Sexy choti

Sexy choti sexy Bangla choti par day on video
(1)

Hot
27/08/2025

Hot

Today's Best Photo ❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️








27/08/2025
১.সাতটি বছর। দুই হাজার পাঁচশ পঞ্চান্নটি দিন। সময়ের এই বিশাল ক্যানভাসে মানুষ বদলে যায়, শহর বদলে যায়, সম্পর্কগুলোর ওপর ধুল...
26/08/2025

১.
সাতটি বছর। দুই হাজার পাঁচশ পঞ্চান্নটি দিন। সময়ের এই বিশাল ক্যানভাসে মানুষ বদলে যায়, শহর বদলে যায়, সম্পর্কগুলোর ওপর ধুলোর আস্তর পড়ে। রাফিদের জীবনটাও বদলেছে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনির আকাশ তাকে নতুন পরিচিতি দিয়েছে, কর্পোরেট জগতের শীর্ষে পৌঁছানোর সিঁড়ি গড়ে দিয়েছে। কিন্তু কিছু স্মৃতি, কিছু ক্ষত ধুলোর আস্তরের নিচে চাপা থাকা আগ্নেয়গিরির মতো, সামান্য আঘাতেই লাভা উদগীরণ করতে প্রস্তুত থাকে।

প্লেনের জানালা দিয়ে মেঘের সমুদ্র দেখতে দেখতে রাফিদের মনে হচ্ছিল, সে যেন সময়ের স্রোতে ভেসে আবার সেই পুরোনো ঘাটে ফিরে আসছে, যে ঘাট থেকে সে একদিন সব বন্ধন ছিন্ন করে যাত্রা শুরু করেছিল। ঢাকা নামটা কানে বাজতেই বুকের ভেতরটা কেমন যেন ফাঁকা হয়ে গেল। এই শহর, এই মাটি—তার শেকড়। অথচ এই শেকড়ই তাকে সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা দিয়েছে।

গফুর চাচার ফোনটা যখন এসেছিল, রাফিদ তখন সিডনিতে তার অ্যাপার্টমেন্টের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ব্রিজের দিকে তাকিয়ে ছিল। চাচা ফোঁপাতে ফোঁপাতে যা বলেছিলেন, তা শোনার জন্য রাফিদ প্রস্তুত ছিল না।

"বাবা, তোমার মা... তোমার মা আবার শেখ বাড়িতে শালিসি বসাইতে চায়।"

শালিসি! কেন?

গফুর চাচার পরের কথাগুলো ছিল আরও অবিশ্বাস্য, "তোমার মা চায় তুমি রাহাতের অংশটা ওরে ফিরাইয়া দেও। গ্রামের মুরুব্বিদের ডাইকা বিচার বসাইয়া। কইবো, বড় ভাই হইয়া তুমি ছোট ভাইয়ের হক মাইরা খাইতাছ।"

রাফিদের হাত থেকে কফির মগটা প্রায় পড়েই গিয়েছিল। একটা ঠান্ডা স্রোত তার শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে গেল। সে হাসবে না কাঁদবে, বুঝতে পারছিল না। যেই মা'কে সে সাত বছর আগে শেখ বাড়ির রানির আসনে বসিয়ে দিয়ে এসেছিল, যার মাসের টাকা সে কোনোদিন একদিনের জন্যও এদিক-ওদিক হতে দেয়নি, সেই মা তার পিঠে এভাবে ছুরি বসাতে পারেন?
কেনই বা পারবেনা? রাহাত তো তার আদরের কলিজার টুকরো।

রাফিদ ভাবতেও পারিনি আবার তার মা তার সাথে এমনটা করতে পারেন।

যেই মাকে রাহাত ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলো রাস্তায়, সেখান থেকে তুলে রাফিদ মাকে দিয়েছিলেন রানীর মর্যাদা, শেখ বাড়ির সম্মান। আর আজ সেই মা-ই তার ছোট ছেলের জন্য আবার বড় ছেলেকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন!
মায়ের কি ন্যূনতম লজ্জাবোধটুকুও নেই?

রাহাত জুয়া খেলে, মেয়েদের পেছনে টাকা উড়িয়ে শেখবাড়ির সম্মানটুকু বিক্রি করতে বসেছিল, অন্য কারো কাছে সামান্য দামে বাড়ির অংশ তুলে দিতে চেয়েছিল, গফুর চাচা যদি রাফিদকে খবরটা না জানাতো? তখন শেখ বাড়ির এক অংশ হাতছাড়া হয়ে যেতো এই বড় ভাই-ই দ্বিগুণ দামে সেই অংশ কিনে নিয়েছিল। শুধু তাই নয়, তাকে আর তার স্ত্রী তানহাকে সেই বাড়িতেই মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়েছিল। এমনটা তারা কীভাবে করতে পারে?

বিমানের চাকা রানওয়ে স্পর্শ করার সাথে সাথে একটা ঝাঁকুনি খেল রাফিদ। স্মৃতির জট থেকে বাস্তবে ফিরে এল সে। ঢাকা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সাত বছর আগের সেই ভীরু, অপমানিত, পালিয়ে যাওয়া রাফিদ আজ ফিরছে একজন প্রতিষ্ঠিত, আত্মবিশ্বাসী মানুষ হিসেবে। কিন্তু ভেতরের ক্ষতগুলো কি শুকিয়েছে?

ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে বেরিয়ে আসতেই চোখে পড়ল চেনা মুখটা। গফুর চাচা। সাতটা বছরে মানুষটার বয়স যেন এক ধাক্কায় অনেকখানি বেড়ে গেছে। চুল প্রায় সব সাদা, চামড়ায় পড়েছে গভীর বলিরেখা। কিন্তু চোখের সেই স্নেহময় দৃষ্টিটা আগের মতোই আছে। রাফিদকে দেখামাত্রই তিনি দৌড়ে এলেন।

"বাবা, আইসা পড়ছ!"—বলতে গিয়ে তার গলা ধরে এল। রাফিদ এগিয়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরল। এই একটা মানুষের বুকেই সে নিঃস্বার্থ আশ্রয়ের গন্ধ পায়।

"কেমন আছেন, চাচা?" রাফিদের গলাটাও ভারি শোনাল।

"তোমার লাইগা অপেক্ষা করতে করতে তো বুড়া হইয়া গেলাম। আর তুমি না আইলে আমি মাইয়ার বিয়া দিতাম না, বাবা। দরকার হইলে সব ছাইড়া আবার গ্রামে চইলা যাইতাম।"

গফুর চাচার এই সরল অভিমানটুকুই রাফিদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। এই মানুষটার অনুরোধ সে ফেলতে পারে না। রাফিদ মূলত দেশেই ফিরেছে গফুর চাচার মেয়ের বিয়ের জন্য। চাচা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাফিদ না এলে তিনি কোনো অনুষ্ঠান করবেন না। এমনকি রাফিদের দেওয়া ফ্ল্যাট ছেড়ে গ্রামে চলে যাবেন। যার কাঁধে মাথা রেখে একদিন সে নতুন জীবন শুরু করার শক্তি পেয়েছিল, তাকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা রাফিদের নেই।

গাড়িতে ওঠার পর ঢাকার চিরচেনা যানজট আর কোলাহল রাফিদকে ঘিরে ধরল। সাত বছরে শহরের চেহারা অনেক বদলেছে। ফ্লাইওভার, মেট্রোরেলের বিশাল পিলার—সবকিছুই যেন উন্নয়নের বিজ্ঞাপন। কিন্তু মানুষের ভেতরের লোভ, হিংসা, আর স্বার্থপরতার কি কোনো বদল হয়েছে? শেখ বাড়ির মানুষদের তো হয়নি।

গফুর চাচা ড্রাইভারের পাশের সিটে বসে আড়চোখে বারবার রাফিদকে দেখছিলেন। তিনি বললেন, "বাবা, শালিসির কথা হুইনা তুমি রাগ করছ জানি। কিন্তু তোমার মা'রে... "

রাফিদ তাকে থামিয়ে দিল। শান্ত কিন্তু কঠিন গলায় বলল, "চাচা, ওই বাড়ির প্রসঙ্গ এখন থাক। আমি আপনার মেয়ের বিয়ের জন্য এসেছি। সব আয়োজন ঠিকঠাক হচ্ছে তো?"

গফুর চাচা বুঝলেন, রাফিদ প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যেতে চাইছে। তার ভেতরের ঝড়টা তিনি আঁচ করতে পারছিলেন। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, "সব ঠিক আছে, বাবা। তোমার বইনে তার ভাই ছাড়া বিয়ের পিঁড়িতে বসব না বইলা দিছিল।"

রাফিদ ম্লান হাসল। যার নিজের কোনো বোন নেই, সে আজ অন্যের ভাই হয়েছে। অথচ নিজের আপন মা, আপন ভাই তাকে তাদের, নিজের কেউ বলে দাম দেয়না।

গাড়ির কাঁচের বাইরে ছুটে চলা শহরের দিকে তাকিয়ে রাফিদের স্পষ্ট মনে পড়ে গেল সেই দিনটার কথা। তার চাকরিটা চলে গিয়েছিল। বেকার, দিশেহারা অবস্থায় যখন সে মাকে বলেছিল , তখন তার মা লোকজন জড়ো করে, ঘরভাড়া বাবদ, ৬০০০ টাকা চেয়েছিল। আমিনা বেগম এই টাকা দেওয়ার ক্ষমতা রাফিদের নেই, সে এই বাড়ি ছাড়তে বাধ্য। কোনো সমবেদনা না জানিয়ে, স্বার্থপরতা আর বিরক্তির চোখে বলেছিলো,

"চাকরি নাই, এখন কী করবি?" তোর বউ আর তোকে কে খাওয়াবে?
"চেষ্টা করছি মা, একটা না একটা চাকরি পেয়ে যাবো ।"
"ততদিন? রাহাতের পাঠানো টাকায় বসে বসে খাবি? সেই জন্যই তো আমি এই বাড়িতে শালিসি ডেকেছি"
আমাকে ৬০০০ টাকা দে নয়লে চলে যা।"

সেই কথাগুলো শলাকার মতো বিঁধেছিল রাফিদের বুকে।

হ্যাঁ, এক কাপড়ে। নিজের জন্ম দেওয়া সন্তানকে তার মা এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন, যেন সে ছোট ছেলে রাহাতের রোজগারে ভাগ বসাতে না পারে।

রাফিদ শেখ বাড়ি থেকে বের হবার কিছুক্ষণ পরেই ইতালি থেকে ফোন করেছিল রাহাত। সেই ফোনকলটা ছিল কফিনের শেষ পেরেক।

"হ্যালো, রাফিদ?" রাহাতের গলায় ছিল আদেশের সুর।
"হ্যাঁ, রাহাত..."
"শোন, মা সব বলেছে। তুই এখন থেকে শেখ বাড়ির পরিচয়টা কোথাও দিবি না। লোকে জানলে আমার সম্মান থাকবে না। আমার বন্ধুরা জানলে হাসাহাসি করবে। তুই আমার ভাই, এটা ভুলে যা। তাছাড়া আমার বিয়ে-শাদি করতে হবে। শশুর বাড়ির লোক এটা জানলে আমি বিয়েও করতে পারবো না "

ফোনটা কেটে গিয়েছিল। রাফিদ সেদিন নির্বাক হয়ে গিয়েছিল। যে মা তাকে জন্ম দিয়েছেন, তিনি তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। যে ভাইকে সে ইতালি পাঠিয়েছে, সে তার পরিচয়টুকুও মুছে ফেলতে চায়। সেই দিনই রাফিদের ভেতরের নরম মানুষটা মরে গিয়েছিল।

এইসব ভাবতে ভাবতে গাড়িটা কখন যে শেখ বাড়ির সেই চিরচেনা রাস্তায় ঢুকে পড়েছে, রাফিদ খেয়ালই করেনি। বাড়ির সামনে গাড়ি থামতেই তার বুকের ভেতরটা ধক করে উঠল। এই সেই বাড়ি! যেখান থেকে তাকে এক কাপড়ে বের করে দেওয়া হয়েছিল। যার প্রতিটি ইট, কাঠ তার বঞ্চনার সাক্ষী। আজ এই পুরো বাড়ির মালিক সে। রাহাতের অংশটুকুও তার নামে। অথচ কী আশ্চর্য! বাড়ির ওপর তার কোনো অধিকারবোধ জন্মাচ্ছে না, জন্মাচ্ছে একরাশ তিক্ততা।

গাড়ি থেকে নামতেই দরজা খুলে বেরিয়ে এল রাহাত আর তার স্ত্রী তানহা। রাহাতের চেহারায় সেই আগের ঔদ্ধত্য নেই, কেমন একটা ম্রিয়মাণ ভাব। তানহার চোখেমুখে অস্বস্তি। তাদের পেছনেই দরজার চৌকাঠে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাফিদের মা, শেখ বাড়ির কর্ত্রী—আমিনা বেগম। সাত বছরে তার চেহারায় আভিজাত্য বেড়েছে, কিন্তু চোখের সেই উদাসীনতা কমেনি।

রাফিদ সোজা হেঁটে বাড়ির ভেতরে ঢুকতে লাগল, কারো দিকে না তাকিয়ে। যেন তারা কেউ সেখানে উপস্থিতই নেই। এই উপেক্ষাটা ছিল তরবারির চেয়েও ধারালো।

রাহাত আমতা আমতা করে বলল, "ভাই,তুই আবার এসেছিস?"

রাফিদ থামল। রাহাতের দিকে না তাকিয়েই কঠিন গলায় বলল, "বাড়িটা আমার। আমি আসব, এটাই স্বাভাবিক।"

এরপর সে তার মায়ের দিকে তাকাল। সেই চোখে কোনো অভিযোগ ছিল না, অভিমান ছিল না। ছিল শুধু এক গভীর নীরাবতা। যে নীরবতা বুঝিয়ে দিচ্ছিল, সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে গেছে সে।

আমিনা বেগম ছেলের এই দৃষ্টিতে কিছুই আচ করতে পারলেন না। তিনি চোখ নামিয়ে নিলেন।

"আমার থাকার ঘরটা ঠিক করা আছে?" রাফিদ প্রশ্নটা করল গফুর চাচাকে।

"হ্যাঁ, বাবা। তোমার পুরান ঘরটাই আমি নিজের হাতে পরিস্কার করছি।"

রাফিদ আর এক মুহূর্তও সেখানে দাঁড়াল না। সোজা সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় তার ঘরের দিকে এগিয়ে গেল। পেছনে ফেলে গেল একরাশ অস্বস্তি আর নীরবতা।

নিজের ঘরে ঢুকে দরজাটা বন্ধ করে দিল রাফিদ। ঘরটা আগের মতোই আছে। বইয়ের তাক, পড়ার টেবিল, খাট—সবকিছু পরিপাটি করে গোছানো। কিন্তু এই ঘরের বাতাসে যেন এখনো তার কৈশোরের হাহাকার আর যৌবনের অপমান মিশে আছে।

জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাইরে তাকাল সে। উঠোনে মা আর ভাই এখনো দাঁড়িয়ে আছে। তাদের বিহ্বল চেহারাটা কাঁচের ভেতর দিয়েও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তারা হয়তো ভেবেছিল, সাত বছর পর রাফিদ ফিরবে একরাশ অভিযোগ নিয়ে, চিৎকার করবে, পুরোনো হিসেব মেলাতে চাইবে। কিন্তু এই শান্ত, শীতল, নিরাসক্ত রাফিদকে তারা চিনতে পারছে না। এই রাফিদ তাদের অচেনা।

রাফিদ জানে, এই লড়াইটা চিৎকারের নয়, ক্ষমতার। শালিসি তারা ডেকেছে। এখন সেই শালিসিতেই রাফিদ তাদের বোঝাবে, নির্বাসিত রাজপুত্র যখন নিজের রাজ্যে ফেরে, তখন সে আর করুণার পাত্র থাকে না। সে আসে নিজের সাম্রাজ্যের ভিত্তি আরও মজবুত করতে।

তার আগমনী বার্তাটা সে দিয়ে দিয়েছে। আজ খেলাটা শুরু হবে তার নিয়মে।
চলবে...

#গল্প_শেখবাড়ির_বড়ছেলে
#সিজন২
#লেখিকা:এ_এইচ_স্পর্শ

প্লান করে মামির বদলে আমি – ১লেখিকা: সুমি আক্তার আমি ডালিয়া , বর্তমানে আমি বিবাহিত ৷ আমার কাহিনিটা বলব আজ থেকে আট বছর আগে...
26/08/2025

প্লান করে মামির বদলে আমি – ১
লেখিকা: সুমি আক্তার

আমি ডালিয়া , বর্তমানে আমি বিবাহিত ৷ আমার কাহিনিটা বলব আজ থেকে আট বছর আগের ৷ আমার দুই ভাই আর দুই বোন , আমি ছোটো ৷ আমার দুই মামা , ছোটো মামা বেসরকারি চাকরি করে , কোলকাতায় থাকে ৷ মামা কোলকাতায় ফ্লাট ভাড়া করে থাকে ৷ মামা মাসে তিন সপ্তাহ মতো কোলকাতার বারে যেতে হয় কম্পানির কাজে , মামি একা ফ্লাটে থাকে তাই মামার অনেক অনূরোধে আমার মা আমাকে মামার কাছে পাঠিয়ে দেয় ৷ আমি মামার খরচায় কোলকাতায় থাকি আর লেখাপড়া করতাম ৷

মামি আর আমি খুব আনন্দ , মজা কলতাম ৷ মামি আর আমার এমন সব চলাফেরা বা কথা হতো যেমন ভাবি আর ননদের কথা হয় ....
📌✅ গল্পের সম্পূর্ণ অংশ কমেন্ট বক্সে লিংক দেওয়া আছে

মা সমতুল্য ম্যডামের সাথে📒মিস এর স্বামী মিস এর ছেলে হওয়ার পর থেকেই প্যারালাইজড। তিনি বিছানায় থাকেন সারাক্ষণ। দেখাশোনা ম...
26/08/2025

মা সমতুল্য ম্যডামের সাথে📒

মিস এর স্বামী মিস এর ছেলে হওয়ার পর থেকেই প্যারালাইজড। তিনি বিছানায় থাকেন সারাক্ষণ। দেখাশোনা মিস নিজেই করেন।

মিস এর একমাত্র ছেলে ছোটো বেলা থেকে পড়াশোনায় ভালো থাকার জন্য অল্পবয়সেই চাকরি পেয়ে বাইরে চলে গেলো।

মিস ২টো রুমে ছেলে রেখে মেস চালাতেন। মিস নিজের রুমে ছোটো দের রাখতেন আর পাশের রুমে বড়ো দের।

যখন আমার ক্লাস 12 হলো তখন সাহস অনেকটাই বেড়ে গেলো। আর সেই সময় আমি একটা সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন ইউজ করতে শুরু করলাম।

হঠাৎ একদিন মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। মিস সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পুজো করেন, তারপর অন্য কাজ করেন।

ঘুম থেকে উঠে সবাইকে অন্য রুমে যেতে বলেন আর একটা রুমে গিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করেন, বাথরুমে না—কারণ পুজো করেন বলে।

আমি সেই সময়টা কাজে লাগিয়ে

সম্পুর্ন গল্পটি প্রথম কমেন্ট দেওয়া আছে ✅✅

দীপা দিদি আমার কাছে কি চায়, মাত্র বুঝলাম,, 😍এটা আমার বাড়িতে ফেরার পরবর্তী একটা ঘটনা। কয়েকদিন পর জামাইবাবু আর আমার বোন র...
26/08/2025

দীপা দিদি আমার কাছে কি চায়, মাত্র বুঝলাম,, 😍

এটা আমার বাড়িতে ফেরার পরবর্তী একটা ঘটনা। কয়েকদিন পর জামাইবাবু আর আমার বোন রুপালি বাড়িতে আসে। বাড়িতে মানুষ বেড়ে যায়। বড় বাড়িতে মানুষ না থাকলে মনে হয় সব ফাঁকা। আমি দিদিকে একা পেয়ে বলি, তোদের খুব মিস করছি দিদি,, 🫦

চলে আসলি কেন তোরা তো থাকতে পারতি। না ভাবলাম আমরা থাকলে তুমি সব সময় আমাদেরকে নিয়ে ব্যস্ত থাকো। তাই চলে আসলাম জামাইবাবু যেন এক্সট্রা সময় পায়। রাখ তোর জামাইবাবুর সময়। বিয়ের পর থেকে তো তাকে সময় দিচ্ছিস তুই। এতদিন পর আসছিস আমার কত ভালো লাগছে,,,

সম্পূর্ণ অংশ ফাস্ট কমেন্টে দেওয়া আছে ❤️‍🔥
রেগুলার নতুন নতুন গল্প পেতে ফলো‌‌ দিয়ে পাশে থাকো ✅

#চটি #চটিগল্প #বাংলাচটি #বাংলাচটিগল্প #চটিকাহিনী

বিয়েবাড়িতে আমার বউয়ের সাথে আজকের কাহিনি,, 😍আমার বউয়ের নাম সঙ্গীতা. সে একটা অফিসে চাকুরি করে.  কিন্তু এসব এর মধ্যেও আমাদে...
26/08/2025

বিয়েবাড়িতে আমার বউয়ের সাথে আজকের কাহিনি,, 😍

আমার বউয়ের নাম সঙ্গীতা. সে একটা অফিসে চাকুরি করে. কিন্তু এসব এর মধ্যেও আমাদের সুখী পরিবার. এইসব নিয়েই চলছিল. এবার আমার জীবনে ঘটে গেলো এক আনন্দের ঘটনা. শশুর বাড়ি এলাকা থেকে সংগীতার এক বান্ধবীর বিয়ের নেমন্তন্ন এলো আমাদের . খুব আনন্দের সাথে আমরা গেলাম বিয়ে বাড়ি,,

বিয়ের দিন সব ঠিক ঠাক ছিল. পরের দিন ছিল বৌভাত। সবাই সেজে গুঁজে বউভাত এ বর এর বাড়ি যাওয়া হলো। ওখানে গিয়ে দেখা হয়ে গেলো সঙ্গীতার পুরোনো ফ্রেন্ড সাগ্নিক এর সাথে। এই ছেলে টার কথা আমি সঙ্গীতার কাছে আগেও শুনেছি,,

সম্পূর্ণ অংশ ফাস্ট কমেন্টে আছে ❤️‍🔥
নিয়মিত গল্প পড়তে পেইজটি ফলো করো ✅

#চটি #চটিগল্প #চটিকাহিনী #পারিবারিক_চটিগল্প #বাংলাচটি

 #নিষিদ্ধ_প্রণয় #পর্বঃ১৩ #সোনালিকা_বিনতে_আইজাবজ্রপাতের ন্যায়ে কাঁপছে চারিধার। ভুঁইয়া পরিবারের প্রতিটা সদস্য স্তব্ধ, হতভম...
23/08/2025

#নিষিদ্ধ_প্রণয়
#পর্বঃ১৩
#সোনালিকা_বিনতে_আইজা

বজ্রপাতের ন্যায়ে কাঁপছে চারিধার। ভুঁইয়া পরিবারের প্রতিটা সদস্য স্তব্ধ, হতভম্ব। যে কেউ দেখলে মনে করবে এরা সবাই পাথরের কোনো মুর্তি। হসপিটালের একদম শেষ কোণার ভিআইপি রুমে রাখা হয়েছে তুবাকে। আপাতত বারান্দার শেষ প্রান্ত তুবার পরিবারের সদস্য দিয়ে পরিপূর্ণ। খোলা জানালা দিয়ে পাখির কিচিরমিচির ডাক ব্যাতিত অন্য কোনো শব্দ নেই। পিনপতন নীরবতা বিরাজ করলো কিছুক্ষণ। পাথরের মুর্তি থেকে এবার জীবন্ত মানুষ হয়ে উঠলেন ময়না বেগম। তিনিই প্রথম নীরবতা ছিন্ন করলেন। ধুপধাপ পা ফেলে দড়জা খুলে ভেতরে ঢুকলেন।

হসপিটালের শুভ্র রঙা বিছানায় চিন্তিত মুখে শুয়ে ছিলো তুবা। মনের ভেতর চলছিল এলোমেলো তুফান। কি জবাব দেবে পরিবারকে? তুবার আকাশ সমান চিন্তার মাঝেই হুট করে সেখানে উপস্থিত হলেন ময়না বেগম। তুবা এক নজর নিজের মাকে দেখার সুযোগ পেয়েছে শুধু। এর পরপরই ময়না বেগম একটানে তুবাকে শোয়া থেকে উঠিয়ে বসালেন। সেকেন্ডের ব্যাবধানে দুই দুই চারটে থাপ্পড় পড়লো তুবার গালে। শক্ত থাপ্পড়ের দাপটে তাল সামলাতে না পেরে ছিটকে ডানে হেলে পড়লো তুবা। হাতের স্যালাইন চলতে থাকা ক্যানুলায় টান লেগে উপর দিকে রক্ত উঠে গেলো। অতর্কিত আক্রমনে হতভম্ব তুবা। অস্ফুট স্বরে আর্তনাদ করে উঠলো।

অবস্থা বেগতিক দেখে পরিবারের বাকি সদস্যরা হুড়মুড়িয়ে ভেতরে ঢুকলো। কনকচাঁপা বেগম পেছন থেকে জাপ্টে ধরলেন ময়না বেগমকে। কিন্তু তাকে ধরে রাখা দায়। হাত ছাড়িয়ে ছুটে যেতে চাইছেন যেনো। চেহারার ভয়াবহতা স্পষ্ট জানান দিচ্ছে আজ মেয়েকে মেরে বস্তুায় ভরে যমুনা নদীতে ভাসিয়ে দেবেন। তুবাকে সামলাতে গেলো রিয়া। রিয়ার পেটে মুখ গুঁজে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললো তুবা। থরথর করে কাঁপছে মেয়েটা। অত্যাধিক ভয় দিশেহারা। ময়না বেগম নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে চেঁচিয়ে উঠলেন,

"ভাবি ছাড়ুন আমাকে। আজ আমি ওকে মেরেই ফেলবো। অসভ্য মেয়ে। শেষে কি না অবিবাহিত অবস্থায় কোনো ছেলের সঙ্গে... ছি ছি ছি। এই মেয়ে আমি রাখবো না। ওকে মেরেই ফেলবো।"

কনকচাঁপা বেগম শক্ত করে চেপে ধরে আছেন ময়না বেগমকে। স্ত্রীকে বেশি গর্জন করতে দেখে ধমকে উঠলেন তাওহীদ সাহেব,

"হসপিটালে রঙ তামাশা শুরু করেছো কেনো? এখানে কোনো হাঙ্গামা নয়। যা কথা হওয়ার বাড়িতে গিয়ে হবে।"

"কি কথা বলবে বাড়ি গিয়ে? কথা বলে কোনো মিমাংসা হবে? তোমার মেয়ে চুনকালি মাখিয়ে দিলো বংশের মুখে। এই গতকালই ওর বিয়ের প্রস্তাব এসেছে। কত ভালো একটা ছেলে ওকে বিয়ে করতে চাইছে। আর আজই তোমার মেয়ে কিনা..... ছিহ্!"

ঘৃনায় মুখ কুঁচকে নিলেন ময়না বেগম। সেকেন্ডের ব্যবধানে ফের বলে উঠলেন,

"ডাক্তারকে ডাকো। এই বাচ্চা রাখা যাবে। এই বাচ্চা থাকলে আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে। ওকে দুনিয়া থেকে সরাতে বলো। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওর বিয়ে দিয়ে দেবো।"

বলতে বলতে স্ব শব্দে চড় পড়লো ময়না বেগমের গালে। উপস্থিত সবাই হতভম্ব। তাওহীদ সাহেব গর্জে উঠলেন,

"কোন পরিস্থিতিতে কি কথা বলতে হয় জানো না তুমি? না জেনে থাকলে শিখে নাও। যাও বেরোও এখান থেকে।"

পরিস্থিতি আরও ঘেঁটে যাওয়ায় ময়না বেগমকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেলেন কনকচাঁপা বেগম। একে একে সবাই বেরিয়ে গেলো। তুবা অত্যন্ত ভয় পেয়ে আছে। কিছুটা শান্ত হলে আলোচনা করে সমাধান করা যাবে।

-
-

অফিস থেকে হসপিটাল পৌঁছাতে কৌশিকের মিনিট বিশেক সময় লেগেছে। এতটুকু সময়ের ব্যবধানে এতো ঝড় বয়ে গেলো। রিসিপশন থেকে তুবার রুম নাম্বার জেনে সেদিকে ছুটে আসলো কৌশিক। অত্যাধিক চিন্তায় চেহারার নাজেহাল অবস্থা। বারান্দার শেষ প্রান্তে আসতেই দেখতে পেলো তার পরিবারের সদস্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তবে পুরো বারান্দা জুড়ে গুমোট ভাব। কৌশিক পায়ের গতি বাড়লো। ময়না বেগমকে কাঁদতে দেখে ওর অস্থির চিত্ত আরও বেশি অস্থির হয়ে উঠলো। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে পাগলের মতো প্রশ্ন করলো,

"তুবা! তুবা কোথায়? মা তুবা কোথায়? নীরব তুবা কোথায়?"

কন্ঠে ছিলো একরাশ ব্যাকুলতা। একবুক ভয়। এক আকাশ পরিমাণ আশঙ্কা। ময়না বেগম যেনো কথা বলার সুযোগ খুঁজে পেলেন। কৌশিকের সামনে অভিযোগের ঝুড়ি খুলে বসলেন,

"কোথায় আর যাবে? মরে কি আর শান্তি দেবে আমাদের? ভেতরেই আছে অসভ্যটা।"

কৌশিক সেই মুহুর্তে ময়না বেগমের রাগের কারণ বুঝতে পারলো না। ভ্রু কুঁচকে তাকালো শুধু। ময়না বেগম ফের অভিযোগ তুললেন,

"জানো কৌশিক? তোমার ওই অসভ্য বোন কি করেছে? পরিবারের মুখে চুনকালি মাখিয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। আমার অবিবাহিত মেয়ে মা হতে যাচ্ছে। ভাবতে পারছো?"

কৌশিকের কানে কঠিন বজ্রপাতের শব্দ ভেসে এলো। মুহুর্তের মধ্যেই থমকে গেলো হৃৎস্পন্দন। তুবা মা হতে যাচ্ছে শব্দটা সজোরে বারি মারলো মস্তিষ্কে। দেহের শিরা উপশিরা জেগে উঠলো কৌশিকের। গায়ে কাটা দিয়ে উঠলো। নিজের অস্তিত্বের সংবাদ মনের মধ্যে অদ্ভুত এক অনুভূতি তৈরি করলো। এই অনুভুতির সাথে কৌশিক পূর্ব পরিচিত নয়। শক্তিহীনের মতো দুকদম পিছিয়ে গেলো কৌশিক। দেয়ালের সাথে সারি সারি বিছিয়ে রাখা চেয়ারে ধপ করে বসে পড়লো। মাথাটা আপনাআপনি নিচু হয়ে গেলো। এই মুহুর্তে এই পরিস্থিতির জন্য কৌশিক মোটেও প্রস্তুত ছিলো না। কোনো উত্তর তার ভেতরে সাজানো নেই। অবোধের মতো মাথা নিচু করে বসে রইলো শুধু।

এই পর্যায়ে জামাল সাহেব মুখ খুললেন। তিনি চিন্তিত স্বরে বললেন,

"পিতৃহীন সন্তান পৃথিবীতে না আনাই ভালো। এতে আমাদের মেয়ের নামে বদনাম রটে যাবে। তারচেয়ে বরং হসপিটালে থাকতে থাকতেই কোনো একটা সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন।"

বাবার কথা শেষ হতে না হতেই রক্ত চক্ষু নিয়ে তাকালো কৌশিক। বাঘের মতো গর্জে উঠলো,

"খবরদার বলছি বাবা! এমন চিন্তা কেউ মাথাতেও আনবে না। তুবার গর্ভের সন্তানের বাবা আমি। ও আমার সন্তান। আর আমি বেঁচে থাকতে আমার স্ত্রী সন্তানের গায়ে ফুলের টোকাও লাগতে দেবো না।"

এই মুহুর্তে কৌশিকের কথাগুলো দ্বিতীয়বার বজ্রপাত ঘটালো সবার মাথায়। হতভম্ব পরিবার এবার দ্বিগুণ হতভম্ব হয়ে গেলো। তাদের মনে হচ্ছে আজ বজ্রপাত ঘটারই দিন। মিনিটে মিনিটে সেকেন্ডে সেকেন্ডে অদৃশ্য বজ্রপাত ঘটছে। তবে কৌশিকের কথা শুনে একটা বাজ যেনো সোজা জামাল সাহেবের মাথার ওপর পড়লো। কৌশিক আর কারোর দিকে তাকালো না। সোজা পা বাড়ালো তুবার কেবিনের দিকে। যেতে যেতে বলে গেলো,

"বাড়ি ফিরে যাও সবাই। বিচার সালিশ যা আছে সব ভুঁইয়া মঞ্জিলে হবে। আমি আমার বউ বাচ্চাকে নিয়ে আসছি।"

জামাল সাহেব বুকে হাত চেপে ধরলেন। হুট করেই শ্বাস কষ্ট শুরু হয়ে গেলো যেনো। হার্ট অ্যাটাক হবে হবে ভাব।

-
-

শক্ত চেহারা নিয়ে কেবিনে ঢুকলেও, বেডে শুয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকা তুবাকে দেখে নমনীয় হয়ে এলো কৌশিক। চোখ দুটো লালচে রঙ ধারণ করলো। সেকেন্ডের ব্যবধানে দৌড়ে গিয়ে ঝাপিয়ে পড়লো তুবার ওপর। তুবার পিঠের নিচে দুই হাত ঢুকিয়ে পেচিয়ে ধরলো নিজের সাথে। ক্রন্দনরত তুবার পুরো মুখ জুড়ে অজস্র চুমু খেলো। মুখের এক চিমটি জায়গাও বাদ রাখলো না ঠোঁট ছোঁয়াতে। তুবার পুরো মুখ জুড়ে অজস্র চুমুতে ভরিয়ে দিয়ে ঘাড়ে মুখ গুঁজল কৌশিক। পাগলের মতো বিলাপ করতে করতে বললো,

"স্যরি স্যরি স্যরি জান। রিয়েলি ভেরি স্যরি। আমার আসতে অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমার উচিত ছিলো তোর কাছেই থাকা।"

তুবা জবাব দিলো না। কৌশিকের গলা জড়িয়ে ধরে শব্দ করে কেঁদে দিলো। তুবার শরীরের কম্পন স্পষ্ট টের পেলো কৌশিক। কেমন থরথর করে কাঁপছে মেয়েটা। হৃদপিণ্ড লাফিয়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে। কৌশিক তুবার চুলে হাত ডোবালো। সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করলো তুবাকে শান্ত করার। এই সময় প্যানিক এ্যাটাক করা বাচ্চার জন্য বিপদজনক। দেহের কাঁপুনি থামছে না দেখে নিরুপায় হয়ে কৌশিক তুবার ওষ্ঠে ওষ্ঠ চেপে ধরলো। একদম শক্ত করে। এরপর ধীরে ধীরে নমনীয় হলো। ঠোঁটে নরম কোমল ছোঁয়ায় তুবার কান্নার বেগ কমলো। তুবার ওপর ঝুঁকে থাকা কৌশিকের চোখ থেকে দু ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো তুবার মুখে। তুবার কান্না এইবার পুরোপুরি থেমে গেলো। অবাক হয়ে কৌশিকের পিঠ থেকে দুই হাত সরালো। ক্যানুলা লাগানো রোগাক্রান্ত হাতটা কৌশিকের গালে রাখলো।

"আপনি কাঁদছেন কৌশিক ভাই?"

কৌশিক ঘাড় ঘুরিয়ে পড়নের শার্টের হাতায় চোখ মুছলো। লাল লাল চোখ নিয়ে জোর করে হাসলো। তুবার কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে বললো,

"আমার অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে জান। জানি না কেমন লাগছে। আমি ঠিক বোঝাতে পারছি না। এই অনুভুতির নাম কি তুবা?"

তুবা কোনো জবাব দিলো না। শুধু নির্মিশেষ তাকিয়ে রইলো কৌশিকের মুখপানে। খানিকটা সময় কেটে গেলো সেভাবেই। মিনিটের নিরবতা ছিন্ন করে কৌশিক বললো,

"এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো জান?"

"এখন কি হবে কৌশিক ভাই? বাসায় সবাই সব জেনে গেছে। এখন কি জবাব দেবো সবাইকে? মা আমাকে মেরেই ফেলবে।"

হুঁশ! তর্জনি আঙ্গুল দিয়ে তুবার ঠোঁট চেপে ধরলো কৌশিক। নিচু কন্ঠে বললো,

"বলেছি না, কোনো চিন্তা করবি না। সব চিন্তা আমার। সবার প্রশ্নের উত্তর আমি দেবো। সব আঘাত আমি সয়ে নেবো। কিন্তু তোকে আড়ালে রাখবো। প্রমিস!"

তুবা ফের কৌশিকের গলা জড়িয়ে ধরলো। নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। চোখ থেকে তরল অশ্রুধারা তখনও বইছে। খট করে দড়জা খোলার শব্দে সোজা হয়ে দাঁড়ালো কৌশিক। লালচে চোখদুটো নার্সের থেকে আড়াল করলো। নার্স এগিয়ে এসে সরাসরি প্রশ্ন করলো,

"আপনি কে?"

"আমি পেসেন্টের হাসবেন্ড।"

তৎক্ষনাৎ জবাব দিলো কৌশিক। নার্স প্রতিউত্তরে বলল,

"ডিসচার্জের সব ফর্মালিটি শেষ। আপনি আপনার ওয়াইফকে বাসায় নিয়ে যেতে পারেন। আপনার ফ্যামিলির সবাই চলে গেছে।"

এতটুকু বলেই নার্স চলে গেলো। দড়জার দিকে এক পলক তাকিয়ে তুবার পাশে বসলো কৌশিক। তুবার ক্যানুলা লাগানো হাতটা নিজের হাতে নিয়ে নিলো। আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়াল সেখানে। তাকিয়ে দেখলো তুবার দুই গালে চার আঙ্গুলের দাগ স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। কৌশিক আলতো করে হাত ছোঁয়াল গালে। অসহায় কন্ঠে বললো,

"ব্যথা করছে জান?

তুবা মাথা ডানে বামে নেড়ে না বোঝালো। কৌশিক আর কথা বাড়ালো না। ছোট্ট করে বললো,

"বাড়ি চল।"

-
-

বাড়ি ফিরেই সবার আগে তুবাকে দোতলায় পাঠিয়ে দিয়েছে কৌশিক। পারিবারিক কলহ থেকে যথা সম্ভব দূরে রাখতে চাইছে তুবাকে। সবার প্রশ্নের জাতাঁকলে পড়লে তুবার স্ট্রেস বাড়বে তাই।

ড্রয়িং রুমে উপস্থিত হয়েছে পরিবারের সবাই। খবর পেয়ে মৌমিতাও ছুটে চলে এসেছে। ড্রয়িংরুমের সোফায় মাথা নিচু করে বসে আছে কৌশিক। পুরো পরিবার ওকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে আছে। তাদের চোখে মুখে হাজারও প্রশ্নের ছড়াছড়ি। সবার দিকে এক নজর তাকিয়ে কৌশিক ছোট্ট করে বললো,

"আমি তুবাকে ভালোবাসি বাবা।"

সঙ্গে সঙ্গে স্ব শব্দে চড় পড়লো কৌশিকের গালে। দাঁতে দাঁত চেপে চড়টা হজম করে নিলো কৌশিক। জামাল সাহেব গর্জে উঠলেন,

"লজ্জা করছে না এই কথা বলতে? আমার বাড়িতে থেকে আমারই পিঠ পিছে একটা অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছো তুমি। আবার বুক ফুলিয়ে বলেও বেড়াচ্ছো "এই বাচ্চা আমার"। লজ্জা করছে না?"

"লজ্জা তো করছেই। কিন্তু না বলেও তো উপায় রাখোনি তোমরা। তাছাড়া কোনো অবৈধ সম্পর্কে জড়াইনি। তিন কবুল বলে হালাল ভাবে নিজের বউ বানিয়েছি তুবাকে।"

জামাল সাহেবের বুক ধরফর করে উঠলো। তিনি এক হাতে বুক চেপে ধরে সোফায় বসে পড়লেন। এ যেনো বিনা মেঘে আরও একটা বজ্রপাত। আর কত বজ্রপাত ঘটবে কে জানে? আজ তার হার্টঅ্যাটাক নিশ্চিত। তিনি কোনো মতে আঙ্গুল তুলে ভাঙা ভাঙা কন্ঠে বললেন,

"অসভ্য বেয়াদব। এটা আমার ছেলে? এই তুমি আমার ছেলে?"

"মনে হয় তোমারই। শিওর জানি না। মা ভালো বলতে পারবে।"

সিরিয়াস মুহুর্তে কৌশিকের এমন ত্যাড়া জবাবে হতভম্ব হয়ে গেলেন জামাল সাহেব। বুকের ব্যথা বাড়লো। লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে মন চাইছে। তিনি ফ্লোরের দিকে নজর রেখে কাঠকাঠ কন্ঠে বললেন,

"আমার এতো বছর ধরে অর্জিত মান সম্মান সব নদীতে ভেসে গেলো। নিজের ছোটো ভাইয়ের দিকেও চোখ তুলে তাকাতে পারছি না। আমার মাথা এতোটাই নিচু করে দিয়েছো তুমি। তোমার মতো অসভ্য ছেলের হাতে আমি আমার মেয়েকে তুলে দেবো না। তুবাকে ওর নানাবাড়ি পাঠিয়ে দেবো। ওর অন্য কোথাও বিয়ে দেবো। তবুও তোমার নাগালের মধ্যে রাখবো না।"

তুবাকে বাড়ি থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা শুনে চমকে উঠলো কৌশিক। সকল ধৈর্য্য সহ্য হারিয়ে ফেললো মুহুর্তেই। বাঘের মতো গর্জন দিয়ে বললো,

"আগুন লাগিয়ে দেবো বাবা। সবকিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেবো। তুবাকে না পেলে আমি জাস্ট মরে যাবো। কিন্তু মরার আগে সবাইকে মেরে দেবো।"

জামাল সাহেব ধমকে উঠলেন,

"বাড়াবাড়ির একটা সীমা আছে কৌশিক।"

"কোনো সীমা নেই। পৃথিবীর সবকিছুতে সীমারেখা টানা থাকলেও আমার ভালোবাসার কোনো সীমা নেই। আমি তুবাকে আকাশ সমান ভালোবাসি। অথৈ সমুদ্রের সমান আমার ভালোবাসার গভীরতা। স্বচ্ছ পানির ন্যায়ে আমার ভালোবাসার সত্যতা।
জানো বাবা, আমি তুবাকে ঠিক কতটা চাই? মানুষ জীবনের শেষ মুহুর্তে মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে ঠিক যতটা বাঁচতে চায়। তুবাকে আমি ঠিক ততটাই চাই। আমার নিঃশ্বাস চলে তুবার হাসিমুখ দেখে। ওকে এক পলক না দেখলেই হাঁপানি রোগীর মতো শ্বাস কষ্ট শুরু হয় আমার। আমি শ্বাস নিতে পারি না। তুমি আমার শ্বাস কেড়ে নিতে চাইছো বাবা? তাহলে নিজের হাতে কবরটাও খুঁড়ে রাখো। কারণ ছেলের খাটিয়া তোমাকেই কাঁধে তুলতে হবে।"

আবারও পিনপতন নীরবতা ছেয়ে গেলো পুরো ঘর জুড়ে। পরিবারের সকলে মুখের খেই হারিয়ে ফেললো যেনো। কনকচাঁপা বেগম এই পর্যায়ে সাহস করে এগিয়ে এলেন। অভিমান নিয়ে বললেন,

"আপনি সারাজীবন পরিবারকে কড়া শাসনেই রেখেছেন। কিন্তু ছেলে মেয়ের মন বোঝার চেষ্টা করেননি। আপনার কঠোরতায় বাচ্চাগুলো কথা গোপন করতে শিখে গেছে। আপনি যদি ওদের সাথে একটু সহজ হতেন তাহলে আজ এই দিন আসতো না। মনের ওপর মানুষ কখনো লাগাম টানতে পারে না কৌশিকের বাবা। কখন কার ওপর মন বসে যায় কেউ বুঝতে পারে? আপনি যদি ওদের ওপর প্রতি পদে পদে নিষেধাজ্ঞার বোঝা চাপিয়ে না দিতেন, তাহলে বহু আগেই আপনার ছেলে আপনার কাছে এসে বলতো বাবা, আমি তুবাকে ভালোবাসি। আপনি কি উপায় রেখেছেন বলার? আমার ছেলে মেয়ের কোনো দোষ নেই। সব দোষ আপনার আর আপনার তৈরি করা অদ্ভুত নিয়মের। এই নিয়ম আমি আর মানবো না। ছেলেও আমার, মেয়েও আমার। আমি ওদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছি। সারাজীবন আমার ছেলে মেয়ে আমার কোলেই থাকে। আমার মনে হয় না ছোটো ভাই বা ময়না এতে অখুশি হবে।"

বলেই তিনি তাওহীদ সাহেব এবং ময়না বেগমের দিকে তাকালেন। ময়না বেগম আঁচলে মুখ চেপে কাঁদছেন। বড় জায়ের নজর পড়তেই তিনি উপর নিচ মাথা দুলিয়ে সম্মতি জানালেন। তাওহীদ সাহেবও মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়েছেন।

মায়ের প্রতিবাদ দেখে মৌমিতাও সুযোগ পেলো। জামাল সাহেবের কাছে বসে আলতো করে কাঁধে হাত রাখলো। অপরাধীর ন্যায়ে বললো,

"সবচেয়ে বড় অপরাধী আমি বাবা। আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওদের দুজনের বিয়ে দিয়েছি। কি করতাম বলো? তোমার ভয়ে ওরা সামনে এগোতে পারছিল না। কিন্তু একে অপরের জন্য পাগল ছিলো। তাই এতবড় পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। বাবা, যা হয়েছে ভুলে যাও না। একবার ভাবো! এ বাড়িতে কত বছর হলো বাচ্চার পা পড়েনি। আমরা ভাইবোন বড় হওয়ায় পর এবাড়িতেও কোনো বাচ্চার আগমন ঘটেনি। কিন্তু এখন আসতে যাচ্ছে। কেউ একজন ছোটো-ছোটো পায়ে পুরো বাড়ি জুড়ে দৌড়ে বেড়াবে। আধো আধো স্বরে তোমায় দাদু বলে ডাকবে। চকলেট খাওয়ার বায়না ধরবে। তোমার কোলে চড়বে। এতোটা সুখ এই বাড়িতে লাস্ট কবে এসেছিল বলো তো? সেই বহুবছর আগে, যখন আমরা ছোটো ছিলাম। সেই সময় আবারও ফিরে আসতে চাইছে বাবা। এরপরেও তুমি রাগ নিয়ে থাকবে? ওই নিষ্পাপ বাচ্চাটার কথা ভেবে কি ওদের ক্ষমা করে দেওয়া যায় না?"

মৌমিতার মুখে বাচ্চার বর্ণনা শুনে বুকের ভেতর নড়ে উঠলো জামাল সাহেবের। তার নাতি অথবা নাতনি আসবে। ছোটো ছোটো পায়ে এদিক সেদিক দৌড়াবে। এক গোছা তুলোর মতো নরম শরীর নিয়ে সবার কোলে চড়ে বেড়াবে। আধো আধো বুলিতে যখন দাদু বলে ডাকবে, তখন শুনতে কেমন লাগবে? খুব ভালো লাগবে কি? ভাবতেই বুকে শীতল হাওয়া বয়ে গেলো জামাল সাহেবের। রাগটা একটু কমে গেলো কি? হ্যা তাই। কল্পনায় নাতি নাতনিকে অনুভব করতে গিয়ে জামাল সাহেবের রাগ একটু একটু করে কমছে।

বাড়ির কর্তাকে চুপ হয়ে যেতে ধরে রাখা দমটা ছাড়লো বাকিরা। জামাল সাহেবের চেহারার পরিবর্তনই বলে দিচ্ছে তার মন বদলে গেছে। পেছন থেকে রিয়া মিনমিন করে বলে উঠলো,

"বড় চাচ্চু! তুবার জিনিসপত্র সব কৌশিক ভাইয়ের ঘরে ট্রান্সফার করে দেবো?"

জামাল সাহেবের ঘোর কাটলো। ছোট্ট প্রাণটার কথা চিন্তা করতে গিয়ে ঠোঁটের কোণে যে সুক্ষ্ম হাসি ফুটে উঠেছিল, সেটাও নিভে গেলো। তিনি চেঁচিয়ে উঠে বললেন,

"এতদম না। আগে ছোটোখাটো পরিসরে আয়োজন করে আত্মীয় স্বজন জানাতে হবে। ছেলে তো আমার গর্বের কাজ করেনি। মুখে চুনকালি মাখিয়ে দিয়েছে। যতই বিয়ে করুক সেটা চুরি করে করেছে। আত্মীয় স্বজন তো আর জানে না। না জানি কয় মাস চলে। হিসাবে না মিললে পাড়ায় বদনাম রটে যাবে।"

"দু সপ্তাহের মতো হচ্ছে বাবা।"

আকস্মিক কৌশিকের উত্তর শুনে থ মেরে গেলেন জামাল সাহেব। বাড়ির রমনীরা মুখ লুকাতে ব্যাস্ত। মৌমিতা জিভ কামড়ে মাথা নিচু করে নিয়েছে। জামাল সাহেব ফের চেচিয়ে উঠলেন,

"নির্লজ্জ ছেলে কোথাকার। এই তুমি সরো তো আমার চোখের সামনে থেকে। তোমার মুখও আমি দেখতে চাই না।"

কৌশিক মাথা দোলালো। বাধ্য ছেলের মতো উঠে দোতলার সিঁড়ি ধরলো। যেনো সে প্রচন্ড বাবা ভক্ত ছেলে। বাবার আদেশের বাইরে সে একটা কদমও রাখে না।

চলবে?

(যারা বলছো বেবি হচ্ছে বলে ওদের মধ্যে আর ভালোবাসা থাকবে না। তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা 🙂🙂)

ছেলের কাছে মায়ের চে|দা খাওয়া 🌸😘সোহম আমাদের বাড়িতে পড়াশুনা বিষয়ে বা আমাদের এই খানে পাড়ার কিছু অনুষ্ঠানে মোটামুটি সবেত...
23/08/2025

ছেলের কাছে মায়ের চে|দা খাওয়া 🌸😘

সোহম আমাদের বাড়িতে পড়াশুনা বিষয়ে বা আমাদের এই খানে পাড়ার কিছু অনুষ্ঠানে মোটামুটি সবেতেই ওদের নিমন্ত্রণ থাকতো। তো ওর মা মানে সোহম এর মা রিম্পা আন্টিকে আমার বেশ পছন্দ ছিল।

সম্পূর্ণ গল্পের অংশ প্রথম কমেন্টে ✅
------------------------★---------------------------

#চটি #চটিগল্প #বাংলাচটিগল্প #চটিকাহিনী #বাংলাচটি
💋

বিদেশিদের সাথে আজকের কাহিনি,, 😻আমি শিল্পী, আমি গরীব ঘরের সন্তান। পাঁচ বোন, এক ভাই এর মধ্যে আমি তৃতীয়।  মালদ্বীপ প্রবাসী ...
23/08/2025

বিদেশিদের সাথে আজকের কাহিনি,, 😻

আমি শিল্পী, আমি গরীব ঘরের সন্তান। পাঁচ বোন, এক ভাই এর মধ্যে আমি তৃতীয়। মালদ্বীপ প্রবাসী এক যুবক ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় দিয়ে খালার কাছে আমায় বিয়ের প্রস্তাব দিল। ছেলেটি কয়েকবার খালার কাছে এসেছে দেখেছি, আমার সাথে কুশল বিনিময় ও হয়েছে। কিন্তু বুঝেনি আমাকে বিয়ে করার জন্য ঘুরছে,, 🫦

খালা আমাকে না জানিয়ে আমার সব আত্বীয় স্বজনদের মতামত নিয়ে ছেলেটিকে কথা দিয়ে ফেলেছে, সব শেষে আমার মতামত নিতে চাইলে আমি না করে দিই, ছেলেটি যথেষ্ট ভালো হলেও আমি তাকে সরাসরি বলে দিই যে তাকে আমার পছন্দ নয়,,

সম্পূর্ণ অংশ ফাস্ট কমেন্টে আছে ❤️‍🔥
প্রতিদিন নতুন নতুন গল্প পেতে ফলো‌‌ কর ✅

#বাংলাচটিগল্প #চটিগল্প #চটি #বাংলাচটি

🥀❤ Today Beautiful Photo 🥰🥀
09/03/2025

🥀❤ Today Beautiful Photo 🥰🥀







Address

Khulna

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sexy choti posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share