OKRumi.com

OKRumi.com Financial Analyst, Statistician, Lawyer, Writer, Columnist, Poet, Novelist A page where you can find something you need in your life.

When you feel very lonely you can browse this subtle page where every trifle thig gets better by the touch of a dynamic hand. It seems that it is your page.

17/07/2024

কোন অভিযোগ নেই

কোন অভিযোগ নেই শুধু বলতে চাই
আমারও তো ঘোর লাগা চোখ ছিলো
শুধু তুমি দেখলে না;

প্রথম দেখায় প্রেম হতে পারতো শুধু তুমি তাকালেই
আমি তো তাকিয়েই ছিলাম
তবু তুমি জানলে না;

সমস্ত আবেগ এক পাল্লায় উঠিয়ে দিয়ে
তোমাকে অন্য পাল্লায় উঠালাম আশ্চর্য!
তুমিই ভারী হলে
কিন্ত তাও মানলে না;

ছবির ফ্রেমটা অনেক বড় ছিলো
ইচ্ছে করেই তুমি তার ভেতর
আমাকে টানলে না;

তোমার হাতে ছুরি ছিলো
আমি পেতে ছিলাম বুক শান্ত থাকলে
কোন আঘাত হানলে না;

এভাবে শাস্তি দেওয়ার মানে কি
জানতে চেয়েছিলাম তোমার কাছে
তুমি ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গেলে
(প্রসঙ্গটা আলোচনায় আনলে না);

কি অপরাধ ছিলো অসহায় আমার
প্রেমের তো কোথাও ঘাটতি ছিলো না
তবে কেন এক সাথে সাগরে নামলে না;

থামলে না চলে গেলে হাজার বার
ডাকলাম আস্তে, ধীরে, জোরে, চিৎকার করে
তবু একবারের জন্যে থামলে না;

এখনও একা জানতে চাও কেন?
জেনেই বা কি লাভ তোমার তো পূর্ণ জীবন
আমার জন্যে তাই বুঝি কাঁদলে না;

জানি কিছুই ছিলো না না কোন আবেগ
প্রেম তো নয়ই তবুতো কিছু একটা ছিলো
কি কথাটা এখনও মানলে না?

হাত দাও তোমার কাঁপছে যে হাত দুটো
কেন? এখনতো শীত নয় তবে?
জানি এড়িয়ে যাবে মিথ্যে বলতে পারলে না!

পারা কি যায়! অতোটা সহজ সব কিছু!
সত্যি প্রেমের দাম যে বড়ো বেশী তুমিও তা জানো
শুধু তুমি ইচ্ছে করেই কাঁচের দেয়াল আঘাত করে ভাঙলে না;

15/07/2024

মেসোপটেমিয়া এলাকায় উবাইদ পিরিয়ড চলেছিলো খ্রিঃ পূঃ ৫৫০০ থেকে ৩৭০০ অব্দি। সেখান থেকে দুটো গোষ্ঠীর জন্ম হয়। একটা আক্কাদীয় যারা খ্রিঃ পূঃ ২৩৩৪ থেকে খ্রিঃ পূঃ ২১৫৪ এবং অন্যটা সুমের যারা খ্রিঃ পূঃ ৫৫০০ থেকে খ্রিঃ পূঃ ১৮০০ অব্দি টিকে ছিলো। এ দুটোকেই গ্রাস করেছিলো ব্যাবিলোনীয়রা যারা টিকে ছিলো খ্রিঃ পূঃ ১৮৯৪ থেকে খ্রিঃ পূঃ ৫৩৯ পর্যন্ত। কিন্তু খ্রিঃ পূঃ ৬০৯ এ ব্যাবিলোনিয়া ও মিডিয়া (যারা পারস্য সাম্রাজ্যের পূর্বসুরী) মিলে প্রভাবশালী অ্যাসিরিয়াকে দখল করে নেয়। অ্যাসিরিয়রা খ্রিঃ পূঃ ২০২৫ থেকে খ্রিঃ পূঃ ৬০৯ পর্যন্ত টিকে ছিলো। পরবর্তীতে খ্রিঃ পূঃ ৫০৯ অব্দে ব্যাবিলোনিয়া ও খ্রিঃ পূঃ ৫৫০ অব্দে মিডিয়া পারস্যের আকিমেনিদ সমাজ্যের হাতে পড়ে। উল্লেখ্য বর্তমানে যেটা ইরান ঐ এলাকায় তখন পাশাপাশি দুটো রাজ্য ছিলো - একটার নাম মিডিয়া ও অন্যটি পারসিক।

14/07/2024

মুহাম্মদ বিন তুঘলক

মুহাম্মদ বিন তুঘলক। শাসনকাল ১৩২৫ থেকে ১৩৫১ খ্রিস্টাব্দে। তাঁর কর্মকান্ড থেকেই “তুঘলকি কান্ড” প্রবাদটির জন্ম হয়েছে। কেন এমনটা বলা হয়। তার অসাধারণ সব পরিকল্পনার জন্যে। অনেকের কাছেই তার পরিকল্পনাগুলো অসম্ভব, অবাস্তব এবং পাগলাটে ধরনের মনে হয়েছে। কিন্তু আসলেই কি ব্যাপারটা এরকম। শুরুতেই একটা কথা বলে রাখছি। মুহম্মদ বিন তুঘলক ছিলেন অসময়ে জন্মানো সময়ের সবচেয়ে সাহসী সন্তান। তৎকালীন জনগোষ্ঠী যারা ঐ সময়ের গতানুগতিক জীবনধারায় অভ্যস্ত এবং আরামপ্রিয় আমির ওমরাহদের কাছে তাই এমনটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক।

মুহাম্মদ বিন তুঘলক অনেকগুলো মহা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন। তার সেই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণে তা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা করা হয়। কিন্তু কেউ কি একবারও খতিয়ে দেখেছেন তুঘলকের এই সব পরিকল্পনার মূলে কি ছিলো। আমরা আজকের এই আলোচনায় এই সব মহা পরিকল্পনার একটা একটা করে চুলছেড়া বিশ্লেষণ করে দেখাবো তিনি কতোটা দূরদর্শী ও প্রজ্ঞার অধিকারী ছিলেন। মূলতঃ সমস্যা যা হয়েছিলো তাকে বোঝার, অনুসরণ করার বা সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউ তখনকার সময়ে ছিলো না।

তুঘলকের যে পরিকল্পনাটির সবচেয়ে বেশী সমালোচনা করা হয় তা হলো দেবগিরি অর্থাৎ দৌলতাবাদে রাজধানী স্থানান্তর। ভারতের মানচিত্রের দিকে যদি লক্ষ্য করেন দেখবেন দিল্লী একটা প্রান্তে অবস্থিত। কোন মুসলিম শাসকই দিল্লী থেকে সরে এসে ভারতের কেন্দ্রবিন্দুতে রাজধানী স্থাপন করে পুরো ভারতের উপর কর্তৃত্বকে সমভাবে বিস্তারের মতো সৎসাহসের অধিকারী ছিলেন না। এমনকি মহামতি আকবরও সেই সৎসাহস দেখাননি। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। উত্তর ভারতে মুসলিম প্রাধান্য থাকলেও মধ্য ও দক্ষিণ ভারতে মুসলমানদের তেমন কোন বিস্তার হয়নি। অন্যান্য সকল শাসকই অভিযান চালিয়ে কোন একটা দূরবর্তী এলাকা জয় করলেও আবার দ্রæত ফিরে গেছেন রাজধানীতে। এতে সুদূরপ্রসারী কোন প্রভাব পড়েনি। আর এ কারনেই পরবর্তীতে আওরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য অভিযানেই তার জীবনের একটা বড় সময় ও শাসনকালের বলতে গেলে একটা বিরাট অংশই ব্যয় করতে হয়েছে। অর্থও ব্যয় হয়েছে অনেক। কিন্তু তেমন কোন ফললাভ হয়নি। কারণ ততদিনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তুঘলকের সময়কাল ১৩২৫ থেকে ১৩৫১ আর আওরঙ্গজেবের সময়কাল ১৬৫৮ থেকে ১৭০৭। এই সময়কাল দুটোর মধ্যে ৩০০ বছরের ব্যবধান।

তুঘলক চেয়েছিলেন ভারতের কেন্দ্রবিন্দু দৌলতাবাদে সদলবলে থেকে ধীরে ধীরে চারপাশের এলাকায় ইসলামী সংস্কৃতির বিস্তার করতে। কিন্তু এমন করে অন্য কেউই এটা উপলব্ধি করতে চাননি। কারণ তাতে কষ্ট ক্লেশ সহ্য করা ও ত্যাগ তিতিক্ষার প্রয়োজন ছিলো। এটা করার জন্যে অনেকেই তৈরী ছিলো না।

সেদিন যদি তুঘলকের পরিকল্পনা সফল হতো আজ ভারতের রাজনৈতিক চিত্র অন্যরকম হতে পারতো। হিন্দু পন্ডিত ও ঐতিহাসিকরা তাই তার ব্যর্থতা নিয়ে উপহাস করে পরবর্তী সকল মুসলিম শাসকদের নিরুৎসাহিত করেন। আর তাই কোন স¤্রাটই এই ঝুঁকিটি নিয়ে উপহাসের পাত্র হতে চাননি। তারা শুধু ঐ সব পরিকল্পনাই হাতে নিয়েছেন যাতে বাহবা মেলে। একথা তো আমরা জানি, মহামানবরা বলে থাকেন, তোমার পরিকল্পনা নিয়ে যদি কেউ হাসাহাসি না করে, জেনে নিও, এটা কোন বড় বা মহৎ পরিকল্পনাই না। তুঘলকের পরিকল্পনা নিয়ে যেহেতু অনেক কথা হয়, স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যায় তার পরিকল্পনা বড় ও মহান ছিলো। ছিলো সুদূরপ্রসারী। তবে তিনি সফল না হলেও তিনি যে ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছিলেন তার পথ ধরে অন্যরা হাঁটতে পারতেন। কিন্তু কারও সেই সুমতি হয়নি। অতোটা দূরদর্শীও কেউ আসেননি। আর আজও তাই প্রায় আটশত বছর রাজত্ব করার পরও ভারতে মুসলমানরা পশ্চাৎপদ। এর দায় শুধু হিন্দুদেরই নয়, মুসলমানদের নিজস্ব ব্যর্থতাও কম কিছু নয়। পরবর্তীতে ইংরেজ আগমনের পর চতুর ইংরেজরা মুসলমানদের এই সব ব্যর্থতা চমৎকারভাবে কাজে লাগিয়েছে। তারা রাজ ক্ষমতায় না থাকা পিছিয়ে পড়া সংখ্যাগুরু হিন্দুদের কাছে টেনেছেন এবং পদ ও অর্থের লোভ দেখিয়ে গোলাম বানিয়ে কার্য হাসিল করেছেন। আর দীর্ঘ শতাব্দী ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা মুসলমানরা হয়েছে পদদলিত, পদপিষ্ট, অপমানিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত ও বঞ্চিত। অথচ মুহাম্মদ বিন তুঘলকের পরবর্তী শাসকরাও যদি তার এই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার গূঢ়ার্থ বুঝতে পারত এবং একটু একটু করে সামনে আগাত ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতো তাহলে ১৮৫৭ সালে এসে মোঘল সা¤্রাজ্যের কর্তৃত্ব শুধুমাত্র দিল্লীতে রাজপ্রাসাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো না।

অতএব, সবদিক দিয়ে লক্ষ্য করলে বলা যায়, মহান ও সুদূরপ্রাসারী পরিকল্পনা যদিও আপাতদৃষ্টে অসম্ভব ও কষ্টসাধ্য মনে হয় কিন্তু তার ফল মধুর হয়। মাটির উপর রক্ত না ঝরলে কোন স্বপ্নই গাছ হয়ে গজিয়ে ওঠে না। তুঘলকের ব্যর্থতার সমালোচনা নয় বরং পরবর্তীতে মধ্য ভারত ও দক্ষিণ ভারতে মুসলমানদের শক্তিশালী ঘাঁটি না হওয়ার কারণও অন্যান্য শাসকদের এই সব অঞ্চলে ইসলামী শাসনকে স্থায়ীত্ব দানে ব্যর্থতা। আর এর ফলে পরবর্তীতে যখন রাজপুত ও মারাঠাদের উত্থান হয় এবং বিশেষ করে মারাঠাদের হাতের পুতুলে পরিণত হয় দিল্লীর মুসলিম শাসকরা তখনকার দুরাবস্থা এতোটা শোচনীয় হয় যে আফগানিস্তান থেকে আহমদ শাহ দুররানীকে ভারতের মুসলমানদের রক্ষা করতে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের অবতারণা করতে হয়। ১৭৬১ তে সংঘটিত হওয়া এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ও মীমাংসাজনক যুদ্ধে মারাঠাদের তিনি এমন মার মারেন যে, পরবর্তীতে তারা আর মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি। নইলে তাদের উৎপাত যে হারে বেড়েছিলো তাতে মুসলমানদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন ছিলো। এখানে উল্লেখ করে রাখতে চাই, বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁও বাংলায় অত্যাচার করা বর্গীদের কৌশলে পরাজিত করে বাংলার মানুষদের বর্গীদের অত্যাচার থেকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি মারাঠা সেনাপতি ভাস্কর পন্ডিতকে হত্যা করে তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেন এবং পরবর্তীতে তাড়িয়ে বাংলা থেকে বের করে দেন।

তুঘলকের দ্বিতীয় সমালোচিত পরিকল্পনা হলো খোরাসান অভিযান। তার সময়কালটা ১৩২৫ - ১৩৫১। ঐ সময়টায় মধ্য এশিয়ায় মঙ্গোলদের শাসন চলছিলো। ঐ এলাকাটা ছিলো মঙ্গোল ইলখানাটের অধীন। চেঙ্গিজ খানের পুত্র তলুই খানের প্রতিষ্ঠিত ইল খানাটের শাসক ছিলেন হুলাগু খান। হুলাগুর পর ক্ষমতায় বসেন আবাচা। তারপর একে একে তেকুদার, আরগুন, গায়খাতু, বায়দু, গাজান, ওলজায়তু ক্ষমতায় বসেন।

ওলজায়তুর সময়কালটা ছিলো ১৩০৪ থেকে ১৩১৬। তার স্থলাভিষিক্ত হন আবু সাঈদ। তিনি ছিলেন নবম ইলখানি শাসক। খোরাসান ছিলো তার অধীনস্ত। তার শাসনকাল চলেছিলো ১৩৩৫ পর্যন্ত। ভারতীয় শাসকদের জন্যে এই ইলখানাটে এলাকাটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। কারণ মধ্য এশিয়ার জটিল রাজনীতির উপর ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক কিছুই নির্ভর করতো। আমরা সবাই অবগত আছি যে, পরবর্তীতে এই এলাকা থেকেই উদ্ভব হয় মানুষ মারার যন্ত্র তৈমুর লঙের। তার জীবনকাল হলো ১৩৩৬ থেকে ১৪০৫। তার রাজধানী ছিলো সমরকন্দ। এটা ছিলো খোরাসানের পাশর্^বর্তী এলাকা। পরবর্তীতে তৈমুর লঙ পুরো এশিয়া জুড়ে তান্ডব চালান। সেদিন যদি মুহাম্মদ বিন তুঘলক মধ্য এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ স্থান খোরাসান জয় করতে পারতেন তাহলে তৈমুর লঙের উত্থানটাই হয়তো চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে যেত। এই ধরনের দূরদর্শী চিন্তাভাবনা করা কেবলমাত্র মুহাম্মদ বিন তুঘলকের দ্বারাই সম্ভব হয়েছিলো যা অন্য কারো পক্ষে কল্পনারও বাইরে ছিলো। মুহাম্মদ বিন তুঘলকের শাসন কালটা সত্যিই একটা ঐতিহাসিক ক্রান্তিকাল ছিলো। তার সিদ্ধান্তগুলো যে কতোটা সুদূরপ্রসারী, দূরদর্শী ও সময়োপযোগী ছিলো তা পরবর্তীকালে যারা ইতিহাসের নিরপেক্ষ বিশ্লেষক ছিলেন তাদের বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়। মুহাম্মদ বিন তুঘলক এসব দৈবভাবেই বুঝতে পেরেছিলেন।

তৈমুর লঙের শাসনকাল ছিলো ১৩৭০ থেকে ১৪০৫ খ্রিস্টাব্দ। আর আগেও উল্লেখ করেছি মুহাম্মদ বিন তুঘলকের শানকাল ১৩২৫ থেকে ১৩৫১ খ্রিস্টাব্দে। স্বাভাবিকতাই তুঘলক এগিয়ে ছিলেন। ইলখানী শাসকদের ব্যর্থতার ফলেই তৈমুর লঙের উত্থান সম্ভব হয়েছিলো। আর ইলখানি শাসকদের ব্যর্থতা লক্ষ্য করেই মুহাম্মদ বিন তুঘলক খোরাসান দখল করতে চেয়েছিলেন। তৎকালীন ইলখানি শাসক আবু সাঈদ একটা সময় অর্থাৎ ১৩১৫ থেকে ১৩১৬ সময় কালটাতে খোরাসানের গভর্নরও ছিলেন। পরবর্তীতে ১৩১৬ থেকে ১৩৩৫ পর্যন্ত তার সময়কালটাতে খোরাসান তারই অধীনে ছিলো।

তৈমুর লঙের শুরুটা হয়েছিলো মঙ্গোলদেরই একটা এলাকা চাগাতাই খানাটে দখল করার মাধ্যমে। পরবর্তীতে তিনি ধীরে ধীরে চারিপাশের্^ সা¤্রাজ্য বিস্তার করে অবশেষে একসময় ভারতে এসে পৌঁছান এবং দিল্লী বিধ্বস্ত করেন। অথচ এই কাজটাই মুহাম্মদ বিন তুঘলক তারও অনেক আগেই করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের কাছে তা হাস্যকর লাগলো।

তার পরবর্তী পরিকল্পনাগুলো ছিলো তা¤্র মুদ্রার প্রচলন, চীন অভিযান ও দোয়াব অঞ্চলে কর বৃদ্ধি। এগুলোও সমালোচনার সম্মুখীন হয়। মুদ্রা প্রচলনের কথায় আসি। তিনি তা¤্র মুদ্রা প্রচলন করতে চেয়েছিলেন বলে তার সমালোচনা করা হয়। অথচ তখন চীনে কাগজের মুদ্রার প্রচলন ছিলো। অথচ সেটা তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলো। আর আমাদের এই উপমহাদেশের মানুষের অসততা, অসহিষ্ণুতা, অস্থিরতা, অসাধুতা ও অসহযোগিতার কারণে তার এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলো। মূলতঃ সদিচ্ছার অভাবেই এই পরিকল্পনাটাও ব্যর্থ হয়।
চলবে

14/07/2024

“এই সময়েই মুহাল্লিব-ইবনে-আবু সুফ্রা একদল সৈন্য লইয়া কাবুল হইতে ভারতাভিমুখে রওয়ানা হন এবং মুলতান পর্যন্ত অগ্রসর হইয়া পশ্চাদপসরণ করেন। শুধু লুন্ঠন কার্য চালাইয়া তিনি মুল সামরিক ঘাঁটি খোরাসানে সাফল্যের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন করেন। অনেক হিন্দুস্তানী বন্দীকে তিনি সঙ্গে আনিয়া ছিলেন যাহাদের সকলকে জোরপূর্বক ইসলামে দীক্ষিত করা হয়।”
- ভারতে মুসলিম বিজয়ের ইতিহাস / মুহাম্মদ কাশিম ফিরিশ্তা / উপক্রমণিকা

এখন কথা হলো সময়টা তাহলে কখন?
এই প্রসঙ্গে ফিরিশতা লিখেছেন,
“চুয়াল্লিশ হিজরীতে খলিফা মোয়াবিয়া-বিন-আবু সুফিয়ান উমিয়ার পুত্র জিয়াদকে বসরা, সিস্তান ও খোরাসানের শাসনকর্তা মনোনীত করেন। সেই বৎসরই আবদুর রহমান-বিন-সিমার নামক তুর্কী সেনাপতি মার্ভ হইতে অগ্রসর হইয়া কাবুল পৌঁছেন এবং সেখানে বারো হাজারের অধিক সংখ্যক অধিবাসীকে ইসলাম ধর্মে কবুল করেন।”

“আর মুহাম্মাদ বিন কাসিম তার অভিযান পরিচালনা করেছিলেন হিজরী উননব্বই সালে।”
অতএব উপমহাদেশে আগমনকারী আরব জেনারেলদের মধ্যে সবচেয়ে অগ্রগামী হলেন আল মুহাল্লিব ইবনে আবি সুফ্রা। তিনি সম্ভবতঃ ৭০২ খ্রিস্টাব্দে খোরাসানে মৃত্যুবরণ করেন।

04/07/2024
04/07/2024
16/06/2024

ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় স্তরের টুর্নামেন্ট ইএফএল চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাব মিলওয়ালের গোলরক্ষক মাতিজা সারকিক মারা গ.....

ME NOW 12 06 2024
12/06/2024

ME NOW 12 06 2024

10/06/2024

বাংলায় ধর্মের বিকাশ
ওমর খালেদ রুমি

হাজার হাজার বছরের পুরনো এই ভারতীয় সভ্যতা। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচার জন্যেই হোক আর জীবিকার তাগিদেই হোক অনেক জনগোষ্ঠীরই আগমন ঘটেছিলো এই ভারতীয় উপমহাদেশে। ধারনা করা হয় প্রথম যারা আসে তারা আফ্রিকার নিগ্রো জনগোষ্ঠী। এরা লোহিত সাগরের তীর ধরে ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান পেরিয়ে বর্তমান ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে আস্তে আস্তে দক্ষিন ভারতের দিকে অগ্রসর হয়েছিলো। এরপর আসে দ্রাবিড় জনগোষ্ঠী। দক্ষিন ভারতের বর্তমান জনগোষ্ঠীর পূর্বপুরুষ এরা। তার পর আসে আল্পীয় জনগোষ্ঠী। তারপর আর্য আর মঙ্গোলীয়রা। এদের সবার আগমনের ঘটনাটা যে হুট করে সংঘটিত হয়েছে তাও নয়। এই মাইগ্রেশনও চলেছে হাজার হাজার বছর ধরে। এদের মধ্যে তুলনামূলক সভ্য জাতি হিসেবে যারা এসেছিলো তারা হলো আর্যরা। এরাই বেদ নিয়ে আসে যা হিন্দুদের সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মগ্রস্থ। এর পরবর্তী সময়কালটাই রামায়ন ও মহাভারতের যুগ। মহাভারতের একটা অংশ হলো গীতা। এটা মূলত কৃষ্ণ আর অর্জুনের সংলাপ। কিন্তু এটা এতোটাই তাৎপর্যপূর্ণ যে পরবর্তীতে এটা ধর্মগ্রন্থের মর্যাদা লাভ করে। হিন্দু ধর্মীয় বিশ^াসে প্রথম যে দেবতার অস্তিত্ব ছিলো তিনি ব্রহ্মা। বলা হয়ে থাকে যে তিনি জগৎ সৃষ্টি করেছেন।

আর এদের সৃষ্টি করা প্রথম মানুষ হলো মনু। আর এই মনু থেকেই জন্ম নেয় জগতের সব মানুষ। পরবর্তীতে আরও দুজন দেবতার আবির্ভাব ঘটে। কেউ কেউ বলে এরা ব্রহ্মার বিভিন্ন রূপ। তার বিভিন্ন কাজের বা ভূমিকার জন্যেই তার এরূপ নামকরন। এদের একজন বিষ্ণু আর অন্যজন শিব। এদের মধ্যে বিষ্ণু হলো রক্ষাকর্তা আর শিব হলো ধ্বংসের দেবতা।

ধারনা করা হয় আর্যরা বর্তমান বেনারস পর্যন্ত এসে পৌঁছেছিলো। এর নি¤œভাগে অর্থাৎ বৃহৎ বঙ্গে তাদের সরাসরি আগমন ঘটেনি। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে বিভিন্ন যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের সাথে এই এলাকার জনগোষ্ঠীর সংযোগ ঘটে। তবে তাতেও সময় লেগেছিলো কম করে হলেও দেড় হাজার বছর।

সভ্যতার দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকা এই এলাকায় তখন যারা বাস করতো তারা বিভিন্ন লোক ধর্ম পালন করতো। তারা আশ্চর্যজনক কোন কিছুকেই দেবতা মানতো আর তার পূজা করতো। এমনকি পেঁচাও বাদ পড়েনি। ধীরে ধীরে তাদের সংষ্পর্শে আসার পর তাদের ধর্মীয় বিশ^াস এবং আচরনে পরিবর্তন আসতে থাকে। আর্যরাও প্রভাবিত হয় এই অঞ্চলের ধর্ম বিশ^াস দ্বারা। ব্রহ্মা, বিষ্ণু আর শিবের মতো তিন প্রধান দেবতার পূজা অর্চনার পাশাপাশি আঞ্চলিক দেবতারাও স্থান পায় পূজার মন্ডপে। এক সাথে চলতে থাকে কালী, দূর্গা, মনসা, শীতলা, ল²ী, সরস্বতী, সবার পূজা অর্চনা।

মূলত তখনও হিন্দু ধর্ম নির্দিষ্ট কোনো আকার পায়নি। এর মধ্যেই ঘটে এক যুগান্তকারী ঘটনা। আবির্ভাব হয় মহাবীর আর গৌতম বুদ্ধের। এরা দুজনই ভিন্ন একটা ধারার প্রবর্তন করেন। বহু দেবতার পূজা তো দূরে থাক হাতে বানানো দেবতার অস্তিত্বই অস্বীকার করে বসেন তারা। মূলত তারা কি বলতে বা বোঝাতে চেয়েছেন তা আজও দুর্বোধ্য। তবে প্রচলিত প্রথার যে বিরোধী ছিলেন তারা তাতে কোন সন্দেহ নাই।
ধীরে ধীরে এই জৈন ও বৌদ্ধ ধর্ম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। আজকের চীন থেকে পুরো এশিয়া মহাদেশ বৌদ্ধ ধর্মের অধীনে চলে যায়। সেই তুলনায় জৈন ধর্মের বিকাশ থাকে কিছুটা হলেও সংকীর্ণ। বিশেষ করে ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে এই ধর্মের বেশী প্রসার হয়।

স¤্রাট অশোকের সময়কালটাতে বৌদ্ধ ধর্ম সর্বোচ্চ বিস্তার লাভ করে। অশোকের মৃত্যুর পর মৌর্য সা¤্রাজ্য দুর্বল হয়ে গেলে বৌদ্ধ ধর্মও ক্রমশঃ সংকুচিত হতে থাকে। পরবর্তীতে গুপ্তদের শাসনকালে ধীরে ধীরে হিন্দু ধর্মের বিকাশ হতে থাকে। গুপ্তদের সময়কালে হিন্দু ধর্ম বৌদ্ধ ধর্ম ও জৈন ধর্মের পাশাপাশি চলতে থাকে। পাল আমলেও যদিও বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব ছিলো কিন্তু অনুমানিক ৭০০ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম নেওয়া ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ শংকরাচর্য যিনি ধারনা করা হয় ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন তার ক্ষুরধার প্রতিভা দ্বারা হিন্দু ধর্মের হারানো গৌরব অনেকটাই ফিরিয়ে আনেন। বলতে গেলে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের কালে হারিয়ে যেতে বসা হিন্দু ধর্মকে তিনি পুনর্জন্ম দেন।

সেন আমলে হিন্দু ধর্ম রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে। বলতে গেলে সব কজন সেন শাসকই হিন্দু ধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তারা এর পুনরুজ্জীবনের জন্যে অনেক পদক্ষেপ নেন। বল্লাল সেন হিন্দু ধর্মের চর্চার জন্যে উত্তর ভারত থেকে শা¯্র ও আচার আচরন জানা ব্রাহ্মনদের আমদানী করেন। সেই থেকে এই অঞ্চলের ব্রাহ্মনরা প্রধানত দুটো শ্রেনীতে বিভক্ত - ইম্পোর্টেড এবং লোকাল। তখন যদিও যোগ্যতা অনুযায়ী ব্রাহ্মনদের ব্রাহ্মনত্ব নির্ধারন করা হতো কিন্তু পরবর্তীতে রাজা লক্ষন সেন বংশ পরম্পরায় ব্রাহ্মনদের ব্রাহ্মনত্বের স্বীকৃতি দেন যদিও এদের মর্যাদা কিছুটা কম।

সেন আমলের শেষের দিকটায় মুসলমানদের আগমন ঘটে। তবে তাদের আগমনের সাথে সাথেই যে বিরাট কোন বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে গিয়েছিলো তা কিন্তু নয়। রাজনৈতিক বিজয় রাজধানীকে দখল করলেও বৃহৎ বঙ্গের অধিকাংশ জনগোষ্টী ছিলো হিন্দু ধর্মে বিশ^াসী। প্রায় একশ বছর লেগেছিলো মুসলমানদের শাসন বাংলার অভ্যন্তরে বিস্তৃত হতে। তবে এই সময়টায় এবং তারও বহু আগে থেকেই বাংলায় ইসলামের প্রচার চলেছিলো সুফী দরবেশ আউলিয়াদের দ্বারা।

পান্ডুয়ার শামসুদ্দীন তাব্রিজী, বিক্রমপুরের বাবা আদম শহীদ, বগুড়ার শাহ সুলতান মাহী সাওয়ার বলখী, রাজশাহীর শাহ মখদুম রূপোশ (রহ:) প্রমুখ প্রথম দিকে বাংলায় ইসলামের প্রচারের জন্য আগমনকারীদের মধ্যে অন্যতম।

তবে বাংলার দিকে যদি তাকাই তাহলে দেখা যাবে যদিও মুসলিম শাসনের কেন্দ্রবিন্দু প্রথম থেকেই ছিলো বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু সেই তুলনায় মুসলমানদের সংখ্যা পূর্ব বঙ্গেই বেশী।

এর পেছনেও রয়েছে ভৌগোলিক, ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি বহুবিধ কারন। মূলত পূর্ব বাংলার সহজ সরল মানুষেরা তাওহীদ অর্থাৎ আল্লাহর একত্ববাদের বানী শ্রবন করার পর অত্যন্ত সরল বিশ^াসে তা গ্রহন করেছিলো। যে কারনে আজ পূর্ব বাংলায় অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশে প্রায় শতকরা ৯২ ভাগ লোক মুসলমান।

Address

Khulna

Telephone

01716681048

Website

https://OKRumi.com/

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when OKRumi.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to OKRumi.com:

Share

Category