24/08/2023
স্পিনে সেরা, ফাস্ট বলে সেকেন্ড!!
আপনি ভিন্ন বাংলাদেশকে দেখছেন? হতেই পারে। বিশেষ করে ফাস্ট বোলিং ইউনিটটা দেখুন। ২০১৯ বিশ্বকাপে যারা ছিলো, তাদের মধ্যে শুধু মুস্তাফিজ আছে। বাকিরা হাওয়া।
এত দারুণ বোলিং ডিপার্টমেন্ট থাকার পরও বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখতেই পারেন। কিন্তু তবুও একটা ভয় কাজ করে সবার মাঝে, আমরা এখনো আপ-টু-দ্য-মার্ক নেই। কারণ?
কারণ, একটাই। ব্যাটিং বিভাগ। ফিল্ডিংয়ে উন্নতি আসলেও ব্যাটিংয়ে আমরা ভালো করতে পারিনি। আশা জাগানো লিটনের ২৫ গড় যেখানে অনেক কিছু, সেখানে বড় আশা দেখার সুযোগ পাচ্ছি না। শুধু লিটন?
টপ-অর্ডারটাই নড়বড়ে। জানিনা, সিনিয়র তামিম কীভাবে ফিরেন, জুনিয়র কতটা চাপ নিতে পারেন। লিটন কী রানে ফিরবেন? ওপেনিং জুটি যদি-কিন্তুর মাঝেই সীমাবদ্ধ। শান্ত সাকিবের জায়গায় খেলছেন। অনেক সুযোগ পাওয়ার পরে শেষদিকে এসে ভালো করেছেন। নিশ্চয়ই বাহবা পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু তার শট সিলকশনের যেই গড়বড়টা, তাতে এখনো আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি।
মিডল অর্ডার নিঃসন্দেহে ভালো। শেষ কয়েক ম্যাচে অতীব ভালো করে তুলেছেন তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু হুট করে হৃদয় কলাপ্স করলে বাকিরা ভালো খেলবেন তো? মুশফিক-সাকিব বড় মঞ্চের খেলোয়াড়। আশাবাদী, এই অপশনে দারুণ করবেন।
কিন্তু সবচেয়ে চিন্তার জায়গা লোয়ার অর্ডার। নাম্বার ৭ যাদের নেওয়া হলো, তারা কেউই পরীক্ষিত না। তাদের প্রত্যেকেও যদি ব্যর্থ হয়, আপনি দোষ দিতে পারবেন না। এবং এটাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জায়গা। ব্যর্থ হবেন, কিন্তু মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকতে হবে। কারণ অপশন নেই।
আচ্ছা, মিরাজকে কোথায় খেলাবে? সাতে খেলানো একটা গোয়ার্তমি ছাড়া আর কিছুই না। সাতের ব্যাটসম্যানের যে ধাঁচ থাকতে হয়, বাকি দেশের দিকে তাকালেই বুঝবেন; সেটা মিরাজের মধ্যে অনুপস্থিত। মিরাজকে ৮ এ খেলিয়ে অন্তত স্টেবল পজিশনে থাকুক। কিন্তু মিরাজকে সাত এ খেলালে সবচেয়ে ভুগবে বাংলাদেশ। কারণ ভরসা ভরা মিরাজের পরে বাকি সবাই ভরসাহীন। তাসকিন যেই ব্যাটিং করে, তা অন্যান্য দলের ১১ নং প্লেয়ার করে।
সবমিলিয়ে এক মিডল অর্ডার ছাড়া আমরা ব্যাটিংয়ে বেশ পিছিয়ে। টপ অর্ডার কিংবা লোয়ার-অর্ডার; একটা পজিশনে ভরসা পেলেও বিশ্বকাপ ছোঁয়ার গল্পটা বারবার রোমন্থন করা যেতো।