20/02/2024
খুলনা বিভাগের ক্রিকেটে অচলাবস্থা।
একটা ছেলে, একটা পরিবার।অনেক আসা নিয়ে, ক্রিকেট অথবা পছন্দ অনুযায়ী কোন খেলা বেছে নিয়ে প্রাকটিস শুরু করে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে,বার বার ইনজুরিতে পরা,এ ভাবেই চলতে থাকে এজ লেভেল।জখন, পাঁচ মিনিট রোদে দাড়িয়ে থাকাই জায়না,তখন ছেলে মেয়েরা ঘন্টার পর ঘন্টা মাঠে প্রাকটিস করে।এভাবে চলতে থাকে দশ বছর,পনের বছর,বিশ বছর। বাংলাদেশে এখন খেলা দুলার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশী।বিশেষ করে,মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত পরিবারে অনেক বেশী।এর কারন হচ্ছে অনেক। উচ্চ শিক্ষার খরচ বহন করতে না পারা, আবার ধারদেনা করে কেউ যদি উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেও,তখন আবার চাকরীর জন্য দশ--বিশ না দিলে চাকরি হয়না।সে জন্যই খেলা দুলার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশী।এখন,সেখনেও অনিশ্চয়তার ছায়া। আমার জানামতে,একটা ক্রিকেট একাডেমির অন্তত ত্রিশটা ছেলে এজলেবেল শেষে প্রাকটিস বন্ধ করে,ছোট খাটো চাকরি অথবা ব্যাবসা করে।
কারন, তারা মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে এসেছে।ঢাকার কোন ভাল একাডেমিতে ভর্তি করার সামর্থ তাদের নেই।আর আমাদের দেশে,সব কিছুই ঢাকা কেন্দ্রীক।দেশের সব জেলায় যদি টুর্নামেন্ট গুলো চালু থাকতো, তাহলে ঝরে জাওয়া ঠেকানো জেতো। উপরে, রোদে পোড়া ইনজুরির কথা বলেছি।খরচের ব্যাপারও আছে।ক্রিকেটে অনেক খরচ।এ অবস্থায় জেলার টুর্নামেন্ট গুলো চালু করা উচিত,জাতে করে নিজেদের খরচের ব্যবস্থা নিজেরা করতে পারে।একটা জেলায় জখন হাজার হাজার ছেলেমেয়ে প্রাকটিস করে,তখন শুধু এজ লেভেল ট্রাইলে আর কয়জনই বা সুযোগ পায়। খুলনা বিভাগের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট গুলো অনেক দিন ধরে বন্ধ থাকাই, ঝরে জাওয়ার অন্যতম কারণ। জানিনা আমার লেখা, ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তার নজরে পরবে কিনা। আমি খুলনা বিভাগের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট গুলো চালু করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
আমার ছেলে ও ঝরে যায় যায় অবস্থা।২০২৩ এ u18খেলছে।এখন নিজেকে ফোকাস করার মাধ্যম পাচ্ছেনা।