17/07/2025
পঁচাত্তর বছর বয়সী এই মানুষটি কুমিল্লার বাসিন্দা। স্ত্রী, মেঝ ছেলে, ছেলের বউ এবং নাতিকে নিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে থাকেন ঢাকায়।
তাঁর বড় এবং ছোট ছেলে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আলাদা থাকেন। টানাটানির সংসারে বাবাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে পারেন না তাঁরা।
আর্থিকভাবে বৃদ্ধ বাবার পাশে দাঁড়াতে না পারলেও মাঝে-মধ্যে খোঁজ-খবর নেন। তবুও সন্তানদের প্রতি এই বাবার কোন অভিযোগ নেই!
দূ&%র্ঘটনার শিকার হয়ে মেঝ ছেলে প্রায় অ&%চল। বসে বসে টুকটাক সবজির ব্যবসা করেন। ছেলের চিকিৎসার জন্য ব্যয় করেছেন কয়েক লক্ষাধিক টাকা। একসময় লুঙ্গির ব্যবসা করতেন। পরে সেই ব্যবসায় লোকসানের সম্মুখীন হয়ে সমস্ত পুঁজি হারান তিনি।
আর এখন সারাদিন ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে গামছা বিক্রি করে জীবনের পড়ন্ত বেলায়ও সংসারের হাল ধরেছেন তিনি।
ঠিকমতো হাঁটা-চলা কিংবা কথা বলতে না পারলেও ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে নেননি আত্মমর্যাদাসম্পন্ন এই মানুষটি।
সংসারের অভাব-অনটনের কথা ভেবে ছেলের বউ গার্মেন্টসে চাকরি করতে চাইলেও তিনি নিষেধ করেছেন।
সারাদিন গামছা বিক্রি করে দুই থেকে তিনশো টাকা উপার্জন করেন তিনি। এভাবেই চলছে এই বৃদ্ধ মানুষটির সংসার।
আমরা অনেকে জীবন নিয়ে কতো অভিযোগই না করি। ভুলে যাই সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে!
এতোকিছুর মাঝেও কথায় কথায় মহান আল্লাহ্র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলেননি তিনি। সবসময় বলছিলেন- ‘আলহামদুলিল্লাহ্, ভালো আছি’!
- কালেক্টেড