History Hunters

History Hunters ভ্রমণের পাশাপাশি ইতিহাস,ঐতিহ্য এই বিষয়গুলোই আমি আমার ব্লগে তুলে ধরার চেষ্টা করি
Along with travel, I try to highlight history and tradition in my blog
(2)

মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ ৮ জন।৭ জন না কিন্তু, ৮ জনই। অথচ পেপার, পত্রিকা, বইয়ে আমরা সবসময় পড়েছি ৭ জনের কথা।মুক্তিযুদ্ধের ...
24/07/2025

মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ ৮ জন।

৭ জন না কিন্তু, ৮ জনই। অথচ পেপার, পত্রিকা, বইয়ে আমরা সবসময় পড়েছি ৭ জনের কথা।

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বীরশ্রেষ্ঠ ছিলেন জগতজ্যোতি দাস।প্রচন্ড দক্ষ এবং চৌকস একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তিনি। নিজ হাতে গড়া একটা বাহিনীর কমান্ডারও ছিলেন তিনি।

পাকবাহিনীরা তাকে জমের মতো ভয় পেত। তার ভয়ে ভাটি এলাকায় ঢুকতে পারতো না।

জীবনের শেষপর্যন্ত লড়াই করে পরে মিলিটারিদের হাতেই শহীদ হন তিনি। তার মৃত্যুর পর তাকে বীরশ্রেষ্ঠ ঘোষণা করা হয়েছিল।

কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার এই খেতাব টা বাতিল করা হয়। সেই থেকেই আমরা বীরশ্রেষ্ঠ হিসেবে ৭ জনকে চিনি, বাকি একজন রয়ে গেছে সবার অগোচরে।

তার বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব টা কেন বাতিল করা হয়েছিল জানেন.?

কারণ তিনি ছিলেন সিভিলিয়ান, একজন সাধারণ নাগরিক, আর্মি পারসন ছিলেন না। শুধুমাত্র সিভিলিয়ান হওয়ায় তার সমস্ত অবদান অস্বীকার করে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব।

মুক্তিযুদ্ধের বহুবছর পর গতকাল মাইলস্টোনেও ঠিক একই ব্যাপারটাই ঘটলো।

পাইলট তৌকিরের জানাযায় গার্ড অব অনার দেয়া হলো, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করা হলো, তাকে হিরো বানানো হলো। করুক তাতে আফসোস নাই।

কিন্তু নিজ সন্তানদের এতিম করে ২০ টা বাচ্চাকে বাঁচানো মাহরীন ম্যাডামের জন্যে কোন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ছিল না, মাসুকা ম্যাডামের মতো সাহসী শিক্ষিকার জন্যে কোন গার্ড অব অনার ছিল না, বাচ্চাদের বাঁচাতে গিয়ে মারা যাওয়া সবুজা খালার কথা তো ভুলেই গিয়েছে সবাই।

এই মহান সাহসী মানুষগুলোকে কি একটা গার্ড অব অনার দেয়া যেত না? গার্ড অব অনার না দিক একটু রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়া যেত না? একটা স্যালুট দিয়ে বুঝানো যেত না তাদের কাছে আমরা কতটা ঋণী।

না-কি পার্থক্যটা সেই সিভিলিয়ান আর আর্মির। বাহিনীর কেউ হলে ঢাকঢোল পিটিয়ে বিশাল সম্মাননা পাবে আর মাহরীন ম্যাডামদের মতো সাহসীরা পড়ে থাকবে অগোচরে।

কারণ তারা সিভিলিয়ান, নিতান্তই সাধারণ মানুষ।

মুক্তিযুদ্ধের এতবছর পরও রাষ্ট্রের এই বৈষম্য শেষ হলো না।
যুগে যুগে এদেশে বহু জগতজ্যোতি দাস, মাহরীন ম্যাডামরা জীবন উৎসর্গ করে দেয় কিন্তু প্রাপ্য সম্মানটা আর পায় না

লেখা- Ibrahim Khalil Shawon
Image- Enayet Chowdhury

#সবাই

কেউ ধরে ক্যামেরা,কেউ রাস্তায় দেয় বাঁধা।একজন চিৎকার করে ভিউয়ের জন্য,আরেকজন নীরবেই এগিয়ে যায়।কেউ ছুটে যায় বিপদের দিকে,আর ক...
23/07/2025

কেউ ধরে ক্যামেরা,
কেউ রাস্তায় দেয় বাঁধা।
একজন চিৎকার করে ভিউয়ের জন্য,
আরেকজন নীরবেই এগিয়ে যায়।
কেউ ছুটে যায় বিপদের দিকে,
আর কেউ নিরাপদ দূরত্বে বসে
শুধু কথা বলে, আরামেই থাকে।
কিন্তু দায়িত্ব কখনো আওয়াজ চায় না—
দায়িত্ব চায় সাহস।🖤

Some hold cameras.
Some block roads
One shouts for views,
the other moves in silence.
While some run toward danger,
others stay back
wrapped in comfort, full of commentary.
But duty doesn’t need noise.
It demands courage.🖤

৩৫০ বছর পুরনো লুধুয়া জমিদার বাড়ি (Ludhua Jamidar Bari) চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার লুধুয়া গ্রামের মিয়াজী বাড়িতে এ...
23/07/2025

৩৫০ বছর পুরনো লুধুয়া জমিদার বাড়ি (Ludhua Jamidar Bari) চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার লুধুয়া গ্রামের মিয়াজী বাড়িতে এই জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। প্রায় সাড়ে তিনশ বছর পূর্বের ঐতিহ্যবাহী লুধুয়া জমিদার বাড়ি টি এখনো লুধুয়া গ্রামে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে।কি
ভয়ংকর জমিদার একবার কাহিনী পড়লেই বুঝবেন

কাহিনী ছবির ক্যাপশনে
আমার পোস্টগুলো ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন❤️

আগাবাকের খাঁ (১৭৪০-১৭৫৫)। তুর্কিস্তানের অধিবাসী। ভাগ্যের অন্বেষণে তিনি ভারতে আগমন করেন। মুর্শিদ কুলী খাঁ দাক্ষিণাত্যের থ...
23/07/2025

আগাবাকের খাঁ (১৭৪০-১৭৫৫)। তুর্কিস্তানের অধিবাসী। ভাগ্যের অন্বেষণে তিনি ভারতে আগমন করেন। মুর্শিদ কুলী খাঁ দাক্ষিণাত্যের থাকাকালে আগাবাকেরকে ক্রয় করেন। মুর্শিদ কুলী খাঁ তাকে পুত্রের মতো পালন করতেন। মুর্শিদ কুলী খাঁর সাথে তিনি প্রথমে ঢাকা ও পরে মুর্শিদাবাদে বাস করতেন। তিনি মুর্শিদকুলী খাঁর সাথে রাজ্য শাসন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
তার আমলে বাখরখানি নিয়েও আছে কাহিনী
বিস্তারিত ছবির নিচে দেয়া হল 🙂

ব্যভিচার, সমকামিতা ও পতিতাবৃত্তির কারণে অতীতে বহু জাতি ধ্বংস হয়েছে। কিছু জাতির বিবরণ কোরআন ও হাদিসে রয়েছে। আবার কিছু জাত...
23/07/2025

ব্যভিচার, সমকামিতা ও পতিতাবৃত্তির কারণে অতীতে বহু জাতি ধ্বংস হয়েছে। কিছু জাতির বিবরণ কোরআন ও হাদিসে রয়েছে। আবার কিছু জাতির কথা উল্লেখ করা না হলেও কোরআনের ভাষ্য থেকে জানা যায়, এগুলোর বাইরেও বহু জাতি রয়েছে, যাদের পাপাচারের কারণে তাদের ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি ধ্বংস করেছি কত জনপদ, যার অধিবাসীরা ছিল জালিম (পাপাচারী) এবং তাদের পরে সৃষ্টি করেছি অন্য জাতি।

সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১১)
সেই সব অনুল্লিখিত জাতি ও জনপদের একটি ইতালির পম্পেই নগরী। পৃথিবীর প্রাচীনতম অভিজাত জনপদগুলোর একটি ছিল এই পম্পেই নগরী। সে সময় প্রাকৃতিক সম্পদ ও সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি ছিল নগরটি। এটি ছিল দুই হাজার বছরের পুরনো একটি অভিজাত শহর।
ইতালির তৎকালীন রাজা ওসকান খ্রিস্টপূর্ব ছয় থেকে সাত শতাব্দীর দিকে এই শহরের গোড়াপত্তন করেন। এরপর ইউরোপে সংঘটিত বিভিন্ন পর্যায়ের যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে খ্রিস্টপূর্ব ৮০ শতাব্দীর দিকে এই শহরটিতে রোমান সাম্রাজ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়। আর সেখানে গড়ে ওঠে রোমান সাম্রাজ্যের অন্যতম শিল্পবন্দর। তখন থেকেই রোমানরা সেখানে বসবাস শুরু করে।
ক্রমান্বয়ে সেটি হয়ে ওঠে সমকালীন বিশ্বের অন্যতম বিত্ত-বৈভব আর অভিজাত নগরী। রোমান আর গ্রিক বণিকদের ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল কেন্দ্রে পরিণত হয় এই শহর। ভূমধ্যসাগরের উপত্যকায় ভিসুভিয়াস পাহাড়ের পাদদেশে নেপলস শহরের পাশেই গড়ে উঠেছিল শহরটি।
শহরটি বাণিজ্যনগরীর পাশাপাশি ধীরে ধীরে সারা দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম বিনোদননগরীর মর্যাদাও অর্জন করতে সক্ষম হয়। কারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিপুল সমাহার কাজে লাগিয়ে রোমানরা এটিকে অপরূপ সজ্জায় সজ্জিত করতে পেরেছিল।
গড়ে উঠেছিল নানা ধরনের বিনোদনকেন্দ্র, যার টানে সমগ্র পৃথিবীর ভ্রমণপিপাসু অভিজাত সমাজ ভিড় করতে থাকল সেখানে। সবাই অবসর কাটানোর জন্য ছুটে যেত প্রাচীনকালের আধুনিক সভ্যতার সব ধরনের চিত্তরঞ্জনের সমাহার থাকা এই প্রাণচঞ্চল শহরে। বণিক ও পর্যটকদের জন্য সেখানে গড়ে উঠেছিল অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন অট্টালিকা আর প্রমোদকেন্দ্র। সহায়-সম্পদ আর বিত্ত-বৈভবের অভাব ছিল না পম্পেইবাসীর। কিন্তু এত সব নিয়ামতের মধ্যে ডুবে থেকেও পম্পেইবাসী ভুলে গেল মহান স্রষ্টাকে। ভুলে গেল তৎকালীন আসমানি ধর্মকে। উদাসীন হলো স্রষ্টার আরোপ করা বিধি-নিষেধের প্রতি। ফলে তারা লিপ্ত হলো নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপে। নিজেদের চিত্তরঞ্জনের জন্য উদ্ভাবন করল ঘৃণ্যতম সব পন্থা। খোদা প্রদত্ত নির্দেশাবলি অস্বীকার করে নানা ধরনের অমানবিক, হিংস্র আর নোংরা কর্মকাণ্ডে দিন দিন ডুবে যেতে থাকে পম্পেইবাসী।
নিছক বিনোদনের জন্য জনসমাগম করে, বিপুল জনতার সামনে তারা মানুষ ও পশুতে, কখনো বা মানুষে-মানুষে যুদ্ধ বাধিয়ে দিত। এই মানুষ ও পশু বা মানুষে-মানুষে একে অপরকে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে আঘাত করে যতক্ষণ রক্তাক্ত করে কোনো একজনকে চিরতরে দুনিয়া থেকে বিদায় না করত, ততক্ষণ পর্যন্ত চলত এই বর্বরোচিত অমানবিক খেলা। আর এই মরণখেলা উপভোগ করত সে সময়ের রোমান অভিজাত শ্রেণির দর্শকরা। মানব হন্তারক সেজে সেখানে তারা খুঁজত চিত্তবিনোদন।

যৌনতায় ছিল এরা অন্ধ। শুধু যৌনকার্যের জন্য প্রতিটি বাড়িতে নির্মিত হতো আলাদা স্থাপনা। বাড়িঘরের দেয়ালে দেয়ালে অঙ্কিত হতো নগ্ন পর্ণচিত্র। নিজেরা তো যৌনতায় ডুবে থাকতই, সেই সঙ্গে নিজের ছেলে-মেয়েদের দিয়েও বণিক ও পর্যটকদের যৌন বিনোদনের ব্যবস্থা করতে তারা পিছপা হতো না। এমনকি তারা নিজেরা পশু-পাখির সঙ্গেও যৌন বিকৃতির পিপাসা মেটাত।

এভাবেই দিন দিন তৎকালীন আসমানি ধর্ম খ্রিস্টবাদ থেকে বিচ্যুত হতে থাকে তারা। ক্রমান্বয়ে শহর ছেড়ে চলে যেতে থাকেন সব ধর্মযাজকরা। ধর্মীয় চিন্তা-চেতনায় উজ্জীবিত ইউরোপের কনজারভেটিভ ধর্মীয় সম্প্রদায় পম্পেই শহর পরিভ্রমণ থেকে বিমুখ হতে শুরু করে। এমনই এক অমানবিক, ঘৃণ্যতম ও বর্বরোচিত সমাজব্যবস্থা যখন সেখানে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল, তখনই নেমে এলো মহান স্রষ্টার ক্রোধের আগুন। জীবন্ত মমিতে পরিণত হলো অনাচার আর পাপাচারের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত থাকা মানুষগুলো।
৭৪ খ্রিস্টাব্দের এক ভরদুপুর। আত্মহারা খোদাবিমুখ পম্পেই অধিবাসীরা আনন্দ-উল্লাসে নিজেদের মত্ত রেখেছিল। এমনই সময়ে নেমে এলো খোদায়ি গজব। ঐতিহাসিকদের বর্ণনা অনুযায়ী, শহরের পাশে অবস্থিত ভিসুভিয়াস পর্বতের আগ্নেয়গিরিতে শুরু হয় বিরাট ধরনের অগ্ন্যুৎপাত, যাতে পম্পেই শহরসহ শহরের দুই লাখ অধিবাসী দিনদুপুরে মাত্র অল্প কয়েক মুহূর্তের ব্যবধানে অন্তত ৭৫ ফুট অগ্নির লাভা আর ছাইভস্মের নিচে বিলীন হয়ে যায়। তাত্ক্ষণিক জীবন্ত কবর রচিত হয় শহরের সব মানুষ, প্রাণী ও উদ্ভিদসম্ভারের। উল্লেখ্য, ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে আবারও এই আগ্নেয়গিরিটি বিস্ফোরিত হয়েছিল, যাতে অন্তত ১৯ হাজার মানুষ নিহত হয়। কিন্তু সেটি ৭৪ খ্রিস্টাব্দের বিস্ফোরণের মতো ভয়াবহ ছিল না, যা টানা ১৯ ঘণ্টা পর্যন্ত অগ্নিবৃষ্টি বর্ষণ করেছিল। আর ভূমধ্যসাগরের সাত মাইল ভেতর পর্যন্ত অগ্নি-লাভা ছড়িয়ে গিয়েছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে তখন এর অগ্নি-লাভার তীব্রতা পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণের চেয়েও শক্তিশালী ছিল। ওপরের দিকে অন্তত ৯ মিটার পর্যন্ত অগ্নস্ফুুুিলিঙ্গ ধাবিত হয়েছিল। এর পর থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত শত শত বছর ধরে আধুনিক মানবসভ্যতার অগোচরেই থেকে যায় এই অভিশপ্ত শহরটি। কিন্তু ১৭৪৯ খ্রিস্টাব্দে কিছু অ্যামেচার আর্কিওলজিস্ট সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন ধ্বংস হয়ে যাওয়া পম্পেই নগরী।
শুরু হয় রাষ্ট্রীয়ভাবে ধ্বংসলীলা থেকে মমি হয়ে থাকা মৃতদেহ আর অভাবনীয় সব স্থাপনা উদ্ধারের মহাযজ্ঞ। আর ধীরে ধীরে সেখানে বাড়তে থাকে উত্সাহী জনতার আনাগোনা। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, দুই হাজার বছরের পুরনো এই ধ্বংসলীলা থেকে এখনো অবিকৃত অবস্থায় তাদের দেহগুলো পাওয়া যাচ্ছে। যে যেভাবে ছিল, অবিকল সেভাবেই পড়ে আছে। মহান স্রষ্টা আগত প্রজন্মকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার জন্য তাঁর নিদর্শন নৈপুণ্যতায় এসব মৃতদেহকে বছরের পর বছর মাটির নিচে সযত্নে সংরক্ষণ করেছেন। কালের বিবর্তনে কয়েক হাজার বছরের পুরনো সেই পর্যটনকেন্দ্র আবার পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কিন্তু চির উন্নত সেই পম্পেই নগরী ইতিহাসের অভিশপ্ত নগরী হয়ে মানুষের শিক্ষা গ্রহণের পাঠশালা হয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে।
বর্তমানে ইতালি সরকার বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এই নগরীকে ঐতিহাসিক জাদুঘরে রূপ দিচ্ছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে বছরে প্রায় ২৫ মিলিয়ন পর্যটক ভ্রমণ করে। অভিশপ্ত পম্পেই নগরী থেকে মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে শিক্ষা গ্রহণের তাওফিক দান করুন। আমিন।

পম্পেই শহরে মারা যাওয়া মানুষের দেহের অন্তর্ধানের ফলে সৃষ্ট ফাঁকগুলিতে বাইরে থেকে তরল প্লাস্টার ভর্তি করে তৈরি করা মানবদেহগুলি হিউস্টন মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল সায়েন্সে প্রদর্শিত হয়।

79 খ্রিস্টাব্দে মাউন্ট ভিসুভিয়াস অগ্ন্যুৎপাত হলে, পম্পেই শহরটি 24 ঘন্টার মধ্যে ধ্বংস হয়ে যায়। পম্পেই এবং এর নাগরিকদের 12 ফুট ছাই এবং পাথরের নীচে চাপা দেওয়া হয়েছিল এবং ভুলে গিয়েছিল। মাত্র 250 বছর আগে এই শহরটি আবার আবিষ্কৃত হয়েছিল। তারপর থেকে, প্রত্নতাত্ত্বিকরা তাদের দৈনন্দিন জীবনের মানুষ, ভবন এবং নিদর্শন খুঁজে বের করার জন্য কাজ করেছেন।
#মোঘল_সাম্রাজ্যে #তারিখহিন্দ #ইতিহাসনামা #ইতিহাস #নবাব

২০০৩ সালের সবচেয়ে রহস্যজনক বিমান চুরির গল্প! ২০০৩ সালের ২৫ মে, অ্যাঙ্গোলার লুয়ান্ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এক অবিশ্...
22/07/2025

২০০৩ সালের সবচেয়ে রহস্যজনক বিমান চুরির গল্প!

২০০৩ সালের ২৫ মে, অ্যাঙ্গোলার লুয়ান্ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে। দুই ব্যক্তি—একজন পাইলট, বেন প্যাডিলা, এবং একজন সহকারী মেকানিক, জন মুতুন্তু—একটি Boeing 727 বিমান চুরি করে উধাও হয়ে যান!

তারা কোনো ফ্লাইট প্ল্যান জমা দেননি, এমনকি ৭২৭ চালানোর জন্য তারা সম্পূর্ণরূপে প্রশিক্ষিতও ছিলেন না। তারা বিমানটিকে এলোমেলোভাবে রানওয়ের দিকে নিয়ে যায়, কন্ট্রোল টাওয়ারের ডাকে সাড়া না দিয়ে সন্ধ্যার সময় বিমানটি নিয়ে আকাশে উড়ে যায়।

বিমানে ছিল প্রায় ১৪,০০০ গ্যালন জ্বালানি, যা দিয়ে প্রায় ১৫০০ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করা সম্ভব।

এই ঘটনার পর সিআইএ, এফবিআই সহ বিশ্বের বিভিন্ন বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিশাল অনুসন্ধানে নামে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই বিমান কিংবা দুই ব্যক্তির কোনো খোঁজ মেলেনি। ✈️🕵️‍♂️
এই রহস্য নিয়ে নানা তত্ত্ব ঘুরে বেড়ায়—বিমা জালিয়াতি, চোরাচালান, যান্ত্রিক ত্রুটি কিংবা দূরবর্তী কোন বুশ এলাকায় দুর্ঘটনা। কিন্তু আজও নেই কোনো ধ্বংসাবশেষ, নেই কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ!

আপনার কী মনে হয়, তারা কোথায় গেলেন? কমেন্টে জানান আপনার মতামত!

#বাংলারইতিহাস #রহস্যঘেরাঘটনা

তারিখ ও সময়আগামী ২ আগস্ট ২০২৭‑এ একটি মোট সৌর গ্রহন ঘটবে।  খলিপ্রায়-কালছায়ার মধ্যবর্তী সর্বোচ্চ সময় প্রায় ৬ মিনিট ২২–২৩ ...
22/07/2025

তারিখ ও সময়
আগামী ২ আগস্ট ২০২৭‑এ একটি মোট সৌর গ্রহন ঘটবে।

খলিপ্রায়-কাল
ছায়ার মধ্যবর্তী সর্বোচ্চ সময় প্রায় ৬ মিনিট ২২–২৩ সেকেন্ড হবে, যা ১৯৯১ সালের পর—and ২০১১৪ সালের আগে—সবচেয়ে দীর্ঘ স্থায়ী গ্রহন হবে ।

গ্রহনের গতিপথ
এটি আটলান্টিক থেকে শুরু হয়ে স্পেন (আমরা, যেমন: Cádiz, Málaga), গিব্রাল্টার, উত্তর আফ্রিকা (মরক্কো, আলজেরিয়া, টিউনিসিয়া, লিবিয়া, ইজিপ্ট, সুদান, সোমালিয়া) ও মধ্যপ্রাচ্য (সৌদি আরব, ইয়েমেন) হয়ে যাবে .

বিশেষত্ব

পৃথিবী এই সময় সূর্য থেকে দূরে থাকবে (aphelion) এবং চাঁদ নির্দিষ্ট বিন্দুতে সবচেয়ে কাছাকাছি থাকবে (perigee), ফলে সে সূর্যকে ঢেকে রাখবে দীর্ঘক্ষণ .

সারা বিশ্বের আবহাওয়া বিষয়ক পূর্বাভাস অনুযায়ী উষ্ণ মরূভূমির আকাশ সাধারণত পরিষ্কার থাকবে, যা দৃশ্যাবলীতে সহায়ক .

দ্বিবার্ষিক গুরুত্ব
— ১৯৯১–এর পর পৃথিবীজুড়ে গ্রহনের দৈর্ঘ্যের দিক থেকে এটি সবচেয়ে বড়, এবং পরবর্তী এধরনের ঘটনা হবে ২১১৪‑এ।

পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলে গুরুত্ব
— ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশের মতো অনেক দেশে এটি আংশিকভাবে দেখা যাবে, তবে পূর্ণতা শুধুমাত্র উপরোক্ত পথ বরাবর।

রেফারেন্স : Space.com – Total Solar Eclipse 2027 Guide

১৯৮৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, যা আজও অনেকের মনে বেদনার ছা...
22/07/2025

১৯৮৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, যা আজও অনেকের মনে বেদনার ছাপ রেখে গেছে। সেদিন চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বিমানবন্দর থেকে ঢাকার জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফকার এফ২৭-৬০০ বিমান, যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল S2-ABJ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সেই বিমানটি গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। ঢাকার আকাশে খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটি রানওয়েতে অবতরণের আগেই একটি জলাভূমিতে বিধ্বস্ত হয়, আর তাতেই প্রাণ হারান বিমানে থাকা সকল যাত্রী ও ক্রু সদস্য—মোট ৪৯ জন।

বিমানটি ছিল একটি ফকার এফ২৭ ফ্রেন্ডশিপ মডেলের টার্বোপ্রপ যাত্রীবাহী বিমান, যা প্রথম তৈরি হয়েছিল ১৯৭১ সালে। এটি মূলত ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বহরে ব্যবহৃত হতো। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ভারত সরকার এটি উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে দেয় এবং এরপর থেকে এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যোগ দেয়। ১৯৮৪ সালের দুর্ঘটনার সময় এটি ২৪,০০০ ঘন্টার বেশি উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছিল, এবং তা নিয়মিতভাবে রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় ছিল বলে জানা যায়।

উক্ত ফ্লাইটে পাইলট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন কায়েস আহমেদ মজুমদার, যিনি প্রায় ৫,০০০ ঘন্টার বেশি উড্ডয়ন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ পাইলট। প্রথম অফিসার হিসেবে সঙ্গে ছিলেন কানিজ ফাতেমা রোকসানা, যিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী বাণিজ্যিক পাইলট। এই দুর্ঘটনায় তিনিও প্রাণ হারান, এবং এই দুঃখজনক ঘটনার মধ্য দিয়েই তার উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের ইতি ঘটে।

দুর্ঘটনার দিন ঢাকার আকাশে ছিল প্রবল বৃষ্টি, বজ্রপাত ও ঝড়ো হাওয়া। সেই সঙ্গে দৃশ্যমানতাও ছিল অত্যন্ত খারাপ, যা বিমান অবতরণের জন্য একেবারে অনুপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে। প্রথমে পাইলটরা ঢাকার রানওয়ে ৩২-এ VOR (VHF Omnidirectional Range) নেভিগেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে অবতরণের চেষ্টা করেন। কিন্তু রানওয়ে স্পষ্টভাবে দেখতে না পাওয়ায় তারা অবতরণ বাতিল করে আবারও উড্ডয়ন করেন। এরপর দ্বিতীয়বারে তারা রানওয়ে ১৪-এ ILS (Instrument Landing System) ব্যবহার করে অবতরণের চেষ্টা করেন, কিন্তু সেবারও সফল হননি। তৃতীয়বারের চেষ্টায়, যখন তারা আবার রানওয়ে ১৪-এ অবতরণ করতে যাচ্ছিলেন, তখন দৃষ্টিসীমা এতটাই খারাপ ছিল যে বিমানটি ভুল করে রানওয়ের ৫৫০ মিটার আগেই একটি জলাভূমিতে আছড়ে পড়ে। এতে বিমানটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায় এবং ভেতরে থাকা কেউই বেঁচে যাননি।

বিমানে মোট ৪৫ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে একজন ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক এবং আরেকজন ছিলেন জাপানি নাগরিক, বাকি সবাই ছিলেন বাংলাদেশি। জানা যায়, যাত্রীদের অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যে সংযোগকারী আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ধরার উদ্দেশ্যে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন প্রবাসী কর্মী, যারা কাজ শেষে দেশে ফিরে আবার বিদেশে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেদিনের সেই অন্ধকার বিকেলে সেই প্রত্যেকটি যাত্রা থেমে যায় চিরতরে।

এই দুর্ঘটনার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ব্যাপকভাবে সমালোচনার মুখে পড়ে। তদন্তে জানা যায়, খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণের চেষ্টা এবং সেই সময়কার প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতাই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ ছিল। পাইলটদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আবহাওয়ার বাস্তব অবস্থা এবং ILS গাইডেন্স অনুযায়ী বিমান কতটা নিচে নেমে এসেছে, তা যথাযথভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। বিমানের উচ্চতা নির্দেশক এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি ঠিকমতো কাজ করলেও, অতিমাত্রায় নির্ভরতা ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তহীনতাই ছিল বিপর্যয়ের মূলে।

এই দুর্ঘটনার পর বিমান চলাচলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব বাড়ে এবং নতুন করে প্রশিক্ষণ, মান নিয়ন্ত্রণ এবং জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ে নিয়ম-কানুন আরও কঠোর করা হয়। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (CAAB) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নির্দেশিকা অনুসরণ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংস্কারে উদ্যোগ নেয়। যদিও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন আজ অনেক দূর এগিয়েছে, তখনকার প্রেক্ষাপটে সীমিত প্রযুক্তি ও বাস্তব পরিস্থিতির মধ্যে পাইলটদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপরই নির্ভর করত একটি সফল অবতরণ।

এই দুর্ঘটনায় সবচেয়ে দুঃখজনক ও ঐতিহাসিক দিক ছিল কানিজ ফাতেমা রোকসানার মৃত্যু। তিনি শুধু বাংলাদেশের প্রথম নারী পাইলটই নন, বরং নারী সমাজের জন্য এক অনুপ্রেরণা ছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল আকাশে নিজের জায়গা তৈরি করার, আর সেই স্বপ্ন নিয়েই তিনি আকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, আকাশই তাকে চিরতরে নিয়ে নেয়।

১৯৮৪ সালের এই বিমান দুর্ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রতিটি উড্ডয়ন শুধু প্রযুক্তি বা প্রশিক্ষণের উপর নির্ভর করে না—এটি একটি মানুষের জীবন-মরণ সংলগ্ন দায়িত্ব। সে কারণে প্রতিটি যাত্রা শুরু হওয়ার আগে প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা, সর্বোচ্চ প্রস্তুতি এবং প্রকৃতির প্রতিকূলতা মোকাবিলায় বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত। আর সেই শিক্ষাই, দুঃখজনক হলেও, রেখে গেছে ফকার এফ২৭ বিমানের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

©

A long line in Jannah today, all my little flowers, gone too soon. Innocent souls taken in a moment, now blooming in the...
21/07/2025

A long line in Jannah today, all my little flowers, gone too soon. Innocent souls taken in a moment, now blooming in the gardens of Paradise. 🌸

Ya Allah, grant their families sabr and reunite them in the highest Jannah. 🤍🤲🏻

21/07/2025

মায়েরা! আপনার সন্তানের শাহাদাতের সুসংবাদ গ্রহণ করুন। সবর করুন সেই দিন পর্যন্ত, যেইদিন আপনার কলিজার টুকরো তার বাপ মায়ের হাত ধরে আপনাদেরকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।

এই মাসুম বাচ্চারা যারা আগুনের মাঝে শহীদ হয়েছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে আপনার সাক্ষাৎ এর জন্য এক চমৎকার অনুষ্ঠান সাজাবেন।

দুনিয়াতো ক্ষনস্থায়ী, আর আখিরাত একসাথে থাকার জায়গা...©

21/07/2025

যে বাচ্চাগুলো ঘরে ফেরার কথা তাদের খুঁজতে অভিভাবকরা মর্গে ছুটছে, আমার সন্তানও তো থাকতে পারতো এদের মধ্যে সত্যি খুব খারাপ লাগছে আল্লাহ তায়ালা কেন যে এমন করলেন আহারে ছোট বাচ্চারা ওই আগুনের তাপ কিভাবে সহ্য করেছে,কত কষ্ট পেয়েই না মারা গেল বাচ্চাগুলো।
বিশ্বাস করেন আমার কিছুই হয় না এরা, তারপরও যে কষ্ট পেয়েছি আজকে,এদের বাবা-মাকে কিভাবে সান্ত্বনা দেবে সবাই😞

21/07/2025

জুলাই মাসটাই খারাপ
শুধু মানুষের জীবন নিয়ে যাচ্ছে

Address

Mongla

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when History Hunters posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to History Hunters:

Share