স. ম. জাহিদ

স. ম. জাহিদ "কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মী"

"স. ম. জাহিদ" পেজ এর পক্ষ থেকে সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

আমি এই পেজের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার-

🔰- শর্ট ভিডিও ,
🔰- ফানি ভিডিও ,
🔰- কমেডি ভিডিও
🔰- পার্সোনাল ব্লগ ভিডিও ,
🔰-টিক টক ভিডিও ,
🔰- স্নেক ভিডিও ,
🔰-রিলস ভিডিও ,
🔰-পোষ্ট করব।

"স. ম. জাহিদ " পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকবেন।
❤ ধন্যবাদ সবাইকে ❤

বিয়ে করো তাকে,যার ঘরে হয়তো সোনার থালা নেই,কিন্তু যার চোখে তোমার জন্য অপেক্ষার দীপ্তি আছে।যার হাতে ধরা দেবে না হয়তো দামি ...
25/06/2025

বিয়ে করো তাকে,
যার ঘরে হয়তো সোনার থালা নেই,
কিন্তু যার চোখে তোমার জন্য অপেক্ষার দীপ্তি আছে।
যার হাতে ধরা দেবে না হয়তো দামি উপহার,
তবু সে প্রতিদিন তোমার কপালে হাত রাখবে
একটা ছোট আশীর্বাদের মতো।
সে তোমার পাশে দাঁড়াবে
না বলা কষ্টের দিনে,
তোমার হাসির আড়ালের কান্না বুঝবে
শব্দ ছাড়াই।
অর্থ আসবে, যাবে—
কিন্তু যে মানুষ ভালোবাসার আলো নিভতে দেয় না,
তার সাথেই জীবন কখনো অন্ধকার হয় না।
বিয়ে করো তাকেই,
যে ভালোবাসায় পূর্ণ—
হোক না তার ঘর ছোট,
তবু তোমার জন্য সে সেখানে
একটা পৃথিবী গড়ে রাখবে চুপচাপ।

"ভালোবাসার ঠিকানা"
স. ম. জাহিদ
[২৪ জুন, ২০২৫ । সকাল । মাগুরা]

জীবনের প্রতিটি ভোরে, আমি খুঁজি—একটা চোখ, যে বুঝবে আমার নীরবতা।একটা হৃদয়, যে শুনবে আমার না-বলা কথাগুলো,যে প্রশ্ন করবে না...
24/06/2025

জীবনের প্রতিটি ভোরে, আমি খুঁজি—
একটা চোখ, যে বুঝবে আমার নীরবতা।
একটা হৃদয়, যে শুনবে আমার না-বলা কথাগুলো,
যে প্রশ্ন করবে না, শুধু পাশে থাকবে।
আমি এখনো পাইনি এমন কাউকে,
যে আমার ভাঙাচোরা ভাষায় ভালোবাসা পড়তে জানে।
যে আমার ছায়াকেও আলতো করে জড়িয়ে ধরে বলবে—
"তুমি ঠিক যেমন, তেমনই ভালো।"
শুধু এইটুকু চেয়েছি—
কেউ হোক, যে বুঝবে আমায়...
আমার মতো করেই।

"তোমাকে খুঁজে ফিরি"
স. ম. জাহিদ
[২৩ জুন, ২০২৫ । রাত । মাগুরা]

শত শত ভালোবাসা গেছো তুমি ঢেলে—একটা দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলে,তাকে ভেঙে কুঁচকে ছিঁড়ে দিয়েছিলে নিজের শান্তি।ঘুম না আসা রাতে...
23/06/2025

শত শত ভালোবাসা গেছো তুমি ঢেলে—
একটা দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলে,
তাকে ভেঙে কুঁচকে ছিঁড়ে দিয়েছিলে নিজের শান্তি।
ঘুম না আসা রাতে তার পাশে বসে থেকেছো
শুধু যেন সে একটুখানি আরামে নিঃশ্বাস নিতে পারে।
তবুও আজ—
তোমার একটিমাত্র ভুলে সব ঢেকে গেলো।

মানুষ ভুলে যায়,
কার জন্য কতটা ঝুঁকি নেওয়া হয়েছিলো।
ভুলে যায়, কে কাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের ভেতরটা ছিঁড়ে ফেলেছিলো।
তারা শুধু মনে রাখে সেই মুহূর্তটাকে—
যেখানে তুমি হোঁচট খেয়েছিলে,
যেখানে তোমার মুখে কথাটা একটু কড়া হয়ে গিয়েছিল,
বা সময়টা ঠিক মতো বুঝে উঠতে পারোনি।

ভালোবাসা হিসেব করে না,
কিন্তু মানুষ করে—
তুলে রাখে পুরনো ভুলের খাতা,
আর ফেলে দেয় সমস্ত উপকারের চিঠি পেছনের ড্রয়ারে।

তাই তুমি যদি চাও—
কেউ তোমাকে মনে রাখুক,
তবে ভুল কোরো না।
ভুলে গেলে ভুল হবে,
তুমি যা করেছো— তা হারিয়ে যাবে
ভুলের ছায়ায়।

"ভুলের ছায়ায় যা ঢাকা পড়ে"
স. ম. জাহিদ
[২২ জুন, ২০২৫ । রাত । মাগুরা]

তুমি ভাবো তুমি জিতে গেছো?তুমি ভাবো, কাউকে ফাঁকি দিয়ে একধাপ এগিয়ে গেলে জীবন তোমার হয়ে যাবে?হতে পারে আজ তুমি আলোয় দাঁড়িয়ে ...
22/06/2025

তুমি ভাবো তুমি জিতে গেছো?
তুমি ভাবো, কাউকে ফাঁকি দিয়ে একধাপ এগিয়ে গেলে জীবন তোমার হয়ে যাবে?
হতে পারে আজ তুমি আলোয় দাঁড়িয়ে আছো,
আর সে, যাকে তুমি ঠকিয়ে দিলে, বসে আছে ছায়ায়— চুপচাপ, নিশ্চুপ।
কিন্তু তুমি কি জানো ছায়া কিভাবে সময়ের সঙ্গে রূপ নেয় এক দীর্ঘ প্রতিধ্বনিতে?

সে মানুষটি, যে তোমাকে বিশ্বাস করেছিল,
তার চোখে ছিল একরাশ আস্থা,
তার কণ্ঠে ছিল না অভিমান,
তবু তুমি তাকে ঠকালে—
হয়তো টাকা-পয়সায়, হয়তো কথায়, হয়তো সুযোগের অপব্যবহারে।
তুমি ভাবলে, তুমি চালাক, তুমি বুদ্ধিমান, তুমি সফল।

কিন্তু শুনো—
সফলতা যদি হয় প্রতারণার বীজ বপনে,
তবে তার ফল ফলেও ফেলে বিষ।
সেই বিষ প্রথমে ঘুম পাড়ায় বিবেককে,
তারপর আস্তে আস্তে নিঃশেষ করে আত্মাকে।

একদিন, তুমি হয়তো আরও অনেক দূর যাবে—
চাকচিক্যের মাঝে হারিয়ে যাবে নিজের মুখ।
তুমি হয়তো ভুলে যাবে কাকে কতটা ক্ষতি করেছো,
কিন্তু কালের খাতা ভুলে না কিছুই।
সেখানে প্রতিটি অন্যায়ের পাশে লেখা থাকে—
"অবিচারের ঋণ বাকি রইল।"

আর ঠিক তখনই, যেদিন তুমি নিজেকে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ ভাববে,
তোমারই বানানো মঞ্চে তোমার মুখোশ খুলে যাবে।
মানুষ নয়, সময়ই তোমার বিচার করবে।
হয়তো প্রকাশ্যে নয়,
হয়তো রাতের নিস্তব্ধতায়
একটি ফোনকল, একটি মিথ্যা বিশ্বাসঘাতকতা,
একটি 'তোমাকে আর দরকার নেই'—
এইভাবেই আসবে সেই প্রতিশোধ।

আর সেই যে মানুষটি—
যাকে তুমি ঠকিয়ে গিয়েছিলে সাময়িকভাবে এগিয়ে—
সে তখনও হাঁটছে, ধীরে ধীরে,
সত্যের পথ ধরে,
কোনো তাড়া নেই তার, কোনো দ্বিধাও নয়।
কারণ সে জানে,
উপরের দিকে যেতে হলে মই লাগে না, লাগে মন।
আর সততার পায়ে জুতো না থাকলেও, তার পথ ফুরোয় না।

তোমার চাতুর্য হয়তো তার গন্তব্য বদলাতে পেরেছিল,
কিন্তু দিক নয়।
তাকে তুমি থামাতে পারো নি, পারবে না।

সততা কখনো শোরগোল করে না,
সে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে—
যেন নদী অপেক্ষা করে সাগরের ডাকে।

তাই মনে রেখো—
সৎ কাউকে ঠকিয়ে কেউ কখনো সত্যিকার অর্থে উপরে যেতে পারে না।
তারা শুধু একটা উঁচু দেয়ালে চড়ে,
যেখানে কোনো দিনভর আকাশ থাকে না—
শুধু অপেক্ষা থাকে— পড়ার।

"শব্দের প্রতিশোধ"
স. ম. জাহিদ
[২২ জুন, ২০২৫ । সকাল । মাগুরা]

তুমি তখন জানালার পাশে বসে,আমি পাশে— শব্দহীন, নিশ্চুপ।বলিনি কিছু,তবু প্রতিটা নিঃশ্বাসে ছিল এক নরম আকুতি—যেন বলছিল, "চলো.....
22/06/2025

তুমি তখন জানালার পাশে বসে,
আমি পাশে— শব্দহীন, নিশ্চুপ।
বলিনি কিছু,
তবু প্রতিটা নিঃশ্বাসে ছিল এক নরম আকুতি—
যেন বলছিল, "চলো..."
তুমি শুনলে না, শুনে চুপ রইলে?
আমি আজও জানি না।

হাঁটছিলাম দুজন,
শহরের শেষ গলিটা পেরিয়ে
একটা অচেনা মোড়ের দিকে।
পায়ের শব্দে বাজছিল অল্প ভরসা,
হাত বাড়িয়ে দিলে ধরতাম—
চিরদিনের মতো।

কিন্তু তুমি হাঁটলে শুধু নিজের পাশে,
আমি রয়ে গেলাম,
নেওয়া হয়নি, বলা হয়নি,
তবু—
তুমি জানতেই।

"তুমি জানতেই"
স. ম. জাহিদ
[১৮ জুন, ২০২৫ । রাত । মাগুরা]

১৪ ফেব্রুয়ারি আজও আসে,কিন্তু আমি আর গোলাপ কিনি না।তখন তো কিনেছিলাম—হাত কাঁপছিল, বুক ধুকপুক করছিল,একটা লাল গোলাপেভরে রেখে...
22/06/2025

১৪ ফেব্রুয়ারি আজও আসে,
কিন্তু আমি আর গোলাপ কিনি না।
তখন তো কিনেছিলাম—
হাত কাঁপছিল, বুক ধুকপুক করছিল,
একটা লাল গোলাপে
ভরে রেখেছিলাম তিন বছরের ধৈর্য।

সেই বিকেলটা এখনো কাঁদে আমার ভেতর,
জাতীয় উদ্যানের গেটের পাশে দাঁড়িয়ে
তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে
আমি দেখি—
তুমি গোলাপ হাতে, হাসি ঠোঁটে,
অন্য কারো প্রতীক্ষায়।

মিথ্যার বিকেল যেমন ঠাণ্ডা হয়,
তেমনি নিঃশব্দ, তেমনি ভীষণ।
সেদিন আকাশ ভেঙে পড়েনি—
ভেঙেছিল শুধু একটা অচেনা ভরসা,
আর এক চেনা ভালোবাসা।

তাই আজও ভালোবাসা আসে,
ক্যালেন্ডারের পাতায় লাল হয়ে জ্বলে,
কিন্তু আমি আর গোলাপ কিনি না।
আমার ভালোবাসায় এখন
কাঁটা নেই—
গোলাপও নেই।

"গোলাপহীন"
স. ম. জাহিদ
[১৮ জুন, ২০২৫ । রাত । মাগুরা]

কালো মেয়েটি আসত সন্ধের আলোর মতো—ধীরে, ধোঁয়াটে, অথচ অব্যর্থ।তার ত্বকে ছিল পুড়ে যাওয়া সূর্যের গন্ধ,চুলে যেন বুনো রাতের অ...
21/06/2025

কালো মেয়েটি আসত সন্ধের আলোর মতো—
ধীরে, ধোঁয়াটে, অথচ অব্যর্থ।
তার ত্বকে ছিল পুড়ে যাওয়া সূর্যের গন্ধ,
চুলে যেন বুনো রাতের অন্ধকার।

তাকে দেখে প্রেমে পড়া নয়,
তাকে দেখে প্রেম বোঝা যায়।
সে হাঁটত, যেন মাটি নিচে নত হয়ে পড়ে;
সে তাকাত, আর চোখের ভিতর জন্ম নিত গভীর কোনো কবিতা।

লোকেরা তাকে রঙ মেপে ভালোবেসে উঠতে পারত না,
আমি মেপে দেখেছি তার হাসির ওজন—
যা পূর্ণিমার চেয়েও ভারী ছিল, আর
অপেক্ষার চেয়েও হালকা।

কালো মেয়েটি ছিল আমার না-কথার দেশে
একটি নির্ভুল উচ্চারণ।
তাকে ছুঁতে চাইনি—
চেয়েছি তার পাশে বসে
তাকিয়ে থাকতে সারাজীবন,
যেন সে-ই সন্ধ্যার স্থিরতা,
আর আমি কেবল দীপ্ত আঁধার।

"কালো মেয়েটি"
স. ম. জাহিদ
[১৯ জুন, ২০২৫ । সকাল । মাগুরা]

তোমাকে ডাকার ভাষা কবেই ভুলে গেছি।অথচ প্রতিটি নিঃশ্বাসে তুমি—অনুচ্চারিত, অথচ অনুপস্থিত নও।জিভের নিচে জমে থাকা নামহীন ডাক,...
20/06/2025

তোমাকে ডাকার ভাষা কবেই ভুলে গেছি।
অথচ প্রতিটি নিঃশ্বাসে তুমি—
অনুচ্চারিত, অথচ অনুপস্থিত নও।

জিভের নিচে জমে থাকা নামহীন ডাক,
চাঁদরাতের মতো নীরব,
তবু শব্দ হয়ে ওঠে না।

ভাষা যখন প্রতারণা শেখে,
ভালোবাসা তখন নীরবতায় বাসা বাঁধে।
আমি এখন শুধু চুপ থাকি—
তোমার সবটাই যেন সেই চুপে লেখা।

"উচ্চারণ"
স. ম. জাহিদ
[১৮ জুন, ২০২৫ । রাত । মাগুরা]

[কবিতাটা ভালো লাগলে পেজটা ফলো করে সঙ্গী হওয়ার অনুরোধ রইলো]

কোনো কথাই বলিনি,তবু চোখে ছিল এক অনুবাদযোগ্য অনুরোধ।তুমি হয়তো দেখোনি,কিংবা দেখেও ভান করেছিলে না-দেখার—যেমন আকাশ মাঝে মাঝে...
19/06/2025

কোনো কথাই বলিনি,
তবু চোখে ছিল এক অনুবাদযোগ্য অনুরোধ।
তুমি হয়তো দেখোনি,
কিংবা দেখেও ভান করেছিলে না-দেখার—
যেমন আকাশ মাঝে মাঝে জানে
কারা বৃষ্টি চায়, তবু চুপ থাকে।

পায়ের নিচে জমছিল ক্লান্তি,
পেছনে পড়ে থাকছিল শহর, আলো, সমস্ত জানা ঠিকানা।
তবু একটাও শব্দ উচ্চারণ করিনি—
তোমার একপাশে হাঁটতে হাঁটতে
নিজেই এক সম্ভাবনার মানচিত্র হয়ে উঠছিলাম।

তুমি শুধু হাত বাড়ালেই
সব কিছু বলা হয়ে যেত।

"যাত্রা"
স. ম. জাহিদ
[১৮ জুন, ২০২৫ । রাত । মাগুরা]

পথটা সহজ হলে তুমি বদলাতে না।পায়ে কাঁটা না বিঁধলে তুমি জানতে না,তোমার রক্তও একদিন আলো হয়ে উঠতে পারে।যে পথ তোমায় বারবার থা...
16/06/2025

পথটা সহজ হলে তুমি বদলাতে না।
পায়ে কাঁটা না বিঁধলে তুমি জানতে না,
তোমার রক্তও একদিন আলো হয়ে উঠতে পারে।

যে পথ তোমায় বারবার থামিয়ে দেয়,
তোমার নিশ্বাস ছিঁড়ে ফেলে ক্লান্তির ধারালো ধাপে—
সেই পথই আসলে প্রস্তুতি।
একটি এমন গন্তব্যের,
যার সৌন্দর্য এখনো তোমার কল্পনাতেও ধরা দেয়নি।

জীবন কখনোই একেবারে সোজা রেখা নয়।
এই বাক, এই ঘুরপথ, এই উঁচু-নিচুই
তোমার ভিতরকার মানুষটাকে গড়ে তোলে।
যে মানুষ শুধু লক্ষ্যে পৌঁছায় না,
সে লক্ষ্যের যোগ্যও হয়ে ওঠে।

তাই যখন সবকিছু অনিশ্চিত লাগে,
তখন ভেবো— এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই লুকিয়ে আছে
সেই নিঃশব্দ প্রতিজ্ঞা,
যে প্রতিটি কষ্টই কোনো না কোনো অর্থ বহন করে।
কোনোটায় তুমি ভাঙবে,
আবার কোনোটায় গড়বে নিজেকে।

গন্তব্য কখনো সস্তা হয় না।
যতই কঠিন হোক পথ—
সেই গন্তব্যের দাঁড়িয়ে থাকা দৃঢ়তা,
তোমাকে একদিন বলবে—
"তুমি থেমে গেলে, আমি আর থাকতাম না।"

তাই চলতেই থাকো,
ঘাম দিয়ে, চোখ ভিজিয়ে, কাঁধ ভার করে—
কারণ সবশেষে,
যেখানে তুমি পৌঁছাবে,
সেখানে দাঁড়িয়ে তুমি নিজেকেই চিনতে পারবে না—
তুমি এতটা দৃঢ়, এতটা উজ্জ্বল, এতটা নিজস্ব ছিলে
তাই তো পথটা এত কঠিন ছিল।

"গন্তব্যের নাম তুমিও জানো না"
স. ম. জাহিদ
[১৬ জুন, ২০২৫ । দুপুর । মাগুরা]

"বাবা, তুমি এক নিঃশব্দ জলধি"স. ম. জাহিদতোমার কোনো শব্দ নেই,তবু তুমি ছায়ার মতো ছড়িয়ে আছো প্রতিটি মুহূর্তে।ঘুম ভাঙার আগ...
15/06/2025

"বাবা, তুমি এক নিঃশব্দ জলধি"
স. ম. জাহিদ

তোমার কোনো শব্দ নেই,
তবু তুমি ছায়ার মতো ছড়িয়ে আছো প্রতিটি মুহূর্তে।
ঘুম ভাঙার আগে,
চোখের কোণে জল জমে ওঠার পর,
ভাতের গন্ধে,
অথবা সেই দীর্ঘ নিঃশ্বাসে—যেটা আমি চেপে রাখি সারাদিন।

তুমি কোনোদিন দাবি করোনি ভালোবাসা,
কখনো শেখাওনি আবেগে ডুবে কথা বলতে,
তবু আজ বুঝি,
তোমার কঠিন হাতের রেখাগুলোতে লিখে রাখা ছিল আমার ভবিষ্যৎ।

তোমার পায়ের ধ্বনি যেন সিঁড়ির নিচে হারিয়ে গেছে বহু বছর আগে,
তবু রাতে, একা ঘরে,
সেই শব্দ আমি শুনতে পাই...
একটু ক্লান্ত, একটু ভারী, কিন্তু ভীষণ নিশ্চিন্ত।

তুমি যে কেবল একজন মানুষ ছিলে না বাবা,
তুমি ছিলে একটি সময়—
যেখানে আমি ছিলাম নিরাপদ,
ছিলো না কোন প্রলোভনের ভয়,
ছিলো কেবল একখণ্ড আকাশ—
যার নিচে দাঁড়িয়ে আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে শিখেছিলাম।

আজ যেখানেই যাই,
তোমার মতো হয়ে যেতে চাই—
কঠোর মুখে কোমলতা লুকিয়ে রাখা এক আশ্রয়,
যেখানে শব্দের চেয়ে বেশি কথা বলে নীরবতা।

তুমি আছো, আমি জানি।
এই বুকের ভিতর, প্রতিটি সিদ্ধান্তের পিছনে,
প্রতিটি ভয় পেরোনোর আগে—
তুমি আছো এক অদৃশ্য আলোর মতো,
যা নিভে না, কেবল গভীর হয়ে ওঠে।

[১৫ জুন, ২০২৫ । সন্ধ্যা । মাগুরা]

আমি ভাঙি,আলোর নিচে ছায়া হয়ে বসে থাকি,নিঃশব্দে গিলে নিই নিজের ক্লান্তি।তবুও চাই— তুমি হাসো।তোমার গালে যেন কোনো দিন কান্ন...
15/06/2025

আমি ভাঙি,
আলোর নিচে ছায়া হয়ে বসে থাকি,
নিঃশব্দে গিলে নিই নিজের ক্লান্তি।
তবুও চাই— তুমি হাসো।

তোমার গালে যেন কোনো দিন কান্নার রেখা না নামে,
তোমার প্রভাতে যেন কেউ অন্ধকার ছুঁড়ে না দেয়।
যদি এই পৃথিবীতে কারো কাঁটা বেছে নিতে হয়—
তবে আমার পায়েই ফুটুক সব কাঁটা,
তোমার পথ থাকুক কোমল ও নির্মল।

আমার স্বপ্ন না থাক, তাতে কিছু যায় আসে না।
তোমার চোখে যেন সবটুকু স্বপ্ন জমা থাকে—
রঙিন, শান্ত, সুন্দর।

আমি ভালো না থাকলেও ঠিক আছি।
কিন্তু তুমি কষ্ট পেলে,
আমার সমস্ত দুনিয়া যেন ভেঙে পড়ে।

তুমি কষ্ট পেও না—
তুমি কষ্ট পেও না।

"তুমি কষ্ট পেও না"
স. ম. জাহিদ
[১৫ জুন, ২০২৫ । সকাল । মাগুরা]

Address

Khulna

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when স. ম. জাহিদ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share