11/07/2024
আলু ভর্তা, পাতলা ডাল,আর ডিমভাজি পৃথিবীর একমাত্র খাবার , যেই খাবারে কখনও অরুচি হয় না! ভোজনরসিক বাঙালির খাদ্যতালিকায় আলু একেবারে মাখো মাখো করে মিশে আছে। কিন্তু জেনে অবাক হবেন মাত্র ২৫০ বছর আগেও এই অঞ্চলে কেউ আলু চিনতোই না !!
বাংলাপিডিয়ার মতে, সপ্তদশ শতকের প্রথম দিকে পর্তুগিজ নাবিকরা ভারতবর্ষে প্রথম আলু নিয়ে আসে। দীর্ঘ সমুদ্র যাত্রায় পর্তুগীজদের একমাত্র ভরসা ছিলো আলু। কারণ আলু সহজে পচে না, সেদ্ধ করেই খাওয়া যায় এবং পেট ভরা থাকে অনেকক্ষণ। তাই তারা আলু বোঝাই করে নিয়ে আসতো জাহাজে। এই ইউরোপীয় বণিকদের মাধ্যমেই আলুর বিষয়ে ভারতের মানুষ প্রথম জানতে পারে।
কিন্তু আলুকে ভারতবর্ষের সর্বত্র ছড়াতে কাজ করেছিল ইংরেজরা। ভারতে প্রথম আলুর চাষ শুরু হয় উত্তরখণ্ড রাজ্যের পাহাড়ি এলাকা নৈনিতালে। সেখান থেকে মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে আলু চাষের প্রবর্তন হয়। কাছাকাছি সময়ে কলকাতার পার্শ্ববর্তী কিছু এলাকায় ব্রিটিশরা আলু চাষ করলে বাঙালি খাবারে আলু প্রবেশ করে। বলা হয়ে থাকে আওধের নবাব ওয়াজেদ আলী শাহ ১৮৫৬ সালে কলকাতায় নির্বাসিত হলে তার বাবুর্চিরা মুঘল লখনউ বিরিয়ানিতে আলু মেশায়। সেই থেকেই বাংলার বিরিয়ানিতে আলু জনপ্রিয়তা পায়।
বাংলাদেশে এখন আলু এতোটাই জনপ্রিয় যে কোনো না কোনো পদে আলু থাকতেই হয়। আপনার কী মনে হয় আলু যদি এখনও না আসতো তাহলে কেমন হতো আমাদের খাবারের রেসিপিগুলো ? চায়ের কাপ হাতে তুলুন, তৃপ্তির একটা চুমুক দিয়ে, চিন্তার জগতে ডুবে যান...