30/07/2025
স্বৈরাচারের দোসরদের পূর্ণবাসনের ষড়যন্ত্র কি আবার শুরু হলো কুয়েটে?
রাজশাহী নিউ গভ. কলেজে পড়ার সময় যারা শিবিরের রাজনীতি করেছে, বুয়েটে চান্স পেয়ে ছাত্রদলের ছত্রছায়ায় ঘুরে বেড়িয়েছে, তারা কিভাবে আজ শিক্ষক হয়ে কুয়েটের রাজনীতি ও প্রশাসনে প্রভাব বিস্তার করছে—এটাই আজ কুয়েট পরিবার ও দেশের সচেতন মানুষের বড় প্রশ্ন।
প্রথম দশে না থাকা সত্ত্বেও, রশিদ স্যারের ছত্রছায়ায় যিনি কুয়েটে শিক্ষক হতে পেরেছেন, সেই নাহিয়ান স্যার শুরু থেকেই আলমগীর স্যারের নিকটতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত। কুয়েটে ছাত্র রাজনীতিতে সহিংসতা এবং ভাঙনের সময়ও তিনি ছিলেন সেই কুখ্যাত গোষ্ঠীর অংশ, যারা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের তাণ্ডবমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বিশেষ করে ছাত্রলীগ কর্তৃক মদখোর মেহেদীকে ‘মোরাল’ করার পেছনে আলমগীর স্যারের পাশাপাশি নাহিয়ান স্যারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা আজ কারো অজানা নয়। অথচ আজ সেই ব্যক্তি আবার প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।
বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর স্যারের একান্ত সহযোগী হিসেবে তাঁকে যেভাবে দেখা যাচ্ছে, তাতে স্বৈরাচারী শাসনের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা অমূলক নয়।
প্রশ্ন রইল কুয়েট প্রশাসনের প্রতি—আপনারা কি আবার কুয়েট ক্যাম্পাসকে স্বৈরাচারের দোসরদের হাতে তুলে দিতে চান?
এই অবৈধ পুনরুত্থান বন্ধ না হলে কুয়েট তার বুদ্ধিবৃত্তিক ও নৈতিক ভিত আরও একবার ধ্বংসের মুখে পড়বে। সময় এসেছে ইতিহাসকে মনে রাখার, ভুলকে প্রতিহত করার।