13/09/2025
কিডনি রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি, পা বা গোড়ালিতে ফোলা, বেশি বা কম প্রস্রাব হওয়া (বিশেষত রাতে), ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি, বমি বমি ভাব এবং ফোকাস করতে অসুবিধা। প্রতিকারের জন্য উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পানি পান এবং নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি।
কিডনি রোগের লক্ষণ
প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগের লক্ষণগুলো সব সময় বোঝা যায় না, তবে কিছু সাধারণ লক্ষণের দিকে খেয়াল রাখা উচিত:
ক্লান্তি ও দুর্বলতা:
কোনো স্পষ্ট কারণ ছাড়াই বেশি ক্লান্ত লাগা।
প্রস্রাবের পরিবর্তন:
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা কম প্রস্রাব হওয়া, বিশেষ করে রাতে বেশি প্রস্রাব হওয়া।
ফোলাভাব:
হাত, পা, গোড়ালি বা মুখে ফোলা দেখা দেওয়া।
ত্বকের সমস্যা:
ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া এবং ক্রমাগত চুলকানি হওয়া।
বমি বমি ভাব:
ক্ষুধা কমে যাওয়া এবং কোনো কারণ ছাড়াই বমি বমি ভাব হওয়া।
মানসিক পরিবর্তন:
মনোযোগ দিতে অসুবিধা হওয়া বা মানসিক স্পষ্টতা হ্রাস পাওয়া।
মাংসপেশিতে টান:
রক্তে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের ভারসাম্যহীনতার কারণে মাংসপেশিতে টান লাগা বা খিঁচুনি হওয়া।
প্রস্রাবে ফেনা:
প্রস্রাবে প্রোটিন বের হওয়ার কারণে ফেনা দেখা যেতে পারে।
কিডনি রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ কিডনি রোগ প্রতিরোধ এবং এর প্রতিকারের জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:
রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস কিডনি রোগের প্রধান কারণ, তাই এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা অপরিহার্য।
পর্যাপ্ত পানি পান:
শরীরকে সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস:
লবণ ও প্রোটিনের পরিমাণ সীমিত রেখে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা।
নিয়মিত চেকআপ:
উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস থাকলে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ওষুধের ব্যবহার:
কিছু রোগের কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অটোইমিউন রোগ বা কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে কিডনি আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
যদি কিডনি রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।