Imam Hossain-ইমাম হুসাইন

Imam Hossain-ইমাম হুসাইন আমার টাইমলাইন যেন সদকায়ে জারিয়া হয়।

21/07/2025

হে আরশের মালিক,
উত্তরা মাইলস্টোন স্কুলের আহত সোনামণিদের প্রতি রহম করো,নিহতদের জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করো, শহীদ হিসেবে কবুল করো।
নিহতদের পরিবারকে সাবরে জামিল দান করো ।

আলোচনার লিংক কমেন্টে
13/07/2025

আলোচনার লিংক কমেন্টে


12/07/2025

*একজন মানুষ হত্যা করা কতবড় ভয়ানক অপরাধ*
*ইসলামে মানুষ হত্যার ভয়াবহ পরিণতি কি?*
*আসুন কুরআন-হাদিসের আলোকে জেনে নেই*


05/07/2025

*আহলে বাইত ও জান্নাতে যুবকদের সর্দার ইমাম হুসাইনের মর্যাদা*



#ইমাম_হুসাইন

আলোচনার লিংক প্রথম কমেন্টে
30/06/2025

আলোচনার লিংক প্রথম কমেন্টে


18/06/2025

*স্বাগত বক্তব্য*
*পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ২০২৫*

#পুনর্মিলনী

প্রশান্তি    #গ্রাম
15/06/2025

প্রশান্তি


#গ্রাম

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ২০২৫সরিষাবাড়ি হাফিজিয়া মাদরাসাপ্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান, আমাদের আইডল শ্রদ্ধেয় বড় হুজুর, আত্মার আত্মীয় বন...
11/06/2025

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ২০২৫
সরিষাবাড়ি হাফিজিয়া মাদরাসা

প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান, আমাদের আইডল শ্রদ্ধেয় বড় হুজুর, আত্মার আত্মীয় বন্ধু-ভাই বেরাদরদের সাথে কাটানো স্মৃতিময় একটি দিন।


06/06/2025

তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।

ঈদ মোবারক

বায়তুল্লাহর পথে (৭)*হজ সংশ্লিষ্ট ঐতিহাসিক স্থানসমূহের পরিচিতি* হজের এক বড় শিক্ষা ‘শাআ ইরুল্লাহ’ সম্মান। শাআ ইরুল্লাহ মান...
05/06/2025

বায়তুল্লাহর পথে (৭)

*হজ সংশ্লিষ্ট ঐতিহাসিক স্থানসমূহের পরিচিতি*

হজের এক বড় শিক্ষা ‘শাআ ইরুল্লাহ’ সম্মান। শাআ ইরুল্লাহ মানে আল্লাহর ইবাদতের সাথে সংশ্লিষ্ট বিশেষ স্থান ও বস্তু। এগুলোর সম্মান করা তাকওয়া ও খোদাভীতির অংশ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, আর কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলিকে সম্মান করলে এতো তার হূদয়ের তাকওয়ারই বহিঃপ্রকাশ। (সুরা হাজ, আয়াত-৩২) কাবা, আরাফার ময়দান, মিনা, মুজদালিফা, মাকামে ইবরাহীম, হাজরে আসওয়াদ, হেরা গুহা ইত্যাদি যে মুমিনের কাছে সম্মানিত তা মূলত আল্লাহরই নির্দেশ।

আজকের পর্বে আমরা ‘শাআ ইরুল্লাহ’ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করবো-

(১) কাবা :
পৃথিবীতে মানুষের জন্য প্রথম নির্মিত ঘর কাবা। রহমত ও বরকতপূর্ণ একস্থানের নাম কাবা। কাবা শরিফের উচ্চতা পূর্ব দিক থেকে ১৪ মিটার, পশ্চিম ও দক্ষিণ দিক থেকে ১২.১১ মিটার এবং উত্তর দিক থেকে ১১.২৮ মিটার। এর ভেতরের মেঝে রঙিন মার্বেল পাথরে তৈরি। এর সিলিংকে তিনটি কাঠের পিলার ধরে রেখেছে। প্রতিটি পিলারের ব্যাস ৪৪ সে.মি.। কাবা শরিফের দুটি সিলিং রয়েছে। এর ভেতরের দেয়ালগুলো সবুজ পর্দায় আবৃত। এই পর্দাগুলো প্রতি তিন বছর পর পর পরিবর্তন করা হয়। এর ছাদে ১২৭ সে.মি. লম্বা ও ১০৪ সে.মি. প্রস্থের একটি ভেন্টিলেটর আছে, যেটি দিয়ে সূর্যের আলো ভেতরে প্রবেশ করে। এটি একটি কাচ দিয়ে ঢাকা থাকে। যখন কাবাঘরের ভেতরে ধোয়া হয় তখন এই কাচটি খোলা হয়।

কাবা ঘরের ভেতরে প্রতি বছর দুবার ধোয়া হয়, শাবান মাসের ১৫ তারিখে এবং মহররম মাসের মাঝামাঝি সময়। মেঝে ও দেয়ালে গোলাপ, আতর মিশ্রিত জমজমের পানি দিয়ে ধোয়া দেওয়া হয়। ধোয়ার পরে মেঝে এবং দেয়াল সাদা কাপড় ও টিস্যু দিয়ে মোছা হয়। এরপর দেয়ালগুলো পারফিউম দিয়ে সুগন্ধযুক্ত করা হয়। কাবা শরিফের কালো কাপড়ের আবরণটি প্রতি বছর ৯ জিলহজ পরিবর্তন করা হয়। কাবা শরিফকে কালো গিলাফ দ্বারা ঢেকে রাখা হয়। বর্তমানে গিলাফ কালো রেশমি কাপড় দিয়ে নির্মিত, যার ওপর স্বর্ণ দিয়ে লেখা থাকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’, ‘আল্লাহু জাল্লা জালালুহু, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম’ এবং ‘ইয়া হান্নান, ইয়া মান্নান’। ১৪ মিটার দীর্ঘ এবং ৯৫ সেমি প্রস্থ। ৪১টি কাপড়ের টুকরা জোরা দিয়ে গিলাফ তৈরি করা হয়। এর চার কোণায় স্বর্ণ দিয়ে সুরা ইখলাস লেখা হয়। রেশমি কাপড়টির নিচে মোটা সাধারণ কাপড়ের লাইনিং থাকে। একটি গিলাফে ব্যবহূত রেশমি কাপড়ের ওজন ৬৭০ কিলোগ্রাম এবং স্বর্ণের ওজন ১৫ কিলোগ্রাম।

(২) আরাফার ময়দান :
সুবিশাল সবুজ প্রান্তর। দৈর্ঘ্য দুই মাইল। প্রস্থ দুই মাইল। যার তিন দিকেই পাহাড়। দক্ষিণ দিকে নবনির্মিত মক্কা শরিফ। এর পাশেই অবস্থিত উম্মুল কোরা বিশ্ববিদ্যালয় নগরী। এখানেই ৯ জিলহজ জোহর নামাজের পর অবস্থান করার মাধ্যমেই হজের প্রথম ও প্রধান কাজ সম্পন্ন করা হয়।

আরাফা আরবি শব্দ। আরাফা শব্দের অর্থ চিনতে পারা। বেহেশত থেকে নিক্ষিপ্ত হওয়ার পর হজরত আদম ও হাওয়া (আ.) এখানেই পরস্পরকে চিনতে পেরেছিলেন। আরাফার ময়দানের পুরো অংশই হারাম এলাকার বাইরে অবস্থিত। আরাফার ময়দান এক সময় উত্তপ্ত বালুময় হলেও এখন অবস্থা পাল্টেছে। এখন সেখানে সবুজ বৃক্ষ আর শীতল ফোয়ারার পানি সব সময় পরিবেশকে কিছুটা হালকা ও শীতল করে রাখে। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের পরামর্শে সেখানে নিম গাছের চারা রোপণ করা হয়। এসব এখন পুরো আরাফার ময়দানকে সবুজ ছায়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে। আরাফার ময়দান থেকেই হজের খুতবা দেওয়া হয়।

(৩) মিনা :
আরাফার মতোই আরেকটি বিশাল ময়দানের নাম মিনা। মক্কা নগরীর এক পাশে কাবা শরিফ থেকে সামান্য দূরেই এটি অবস্থিত। পুরো ময়দানটিই সাদা রঙের স্থায়ী তাঁবু দিয়ে সাজানো। দূর থেকে এগুলোকে অসংখ্য গম্বুজ মনে হবে। হাজীদের ৮ জিলহজ জোহরের আগে মিনায় থাকতে হয়। এদিন জোহর থেকে পরের দিন ফজর পর্যন্ত এখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া সুন্নত। ৯ জিলহজ হাজীদের মিনা থেকে আরাফাহ ময়দানে যেতে হয়। ১০ জিলহজ মুজদালিফায় রাত যাপন করে ১১ জিলহজ সকালে মিনায় ফিরে জামরায় পাথর নিক্ষেপ করতে হয়।

জিলহজের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ এই তিনদিন মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। মিনার বর্তমান চিত্র খুবই সুন্দর ও পরিপাটি একটি শহর। এটাকে বিশ্বের বৃহত্তর তাঁবুর শহরও ধরা হয়। ১৮ টি সুবিশাল তাঁবু নিয়ে গঠিত এই তাঁবুর শহর।

(৪) মুজদালিফা :
আরাফা ও মিনার মাঝামাঝি একটি জায়গার নাম মুজদালিফা। ৯ জিলহজ হাজীদেরকে আরাফাহ থেকে সূর্যাস্তের পর মিনার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পর এখানেই রাত্রি যাপন করে। হাজীরা এখানে মাগরিব ও এশার নামাজ একসাথে আদায় করেন। মুজদালিফায় হাজীদের রাত যাপন করতে হয়। এরপর হাজীরা এখান থেকে কঙ্কর নিয়ে মিনার উদ্দেশে রওনা দেন। মুজদালিফায় রাত্রি যাপনকারীকে আল্লাহতায়ালা রহমতের চাদরে দ্বারা আবৃত করে নেন।

(৫) মসজিদ আল কিবলাতাইন :
‘কিবলাতাইন’ শব্দটি দ্বারা দুটি কিবলা বুঝানো হয়। একই মসজিদে একই নামাজে প্রথমে জেরুজালেম এবং পরে মক্কার দিকে কিবলা পরিবর্তন করার কারণে মদিনা নগরের মসজিদ আল কিবলাতাইন বা দুই কিবলার মসজিদ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। হিজরতের দ্বিতীয় বছরে আরবি রজব মাসের মাঝমাঝি সময়ে কিবলা পরিবর্তনের এ ঘটনা ঘটে।

হাদিসবিশারদদের মতে, ওইদিন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই মসজিদে জোহর বা আসর নামাজ আদায় করছিলেন। দুই রাকাত নামাজ আদায়ের পর হজরত জিবরাইল (আ.) জেরুজালেম নগরীর পরিবর্তে মক্কা নগরী অর্থাৎ পবিত্র কাবামুখী হয়ে নামাজ আদায়ের জন্য আল্লাহর নির্দেশ পৌঁছে দেন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহতায়ালার নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে কিবলা পরিবর্তন করে কাবামুখী হয়ে অবশিষ্ট দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। মসজিদে উপস্থিত সাহাবাগণও একইভাবে নবীজিকে অনুসরণ করে কাবামুখী হয়ে নামাজ আদায় করেন। এ ঘটনার পর থেকেই এ মসজিদটি ‘মসজিদ আল কিবলাতাইন’ বা দুই কিবলার মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। সূরা বাকারা ১৪৪ নম্বর আয়াতে এর বর্ণনা রয়েছে।

(৬) মাকামে ইবরাহীম :
মক্কার আরেকটি নিদর্শনের নাম মাকামে ইবরাহীম। মাকামে ইবরাহীম একটি পাথর যা কাবা শরিফ নির্মাণের সময় ইসমাইল (আ.) নিয়ে এসেছিলেন। পাথরটির ওপর দাঁড়িয়ে ইবরাহীম (আ.) কাবাঘর নির্মাণ করেন। ইসমাউল (আ.) পাথর এনে দিতেন এবং ইবরাহীম (আ.) তাঁর পবিত্র হাতে তা কাবার দেয়ালে রাখতেন। ওপরে উঠার প্রয়োজন হলে পাথরটি আল্লাহর কুদরতিভাবে ওপরের দিকে উঠে যেত।
তাঁরা উভয়ে দোয়া করেন, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পক্ষ থেকে কবুল। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১২৭)

আল্লাহ তাঁদের দোয়াকে এমনভাবে কবুল করেন যে ইবরাহিম (আ.) যে পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে কাবাঘর নির্মাণ করেন তাকে অমরত্ব দান করেন। ফলে কিয়ামত পর্যন্ত মক্কায় আসা মুসল্লিরা তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহিমকে সামনে রেখে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে।

(৭) জাবালে নূর ও হেরাগুহা :
হেরাগুহায় বসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ধ্যান করতেন। ধ্যানমগ্ন রাসুলের ওপর সর্বপ্রথম অহি নাজিল হয় এখানেই। যে কারণে এ পাহাড় ও গুহাটির মর্যাদা অনেক বেশি। হেরা গুহা মক্কার উত্তর দিকে অবস্থিত। মসজিদে হারাম থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার। আর গুহাটি যে পাহাড়ে অবস্থিত তার নাম নূর পাহাড়। এর উচ্চতা ২০০ মিটার এবং এটি একটি খাড়া পাহাড়। মক্কার এটিই সর্বোচ্চ পাহাড়। হেরা গুহাটি পাহাড়ের চূড়া থেকে ৫০ মিটার দূরে। গুহার প্রবেশ পথ উত্তরমুখী এবং এর উচ্চতা মধ্যম আকৃতির একজন মানুষের উচ্চতার সমান। এ গুহাতে এক সাথে ৫ জন লোক বসতে পারেন। এখানকার একটি পাথরে খোদাই করে লেখা আছে সুরা ‘আলাকে’র আয়াতগুলো।

(৮) হাতিম:
হাতিম হলো পবিত্র কাবা শরিফের মূল ভিতের উত্তর দিকে পরিত্যক্ত অংশের নাম। কাবা শরিফের ৬ হাত জায়গা বাদ রেখে কাবা শরিফ নির্মাণ কর হয়। এ বর্ধিত ৬ হাত জায়গাকে হাতিম বলে। এটি দোয়া কবুলের অন্যতম একটি স্থান।

রাসূল (স) এর বয়স যখন ৩৫ বছর তখন কুরাইশরা কাবা পুনঃনির্মান করেন। কুরাইশ নেতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা তাদের হালাল উপর্জন দিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। পবিত্র কাবা শরিফকে ৪ ভাগ করে একে ভাগ একেক গোত্রপতির ওপর দায়িত্ব পড়ে।

কাবা শরিফের উত্তরাংশ তথা হাতিমের অংশ নির্মাণের দায়িত্ব পড়ে বনু আদি বিন কাব বিন লুওয়াই-এর ওপর। তাদের হালাল অর্থের ঘাটতি থাকায় তারা উত্তরাংশ নির্মাণে ব্যর্থ হয়।
ফলে ওই অংশের ৬ হাত জায়গা বাদ রেখেই দেয়াল নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। যার কারণে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের নির্মিত কাবার ওই অংশটুকু বাদ পড়ে যায়। যা হাতিম বা পরিত্যক্ত নামে আজও ওই ভাবে পড়ে আছে।

(৯) মিজাবে রহমত:
পবিত্র কাবাঘরের ছাদ ধোয়া পানি নিষ্কাশনের জন্য যে নালি ব্যবহূদ হয়, তাকে মিজাবে কাবা বলে। নালিটি কাবাঘরের উত্তর পাশের ছাদে সংযুক্ত। ছাদ ধৌতকরণে ব্যবহৃত পানি অথবা বৃষ্টির জমাটবদ্ধ পানি ‘মিজাব’ দিয়ে নিচে পড়ে। পবিত্র কাবার মিজাব সর্বপ্রথম কুরাইশরা মহানবী (সা.)-এর জন্মের ৩৫তম বছরে নির্মাণ করে।

এর আগে কাবার কোনো ছাদ ছিল না। সে সময় কাবার ভেতরের সংরক্ষিত সম্পদের চুরি রোধে ছাদ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। পবিত্র কাবার বর্তমান মিজাবটি কনস্টান্টিনোপলে সুলতান আব্দুল মাজিদের সময়ে নির্মাণ করা হয়। স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া মিজাব ১২৭৬ হিজরিতে বহন করে আনা হয়।

(১০) মুলতাজিম:
পবিত্র কাবাঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে একখণ্ড বেহেশতি পাথর লাগানো আছে। এখান থেকে কাবাঘরের দরজা পর্যন্ত দেয়ালের অংশটিকে মুলতাজিম বলে। এটি দোয়া কবুলের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

(১১) বাবুস সালাম:
মসজিদুল হারামের পূর্ব দিকের যে দরজা দিয়ে প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বেশির ভাগ সময়ই কাবা শরিফে প্রবেশ করতেন, তাকেই বাবুস সালাম বলা হয়।

(১২) বাবুল বিদা:
এটি মসজিদুল হারামের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের দরজা। বহিরাগত হাজিরা সাধারণত কাবাঘরকে সামনে রেখে এই দরজা দিয়ে বের হয়ে আসেন।

(১৩) রোকনে ইয়েমেনি:
রোকন শব্দের অর্থ হলো 'কোণ'। ইয়েমেন দেশের দিকের কোণকে রোকনে ইয়েমেনি বলে। কাবা শরিফের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণটি হলো রোকনে ইয়েমেনি। অনুরূপভাবে বায়তুল্লাহ শরিফ থেকে ইরাক ও সিরিয়ার দিকের কোণকে যথাক্রমে রোকনে ইরাকি ও রোকনে শামি বলা হয়।

(১৪) বাবুস সাফা:
তাওয়াফ শেষ করে এই দরজা দিয়ে সায়ি করার জন্য সাফা পাহাড়ের দিকে যাওয়া হয়।

(১৫) জমজম:
আল্লাহর নির্দেশে অলৌকিকভাবে প্রবাহিত হওয়া একটি প্রাচীন কূপের নাম জমজম। এটি হজরত হাজেরা ও হজরত ইসমাইল (আ.)-এর জীবনের এক অলৌকিক ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই পানি দাঁড়িয়ে কেবলামুখী হয়ে পান করতে হয়। পানি পান করার সময় পড়তে হয়_'আল্লাহুম্মা ইনি্ন আসআলুকা ইলমান নাফিয়ান রিজকান ওয়াসিয়ান ওয়া শিফাউন মিন কুলি্ল দায়িন।'

(১৬) জাবালে রহমত:
এটি আরাফাতের মাঠের একটি পাহাড়। হজের সময় এরই সন্নিকটে অবস্থান করতে হয়। এই পাহাড়ের পাদদেশ থেকেই হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ঐতিহাসিক মনোমুগ্ধকর ভাষণ প্রদান করেছিলেন। আর দায়িত্ব পালনে পূর্ণতা অর্জনের প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন।

(১৭) মসজিদে নামিরা:
আরাফাতের ময়দানের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবৃহৎ মসজিদ হলো 'মসজিদে নামিরা'। এখানে ফেরেশতা জিব্রাইল (আ.) হজরত ইব্রাহীম (আ.)-কে হজের নিয়মকানুন শিক্ষা দিয়েছিলেন। এখানেই হজরত আদম (আ.) ও বিবি হাওয়া (আ.) পরস্পরকে চিনতে পেরেছিলেন।

(১৮) জামরাত:
মিনায় শয়তানকে পাথর মারার জন্য নির্ধারিত স্থান। এখানে হাজিদের নিয়মমতো শয়তানকে পাথর মারতে হয়। যখন হজরত ইব্রাহীম (আ.) হজরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন শয়তান এ জায়গায় তাঁকে বিরত রাখার জন্য তাঁর মধ্যে দুর্বলতা সৃষ্টির মাধ্যমে বাধা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। সেই ঘটনা স্মরণ করে এখানে শয়তানকে পাথর মারা হয়।

(১৯) জাবালে আবু কোবায়েস:
এটি সাফা পাহাড়সংলগ্ন একটি সুউচ্চ পাহাড়। এটি মসজিদুল হারাম থেকে দেখা যায়। কাবা গৃহের নির্মাণকাজ শেষ করে হজরত ইব্রাহীম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে এই পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণ করে লোকদের হজের জন্য আহবান করেছিলেন। হাজরে আসওয়াদকে বেহেশত থেকে এনে প্রথম এই পাহাড়ে রাখা হয়েছিল। এই পাহাড়ে দাঁড়িয়ে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) অবিশ্বাসীদের চ্যালেঞ্জের উত্তরস্বরূপ অঙ্গুলির নির্দেশে চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করেছিলেন। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর এই চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করাকে শাক্কাল কামার বলে।

(২০) মাউলুদুন নবী (স.):
সাফা বাজারের সনি্নকটে আবদুল মোত্তালিবের বাড়ি। এখানেই হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে এ বাড়িটিকে একটি সাধারণ গ্রন্থাগার করা হয়েছে।

(২১) দারে আরকাম:
সাফা পাহাড়ের নিকটবর্তী একটি বাড়ি। ইসলামের সংকটপর্বে দারুল আরকাম ছিল রাসুল (সা.) ও মুসলমানদের আশ্রয়স্থল। সেটি হয়ে উঠেছিল ওহি নাজিলেরও অন্যতম স্থান। বাসাটির মালিক ছিলেন আল-আরকাম ইবনে আবিল আরকাম (রা.)। ইসলামের প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এ বাড়ির ভূমিকা অনন্য। নবুয়তের প্রথম দিকে ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষা ও ইবাদতের নিয়মনীতি এখানে শেখানো হতো। সে সময় অল্প যে কজন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, তাঁরা এ বাসায় রাসুল (সা.)–এর সঙ্গে মিলিত হতেন। এখানেই হজরত ওমর (রা.) ইসলাম গ্রহণ করেন।

(২২) মসজিদে আকাবা:
মক্কার অদূরে আকাবা নামক একটি জায়গা। হিজরতের আগে এখানে পরপর দুই বছর শপথ হয়। ১ম বছর ১২ জন এবং২য় বছর মদিনার ৭২ জন তীর্থযাত্রী এখানে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং মদিনায় গিয়ে তাঁরা ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন। এখানে তাঁরা হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেন। এই স্থানে নির্মিত মসজিদের নাম হলো মসজিদে আকাবা।

(২৩) দম:
এহরাম অবস্থায় কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি বা নিষিদ্ধ কোনো কাজ বা হজের ওয়াজিব ভেঙ্গে ফেললে তার ক্ষতিপূরণস্বরূপ যে কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব হয়ে যায় তাকে 'দম' বলে। দম হেরেমের সীমানার মধ্যে দিতে হয়।

(২৪) মিকাত:
পবিত্র ভূমি মক্কা শরিফে প্রবেশের জন্য চতুর্দিকে নির্দিষ্ট দূরত্বে বিশেষ জায়গাকে সীমারেখা করে পোস্ট বা খুঁটি পুঁতে রাখা আছে। এদের মিকাত বলা হয়। হজ ও ওমরাকারীদের এই স্থান অতিক্রম করার আগেই এহরাম বাঁধতে হবে এই উদ্দেশ্যে যে তাঁরা হজ ও ওমরা করার জন্য প্রস্তুত আছেন ও সংকল্পবদ্ধ হয়েছেন। হজ ও উমরার মিকাত ৫টি। যথা

এক. জুল হুলায়ফা বা বীরে আলী: এটি মদিনাবাসী এবং মদিনা হয়ে মক্কায় প্রবেশকারীদের মিকাত।
দুই. ইয়ালামলাম: এটি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান অর্থাৎ উপমহাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে জেদ্দা হয়ে মক্কা প্রবেশকারীদের মিকাত।
তিন. আল-জুহফা: এটি সিরিয়া, মিসর ও সেদিক থেকে আগতদের মিকাত।
চার. কারনুল মানাজিল বা আসসায়েল আল-কাবির: এটি নাজদ থেকে আগতদের জন্য মিকাত।
পাঁচ. যাতুল ইরক: এটি ইরাক থেকে আগতদের জন্য মিকাত।

(২৫) জাবালে সাওর
জাবালে সাওর মক্কা শহরের দক্ষিণ-পূর্বে, মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জাবালে সাওর পাহাড়ের গুহায় (গারে সাওর) রাসুলুল্লাহ (সা.) ও আবু বকর (রা.) মদিনায় হিজরতের সময় তিন দিন আশ্রয় নিয়েছিলেন। মক্কার কুরাইশরা তাঁদের খুঁজতে এসেছিল, কিন্তু আল্লাহর অলৌকিক সাহায্যে তাঁরা রক্ষা পান। কোরআনে এ ঘটনার উল্লেখ আছে, যদি তোমরা তাকে (রাসুলকে) সাহায্য না করো, তবে আল্লাহ তাকে সাহায্য করেছেন, যখন কাফিররা তাকে বের করে দিয়েছিল। তিনি ছিলেন দুজনের একজন, যখন তাঁরা গুহায় ছিলেন। তিনি তাঁর সঙ্গীকে বললেন, ‘দুঃখ কোরো না, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪০)

আবু বকর (রা.) বলেন, আমরা যখন (সাওর) গুহায় আত্মগোপন করেছিলাম। তখন আমি নবী করিম (সা.)-কে বললাম, যদি কাফিররা তাদের পায়ের নিচের দিকে দৃষ্টিপাত করে, তবে আমাদের দেখে ফেলবে। তিনি বলেন, হে আবু বকর, ওই দুই ব্যক্তি সম্পর্কে তোমার কি ধারণা, স্বয়ং আল্লাহ যাঁদের তৃতীয় জন। (বুখারি, হাদিস : ৩৬৫৩)
সিরাতের কিতাব অনুযায়ী, গুহার মুখে মাকড়সা জাল বুনে এবং পায়রা ডিম পেড়ে রেখেছিল, যা কুরাইশদের ভ্রম সৃষ্টি করে তাদের ফিরে যেতে বাধ্য করেছিল।

(২৬) মসজিদে খায়েফ
মসজিদে খায়েফ মিনা প্রান্তরে অবস্থিত। এটি মিনার একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এখানে রাসুল (সা.) হজের সময় নামাজ পড়েছিলেন। হজের সময় হাজিরা এখানে নামাজ আদায় করেন।

(২৭) মসজিদে জিন
মসজিদে জিন মক্কা শহরের পূর্ব দিকে, হুজুন পাহাড়ের নিচে এবং হুজুন ব্রিজ থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে অবস্থিত। এটি মুয়াল্লা কবরস্থানের কাছাকাছি। মসজিদটির আয়তন প্রায় ৬০০ বর্গমিটার।

মসজিদে জিনের নামকরণ হয়েছে এই ঘটনার কারণে যে এখানে একদল জিন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কণ্ঠে কোরআন তিলাওয়াত শুনে ইসলাম গ্রহণ করেছিল। কোরআনের সুরা জিন (৭২তম সুরা) এই ঘটনার উল্লেখ করে। আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অতঃপর তারা বলল, আমরা এক বিস্ময়কর কোরআন শুনেছি, যা সঠিক পথ প্রদর্শন করে। তাই আমরা তার ওপর ঈমান এনেছি...।’ (সুরা : জিন, আয়াত : ১-২)
এই ঘটনা মক্কার নাখলা এলাকায় সংঘটিত হয়েছিল এবং পরবর্তী সময়ে এই স্থানে মসজিদ নির্মিত হয়। রাসুল (সা.) জিনদের কোরআন পড়ে শোনান এবং তাদের ধর্মীয় বিষয়ে শিক্ষা দেন।

(২৮) মাকবারাতুল মুয়াল্লা
এটি মক্কার প্রাচীনতম কবরস্থান। অনেকে একে জান্নাতুল মুয়াল্লা বলে থাকেন। এখানে রাসুল (সা.)-এর স্ত্রী খাদিজা (রা.), সাহাবি আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা.)-সহ অনেক সাহাবি ও তাবেঈনকে দাফন করা হয়েছে।

(২৯) মসজিদে আয়েশা
মসজিদে আয়েশা মক্কার তানিম এলাকায় অবস্থিত। যা মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে।
এটি মিকাত স্থানগুলোর একটি। আয়েশা (রা.) এখান থেকে ওমরাহর ইহরাম বেঁধেছিলেন। মক্কার বাসিন্দারা ওমরাহর জন্য এখান থেকে ইহরাম বাঁধেন।

(৩০) বাতনে উরনা
আরাফাতের ময়দানে এক বিশেষ স্থান যা বাতনে উরনা অথবা উরনা প্রান্তর নামে প্রসিদ্ধ। বিদায় হজ্জের সময় এ প্রান্তরেই নবী (স) জনসমাবেশে ভাষণ দান করেন।

(৩১) হেরেম
যে মক্কা শহরে বায়তুল্লাহ এবং মসজিদুল হারাম অবস্থিত তার আশে পাশের কিছু এলাকাকে হেরেম বলে। হেরেমের সীমানা নির্ধারিত আছে এবং তা সকলের জানা। প্রথমে এ সীমানা নির্ধারণ করেন হযরত ইবরাহীম (আ)। তারপর নবী (স) তার যামানায় এ সীমানা নবায়িত ও সত্যায়িত করেন। মদীনার দিকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার হেরেমের সীমানা। ইয়ামেনের দিকে প্রায় এগারো কিলোমিটার, তায়েফের দিকেও প্রায় এগারো কিলোমিটার এবং এতো কিলোমিটার ইরাকের দিকে। আল্লাহর দীনের প্রতি ভালোবাসা ও আনুগত্যের দাবি এই যে, মুসলমান এ সীমারেখাগুলোর মহত্ত্ব, শ্রদ্ধা ও সংরক্ষণের প্রতি পুরোপুরি লক্ষ্য রাখবে এবং এ সীমারেখার ভেতর যেসব কাজ নিষিদ্ধ তা করা থেকে বিরত থাকবে।

(৩২) সাফা ও মারওয়া
বায়তুল্লাহর পূর্ব দিকে একটি পাহাড়ের নাম সাফা। এখন সে পাহাড়ের সামান্য চিহ্নই বাকী আছে। তার বিপরীত বায়তুল্লাহর উত্তরে মারওয়াহ পাহাড়। এ দুয়ের মাঝখানে হেরেম দর্শনার্থীর সায়ী করা ওয়াজিব। এ সায়ীর উল্লেখ কুরআন পাকে রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে বাইতুল্লাহর হজ্জ করবে কিংবা উমরা করবে তার কোন অপরাধ হবে না যে, সে এগুলোর তাওয়াফ করবে। আর যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কল্যাণ করবে, তবে নিশ্চয় শোকরকারী, সর্বজ্ঞ। (সূরা বাকারা-১৫৮)

(৩৩) মুহাসসাব
মক্কা ও মিনার মধ্যবর্তী একটি প্রান্তর যা দুটি পাহাড়ের মধ্যে অবস্থিত। আজকাল একটি বসতিপূর্ণ হয়ে গেছে। এখন তাকে মুয়াহেদা বলে। নবী (স) মিনা থেকে যাবার সময় এখানে কিছুক্ষণ থেমে ছিলেন। কিন্তু এখানে থামা হজ্জের ক্রিয়াকলাপের কিছু নয়।

(৩৪) ওয়াদিয়ে মুহাসসার
আরাফাতের ময়দান ছেড়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার অতিক্রম করার পর মুজদালিফা। তারপর ওয়াদিয়ে মুহাসসার এর পরে মিনা। রাসূল (স) এর জন্মের কিছু দিন পূর্বে হাবশার খৃষ্টান শাসক আবরাহা বায়তুল্লাহকে ধূলিসাৎ করার দুরভিসন্ধিসহ মক্কা আক্রমণ করে। যখন সে এ মুহাসসার প্রান্তরে পৌঁছে তখন আল্লাহ তায়ালা সমুদ্রের দিক থেকে বহু সংখ্যক ছোট ছোট পাখীর ঝাঁক পাঠিয়ে দেন। এসব পাখীর ঠোটে ও পায়ে ছোট ছোট পাথর ছিল। এসব পাথর আবরাহার সৈন্যদের উপর এমন প্রবল বেগে ও অবিরাম বর্ষণ করতে থাকে যে, গোটা সেনাবাহিনী তসনস হয়ে যায়।

হজ্জ- যাত্রীগণ এ স্থান থেকে ছোট ছোট পাথর কুড়িয়ে আনে এবং তাই দিয়ে রামী করে। এ সংকল্পসহ রামী করা হয় যে, দীনে হক বরবাদ করার দুরভিসন্ধি নিয়ে যদি কেউ অগ্রসর হয় তাহলে তাকেও এভাবে তসনস করে দেয়া হবে যেমন পাখীর ঝাঁক আবরাহার সৈন্যবাহিনীকে করেছিল। হাজীদের উচিত এখান থেকে ছোলার পরিমাণ ছোট ছোট পাথর প্রয়োজন মতো সংগ্রহ করে নেয়া এবং অবিলম্বে এ স্থান পরিত্যাগ করা। কারণ এ হলো আযাবের স্থান।

(৩৫) মাশয়ারুল হারাম
“মাশআরুল হারাম” একটি পাহাড়ের নাম। এটি মুযদালিফায় অবস্থিত। মুযদালফা প্রান্তরে এক উঁচু নিশানা রয়েছে। এ স্থানকে বলে মাশয়ারুল হারাম। এখানে অধিক পরিমাণে যিকর ও তসবিহ পাঠের তাকীদ করা হয়েছে। নবী (স) ঐ উঁচু স্থানে ওঠে তসবিহ পাঠ ও দোয়া করেন। এটাও দোয়া কবুলের একটি স্থান। কুরআন পাকেও বলা হয়েছে যে, এখানে বেশী করে আল্লাহর যিকির করতে হবে- অতএব , তোমরা যখন আরাফাত থেকে ফিরে আসবে তখন মাশয়ারুল হারামের নিকটে আল্লাহর যিকর কর যেভাবে করতে বলা হয়েছে।

#বায়তুল্লাহর_পথে

Address

বায়তুল হেরা জামে মসজিদ, মুজগুন্নি
Khulna
9100

Telephone

+8801914792347

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Imam Hossain-ইমাম হুসাইন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Imam Hossain-ইমাম হুসাইন:

Share