01/08/2025
ধ্বং'সলীলা নামক ভালোবাসা
ভালোবেসে মানুষ অনেক কিছু পায়—কখনো একটি নাম, একটি মুখ, একটি অস্তি'ত্ব। আবার হারায়ও অনেক কিছু—নিজেকে, নিজের হাসিমাখা দিনগুলোকে, শূন্যতাহীন রাতগুলোকে, এমনকি কখনো জীবনের শেষ আশ্রয়টুকুকেও। কেউ কেউ ভালোবাসা নামক সেই কোমল শব্দটির আবরণে ঢাকা এক নির্ম'ম নি'ষ্ঠুরতার মুখোমুখি হয়ে বেছে নেয় আ'ত্মহননের ভ'য়ংকর পথ। একটুখানি ভালো থাকার আশায় যে হৃদয়টি কারও জন্য উজাড় করে দিয়েছিল—শেষমেশ সেই হৃদয়টাই হয়ে ওঠে নিজেই নিজের জন্য এক অনন্ত শোক।
ভালোবেসে মানুষ হারিয়ে ফেলে তার সমস্ত আনন্দ, তার সোনালি স্মৃতি, তার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তগুলো। অথচ সে তো ভালোবাসতে চেয়েছিল কেবল ভালো থাকার আশায়, কেবল একটুখানি প্রশ্রয়ের আশায়। যদি ভালোবাসা ভালো থাকার কারণ হয়, তবে কেন তার শেষ নাম হয়ে ওঠে ‘স'র্বনাশ’?
ভালোবাসা—একটি শব্দ, যার ভেতর গাঁথা থাকে অগণন স্মৃতি, অপরিসীম প্রতিশ্রু'তি, আর অ'শ্রুভেজা ভালো লাগার মুহূর্ত। কিন্তু আজ, এই কঠোর পৃথিবীর আলো-আঁধারিতে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন জাগে—আসলেই কি কেউ ভালোবেসে ভালো আছে? নাকি সবাই একেকজন পরিত্য'ক্ত প্রেমিক, একেকটি পরাজিত আ'ত্মা, যাদের একমাত্র সঙ্গী আজ শুধুই শূন্যতা?
আজকের পৃথিবীতে কেউ ভালো নেই। সবাই আ'হত, সবাই একধরনের অবহেলার শিকার। ভালোবাসা যেখানে হবার কথা ছিল আশ্রয়, সেখানে আজ ভালোবাসাই হয়ে উঠেছে পরিত্যাগের সমার্থক।
একসময় যাকে ডাকতো—সুহাসিনী, সুকেশিনী, প্রেয়সী, লক্ষ্মী, মাধবী, মাধবিনী বলে; সময়ের ছেঁকা খেয়ে সেই নামগুলোই রূপ নেয়—ধ্বং'সবতী, মায়াবতী, স'র্বনাশী, মিথ্যাবাদিনী, কিংবা বি'সাদিনীতে। সম্পর্কের এই করুণ রূপান্তর কি তবে অনিবা'র্য?
তাই তো আমি আর ভালোবাসায় বিশ্বাস রাখতে পারি না। এই শব্দটির পবিত্রতার মধ্যে আজ আমি খুঁজে পাই এক নির্ম'ম প্র'তারণা, এক ধ্বং'সয'জ্ঞের নাম। ভালোবাসা নয়, আমি তাকে বলি—‘ধ্বং'সলীলা’। কারণ, এখানে পূর্ণতার চেয়ে অপূর্ণতা বেশি, সম্মানের চেয়ে অবহেলা, চাওয়ার চেয়ে উপেক্ষা, এবং প্রতীক্ষার চেয়ে অ'শ্রুবাহী দী'র্ঘশ্বাসই বেশি।
ভালোবাসা তো হওয়ার কথা ছিল পবিত্র—দুটি হাত এক করার প্রতিজ্ঞা, সম্মানের বন্ধনে আবদ্ধ এক অদৃশ্য বাঁধন। ভালো রাখার জন্য, একসাথে বাঁচার জন্য, পাশে থাকার জন্য, বিশ্বাসের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা এক অলঙ্ঘনীয় চুক্তি।
কিন্তু, সেই বিশ্বাস আজ চূ'র্ণ। সেই ভালোবাসার আশায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ঝাঁপ দেয় মৃ'ত্যু নামক নিঃসীম অতলে। য