R & J vlog

R & J vlog Please follow my Page Thank you
(11)

প্রকৃতি সুন্দর তার আপন রং এ। আপন সৌন্দর্যে ।  ゚        ゚
01/08/2025

প্রকৃতি সুন্দর তার আপন রং এ। আপন সৌন্দর্যে ।
゚ ゚

রাতে হালকা ঠান্ডা পড়ে তাই কাথা গায়ে দিয়ে শুয়ে আছি  ゚     ゚
01/08/2025

রাতে হালকা ঠান্ডা পড়ে তাই কাথা গায়ে দিয়ে শুয়ে আছি

゚ ゚

01/08/2025

"বৃষ্টির মাঝে যদি তোমার চোখ দেখি,
তাহলে তো পুরো পৃথিবীটাই প্রেমে ভিজে যাবে..."
゚ ゚

01/08/2025

রেইন লিলি, বর্ষা যেনো ফিরে পেলো তার আপন রুপ। ゚ ゚

১. হলুদ পাগলের শহরঢাকার উত্তপ্ত দুপুর। মানুষ ব্যস্ত, গাড়ি জ্যামে হাহাকার করছে। অথচ এক যুবক হাঁটছে খালি পায়ে, হলুদ পাঞ্জা...
30/07/2025

১. হলুদ পাগলের শহর

ঢাকার উত্তপ্ত দুপুর। মানুষ ব্যস্ত, গাড়ি জ্যামে হাহাকার করছে। অথচ এক যুবক হাঁটছে খালি পায়ে, হলুদ পাঞ্জাবি পড়ে, চোখে অনন্ত বিস্ময়। তাঁর নাম হিমালয়, ডাকনাম হিমু। বাসা নাই, মোবাইল নাই, ব্যাংক ব্যালেন্স নাই। আছে শুধু একরাশ অলসতা আর গভীর ভাবনা। হিমুর বিশ্বাস, "জীবনটাকে সহজ করতে গেলে কিছু হারাতে হয়—অন্তত সমাজের চোখে স্বাভাবিকতা।"

আজও সে বেরিয়েছে উদ্দেশ্যহীন হাঁটতে। কোথায় যাবে সে জানে না, জানার প্রয়োজনও বোধ করে না।

> – "তুই কি পাগল?" এক ভ্রু কুঁচকে তাকানো পথচারীর প্রশ্ন।
– "না, আমি হিমু," হালকা হাসিতে উত্তর হিমুর।

---

২. রুপা এবং চুপচাপ ভালবাসা

রুপা তার শৈশবের বন্ধু। সে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে পড়ায়, পরিপাটি জীবন, কর্পোরেট ঢাকার বাইরে স্বপ্ন দেখে না। অথচ এই রুপাই মাঝে মাঝে হিমুর জন্য অপেক্ষা করে বারান্দায়। হিমু কখনো ভালোবাসা স্বীকার করে না, আবার দূরেও যায় না।

একদিন রুপা বলে—

> – “হিমু, তুমি কি কখনো স্থির হবে না?”
– “স্থিরতা মৃতদের জন্য, রুপা। আমি এখনো বেঁচে আছি।”

রুপা চুপ থাকে। তার চোখে জল। হিমু দেখে, কিছু বলে না।

---

৩. হিমুর দেখা স্বপ্ন

হিমুর বাবা ছিলেন এক অদ্ভুত বিজ্ঞানী। তিনি হিমুকে বানাতে চেয়েছিলেন একজন "সুপার হিউম্যান"—যার কোনো ভয় থাকবে না, কোনো ভালোবাসা থাকবে না।
তাঁর সেই এক্সপেরিমেন্টের ফল এখন হিমু। না সে ভয় পায়, না কাউকে ভালোবাসতে জানে। কিন্তু মাঝে মাঝে রাতে সে স্বপ্ন দেখে—সে একটা হলুদ আলোয় ঘেরা শহরে হেঁটে যাচ্ছে, আর কেউ একজন হাত ধরে বলছে, “থেমে যাও, হিমু।”

---

৪. পুলিশ, পাগল আর প্রমাণ

একদিন হিমুকে পুলিশ ধরে। কারণ: এক ধনী লোকের বাড়ির সামনে বসে ছিল গুনগুন করে গান গেয়ে। জিজ্ঞেস করে, “তুই কী করিস?”

> – “আমি ভাবি,” হিমু উত্তর দেয়।
– “মানে?”
– “মানে আমি ভাবি, মানুষ কেন মানুষ হতে পারলো না।”

পুলিশ জানে না কী মামলা দেবে। শেষে বলে, “তুই পাগল না বিপদজনক সেটা বুঝতে পারি না।”

---

৫. শেষ পাতা: রুপার চিঠি

একদিন রুপা চলে যায়—বিদেশে, পড়াতে। যাবার আগে হিমুর জন্য রেখে যায় এক চিঠি।

> “তুমি হয়তো কখনো কারো হতে পারবে না, হিমু। কিন্তু জানো, তুমিই একমাত্র মানুষ যাকে আমি নিঃশব্দে ভালোবেসেছি।”

হিমু চিঠিটা পড়ে, হাসে, তারপর ফেলে দেয় এক ভিখারির হাতে—“ভালোবাসা দিয়ে কী হবে? তুই নে, হয়তো তোকে কেউ ভালোবাসে।”

---

হিমুর জীবন এমনই। এক রহস্যময় যাত্রা—যেখানে কোনো গন্তব্য নেই, নেই স্থিরতা, নেই জয়ের গল্প।
তবুও, সে বেঁচে থাকে—হলুদ পাঞ্জাবির ভেতর এক আলোর মানুষ হয়ে।

হুমায়ুন আহমেদের ‘রুপা’ — এক অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্পরুপা — হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্ট বিখ্যাত চরিত্র "হিমু" সিরিজের একটি অসাধার...
29/07/2025

হুমায়ুন আহমেদের ‘রুপা’ — এক অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প

রুপা — হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্ট বিখ্যাত চরিত্র "হিমু" সিরিজের একটি অসাধারণ নারীচরিত্র। সে কোনো রহস্যময়ী নয়, আবার পুরোপুরি সাধারণও নয়। তার মধ্যে আছে একধরনের স্থিরতা, গভীর মায়া আর অস্পষ্ট এক ভালোবাসা যা শুধু হিমুর সাথেই মানায়।

---

🍂 গল্প: হিমু ও রুপা

রুপা থাকে ঢাকার একটি ভদ্র পাড়া, নরম স্বভাবের, ভদ্র মেয়ে। হিমু তার জীবনে এসেছে হঠাৎ। হলুদ পাঞ্জাবি পরা, জুতো না পরা, উদ্ভট সব কথা বলা এক যুবক। কেউ তাকে ঠিক বোঝে না, কিন্তু রুপা বোঝে। রুপা জানে, এই পাগলাটে ছেলেটার ভিতর লুকানো আছে অনেক কষ্ট, অনেক বেদনা, আর গভীর ভালোবাসা।

রুপা প্রায়ই বলে:

> “তুমি কেন এমন হিমু? স্বাভাবিক হতে পারো না?”

হিমু জবাবে শুধু হাসে।

রুপা চায়, হিমু যেন একটু স্থির হোক। একটা চাকরি করুক, একটা পরিবার গড়ুক, স্বাভাবিক জীবন যাপন করুক। কিন্তু হিমু তো হিমু-ই। সে বলে,

> “আমার কাজ হলো মানুষকে বোঝা, তোমাকেও বুঝেছি রুপা।”

হিমু রুপাকে ভালোবাসে, অথচ কখনো মুখে বলে না। সে চায় না রুপা তার মতো অনিশ্চিত, ভবঘুরে এক জীবনের সঙ্গী হোক। সে রুপাকে নিরাপদ দূরত্বে রাখে — ভালোবাসে, কিন্তু দূর থেকে। একটিবারও সে রুপার হাত ধরে না, তবু রুপার চোখে হিমুর জন্য যে অপেক্ষা, তা অমলিন।

---

💔 শেষটা কি হয়েছিল?

রুপা হয়তো শেষমেশ হিমুকে ভুলে গিয়ে এক সাধারণ ছেলের হাত ধরেছিল। অথবা হয়তো সারাজীবন হিমুর অপেক্ষায় ছিল, চুপচাপ। হিমু একদিন রুপার বাসার সামনে এসে দাঁড়িয়ে ছিল, তার চিরচেনা পাগলাটে হাসি নিয়ে, হয়তো তখন রুপা পর্দার আড়াল থেকে দেখছিল...

---

🌙 এই ভালোবাসা অন্যরকম...

রুপা আর হিমুর ভালোবাসা যেন দুটো সমান্তরাল রেখা— পাশাপাশি চলে, কিন্তু কখনো মিশে না। তবুও সেই ভালোবাসা চিরন্তন, পাঠকের মনে গেঁথে থাকে।

---

হুমায়ুন আহমেদ নিজেই বলেছিলেন:
"রুপা চরিত্রটা আমি শেষ করতে পারিনি। কারণ সে হিমুকে ভালোবাসে, কিন্তু হিমু তাকে ভালোবাসলেও কিছু বলবে না। এমন ভালোবাসা অনেক কষ্টের।"

হিমু এবং রুপা — হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট এক বিস্ময়কর, গভীর অথচ সরল সম্পর্কের প্রতিচ্ছবি। নিচে তাদের নিয়ে একটি কল্পিত গল্প ব...
28/07/2025

হিমু এবং রুপা — হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট এক বিস্ময়কর, গভীর অথচ সরল সম্পর্কের প্রতিচ্ছবি। নিচে তাদের নিয়ে একটি কল্পিত গল্প বলছি, যেটি হুমায়ূনের লেখার ছন্দে অনুপ্রাণিত:

---

গল্প: "হিমু একদিন হঠাৎ…"

ঢাকার একটি অলস বিকেল। আকাশে হালকা মেঘ, বাতাসে হিমুর প্রিয় হঠাৎ-বৃষ্টির গন্ধ। হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে হিমু হাঁটছে barefoot, গন্তব্যহীনভাবে।

একটা মোড়ে হঠাৎ রুপার সঙ্গে দেখা। রুপা তখন একটা বই হাতে দাঁড়িয়ে। চোখে চশমা, চুল খোলা, কপালে একটুখানি ভাঁজ।

— রুপা: “তুমি এখনও জুতা পরো না? আর সবসময় পাগলের মতো হাঁটো!”

হিমু হাসে। সেই চিরচেনা নির্লিপ্তি তার চোখে মুখে।

— হিমু: “পাগলরা সোজা হাঁটে রুপা। কিন্তু জুতাওয়ালা মানুষরা হাঁটে হিসেব করে। আমি হিসেব পছন্দ করি না।”

রুপা চুপ করে যায়। ও জানে, এই হিমুকে বোঝানো যায় না। সে শুধু ভালোবাসে।

— রুপা: “তুমি কি জানো, তুমি আমাকে ভালোবাসো?”

— হিমু (হালকা হেসে): “ভালোবাসি না রে। ভালোবাসলে তো তোকে কবিতা শোনাতাম, গান গাইতাম, সিনেমা দেখাতাম। আমি তো তোকে শুধু দেখেই শান্তি পাই।”

রুপার চোখে পানি চলে আসে, কিন্তু সে লুকায়। সে জানে, হিমু যেভাবে ভালোবাসে, সেটা জগতের সবচেয়ে অনন্য ভালোবাসা—কোনো দাবি নেই, প্রত্যাশা নেই, শুধু এক ধরনের আশ্চর্য রকমের উপস্থিতি।

— হিমু: “চলো, আজকে তোমাকে তারাদের ঠিকানা দেখাই।”

রুপা একটু হেসে বলে, “তারারা ঠিকানা দিয়ে থাকে?”

— হিমু (দূরদৃষ্টিতে তাকিয়ে): “তারা তো হেঁটে আসে না। আমি শুধু দিকটা জানি। বাকিটা তুমি বুঝে নিও।”

ওরা হাঁটতে থাকে। রুপা আর কোনো কথা বলে না। শুধু অনুভব করে—এই হিমুর পাশে থাকা, মানে একটা পাগলের ভালোবাসায় ধীরে ধীরে溶 হয়ে যাওয়া।

বারাক ওবামার কষ্টের জীবন থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেরণাদায়ক গল্পএকসময় ছিলো একটি কৃষ্ণাঙ্গ শিশু, নাম বারাক হুসেইন ওবামা, জন্ম...
21/07/2025

বারাক ওবামার কষ্টের জীবন থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেরণাদায়ক গল্প

একসময় ছিলো একটি কৃষ্ণাঙ্গ শিশু, নাম বারাক হুসেইন ওবামা, জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬১ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপে। তার বাবা ছিলেন কেনিয়ান, মা ছিলেন আমেরিকান। ছোটবেলায় তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়, এবং ওবামা বেড়ে ওঠেন মা ও নানা-নানীর কাছে। শৈশব থেকেই তিনি বর্ণবৈষম্য, আত্মপরিচয়ের দ্বন্দ্ব ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সঙ্গে লড়েছেন।

---

🌧️ শৈশবের কষ্ট

বাবার ভালোবাসা পাননি – ওবামার বাবা তাদের ছেড়ে চলে যান যখন তিনি মাত্র দুই বছর বয়সী।

স্কুলে পড়ার সময় তাকে সহ্য করতে হয়েছে বর্ণবাদের নানা কটুক্তি, কারণ তিনি ছিলেন কালো চামড়ার একাকী শিশু।

মা ছিলেন একজন সাধারণ সরকারি কর্মচারী, মাঝে মাঝে তাকে ইন্দোনেশিয়ায় নিয়ে গিয়ে আবার হাওয়াইয়ে রেখে দিতেন। এমন ভাঙা ভাঙা পরিবেশে তার বেড়ে ওঠা হয়।

---

📚 শিক্ষাজীবনের সংগ্রাম

ওবামা বলতেন, ছোটবেলায় তিনি খুব একটা মনোযোগী ছাত্র ছিলেন না। কৈশোরে মাদকাসক্তির পথেও হেঁটেছিলেন। কিন্তু এক সময় তিনি নিজের ভেতরের শক্তিকে জাগিয়ে তুললেন। নিজেই নিজের মধ্যে বলেছিলেন:

> "আমি যদি নিজেকে বদলাতে না পারি, তাহলে এই সমাজ বা পৃথিবীকে কিভাবে বদলাব?"

এই উপলব্ধি থেকেই শুরু হয় নতুন পথচলা।

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ পান, যেটা ছিলো তার জীবনের বড় মোড় পরিবর্তন।

হার্ভার্ড ল’ রিভিউ-এর প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ সম্পাদক হন – যা ছিল ঐতিহাসিক সাফল্য।

---

🏛️ রাজনৈতিক জীবনের চ্যালেঞ্জ

শুরুতে অনেকেই তাকে গুরুত্ব দেননি। বলতেন, “একজন কৃষ্ণাঙ্গ কখনো প্রেসিডেন্ট হতে পারবে না।”

প্রচারণার সময় হুমকি, বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য, ধর্ম ও জাতি নিয়ে কুৎসা – কিছুই বাদ যায়নি।

কিন্তু তিনি আত্মবিশ্বাস হারাননি। তার একটা বিখ্যাত উক্তি:

> “Yes, we can.”
(হ্যাঁ, আমরা পারি)

---

👑 সফলতা

২০০৮ সালে তিনি নির্বাচিত হন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হিসেবে। তার বিজয় মানে ছিল কেবল রাজনীতিতে সাফল্য নয়, বরং লাখো নিপীড়িত, পিছিয়ে থাকা মানুষের জন্য আশার প্রদীপ।

---

💡 শেখার বিষয়

বারাক ওবামার জীবন আমাদের শেখায়—

জন্মের পরিবেশ যত খারাপই হোক, চেষ্টা করলে সবকিছু সম্ভব।

আত্মবিশ্বাস, শিক্ষা ও কঠোর পরিশ্রম – এগুলো দিয়েই ভাগ্যকে বদলানো যায়।

---

তাঁর নিজের মুখে বলা কথা দিয়ে শেষ করি:

> “আমি আমার পরিস্থিতির শিকার হতে পারতাম। কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম— আমি নিজের জীবন নিজেই গড়বো।”

তোমার জীবনেও যদি কখনো অন্ধকার নেমে আসে, মনে রেখো—
ঘুরে দাঁড়ানো সবসময় সম্ভব, ঠিক যেমন ওবামা পেরেছেন। 🌟

゚ ゚

আলবার্ট আইনস্টাইনের ব্যক্তিগত জীবনের দুঃখ-কষ্টের গল্প ---এক দেশে ছিল এক ছোট্ট ছেলেটি, নাম ছিল আলবার্ট। অন্য সবার মতো সে ...
20/07/2025

আলবার্ট আইনস্টাইনের ব্যক্তিগত জীবনের দুঃখ-কষ্টের গল্প

---

এক দেশে ছিল এক ছোট্ট ছেলেটি, নাম ছিল আলবার্ট। অন্য সবার মতো সে ছিল না—চুপচাপ, ভাবুক আর খুব কম কথা বলত। ছোটবেলায় কথা বলা শুরু করতেও সে দেরি করেছিল। অনেকেই ভাবত সে হয়তো বুদ্ধি কম। এমনকি স্কুলের শিক্ষকরা বলত, “এই ছেলে কোনোদিন কিছুই করতে পারবে না!”

কিন্তু ভেতরে ভেতরে আলবার্টের মন ছিল বিজ্ঞান আর জ্ঞানে ভরা। ছোট্ট একটা কম্পাস পেয়েছিল বাবার কাছ থেকে, সেটা ঘুরে ঘুরে তাকে এক নতুন জগতের দিকে টেনে নিয়েছিল। সেখান থেকেই শুরু তার ভাবনার জগৎ।

🎓 যখন স্বপ্ন ভেঙে যায়

আলবার্ট স্বপ্ন দেখেছিল শিক্ষক হবে, শান্তভাবে গবেষণা করবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার পর কোনো চাকরি পেল না। অর্থের অভাবে খাবার পর্যন্ত জোগাড় করা কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। তখন একটা ছোট চাকরি পায় পেটেন্ট অফিসে, যেখানে সে বসে বসে অন্যের আবিষ্কারের নথি দেখত। সেই জায়গা থেকেই সে তৈরি করে ফেলে আপেক্ষিকতার তত্ত্ব, যা পৃথিবীর বিজ্ঞান বদলে দেয়!

❤️ হৃদয়ের টানাপোড়েন

আইনস্টাইনের প্রথম স্ত্রী ছিল মিলে‌ভা মেরিক—এক বুদ্ধিমতী বিজ্ঞানপ্রীত নারী। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক একসময় বিষাক্ত হয়ে যায়। আলবার্ট তখন এতটাই গবেষণায় মগ্ন ছিলেন যে, সংসার ভুলেই গিয়েছিলেন। মিলে‌ভার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে, এমনকি আলবার্ট তাকে একটি “চুক্তিপত্র” দেন—যেখানে স্ত্রীকে বলা হয় কখন কী করতে হবে!

অবশেষে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। আর সবচেয়ে করুণ ব্যাপার হলো—তাঁদের একটি কন্যা ছিল, যার নাম লাইজারল। তাকে কোথাও গোপনে দিয়ে দেওয়া হয়, আর তার পরের খোঁজ কখনো পাওয়া যায়নি। কেউ জানেই না, সে বেঁচে ছিল কি না।

🧠 প্রতিভার মূল্য

আইনস্টাইন বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত হলেও, তার নিজের ছেলেরা তাকে ভয় পেত। ছোট ছেলে এডুয়ার্ড মানসিক রোগে ভুগত, সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত ছিল। তাকে সারাজীবন মানসিক হাসপাতালে থাকতে হয়। আলবার্টের হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল, কিন্তু তখনও তিনি কিছু করতে পারেননি।

🗺️ দেশহীন এক পথিক

জার্মানিতে নাৎসিদের উত্থানের সময়, আইনস্টাইন ছিলেন ইহুদি। তাই তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়, আশ্রয় নিতে হয় আমেরিকায়। নিজের জন্মভূমি থেকে এমনভাবে পালিয়ে যাওয়া—তা ছিল তাঁর জীবনের অন্যতম কষ্টের অধ্যায়। নাৎসিরা তাঁকে "শত্রু" ঘোষণা করে এমনকি তাঁর মাথার দামও নির্ধারণ করে!

---

🌌 শেষ জীবনের একাকীত্ব

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধু ও পরিবারের সবাই একে একে দূরে চলে যায়। বিখ্যাত হলেও, অনেক সময় তিনি ছিলেন নিঃসঙ্গ। হেঁটে হেঁটে নদীর ধারে গিয়ে বসে থাকতেন, কিছু নোট লিখতেন। তাঁর চারপাশে ছিল বিশ্বজয়ের গৌরব, কিন্তু মনটা ছিল খালি।

তিনি একবার বলেছিলেন—

> “It is strange to be known so universally and yet to be so lonely.”
— “পৃথিবীর সবাই যখন তোমাকে চেনে, কিন্তু তবুও তুমি ভীষণ একা!”

---

এভাবেই চলেছিল এক প্রতিভাবান মানুষের জীবন—বিজ্ঞান জিতেছিল, কিন্তু হৃদয় ছিল রক্তাক্ত। এই ছিল আলবার্ট আইনস্টাইনের দুঃখ-কষ্টের গল্প।

゚ ゚

অবশ্যই! নিচে নিজের প্রতি বিশ্বাস জাগাতে সাহায্য করবে এমন কিছু মোটিভেশনাল কথা দেওয়া হলো:---🌟 "নিজেকে ছোট ভাবা বন্ধ করো। ত...
18/07/2025

অবশ্যই! নিচে নিজের প্রতি বিশ্বাস জাগাতে সাহায্য করবে এমন কিছু মোটিভেশনাল কথা দেওয়া হলো:

---

🌟 "নিজেকে ছোট ভাবা বন্ধ করো। তুমি যা কল্পনা করো, তার চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী তুমি।"

🌟 "তুমি যেখানে আছো, সেটা হয়তো তোমার শেষ গন্তব্য না — এটা শুধু তোমার যাত্রার একটা ধাপ মাত্র।"

🌟 "সাফল্যের জন্য অন্য কারো মতো হতে হবে না, বরং নিজের সেরা ভার্সন হওয়াই সবচেয়ে বড় জয়।"

🌟 "তুমি পড়তে পারো, ভাঙতে পারো, কাঁদতে পারো — কিন্তু হাল ছাড়বে না।"

🌟 "দুনিয়ার কেউ যদি তোমার ওপর বিশ্বাস না করে, তবুও নিজে নিজের ওপর বিশ্বাস রেখো — কারণ তুমি পারো!"

🌟 "যে নিজেকে বদলাতে পারে, সে পৃথিবীকেও বদলাতে পারে।"

🌟 "তোমার অতীত তোমার ভবিষ্যৎ ঠিক করে না — তোমার আজকের সিদ্ধান্তই ঠিক করে দেয় তুমি কে হতে যাচ্ছো।"

স্বার্থের পৃথিবীতে কেউ কারোর না, সবাই নিজেকে ভালো রাখতে ব্যাস্ত, তুমি যার জন্য ভাবো, যার জন্য মন হয় সে তোমার কথা মনের ভু...
18/07/2025

স্বার্থের পৃথিবীতে কেউ কারোর না, সবাই নিজেকে ভালো রাখতে ব্যাস্ত, তুমি যার জন্য ভাবো, যার জন্য মন হয় সে তোমার কথা মনের ভুলেও মনে করে না। দুই দিনের দুনিয়া দম ফুরালে সব আয়োজন শেষ।

কে বলতে পারবেন জায়গাটা কোথায়?                   ゚
15/07/2025

কে বলতে পারবেন জায়গাটা কোথায়? ゚

Address

Khulna

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when R & J vlog posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to R & J vlog:

Share