30/05/2025
ব্রেস্টে পিণ্ড যে বয়সেই হোক না কেন, দেরি না করে তা ব্রেস্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে দেখাতে হবে। খুব কম ক্ষেত্রে হলেও খুব ইয়ং বয়সী মেয়েদেরও ব্রেস্ট ক্যান্সার হতে পারে। ব্রেস্ট ক্যান্সার সাধারণত ব্যথাবিহীন পিণ্ড হিসাবে দেখা দেয় তাই অনেকেই তা ডাক্তারের কাছে দেখাতে দেরি করে ফেলেন। অজ্ঞতাবশত: কোয়াক অথবা হোমিও ডাক্তারদের মিথ্যা আশ্বাসে লম্বা সময় ধরে তাদের চিকিৎসা নিতে থাকেন। এক সময় যখন ক্যান্সার অনেক অগ্রসর পর্যায়ে চলে যায় তখন ডাক্তারের কাছে আসেন, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। যে ক্যান্সারে রোগীর বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, দেরি করার কারনে সেই ক্যান্সারেই রোগীর মৃত্যু হয়। ক্যান্সার চিকিৎসায় দ্রুত ডায়াগনোসিস ও যথাযথ চিকিৎসা ক্যান্সার নিরাময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেনতেন ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করে টিউমরটি ফেলে দিলেই চিকিৎসা শেষ হয়ে যায় না। ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য এখন ক্যান্সার সার্জন আছেন, সবচেয়ে ভাল হয় তাদের কাছে গেলে। তারা প্যাথলজিষ্টের কাছে বায়োপসি টিস্যু পাঠিয়ে সঠিক ডায়াগনোসিস করিয়ে আনেন। ক্যান্সারের নির্ভুল রিপোর্ট হলো চিকিৎসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রথম ধাপ। ভুল ডায়াগনোসিস হয়ে গেলে ক্যান্সার রোগী চিকিৎসা বঞ্চিত হবেন, যার ক্যান্সার হয়নি সে অপারেশন ও কেমোথেরাপির অকারণ যন্ত্রণা সহ্য করবেন আবার যার ক্যান্সার হয়েছে সে ক্যান্সারের চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাবেন।
সঠিক ডাক্তারের কাছে না যাওয়ায় এই রোগীর ক্যান্সার ডায়াগনোসিসের অনেক দেরি হয়েছিল। গ্রাম লেভেলের এক প্যানসার্জনের কাছে মহিলা ব্রেস্ট টিউমারের অপারেশন করিয়েছিলেন। ডাক্তার টিউমার বের করে ফেলে দিয়েছিলেন, টিউমার টিস্যুর কোন রিপোর্ট করাতে বলেননি। রোগী খুশীমনে বাড়ি চলে গেছিলেন। মাস দুয়েক পরে তার ব্রেস্টে আবার পিণ্ড দেখা দেয় এবং নিপল বসে যায় এবং ব্রেস্টের চামড়া কমলা লেবুর ছোলার মতো দেখতে হয়ে যায়। প্যাথলজিষ্ট FNAC পরীক্ষা করে তার ব্রেস্টে ক্যন্সার ডায়াগনোসিস করেছিলেন। ব্রেস্টে কোন পিণ্ড হলে এবং তার প্যাথলজিক্যাল ডায়াগনসিস না করানো হলে ক্যান্সার আছে কিনা তা জানা যায় না।
দেহ থেকে কোন টিউমার বা টিস্যু প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করা ছাড়া ফেলে দেয়া যাবে না। কোন ডাক্তার বের করে আনা টিস্যুর পরীক্ষা করাতে না চাইলেও রোগীদের লোকের গরজে হলেও তা করানো উচিৎ।
Better safe than sorry
© সুকুমার সাহা