21/07/2025
৪টা বিষয় অনেক ভাল লাগছে -
এক.
বার্নড একটা ছেলে রাস্তায় গিয়া সিএনজি, প্রাইভেট কার খুজতেছে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। বাট কেউ গাড়ি থামাইতেছে না৷ বাচ্চাটা পোড়া শরীর নিয়া এদিক ওদিক কাকুতি মিনতি করতাসে। বাট কোনো শুয়োরের বাচ্চা তাকে সাহায্য করার জন্য গাড়ি থামাইতেছে না।
দুই.
বার্নড হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে হাজার হাজার মানুষ চইলা আইছে। ভিডিও করতাসে।জার্নালিস্ট, মোবাইল জার্নালিস্ট, ভ্লগার, ক্রিয়েটর রা ভিডিও বানাইতাসে। কোনো বাচ্চাদের উদ্ধার করতাসে না। ইভেন রাস্তায় ক্রাউড বাধায়া রাখসে। কোনো এম্বুলেন্স, উদ্ধারকারী গাড়ি ঠিকমতো পাস হইতে পারতেসে না। মানুষ দেখতাসে আর ভিডিও করতাসে।
তিন.
বিভিন্ন পলিটিকাল দলের চোদাবোকা নেতারা তাদের প্রচুর সান্ডা পান্ডা নিয়া হাসপাতালে ট্যুর দিতা গেসে। এর মধ্যে কয়েকটা দলের দলীয় প্রধান শুয়োরের বাচ্চারা ও আছে। তাদের ব্রেইনে এতটুকু গোবরও নাই যে, এসব শুয়োরের বাচ্চারা গেলে হাসপাতালে ভিড় জমতে পারে। চিকিৎসা সেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। এর মধ্যে আবার রাজনৈতিক শোডাউন নিয়া দুই দলের মধ্যে ক্যাচাল বাধছে। কতটা নির্মম এইসব শুয়োরের বাচ্চাদের পলিটিক্স।
চার.
সরকার প্রকৃত মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করতেসে না। ইভেন কোনো চ্যানেল প্রকৃত মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করতাসে না। মাইলস্টোন কলেজের ছাত্রদের সেনাবাহিনী কয়েক দফা পিটায়ছে কারণ ওখানকার ছাত্ররা এটা নিয়া কথা বলতেছিল।
পরিশেষে, জুনায়েদদের হয়েছে সন্ধ্যা, ব্যস্ততা গিয়েছে চুকে। হোমওয়ার্ক, এক্সামের খাতা, স্কুলড্রেস পুড়েছে, পুড়েছে তাদের বাবা মায়ের সোনার স্বপ্নগুলো ৷ আল্লাহ রহম করুন।
Tayobur Rahman