Daily Life of Ummay

Daily Life of Ummay Fultola Khulna

স্বামী স্ত্রী এই সম্পর্ক পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্যতম সুন্দর সম্পর্কএই সম্পর্কে কোন রক্তের সম্পর্ক নয়,,,তবুও এই সম্পর্ক আপনার ...
09/09/2025

স্বামী স্ত্রী এই সম্পর্ক পৃথিবীর সবচেয়ে
জঘন্যতম সুন্দর সম্পর্ক
এই সম্পর্কে কোন রক্তের সম্পর্ক নয়,,,
তবুও এই সম্পর্ক আপনার
রক্তের সম্পর্ক তৈরি করে,
আর এই পৃথিবীর সবচেয়ে
বেহায়া সম্পর্ক যদি কোনটা থেকে থাকে
তাও স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক
এখানে সবচেয়ে জঘন্য শব্দটা উচ্চারিত হয়
আবার সবচেয়ে মধুর শব্দটাও
এই সম্পর্কেই উচ্চারিত হয়
এখানে কোন সমীকরণ নাই
কোন সমীকরণেই মিলাতে পারবেন না
এখানে সমীকরণটা হল ভালবাসার বিশ্বাসের
এখানে সবকিছু শেষ হতে হতে বেচে উঠে
আর তাই তো অনেকেই একসঙ্গে বহু বছর
একজন্মও কাটিয়ে দেয়,,,
তবে এই একজন্ম কাটিয়ে দিতে
আপনাকে বেহায়া হতে হবেই
এখানে ইগো ধরে রাখলেই সম্পর্ক শেষ.....

খান উম্মে মাহমুদ বিজলী
বেহায়া সম্পর্কে সম্পর্কিত আমরা❤️🤍❤️

আমি কখনও বিষ খাই নাইতবে বিষের চেয়ে বিষাক্ত অনেক কথা হজম করে নিয়েছি বহুবার অনায়াসে খান উম্মে মাহমুদ বিজলী
08/09/2025

আমি কখনও বিষ খাই নাই
তবে বিষের চেয়ে বিষাক্ত অনেক কথা হজম করে নিয়েছি বহুবার অনায়াসে

খান উম্মে মাহমুদ বিজলী

শারীরিক চাহিদা—নারী না পুরুষের?পুরুষের শরীর যেন এক জ্বলন্ত চুল্লি। তার কামনা দাবানলের মতো—এক ঝলকের দৃষ্টি, এক ফোঁটা কল্প...
08/09/2025

শারীরিক চাহিদা—নারী না পুরুষের?

পুরুষের শরীর যেন এক জ্বলন্ত চুল্লি। তার কামনা দাবানলের মতো—
এক ঝলকের দৃষ্টি, এক ফোঁটা কল্পনা বা সামান্য ইঙ্গিতেই তার রক্তে আগুন জ্বলে ওঠে। তার কাছে যৌনতা অনেকটা শিকারের মতো, যেখানে দ্রুত লক্ষ্যভেদ করাই হলো আসল জয়। আবেগ বা দীর্ঘ আলাপ তার কাছে আবশ্যক নয়, তার প্রশ্ন কেবল একটাই—
“এখন?” 🔥

অন্যদিকে, নারীর শরীর এক শান্ত অথচ গভীর সমুদ্র। তার গভীরে ঘুমিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরি জাগতে চায়—
🌸 ভালোবাসার আলোয়,
🌸 আবেগের উষ্ণতায়,
🌸 বিশ্বাসের কোমল ছোঁয়ায়।

নারীর যৌনতা শুরু হয় তার মস্তিষ্কে, তার হৃদয়ে। তার কাছে মিলন মানে শুধু শরীর নয়, বরং ভালোবাসা ও বিশ্বাসের উদযাপন। তাকে স্পর্শ করার আগে তার মনকে ছুঁতে হয়। তার কাছে যৌনতা হলো গল্পের শেষ অধ্যায়, শুরুটা নয়।

এখানেই শুরু হয় দ্বন্দ্ব।
পুরুষ তার দাবানল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে নারীর শান্ত সমুদ্রে, ভাবে উত্তাপেই সমুদ্র জ্বলে উঠবে। কিন্তু ফল হয় উল্টো— আগুন নিভে যায়, সমুদ্র হয়ে ওঠে আরও শীতল। পুরুষ ভাবে— “সে আমাকে চায় না।”
আর নারী ভাবে— “সে শুধু আমার শরীরটাকেই চায়, আমার মনকে নয়।”

👉 পুরুষের কাছে ‘না’ মানে কেবল ‘এখন না’।
👉 নারীর কাছে ‘না’ মানে—“তুমি এখনো আমাকে সেই নিরাপদ আশ্রয় দিতে পারোনি।”

অনুজ জানে, পুরুষ ভালোবাসা ছাড়াই যৌনতায় সক্ষম, কিন্তু নারী নয়। পুরুষের জন্য যৌনতা হতে পারে সম্পর্ক তৈরির শুরু, অথচ নারীর কাছে তা সম্পর্কের গভীরতার প্রমাণ। এই সত্যটাকে না বোঝার কারণেই জন্ম নেয় ভুল বোঝাবুঝি, অবিশ্বাস আর অভিনয়।

বিছানায় একজন তার খিদে মেটায়, আর অন্যজন ভালোবাসার অভিনয় করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখে। এটা কি তবে মিলন? নাকি এক নীরব বিশ্বাসঘাতকতা?

সময় এসেছে মুখোশ ফেলে দেওয়ার।
সময় এসেছে স্বীকার করার যে আমরা দুটি ভিন্ন সত্তা, দুটি ভিন্ন চাহিদা নিয়ে একসাথে চলি।
সত্যিকার প্রেম শুরু হবে তখনই, যখন আমরা একে অপরকে তার মতো করেই মেনে নেব—
🔥 দাবানলও, 🌊 শান্ত সমুদ্রও।

---

#ভালোবাসা #নারী #পুরুষ #সত্য #সম্পর্ক #অনুভূতি

শামস আফরোজ চৌধুরী আপু  মা হতে চলেছেন। প্রথমবার সন্তানের হার্টবিট শুনে আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন তিনি।আমাদের পক্ষ থেকে রইলো আন...
02/09/2025

শামস আফরোজ চৌধুরী আপু মা হতে চলেছেন। প্রথমবার সন্তানের হার্টবিট শুনে আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন তিনি।

আমাদের পক্ষ থেকে রইলো আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা.
বাংলাদেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটার জগতের সবচেয়ে সফল মানুষ

আমার যখন খুব মন খারাপ থাকে তখন আমি আপুর কন্টেন্ট দেখি, আমার মন অটোমেটিক ভালো হয়ে যায়, তার ভাবনা চিন্তা আর কনটেন্টের বৈচিত্র আমাকে মুগ্ধ করে.

( বাংলাদেশের একমাত্র কনটেন্ট ক্রিয়েটার মেয়েদের মধ্যে যার কনটেন্টে কোন অ-'শ্লীলতা নেই,
শিক্ষণীয় অনেক সাবজেক্ট আছে.)...
আপু তুমি মা হতে চলেছো তার মানে আমি খালামনি হচ্ছি ইনশাআল্লাহ.
💙🤲

সব গভীরতম প্রেম কাব্যকে ছেদে করে ফেলছে।আসলেই আমার একটা তুমি ছিলো,অপেক্ষা করতে করতে কত দিন রজনী গেলো,হয়তো যুগে গিয়ে পৌছাই...
02/09/2025

সব গভীরতম প্রেম কাব্যকে ছেদে করে ফেলছে।আসলেই আমার একটা তুমি ছিলো,অপেক্ষা করতে করতে কত দিন রজনী গেলো,হয়তো যুগে গিয়ে পৌছাইছে,হয়তো আরো যুগ পেরিয়ে যাবে, অপেক্ষা তো আর শেষ হয় না!আমার ব্যথাগুলো তীব্রতম হইতেছে। বৃষ্টি,প্রতিটি ঋতু,নদীর উপর ঝলমল রোদ,সাগরের উত্তাল ঢেউ আগের মতোই আছে,তবুও আসোনি তুমি।আমি তো ফুরিয়ে যাচ্ছি। সেই দুরন্তপনা কৈশোর থেকে যৌবনের ছাপ শেষের পথে তবুও হাজারো প্রেমিকার তুমি প্রিয় আসোনি,আমরা বোকা প্রেমিকারা ভালোবেসে অপেক্ষা করেই যাবো।

゚viralシ

পজিটিভিটি ছড়িয়ে দিন যতটা পারেনকারন নেগেটিভিটি সবাইছড়িয়ে দেয়সে আপনি চাইলে বা না চাইলেওসুপ্রভাত সকালের শুরু এখান থেকেই.......
31/08/2025

পজিটিভিটি ছড়িয়ে দিন
যতটা পারেন
কারন নেগেটিভিটি সবাই
ছড়িয়ে দেয়
সে আপনি চাইলে বা না চাইলেও

সুপ্রভাত
সকালের শুরু এখান থেকেই....

খান উম্মে মাহমুদ বিজলী
゚viralシ

🌊 সমুদ্রের বুক চিরে দাঁড়িয়ে থাকা এক সাহসের প্রতীক 🏝️উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝখানে, আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূ...
30/08/2025

🌊 সমুদ্রের বুক চিরে দাঁড়িয়ে থাকা এক সাহসের প্রতীক 🏝️
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝখানে, আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে খাড়া আগ্নেয় শিলার উপর দাঁড়িয়ে আছে থ্রিড্রাংগাভিতি (Þrídrangaviti) বাতিঘর। চারপাশে আরও দুটি শিলা মিলে এর নামের অর্থ হয়েছে—“তিনটি শিলার বাতিঘর।” প্রায় ৩৬ মিটার উঁচু পাথরের মাথায় একাকী দাঁড়ানো এই বাতিঘরকে ঘিরে আছে শুধু উত্তাল সমুদ্র আর অবিরাম ঢেউ, যা দৃশ্যটিকে যেন কোনো প্রাচীন নৌকাহিনীর কিংবদন্তি বানিয়ে তোলে।
২০শ শতকের শুরুতে, এই সমুদ্রপথ ছিল আইসল্যান্ডের সবচেয়ে বিপজ্জনক রুটগুলোর একটি। ঘন কুয়াশা আর সীমিত দৃশ্যমানতা জাহাজকে বিভ্রান্ত করত, আর এই শিলাগুলো যেন ফাঁদের মতো অপেক্ষা করত। ১৯৩৮ সালে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়—এখানেই বাতিঘর তৈরি হবে। অনেকে একে অসম্ভব ভেবেছিল, কিন্তু প্রকৌশলী আর নাবিকদের সাহস ও দৃঢ়তা সেটিকে বাস্তব করে তোলে।
সেই সময়ে হেলিকপ্টার বা আধুনিক যন্ত্র ছিল না। ছোট নৌকায় তীব্র ঢেউ পেরিয়ে এসে, প্রাচীরের মতো শিলা বেয়ে উঠতে হতো দড়ি আর মানব-শৃঙ্খল ব্যবহার করে। নির্মাণকারীরা বলেছিলেন—“মৃত্যু যেন প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল।” দিন-রাতের কঠিন পরিশ্রমের পর অবশেষে ভিত্তি তৈরি হয় এবং বাতিঘরের সাদা দেয়াল দাঁড়িয়ে যায়। ১৯৪২ সালের ৫ জুলাই লাইট প্রথমবার জ্বলে ওঠে এবং জাহাজের পথপ্রদর্শক হয়।
ছোট্ট এই গোলাকার ভবনের উচ্চতা প্রায় ৪ মিটার, কিন্তু আলো প্রায় ৩৪ মিটার ওপরে থেকে জ্বলে উঠে ৯ নটিক্যাল মাইল (প্রায় ১৭ কিমি) দূর পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়। বাইরের চারপাশে সংকীর্ণ ধাতব বারান্দা, ভেতরে দুই তলা—নিচে বিশ্রামের ও সরঞ্জাম রাখার ঘর, উপরে বাতির কক্ষ। দেয়ালগুলো মোটা, জানালা ছোট—যাতে ঘণ্টায় ১০০ কিমি’র বেশি গতির বাতাস আর ভয়ংকর ঝড় প্রতিরোধ করতে পারে।
কিছু বছর আগে পর্যন্ত এখানে পৌঁছানো মানেই ছিল এক দুঃসাহসিক অভিযান। ১৯৫০-এর দশকে একটি ছোট হেলিপ্যাড তৈরি হলেও এখনো যাত্রা সম্ভব কেবল তখনই, যখন আবহাওয়া পুরোপুরি শান্ত থাকে—যা এই অঞ্চলে খুবই বিরল।
আজ থ্রিড্রাংগাভিতি বিশ্বের অন্যতম বিচ্ছিন্ন ও রহস্যময় বাতিঘর। এটি শুধু জাহাজকে পথ দেখায় না—বরং মানুষের সাহস, অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং অসম্ভবকে জয় করার এক জীবন্ত প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সমুদ্র, বাতাস আর সময়ের বুকে।

(Collected)

মাইগ্রেন কোন ভং না, জমিদারী অ*সুখও নাইচ্ছা করেও কেউ মাইগ্রেন বাধায় না।যার আছে সে জানে মাইগ্রেন কি জিনিস !!সহমর্মীতা না দ...
26/08/2025

মাইগ্রেন কোন ভং না, জমিদারী অ*সুখও না
ইচ্ছা করেও কেউ মাইগ্রেন বাধায় না।

যার আছে সে জানে মাইগ্রেন কি জিনিস !!
সহমর্মীতা না দেখাতে পারেন ক্রিটিসাইজ করে রো*গীর জীবন জাহা-ন্নাম বানাবেন না !!

মাইগ্রেন এমন এক অভি-শাপ যা দুইটা মিনিট রোদে গেলে বাড়ে,গরম পড়লে বাড়ে, স্ট্রেস নিলে বাড়ে। রান্নাঘরে গেলে বাড়ে, শীতের দমকা হাওয়া নাকে লাগলে বাড়ে।

চোখে দুম করে লাইট পড়লে বাড়ে। খুব জোরে কোথাও সাউন্ড হলে বাড়ে, জার্নি করলে বাড়ে। রুটিন মাফিক খাবার খেতে বা গোসল দশটা মিনিট দেরী করে করলেও বাড়ে !!
যারা মাইগ্রেনের রোগী তারা কোন কনর্সাটে যেতে পারে না। বিয়েবাড়ির লাইটিং এর সামনে দাড়াতে পারে না, এসি বাসে চড়তে পারে না, রান্নাঘরে যে দাড়াতে পারে না এটাও কাউকে বোঝাতে পারে না !!
একটু ট্যুরে যেতে সাহস করতে না। বে*ক্কলের মত সারাদিন ব্যাগে ছাতা আর পানির বোতল আর টাফনীল নিয়ে নিয়ে ঘুরে।

সোজা কথা বেচে থাকে কলের পুতুলের মত এটা করা যাবে না সেটা করা যাবে না থিওরী বুকে নিয়ে।

এই মাইগ্রেন যার হয় সেই বুজে কতটা কষ্ট🥲🥲

🌞 Soft sunlight, slow mornings, and peaceful thoughts.🍃🫧💭Alhamdulillah 🤍🦷
20/08/2025

🌞 Soft sunlight, slow mornings, and peaceful thoughts.🍃🫧💭
Alhamdulillah 🤍🦷

একটু কষ্ট করে পড়বেন বিশেষ করে মা মেয়ে ননদ বউয়েরাকারন কোননা কোন জায়গা আমরানারীরাই নারীদের দাবিয়ে রাখতে মজাই পায়বা বলতে পা...
18/08/2025

একটু কষ্ট করে পড়বেন
বিশেষ করে মা মেয়ে ননদ বউয়েরা
কারন কোননা কোন জায়গা আমরা
নারীরাই নারীদের দাবিয়ে রাখতে মজাই পায়
বা বলতে পারেন একটা যেন ক্ষমতা দেখানোর লোভ সামলাতে পারি না....
গল্পটা কালেক্টেড
মৃ*ত বাড়িতে কান্নাকাটি থাকবে এটাই খুব স্বাভাবিক। আমি, আমার স্ত্রী তিশা আর আম্মা তিনজন মিলে মিতু মানে আমার বোনের বাড়িতে এসেছি। রাতে ঘুমের মাঝেই ওর শাশুড়ি স্ট্রোক করে মা*রা গেছে। আত্মীয় স্বজন এসে ভরে গেছে। এদের মধ্যে আবার অনেকগুলো মাতব্বর গজিয়ে উঠেছে। কেউ এই ব্যবস্থা করছে ,কেউ ওই ব্যবস্থা করছে যা হয় আর কি। মিতুকে দেখলাম সাদা একটা ওড়না মাথায় দিয়ে এক কোণে বসে আছে । মিতুর হাজবেন্ড রাহাত হাউমাউ করে কেঁদে চলেছে, ওর ননদ রা সবাই চলে এসেছে। দাফন শেষ করে তারপর তিশা আর আম্মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম। পরের দিন আম্মা আর তিশা আবার খাবারদাবার নিয়ে ওই বাড়িতে গেল।

প্রায় মাসখানেক পরে এক ছুটির দিনে গেলাম মিতুর ওখানে। রাহাত বাসায় ছিল না। মিতু বসে টিভি দেখছিল। আমি একটু অবাক হলাম। সোফার কাভারগুলো কি এরকম ছিল নাকি অন্যরকম? মনে করতে পারছি না। তাছাড়া দেয়ালে সুন্দর একটা অয়েল পেইন্টিং ঝুলছে,দেখতে ভালো লাগছে।

আমাকে দেখে মিতু খুব খুশি হলো।
- ভাইয়া বস , কি খাবি বল? এবার সত্যিই আমার অবাক হওয়ার পালা কারণ এই বাড়িতে এসে আমি কখনোই আমার বোনের মুখে এই কথা শুনিনি।
- আরে কিছু খাব না, শুধু তোকে দেখতে এলাম।
- তা কি করে হয়? আচ্ছা শোন তুই তো লাচ্ছি খেতে পছন্দ করিস । ফ্রিজে দই আছে, আমি এখনই বানিয়ে দিচ্ছি আর তুই কিন্তু রাতে খাওয়া দাওয়া করে তারপর যাবি। তোর পছন্দ মত রান্না করবো আমি ।
-না রে রাতে খেতে পারবো না তবে তোর হাতের লাচ্ছি খাইনা অনেকদিন সেটা বানিয়ে খাওয়া।

মিতু প্রায় দৌড়ে উঠে চলে গেল আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে এলো। আমি ঠান্ডা লাচ্ছির গ্লাস হাতে নিলাম।

-এই পেইন্টিং টা কি নতুন কিনেছিস নাকি? খুব সুন্দর তো। -তোর পছন্দ হয়েছে ভাইয়া? আমি অনেকদিন ধরে কিনতে চাইছিলাম এরকম কিছু একটা কিন্তু..
-কিন্তু কি?
-আমার শাশুড়ি পছন্দ করত না তাই কেনা হয়নি। ভাইয়া তুই আমার বেডরুমে আয়, তোকে একটা জিনিস দেখাবো।

আমাকে লাচ্ছির গ্লাস হাতে নিয়েই উঠে দাঁড়াতে হলো কারণ ও আমার হাত ধরে প্রায় টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে। রুমটা ও খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে। বাড়তি আসবাবপত্র সরিয়ে ফেলেছে, তাই ঘরটা বেশ বড় লাগছে। বেডশীট, পর্দা সব ম্যাচিং করা। নিচে ছোট ছোট কার্পেটের মতো কি যেন বলে ওগুলো ফ্লোরে বিছানো। এক কথায় ঘরটা দেখেই মন ভালো হয়ে যাওয়ার মত।
-তুই এত সুন্দর সাজাতে পারিস! আগে সাজাস নি কেন?
-তোর পছন্দ হয়েছে?
- কেন হবেনা? এত সুন্দর! মনে হচ্ছে কোন স্বপ্নের মধ্যে ঢুকে গেছি।
-ভাবী এলে দেখাতাম আমি রান্না ঘরটা খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়েছি। তুই ভাবীকে নিয়ে আসবি, একদিন আমি রান্না করে খাওয়াবো । আমার যাযা ইচ্ছে সব খাওয়াবো ।
-এমনভাবে বলছিস যেন তুই কোনদিন আমাদেরকে খাওয়াস নি !
-হ্যাঁ খাইয়েছি কিন্তু আমার ইচ্ছে মতো কখনো খাওয়াতে পারিনি। এইবার আমার ইচ্ছা মতো রান্না করে খাওয়াবো।
-তোর কি হয়েছে মিতু আমাকে বলতো?

ও আমাকে আশ্চর্য করে দিয়ে সে বললো,
- আমার একটা সংসার হয়েছে যে ভাইয়া এত বছর পর।
-মানে! আমি আকাশ থেকে পরলাম।
- আমার বিয়ে হয়েছে সাড়ে আট বছর অথচ আমি আমার পছন্দে কোনদিন রান্না করতে পারিনি। আমার ঘর কি করে সাজাবো সেই সিদ্ধান্ত পর্যন্ত আমার শাশুড়ির ছিল । হ্যাঁ অবশ্যই এটা ওনার সংসার কিন্তু অন্তত আমার বেডরুম আর কিচেনের দায়িত্ব যেহেতু আমার এই দুটো অংশ আমার জন্য ছাড় দেয়া তার উচিত ছিল। এখন আমি মুক্ত, যা ইচ্ছে করতে পারি। রাহাত এসব খেয়াল করে না।
- তোর শাশুড়ি মারা গেছে তোর কষ্ট লাগে না?
- ভাইয়া তোর কাছে কিছু লুকাবো না। বিশ্বাস কর উনি মারা যাওয়াতে আমি একটুও কষ্ট পাইনি তবে যে আনন্দ পেয়েছি তাও না। কারণ রাহাত ভীষণ কষ্ট পেয়েছে আর কোন স্বামীর কষ্টে তার স্ত্রী আনন্দিত হতে পারে না। তবে একটা পাখিকে দীর্ঘদিন খাঁচায় আটকে রাখার পর যদি তাকে ছাড়া হয় তাহলে সেই আনন্দ অনেক গুণ বেড়ে যায় । আমি হয়তো খারাপ মেয়ে তাই মাঝে মাঝে চিন্তা করতাম বুড়িটা ম*রবে কবে? তাছাড়াও কথায় কথায় খোঁটা দেয়া, গালমন্দ করা এসব তো ছিলই। তোরা তো জানিসই, মা নিজেও জানে সবসময় বলেছে মানিয়ে নিতে, আমি মানিয়ে নিয়েছি কিন্তু এখন আর মানিয়ে নেয়ার কিছু নেই। আমার ছেলেটা যখন বড় হবে তখন এই দোতলা বাড়ির একটা ফ্লোর ওদের জন্য ছেড়ে দেব ওর বউ এসে নিজের মত করে সংসার করবে আর যদি এখানে থাকতে না চায় তাহলেও কোন সমস্যা নেই। দূরে থেকে যদি সম্পর্ক ভালো থাকে তাহলে ক্ষতি কি? আমি যেই কষ্ট করেছি অন্য কোন মেয়েকে সেই কষ্ট করতে দেবো না। সংসারের নেশা বড্ড কঠিন রে ভাইয়া। মেয়েরা এই নেশায় পাগল থাকে কিন্তু বেশিরভাগ মেয়ের কপালে এটা জোটে না। কিছুক্ষণ ঝিম মেরে বসে থেকে বাসায় ফিরে এলাম।

-কিরে মিতু কেমন আছে ?এখন বাসায় ফিরতে ফিরতে মায়ের প্রশ্ন
-ভালো আছে
-এই তিশা সাগরকে পানি দাও পরে দ্রুত চা বানাও, স্বামী ঘরে এসেছে, কোন খেয়াল নেই। দিব্যি রান্নাঘরে অন্য কাজ করছে। মা ড্রইংরুমে বসে বসে বস্তা পচা হিন্দি সিরিয়াল দেখছে। আমার বিরক্ত লাগছে, সারাদিন একটা মানুষ এই জিনিসগুলো কিভাবে দেখে?

তিশা আগে পানি দিয়ে গেল কিছুক্ষণ পর দুজনের জন্যই চা নিয়ে এলো। মা চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই মুখ বিকৃত করে বললেন আরও একটু চিনি দিতে। তিশা আবার দৌড়ে গেল। একটু পর বললেন চা ঠান্ডা হয়ে গেছে, এটা যেন গরম না করা হয়। নতুন করে আরেক কাপ বানাতে হবে। তিশা রোবটের মত আবার বানিয়ে নিয়ে আসলো।

আমি বসে বসে টিভির সিরিয়ালের চেয়ে ঘরের সিরিয়ালটাই দেখছিলাম।

-শোনো রাতের জন্য ভারী রান্নার প্রয়োজন নেই। একটা ভাজি করো, দুপুরের ডাল তো আছেই আর আলু বেগুন দিয়ে রুই মাছের তরকারি রান্না করো।
তিশা মাথা নাড়িয়ে চলে গেল।

রাতের খাবার শেষ করে আমি শুয়ে পড়েছি। আমি জানি তিশার আসতে দেরি হবে। সে সবকিছু গোছাবে, থালাবাসন মাজবে তারপর আসবে। আমাদের দুই বছরের বিবাহিত জীবনে প্রতিদিন এই হয়ে আসছে। ও এই বাড়িতে বউ হয়ে আসার পরেই কোন এক অজ্ঞাত কারণে আমাদের কাজের মেয়েটি আসা বন্ধ করে দেয়। আমি আগে লক্ষ্য করিনি অথবা গুরুত্ব দেইনি। বিয়ের আগে আমাদের দেড় বছরের সম্পর্ক ছিল। সেই সময়ে যে উচ্ছল প্রাণবন্ত তিশাকে আমি দেখতাম মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে সেই তিশাকে এখন আর মেলানো যাবে না। তার মধ্যে কেমন একটা রোবট রোবট ভাব চলে এসেছে। শারীরিকভাবেও এখন আর সে খুব একটা আকর্ষণ বোধ করে না আমার প্রতি তা আমি বুঝি। বিয়ের প্রথম প্রথম কিছুদিন আগ্রহ ছিল কিন্তু এখন আর নেই।

-ঘুমাওনি তুমি এখনো, কি হয়েছে, কোন সমস্যা? মিতু কেমন আছে ওর কোন সমস্যা হচ্ছে কি?
আমি সবগুলো প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে ওকে জিজ্ঞাসা করলাম,
-আচ্ছা তিশা তোমার কখনো ইচ্ছা হয় না নিজের একটা সংসার হোক?

তিশা গভীর চোখে আমার দিকে তাকালো।

-তোমার মনে আছে গত মাসে আমার বোন আর দুলাভাই এসেছিল , তুমি তখন অফিসের কাজে চিটাগাং, ফোনে তোমাকে তাদের আসার কথা জানিয়েছিলাম।খাবারের পর ডেজার্ট হিসেবে আমি কাস্টার্ড বানিয়েছিলাম মায়ের অনুমতি ছাড়া। তাদের সামনে মা আমাকে কিছু বলেননি কিন্তু তারা চলে যাবার পরে এই বাড়িতে এক সপ্তাহ দুধ চা বানানো হয়নি। মা তো রং চা খান কিন্তু আমি তো দুধ চা ছাড়া খেতে পারি না আর জানোই তো দিনে দুবার চা না খেলে আমার মাথা খুব ব্যথা করে।

আমি একটু চমকে উঠলাম।

- কই তুমি তো আমাকে কখনো কিছু বলোনি ?
-মনে করে দেখাতো কখনোই কি আমি কিছু বলিনি?

আমি স্মৃতির পাতা হাতরাতে থাকলাম। বিয়ের প্রথম প্রথম তিশা অভিযোগ করতো। ও কাপড় আয়রন করতো বলে ইলেকট্রিসিটি বিল বেশি আসে এই নিয়ে মা ওকে কথা শুনিয়েছিল। ও একবার মাছের ঝোল রান্না করার বদলে দোপেঁয়াজে করেছিল মা সেটা মুখেও দেননি। কাজের মেয়েটিকে কাজ ছাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল কারণ পার্মানেন্ট কাজের মেয়ে তো পাওয়া গেছে সেটা আমার বউ তিশা। আমার দিকে যত আত্মীয়-স্বজন আছে যে কারো বাড়িতে গেলে ওকে শাড়ি পরে যেতে হয়। আমি বিয়ের আগে থেকেই জানি ও শাড়িতে একেবারে কমফোর্টেবল না। অনুষ্ঠান বাড়ি হলে ভিন্ন কথা ছিল কিন্তু তাও না। তিশা এইসব হিন্দি সিরিয়াল একেবারে পছন্দ করত না হয়তো এখনো করে না কারণ ওকে আমি কখনোই টিভির সামনে দেখি না।

আমি তিশার মাথায় হাত রাখলাম। ততক্ষণে সারা দিনের ক্লান্তিতে ও পাশ ফিরে ঘুমিয়ে গেছে। প্রথম প্রথম আমি জড়িয়ে না ধরলে ওর ঘুম আসতো না আর এখন আমার ছোঁয়ায় যেন ওর ঘুম আসে না। নিজেকে খুব অপরাধী লাগছে। আচ্ছা তিশা নিজেও কি মনে মনে আমার মায়ের মৃ*ত্যু কামনা করছে, হয়তো করছে তা না হলে সে নিজের একটা সংসার পাবে না। মনে পড়ে গেল মিতুর কথাগুলো "সংসার পাবার নেশা মেয়েদের জন্য বড্ড কঠিন রে ভাইয়া" । আমি প্রায় শিউরে উঠলাম। কেউ একজন আমার মায়ের মৃ*ত্যু কামনা করছে, যত তাড়াতাড়ি মৃ*ত্যু হবে সে তত খুশি হবে, হয়তো বহিঃপ্রকাশ করবে না, আমার বোন যেমন করেনি। আমার গা কেমন গুলিয়ে উঠলো, আচ্ছা এখন আমি এখন কি করবো? বুঝতে পারছি না সব গুলিয়ে যাচ্ছে।

©সুবর্না শারমিন নিশী*

শুভশ্রী গাঙ্গুলিকে ,,একজন লাইভে ,,ক-মে-ন্ট করেছিল,,তুমি তো অনেক ,,মো-টা হয়ে গেছো,,শুভশ্রী ঐ ,,লোকটাকে সুন্দর করে ,,বললো....
18/08/2025

শুভশ্রী গাঙ্গুলিকে ,,একজন লাইভে ,,ক-মে-ন্ট করেছিল,,তুমি তো অনেক ,,মো-টা হয়ে গেছো,,

শুভশ্রী ঐ ,,লোকটাকে সুন্দর করে ,,বললো..তুমি তো একজন পুরুষ ,,তাই তুমি বুঝবে না,,আমি সবে একটা ,,বাচ্চা জ-ন্ম দিয়েছি,,একটা সন্তান কে নিজের মধ্যে ,,ধারন করা,,সেটা একমাত্র ,,একটা নারী ই পারে,,,আমি মো-টা ,,হয়েছি ,,না রো-গা হয়েছি,,এটা আমার ,,জন্য ম্যাটার করেনা,,আমার ফ্যামিলির,, জন্য ও ম্যাটার ,,করেনা,,আমার কাছে সবচেয়ে,, গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার,, হচ্ছে আমি দুটো সন্তানের মা,,আমার মনে হয় ,,তোমার বয়স,, অনেক কম,,তোমার যখন ,,বয়স হবে,,তখন তুমি বুঝবে,,তোমার যখন ,,ফ্যামিলি হবে,,তখন সবটা বুঝবে

আর এটা যদি ,,Sanvee's by Tony ,,হতো তাহলে বলতো,,তর বাপের কি,,তর বাপেটা,, খা-ই নাকি,,তর বউরে নাইলে ,,তর মারে গিয়া দেখগা ,,তর মা কি ,,মো-ডা না ,,,শো-ক-না,,,বে-দ্দ-প ,,বেডা লাইভে ,,আইসা মেজাজডা ,,,গ-র-ম কইরা দিছে 🙂

Collected 

Address

Besides Fultola Khulna Jessore Main Road
Khulna

Telephone

01934256585

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Daily Life of Ummay posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Daily Life of Ummay:

Share