BS News

BS News সত্য ও সঠিক সংবাদ প্রচারে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া অনিয়ম,অন্যায়, অপরাধ বা যে কোন ঘটনা জানাতে মেইল করুন-
[email protected]

Mahbub Kabir Milon স্যারের ফেসবুক পাতা থেকে স্মৃতিচারন।চাকরিকালে নিজের ২৪টি সাফল্য জানিয়েছিলেন মাহবুব কবির মিলন স্যার।(অ...
07/04/2025

Mahbub Kabir Milon স্যারের ফেসবুক পাতা থেকে স্মৃতিচারন।
চাকরিকালে নিজের ২৪টি সাফল্য জানিয়েছিলেন
মাহবুব কবির মিলন স্যার।
(অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব)

মনে করেছিলাম লিখবো না। বাধ্য হলাম। আমার স্বাভাবিক বা ডেস্কের কাজের বাইরে এই চেষ্টাগুলো করেছিলাম দেশ এবং মানুষের জন্য। লিখলাম যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বলতে না পারে, আমি শুধু মুখেই বলি, কোনো কাজ করিনি। আজ প্রথম অংশ দিলাম, এরপর দ্বিতীয় অংশ। বেশ বড়, কষ্ট হবে পড়তে। দুঃখিত এজন্য। মাঝে মাঝে কারও মন্তব্য এত কষ্ট দেয় যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আল্লাহপাক হেদায়েত দান করুন তাদের।

১. ফরমালিনের অপব্যবহার দূরীকরণ: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১৫ সালে ‘ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৫’ চূড়ান্ত হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর এই আইনের মারাত্মক একটি ত্রুটি নজরে আসে আমার। আমদানি নীতি আদেশে ‘ফরমালিনের’ সংজ্ঞায় শুধু ‘ফরমালিন’ শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছিল অথচ ফরমালিনের আরও ১০টি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নাম রয়েছে, যা সংজ্ঞায় আনা প্রয়োজন। পরদিন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে গিয়ে জানতে পারি বিগত এক বছরে অন্য দশটি নামে ফরমালডিহাইড পাউডার (১:৪০ জ্বলীয় দ্রবণ=ফরমালিন) আমদানি হয়ে এসেছে প্রায় ১৭৫০০ মেট্রিক টন অথচ ওই সময় আইনের সংজ্ঞায় উল্লিখিত ফরমালিন আমদানি হয়েছে মাত্র পাঁচ কেজি।

সংজ্ঞায় ফরমালিনের সঙ্গে অন্য ১০টি নাম উল্লেখ করে আমি বিকেলেই তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে ইমেইল করি। তা করা না হলে আইন পাস হলেও ফরমালিনের বাণিজ্যিক আমদানি বন্ধ করা যেত না। পরদিন আইনমন্ত্রী মহোদয় জনাব আনিসুল হক স্যারের সঙ্গে চট্টগ্রাম থেকে ফোনে সরাসরি কথা বলে বিষয়টি বিস্তারিত জানাই। তিনি ফরমালিনের অন্য ১০টি নাম লিখে নেন। আইনমন্ত্রী মহোদয় আইনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ফেরত এনে আইনের সংজ্ঞায় সব নাম যুক্ত করে চূড়ান্ত করেন। এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ করি যাতে দ্রুততম সময়ে আমদানি নীতি সংশোধন করে ফরমালিনের অন্য ১০টি নাম যুক্ত করে শিল্প ছাড়া ফরমালিনের বাণিজ্যিক আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংশোধন করা হয় আমদানি নীতি। বন্ধ হয়ে যায় ফরমালিনের বাণিজ্যিক আমদানি। ফলে বন্ধ হয়ে যায় খোলাবাজারে ফরমালিনের ক্রয়-বিক্রয়। বাজারে ফরমালিন নেই, কাজেই এর অপব্যবহারও নেই। ২০১৫ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এক কেজি ফরমালিন বাণিজ্যিকভাবে আমদানি হয়নি। দেশে কোথাও খোলাবাজারে ফরমালিন বিক্রি হয় না।
২. ক্যালসিয়াম কার্বাইডের অপব্যবহার দূরীকরণ: ফল পাকাতে ক্যালসিয়াম কার্বাইডের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে সরকার। শুধু শিল্পে ব্যবহারের জন্য এর আমদানি নিয়ন্ত্রিত। কাঁচামাল হিসেবে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সারাদেশে মাত্র ১১টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আমদানির পারমিশন দিয়েছে বিস্ফোরক অধিদপ্তর অথচ বাজারে অবাধে ক্রয়-বিক্রয় হয় ক্যালসিয়াম কার্বাইড। এই আইন ঘাঁটতে গিয়ে লক্ষ্য করি যে একটি বিশাল ত্রুটি রয়ে গেছে এর লাইসেন্সের শর্তাবলিতে। শিল্প ছাড়া আমদানি, ক্রয়-বিক্রয় পরিবহন নিষিদ্ধ হলেও লাইসেন্সের শর্তাবলির ৯ নম্বর ধারায় সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে, দেশে যে কোনো ব্যক্তি বা আমদানিকারক, যে কোনো ব্যক্তির কাছে ২০ কেজি পর্যন্ত ক্যালসিয়াম কার্বাইড ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও মজুত করতে পারবে। ২০ কেজি ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে সারাদেশের এক সিজনের আম বা ফল পাকানো যায়। লাইসেন্সের এই ত্রুটিযুক্ত শর্তাবলির জন্য বাজারে সহজলভ্য ছিল ক্যালসিয়াম কার্বাইড। আমি বিষয়টি লিখিতভাবে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কাছে তুলে ধরি। মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি সভা করে (সব ক’টিতে আমি উপস্থিত ছিলাম) লাইসেন্সের ত্রুটিযুক্ত শর্তাবলি বাতিল করে ক্যালসিয়াম কার্বাইডের অবৈধ ব্যবহারের জন্য ছয় মাসের শাস্তি আরোপ করে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করে। বন্ধ হয়ে যায় ক্যালসিয়াম কার্বাইডের বাণিজ্যিক ক্রয়-বিক্রয়, সরবরাহ ও মজুত। এখন ফল পাকাতে ক্যালসিয়াম কার্বাইডের ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেছে।

৩. হার্টের রোগীর রিংয়ের (স্টেন্ট) সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ: ড্রাগ প্রশাসনের নীতিমালা বা আইনে চিকিৎসা খাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বা সামগ্রীর মূল্য বেঁধে দেওয়া বা এমআরপি (সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য) নির্ধারণ করার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও দেশে হার্টের রোগীর রিংয়ের (স্টেন্ট) মূল্য ছিল লাগামহীন। যে যেভাবে পারতো স্টেন্টের দাম আদায় করতো অসহায় রোগীর কাছ থেকে। এক চিকিৎসকের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে হার্টের রোগীর রিংয়ের (স্টেন্ট) এমআরপি নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাবলিক সার্ভিস ইনোভেশন পেজে। সেখানে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ স্যারের দৃষ্টি আকৃষ্ট হলে, চিঠি লিখি প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি স্যারের কাছে। কপি প্রেরণ করা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ মহাপরিচালক ড্রাগ প্রশাসন মহোদয়ের কাছে। একাধিক সভা আহ্বান করে ড্রাগ প্রশাসন। উপস্থিত ছিলাম আমি সেখানে। এরপর হার্টের স্টেন্ট বা রিংয়ের এমআরপি নির্ধারণ করা হয়। তিন থেকে চার লাখ টাকার স্টেন্টের দাম নেমে আসে সর্বোচ্চ এক লাখ ২৫ হাজার টাকায়, যা এখনো বহাল আছে চিকিৎসা খাতে। ধন্যবাদ জাহিদুর রহমান ভাই। আপনার এক পোস্ট থেকে এ বিষয়ে কাজ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম।

৪. ইয়াবা তৈরিতে ব্যবহৃত হওয়ায় ওষুধের উপাদান সিউডোএফিড্রিন নিষিদ্ধ ঘোষণা: এক ওষুধের দোকানে জানতে পারি সর্দি কাশির সিরাপের উপাদান সিউডোএফিড্রিন পাউডার দিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট বানানো হচ্ছে। বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিগুলো প্রয়োজনের অতিরিক্ত পাউডার আমদানি করে তা ব্ল্যাক মার্কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে, যা দিয়ে ইয়াবার মূল উপাদান মেথাএম্ফিটামিন বানানো হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে এর সত্যতা যাচাই করে নেই। আরও জানতে পারি যে, সিউডোএফিড্রিনের ব্যবহার পৃথিবীর অনেক দেশেই কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত বা নিষিদ্ধ এবং চিকিৎসা খাতে অনেক বিকল্প উপকরণ থাকায় সিউডোএফিড্রিন এর কোনো প্রয়োজন নেই। এটা অবশ্যই আমাদের দেশেও নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে সিউডোএফিড্রিন যুক্ত একটি কফ কাশির ট্যাবলেট দিয়ে ১০টি ইয়াবা বানানো যায়। সেই সময় ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ, ঢাকা শহরে চারটি ইয়াবা তৈরির কারখানার খোঁজ পায়। তার মানে দেশেই ইয়াবা তৈরি শুরু হয়েছিল।

এরপর আমি সিউডোএফিড্রিন যুক্ত কয়েকটি ট্যাবলেট এবং সিউডোএফিড্রিন আমদানি, ক্রয়-বিক্রয় এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠিসহ দেখা করি প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ স্যারের সাথে এবং ট্যাবলেট ও চিঠি প্রদান করি তার হাতে। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য সচিব স্যারকে (বর্তমানে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান) সভাপতি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ডিজি ড্রাগ প্রশাসন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেন। কমিটি অনেক সভা করে অবশেষে সিউডোএফিড্রিন পাউডারের আমদানি এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করাসহ সিউডোএফিড্রিন দিয়ে বানানো সব ওষুধের লাইসেন্স বাতিল করে ওইসব ওষুধ বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়, যা এখনো কার্যকর আছে। ফলে বন্ধ হয়ে যায় দেশে ইয়াবা তৈরির কারখানা।

৫. ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফি বন্ধে ব্যবস্থা: একবার ঈদে রংপুরে গ্রামের বাড়ি গিয়ে জানতে পারি যে, গ্রামের ছেলেরা বাজারে গিয়ে ১০ টাকা দিয়ে দুই জিবি পর্নোগ্রাফি মোবাইলে ডাউনলোড করে দেখে এবং এই আসক্তিতে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তারা। এ থেকে আমাদের বাড়ির কৃষিকাজের ছেলেও মুক্ত ছিল না। পর্নোগ্রাফি আসক্তিতে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যুবসমাজ। ফিরে এসে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ স্যারের কাছে তা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি লিখি। কপি প্রদান করি তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব স্যারের কাছে এবং দেখা করি তার সাথে। পৃথিবীর অনেক দেশেই পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রিত, অথচ আমাদের দেশে অবাধ এবং সহজ এক্সেস। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি স্যার সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত একটি প্রজেক্ট নেওয়ার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। অবশেষে প্রায় ১৬০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়, যা বাস্তবায়ন করে ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমিউনিকেশন বা ডট। সাইবার থ্রেট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপঞ্জ নামে এটি এখন নিয়ন্ত্রণ করছে বিটিআরসি।

৬. ঘন চিনি বা সোডিয়াম সাইক্লামেট খাদ্যে ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মিথ্যা ডিক্লারেশন দিয়ে অন্য নামে সোডিয়াম সাইক্লামেট আমদানি করে আসছিল। এছাড়া সোডিয়াম সাইক্লামেটের সঙ্গে জমিতে ব্যবহারের রাসায়নিক সার সোডিয়াম সালফেট মিশ্রণ করে প্যাকেটজাত অবস্থায় বিক্রি করা হচ্ছিল খোলাবাজারে, যা ব্যবহৃত হতো সারাদেশে বেকারি এবং মিষ্টিতে। সোডিয়াম সাইক্লামেটের সঙ্গে যে সোডিয়াম সালফেট সার মেশানো হতো তার কোনো ক্লু বা প্রমাণ কোথাও ছিল না। আমার নিজের চেষ্টায় তা অনুধাবন করে খামারবাড়ি মৃত্তিকা গবেষণা ও উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) থেকে পরীক্ষা করে সন্দেহের যথার্থতা প্রমাণিত হয় যে, তা সোডিয়াম সালফেট রাসায়নিক সার। এরপর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিষয়টি কাস্টমসসহ র‌্যাব এবং পুলিশকে অবহিত করি।

৭. চীন থেকে অননুমোদিতভাবে সম্পূর্ণ তৈরি বা ফিনিশড মশার কয়েল আমদানি বন্ধে বিএসটিআইকে পত্র প্রেরণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ। উল্লেখ্য যে, প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ ফিনিশড মশার কয়েল আমদানি হয়ে আসে দেশে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।

৮. সংশোধিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০১৮ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিধিমালা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ তে কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব প্রেরণ। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড আইন, ২০১৮ প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব প্রেরণ।

৯. মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক প্রেরণে ‘গামকা’ এক মারাত্মক হয়রানির নাম। গামকা কর্তৃক নির্ধারিত ২৫টি প্যাথলোজি বা ক্লিনিক ছাড়া অন্য কোথাও থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট গ্রহণ করা হয় না। এ কারণে প্রবাসে গমনেচ্ছু শ্রমিকরা মারাত্মক হয়রানির শিকার হন প্রতিনিয়ত। অতিরিক্ত টাকা ছাড়া রিপোর্ট দেওয়া হয় না। এই গামকা সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে সারাদেশে ভালো ভালো হাসপাতাল বা ক্লিনিককে মধ্যপ্রাচ্যে গমনেচ্ছু শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় বরাবর চিঠি প্রেরণ।

১০. দেশে ফ্রিল্যান্সারদের সুবিধা এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অতি প্রয়োজনীয় গেটওয়ে ‘পেপাল’ চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী এবং সচিব মহোদয় বরাবর চিঠি প্রেরণ।

১১. শিশু নির্যাতনের ধরনে পৈশাচিকতা ও বর্বরতা ভয়ানক বেড়ে যাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ সংশোধন করে আরও কঠিন শাস্তির বিধানের জন্য অনুরোধ জানিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় বরাবর চিঠি প্রেরণ।

১২. বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক এবং নিম্ন-মাধ্যমিক ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে একটি যুগোপযোগী এবং কল্যাণকর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা আইন বা নীতিমালা প্রণয়নের জন্য অনুরোধ জানিয়ে প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব মহোদয় বরাবর পত্র প্রেরণ।

১৩. কক্সবাজার এবং সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য নির্ধারিত এলাকায় নেটিং/ফেন্সিং করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব মহোদয় বরাবর পত্র প্রেরণ।

১৪. বাসে চলাচলরত নারীদের নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনে জরুরি সার্ভিসের (৯৯৯) সাহায্য পাওয়ার জন্য প্রতিটি গণপরিবহনের (বাস/রাইডার ইত্যাদি) অভ্যন্তরে চার পাশে গাড়ির নম্বর বড় হরফে স্পষ্টাক্ষরে লেখা বাধ্যতামূলক করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবং বিআরটিএ চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর পত্র প্রেরণ।

১৫. সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে চাকরি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করা প্রাথমিক আবেদনে, সার্টিফিকেট এবং ফটো সত্যায়ন ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়ে সচিব, সমন্বয় ও সংস্কার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মহোদয় বরাবর পত্র প্রেরণ।

১৬. কৃষকরা যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পায় সেজন্য অবশ্যই প্রতি বছর মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ধান ক্রয় শুরু করার ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে খাদ্য সচিব মহোদয় বরাবর পত্র প্রেরণ। কারণ এপ্রিলের মধ্যভাগ থেকেই বোরো ধান কাটা শুরু হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় আদেশ দিয়ে তা সব উপজেলায় প্রেরণ এবং ধান ক্রয় শুরু করতে জুন মাস নাগাদ লেগে যায়। ততদিনে প্রান্তিক চাষিরা মাঠ থেকেই দালাল ফড়িয়া এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে কম মূল্যে ধান বিক্রি করে দেয়। ফলে সরকারি মূল্য থেকে বঞ্চিত হয় কৃষক।

১৭. দেশে আমদানি হয়ে আসা কীটনাশক বন্দরে আসার পর কোনো প্রকার ল্যাব পরীক্ষা ছাড়াই খালাস হয়। কোনো কোনো আমদানিকারক নিষিদ্ধ কীটনাশক নিয়ে আসলে বা মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে অন্য কিছু নিয়ে আসলে তা ধরার কোনো উপায় নেই। এছাড়া কীটনাশকের লাইসেন্স নেওয়ার সময় আবেদনকারীর আবেদনে উল্লিখিত সব ঘোষণার সত্যতা যাচাইয়ের সক্ষমতা কৃষি বিভাগের নেই। মাঠ পর্যায়ে কৃষক সকালে কীটনাশক স্প্রে করে বিকালে বাজারে বিক্রি করে, রাতে তা আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি। এই প্রি-হারভেস্ট ইন্টারভেল মেনে না চলার জন্য কীটনাশকের রেসিডিউ যাচ্ছে খাদ্যের সঙ্গে আমাদের শরীরে। দেখা দিচ্ছে নানান জটিল রোগ। এসব কিছু থেকে উত্তরণের উপায়সহ ১০টি আন্তর্জাতিক মানের প্রটোকল আমি তৈরি করে তা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানিয়ে কৃষি সচিব মহোদয় বরাবর পত্র প্রেরণ করি।

১৮. টঙ্গী ভৈরব, লাকসাম চিনকি আস্তানা ডাবল লাইন চালুর পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ননস্টপ ট্রেন সাড়ে ৬ ঘণ্টা থেকে বর্তমানে পাঁচ ঘণ্টা ১০ মিনিট করা, বায়োটয়লেট চালু করা, প্রতিটি কোচের ছাদে অপ্রয়োজনীয় এসিপি সিস্টেম তুলে দেওয়া, ২০১৭ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করে আনা নতুন কোচের অসংখ্য ত্রুটি চিহ্নিত করা এবং পরে ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা ২৫০টি কোচে সেসব ত্রুটি দূর করে ডিজাইন কনফার্ম করা, ট্রেনের ইঞ্জিন হতে তেল চুরি বন্ধে তেলের ট্যাংকে আধুনিক জিপিএস ডিভাইস স্থাপন, নতুন ক্রয় করা সব লোকোতে চালকদের জন্য ক্যাবে এসি সিস্টেম চালু করা, যাত্রী টিকিটে যাত্রীর নাম ও মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করা, ইঞ্জিন এবং ছাদে অবৈধ যাত্রী তোলা বন্ধে কমলাপুর এবং বিমানবন্দর স্টেশনে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে তার মনিটর রেলমন্ত্রী, সচিব এবং ডিজি মহোদয়ের অফিস কক্ষে স্থাপনসহ রেলের অসংখ্য উন্নয়ন ও অনিয়ম দূরীকরণে আমার সরাসরি ভূমিকা রয়েছে।

এছাড়া রেলের শতভাগ অনলাইন/অফ-লাইন (কাউন্টার) টিকিট চালু, অনলাইন রিফান্ড সিস্টেম চালু, টিকিট কালোবাজারি সম্পূর্ণ দূরীকরণে রিয়েলটাইম এনআইডি ভেরিফিকেশন করে অনবোর্ড ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ নিশ্চিত করার সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ। রেলের যাত্রীসেবা বৃদ্ধিতে আমি ২০১৫ সাল থেকেই রেল সচিব জনাব ফিরোজ সালাউদ্দিন স্যারের সাথে কাজ শুরু করি। আমি তখন পরিচালক, বিনিয়োগ বোর্ড চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলাম। তখন থেকেই প্রতি তিনমাস অন্তর রেলের অংশীজন সভায় যাত্রী প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকতাম। এটাই ছিল রেলের কল্যাণে আমাদের একটি সক্রিয় ফোরাম, যা অব্যাহত ছিল প্রাক্তন রেল সচিব জনাব মোফাজ্জল হোসেন স্যারের শেষ সময় পর্যন্ত।

১৯. আবুল কালাম আজাদ স্যার (সাবেক এসডিজি মুখ্য সমন্বয়ক) তখন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব। আমি কাজ করছি বিনিয়োগ বোর্ডের পরিচালক, চট্টগ্রাম। দেশে চলছে মারাত্মক লোডশেডিং। জনগণকে অন্ধকারে (শেডিং) রেখে পিডিবি নিয়ম ভঙ্গ করে অর্থের বিনিময়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানকে। চট্টগ্রাম থেকে বিদ্যুৎ সচিব বরাবর করা এমন একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হলো আমাকে। কমিটির সভাপতি হলেন বর্তমান রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, তৎকালীন যুগ্ম-সচিব (উন্নয়ন), বিদ্যুৎ বিভাগ। মাঠ পর্যায়ে ইনটেন্সিভ তদন্তের ভার পড়লো আমার ওপর। কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, স্ক্যাডা কন্ট্রোল রুম, চট্টগ্রাম পিডিবি প্রধান প্রকৌশলীসহ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান, সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং ঢাকাস্থ ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাস সেন্টার (এনএলডিসি) পরিদর্শন করে তাঁদের সবার বক্তব্য নেওয়া হলো।

তদন্তে অনিয়ম করে শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বেশি বিদ্যুৎ প্রদানের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। লোডশেডিং চালু রেখে এভাবে সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য কেন্দ্রে উৎপাদন কমিয়ে রাখা বা শাট ডাউন করে রাখা বন্ধ হয়ে যায় তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর। বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হতে রক্ষা পায় সরকার। আমি ইঞ্জিনিয়ার নই বা বিদ্যুতে কখনো চাকরিও করিনি। ঘটনাচক্রে সেই তদন্ত কমিটির সদস্য হতে হয়েছিল আমাকে। এ তদন্ত করতে গিয়ে বিদ্যুতের অসংখ্য অনিয়ম এবং চুরি বা দুর্নীতির ঘটনা জানতে পেরেছিলাম।

২০. স্বাধীনতাযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১২ এপ্রিল তৎকালীন ইপিআরের (বিজিবি) একটি দল দিনাজপুর ক্যাম্প থেকে বিদ্রোহ করে বেরিয়ে এসে দিনাজপুর দশ মাইল নামক এলাকার বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসের সামনে খানসেনাদের প্রতিহত করতে অবস্থা নেয়। সঙ্গে ছিল এলাকার কিছু লোকজন। দিনাজপুর থেকে পাকসেনারা এগিয়ে আসলে শুরু হয় গোলাগুলি। চলতে থাকে প্রচণ্ড যুদ্ধ। ইপিআরের বীর দুই যোদ্ধা ল্যান্স নায়েক মোস্তাফিজুর রহমান এবং হাবিলদার মিয়াঁ হোসেন চালাচ্ছিলেন সিক্স পাউন্ডারগান (মর্টার)। ইতিমধ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুর (বিমানবন্দর) হয়ে খানসেনাদের আরেকটি দল এসে অন্য পাশ থেকে আক্রমণ চালায় ইপিআর বাহিনীর ওপর। দুই দিক হতে প্রচণ্ড আক্রমণে টিকতে না পেরে ইপিআরের বীর যোদ্ধারা পিছু হটতে থাকে, পিছিয়ে যায় জনগণ। কিন্তু জানবাজি রেখে সিক্স পাউন্ডার গান থেকে ফায়ার করতে থাকেন ল্যান্স নায়েক মোস্তাফিজুর রহমান এবং হাবিলদার মিয়াঁ হোসেন। পিছু হটা সঙ্গী সাথীরা সবাই যখন চিৎকার করে তাদের পিছু হটতে বলছিলেন, তখনও নিজ অবস্থান থেকে এক ইঞ্চি সরেননি মোস্তাফিজুর রহমান এবং মিয়াঁ হোসেন। তারা উভয়ে চিৎকার করে উত্তর দেন, ‘দেহে এক বিন্দু রক্ত থাকতে দেশের এক ইঞ্চি মাটি ছাড়বো না শত্রুদের কাছে।’ মাটি ছাড়েননি তারা। খানসেনাদের গোলার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তাদের দেহ। এক সময় চলে যায় খানসেনারা। পড়ে থাকে দুই শহীদের লাশ। এলাকার জনগণ পরে একত্রিত হয়ে দশ মাইল বাজারের এক দোকানের পেছনে একটি কবর খুঁড়ে তাদের দুজনের লাশ দাফন করে একই কবরে।

বেঁচে থেকে এক ইঞ্চি মাটি ছাড়েননি, সেই শহীদ বীর দুজনের ঠিকানা, পরিবার রয়ে যায় অজানা। কোনো রেকর্ডে তাদের হদিস ছিল না। দিনাজপুরের মুক্তিযোদ্ধারা প্রতি বছর ১২ এপ্রিল এলাকায় জড়ো হয়ে তাদের মৃত্যু দিবস পালন করেন।

আমি এই খবর দিনাজপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে জানার পর তাদের দুই পরিবারের সন্ধানে নেমে পড়ি। দিনাজপুর বিজিবি সেক্টর কমান্ড এবং রংপুর সেক্টর কমান্ড অফিসে খোঁজ করে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সেদিনের যুদ্ধে সঙ্গে ছিলেন এমন একজন যোদ্ধা পরে মৃত্যুবরণ করায় সমুদ্রে পড়তে হয় আমাকে। দিনাজপুরের জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের অনেকেই বিভিন্ন জেলার নাম বলছিলেন।

অনেকদিন ধরে আমি প্রায় ২০টি জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা খুঁজেছি, কিন্তু কোথাও নাম নেই তাদের দুজনের। বিজিবি হেড কোয়ার্টারে খোঁজ করেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বারবার ফোনে অনুরোধ করতে থাকি বিজিবি হেড কোয়ার্টারে রেকর্ড রুমের দায়িত্বে থাকা মেজর সাহেবের সাথে। তিনি খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে একদিন সেই সুসংবাদ দিলেন। পাওয়া গেল তাদের ঠিকানা, তবে শুধু উপজেলা এবং জেলার নাম।

ল্যান্স নায়েক মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় এবং হাবিলদার মিয়াঁ হোসেনের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলায়। ইউনিয়ন এবং গ্রামের ঠিকানা নেই। ফোন দিলাম দুই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। বললাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে নিয়ে এই দুই শহীদের বাড়ি এবং পরিবারের হদিস বের করতে। এসে গেল সেই ক্ষণ। ল্যান্স নায়েক মোস্তাফিজুর রহমানের বাবা মা মারা গেছেন অনেক আগেই। বেঁচে আছেন তার এক বোন আর এক ভাই। অন্যদিকে হাবিলদার মিয়াঁ হোসেনের স্ত্রী এবং একমাত্র ছেলে আছেন।

সবার সাথে মোবাইলে কথা বলে নিজে কাঁদলাম, কাঁদালাম তাদের। স্বাধীনতার প্রায় ৪৪ বছর পর স্বজনরা খোঁজ পেলেন তাদের দুই বীর শহীদের কবর। এরা সবাই গিয়েছিলেন দিনাজপুর দশ মাইল বাজারে, যেখানে শুয়ে আছেন দুই শহীদ। এই কাহিনি ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসের কথা।

২১. হাজেরা খাতুন। স্বামী শহীদ কনস্টেবল আ. ছাত্তার। পুলিশ সদস্য কনস্টেবল আ. ছাত্তার শহীদ হন ৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১। কুষ্টিয়া সদর থানা পাহারারত অবস্থায় পাক হানাদার বাহিনী থানা আক্রমণ করে। আ. ছাত্তার সঙ্গী তিনজন কনস্টেবলসহ জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যান। তারা কেউ এক ইঞ্চি মাটি ছাড়েনি। সবাই শহীদ হন। পরে জনগণ থানার পাশে এক কবরে দাফন করেন তাদের। আজও কেউ জানে না কোথায় তারা শুয়ে আছেন।

স্বাধীনতার পরে হাজেরা বেগম স্বামীর মৃত্যুর খবর পান। এক মেয়ে ছিল, বিয়ে হয়ে গেছে। স্বাধীনতার ৪৪ বছর ধরে চেষ্টা করেও হাজেরা খাতুন তার স্বামী যে কনস্টেবল ছিলেন এবং যুদ্ধ করে থানায় শহীদ হয়েছিলেন, তার কোনো প্রমাণ বা কাগজ বের করতে পারেননি। ফলে বিধবা শহীদ পরিবারের সদস্য হয়েও তিনি আজ পর্যন্ত ভাতা পাননি।

তিন বছর আগে জানতে পারি সে দুঃখজনক ঘটনার কথা। শুরু করলাম তালাশ। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক, এসপি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহোদয় এবং কয়েকজন পুলিশ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বললাম। এসপি সাহেব এবং পুলিশ রেকর্ড রুম থেকে জানালেন, এর আগেও তারা হাজেরা খাতুনের আবেদনের ভিত্তিতে অনেক খুঁজেও আ. ছাত্তারের কোনো তথ্য পাননি। আমি আবার নতুন করে খুঁজতে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ জানালাম। শুরু হলো আবার সেই মহৎ উদ্যোগ। তাদের সবার ঐকান্তিক আগ্রহ, আন্তরিকতা এবং অনেক চেষ্টার পরে খুঁজে পাওয়া গেল শহীদ কনস্টেবল আ. ছাত্তারের তথ্য। হাজেরা খাতুন পান তার স্বামী শহীদ হওয়ার স্বীকৃতি, কাগজে কলমে।

মৃতপ্রায় হাজেরা খাতুন বিছানায় শুয়ে কাঁদেন তার শহীদ স্বামীর সেই স্বীকৃতিপত্র নিয়ে, যা পেতে তার ৪৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। যে শহীদরা এক ইঞ্চি মাটি ছাড়েননি, জীবন দিয়েছেন।

২২. লিভার ব্রাদার্সের ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’ ক্রিমের প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন, ‘বিশ্ব জয় করে এবং দুবাই সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার সব ক্রিমকে হারিয়ে দেওয়ার বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করে তা বন্ধের ব্যবস্থা নিয়েছিলাম।

২৩. বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারকদের প্রতারণা বন্ধ করা। বিকাশের মাল্টি ডিভাইস লগ ইন সিস্টেমের কারণে প্রতারকরা বিকাশ গ্রাহকদের কাছ থেকে চালাকি, প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কিংবা লোভ দেখিয়ে গ্রাহকের পিন নম্বর এবং ওটিপি নিয়ে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা হাতিয়ে নিতো। মাল্টি ডিভাইস লগইন বন্ধ করে নীতিমালা অনুযায়ী সিঙ্গেল ডিভাইস লগইন সিস্টেম চালুর জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ সব বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ দাখিল করেছিলাম। ফলে বিকাশ মাল্টি ডিভাইস লগইন বন্ধ করে সিঙ্গেল ডিভাইস লগইন সিস্টেম চালু করেছে। অর্থাৎ একটি অ্যাকাউন্ট থেকেই আপনাকে এখন ট্রানজেকশন করতে হবে। ওটিপি পিন নম্বর দিয়েও আর অন্য ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্ট চালানো যাবে না। আপাতত বন্ধ হয়ে গেল প্রতারকদের রাস্তা। রক্ষা পেল গ্রাহকদের কষ্টার্জিত অর্থ প্রতারকদের কবল থেকে।

২৪. হরলিক্সের বিতর্কিত বিজ্ঞাপন ‘Taller Stronger Sharper’ বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া এবং বন্ধ হয়ে গেছে সে বিজ্ঞাপন।

(অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলনের ফেসবুক স্ট্যাটাস)

আপনার সিদ্ধান্ত কি?
03/09/2024

আপনার সিদ্ধান্ত কি?

বাংলাদেশ কার হাতে নিরাপদ!!
03/09/2024

বাংলাদেশ কার হাতে নিরাপদ!!

বাংলাদেশের সব ভালো ভালো চাকরি তো নিচ্ছে ভারতীয়রা, তার বেশীরভাগই চাকরি করে অবৈধভাবে।বাংলাদেশে সরকারি চাকরি কতো বছরে? গত প...
14/07/2024

বাংলাদেশের সব ভালো ভালো চাকরি তো নিচ্ছে ভারতীয়রা, তার বেশীরভাগই চাকরি করে অবৈধভাবে।

বাংলাদেশে সরকারি চাকরি কতো বছরে? গত পাচ বছরের হিসাবে একেক বছর সব পদে সত্তর হাজার। কোটা যদি বাতিল হয় তাইলে এই সত্তর হাজার চাকরির ধরা যাক অর্ধেক মানে তিরিশ পয়ত্রিশ হাজার সরকারী চাকরি উন্মুক্ত হবে সবার জন্য। এটা ইতিবাচক সন্দেহ নাই।

তাতে কি বাংলাদেশের বেকারত্বের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে? না হবেনা। কারণ বাংলাদেশের সব ভালো ভালো চাকরি তো নিচ্ছে ভারতীয়রা, তার বেশীরভাগই চাকরি করে অবৈধভাবে। বছরে দশ বিলিয়ন ডলারের বেশী নিয়ে যায় ভারতে। সেইগুলো আরো আকর্ষণীয় চাকরি। বেশী বেতনের চাকরি। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা পোষ্য কোটা তুলে দেয়ার পাশাপাশি শুধু অবৈধ ভারতীয় দের চাকুরী থেকে বিতারণের দাবী তুললে আন্দোলন সত্যিকাররে রাজনৈতিক চরিত্র পাবে, আরো অনেক বেশী বেকারত্ব দূর হবে, জাতীয় স্বার্থ আরো বেশী রক্ষিত হবে। আমরা এই দশ বিলিয়ন ডলার দেশে রাখতে পারলে অর্থনীতির মাজুল অবস্থাও কাটবে৷

কোটা আন্দোলন যারা করছেন, আমার এই পরামর্শ ভেবে দেখতে পারেন। অবৈধ ভারতীয়দের কর্মীদের বিতারণের দাবী তুললে শুধু আমি নই কোটি কোটি বাংলাদেশী দেশে ও প্রবাসে তাদের সর্বশক্তি নিয়ে আপনাদের পাশে দাড়াবে।।

সুত্র- পিনাকী ভট্টাচার্য।।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার পর একজন পুরু...
14/07/2024

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার পর একজন পুরুষ হামলাকারী সিক্রেট সার্ভিস সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছে।

"বাংলাদেশে কয়েক লক্ষ অবৈধ ভারতীয় নাগরিক"।।বাংলাদেশে কয়েক লক্ষাধিক অবৈধ ভারতীয় রয়েছে।দি ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের একট...
13/07/2024

"বাংলাদেশে কয়েক লক্ষ অবৈধ ভারতীয় নাগরিক"।।

বাংলাদেশে কয়েক লক্ষাধিক অবৈধ ভারতীয় রয়েছে।দি ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের একটি কলাম দাবি করেছে যে,২০০৯ সালে প্রায় ৫ লক্ষ ভারতীয় অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন। নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে যে তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন এনজিও, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল এবং আইটি-তে কাজ করছে এবং হুন্ডি ট্রান্সফার সিস্টেমের মাধ্যমে তারা টাকা পাঠায়। ডেইলি ইন্ডাস্ট্রির মতে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রায় ১০ লাখ ভারতীয় বাংলাদেশে আছে।
বিএস নিউজ।
সুত্র- উয়া।

কোটা সংস্কারের নামে বিএনপি-জামায়াতের সন্তানরা মাঠে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহ...
13/07/2024

কোটা সংস্কারের নামে বিএনপি-জামায়াতের সন্তানরা মাঠে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

তিনি বলেন, নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে জামায়াত-বিএনপি। কোটা সংস্কারের নামে তাদের সন্তান মাঠে নামিয়েছে তারা। এতদিন দলের ব্যানারে আন্দোলন করে সফল হতে পারেনি। এবার তারা কোটা সংস্কারের নাম নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে সিলেটে বন্যা কবলিতদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদানকালে তিনি এসব বলেন।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুবলীগ-ছাত্রলীগসহ আওয়ামী পরিবারের নেতাকর্মীরা যখন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তখন দেশ বিরোধীচক্র জামায়াত-বিএনপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ৩১ কোটি টাকার বিদেশি লবিস্ট নিয়োগ করে। ব্যর্থ হয়ে এখন তারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বিএনপি-জামায়াতের কাউকেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় না। দুঃসময়ে সবসময় মানুষের পাশে থাকে যুবলীগসহ আওয়ামী পরিবারের নেতাকর্মীরা। এই বন্যায়ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। এটি একটি মানবিক যুবসংগঠন। দেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে যুবলীগ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুবলীগ নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে যাবে।

তিনি বলেন, যুবলীগ এলিট শ্রেণির সংগঠন নয়। এটি শ্রমিক ও মেহনতি মেধাবী যুবকদের সাংগঠনিক ক্ষমতাসম্পন্ন একটি রাজনৈতিক সংগঠন। শিক্ষিত ও সাধারণ মানুষকে নিয়ে গঠিত যুবসংগঠন। এখানে কোনো অনুপ্রবেশকারী, দুষ্কৃতকারী, দুর্নীতি ও ক্যাসিনোবাজদের ঠাঁই নেই। সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের সব মানবিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আমরা দেখেছি করোনা ও বন্যা পরিস্থিতির সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সিলেট যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে সিলেট মহানগর যুবলীগের উদ্যোগে শুক্রবার বেলা ১১টায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩২নং ওয়ার্ড, সিলেট জেলা যুবলীগের উদ্যোগে বিকেল ৩টায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ও বিকেল ৪টায় ওসমানীনগরে বন্যাদুর্গত ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় গরিব ও দুস্থদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেন তিনি।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, যুবলীগ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। সিলেট মহানগর যুবলীগ একটি সুশৃঙ্খল যুব সংগঠন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নেতৃত্বে যুবলীগ আজ মানবিক যুবলীগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের মানবিক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং আগামীতে অতীতের মতো মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।

সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি ও ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আহমদ ভিপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আহমদের পরিচালনায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব।

বিএস নিউজ।
সুত্র-কালা।

12/07/2024

চোর ও দুর্নীতিবাজ কোটায় কারা কোথায় আছে বের করতে হবে
- ব্যারিস্টার সুমন।।

With Mahbub Kabir Milon – I just got recognised as one of their top fans! 🎉
12/07/2024

With Mahbub Kabir Milon – I just got recognised as one of their top fans! 🎉

বড় চোর ডাকাতের তাদের শশুরবাড়িতে তারাই সেরা জামাই।। বিসিএস এর প্রশ্ন ফাসের আয়ের টাকা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করেছেন প্রিয় শায়...
08/07/2024

বড় চোর ডাকাতের তাদের শশুরবাড়িতে তারাই সেরা জামাই।।
বিসিএস এর প্রশ্ন ফাসের আয়ের টাকা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করেছেন প্রিয় শায়েখ ড্রাইভার !!

** ডলার সংকট!! ** মূল্যস্ফীতি!! ** সকল প্রকার দুর্নীতি, লুটপাট ও বিদেশে পাচার করার জন্যে আমাদের কিছু ভাইবোনেরা সব সময় প্...
23/04/2024

** ডলার সংকট!! ** মূল্যস্ফীতি!! **
সকল প্রকার দুর্নীতি, লুটপাট ও বিদেশে পাচার করার জন্যে আমাদের কিছু ভাইবোনেরা সব সময় প্রস্তুত!!
এদের থেকে দেশ রক্ষা পাচ্ছে না; এর ফলে উন্নয়ন হলেও টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে না!!
প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার ও দুর্নীতি; সবশেষে এর চাপ এসে পড়ে সাধারণ জনগনের উপর, লুটের ও পাচারের ঘাটতি মেটাতে পানির দাম বাড়ানো, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো, গাড়ি/বিমান/রেলের টিকেটের ভাড়া, টোল বাড়ানো ইত্যাদি।।
অনুগ্রহ করে দায়িত্বরত যারা আছেন সাধারণ মানুষের কথা ভাবুন,এদেশটা সবার, সবাইকে রেখে আপনি ভালো থাকতে পারেন না।।
শুভ কামনা সবার জন্যে।।

Address

Khulna Sadar
Khulna
9201

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BS News posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share