26/03/2024
দুনিয়া মুমিনের জন্য জেলখানা ও কাফিরের জন্য জান্নাত।
------------------------------
قال رسول الله صلي الله عليه وسلم الدنيا سجن للمؤمن وجنة للكافر رواه البخاري
অর্থ রাসূলুল্লাহ [সাঃ] বলেছেন,
দুনিয়া মুমিনের জন্য কয়েদখানা এবং
কাফিরের জন্য বেহেস্ত।{ সহীহ বুখারী}
ভাবার্থ :- পৃথিবীতে মানব জাতিকে আল্লাহ সৃষ্টির সেরা করে সৃষ্টি করে তাঁর খিলাফাতের (তাঁর প্রতিনিধিত্বের) দায়িত্ব দিয়েছেন।
মুমিন ব্যক্তি প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব পালন করার জন্য আল্লাহ প্রদত্ব ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) প্রদর্শিত পরিপূর্ন দ্বীন বা ইসলামী জীবন-বিধান মনেপ্রানে বিশ্বাস করে মেনে নিয়েছে।
মুমিনদের সেই দ্বীন মোতাবেক জীবন-যাপন করতে কয়েদীদের মত সীমাবদ্ধ গন্ডির ভিতর জীবন-যাপন করতে হয়।
"দুনিয়াটা মস্তবড়, খাওদাও আর ফুর্তি কর,আগামীকাল বাঁচবে কিনা বলতে পার"
এই মানষিকতা নিয়ে মুমিনগন জীবন অতিবাহিত করতে পারেনা।
যে মুমিনগন ইসলাম বিরুধী সকল জাহিলিয়াত,মানব রচিত মতবাদ,অইসলামী নিয়ম-নীতি এবং কার্যকলাপ ঘৃনাভরে বর্জন করে পূর্ন ইসলামী বিধি-বিধান ও নিয়ম-নীতি অনুসরন করে,এই হাদীসে তাদেরকেই মুমিন আখ্যায়িত করা হয়েছে।এই চরিত্রের মুমিনদের জন্য দুনিয়া কয়েদখানা।
পক্ষান্তরে যারা মুমিন হওয়ার দাবীদার অথচ ইসলামের গন্ডির ভিতর জীবন-যাপন করেন না।তাদের জন্য দুনিয়া কয়েদখানা বলে গন্য নয়।
আর যারা পরিপূর্ন দ্বীন-ইসলামী জীবন-বিধানকে নিজেদের জীবনে মেনে চলার জন্য বিশ্বাস করেনি বা মেনে নয়নি,তাদের জন্য দুনিয়া জান্নাতের মত।
দুনিয়া তাদের জন্য বেহেস্ত।তারা আল্লাহ প্রদত্ব দ্বীনের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেনা।
আইন রচনার ক্ষেত্রে আল্লাহর আইন বিরুধী আইন রচনা করে।
আল্লাহর দ্বীনের নিয়ম-নীতি বিরুধী আইনের ভিত্তিতে দল করে, সেই আইন অনুসরন করে।
মানব রচিত ইসলাম বিরুধী আইন পরিবর্তন করে ইসলামীকরন করার চিন্তা-ভাবনাও করেনা।
হারাম ও হালালের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেনা।
ফারয ও ওয়াজিবের কোন গুরুত্ব দেয়না।
সুন্নাহের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেনা।
তাদের জন্য দুনিয়া অবাধ বিচরন ক্ষেত্র মনে করে দুনিয়ায় স্বাধীন -স্বেচ্ছাচারী এবং স্বৈরাচারী জীবন অতিবাহিত করে।
মুসলিম ঘরে জন্ম নেয়ায় ভূমিষ্ট হওয়ার পর আযান আর মৃত্যুর পর জানাযা ও কাফন-দাফন করা হয় ঠিকই।কিন্তু
যারা বাস্তব জীবনে আল্লাহর পূর্ন শারীয়া মেনে নিয়ে অনুসারী হয়না ,তাদের মধ্যে ও কাফিরের মধ্যে বাস্তব জীবনে পার্থক্য অনুভূত হয়কি?
-মুহাদ্দিস রবিউল বাশার