22/08/2024
একটা মেইনস্ট্রিম বিষয় বুঝিয়ে দেই। বিকেল পর্যন্ত ভারত যে কয়টা গেট খুলে দিয়েছিলো, সন্ধ্যার পর থেকে বাকিগুলোও খুলে দিবে। হয়তো অলরেডি শুরু করেও দিয়েছে। সবগুলো একসাথে খুলে দিলে কি হবে সেটা নতুন করে না বলি।
এখন সবচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তিনটে শ্রেণীর।
১. সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীকে বন্যার্ত এলাকাগুলোতে পুরোপুরি ছড়িয়ে পড়তে হবে। আজকে রাতে কোনো ঘুমের দরকার নেই। সারারাত উদ্ধার অভিযান চলবে। দরকার হলে ৭০% সামরিক ফোর্স কাজে লাগান।
পুলিশ, বিজিবি, আনসার, নৌবাহিনী, সবাইকে কাজে লাগিয়ে দিন। আজকের রাত। শুধুই আজকের রাত। আপনারা আজ সমগ্র এলাকায় চিরুনি উদ্ধার অভিযান বহাল রাখুন। শিশু থেকে বৃদ্ধ, একটা মানুষও যেন না মা'রা যায়। তাদের উদ্ধার করে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে শিফট করুন।
২. স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যেগুলো বন্যার্ত এলাকার আশপাশে আছেন।
আপনাদের কাজ হচ্ছে যতবেশি পারেন শুকনো খাবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে অবস্থান করুন। আপনাদের রেসকিউ মিশনে যাওয়ার দরকার নেই। যেহেতু কেউ ট্রেইনড না, আবেগের বশে গেলে হিতের বিপরীত হতে পারে।
আপনারা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করে শুকনো খাবার, থাকার ব্যবস্থা এবং ফার্স্ট এইড চিকিৎসা ও ওষুধ সাথে রাখুন।
৩. অনলাইন যোদ্ধা।
আপনারা জেগে থাকুন। ঘুমাবেন না। কোথায় পানি ঢুকছে, কোথায় তলিয়ে যাচ্ছে, কোন বাঁধ খুলে দিয়েছে, কোন এলাকায় রেসকিউ টিম নেই, বন্যার্ত কারো ফোনে রিচার্জ লাগবে কিনা, এগুলো শেয়ার করতে থাকুন সবসময়।
আজকে ঘুমের দরকার নেই। আই রিপিট, ঘুমের দরকার নেই। একটা রাত কষ্ট করুন।
সবার উদ্দেশ্যে বলি, আজকে রাতের রেসকিউ মিশন যদি সফল না হয়, আগামীকাল ত্রাণ দেওয়ার মতো লোক পাবেন না। আজকে মুরগি আর গরু ছাগলের ভাসা যেমন দেখেছেন, কালকে দেখতে হবে মানুষের।
আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন, আমিন।
©