Daily Life of Ummay

Daily Life of Ummay Fultola Khulna

অদ্ভুত একটা দেশ।পদে পদে চমক।এক সেকেন্ড ও মন খারাপ করে বসে থাকার উপায় নেই।গত ২-৩ দিন ধরে কি হচ্ছে সংক্ষেপে বলি।এক ছেলে বি...
30/07/2025

অদ্ভুত একটা দেশ।
পদে পদে চমক।
এক সেকেন্ড ও মন খারাপ করে বসে থাকার উপায় নেই।
গত ২-৩ দিন ধরে কি হচ্ছে সংক্ষেপে বলি।
এক ছেলে বিয়ে করে বউ এনেছে। দেড় মাস সংসার করেছে। দেড় মাস পর বুঝতে পেরেছে বউ আসলে মেয়ে না,ছেলে।
সিরিয়াসলি!!!
এই ধাক্কা সামলাতে সামলাতে দেখি এডলফ খান বাংলাদেশের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ এর জন্য পুরষ্কার জিতে গেছে।
তার ছবিতে লাভ রিয়্যাক্ট দিতে দিতে দেখি কই জানি ভুয়া র‍্যাবকে দৌড়ানি দিয়েছে আসল র‍্যাব।
জনগণ পরে পার্থক্য বুঝতে না পেরে ভুয়া,আসল দুই র‍্যাবকেই গনধোলাই দিয়ে বসেছে।
এ পর্যন্ত ঠিক ছিল হঠাৎ শুনি ওবায়দুল কাদের নাকি শেখ হাসিনার সাথে ফোনে কথা বলায় দেয়ার জন্য তৃণমূল নেতাদের থেকে টাকা নিচ্ছে।
দেশ কাপানো স্টার্টআপ।
যখনই ভেবেছি আজকের মত এই বুঝি শেষ তখনি দেখি মোহাম্মদপুরে ওসিকে অপসারণ করা হয়েছে,সেই ওসিকে বহাল রাখার পক্ষে মানববন্ধন শুরু করেছে ওই এলাকার মাদকব্যাবসায়ী আর কিশোর গ্যাং সদস্যরা!!
পড়তে পড়তে এমন টুইস্ট আর নেয়া যাচ্ছে না।
মনে হচ্ছে বাংলাদেশ নয়,ক্রিস্টোফার নোলান এর মুভি চলছে 🙂

যে জায়গাটা আমার নয়সেখানে আবেগের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী হওয়া উচিত জীবনটা নিজের তাই বুঝেশুনে প্রেম ভালবাসা মমতায় জড়ানো ...
27/07/2025

যে জায়গাটা আমার নয়
সেখানে আবেগের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে
মনোযোগী হওয়া উচিত
জীবনটা নিজের তাই বুঝেশুনে
প্রেম ভালবাসা মমতায় জড়ানো ভাল
কারন সবাই আপনার এই আবেগের
মূল্যায়ন তো দিবেই না
বরং আপনার আবেগকে ফুটবল বানিয়ে
খেলা শুরু করে দিবে
যদিও বাস্তবিক সত্য হল
আমরা অধিকাংশ সময় ভুল জায়গায়
আবেগে জড়ায় কারন আবেগ
নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না
আর যারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে
তারা সত্যিই এগিয়ে যেতে পারে
তারা ঠিক তবে তারা যেন সবকিছুতেই
বড্ড হিসাবি যদিও
আমি জানি না হিসাব করে কি
প্রেম ভালবাসা মমতা হয়?????

খান উম্মে মাহমুদ বিজলী

কেমন জানি অস্থির অস্তির লাগছে।কলিজা শেষ পুড়ে....তবু আমরা বেশে আছি।শত শত ক্ষত নিয়েই বেচে আছিএ জীবন আমার তাই সব দায় আমারআম...
26/07/2025

কেমন জানি অস্থির অস্তির লাগছে।কলিজা শেষ পুড়ে....
তবু আমরা বেশে আছি।
শত শত ক্ষত নিয়েই বেচে আছি
এ জীবন আমার তাই সব দায় আমার
আমি পারছি না সবমিলিয়ে
সবাই ভাল থাকবেন
আল্লাহ হাফেজ
২৭/৭/২৫
ছবি--আমার ছোট বাচ্চারা আর আমি

একটি বাসে পাশাপাশি সিটে বসেছে এক বৃদ্ধা এবং এক তরুণী। তরুণীটি সুন্দরী এবং অহংকারী, তার হাতে একটি ব্যাগ। ব্যাগটি সিটের পা...
26/07/2025

একটি বাসে পাশাপাশি সিটে বসেছে এক বৃদ্ধা এবং এক তরুণী। তরুণীটি সুন্দরী এবং অহংকারী, তার হাতে একটি ব্যাগ। ব্যাগটি সিটের পাশে রাখতে গিয়ে সে দৃষ্টিকটুভাবে বৃদ্ধাকে ধাক্কা মারল। বৃদ্ধা কোনো অভিযোগ করলেন না, তিনি আগের মতোই চুপচাপ বসে রইলেন।

পাশ থেকে এক যুবক ঘটনাটি লক্ষ্য করে বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করল, “আপনাকে এভাবে ধাক্কা দিল, তারপরও আপনি কিছু বললেন না কেন?"

বৃদ্ধা মৃদু হেসে উত্তর দিলেন, "এটি নিয়ে রাগারাগি বা কথা কাটাকাটি করার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ, আমার এই যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত! আমি পরের স্টপেজই নেমে যাব।"

বৃদ্ধার কথা যুবককে ভীষণভাবে আন্দোলিত করল। আসলেই তো! আমাদের একসঙ্গে পথচলা খুব সংক্ষিপ্ত, তাই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া করা বৃথা।

আমাদের সবার বোঝা উচিত যে, এই পৃথিবীতে আমাদের সময় খুবই সীমিত। রাগ, ক্ষোভ, হিংসা, বিদ্বেষ, অপমান এগুলো নিয়ে সময় নষ্ট করাটা তাই নিরর্থক।

কেউ আপনার হৃদয় ভেঙেছে? শান্ত থাকুন। যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত।

কেউ আপনাকে অপমান করেছে? উপেক্ষা করুন। যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত।

কোনো বন্ধু আপনার সাথে প্রতারণা করেছে? ধীরস্থির থাকুন। যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত।

কোনো প্রতিবেশী আপনার নামে কুৎসা রটাচ্ছে? ধৈর্য ধরুন, ক্ষমা করুন। যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত।

আমরা কেউ জানি না, এই যাত্রা কতক্ষণ চলবে, কখনইবা থামবে। তাই আসুন একে অপরকে ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি, দয়া দেখাই এবং ক্ষমাশীল হই। সবার সঙ্গে সুখদুঃখ ভাগাভাগি করে নিই। কারণ, শেষ পর্যন্ত আমাদের যাত্রা সত্যিই খুব সংক্ষিপ্ত!

জুম্মার দিন,দেশের সব মসজিদ, মাদ্রাসায় ২১ জুলাই যাদের প্রান গেলো,যারা হাসপাতালের বিছানায় জীবন যুদ্ধ করছে তারা ও তাদের পরি...
25/07/2025

জুম্মার দিন,
দেশের সব মসজিদ, মাদ্রাসায় ২১ জুলাই যাদের প্রান গেলো,যারা হাসপাতালের বিছানায় জীবন যুদ্ধ করছে তারা ও তাদের পরিবারের জন্য দোয়া করবেন সবাই সেই আশা রাখি সবার কাছে।।
আল্লাহ নিহতের জান্নতবাসী করুন
আর আহত যারা হয়েছেন তাদের হেফাজত করুন
কষ্ট কমিয়ে দিন ইয়া মাবুদ
কত মা বাবা তাদের বুকের ধন হারিয়ে ফেলল
তাদের ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করুন
ছোট বাচ্চাদের ওসিলায় তাদের জীবন চলার পথ সহজ করে দিন
আমীন
সুম্মা আমীন

খান উম্মে মাহমুদ বিজলী

২৫/৭/২৫

24/07/2025

যারা বিভিন্ন মতামত দিয়ে গিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন বা নূন্যতম বিবেচনা না রেখে যা পাচ্ছেন তাই কপি করছেন,তারা নিজের কথাগুলো একটু পড়বেন
যদিও জানি
চোরায় না শোনে ধর্মের কাহিনী
(১)

এই একটামাত্র দুর্ঘটনাতে - যে ইনসেইন লেভেলের কালেকটিভ স্টুপিডিটি আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখলাম, বাঙালি হিসাবে এইটা আমার দীর্ঘদিন মনে থাকবে।

বিমান দুর্ঘটনা হলো। বাচ্চাগুলো মারা গেলো। এইরকম মুহুর্তে আপনার দায়িত্ব কী? এবসলিউটলি কিচ্ছু না। আপনি জাস্ট শোক প্রকাশ করতে পারেন। চিন্তা করতে পারেন। দুয়ে দুয়ে চার মেলাতে পারেন।

(২)

কিন্তু, ঘটনা ঘটে সারে নাই, তার আগেই - সোশ্যাল মিডিয়াতে দশ হাত লম্বা মতামত প্রকাশ করে ক্যাওয়াস তৈরি করা আপনার কাজ নারে ভাই। কোনো রেস্পন্সিবল মানুষ এই আকামটা করবেনা।

এইজন্য খেয়াল করেনঃ রেসপন্সিবল ফেসবুকার হিসাবে আপনারা যাদের চেনেন, তাদের মধ্যে কেউই এই দুর্ঘটনা নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো মতামত এখনও দেন নাই।

কেন দেন নাই? কারণ এখানে কোনো মতামত দেয়া সম্ভবই না। একটা একটা করে টপিক ধরলেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

(৩)

প্লেন এক্সিডেন্টের ক্ষেত্রে, প্রোপার এবং ইন ডিটেইল ইনভেস্টিগেশন ছাড়াঃ ভগবানের পক্ষেও রায় দেয়া সম্ভব না যে - আসলে প্রবলেমটা কী হয়েছিলো। অনেক সময় তদন্ত করেও কিচ্ছু পাওয়া যায়না। ব্যাপারটা প্রচণ্ড জটিল।

মাসের পর মাস, এমনকি বছর লেগে যায় এইধরনের তদন্ত করতে। অথচ, আমাদের ফেসবুক বিজ্ঞানীরা - এক্কেবারে চোখ বন্ধ করেঃ কেউ মেয়াদোত্তীর্ণ প্লেনের দোষ দিলেন। কেউ পাইলটের দোষ দিলেন। কেউ বিমানবাহিনীর দোষ দিলেন।

মিলিটারির প্লেন ঢাকায় কেন প্রশিক্ষণ নিবে? এয়ারস্পেইসের এতো কাছে বিল্ডিং বানানোর পারমিশন কে দিলো? চাইনিজ, চেংদু, দুর্নীতি থেকে শুরু করে কেন পাইলটকে হিরো বানানো হবে?

মানে, দিস্তার পর দিস্তা প্রশ্ন। ক্যাওয়াসের একশেষ।

(৪)

একটাবার মনে হইলো না যে, এই প্রশ্নগুলা করার সময় - এখন না? পরিস্থিতি শান্ত হতে দেন। এরপর করেন প্রশ্নগুলো? তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে শোকের বদলে জ্বালাময়ী প্রশ্ন করাকে আপনি জাতীয় দায়িত্ব ভেবে নিজের কাঁধে তুলে নিলেন।

আমি এইটা ক্লিয়ারলি বুঝি যেঃ এই দেশের মানুষ - দেশের অপারেটিং সিস্টেমের সামগ্রিক অক্ষমতা সম্পর্কে জানে। এইজন্য দুর্যোগ দেখলে, অনেকেই নিজের দায়িত্বে সাহায্যের হাত বাড়াতে ছুটে যায়।

এই "নিজে দায়িত্ব নেয়ার" আপ্রাণ চেষ্টা - দিনশেষে আমাদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকেই প্রমাণ করে। বহু জায়গা আছে, যেখানে আপনি যদি কিচ্ছু না করে চুপচাপ বসে থাকেন, তাহলেই সবচেয়ে বেশি উপকার হবে।

কিন্তু না! বাঙালি নন্দলাল উহা মানিবে না। স্বদেশের তরে - যে করেই হোক, রাখিবেই সে জীবন।

(৫)

প্রাথমিক ধাক্কার পর আওয়াজ উঠলোঃ প্রচুর নাকি রক্ত প্রয়োজন। বিন্দুমাত্র ভাবলো না কেউ, তার আগেই হাসপাতাল সয়লাব হয়ে গেলো মানুষে।

রক্তদান মহৎ কাজ। যারা গেছেন, তারা ভালো বুঝেই গেছেন।

আশ্চর্যের ব্যাপার, মানুষ এখনও জানেনা - প্রত্যেকটা হাসপাতালের একটা নিজস্ব ব্লাড কালেকশন নেটওয়ার্ক আছে। বহু সংস্থা এবং ভলান্টিয়ার এগুলোর সাথে জড়িত। যতো বড় দুর্ঘটনাই হোক, ব্লাড পাওয়া যাবেই।

বাচ্চাদের ব্লাড লাগলে তাদের ফ্যামিলি আছে। শুধুমাত্র, খুব দুর্লভ গ্রুপের ব্লাড ডোনার ছাড়া - কারোই আসলে হাসপাতালে যাওয়ার কোনো দরকার ছিলোনা। ইনফেকশাস জায়গাতে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কারোই যাওয়া উচিত না। ভিড় করার তো প্রশ্নই আসেনা।

(৬)

অথচ দেখা গেলোঃ দলবল নিয়ে জামাতের আমীর এবং বিএনপির মির্জা আলমগীর হাসপাতালে চলে গেছেন। এরা হচ্ছে আপনাদের নেতা? ওয়াও!

আগামীবার ভোট দেয়ার আগেঃ ক্রাইসিস মোমেন্টে ওনাদের এই স্টুপিডিটি মাথায় রাখবেন।

উৎসুক জনতা, ছাপড়ি ইউটিউবার এবং অনলাইনের লাইভ স্ট্রিমারদের কথা আর বললাম না। মানে, দুর্যোগের মুহুর্তে - দুনিয়া থেকে এই শ্রেণীটাকে যদি জাস্ট ভ্যানিশ করে দেয়া সম্ভব হতো, তাহলে শালার মানবতা শান্তি পেতো।

বিশাল এই উন্মাদ ক্রাউডকে আর্মি কন্ট্রোল করতে পারে নাই। স্বাভাবিকভাবেই - বিভিন্ন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। এইটা অবশ্যই আর্মির ফেইলিওর, কিন্তু বোকাচোদা জনগণের দায়ও কম না।

স্বীকার করেন। এটা সত্যি।

(৭)

এরপর শুরু হলো গুজবের বন্যা। লাশ নাকি গায়েব করা হচ্ছে। একদল স্টুপিড বিবৃতি দিয়ে দিলোঃ আমরা নিজে হাতে একশো লাশ বাইর করছি, অথচ আর্মি বলতেছে পঁচিশটা।

আর্মি বলতেছে? সিরিয়াসলি? আর্মির কে বলতেছে? সে বলার কে? একেকটা সৈনিক একেকটা সাইডে কাজ করছে। এইটা অন্ধের হাতি দর্শনের মতো ব্যাপার। নিজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী - একেকজন একেক ফিগার দিবে, তাই তো স্বাভাবিক।

অনেক সময় জনতাকে টেম্পোরারিলি শান্ত রাখতেও ডেথ কাউন্ট "সাময়িকভাবে" কমিয়ে বলার প্র্যাকটিস আছে।

(৮)

মোদ্দা আলাপ হচ্ছেঃ ইনভেস্টিগেশনের আগে টোটাল ডেথ কাউন্ট বলাই সম্ভব না। গ্যাসোলিনের মারাত্মক তাপে কতো লাশ সিমপ্লি ধোঁয়া হয়ে গেছে। কতো শরীর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেছে। হাত একদিকে, মাথা একদিকে, পা একদিকে।

এগুলোকে একাট্টা করে ফরেনসিক না করলে - ভগবানের পক্ষেও কোনো রিপোর্ট দেয়া সম্ভব না। অথচ, ফেসবুকে দাবি উঠে গেছেঃ আমরা প্রকৃত মৃতের সংখ্যা জানতে চাই।

কেন? এক্ষণই, এই মুহুর্তে - এই সংখ্যাটা জেনে কী হবে?

যে কোনো দাবি তোলার আগে, সেই দাবি পূরণ হলে "কী হবে" - এইটার খুব পোক্ত উত্তর নিজেদের কাছে তৈরি রাখবেন, প্লিজ। এহে, এই পোস্টে তো সূক্ষ্মভাবে আর্মির গুণগান গেয়ে ফেলা হচ্ছে! আসেন, একটু গালিগালাজ দেন।

(৯)

এরপরে "এনোনিমাস" নামের ভুয়া একটা জুয়াড়ি ফেসবুক পেইজ বের হলো। আলবাল প্রেডিকশন দিয়ে ভরা একটা ভুয়া গ্রুপ, যাদের কাজই হচ্ছেঃ আজকে একটা বিল্ডিং ধ্বসে পড়বে। কালকে প্রচুর মানুষ মারা যাবে - এইধরনের ব্লাফ ছাড়া।

অথচ, কোথায় এইসব ঘটনা ঘটবে - কিছুই কিন্তু বলা নাই সেই পেইজে। বাঙালির হাহাকারের চোদনে - পরে সেই পেইজও উধাও হয়ে গেলো।

কিন্তু, হালে পানি পেয়ে গেলো আমাদের কলকাতা পলাতক আওয়ামী পাণ্ডারা। এইবার ইউসুফের সরকার শ্যাষ। আমেরিকার বাঙ্গি ফাইটা গেছে। চোখের সামনে "পোমান" হয়ে যাচ্ছে সবকিছু।

(১০)

মানে, নির্লজ্জতার শেষ সীমাটুকুও অতিক্রম করে ফেললো আওয়ামী লীগের লোকজন।

মাইলস্টোনের পোলাপান জুলাই বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলো। জাস্ট এই কারণে, এতোগুলো নীরিহ বাচ্চার মৃত্যুকে - জাস্ট একটা তামাশার ব্যাপার বানিয়ে ফেললো এই মাদারচোদের দল।

"খুব ভালো হইছে। উচিৎ শিক্ষা হইছে। স্বজন হারানোর ব্যাথা বোঝো এইবার" - এই জাতীয় পোস্ট আমরা আওয়ামীদের তরফ থেকে দেখেছি।

একবার ভাবেন। নয় বছরের বাচ্চা মারা যাওয়ার পরে - আপনি চোখের সামনে স্বগোত্রীয় একটা মানুষকে এইসব বলতে দেখছেন।

কেমন লাগবে আপনার? মানে, এদের ব্যাপারে একটা শব্দ খরচ করারও কি রুচি হবে?

(১১)

ইন্টেরিমের প্রতিটা ব্যর্থতা, আওয়ামী লীগ খুব ভালোভাবে এনক্যাশ করেছে। করারই কথা। তাদের আপাই যে ভালো ছিলো, প্রত্যেক মুহুর্তে সেটা এরা এই জাতিকে বুঝিয়ে দিতে বিন্দুমাত্র চেষ্টা বাকী রাখেনি।

কিন্তু, তার মাত্রা যে এতো নির্লজ্জ হতে পারে, এটা কেউ কল্পনাও করেনি।

এই কফিনে ফাইনাল পেরেক মেরে দিলোঃ আমাদের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেইজ।

নিতান্ত বোকাচোদার মতো - মৃতদের পরিবারের জন্য ক্রাউড ফান্ডিং-এর পোস্ট আসতে দেখলাম আমরা সেখান থেকে। জনরোষের মুখে সেটা ডিলিটও হয়ে গেলো। এরপর মৃতদের কবরস্থানের জন্য জায়গার বরাদ্দ দেয়া হলো।

(১২)

উদ্দেশ্য খারাপ ছিলোনা এদের। একই ঘটনায়, একইসাথে মারা যাওয়া মানুষের পরিবাররা যাতে কাছাকাছি আসতে পারে - ওদের টার্গেট ছিলো এইটা।

যাতে আগামী দিনে এই জায়গায় এসে এইসব হতভাগা পরিবার নিজেদের মধ্যে দুঃখ-শোক ভাগাভাগি করে নিতে পারে। একই পারপাসে, একই যুদ্ধে মারা যাওয়া সৈনিকদের জন্য বরাদ্দ কবরস্থান - দুনিয়ার অনেক জায়গাতেই আছে।

কিন্তু, এদের আইডিয়া কমপ্লিটলি ব্যাক ফায়ার করলো। এইটাই হচ্ছেঃ রাজনীতি না জেনে ময়দানে নেমে পড়ার ফলাফল। পাবলিক পালস ইন্টেরিম সরকার ধরতেই পারে নাই।

মানুষ ইন্টারপ্রেট করলো যেঃ এই বরাদ্দ না পেলে কি বাচ্চাগুলোর কবর হতোনা? রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মৃত পাইলটের জানাজা হলো। অথচ অন্যান্য মৃতদের জন্য, এতোগুলো নীরিহ বাচ্চার জন্য - শুয়োরের বাচ্চাদের কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া গেলোনা।

(১২)

ডিফেন্সের কোনো হাই-অফিশিয়াল, কোনো উপদেষ্টা, কোনো হাই-প্রোফাইল লোকঃ যার ওপরে জাতি ভরসা রাখতে পারে, এতো বড় শোকের মুহুর্তেঃ জাতিকে এড্রেস করে কেউ কোনো বক্তব্য দিলোনা। কেউ কোনো জানাজায় গেলোনা।

বলির পাঁঠা হিসাবে মাইলস্টোনে পাঠানো হলো আসিফ নজরুলের মতো উজবুককে, যাকে মোটাদাগে বহু মানুষ অত্যন্ত অপছন্দ করে।

বিশাল ভুল সিদ্ধান্ত। নেতা হাত তুললে জনগণ শান্ত হয়ে শুনবে। নেতা হাত তুললে ক্রাউড কমপ্লিট কন্ট্রোলে থাকবে - এটাই হচ্ছে নেতার বৈশিষ্ট্য। লিডারশিপ।

স্বাভাবিকভাবেই, এতোগুলো ব্লান্ডার করার পর - আসিফ নজরুলের মতো ইনকম্পিটেন্ট লোক গিয়েঃ এই বিশাল জনরোষের ধাক্কা সামলাতে পারলো না।

(১৩)

মানে, যতোভাবে ভুল করা সম্ভব। এইরকম শোকাবহ ক্রাইসিস মোমেন্টে এই ইন্টেরিম সরকারের সবাই, একেবারে তালিকা ধরেঃ গুণে গুণে, দায়িত্ব সহকারে প্রতিটা ভুল জায়গায় টিকচিহ্ন দিয়ে দিলো।

এবং, এই ইন্টেরিমের কবরে ফাইনাল পেরেক মারা হয়ে গেলো।

কী ওভার হোয়েলমিং স্টুপিডিটি! সবাই মিলে, একটা জাতির প্রতিটা সদস্যের নির্বোধ চিন্তাধারা - কীভাবে একটা ডিজাস্টারাস এনার্কি তৈরি করতে পারে, এই বিমান দুর্ঘটনা তার টেক্সটবুক এক্সাম্পল হিসাবে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।

আর কেউ মনে না রাখুক, ইউনূস সাহেব অন্তত বাকী জীবন এই ডিজাস্টার মনে রাখবেন - এটা আমার বিশ্বাস।

(১৪)

আওয়ামী পাণ্ডাদের মোটা মাথায় একটা জিনিস জীবনেও ঢুকবে না, সেটা হচ্ছেঃ

আমরা যারা জুলাই আন্দোলনের পক্ষের লোক, সবাই কিন্তু ইউনূস সরকারের ইন্টেরিমে ঈমান আনি নাই। পক্ষে থাকা তো দূরের ব্যাপার। পলিটিক্যাল নিউট্রালিটি কী জিনিস, সেটা এদের মোটা বুদ্ধিতে কুলাবে না।

১৬ বছরের হাসিনা রেজিম - বাংলাদেশকে যে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ফেলে পালিয়ে গেছেঃ নিতান্ত ম্যাজিকাল কিছু না হলে - ভগবানের পক্ষেও এই দেশকে আগামী ১০ বছরে মেরামত করা সম্ভব না।

এই বিবেচনায়, এই ইন্টেরিমকে - আমরা যথাসাধ্য ছাড় দিয়েছিলাম। স্বৈরাচার তাড়ানোর আফটার-ইফেক্ট হিসাবে আসাঃ এই অল্প সদস্যের কমজোরি ইন্টেরিম, তাদের সীমিত সামর্থ্য বিবেচনায় যথেষ্ট ছাড় পেয়েছে।

(১৫)

আমি এই মুহুর্ত থেকেঃ ইন্টেরিমের ওপর থেকে আমার টেম্পোরারি আস্থার জায়গাটা উঠিয়ে নিলাম।

আওয়ামী পাণ্ডারা দয়া করে নাচবেন না। "দেখুন লাল বদরের কান্না" শিরোনামে স্ট্যাটাসও চোদাবেন না। বাংলাদেশের এই ডিসফাংশনাল অবস্থার জন্য শেখ হাসিনাই দায়ী। এই বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশই নাই।

না শেখ হাসিনা পালায়। না দেশের এই অবস্থা হয়। অল্টারনেটিভ হিসাবে আমরা যা পেয়েছি - এইটা যথেষ্ট না, বহুভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

দেশের আইন-কানুন রক্ষায় এই ইন্টেরিম সম্পূর্ণভাবে ফেইলিওর। কাজেই, এই কমজোরি, দুর্বল ইন্টেরিমকে আর টেনে নেয়ার কোনো অর্থ নাই।

ইন্টেরিমের দোষ নাই। হাসিনার ১৬ বছরের পায়খানা - ওনারা এক বছরে ক্লিয়ার করতে পারেন নাই, এইটা অক্ষমতা হতে পারে। তবে দোষ না। ওনারা ঠেকার কাজ চালাতে এসেছিলেন।

হয়ে গেছে। এখন আপনারা আসতে পারেন।

(১৬)

একটা দেশকে অপারেট করতে - নির্বাচিত সরকারই দরকার। সেজন্য, যতো দ্রুত পারেন, নির্বাচন দিয়ে আপনারা নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেন।

আপনারা এক বছর সময় পেয়েছেন। যথেষ্ট হয়েছে। এখন বাসায় ফিরে যান।

নতুন যারা ক্ষমতায় আসবে, তারাও হয়তো কিছুই পারবে না। তবে জাতি হিসাবে আমরা এইটুকু শান্তি অন্তত পাবো যেঃ আমরা যা করেছি, নিজেদের বিবেচনায় করেছি। নিজেরা ভোট দিয়ে করেছি।

আমরা এটারই যোগ্য। কাজেই, এটাই আমাদের প্রাপ্য।

(১৭)

লেখা এখানেই শেষ। যাওয়ার আগে, স্বার্থপরের মতো কয়টা কথা বলি। মাফ করে দিয়েন, গালি-গালাজ দিয়েন। কিন্তু এটাই রিয়েলিটি।

যদি যোগ্যতা, ক্ষমতা, বা টাকা-পয়সা, লাইনঘাট ইত্যাদি জানা থাকেঃ যে কোনোভাবে বাংলাদেশ থেকে বের হয়ে চলে যান। যেখানে ইচ্ছা যান, কিন্তু জাস্ট চলে যান।

একটা দেশের দীর্ঘতম স্বৈরাচার হাসিনা, যার নির্দেশে সবকিছু চলেঃ সে যখন তার ছেলেকে দেশের বাইরে আমেরিকা পাঠায় দেয়, তখন সেই দেশের ভবিষ্যত আপনি ইজিলি বুঝে যাবেন।

বাংলাদেশের রাজপুত্রও বাংলাদেশে থাকতে চায়না। তো, আপনি কোন হ্যাডা? আপনি কি রাজপুত্রের চেয়ে বড়? কাজেই, আপনার দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশ ত্যাগ করা। বাংলা হিসাব।

(১৮)

আপনি লিখে রাখেন, সার্বজনীন বোকাচোদার এই দেশে - আপনি বেঁচে থাকা অবস্থায়, আর কিছু হবেনা। কোনো অবস্থাতেই সম্ভব না।

মূল্যবান জীবনটা যদি কামলা খেটেও হয়, অন্য দেশে ব্যয় করেন। বিশ্বাস করেন, আমি ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে বের হয়ে অস্ট্রেলিয়া চলে এসেছি। একটা মুহুর্তের জন্য আমার বাংলাদেশে ফেরার ইচ্ছা জাগেনি।

এতোই অথর্ব এই দেশ, যার পুরা একটা রাজনৈতিক দল দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। পৃথিবীতে এইরকম বহু সভ্যতা, তাদের কালেক্টিভ স্টুপিডিটির কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। মাটি খুঁড়ে আজকাল তাদের ইতিহাস দেখতে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশও সেইরকমই হবে।

কাজেই, আপনিও পালান। যেভাবে পারেন, পালান এখান থেকে। নিজেকে নিরাপদ রাখেন। বাচ্চাকে নিরাপদ রাখেন। পালান, ভাই এখান থেকে।

(১৯)

অন্তত, আপনার বাচ্চা পোড়া শরীর নিয়ে রাস্তা দিয়ে সাহায্যের জন্য হাঁটবে না। কোনো মাদারচোদ এই জিনিসের ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছাড়বে না - এই গ্যারান্টি আমি দিচ্ছি।

চোখে দেখা যায়নারে ভাই এই দৃশ্য। একটা পুড়ে যাওয়া বাচ্চা হেঁটে যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে, আর মানুষ ভিডিও করছে? এই বোকাচোদা অমানুষের দেশে - কেন থাকবেন ভাই আপনি? কোনো মানে হয়?

যে বাচ্চাগুলো মরে গেলোঃ We are sorry, little angels. You fought, and you won.

আমরা পারলাম নারে। যদি পোড়া শরীরের যন্ত্রণায় কুলায়, ভগবানের মতো নিষ্পাপ এই বাচ্চাগুলো যাতে জাতিগতভাবে আমাদের এই জঘন্য ব্যর্থতা ক্ষমা করে দেয়।

(২০)

কোথায় লুকাবেন আপনি এই পাপ?

এতোগুলো বাচ্চাকে পুড়িয়ে মারার পাপ? আহারে বাচ্চাগুলা। আহারে। মাফ করে দিসরে, সোনা মানিকরে আমার। আমরা অক্ষম। আমরা কিচ্ছু করতে পারি নাই. আমাদের মাফ করে দিস।

এই পাপের ভাগ হিসাবে, তোদের পুড়ে যাওয়া চামড়ার অভিশাপ যাতে আমাদের গায়েও লাগে। জাতি হিসাবে, আমরা যাতে তোদের অভিশাপ নিয়ে পুড়তে পুড়তে ধ্বংস হয়ে যাই।

একদিন এই বাচ্চাদের সাথে আমাদের দেখা হবে। কী উত্তর দিবো আমরা এই পাপের? এতো আনন্দ আয়োজন, সবই বৃথা ওদের ছাড়া।

Take care, twinkle twinkle little stars.

Someday, we will meet.

Till then, let the music play

 #ফারিয়ালারা_প্রথম_বাংলাদেশী_মহিলা_বৈমানিক যতদূর মনে পড়ে তখন খবরে মানে বিটিভিতে দেখানো হয়েছিল আর ইত্যাদিতেও একটা প্রতিবে...
24/07/2025

#ফারিয়ালারা_প্রথম_বাংলাদেশী_মহিলা_বৈমানিক
যতদূর মনে পড়ে তখন খবরে মানে বিটিভিতে
দেখানো হয়েছিল আর ইত্যাদিতেও একটা প্রতিবেদন করেছিল তাকে নিয়ে হানিফ সংকেত
বলছি ফারিয়া লারার কথা অনেকেই ভুলে গেছেন হয়ত। ৯০ দশকে যারা আছেন,ছিলেন তারা চিনবেন।
#লারা ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী পাইলট প্রশিক্ষক।
১৯৯৮ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর ঢাকার পোস্তগোলায় একটি সেসনা ১৫০ বিমান দূর্ঘ*টনায় মারা যান এই মহিলা পাইলট।
প্রশিক্ষক বৈমানিক হতে আর মাত্র তিন মিনিট বাকি ছিল তাঁর। মেধাবী ফারিয়া লারা ছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের মেয়ে
প্লেন থেকে তাঁর শেষ বার্তা ছিল, 'পৃথিবীতে আমি আর কয়েকমিনিট বেঁচে আছি'।
তাঁকে নিয়ে লেখা সেলিনা হোসেনের #লারা নামক একটা বইও আছে
মাইলষ্টোন স্কুল এন্ড কলেজ এন্ড কলেজের সকল শিক্ষক, মা বাবা আর সোনামনিদের জন্যে প্রার্থনা, দোয়া।আর কী করার আছে??
পরপারে ভালো থাকবেন।
আমরাও একে একে আসব....
প্রশিক্ষণ বিমান দূর্ঘটনা বাংলাদেশে এই প্রথম নয়
এর আগেও অনেক মেধাবী পাইলট জীবন দিয়েছেন
এভাবেই....
শেষ কোথায় সমাধান কোথায়
জানা নাই....
🙏🙏😭😭💔💔🇧🇩🇧🇩

আরে ভাই এ পড়াদেশে কিচ্ছু হবে নাসব পচা নর্দমা চারিদিকে নষ্ট মগজ দূষিত হ্রদপিণ্ড🧠🫀মৃত্যু আত্না সচ্ছল দেহ❤️‍🩹❤️‍🩹❤️‍🩹একটা ছ...
23/07/2025

আরে ভাই এ পড়াদেশে কিচ্ছু হবে না
সব পচা নর্দমা চারিদিকে
নষ্ট মগজ দূষিত হ্রদপিণ্ড🧠🫀
মৃত্যু আত্না সচ্ছল দেহ❤️‍🩹❤️‍🩹❤️‍🩹

একটা ছোট্ট ঘটনা বলি
আমি ২০১৯ সালে দিল্লি ইন্দ্রাগান্ধী এয়ারপোর্টে বসে ছিলাম ফ্লাইট লেট ছিল তাই???
তখন অনেকেই অনেক রকম নিজেদের মধ্যে কথা বলছে,কেউ নতুন কারো সাথে পরিচিত হয়ে কথা বলছে,,,
একসময় আমি আমার একটু পাশেই দুজন ভদ্রলোককে কথা বলতে দেখলাম
তারা দুজনই অপরিজিত
একজন বাংলাদেশী যিনি বর্তমানে ক্যানাডিয়ান সিটিজেন ফ্যামিলিসহ আর একজন ইন্ডিয়ান যিনি
বাংলাদেশে তার গার্মেন্টস বিজনেস করেন
বাংলাদেশী যে ইনি আসছেন ভ্যাকেশনে বাংলাদেশ ঘুরতে আর তাই উনি সেই সুযোগে পরিবার নিয়ে মানালি গেছেন ঘুরতে,,,বলে রাখি তাদের কথা ইংরেজিতেই বলছিল,,,
দুজনের কথাপকথনের এক প্রর্যায়ে সদ্য দেশে বেড়াতে আসা মানুষটা বলছিল,
আমি তো শুনেছি বাংলাদেশ খুব উন্নতি করছে সবকিছু খুব এগিয়ে যাচ্ছে,
তখন,ইন্ডিয়ান ব্যক্তিটি গলার স্বর নিচু করে বলল, Oh no all are bubbles just for show off...
আমি এই গল্পটা এসে আমার বাড়িতে তখন করেছিলাম,,,
একজন পাশের রাষ্ট্রের মানুষ যিনি বহুদিন বাংলাদেশে যাতায়াত করছেন ব্যবসা করছেন,তখন তার মতামত এমন ছিল এবার ভাবুন...
কতটা অন্ধকারে নিমজ্জিত আমরা

জাতীয় বীর না হলেও সে জাতীয় ভিলেন না,একটা মানুষ কোন লেভেলের হলে রাস্তার গাড়ীর ড্রাইভারের সাথে একজন জেট ফাইটার বৈমানিক এর তুলনা করতে পারে আজব দেশ,এখানে যে কত সিস্টেমের ভুল ছিল তা নিয়ে ভাবার অনুরোধ রইল,একজন জেট ফাইটার বিমানের পাইলট নির্বাচন করা হয় অনেকের মধ্যে থেকে সবচেয়ে চৌকস মেধাবী ১/২ জনকে,যে মানুষটা একজন প্রাক্তন ক্যাডেট একজন মেধাবী দক্ষ পাইলট তাকে ত্রুটিপূর্ণ বিমানে দিয়ে আজ তাকে রাস্তার ট্রাক বাসের ড্রাইভারের সাথে তুলনা করা হচ্ছে,রাস্তার ট্রাক বাসের ড্রাইভারেরও কিছু করার থাকে না যদি তার গাড়ী ব্রেক ফেল করে বা ত্রুটিপূর্ণ হয়,কেন প্রশ্ন আসছে না???এই ত্রুটিপূর্ণ বিমান কেন কেনা হল???যা অন্য দেশগুলো ব্যবহার করে বাতিল করে দিসে,বিমান বাহিনী একটা দেশের প্রতিরক্ষার দ্বায়িত্বে থাকে,সেখানে একদম নিন্মমানের বিমান কেন এল???আচ্ছা হ্যা আমারা গরীব রাষ্ট্র কিন্তু এই গরীব রাষ্ট্র তার জনগণের শত শত কোটি টাকা দিয়ে ব্যক্তিগত ইস্যুতে খরচ করতে পারে,কারো জন্মদিন মৃত্যু দিন প্রত্যাবর্তন দিন আরও আছে যাক এবার বলেন তো একটা দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কতটা জরুরি যেখানে আমাদের পাশের রাষ্ট্রগুলো এত শক্তিশালী,সেখানে একটা নাম চেঞ্জ করতে শত হাজার কোটি খরচ হয়,আমি বলছি এই নাম না পাল্টে কি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোড়দার করা জরুরি ছিল না,আর হ্যা নতুন যা কিছু হয়েছে তাতে নামকরণ করা হয়েছে সেটা অবশ্যই ঠিক আছে কিন্তু এত টাকা খরচ করে পুরাতন কোন কিছুর নাম পালটানোর কোন যুক্তি কি আছে???আমাদের কি টানেল আগে দরকার ছিল বলেন তো???
না কি দেশের প্রতিরক্ষার মজবুত আগে দরকার ছিল,এই যে এর আগেও অনেক মেধাবী দক্ষ পাইলট মারা গেছে পরিসংখ্যানটা একটু দেখবেন,তখনও এত কিছু আমলে মানুষ নেই নাই, কেন???কারন সহজ বাংলাদেশে মেধাবীদের মূল্যায়ন নাই,,,আর হ্যা পুরা সিস্টেমে আমাদের গন্ডগোল লেগে আছে,বিমান বন্দর এরিয়াতে কিছু নিয়ম থাকে যা এত ডিটেইলস না বলে শুধু বলছি এতটুকুই এখানে উচ্চ ভবন নির্মাণ এ কিছু রেস্ট্রিকশন থাকে যা টাকার জোরে অনেকেই মানে না,সরকারি ইনসপেকশন হলে জটিলতা সৃষ্টি করে পরে টাকা দিয়ে মিটিয়ে নেয় তেমনি একটু আগের নিউজ ঘাটলে জানতে পারবেন বিমানবন্দর এরিয়া থেকে এই স্কুল ভবন স্থানান্তর করার কথা বলা হয়েছিল আমাদের বিগত সরকারের সময়,তখন স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে,সরকারও বিশেষ কোন কারনে বিষয়টা নিয়ে মিটিয়ে ফেলে,
আর হ্যা প্রথম প্রশ্ন ওই রকম এরিয়াতে কেন স্কুলের অনুমোদন পেল?????
কারা দিল এই অনুমোদন???? আর
কেনই বা দিল?????

কেএত এত সমস্যা আর আপনারা আছেন পাইলট করছে নিয়ে,কেউ কি নিজের জীবনটা স্বেচ্ছায় দিয়ে দেয়,একজন মানুষ জানা তার সামনে মৃত্যু অবধারিত সে তার মেরুদন্ডের হাড় ভাঙ্গা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কি ক্যালকুলেশন করতে বসে যায়,না কি ভাবে যা হয় হবে আগে বাচি,সে একবারে লাস্ট মোমেন্টে ইজেক্ট করছে তার জন্যই বিমান যেখানে পড়ছে সেখান থেকে কিছু দূর তাকে পাওয়া গেছে কিন্তু এই ইজেক্টের কথা কন্ট্রোল রুম থেকে আগেই তাকে বলছিল যতদূর বিবৃতি দিয়েছে দেখলাম,যাক যাদের পরিবারের ক্ষতি হয়ে গেল তারাই জানে তাদের কতটা গেল,,,,বাচ্চারা কত আদরের প্রতিটা পরিবারে সে পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা যাইহোক না কেন,সেই আদরের সন্তানদের এরুপ অবস্থা কোন পরিবার কল্পনা করতে পারে না,আমরা বসে দুদিন মন্তব্য করব তিনদিনে ভুলে যাব,কি প্রতিটি পরিবার এ ভার বহন করে বেড়াবে,
সব জায়গায় মৃত্যুকুপ তৈরি করা আছে আমাদের জন্য,,,,তা না হলে রানা প্লাজা,স্টার কাবাবে আগুন বহু বহু উদাহরণ আগামীতেও আসবে সামনে যদি না এখনও আমরা সচেতন না হই,বিশেষ করে ক্ষমতায় যে বা যারা আছেন বা যাবেন,এ মৃত্যুপুরী থেকে বাচতে হলে সম্পূর্ণ সিস্টেমের পরিবর্তন করতে হবে যা সময় সাপেক্ষ হলেও অসম্ভব নয়,,,
তাই সঠিক প্রতিবাদ ন্যায্য দাবী নিয়ে ভাবতে হবে
সচেতন জনগণের....
প্রতিবাদ হোক ন্যায়ের জন্য....
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন
আমীন
খান উম্মে মাহমুদ বিজলী

দেশকে নর্দামা মুক্ত স্বচ্ছল করে তুলুন সবাই মিলে

আমার অবাক লাগে কেন প্রশ্ন আসছে না,এত্ত বছরে এত এত টাকা আজবাজেভাবে খরচ হয়েছে,কারো জন্মদিন কারো মৃত্যু কারো উমক নাম পাল্টা...
23/07/2025

আমার অবাক লাগে কেন প্রশ্ন আসছে না,এত্ত বছরে এত এত টাকা আজবাজেভাবে খরচ হয়েছে,কারো জন্মদিন কারো মৃত্যু কারো উমক নাম পাল্টাতে ইত্যাদি ইত্যাদি তাহলে কেন হয়নি বিমান বাহিনী অধুনিকরন
কেন এভাবে রাষ্ট্রের টাকার অপচয় হয়েছে আর আজ যার বলি হচ্ছে নিষ্পাপ বাচ্চারা যারা বোঝে না রাষ্ট্র রাজনীতির কিছুই,,,,
প্রতিবাদ কি নিয়ে করছেন????
এই যে মাইলস্টোন স্কুলটা কেন এমন জায়গায় হল???
স্কুল ভবন ওখান থেকে সরাতে বলার পরেও কিসের প্রভাব খাটিয়ে ওখানেই রয়ে গেল,
বিমানবন্দর এরিয়াতে কেন নিময়গুলো সঠিকভাবে মানা হয় না,অনেকে টাকার জোর দিখিয়ে বিল্ডিং তৈরি করছে ওই এরিয়াতে এমনভাবে যা ঝুকিপূর্ণ,এগুলো কেন নজরে আসে না প্রশাসনের,কেন একটা দূর্ঘটনা হবার পর আলোচনা হয়,কিছুদিন পর আবার যা তাই অবস্থায় সবাই স্বাভাবিক
কেন কেন এমন হবে???
কেন এভাবে ভয়াবহ মৃত্যু হবে???
মৃত্যু চিরাচরিত সত্য তবে এমন ভয়ানক মৃত্যু
কি প্রাপ্য????
নিচের অংশ কালেক্টেড
পোস্টটা দেখে ভীষণ খারাপ লাগল
তাই শেয়ার করা
সেইফ এক্সিট নিয়ে পাইলটটা বের হয়ে গেছে!
সেইফ এক্সিট হইত তখন যখন কমপক্ষে ২০০০ মিটার উপর থেকে ইজেক্ট করে, বিমান ঠিক কোথায় পরবে সেই তোয়াক্কা না করে প্যারাসুট নিয়ে নিজের জান বাঁচাতে পারত। স্কুল কম্পাউন্ডের ভিতরেই একটা বিল্ডিং এ তৌকিরকে পাওয়া গেছিল। বুঝতে পারছেন কতটা শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত ও চেষ্টা করছে? কম উচ্চতা থেকে ইজেক্ট করছে দেখেই হয়ত প্রেশারে ব্রেইন হেমোরেজ হইসে, প্যারাসুট ঠিকভাবে কাজ করে নাই হয়ত কম উচ্চতার জন্য হাত পা ভাঙছে, বিমানে আগুন আগেই লাগছে, ফুয়েল ইনহেল করার কারনে ইন্টারনার বার্ণের কথাও শুনলাম।
কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো এত কষ্ট পেয়ে যে ছেলেটা মরে গেল, এটা আসলে নাকি যথেষ্ট না, ওর শরীরটা তো পুড়ে যায় নাই, বিমানের ভিতরের থেকে পুরে গেল না কেন? এইটা থেকেই নাকি খুব সহজে বলা যায় যে পাইলট আসলে চেষ্টাই করে নাই! বাহ! উত্তম বুদ্ধি!
স্কুল বিল্ডিং টা দেখে আর এক ভাইয়ের কাছে শুনলাম নিচতলাতেই নাকি বাচ্চাগুলার প্রাণহানি বেশি হইসে, দোতালাতেও নাকি ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলক কম। এটা থেকে কি বোঝা যায় না মাঠে বিমান টা পরে স্লাইড করতে করতে বিল্ডিং এ লাগলো?
মরে গিয়ে ভালই হইছে তৌকিরের। ও যেরকম মানুষ, নিজে চেষ্টা করার পরও যদি এতগুলা বাচ্চার মৃত্যুর খবর জানতো, বেঁচে থাকতে পারত না।
তৌকির আমার বান্ধবী আকসার হাজবেন্ড। তখনো আকসাকে আমরা ওর মারা যাওয়ার খবর জানানোর সাহস পাই নাই, আকসা জানতো তৌকির লাইফ সাপোর্টে আছে। তখন আমাদেরকে বলছিল, " অনেকগুলা বাচ্চা কি মারা গেছে? আমাকে একটু খবর বল না, ও (তৌকির) যদি পরে এই ভিডিও গুলা দেখে ও তো নিজেকে মাফ করতে পারবে না।" শোকে বিহবল হয়েও আকসা এটাই বলছিল। কারণ তৌকির মানুষটাই এমন ছিল, He was topper of his batch, one of the most kind hearted person. ওর অনেস্টি, সিন্সিয়ারিটির সাক্ষ্য আমার একলা দিতে হবে না। অন্তত একবারও যে ওর সাথে কথা বলছে সেই তৌকিরকে মনে রাখবে ওর হাসিমাখা, শান্ত স্বভাবের জন্য। ও যে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করছে বাচ্চাগুলাকে বাঁচানোর, এই কথা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। অনেকে এটা বিশ্বাস নাই করতে পারেন। কিন্তু একটা মানুষ সম্পর্কে না জেনে দয়া করে গেস করে আন্দাজে আজেবাজে কথা বাতাসের গতিতে ছাড়ায়েন না।
দয়া করে প্রশ্ন করেন, সিস্টেমকে প্রশ্ন করেন, রাষ্ট্রব্যবস্থাকে প্রশ্ন করে। কিন্তু সবার আগে নিজেকে প্রশ্ন করেন, যারা ভুল্ভাল তথয ছড়ায়ে ভিউ বাণিজ্য করে, এই ভয়াবহ ঘটনাকে পুজি করে রাজনীতি করে বেড়ায় তাদেরকে কি অজান্তেই সাপোর্ট করতেছেন নাকি?
একটু সহানুভুতিশীল হয়ে বাচ্চাগুলার জন্য, তাদের পরিবারের জন্য দোয়া করে্ন। আর হাতজোড় করে বলি, আমার বান্ধবীটা আর ওর পরিবারের জন্যও দোয়া কইরেন... গেসিং গেম খেলতে খেলতে আজেবাজে কথা ছড়ানো বা বলার আগে একটু ভাইবেন এই কথা গুলা কাছের মানুষের জন্য শোনাটা কতটা অসহনীয় হতে পারে!

22/07/2025

জীবন্ত কলিজার টুকরা সন্তানকে স্কুলে নিয়ে এসে এক টুকরো কয়লা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার মতন দুঃখ বোধহয় পৃথিবীতে আর কিছুতে নেই। 😭

আজ সকাল হল তবু আমরা ডুবে গেছি অন্ধকারে....কত শত প্রদীপ ভালভাবে জ্বলে উঠার আগেই নিভে গেল...কেউ মনে রাখবে নাশুধু ক্ষত রয়ে ...
22/07/2025

আজ সকাল হল তবু
আমরা ডুবে গেছি অন্ধকারে....
কত শত প্রদীপ ভালভাবে জ্বলে উঠার
আগেই নিভে গেল...
কেউ মনে রাখবে না
শুধু ক্ষত রয়ে যাবে পরিবারের বুকে....
তোমরা ভাল থেক জান্নাতে
আল্লাহর প্রিয় মেহমান হয়ে
আর আমরা এই অভিশাপ বয়ে বেড়ায়
ইয়া আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন
এই মৃত্যুফাদ থেকে আমীন....

একটা বোতাম চাপলেই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ফিরে যেতে পারতেন পরিবারে, জীবনের কাছে। নিজেকে বাঁচানোর সুযোগ ছিল তাঁর হাতে। ...
21/07/2025

একটা বোতাম চাপলেই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ফিরে যেতে পারতেন পরিবারে, জীবনের কাছে। নিজেকে বাঁচানোর সুযোগ ছিল তাঁর হাতে। জরুরি পরিস্থিতিতে বিমানের নিয়ন্ত্রণ সিট ত্যাগ করে প্যারাসুট নিয়ে নিজের প্রাণ রক্ষায় লাফ দেননি তিনি। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে ফাঁকা জায়গায় নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।

তাঁর যে বিমানটি, সেটি ছিল পুরনো এক F-7। একটা যুদ্ধবিমান, যার জায়গা ২০২৫ সালের আকাশে থাকার কথা না। তবু সেটিই উড়ছিল— কারণ দুর্নীতি এখনও উড়ছে এই দেশের আকাশে, আর সেই দুর্নীতির ভার বইছে এই প্রজন্মের সাহসীরা।

তৌকির আকাশে মারা যাননি। তিনি মরে গিয়েছিলেন অনেক আগেই— যেদিন বাজেট চুরি হয়েছিল, যেদিন সিদ্ধান্ত হয়েছিল ১৯৭৬ সালের বাতিল বিমান দিয়েই চলবে আধুনিক যুগের প্রশিক্ষণ।

এই সিস্টেম তাঁর জন্য কিছুই রাখেনি— না কোনো নিরাপত্তা, না কোনো বিকল্প। রেখে গেছে কেবল ঝুঁকি, মরচে ধরা লোহা, আর এক তরুণ অফিসারের নিশ্চিত মৃত্যু।

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের এই ভয়াবহ ঘটনায় শুধু তৌকির নন, প্রাণ হারিয়েছেন আরও অনেকে। তাঁদের সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁদের পরিবার-পরিজনের প্রতি জানাই আন্তরিক সমবেদনা।

আহত যারা হয়েছেন, আল্লাহ যেন তাঁদের দ্রুত সুস্থতা দান করেন।

আর যেন কোনো তরুণ তৌকিরকে,একটা মরচে ধরা বিমানের সঙ্গে জীবন বিসর্জন দিতে না হয়।

Address

Besides Fultola Khulna Jessore Main Road
Khulna

Telephone

01934256585

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Daily Life of Ummay posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Daily Life of Ummay:

Share