History Hunters

History Hunters Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from History Hunters, Khulna.
(3)

Founder of ‘History Hunters’ – a research-based media platform sharing authentic historical facts, Islamic heritage, and archaeological discoveries through articles, videos, and social media to promote global historical awareness.

অন্য মেয়েরা বিদেশে হাজবেন্ডের সাথে অনেক দামি দামি প্রোডাক্ট কিনে বা গোল্ড কিনে, আর আমি হাজবেন্ডের সাথে বিদেশে গেলে দামি...
14/10/2025

অন্য মেয়েরা বিদেশে হাজবেন্ডের সাথে অনেক দামি দামি প্রোডাক্ট কিনে বা গোল্ড কিনে, আর আমি হাজবেন্ডের সাথে বিদেশে গেলে দামি দামি বই কিনি রেয়ার বই কিনি, আমার নেশা ইতিহাস জানা আর নিজে জেনে সবাইকে জানানো 😊😊
এই বইটা পড়তে পারেন অনেক ভালো লাগবে মনে হবে যেন ইতিহাসের মধ্যে চলে গেছেন 🙂🙂

Fed up হয়ে  কিছু কথা লিখতে বাধ্য হলাম ইনবক্সে বা কমেন্টে বিভিন্নভাবে অন্য ধর্মের লোক বলেন বা মুসলিমরা ও বলেন ইনবক্সে ডিস...
14/10/2025

Fed up হয়ে কিছু কথা লিখতে বাধ্য হলাম ইনবক্সে বা কমেন্টে বিভিন্নভাবে অন্য ধর্মের লোক বলেন বা মুসলিমরা ও বলেন ইনবক্সে ডিস্টার্ব করতে থাকেন, তাই আমার সম্পর্কে কিছু কথা দিলাম 💬
আমি বোরকা পরি, মুখ দেখাই না — এটা আমার নিজের বিশ্বাস ও পরিচয়।
অনেকে বলে আমি মাদ্রাসায় পড়েছি, কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।

আমি খুলনা করোনেশন স্কুল থেকে এসএসসি, খুলনা কলেজিয়েট কলেজ থেকে এইচএসসি, এবং খুলনা কমার্স কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
ইতিহাস আমার ভালোবাসা ❤️
আমি ইতিহাস পড়ি, লিখি, আর মানুষকে জানাতে ভালোবাসি — কারণ জ্ঞান লুকিয়ে রাখার জন্য নয়, ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
আশা করি জেনে গেছেন আমার সম্পর্কে, আমি কিভাবে চলবো কি পড়বো মুখ দেখাবো কি দেখাবো না এটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত, ইতিহাস পড়ার জন্যই তো আমাকে ফলো দেন তাই না,ইতিহাস জানুন, ইতিহাস মানুষকে জানানোর চেষ্টা করুন ইতিহাসই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে 🙂🙂
আমি সবাইকে সম্মান করি, সবাইকে সম্মান করেই কথাগুলো বললাম ❤️

I got 1,431 reactions and 92 replies on my recent top post! Thank you all for your continued support. I could not have d...
14/10/2025

I got 1,431 reactions and 92 replies on my recent top post! Thank you all for your continued support. I could not have done it without you. 🙏🤗🎉

আরাকান যেভাবে বাংলাদেশের হাতছাড়া হয়েছিল

বাঙালির ইতিহাসে এমন কিছু অধ্যায় আছে, যেগুলো সময়ের স্রোতে হারিয়ে গেছে, অথচ তাদের প্রতিটি পাতায় জ্বলজ্বল করছে অমূল্য রত্নের মতো আলো। রাখাইন — যে ভূমি আজ মিয়ানমারের অন্তর্গত, একসময় তাকে ডাকা হতো “আরাকান” নামে।
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা ছিল সেই ভূমি। পাহাড়, নদী, আর নোনা বাতাসে মেশানো বন্দরনগরী—যেখানে একদিন বাঙালি মুসলমান ব্যবসায়ী, কবি, সুলতান ও রাজারা পাশাপাশি হেঁটেছেন ইতিহাসের বালুকাবেলায়।

প্রাচীন আরাকান ছিল এক বিস্ময়ভূমি। মাটির নিচে ছিল তেল, কয়লা, ইউরেনিয়াম, সোনা আর রূপার বিপুল ভাণ্ডার। কিন্তু এই প্রাচুর্যই হয়ে উঠেছিল তার শত্রু। একে দখল করতে এসেছিল বারবার বিভিন্ন শক্তি—কখনো বর্মি রাজা, কখনো ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক, কখনো প্রতিবেশী রাজ্য।

চতুর্দশ শতাব্দীর সূর্যোদয়ে দেখা গেল এক অনন্য দৃশ্য।
আরাকানের রাজপুত্র নরমিখলা, যিনি একসময় নির্বাসিত হয়েছিলেন, ফিরে এলেন নিজের রাজ্য দখল করতে—বাংলার গৌড়ের সুলতান জালালুদ্দিন শাহের সৈন্যবাহিনীর সহায়তায়। সেই সঙ্গে বদলে গেল আরাকানের ভাগ্যও। তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন, নাম নিলেন সুলতান সোলায়মান শাহ।
আরাকানের রাজদরবারে শুরু হলো নতুন ইতিহাস—যেখানে বৌদ্ধ রাজা ফারসি উপাধি গ্রহণ করেন, মুদ্রায় উৎকীর্ণ হয় কালেমা তায়্যিবা।

সেই সময় রোসাং (আরাকানের রাজধানী) হয়ে ওঠে এক সাংস্কৃতিক রাজধানী। বাংলার কবিরা সেখানে পেতেন সম্মান ও আশ্রয়।
মহাকবি আলাওল, দৌলত কাজী, সৈয়দ মোহাম্মদ রফি—তাদের কলমে ফুটে উঠেছিল প্রেম, ধর্ম, যুদ্ধ আর মানবতার মিশ্র রূপ। আরাকানের রাজদরবারে তখন প্রতিধ্বনিত হতো বাংলা কবিতার সুর।

এভাবেই মুসলিম সংস্কৃতি ও আরাকানের স্থানীয় ঐতিহ্য মিশে গড়ে ওঠে এক নবজীবন—যার ফলাফল আজকের রোহিঙ্গা জাতির উৎপত্তি। সপ্তম শতাব্দী থেকেই আরাকানে আরব বণিকদের আনাগোনা শুরু হয়। স্থানীয় আরাকানি জাতি ও মধ্যপ্রাচ্যীয় মুসলমানদের সংমিশ্রণে গড়ে ওঠে এক নতুন জাতিসত্তা, যারা নিজেদের “রুহাঙ্গা” বা “রোহিঙ্গা” বলে পরিচয় দেয়।

কিন্তু শান্তি টেকেনি বেশি দিন।
১৭৮৪ সালে বর্মি রাজা ভোধাপোয়া আগুনের মতো ঝাঁপিয়ে পড়লেন আরাকানের ওপর। তিনি হত্যা করলেন হাজার হাজার মানুষ, মন্দির লুট করলেন, মুসলমানদের মসজিদ ধ্বংস করলেন। আরাকানের রাস্তায় তখন রক্ত বইছিল নদীর মতো। হাজারো মানুষ পালিয়ে এল চট্টগ্রামে আশ্রয়ের খোঁজে—যেন নিজের ঘরে ফিরে আসা শরণার্থী।

এরপর এলো ব্রিটিশরা। তারা বার্মাকে করায়ত্ত করে নিল, আর তার সঙ্গে আরাকানকেও।
১৯৪৬ সালের আলোড়িত সময়ে, যখন ভারতবর্ষে স্বাধীনতার সুর বাজছে, তখন আরাকানের মুসলমান নেতারা একটি স্বপ্ন দেখলেন—বাংলার সঙ্গে এক হওয়ার স্বপ্ন। তারা গঠন করলেন আরাকান মুসলিম লীগ, আর প্রকাশ করলেন পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা।

কিন্তু ইতিহাস তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল না।
পশ্চিম পাকিস্তানের নেতারা ভয় পেলেন—যদি আরাকান যুক্ত হয়, তবে পূর্ব পাকিস্তান সমুদ্রপথে অতিশক্তিশালী হয়ে উঠবে।
মুহাম্মদ আলী জিন্নাহও সে সময় বিষয়টিকে গুরুত্ব দিলেন না।
আরাকান হারিয়ে গেল সীমান্তের ওপারে, রেখে গেল এক দীর্ঘশ্বাস।

তারপর থেকে আজ পর্যন্ত সেই আরাকান কেবলই দুঃখের নাম।
রোহিঙ্গা মুসলমানরা হারিয়েছে তাদের ঘর, মাটি, মর্যাদা—যেন ইতিহাসের অবহেলায় তাদের অস্তিত্বই মুছে গেছে।
যদি সেই সময় বাংলার নেতারা দূরদৃষ্টি দেখাতেন, যদি জিন্নাহ বুঝতেন এই অঞ্চলের গুরুত্ব—তবে হয়তো আজ রাখাইন রাজ্যের এই গল্পটি অন্যরকম হতো।

একটি ভূমি, যা একদিন ছিল বাংলা সংস্কৃতির বর্ধিত পরিধি—আজ তা সীমান্তের ওপারে নিঃসঙ্গ এক স্মৃতি।
আরাকানের সকাল আজও অপেক্ষা করে—কখন আবার ইতিহাস তাকে ফিরিয়ে দেবে তার হারানো আলো।
পেজে রাজনৈতিক আলাপ নিষিদ্ধ

---

📚 রেফারেন্স সূত্র:

1. Abdul Karim, History of the Muslims of Bengal, Asiatic Society of Bangladesh, 2007.

2. G.E. Harvey, History of Burma: From the Earliest Times to 10 March 1824, London: Frank Cass & Co. Ltd, 1967.

3. Aye Chan, The Development of a Muslim Enclave in Arakan (Rakhine) State of Burma, SOAS Bulletin of Burma Research, Vol. 3, No. 2, Autumn 2005.

4. Muhammad Yunus & Chan Aye, The Rohingyas: A People at the Crossroads, University Press Limited, Dhaka, 1992.

5. Charney, Michael W., Powerful Learning: Buddhist Literati and the Throne in Burma’s Last Dynasty, 1752–1885, University of Michigan, 2006.
History Hunters

ঘুরি সাম্রাজ্য ও মুহাম্মদ ঘুরি এর ইতিহাসছবির ক্যাপশনে দেখুন বিস্তারিত ইতিহাস
14/10/2025

ঘুরি সাম্রাজ্য ও মুহাম্মদ ঘুরি এর ইতিহাস

ছবির ক্যাপশনে দেখুন বিস্তারিত ইতিহাস

হাতির দ্বারা মৃত্যুদণ্ড (Ex*****on by Elephant) — বা গুঙ্গা রাও ছিল দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার, বিশেষ করে ভারতের একটি...
14/10/2025

হাতির দ্বারা মৃত্যুদণ্ড (Ex*****on by Elephant) — বা গুঙ্গা রাও ছিল দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার, বিশেষ করে ভারতের একটি প্রাচীন মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পদ্ধতি। এখানে প্রশিক্ষিত এশীয় হাতি ব্যবহার করা হতো বন্দীদের পিষে ফেলা, অঙ্গচ্ছেদ করা, কিংবা যন্ত্রণা দিয়ে হত্যা করার জন্য।

এই হাতিগুলোকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো যাতে তারা চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে হত্যা করতে পারে, আবার চাইলে ধীরে ধীরে দীর্ঘ সময় ধরে নির্যাতন চালিয়ে যেতে পারে।

এই প্রথা সাধারণত রাজাদের আদেশে পরিচালিত হতো। কারণ হাতি দিয়ে শাস্তি কার্যকর করা ছিল রাজ্যের এক ধরনের ক্ষমতার প্রতীক— যা বোঝাতো শাসকের হাতে প্রজার জীবন-মৃত্যুর নিয়ন্ত্রণ এবং একই সঙ্গে বন্য প্রাণীকেও বশে আনার সামর্থ্য।

📷 ছবি: ফরাসি ভ্রমণকারী লুই রুশলে (Louis Rousselet) ১৮৬৮ সালে Le Tour du Monde পত্রিকায় এই নির্মম মৃত্যুদণ্ডের চিত্র বর্ণনা করেছিলেন।

©️ History Hunters

If you know You knowশেষ জামানার ছোট আলামতগুলোর মধ্যে ভণ্ড ও মিথ্যাচারী আলেমদের আবির্ভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। হাদিস...
14/10/2025

If you know You know
শেষ জামানার ছোট আলামতগুলোর মধ্যে ভণ্ড ও মিথ্যাচারী আলেমদের আবির্ভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। হাদিসে এই ধরনের আলেমদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যারা দুনিয়াবী লাভের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করবে।
ভণ্ড আলেমদের কিছু বৈশিষ্ট্য:
ধর্মকে দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে ব্যবহার: তারা পার্থিব স্বার্থ হাসিলের জন্য ধর্মীয় জ্ঞানকে কাজে লাগাবে।
বাঘের মতো হৃদয়: বাইরে থেকে তারা সাধু বা নরম মনের মানুষ হিসেবে দেখালেও তাদের অন্তরে হিংসা ও কুপরামর্শ লুকানো থাকবে।
মিষ্টি কথা ও মন্দ কাজ: তাদের কথাবার্তা মধুর মতো মনে হবে, কিন্তু তাদের কার্যকলাপ হবে পৈশাচিক।
ধর্মীয় জ্ঞানের অপব্যবহার: ধর্মীয় জ্ঞানকে তারা ক্ষমতা ও পার্থিব প্রতিপত্তির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে, যা মানুষকে বিপথে পরিচালিত করবে।
কিয়ামতের একটি ছোট আলামত হিসেবে মিথ্যা নবুওয়াতের দাবিদারদের কথাও বলা হয়েছে। নবী (সা.) জানিয়েছেন, প্রায় ত্রিশজন মিথ্যাবাদী দাজ্জালের আবির্ভাব হবে, যাদের প্রত্যেকেই নিজেকে আল্লাহর প্রেরিত রসুল বলে দাবি করবে। যদিও এরা বড় দাজ্জাল নয়, তাদের ফিতনা হবে বিস্তৃত, এবং এর কিছু উদাহরণ অতীতে দেখা গেছে।
হাদিসে এ ধরনের ভণ্ডদের থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং তাদের ফিতনা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ত্রিপুরার ভাঙা রাজ্য: এক ইতিহাসের উপাখ্যানএক সময়ের কথা — পূর্ব ভারতের পাহাড় ও নদীমাতৃক অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল এক প্রাচীন রাজ্...
14/10/2025

ত্রিপুরার ভাঙা রাজ্য: এক ইতিহাসের উপাখ্যান

এক সময়ের কথা — পূর্ব ভারতের পাহাড় ও নদীমাতৃক অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল এক প্রাচীন রাজ্য, যার নাম ত্রিপুরা।
রাজাদের মুকুটে জ্বলজ্বল করত “মনিক্য” নামের গৌরব, আর তাদের রাজপ্রাসাদ পাহাড়ের বুক চিরে যেন ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকত। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই রাজ্য বিস্তৃত ছিল পাহাড়, অরণ্য ও সমতলের ওপর দিয়ে —
আজকের ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য ছাড়াও বাংলাদেশের কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক এলাকা পর্যন্ত ত্রিপুরার প্রভাব ছড়িয়ে ছিল।

তবে চট্টগ্রামকে তারা কখনো স্থায়ীভাবে শাসন করেনি —
ইতিহাস বলে, ১৫শ ও ১৬শ শতকে ত্রিপুরার রাজারা আরাকান রাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে কিছু সময়ের জন্য চট্টগ্রামের কিছু অংশ দখল করেছিলেন, পরে আবার তা হারান।
তাই ত্রিপুরার প্রভাব চট্টগ্রামের মাটিতে থেকে গেল কেবল সাময়িক যুদ্ধজয়ের স্মৃতি হয়ে।

ত্রিপুরার ইতিহাস শুধু পাহাড় আর প্রাসাদের নয় — এটি স্বাধীনতা ও অধীনতার এক চক্র।
বাংলা সালতানাত আমলে (১৪শ–১৬শ শতকে) ত্রিপুরা একাধিকবার বাংলা শাসনের অধীনে আসে, আবার বিদ্রোহ বা কূটনীতির মাধ্যমে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে।
পরে মুঘল আমলেও ত্রিপুরা কয়েক দফা বাংলার সীমানার অন্তর্ভুক্ত হয়, বিশেষত সমতল অঞ্চলগুলো মুঘল প্রশাসনের কর ব্যবস্থার আওতায় ছিল।
তবুও পাহাড়ি রাজ্যটি তার রাজবংশীয় মর্যাদা ও নিজস্ব শাসনব্যবস্থা বজায় রাখে — রাজারা ছিলেন মুঘলদের মিত্র বা আনুগত্য স্বীকারকারী স্বাধীন রাজা।

তখনকার ত্রিপুরা ছিল এক প্রভাবশালী শক্তি — নদী, বন আর পাহাড়ে ঘেরা এক ক্ষুদ্র রাজ্য, যার নাম উচ্চারিত হতো বাংলার দরবারেও।
রাজধানী এক সময় ছিল উদয়পুরে, পরে স্থানান্তরিত হয় আগরতলায়।
প্রাসাদের দেয়ালে ঝুলত যুদ্ধজয়ের গল্প, বংশের বীরত্ব, আর রাজকীয় ঐতিহ্যের প্রতীক।

কিন্তু সময় বড় নিষ্ঠুর।
১৭৫৭ সালে যখন বাংলায় ব্রিটিশ শক্তি প্রভাব বিস্তার শুরু করল, ত্রিপুরা ধীরে ধীরে তাদের ছায়ার নিচে চলে আসে। ব্রিটিশরা প্রশাসনিক সুবিধার জন্য ত্রিপুরার সমতল অঞ্চলগুলিকে বাংলার সঙ্গে যুক্ত করে ফেলে।
তখন থেকেই ত্রিপুরা মূলত সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে পাহাড়ি রাজ্যে — যেটি পরিচিত হয় হিল ত্রিপুরা নামে।

বছর যায়, রাজারা বদলায়, ইতিহাস এগোয়।
১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষের আকাশে যখন বিভাজনের বজ্রপাত নেমে আসে, রাজা বির বিক্রম কিশোর দেববর্মন তখন জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তের সামনে দাঁড়ান।
ত্রিপুরা কি ভারতের সঙ্গে যুক্ত হবে, নাকি পাকিস্তানের সঙ্গে?
রাজা জানতেন — তাঁর রাজ্যের সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্ম ও ঐতিহ্য ভারতের সঙ্গেই বেশি সঙ্গতিপূর্ণ। তাই তিনি ভারতের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়েই ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয় —
ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি অংশ ভারতের সঙ্গে থেকে যায়, আর সমতল অঞ্চল, যা ততদিনে ব্রিটিশ বাংলার অংশ, অন্তর্ভুক্ত হয় নবগঠিত পূর্ব পাকিস্তানে —
অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশে।

রাজা বির বিক্রম কিশোরের মৃত্যুর পর রানী কল্যাণী দেবী কিছু বছর রাজ্য পরিচালনা করেন, পরে ১৯৪৯ সালে ত্রিপুরা সম্পূর্ণভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়।
তবুও সীমান্তের ওপারে, বাংলাদেশের কুমিল্লা ও ফেনীর গ্রামগুলোয় তখনও মানুষ বলত,
“আমাদের পূর্বপুরুষ একদিন ত্রিপুরার রাজদরবারে কাজ করত,”
অথবা, “ত্রিপুরার সৈন্যরা এই পথ দিয়েই যেত।”

আজ মানচিত্রে ত্রিপুরা দুই দেশে বিভক্ত —
কিন্তু ইতিহাসে, গল্পে, মানুষের স্মৃতিতে ত্রিপুরা আজও একটাই —
এক রাজ্য, এক ঐতিহ্য, এক হারানো সোনালি অধ্যায়।

---

✍️ লেখাটি History Hunters–এর নিজস্ব মৌলিক সৃষ্টি।
🔒 অনুমতি ব্যতীত এই লেখার সম্পূর্ণ বা আংশিক অংশ কপি, পুনঃপ্রকাশ বা অন্য কোনো মাধ্যমে ব্যবহার করা আইনত নিষিদ্ধ।
© History Hunters

সমুদ্র ও নৌশিল্পে মুসলমানদের গৌরবময় ইতিহাসজাহাজ নির্মাণ শিল্পে আরব মুসলিমরা পূর্ণ পারদর্শিতা অর্জন করেছিল। জাহাজ নির্মাণ...
14/10/2025

সমুদ্র ও নৌশিল্পে মুসলমানদের গৌরবময় ইতিহাস

জাহাজ নির্মাণ শিল্পে আরব মুসলিমরা পূর্ণ পারদর্শিতা অর্জন করেছিল। জাহাজ নির্মাণ কারখানাকে তারা ‘দারুস সানাআ’ বলত। আরবদের বদৌলতেই আজ বিশ্ববাসী নৌশিল্পে এত উৎকর্ষ সাধন করতে সক্ষম হয়েছে।

আধুনিক রণপোত শিল্প আরবরাই পত্তন করেছিল। ইউরোপের অধিবাসীরা স্পেন, সিসিলি এবং আফ্রিকায় আরবদের কাছ থেকে এই বিদ্যা শিখেছিল।

আরবরাই সর্বপ্রথম নৌ দপ্তর প্রতিষ্ঠা করে। এই দপ্তরের নাম ছিলে ‘দিওয়ানুল উসতুল’। এই দপ্তরের অধীনে অনেক বড় বড় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তাঁরা রণতরির নতুন নতুন মডেল ও নকশা তৈরি করতেন।

মুসলমানরা তাদের সর্বপ্রথম ‘দারুস সানাআ’ প্রতিষ্ঠা করে হিজরি প্রথম শতাব্দীতে মিসরের ফুসতাত নামক স্থানে। আহমদ ইবনে তুলুন এই কারখানার উন্নতি বিধানে প্রাণান্ত চেষ্টা করেন। আখশেদি বংশের শাসকেরাও এর সবিশেষ উন্নতি সাধন করে। ফাতিমি শাসকেরা এটি ফুসতাত থেকে মাকাসে স্থানান্তর করে আরও শ্রীবৃদ্ধি ও বিস্তৃতি প্রদান করেন।

নদ-নদী ও সাগর-মহাসাগরেই ছিল তাঁদের প্রকৃত রাজস্ব। তাঁদের রণতরি যেমন দেশের প্রতিরক্ষাকাজে নিযুক্ত থাকত, তেমনি তাঁদের বাণিজ্যতরিগুলো প্রাচ্য দেশসমূহের পণ্যসম্ভার বহন করে পাশ্চাত্য দেশসমূহে পৌঁছে দিত।

ফাতিমি আমলে দুই ধরনের জাহাজ নির্মিত হতো—

এক. যুদ্ধ জাহাজ: এগুলোকে উসতুল বলা হতো। এগুলো শুধু যুদ্ধের কাজেই ব্যবহৃত হতো।

ওজনে কম দিয়ে ধ্বংস হয়েছিল যে জাতিওজনে কম দিয়ে ধ্বংস হয়েছিল যে জাতি
দুই. তিজারতি জাহাজ: এগুলো দ্বারা শুধু এক দেশ থেকে আরেক দেশে পণ্যসামগ্রী আনা-নেওয়া করা হতো। এগুলোকে বলা হতো নিলি জাহাজ। নিলি জাহাজগুলো উসতুল থেকে আকারে ছোট হতো। এগুলো ছোট নদ-নদীতেও যাতায়াত করতে পারত।

দারুস সানাআতে ছোট-বড় অনেক রকম যুদ্ধজাহাজ তৈরি হতো। নামও ছিল বিভিন্ন। আকার-আকৃতি ও গঠন-প্রকৃতিও ছিল নানা রূপ। এগুলোর সমষ্টিকে উসতুল বলা হতো। এগুলোর নাম ছিল, শুনা, হারবাকা, তারবাদা, উশারিয়াত, শালান দিয়াত ও মিসতাহাত। একেকটার ছিল একেক রকম বৈশিষ্ট্য। আরবি জাহাজের আকার-আকৃতি গ্রিক ও রোমান জঙ্গি জাহাজের অনুরূপ ছিল। কারণ, আরবরা এই বিদ্যা গ্রিক ও রোমকদের কাছ থেকেই শিখেছিল।

আরবদের যুদ্ধজাহাজে সাধারণত এসব রণসম্ভার মজুত থাকত—মিরাহ (লৌহবর্ম), খোদ (শিরস্ত্রাণ), ঢাল, নেজা, কামান, লৌহ জিঞ্জির ও মিনজানিক। মিনজানিক দ্বারা শত্রু জাহাজের ওপর প্রস্তর নিক্ষেপ করা হতো। এ ছাড়া জাহাজে থাকত যুদ্ধের প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জামাদি। থাকত অধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।

মুসলমানরা জাহাজ নির্মাণের নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করেন। এসব কৌশল গ্রিক ও রোমানদের মধ্যে প্রচলিত ছিল না। ইউরোপের লোকেরা মুসলমানদের কাছ থেকে এগুলো লুফে নেয়। পরে তারা এর আরও উন্নতি সাধন করে।

সূত্র: সোনালি যুগের মুসলিম নৌশক্তি (ই.ফা.বা.)

আজ অক্টোবরের ১৩ তারিখ! International day for failure!জীবন যুদ্ধে যারা ব্যর্থ, আজকের দিন টা তাদের! তারা সব কিছুতেই ব্যর্থ...
13/10/2025

আজ অক্টোবরের ১৩ তারিখ! International day for failure!

জীবন যুদ্ধে যারা ব্যর্থ, আজকের দিন টা তাদের! তারা সব কিছুতেই ব্যর্থ! মেয়ে সন্তান হিসাবে, ভাই হিসাবে, বোন হিসাবে, পার্টনার হিসাবে! সব খানেই ব্যর্থ মানুষদের জন্য আজকের এই দিন!
কি একটা 'আফসোস', না? আপনি কি চেয়েছিলেন আর কি হলো আপনার সাথে!
ছোট বেলায় যা চেয়েছিলেন, তার কাছেধারেও আপনি নাই! কতো স্বপ্ন আপনাকে নিয়ে, আপনি সেসব পূরণ করতেও ব্যর্থ! আপনি নিজেই নিজেকে নিয়ে হতাশ!

হাহ! দীর্ঘনিঃশ্বাস! আজকের দিন টা ব্যর্থদের, যারা দীর্ঘনিঃশ্বাস ছাড়া কিছুই পায় নাই জীবনে....🙂❤️‍🩹

Address

Khulna
9100

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when History Hunters posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to History Hunters:

Share