দিয়ে দেখে বললেন, ‘ভেতরের কাপড়গুলো তো জড়োসড়ো করে রাখা হয়েছিল। ইস্তিরি ছাড়া ছিল ওগুলো। ড্রয়ারের ভেতর ভাঁজ করে সারিভাবে রাখাও দেখছি, ইস্তিরি করাও দেখছি। বুবুন—আম্মু বুবুনের একেবারে সামনে এসে দাঁড়ালেন, ‘আমি তো অবাক হয়ে যাচ্ছি, সকাল সকাল এসব কে করল, বলো তো!’

‘তোমার ভালো লেগেছে কি না, সেটা আগে বলো।’

‘ভালো লাগার ব্যাপারটা পরে আসবে। আগে বলো কাজগুলো কে করেছে?’ কথা বলতে বলতে আম্মু জানালার পাশে এসে দাঁড়ান। বাইরে তাকিয়ে বলেন, ‘আরে, বাগানের আগাছাগুলোও তো পরিষ্কার করা দেখছি। আশ্চর্য, তুমি তো এতক্ষণ পড়ছিলে। বাসার বাইরে যাওনি। এটা তাহলে কে করল?’

বুবুন আম্মুর কাছে গিয়ে একটা হাত চেপে ধরে বলল, ‘আম্মু, আগে তুমি শান্ত হয়ে বসো তো।’

ঘুরে তাকালেন আম্মু। সঙ্গে সঙ্গে দেয়ালের দিকে চোখ গেল তাঁর। দ্রুত সেটার কাছে গিয়ে হাত বোলাতে বোলাতে বললেন, ‘সেদিন ছবি আঁকতে গিয়ে এখানে রং লাগিয়ে ফেলেছিলে। এটা এখন একেবারে পরিষ্কার। কোনো রংমিস্ত্রি তো ডাকা হয়নি এ কয় দিন। এটা এমন করল কে?’

কিছুটা জোর করে আম্মুকে বিছানায় বসাল বুবুন। তারপর আম্মুর একটা হাত নিজের দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে বলল, ‘অবাক হচ্ছো কেন আম্মু? বললাম না এই কাজগুলো কেউ না কেউ তো করেছে।’

‘সেই কেউটা কে?’ আম্মু অস্থির হয়ে বললেন।

‘খখখ।’

‘খখখ!’ কপাল কুঁচকে ফেলেন আম্মু, ‘এটা আবার কী?’

‘এটা একটি ভূতের বাচ্চা।’

‘কী!’ কিছুটা চিত্কার করে ওঠেন আম্মু, ‘বুবুন, তুমি তো কখনো মিথ্যা কথা বলতে না!’

‘হ্যাঁ, আমি তো কখনো মিথ্যা বলি না।’

‘আজ কেন মিথ্যা কথা বলছ!’

‘আমি তো মিথ্যা কথা বলছি না, আম্মু। এসব খখখই করেছে। খখখ হচ্ছে ওই ভূতের বাচ্চার নাম। আমার নতুন বন্ধু।’

‘আমি আর ভাবতে পারছি না, বুবুন। তুমি সত্যি কথাটা বলে ফেলো।’

আম্মুর হাত দুটো আরও একটু চেপে ধরে বুবুন বলল, ‘আমি সত্যি কথাই বলছি আম্মু।’

‘ভূত বলে কিছু আছে নাকি! ভূতের বাচ্চাই-বা তুমি পাবে কীভাবে!’ রুমের দরজার দিকে তাকালেন আম্মু, ‘বুবুনের বাবা, এদিকে আসো তো।’

স্যুট-টাই পরে অফিসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বুবুনের বাবা। দ্রুত তিনি বুবুনের রুমে ঢুকলেন। কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে বললেন, ‘কী হয়েছে? চিত্কার করে ডাকলে যে! কোনো সমস্যা?’

‘তোমার ছেলে কী বলে শোনো।’ বুবুনের দিকে তাকালেন আম্মু, ‘ওর নাকি একটা বন্ধু হয়েছে, সে আবার ভূতের বাচ্চা। তার নাম খখখ।’

‘বুঝতে পারলাম না ব্যাপারটা।’ চোখ বড় বড় করে ফেললেন বুবুনের বাবা। বুবুনের মুখের দিকে তাকালেন তিনি।

‘বুঝতে পারছ না!’ বিছানা থেকে কিছুটা লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন আম্মু। বুবুনের বাবার কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘বিছানা দেখেছ? টানটান করা চাদর। খাটের নিচে জুতো গোছানো। ওয়ার্ডরোবের কাপড় সাজানো আছে থাক থাক করে। ওগুলো ইস্তিরি করা ছিল না, ইস্তিরিও করা হয়েছে ওগুলো। আর দেখ—বুবুনের আব্বুর একটা হাত টেনে জানালার কাছে নিয়ে গেলেন বুবুনের আম্মু, ‘বাগানের যত আগাছা ছিল সব পরিষ্কার করা হয়েছে।’

‘এসব কে করেছে?’ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন বুবুনের আব্বু।

‘বুবুনের ওই বন্ধু, খখখ না ককক নাম!’ আম্মু ঘরের দেয়ালের দিকে তাকালেন, ‘দুই দিন আগে তুমি বললে না ছবি আঁকতে গিয়ে দেয়ালটা কেমন বিশ্রী করে ফেলেছে বুবুন, রংমিস্ত্রি ডাকতে হবে। তার আর প্রয়োজন হবে না। দেখো, এটা এখন পরিষ্কার। এটাও নাকি ওই ভূতের বাচ্চাটা করেছে!’

আব্বু এগিয়ে গেলেন বুবুনের দিকে। আদর করে মাথায় হাত দিয়ে বললেন, ‘বুবুন, আমার গুডবয়, তুমি তো কখনো মিথ্যা কথা বলো না। আজ কেন বলছ?’

‘আমি তো আজও মিথ্যা কথা বলছি না, আব্বু।’

‘এগুলো কি তাহলে ওই ভূতের বাচ্চাই করেছে?’

‘জি, আব্বু। ওর নাম খখখ।’

‘ও দেখতে কেমন?’

‘আমাদের দুটো চোখ, ওর তিনটা। দুপাশে দুটো, কপালের মাঝখানে একটা।’ বুবুন খুব আনন্দ নিয়ে বলল।

‘ও এখন কোথায় আছে?’

ঝট করে বুবুন পড়ার টেবিলের কোনার দিকে তাকাল। ছায়ার মতো দেখা যাচ্ছে ওখানে এখনো। বুবুন উত্ফুল্ল হয়ে বলল, ‘ওই যে, ওখানে।’

আব্বু একটু এগিয়ে গিয়ে বললেন, ‘কই?’

‘ওখানেই আছে। তুমি দেখতে পাচ্ছো না!’

কিছুটা রেগে গেলেন আব্বু, ‘ছিঃ বুবুন, তুমি শেষ পর্যন্ত মিথ্যা কথা বলা শিখেছ। আমি খুব কষ্ট পেলাম।’

‘না আংকেল, বুবুন মিথ্যা কথা বলেনি।’ পড়ার টেবিলের কোনা থেকে একটা ছায়া নড়ে উঠল হঠাত্। বুবুনের আব্বু আর আম্মু দেখলেন—ছায়াটা আস্তে আস্তে কেমন যেন মানুষের রূপ নিচ্ছে। ধোঁয়ার মতো একটা আবরণ ঘিরে রেখেছে তাকে। আস্তে আস্তে ওটা এগিয়ে আসছে সামনের দিকে। একসময় সেটা অনেকটা মানুষের মতো হয়ে গেল। বুবুনের আব্বু আর আম্মুর চোখ বড় হয়ে গেছে। কোনো কথা বলতে পারছেন না তাঁরা। বুবুনের উচ্চতার একটা অবয়ব দাঁড়িয়ে আছে তাঁদের সামনে। তিন-তিনটা চোখ ওটার। মাথায় কোনো চুল নেই, ন্যাড়ার মতো।

চিঁচিঁ করে হাসতে হাসতে খখখ বলল, ‘আংকেল-আন্টি, আমার নাম খখখ, আমিই ভূতের বাচ্চা। বুবুনের কোনো ক্ষতি করতে আসিনি আমি। অন্য একটা কারণে ওর কাছে এসেছি।’

বুবুনের আম্মু ভয় ভয় গলায় বললেন, ‘কী জন্য এসেছ তুমি!’

‘সীতাকুণ্ডে ওই যে বড় বড় পাহাড় আছে, আমরা ওই পাহাড়ে থাকি। সারা দিন পাহাড়ের গর্তে ঘুমাই, রাতে বের হই। আমাদের সমাজে একটা নিয়ম আছে—প্রতিদিন একটা করে ভূতের বাচ্চাকে একটা করে মানুষের বাচ্চার কাছে পাঠানো হয়। তবে যেই সেই মানুষের বাচ্চার কাছে না, খুব ভালো মানুষের বাচ্চার কাছে। যে তার বাবা-মায়ের কথা শোনে, মিথ্যা বলে না, ঠিকমতো লেখাপড়া করে, তার কাছে।’ বুবুনের দিকে তাকিয়ে খখখ বলল, ‘বুবুন হচ্ছে সে রকম একজন ভালো ছেলে।’

‘ঘরের এত সব কাজ তাহলে তুমি করে দিয়েছ?’

‘জি।’

‘এত কাজ তুমি এত তাড়াতাড়ি করলে কী করে?’

‘ভূত কিংবা ভূতের বাচ্চারা অনেক তাড়াতাড়ি কাজ করতে পারে। তারা মানুষের অনেক গোপন খবরও বলতে পারে। যেমন: আপনাদের বাসায় আমার আর বুবুনের বয়সী একটা মেয়ে কাজ করে না, আপনারা অনেক ভালোবাসেন ওকে। কয় দিন পর ঈদ, আপনারা ওর জন্য সুন্দর একটা জামা আর জুতো এনেছেন। কিন্তু ওকে ওগুলো এখনো দেখাননি। ঈদের আগের দিন ওকে দেখিয়ে চমকে দেবেন।’ চিঁচিঁ করে আবার হাসতে থাকে খখখ, ‘কী, আমি কি ঠিক বললাম?’

‘হ্যাঁ, তুমি ঠিক বলেছ খখখ।’ বুবুনের আব্বু বললেন।

‘ওই চার রাস্তার মোড়ে গরিব বাচ্চাদের একটা স্কুল আছে, আপনারা দুজন চুপিচুপি ওই স্কুলে প্রতি মাসে বেশ কিছু টাকা দান করেন। এটা কিন্তু বুবুনও জানে না।’ খখখ আবার হেসে ওঠে, ‘আমি কিন্তু জানি।’

‘আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি।’ চোখ বড় বড় করে বুবুনের আব্বু বললেন।

‘অবাক হওয়ার কিছু নেই আংকেল। আমি বললাম না ভূতরা অনেক কিছু জানে। বুবুন এবারও পরীক্ষায় ভালো করলে ওকে নিয়ে আপনারা কক্সবাজার যাবেন, এই প্রথম আপনারা ওকে সমুদ্র দেখাবেন। এটাও কিন্তু বুবুন জানে না।’ বুবুনের দিকে তাকাল খখখ, ‘বুবুন তুমি কি জানো ব্যাপারটা?’

‘না, আমি জানি না তো!’

‘আব্বু-আম্মু তোমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য গোপন রেখেছেন এটা।’ চিঁচিঁ করে আবার হেসে ওঠে খখখ, ‘আমার সময় শেষ, আমার এখন চলে যেতে হবে। একটা ভালো ছেলের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, আমি খুব খুশি যে বুবুনের মতো একটা ছেলে আমাকে বন্ধু বলেছে।’

‘তুমি এখন চলে যাবে!’ বুবুন কষ্ট কষ্ট গলায় বলল।

‘আমাকে যেতে হবে যে।’

‘তুমি আর কখনো আসবে না!’

‘আমি যদি ভালো ভালো কাজ করি, তাহলে আমাকে আরও অনেকবার মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ দেওয়া হবে।’ বুবুনের দিকে এগিয়ে যায় খখখ, ‘আমি এখন থেকে বেশি বেশি ভালো কাজ করব, বুবুন। আমি আবার তোমার কাছে আসব। এখন আসি, ওকে?’

বুবুন হঠাত্ কেঁদে উঠল, ‘না, তোমাকে যেতে দেব না আমি।’

‘কিন্তু আমাকে যে যেতেই হবে বন্ধু।’

‘আরও কিছুক্ষণ থাকো না, প্লিজ!’

‘আমার যে সময় নেই। তোমার যেমন খারাপ লাগছে, আমারও তেমন লাগছে বন্ধু।’ বুবুনের একটা হাত ছুঁয়েই চলে যাচ্ছিল খখখ। হঠাত্ পেছনে তাকাল সে। বুবুন দৌড়ে গিয়ে ওর আম্মুকে জাপটে ধরেছে। কান্না শুরু করে দিয়েছে জোরে জোরে।

ঘুরে দাঁড়াল খখখ। একটু এগিয়ে গেল বুবুনের আম্মুর দিকে। গলাটা নিচু করে বলল, ‘আন্টি, আমার যখন ছয় মাস বয়স, তখন আমার বাবা-মা দুজনই মারা যান। আমি শুনেছি, মায়েদের আদর নাকি অনেক মজার। আপনি কি বুবুনের মতো আমাকেও একটু জড়িয়ে ধরবেন?’

হাত বাড়ালেন বুবুনের আম্মু। কিছুটা দৌড়ে গিয়ে খখখ ধরে ফেলল বুবুনের আম্মুর হাতটা। তারপর বুবুনের মতো মাথাটা ঠেকিয়ে দিল ডান হাতের ওপরে। খখখ একটু পর আয়েশ করে বলল, ‘আহ্, মায়ের আদরে এত মজা!’ তারপর বুজে ফেলল তিনটা চোখই।

বুবুন হঠাৎ শব্দ করে বলল, ‘আম্মু, খখখ নেই!’

আম্মু গলাটা ভারী করে বললেন, ‘ও চলে গেছে।’

বুবুন হঠাৎ ওর আম্মুর হাতের দিকে তাকাল। জেলির মতো দেখতে নীল কী যেন লেগে আছে আম্মুর হাতে। আম্মুও দেখলেন। তারপর কষ্ট কষ্ট গলায় বললেন, ‘সম্ভবত এটা ভূতদের কান্নার জল। মানুষের চোখের জলের কোনো রং নেই, ভূতদের আছে। মানুষের চোখের জল গরম, ভূতদের ঠান্ডা, বরফের মতো ঠান্ডা।’

আম্মু আর কিছু বললেন না। আঁচল দিয়ে মুখ ঢাকলেন নিজের। বুবুন টের পেল—আম্মুও কাঁদছেন, আব্বুর চোখও টলমল করছে!

অলংকরণ : আবু হাসান

22/12/2024

আলহামদুলিল্লাহ, নৈহাটি সদরের সভাপতি সালাহ্উদ্দীন ফুয়াদ কে জানায় অভিনন্দন।

S Mfuad Hassan Fuad সভাপতি  ৭নং ওয়ার্ড নৈহাটি সদর ইউনিটের, রূপসা উপজেলা, খুলনাবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
22/12/2024

S Mfuad Hassan Fuad
সভাপতি
৭নং ওয়ার্ড নৈহাটি সদর ইউনিটের, রূপসা উপজেলা, খুলনা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

07/12/2024

আমার নতুন ফলোয়ারদের স্বাগত জানাই! আপনাদের ফলোয়ার হিসাবে পেয়ে আমি খুবই খুশি! আদমখাঁন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পুরনো স্মৃতির গান

ছাত্রীকে পড়ানোর পঞ্চম দিনে সে  আমাকে বইয়ের লাষ্ট পেজ দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলো,"স্যার ৩৩৩/৯৯৯ নাম্বারে বিনা রিচার্জে কল করা...
25/11/2024

ছাত্রীকে পড়ানোর পঞ্চম দিনে সে আমাকে বইয়ের লাষ্ট পেজ দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলো,
"স্যার ৩৩৩/৯৯৯ নাম্বারে বিনা রিচার্জে কল করা যাবে"
আমি বুঝে গিয়েছিলাম সে আমাকেই ওয়ার্নিং দিয়ে দিয়েছে কৌশলে, যাতে তার সাথে ভুল কিছু করার চেষ্টা না করি।আমি যখন পড়াতাম তখন আন্টি আংকেল অফিসে থাকতো।খালি বাসা আমি আর ছাত্রী একা আশেপাশে লোকজন ও তেমন ছিলো না।আমি নিজের উপর বিশ্বাস করলে ও ছাত্রীর তো আর আমার উপরে বিশ্বাস নেই।
আমি আমি পড়াশোনা শেষ করে চাকরির চেষ্টা করছি। অনেক জায়গা ইন্টারভিউ দিয়েছি সব লোক দেখানো কিন্তু আমাদের মতো লোকদের কি আর বিনা মূল্যে চাকরি দেওয়া হয়।হাল ছেড়ে দিয়ে প্রাইভেট পড়ানো শুরু করলাম সাথে নানা স্কুল কলেজে চাকরির চেষ্টা করলাম।
মামার সাথে জব করতো ছাত্রীর বাবা তিনি মেয়ের জন্য ভালো স্যার খুঁজছে মামা আমার কথা বললেন আমাকে ছাত্রীর ক্লাস সিক্সের ফটো আর ক্লাস ফাইবের বৃত্তির পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এতে আমি রাজি হয়ে গেলাম স্টুডেন্ট ভালো পড়াতে তেমন কষ্ট হবে না তা ভেবে।সব ঠিকঠাক করার জন্য তাদের বাসায় গেলাম।দেখি মেয়ে যতেষ্ট বড় ক্লাস নাইনে পড়ে আমি ভেবেছিলাম ছোট হবে।
সেদিন থেকে পড়ানো শুরু করলাম।পড়া বুঝানোর সময় আমি তার দিকে তাকিয়ে কথা বললে ও সে কখনো আমার দিকে তাকাতে না, বইয়ের দিকে তাকিয়ে বুঝতো কথা ও তেমন বলতো না জিজ্ঞেস করলে মাথা নাড়তো।অন্য সব স্টুডেন্টকে অংক বুঝাতে গিয়ে আমিই ভুলে যেতাম কি বলছি কিন্তু সে একবারই বুঝে যেত আমার প্রথমে মনে হতো মিথ্যা বলছে কিছু বুঝেনি।আমরা এক সময় স্যাররা বুঝেছ বললেই বলতাম জ্বি স্যার, যখন স্যার বলতো কি বুঝেছ আমাকে বুঝাও তখন সবার অবস্থা বারোটা। তাই আমিও ওকে জিজ্ঞেস করতাম বলো সে আমাকে বুঝিয়ে দিতো।
মাঝে মাঝে what's app এ কথা হতো তাও ওকে গ্রামারসের রুলস পাঠানোর কথা মনে করিয়ে দিতো আমি পাঠিয়ে দিতাম এইটুকু।আমি নিজ থেকে কি করছো? নাস্তা করেছ?ইত্যাদি জিজ্ঞেস করলে পড়ছি,হ্যা এর বাহিরে আমি কি করছি এটা জিজ্ঞেস করতো না হয়তো ভয়ে স্যার কি মনে করবে এসব ভেবে।এভাবে কথা বলতে বলতে এক একদিন আমাদের ফ্রেন্ডশীপ হয়ে যায় আমি ওকে আমার লাভ স্টোরি বলবো বলেছিলাম।পরের দিন পড়াতে গিয়ে দেখি এমন ভাব করছে যেন আমি শুধু ওর স্যার এর বাহিরে কিছু নেই।পড়া শেষ করে আমি চলে যাওয়ার জন্য উঠলাম সে বলল
"আপনার লাভ স্টোরি বলার কথা ছিলো চলে যাচ্ছেন কেন?আমার না লাভ স্টোরি শুনতে ভালো লাগে বলেন প্লিজ "
আমি পুরো হতভম্ব ভেবেছি সব ভুলে গেছে কিন্তু এটা কি ছিলো সত্যি মেয়েরা বড় অদ্ভুত। তারপর বলতে শুরু করলাম সে খুব মন দিয়ে শুনলো আমার জন্য আপসোস করলো।এরপর থেকে আমরা পুরোপুরি বন্ধুর মতো হয়ে গেলাম সে ও তার সব কথা আমাকে বলা শুরু করলো।আমি যে মেয়েকে সাদাসিধে মনে করতাম সে রিলেশন করে আর আমার দিকে না তাকানোর কারণ তার বফ এর বারণ ছিলো,আর আমাকে নিজ থেকে কিছু জিজ্ঞেস না করার কারণ এতে নাকি মেয়েদের নিজেকে ছোট মনে হয়।এসব জানার পর আমি হাসবো না কান্না করবো বুঝতেই পারছি না এই বয়সে এতটা পজেসিভ কিভাবে হয়। আমি তাকে বলতাম প্রেম করছো ভালো কিন্তু এসব নিয়ে কোনদিন বেশি সিরিয়াস হবে না কোন ফায়দা নেই।জানি না আমার কথা কানে নিয়েছিলো কি না।
স্টুডেন্টের সাথে শিক্ষকের প্রেম বিয়ে এসব অনেক শুনেছি সব সময় এর বিরুদ্ধে ও ছিলাম।অন্য সব স্টুডেন্টের সাথে আমার সম্পর্ক ছিলো পড়া নিয়ে কিন্তু কিভাবে ওর সাথে এতটা ফ্রি হয়ে গেলাম জানি না।ওকে পছন্দ করার কারণ ওর ব্রিলিয়েন্ট মাথা ছিলো নাকি অন্যকিছু তাও জানি না। পড়া সময় মতো দেওয়ার জন্য মাঝে মধ্যে তার প্রিয় আইসক্রিম খাওয়াতাম,চেলেন্জ করে নুডলস, ডিম বাজি করিয়ে আমাকে খাওয়াতে বলতাম।সেসব ছবি তুলে রাখতাম লাভ সেফ দিয়ে তাকে পাঠিয়ে দিতাম।কিন্তু সে বুঝেও না বুঝার ভান করতো।
আমাকে জানিয়েছে তার আগের ২টা বফ আর বর্তমান সহ ৩টা রিলেশন, কথায় কথায় আমি বলে ছিলাম আমিসহ চারটা হবে।কিছু সময় আমার দিকে ভ্রু বাঁকিয়ে তাকিয়ে ছিলো আবার স্বাভাবিকভাবে কথা বলা শুরু করলো।এতে বুঝে গেলাম আমি যাই করি না কেন পাত্তা দিবে না এর চেয়ে ফ্রেন্ড হয়ে থাকা ভালো।মাঝে মধ্যে ওকে পড়ানোর সময় আংকেল বাসায় থাকতো তখন ও মজার কিছু দেখলে বা এমন কিছু যা ওনার সামনে বলা যাবে না সে সব লিখে জিজ্ঞেস করতো। আমিও লিখে বলে দিতাম বিষয়টা প্রেমিক প্রেমিকার লুকোচুরির মতো মনে হতো।
ওর এক্সামের সময় পড়া বাদ দিয়ে দেই এরপর আর যোগাযোগ হয়নি। এখন একটা পাবলিক কলেজে জব করি। যখনই বই হাতে নেই লাষ্ট পেজের সেই নাম্বার গুলো দেখলেই ওর কথা মনে পড়ে।

লেখাটা কেমন লেগেছে, অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন প্লিজ।

আরবি ভাইয়া আর অলি আপুর নোংরামো দেখে কিছুতেই ছাদে দাঁড়িয়ে থাকতে পারালাম না।মুহুর্তেই চলে আসতে নিলে হাত থেকে বালতি টা পরে ...
25/11/2024

আরবি ভাইয়া আর অলি আপুর নোংরামো দেখে কিছুতেই ছাদে দাঁড়িয়ে থাকতে পারালাম না।মুহুর্তেই চলে আসতে নিলে হাত থেকে বালতি টা পরে যায়।যার ফলে আরবি ভাইয়া আর অলি আপু আমায় দেখে নেয়।

অলি- দিনা তু তুই এখানে?(তোতলিয়ে)

আরবি- দিনা নিচে যা(রেগে)
কথাটা বলে আরবি নিজেও তাড়াতাড়ি করে নিচে চলে যায়।

অলি- দাঁড়া কোথায় যাচ্ছিস তুই?

দিনা- অলি আপু আমি ছাদে.......

ঠাসসসস........

অলি- বাড়ির কাজের মেয়ে কাজের মেয়ের মতো থাকতে পারিস না নাকি?নেক্সট এ ছাদে আসতে হলে নিচ থেকেই জেনে আসবি কেউ ছাদে আছে কি না।

দিনা- জি আপু।

অলির কথাগুলো গায়ে লাগার মতো হলেও কিছুই বলার ছিলো না দিনার।কারন দিনা এতিম। চাচ্চুর কাছেই ৭ বছর বয়স থেকে আছে দিনা।তবে বাড়ির সব কাজ দিনাকে দিয়েই করানো হয়।

কাপড় শুকোতে দিয়ে নিচে আসে দিনা।

বড় আব্বু- দিনা......দিনা.........

দিনা- এইতো বড় আব্বু।কি হয়েছে?

বড় আব্বু- আজ অনুষ্ঠানে এটা পরবি তুই।(একটা ব্যাগ দিয়ে)

অলি- দেখি তো কি এটা(ব্যাগটা নিয়ে)

ওয়াও লেহেঙ্গা? মামা এটা আমি নিই না।প্লিজ..........

বড় আম্মু- এত দাম দিয়ে লেহেঙ্গা টা না নিয়ে কম দামের সিট কাপড় এনে দিলেই পারতে।শুধু শুধু টাকা নষ্ট।

জেসি- মম প্লিজ........ কি এমন দিয়েছে একটা লেহেঙ্গাই তো।আর কাল তোমাদের বিয়ের বিবাহবার্ষিকী অনুষ্ঠান হবে সবাই দামি জামা- কাপড় পরবে দিনা কম দামি জামা পরলে সবাই কি মনে করবে?

বড় আম্মু- হ্যা তাও ঠিক।

দি......... দিইইইইই......(জোরে জোরে)

বড় আব্বু- দিনা ইহান তোকে ঢাকছে।যা পরে রেগে যাবে।

দিনা- জি বড় আব্বু।

দিনা- জি ভাইয়া।

ইহান- তুই রেডি হবি কবে?

দিনা- ভাইয়া আজ বাড়িতে অনেক কাজ। আমি আস....(অনেক কাজ মানে)

দিনা- ভাইয়া আমি যেতে পারবো না।

ইহান- কোন ক্লাস এ পড়িস তুই?(রেগে)

দিনা-ক্লাস ৮ এ ভাইয়া......

ইহান- তাহলে বুড়ির মতো এতো কাজ করিস কি করে?আর সেদিন তো সবার সামনে বলেই ছিলাম যে তোকে দিয়ে যাতে কাজ না করানো হয়।তাও করিস কেন?(ঝাঁকড়া দিয়ে)

দিনা- ভাইয়া আমি ব্যাথা পাচ্ছি।

ইহান দিনাকে ছেড়ে দেয়।এ বাড়িতে বড় আব্বু,আর ইহানই দিনাকে নিজের বাড়ির মানুষ মনে করে।আর দিনার সব কিছু নিয়ে ভাবে।

ইহান রাগি স্বভাবের হলেও তার কথার উপর কেউ কথা বলে না।দিনার পড়ালেখার ব্যাপারে ইহান খুবই সাবধান।

ইহান- মম......মম.........

বড় আম্মু- কি হয়েছে?

ইহান- তুমি আবারো দিনাকে দিয়ে কাজ করাচ্ছো?মম জেসি ভার্সিটি পড়ে,এত বড় হয়েও এক গ্লাস পানি নিয়ে খায় না আর তুমি....... মম দিনার বয়স টাই বা কত?এ বয়সে এসব কাজ কেন করাচ্ছো?ওর প্রবলেম হবে ফিউচারে......(বলেই ব্রেকফাস্ট না করেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়)

অলি- দেখছো মামানি ইহান না খেয়েই বাড়ি থেকে চলে গেলো।

বড় আম্মু- এই মেয়েটা দিন দিন আমার ছেলেটাকে কি করে ফেলছে।আপদ একটা।

জেসি- কেন মম?ভূল কি বলেছে?(বলেই চলে যায়)

বিকেলে.....

ইহান- দি.......দিইইইইইইই

দিনা- জি ভাইয়া......

ইহান- এগুলো নে.....

দিনা- এগুলো তো অনেক জামা।

ইহান- মাত্র ৪ টা থ্রি-পিছ আছে।আমি তোকে আরো একটা জিনিস দিতে চাই।চল চোখ বন্ধ কর।

দিনা- আচ্ছা।

চোখ খুলতেই দিনা হাতের কাছে একটা ফোন পায়।খুশি হলেও দিনা ভালো করেই জানে বড় আম্মু জানলে আজ বাড়িতে আবারো জামেলা হবে।দিনা ফোন দিয়ে চলে যেতে নিলেই ইহান হাত ধরে ফেলে।

ইহান- দাঁড় দি.......(ইহান আদর করেই দি ঢাকে)

দিনা- জি।

ইহান- তোর জামা টা উঠাতো।

দিনা- কিইই?ভাইয়া এসব তুই কি বলছিস?

ইহান- শাট আপ.....তুই উঠাবি নাকি আমি.......

দিনা তাড়াতাড়ি করে যেতে নিলেই ইহান আবারো দিনাকে ধরে ফেলে আর জামার কিছুটা অংশ উঠানোর পর লাল লাল মারের দাগ স্পষ্ট বোজা যাচ্ছিলো।ইহানের ১ মিনিট ও লাগেনি পুরো ব্যাপার টা বুজতে।ত্যাড়া মেজাজি মাথায় আরো বিগড়ে যায়।কিন্তু ইহান রাগি হলেও উত্তেজিত নয়।ঠান্ডা মাথায় কাজ করে।

ইহান- চল তোকে মলম লাগিয়ে দেই।

দিনা- না ভাইয়া আ..........

ইহান- আচ্ছা আমি লাগাবো না তুই লাগিয়ে নিস।এ নে......(মলম দিয়ে)

দিনা- আচ্ছা।

পুরো ব্যাপার টা বড় আম্মু দরজাত বাহির থেকে দেখলেও কোনো শব্দ করেননি।দিনা ইহানের ঘর থেকে বেরোনোর পরই দিনার পিছু পিছু বড় আম্মু ও যায়।
_____

দিনা- বড় আব্বু তুমি নাস্তা খেয়েছো?

বড় আব্বু- হ্যা।

দিনা- কেন ঢেকেছো?

বড় আব্বু- এই টাকাগুলো রাখ।(৪০০০ টাকা দিয়ে)

দিনা -কেন আব্বু?(কান্না করে)

বড় আব্বু- এ বাড়িতে আমি আর ইহান ছাড়া কেউই তো তোকে টাকা দেয় না।ইচ্ছে হলো তাই দিলাম।রেখে দে।আর কাল লেহেঙ্গা টা পরবি কিন্তু।

দিনা- আচ্ছা।

নিজের ঘরে যাওয়ার পর বড় আম্মুর উপস্থিতি লক্ষ্য করে দিনা।

দিনা- বড় আম্মু তুমি?কিছু করতে.....(বলতে না পেরে)

বড় আম্মু- আমার ছেলের মাথাটা ভালোই খেয়েছিস।কেউ লেহেঙ্গা দিচ্ছে কেউ নিত্য পরার জন্য জামা দিচ্ছে আবার মলম লাগানো হচ্ছে তাই না?
কথাগুলো বলতে বলতেই দিনার গালে ২ টা থাপ্পড় বসিয়ে দেয় বড় আম্মু।

থাপ্পড়ের শব্দ ঘরের বাহিরে না গেলেও রাগের কারনে বড় আম্মু উপরোক্ত কথাগুলো বেশ চিৎকার করেই বলেছিলেন।এবং ইতিমধ্যে ইহানসহ বাড়ির সবাই উপস্থিত হয়ে যায়।

ইহান- বাহ মম!!! কাজ টা একদম ভালো করেছো।তবে মার টা আরো বেশ জোরে হলে ভালো হতো।(বলেই দিনাকে টেনে উঠিয়ে থাপড়াতে শুরু করে)

ইহান দিনার চুলের মুঠি ধরে আঘাত করতেই থাকে শরীরে।বাড়ির সবাই হা করে তাকিয়ে তামাশা দেখছে কারন যে ইহান দি...দিইই বলে,,,বোন বোন বলে বাড়ির সবার সাথে দিনার হয়ে ক....................

চলবে.............

গল্প- অবহেলা
পর্ব- ০১
স্নিগ্ধা ইসলাম

স্বামী-স্ত্রী কখনো দীর্ঘদিন দূরে থাকবেন না।বিয়ের পর দয়া করে স্বামী-স্ত্রী বেশিদিন দূরে থাকবেন না। বিস্বাস করুন ভালো থাকা...
19/11/2024

স্বামী-স্ত্রী কখনো দীর্ঘদিন দূরে থাকবেন না।
বিয়ের পর দয়া করে স্বামী-স্ত্রী বেশিদিন দূরে থাকবেন না। বিস্বাস করুন ভালো থাকার জন্য অনেক বেশি টাকার দরকার একদম-ই নেই। দরকার আপনার ভালোবাসার।
জীবন থেকে যে একটা সেকেন্ড চলে যায় সেটা আমরা আর কখনো ফিরে পাই না। আর আপনি বছরের পর বছর স্ত্রী, সন্তান রেখে বহুদূরে পরে আছেন!
এই কি জীবন? কোথায় সুখ? কোথায় আপনার স্ত্রীর জন্য ভালোবাসা? কোথায় সন্তানের জন্য স্নেহ?
হ্যাঁ, টাকা-পয়সা জীবনে অনেক দরকার কিন্তু; ভেবে দেখেন তো সারাদিনে ৩০০ টাকা রোজগার করা মানুষটা যখন দিনশেষে বাসায় ফিরে তার সামনে পানি দেওয়ার জন্য একজন মানুষ আছে, সে রাতে তার স্ত্রী, সন্তানদের পাশে ঘুমাতে পারে, তার অসুস্থতায় তার স্ত্রী তাকে সেবা করে, তার সন্তান দূর থেকে তাকে দেখে দৌড়ে এসে কোলে ওঠে।
কোনো নারীর জীবন থেকে এমন সময় কেঁড়ে নিবেন না যে সময়টায় সে শুধু আপনাকে কাছে চায়।
বাইরে গেলে যখন তার চোখে পরে পাঞ্জাবি পরা কোনো এক ছেলে তার প্রিয়তমার হাত ধরে রাস্তা পার করে দিচ্ছে, তখন আপনার স্ত্রীর ভেতর থেকে দীর্ঘস্বাস বের হওয়া ছাড়া আর কিছু-ই করার থাকে না।.
আপনি সারাদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টাকা রোজগার করে বউকে দামী শাড়ি আর গহনা-ই পরিয়ে গেলেন। কিন্তু যে সময়গুলো আপনারা হারিয়েছেন সেটা আর আসবে না কোনোদিন। উত্তপ্ত প্রেম টাকার তলায় চাপা দিয়ে দিলেন।
আপনার সন্তান যখন রাস্তায় দেখে কোনো বাবা তার ছেলেকে রঙিন বেলুন কিনে দিচ্ছে, তখন সে আপনাকে খোঁজে।
সন্তান যখন দেখে তার বয়সী বাচ্চা তার বাবার হাত ধরে মাদ্রাসাই যাচ্ছে তখন সে আপনাকে খুব মিস করে।
সন্তানের জন্য মাসে এতো হাজার টাকা না পাঠিয়ে হাত ধরে মাদ্রাসাই দিয়ে আসুন।
সে আপনার আদর্শে বড় হবে। তখন সে আপনার কাছে ৫ টাকার প্রয়োজনে ১০ টাকা চাইবে না। বরং ১০ টাকার কাজ টা ৫ টাকায় মিটমাট করার চেষ্টা করবে।
কাজের চাপে আপনি সারাদিনে বউকে মনে করার তেমন সময়ও পান না অনেক সময়। এদিকে দুপুরের নাওয়া-খাওয়া শেষ করার পর আপনার স্ত্রীর অলস বিকালে আর সন্ধ্যা নেমে আসতে চায় না।
জানালা দিয়ে সে বাইরে তাকিয়ে দূরের ঐ নীল আকাশে রং বেরঙের কত কী দেখে। দেখে না শুধু আপনাকে।
মাঝরাতে ঘুম ভাঙার পর বাম পাশে আপনাকে না পেয়ে বুকে আকাশ সমান বোঝা নিয়ে আপনার স্ত্রী ঘুমিয়ে যায়। এভাবেই আপনার বয়স ৫০ পেড়িয়ে যাবে, স্ত্রীর চোখ ধূসর হয়ে আসবে।
হলো না আপনাদের কদম হাতে বৃষ্টিতে ভেজা।
আর হলো না আঁকাবাকা রাস্তায় পা মিলিয়ে সামনে হাটা। হলো না সন্তান বুকে নিয়ে ঘুমানো।
হলো টাকার পাহাড়, বিষের পাহাড়, বিষাদের পাহাড়। যার চাপায় পিষে যাবে কতগুলো রঙিন স্বপ্ন, পিষে যাবে স্ত্রীর প্রেম, খসে যাবে আপনার যৌবন।💞👫💕

--ল*জ্জা স্থানে মু'খ দিবি না নিলয়? --দিবো ১০০ বার দিবো! আমার ভিষন ভালো  লাগে?--ছি,, তোর ঘৃ*না করে না! এমন ক'রিশ? বল কবে ...
12/11/2024

--ল*জ্জা স্থানে মু'খ দিবি না নিলয়?
--দিবো ১০০ বার দিবো! আমার ভিষন ভালো লাগে?
--ছি,, তোর ঘৃ*না করে না! এমন ক'রিশ? বল কবে বিয়ে করবি আমাকে।
--সময় হোক অবশ্যই বিয়ে করবো। এখন চুপ করে শু'য়ে থাকবি তুই।
--নিলয় আমাদের স'ম্পর্ক কিন্তু অনেক দুর অব্দি চলে গেছে। যদি পরে তুই আমাকে ছে'রে যাস আমার মৃ*ত্যু নিশ্চিত?
নিলয় : এই চিনলি তুই আমাকে!
--দেখ আমরা বিয়ে না করেই ক'তো কিছু ক'রে ফেলছি। জানিস মা আমাকে সন্দেহ করে।
নিলয় : মানে ফুফি তোকে কেনো সন্দেহ করবে শুনি?
--বলে তোর কলেজ বন্ধ থাকলে ও যাস। না থাকলে ও যাস। কিছু তুই লুকাচ্ছিস আমার কাছে। মা তো জানে না আমি তার ভাইয়ের ছেলের লগে এসে আড্ডা মা*রি।
নিলয় : আচ্ছা চন্দ্রা তুই আমাকে অনেক ভালোবাসিস তাই না।
চন্দ্রা: হু অনেক! যদি ভালোই না বাসতাম তবে কি নিজেকে উ'দা'র করে তোর কাছে বি*লি*য়ে দিতাম।
নিলয় : হুমম সেটা জানি।
চন্দ্রা: তুই প্লিজ বাসায় আমাদের সম্পর্কের কথাটি বল না হলে পরে সমস্যা হবে।
নিয়ল : আরে চাপ নিস না। বলবো অবশ্যই।
( সবাই ভাবতেছেন কি হচ্ছে এখানে তবে শুনুন! নিলয় হচ্ছে চন্দ্রার মামাতো ভাই? তো নিলয় ও চন্দ্রার মাঝে একটি ভালোবাসা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সেই সম্পর্কটি টিকে রাখতে দুজনে পর'স্পা'রিক ভবে শা*রী*রিক সম্পর্কে অব্দি চলে গিয়েছে। যাই হোক গল্প পরতে থাকূন সব বুজবেন )
চন্দ্রা : এই এখন তুমি আমাকে ছা*রো এখন। বাসায় যাইতে হবে। আবার একটু লেট হলেই সমস্যা আছে।
নিলয় : এই তো একটু আগেই আসলে। এখনি আবার যাবে।
চন্দ্রা: হুম যাইতে হবে। এতো ভালো'বা'সা দি'তে চাইলে আমাকে বউ করে ঘরে এখনি তুলো। সব সময় তোমার সঙ্গে থাকবো?
--এটা বলেই চন্দ্রা যখনি উঠে যাইতে ধরবে ঠিক সেই সময় চন্দ্রার বা_____
গল্প :::: প্রেয়সী
পর্ব-- (১)
পরের পর্ব গুলো পেতে পেজ টি ফলো করে রাখুন।

Address

Rupsha
Khulna
9241

Website

https://www.youtube.com/channel/UCxR_AIvRspe1Bflp7qQFW_Q

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সহজ সরল posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share