Kishoreganj Beauty Hacks

Kishoreganj Beauty Hacks হে আল্লাহ, আমাদেরকে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমিন।

✍️মানুষের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত এবং নীতির গুরুত্ব অপরিসীম। সঠিক নীতি অনুসরণ করলে জীবনের মান উন্নত হয়, আ...
25/07/2025

✍️মানুষের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত এবং নীতির গুরুত্ব অপরিসীম। সঠিক নীতি অনুসরণ করলে জীবনের মান উন্নত হয়, আর ভুল নীতি আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। নিচে কিছু মূল্যবান নিয়ম এবং জীবনব্যবস্থা উল্লেখ করা হলো যা আপনাকে জীবনে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে:

---

**১. নিজেকে কখনো বড় করে প্রকাশ করবেন না।**
নিজেকে বড় করে তুলে ধরা আত্মবিশ্বাস নয়, অহংকার। এটি অন্যের চোখে আপনাকে ছোট করে তোলে। বিনয়ী এবং নম্র আচরণ মানুষের মন জয় করার চাবিকাঠি।

---

**২. ভুল স্বীকার করুন এবং "Thank you", "Please" বলুন।**
ভুল স্বীকার করা দুর্বলতা নয় বরং আত্মজ্ঞান এবং সাহসিকতার পরিচয়। ছোট কথাগুলো যেমন "ধন্যবাদ" বা "অনুগ্রহ করে" মানুষকে সম্মানিত করে এবং সম্পর্ক উন্নত করে।

---

**৩. নিজের গোপন কথা কাউকে বলবেন না।**
গোপন বিষয় শেয়ার করা ঝুঁকিপূর্ণ। কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করলে আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে। সবসময় সতর্ক থাকুন।

---

**৪. অভিজ্ঞতা ছাড়া ব্যবসায় ঝাঁপ দেবেন না।**
অর্থ এবং সময়ের অপচয় এড়াতে যেকোনো ব্যবসায় নামার আগে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করুন।

---

**৫. পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হবেন না।**
পর্ন আসক্তি আপনাকে সাময়িক আনন্দ দিলেও দীর্ঘমেয়াদে আপনার আত্মবিশ্বাস, সম্পর্ক এবং মনস্তাত্ত্বিক স্থিতি নষ্ট করে দেয়।

---

**৬. পরচর্চা করবেন না।**
যে অন্যের নিন্দা করে, সে আপনার পেছনেও নিন্দা করবে। নিজের সময় এবং মানসিক শক্তি নষ্ট না করে ইতিবাচক কাজে মনোযোগ দিন।

---

**৭. গাধার সঙ্গে তর্ক করবেন না।**
তর্কের শুরুতেই সে আপনাকে তার স্তরে নামিয়ে আনবে এবং আপনাকে অপদস্থ করবে। তাই, যুক্তিহীন তর্ক এড়িয়ে চলুন।

---

**৮. কোনো কাজ পরে করার জন্য ফেলে রাখবেন না।**
যদি কাজ ফেলে রাখেন, তা আর কখনোই সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। "এখনই" কাজ শেষ করার অভ্যাস তৈরি করুন।

---

**৯. ‘না’ বলতে শিখুন।**
সবসময় অন্যকে খুশি করার জন্য নিজেকে বোঝার মধ্যে ফেলবেন না। প্রয়োজনে দৃঢ়ভাবে ‘না’ বলুন। এটি আত্মসম্মান রক্ষার অংশ।

---

**১০. বাবা-মা এবং জীবনসঙ্গীকে সমান গুরুত্ব দিন।**
কোনো সম্পর্কের কারণে অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে উপেক্ষা করবেন না। পরিবার হলো জীবনের মূল শক্তি।

---

**১১. সবাইকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করবেন না।**
আপনি যদি সবসময় অন্যকে সন্তুষ্ট করার জন্য নিজেকে পরিবর্তন করেন, তবে নিজের ব্যক্তিত্ব হার

ফলো দিয়ে পাশে থাকুন Kishoreganj Beauty Hacks



আজ থেকে ৭-১০ বছর আগে আপনার শরীরে যে কোষগুলো ছিল, তার বেশিরভাগই আজ আর নেই! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আমাদের শরীর প্রত...
19/07/2025

আজ থেকে ৭-১০ বছর আগে আপনার শরীরে যে কোষগুলো ছিল, তার বেশিরভাগই আজ আর নেই! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আমাদের শরীর প্রতিনিয়ত নিজেকে মেরামত ও পুনর্গঠন করে চলেছে। সহজ কথায়, প্রতি ৭-১০ বছরে আপনি পাচ্ছেন প্রায় একটি নতুন শরীর!

আসুন দেখি আমাদের শরীরের কোন অংশ কখন নিজেকে নতুন করে নেয়:

১. পাকস্থলীর ভেতরের স্তর: মাত্র ৪ দিনে পুরোপুরি বদলে যায়।

২. হজমে সাহায্যকারী কোষ: প্রতি ৫ মিনিটে নতুন কোষ তৈরি হয়।

৩. লিভার (যকৃত): প্রতি ১৫০ দিনে সম্পূর্ণ নতুনভাবে তৈরি হয়ে যায়।

৪. লোহিত রক্তকণিকা: প্রতি ৪ মাসে নতুন রক্তকণিকা জায়গা করে নেয়।

৫. Taste buds: প্রতি ১০ দিনে সতেজ হয়।
৬. অগ্ন্যাশয় (Pancreas): প্রতি ৫০ দিনে নিজেকে নবায়ন করে।

৬. ত্বকের বাইরের স্তর: প্রতি ৪ সপ্তাহে নতুন ত্বক তৈরি হয়।

৮. হাড়: কঙ্কাল পুরোপুরি নতুন হতে প্রায় ১০ বছর সময় নেয়।

আবার কিছু জিনিস আজীবনের সঙ্গী:

১. চোখের লেন্সের কোষ: এগুলো কখনও বদলায় না।

২. মস্তিষ্কের সেরিব্রাল কর্টেক্সের নিউরন: এই গুরুত্বপূর্ণ নিউরনগুলোও প্রতিস্থাপনযোগ্য নয়।

৩. ফ্যাট সেল: সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ না করলে, এরা সহজে শরীর থেকে যায় না বরং জমতে থাকে।

তাহলে অপরিবর্তনীয় কী?

এতসব পরিবর্তনের মাঝেও যা স্থির থাকে, তা হলো—“আপনি নিজে!”

আপনার স্মৃতি, আপনার চেতনা, আপনার আত্ম-পরিচয়—এগুলোই সেই সুতো যা আপনার শারীরিক পরিবর্তনের মাঝেও আপনাকে একই ‘আপনি’ হিসেবে ধরে রাখে। শরীর বদলায়, কিন্তু আপনার গল্পটা একই থাকে।

অনুবাদ: AH Abubakkar Siddique



#মানবদেহ #শরীর

জীবনের দৌড় শেষ হয় নাজীবন এক অদ্ভুত দৌড়। কেউ শুরু করে জুতাসহ, কেউ খালি পায়ে। কেউ জন্ম থেকেই একশো মিটার এগিয়ে থাকে, আবার ক...
18/07/2025

জীবনের দৌড় শেষ হয় না
জীবন এক অদ্ভুত দৌড়। কেউ শুরু করে জুতাসহ, কেউ খালি পায়ে। কেউ জন্ম থেকেই একশো মিটার এগিয়ে থাকে, আবার কেউ হাঁটার আগেই হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়। সময়ের সাথে আপনি বুঝতে পারবেন, এই দৌড়ের নিয়ম গুলো কখনোই সবার জন্য একরকম নয়।

আপনি হয়তো দেখবেন, কেউ সহজেই সব শিখে নেয়, পরীক্ষার আগের রাতে কয়েক ঘণ্টা পড়েই অসাধারণ ফলাফল করে। আর আপনি দিনের পর দিন খেটে গেলেও কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট পাচ্ছেন না।

আপনার আশেপাশে এমন অনেক মানুষ থাকবে, যাদের জীবন কোনো বাধাবিহীন রাস্তায় চলতে থাকে। তাদের কখনো টাকার চিন্তা করতে হয় না, বাবা-মায়ের দেওয়া ক্রেডিট কার্ডে বিল মেটায়। আর আপনি একবার টিউশন ফি চাওয়ার আগে কতবার চিন্তা করবেন, সেটার কোনো হিসাব নেই।

জীবনের এই খেলা কেউ একদিনেই জিতে যায়, আর কেউ বছরের পর বছর খেলে করেও বোর্ডে নাম লিখাতে পারে না। কেউ একটা স্টার্টআপ শুরু করেই সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যায়, আর কেউ দশটা উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়ে লোনের বোঝা টানতে টানতে হারিয়ে যায়।

কখনো এমন হবে, আপনি দেখবেন আপনার চেয়ে কম দক্ষ, কম পরিশ্রমী কেউ আপনার স্বপ্নের চাকরিটা পেয়ে গেছে। কারণ হয়তো সে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় ছিল, হয়তো তার রেফারেন্স ছিল, হয়তো ভাগ্য তার পক্ষে ছিল। এসব ভেবে হয়তো আপনার নিজের ওপর রাগ হবে, জীবনকে অন্যায় মনে হবে।

কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই প্রতিযোগিতায় আপনি যদি শুধুই তুলনায় ব্যস্ত থাকেন, তাহলে ক্লান্তি ছাড়া আর কিছুই পাবেন না। এখানে কেউ একটা গাড়ির মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখে, আরেকজন সেই গাড়িটা বদলে আরও দামি কিছু চায়। বড় ফ্ল্যাটের মালিক হওয়া মানুষেরও স্বপ্ন থাকে আরও বড় কিছুর।

তাহলে উপায় কী?

উপায় হলো নিজের লেন ঠিক করা। এই দৌড় কারও জন্য নয়, আপনার নিজের জন্য। অন্যের জীবনের দিকে না তাকিয়ে, নিজের গতিতে এগিয়ে যাওয়া। জীবন সবসময় ফেয়ার হবে না, কিন্তু আপনি নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন—সময়ের সাথে নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন।

কারণ, সত্যিকারের জয়ী হওয়ার জন্য গন্তব্যে পৌঁছানো দরকার নেই। দরকার শুধু এক পা এক পা করে সামনে এগিয়ে যাওয়া। ❤️
follow দিয়ে পাশে থাকুন Kishoreganj Beauty Hacks

সংগৃহীত।



❤️ Know about your second Heart  ❤️আপনি কি জানেন- কেন Calf Muscle কে দ্বিতীয় হার্ট বলা হয়?Calf Muscle কে "দ্বিতীয় হার্ট"...
11/07/2025

❤️ Know about your second Heart ❤️

আপনি কি জানেন- কেন Calf Muscle কে দ্বিতীয় হার্ট বলা হয়?

Calf Muscle কে "দ্বিতীয় হার্ট" বলা হয় কারণ এটি রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পায়ের পেশী বিশেষ করে কাফ পেশী রক্তের চলাচলে সহায়তা করে, বিশেষ করে যখন আমরা হাঁটাচলা করি বা দৌড়াই।

এটি মূলত শিরায় থাকা রক্তকে হৃদয়ের দিকে ফেরত পাঠাতে সহায়তা করে। পেশী সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালন শক্তিশালী হয়, যা হৃদয়ের ওপর চাপ কমিয়ে দেয়। এই প্রক্রিয়াকে "পেশী পাম্পিং" বলা হয় এবং এটি হৃদয়ের কাজের সহায়িকা হিসেবে কাজ করে, রক্তকে পুনরায় শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রবাহিত করে।

----------------------------

Calf Muscle কে সুস্থ রাখতে কিছু পরামর্শ:

1. নিয়মিত ব্যায়াম: হাঁটা, দৌড়ানো এবং সাইক্লিংয়ের মতো শারীরিক কার্যকলাপ Calf Muscle কে শক্তিশালী রাখে।

2. পানি পান করা: যথেষ্ট পানি পান করলে শরীরের কার্যক্রম সুষ্ঠু থাকে, যার মধ্যে রক্ত সঞ্চালনও অন্তর্ভুক্ত।

3. স্ট্রেচিং: নিয়মিত স্ট্রেচিং Calf Muscle কে নমনীয় ও শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে।

4. ভাল খাদ্যাভ্যাস: প্রোটিন ও পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডাল, সবজি, কলা ইত্যাদি পেশীর সুস্থতায় সহায়ক।

সায়েন্টিফিক রেফারেন্স:

1. Sakamoto, K., et al. (2017). "The role of calf muscle pump in venous return and circulatory dynamics." European Journal of Applied Physiology, 117(7), 1331-1341.

2. Stokes, M., et al. (2008). "The Calf muscle pump: its role in venous return and prevention of venous insufficiency." Journal of Musculoskeletal and Neuronal Interactions, 8(4), 349-358.

------------------------------

Calf Muscle এ ঝুঁকি বা সমস্যা কখন তৈরি হয়?

সাধারণত কয়েকটি কারণে তৈরি হতে পারে, যার মধ্যে বেশ কিছু শারীরিক অবস্থা বা আচরণ জড়িত থাকে:

1. অতিরিক্ত চাপ : দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকা, অস্বাভাবিকভাবে হাঁটা বা দৌড়ানো পেশীকে অতিরিক্ত চাপের মধ্যে ফেলে, যার ফলে পেশীতে টান বা স্ট্রেইন (strain) হতে পারে। এ ধরনের চাপ পেশীর স্নায়ু এবং কোষগুলোর ক্ষতির কারণ হতে পারে।

2. পেশীর দুর্বলতা বা অব্যবহার: যদি দীর্ঘ সময় ধরে পেশী ব্যবহৃত না হয় (যেমন বসে থাকা বা কম হাঁটা), তবে পেশীর শক্তি কমে যায় এবং এটি অন্যথায় কাজ করার সময় আঘাতের শিকার হতে পারে।

Kishoreganj Beauty Hacks




কিশোরগঞ্জ এর মধ্যে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গা 😅💚📍 দক্ষিণ চরটেকি, পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ জেলা - Kishoreganj Distric...
10/07/2025

কিশোরগঞ্জ এর মধ্যে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গা 😅💚
📍 দক্ষিণ চরটেকি, পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ জেলা - Kishoreganj District



⚡একটি বাসে পাশাপাশি সিটে বসেছে এক বৃদ্ধা এবং এক তরুণী। তরুণীটি সুন্দরী এবং অহংকারী, তার হাতে একটি ব্যাগ। ব্যাগটি সিটের প...
09/07/2025

⚡একটি বাসে পাশাপাশি সিটে বসেছে এক বৃদ্ধা এবং এক তরুণী। তরুণীটি সুন্দরী এবং অহংকারী, তার হাতে একটি ব্যাগ। ব্যাগটি সিটের পাশে রাখতে গিয়ে সে দৃষ্টিকটুভাবে বৃদ্ধাকে ধাক্কা মারল। বৃদ্ধা কোনো অভিযোগ করলেন না, তিনি আগের মতোই চুপচাপ বসে রইলেন।

পাশ থেকে এক যুবক ঘটনাটি লক্ষ্য করে বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করল, “আপনাকে এভাবে ধাক্কা দিল, তারপরও আপনি কিছু বললেন না কেন?"

বৃদ্ধা মৃদু হেসে উত্তর দিলেন, "এটি নিয়ে রাগারাগি বা কথা কাটাকাটি করার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ, আমার এই যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত! আমি পরের স্টপেজই নেমে যাব।"

বৃদ্ধার কথা যুবককে ভীষণভাবে আন্দোলিত করল। আসলেই তো! আমাদের একসঙ্গে পথচলা খুব সংক্ষিপ্ত, তাই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া করা বৃথা।

আমাদের সবার বোঝা উচিত যে, এই পৃথিবীতে আমাদের সময় খুবই সীমিত। রাগ, ক্ষোভ, হিংসা, বিদ্বেষ, অপমান এগুলো নিয়ে সময় নষ্ট করাটা তাই নিরর্থক।

কেউ আপনার হৃদয় ভেঙেছে? শান্ত থাকুন। যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত।

কেউ আপনাকে অপমান করেছে? উপেক্ষা করুন। যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত।

কোনো বন্ধু আপনার সাথে প্রতারণা করেছে? ধীরস্থির থাকুন। যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত।

কোনো প্রতিবেশী আপনার নামে কুৎসা রটাচ্ছে? ধৈর্য ধরুন, ক্ষমা করুন। যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত।

আমরা কেউ জানি না, এই যাত্রা কতক্ষণ চলবে, কখনইবা থামবে। তাই আসুন একে অপরকে ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি, দয়া দেখাই এবং ক্ষমাশীল হই। সবার সঙ্গে সুখদুঃখ ভাগাভাগি করে নিই। কারণ, শেষ পর্যন্ত আমাদের যাত্রা সত্যিই খুব সংক্ষিপ্ত!
শিক্ষামূলক পোস্ট পেতে পেজটি ফলো দিয়ে পাশে থাকুন Kishoreganj Beauty Hacks



উঠতি বয়সে প্রায় সব মেয়েদেরই প্রচন্ড বিয়ের মোহ থাকে। সারাক্ষন দু’চোখ দিয়ে চারপাশে শুধু সুন্দর ছেলে খুঁজে বেড়ায়। এ বয়সে মে...
06/07/2025

উঠতি বয়সে প্রায় সব মেয়েদেরই প্রচন্ড বিয়ের মোহ থাকে। সারাক্ষন দু’চোখ দিয়ে চারপাশে শুধু সুন্দর ছেলে খুঁজে বেড়ায়। এ বয়সে মেয়েরা প্রেমে পড়লেই বিয়ের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে। এমন কি পালিয়ে বিয়ে করতেও এক পায়ে প্রস্তুত থাকে তারা।

কিন্তু যদি না কারো সাথে দীর্ঘ ও গভীর কোন এফেয়ার থাকে, বয়স বাড়লে, শিক্ষিত হলে, বিয়ের প্রতি তাদের অধিকাংশেরই একটা অনীহা জন্ম নেয়। পড়ালেখা করে ক্যারিয়ার গড়বার এক দুরন্ত জেদ চেপে বসে তাদের মনে। সে সময়ে অনেক ছেলেকে ভালো লাগলেও পছন্দ করবার মতো যোগ্য ছেলেটিকে তারা তখন আর খুঁজে পায় না কিংবা খোঁজার গরজও বোধ করে না।

এরপর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পুরুষদের পাশাপাশি যোগ্যতার প্রমান দেয়ার প্রচন্ড নেশা চাপে তাদের। সে পরীক্ষায় অনেকে সাফল্যও পায়। তারপর চলে নিজের পায়ে দাঁড়াবার, স্বাবলম্বী হবার সংগ্রাম, নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার সংগ্রাম।

কিন্তু ততোদিনে পদ্মা যমুনার জল গড়িয়ে যায় অনেক। মেঘে মেঘে হয়ে যায় অনেক বেলা। খরচ হয়ে যায় আয়ুর সোনালী অধ্যায়। বিয়ের বাজারে নিজের চাইতে যোগ্য ছেলে খুঁজে পাওয়া তখন দুস্কর হয়ে দাঁড়ায় তাদের জন্য। প্রচন্ড মেধাবী যে মেয়েটি অনার্স, মাস্টার্স পাশ করে phd শেষ করে ফেলে, কিংবা হয়ে যায় BCS ক্যাডার, বিয়ের বাজারে তারচেয়ে অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন পাত্রের খোঁজ করতে গিয়ে এক বিশাল ধাক্কা খায় সে—তিরিশ প্লাস যোগ্য পাত্রগুলি তার তিরিশ প্লাস বয়সটার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।

একুশ বাইশ বয়সের যুবতীর বর্ণিল স্বপ্নগুলি তিরিশ পেরিয়ে বিবর্ণ হয়ে পড়ে। তার একদা উপচে পড়া চকচকে যৌবনের কোথাও কোথাও গোপন মরচে পড়ে। তার বিশাল আর আলো ঝলমলে পৃথিবীতে রাত নামতে থাকে। এই পৃথিবীতে একটা নিরাপদ আশ্রয় আর অবলম্বন ছাড়া যে সে ভীষন অসহায়, এতোদিন পর এই নির্মম সত্য অনুধাবন করে সে কাঁপতে থাকে অনিশ্চয়তায়। স্বামী সন্তান নিয়ে একটা ছোট্ট সুখী সংসারের জন্য সে সারা জীবনের কষ্টার্জিত সকল ডিগ্রী ও যোগ্যতা বিসর্জন দিতেও প্রস্তুত হয়ে পড়ে।

পাত্রী দের অবস্থা কেমন হয় তখন ???

============================

০১। ফ্রেন্ডলিস্টের একজন নারী সফল BCS যিনি ৩৪ বছর বয়সে এসে 'যোগ্য' পাত্র খোঁজা বন্ধ করে এখন 'মোটামুটি' মার্কা পাত্র খুঁজছেন। কতোটা কম্প্রোমাইজ ভাবা যায়???

০২। ফ্রেন্ডলিস্টের একজন ডাক্তার। ৬ বছর ধরে 'যোগ্য' পাত্র খুঁজতে খুঁজতে তিনি নিজেই অযোগ্য হবার যোগাড় হয়ে পড়েছেন। বয়স ৩৫ চলছে। ওনার পরিবারের প্রথম টার্গেট ছিল ডাক্তার পাত্র ছাড়া বিয়ে করবে না। ২৯ বছর বয়সে যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলো তখন কিছু সিনিয়র অবিবাহিত ডাক্তার পাত্র পাওয়া যাচ্ছিল, কিন্তু সেগুলো তাদের পছন্দ হচ্ছিল না। পাত্র খুঁজতে খুঁজতে বয়স এখন ৩৫ এ এসে দাঁড়িয়েছে। এখন আর ডাক্তার পাত্র পাচ্ছে না। মনে হয় আর পাবেনও না। এখন 'কম্পাউন্ডার' ছেলে পেলেও চলবে। ইভেন জুনিয়র ডাক্তার বা ওষুধের দোকানের মালিক কোন ব্যাপার না।

০৩। এই আপা একজন উচ্চশিক্ষিত, বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে গিয়ে বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে। ওনার জীবনের লক্ষ্যই ছিল উচ্চতর ডিগ্রী নেয়া। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে কিন্তু ততোদিনে বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে। এখন এতো এতো ডিগ্রী সত্বেও পাত্র পাচ্ছেন না। ওনার বয়স এখন ৩৮/৩৯।

আসলে সময়ের কাজ সময় থাকতেই করতে হয়। লেখাপড়া, ক্যারিয়ার ইত্যাদির জন্য অনেক মেয়ে বিয়ের ব্যাপারে উদাসীন থাকেন।

কিন্তু যতো বড় ক্যারিয়ার থাকুক না কেন ছেলেরা চাইবে তার চাইতে মিনিমাম ৫/৬ বছর জুনিয়র মেয়েকে বিয়ে করতে। সেই হিসেবে শিক্ষিত সমাজে সবচেয়ে বেশি ডিমান্ডের মেয়েরা হয় ২০/২১ থেকে ২৬ বছর বয়সী।

অফিসে এক সিনিয়র কলিগ বললো-- "একটা সময় টাকার অভাবে চুলে শ্যাম্পু দিতে পারতাম না, আর এখন চুলের অভাবে শ্যাম্পু দিতে পারি না"।

সুতরাং সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

একজন বলেছিল-- বিয়ে প্রেম আবেগের বশেই হয়ে যাওয়া উচিত। বিবেক এসে গেলে সেটা আর সঠিক বয়সে হয় না।


‎প্রতিদিন বিশ্বের বহু নারী ছোট একটা বড়ি সেবন করে থাকে এই বিশ্বাসের সাথে যে এই ও*ষুধ তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহা...
04/07/2025

‎প্রতিদিন বিশ্বের বহু নারী ছোট একটা বড়ি সেবন করে থাকে এই বিশ্বাসের সাথে যে এই ও*ষুধ তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহায়তা করবে। এই জিনিসটি বর্তমানে এতোটাই প্রচলিত হয়ে উঠেছে যে এই বড়ি সেবনের পর স্বাস্থ্যের কী হচ্ছে তা আর জানার চেষ্টা করে না বা সেদিকে খেয়াল করে না।

‎কিন্তু আপনি কী জানেন এই আর্টিফিশিয়াল হরমোনজনিত ও*ষুধগুলো আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে কিনা? এই ও*ষুধের কারণে আপনার স্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমস্যা তৈরি করবে কিনা? চলুন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর ধাপে ধাপে জেনে নেয়া যাক। জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি কীভাবে কাজ করে?

‎জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সাধারণত দুইটি সিন্থেটিক হরমোন ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টোরন এর তৈরি। এই হরমোন এর কারণে ovulation (এমন প্রক্রিয়া যাতে ওভারি থেকে প্রতি মাসে ডিম্বাণু নিঃসৃত হয়) বন্ধ হয়ে যায়। একইসাথে প্রজেস্টেরন হরমোন সার্ভিকাল মিউকাস এর স্তর পুরু করে দেয়, যার কারণে শুক্রাণু প্রবেশ করতে পারে না। যার কারণে ডিম্বাণু নিষিক্তকরণ এবং জরায়ুতে স্থাপন বাঁধাগ্রস্ত হয়ে থাকে, যা গর্ভধারণের একদম মৌলিক বিষয় এবং এই বড়ি সেবনের মূল উদ্দেশ্য। তবে এই বড়ির কারণে হরমোনের মাত্রার স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় দেহে কিছু ক্ষতিকারক দিকের সৃষ্টি হয়। যেমন:

‎১৷ রক্ত জমাট বাঁধা: ইস্ট্রোজেন হরমোন এর কারণে দেহে রক্ত জমাট বাঁধার ফ্যাক্টর (Blood clotting factor যেমন fibrinogen) বৃদ্ধি পায়, এবং প্রাকৃতিকভাবে দেহের অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট (জমাট রক্ত গলাতে সাহায্য করে) এর কার্যক্রম কমিয়ে দেয়। যার কারণে দেহের ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে, একে venous thromboembolism (VTE) (ভেনাস থ্রম্বোএম্বোলিজম) বলে।

‎জমাট বাঁধা এই রক্ত ফুসফুসে গেলে Pulmonary embolism হতে পারে। এছাড়াও এই জমাট রক্তের কারণেই পরবর্তীতে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক হতে পারে।

‎২। ওজন বৃদ্ধি এবং মুড সুইং: ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোন দেহের ইনসুলিনের সাথে প্রতিক্রিয়া ঘটায়, যার কারণে স্বাভাবিক দেহে যেভাবে শর্করা পরিপাক হয়ে থাকে, সেটার তারতম্য ঘটে। প্রজেস্টেরন হরমোন ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়, যার কারণে সহজেই ওজন বৃদ্ধি পায়।

‎এছাড়াও এই হরমোনগুলো মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটার (স্বাভাবিক কার্যকলাপ সাধন এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে সহায়তাকারী) এর স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায়, যার কারণে সেরোটোনিন এর ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন, অসহ্যকর ভাব, এবং কিছু ক্ষেত্রে ডিপ্রেশন এর সৃষ্টি হয়।

‎৩। ক্যান্সার ঝুঁকিতে সহায়তাকারী : দীর্ঘদিন ধরে এই বড়ি সেবনের ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং সারভিকাল ক্যান্সার এর সৃষ্টি হয়। ব্রেস্ট টিস্যু (স্তনের কোষ) সাধারণত ইস্ট্রোজেন হরমোনের কারণে সক্রিয় হয়ে উঠে, তাই বারবার এই হরমোনের মাত্রা বাড়ার কারণে স্তনে Hormone-receptor-positive breast cancer cells বা সহজে ব্রেস্ট ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি পেতে থাকে।

‎এইসব ঝুঁকি নিয়ে সবারই জানা উচিত এবং বিশেষ করে নারীদের এই তথ্য সম্পর্কে জানিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করা উচিত।

‎হরমোনজনিত বড়ি ছাড়াও Non-hormonal contraception method যেমন কপার আইইউডি (Copper IUD) রয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এসব ব্যাপারে গাইনী চিকিৎসকদের সাথে সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে পরামর্শ করা উচিত।

‎দিদারুল ইসলাম
‎টিম সায়েন্স বী

Kishoreganj Beauty Hacks




এখানে যে এক্স-রে ছবিটি দেখছেন, সেটি হাইপারডনশিয়া (Hyperdontia) নামক একটি বিরল ডেন্টাল কন্ডিশনের। এই অবস্থায় একজন মানুষের...
02/07/2025

এখানে যে এক্স-রে ছবিটি দেখছেন, সেটি হাইপারডনশিয়া (Hyperdontia) নামক একটি বিরল ডেন্টাল কন্ডিশনের। এই অবস্থায় একজন মানুষের স্বাভাবিক ৩২টি দাঁতের চেয়ে অনেক বেশি দাঁত গজায়। ছবিতে থাকা এই রোগীর ক্ষেত্রে, তার চোয়ালে সব মিলিয়ে ৮১টি দাঁত ছিল! এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল সুপারনিউমেরারি বা অতিরিক্ত দাঁত, যা পুরো চোয়ালকে ভিড়ে ঠাসা করে রেখেছিল।

কেন এমন হয়?

এই অস্বাভাবিক অবস্থা সাধারণত দুটি প্রধান কারণে হয়ে থাকে:

১. কমপ্লেক্স ওডোনটোমাস (Complex Odontomas): এটি এক ধরনের বিনাইন (non-cancerous) টিউমার যা দাঁতের টিস্যু দিয়ে তৈরি। এই টিউমারগুলো এলোমেলোভাবে দাঁতের মতো কাঠামো তৈরি করে, যা দেখতে স্বাভাবিক দাঁতের মতো না হয়ে একটি পিণ্ডের আকার নেয়।

২. ক্লিডোক্রেনিয়াল ডিসপ্লেসিয়া (Cleidocranial Dysplasia): এটি একটি বিরল জেনেটিক বা বংশগত রোগ যা কঙ্কাল এবং দাঁতের বিকাশকে প্রভাবিত করে। এই রোগে আক্রান্তদের কলারবোন (কলার) অনুপস্থিত থাকতে পারে এবং তাদের অতিরিক্ত দাঁত গজানোর প্রবণতা দেখা যায়।

অতিরিক্ত দাঁত থাকলে কী সমস্যা হতে পারে?

অতিরিক্ত দাঁত থাকা কেবল সংখ্যার ব্যাপার নয়, এটি মারাত্মক কিছু সমস্যারও কারণ হতে পারে:

❥ অতিরিক্ত দাঁতের চাপে অন্য স্বাভাবিক দাঁতগুলো
বেঁকে যায় বা স্থানচ্যুত হয়।
❥ চোয়ালে অতিরিক্ত দাঁতের চাপে প্রচণ্ড ব্যথা হতে
পারে।

❥ দাঁতের অস্বাভাবিক বিন্যাসের কারণে খাবার
চিবানো এবং স্পষ্টভাবে কথা বলা কঠিন হয় পড়ে।
❥ অতিরিক্ত দাঁত পাশের সুস্থ দাঁতের শিকড়ের ক্ষতি
করতে পারে বা তাদের উঠতে বাধা দেয়।

চিকিৎসা কী?

এই অবস্থার প্রধান চিকিৎসা হলো সার্জারি বা অস্ত্রোপচার। ডেন্টাল সার্জনরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অতিরিক্ত দাঁতগুলো অপসারণ করেন। এরপর রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থোডন্টিক চিকিৎসার (Orthodontic Treatment) মাধ্যমে বাকি দাঁতগুলোকে সঠিক অবস্থানে ফিরিয়ে আনা হয়।

এই ধরনের ঘটনা আমাদের আবারও মনে করিয়ে দেয় যে, মানবদেহ কতটা জটিল ও বিস্ময়কর হতে পারে।

অনুবাদ: AH Abubakkar Siddique




বীন বাজালে সিনেমায় সাপ নাচে। বাস্তবে নাচে না। সাপের কান নাই। শোনার জন্য ঘনঘন জিহ্বা বের করতে হয়।সাপ আপনাকে আক্রমণ করবে ন...
02/07/2025

বীন বাজালে সিনেমায় সাপ নাচে। বাস্তবে নাচে না। সাপের কান নাই। শোনার জন্য ঘনঘন জিহ্বা বের করতে হয়।

সাপ আপনাকে আক্রমণ করবে না। আপনি যদি শব্দ করে হাঁটেন, সে বুঝতে পারে। সাপের বুকের তলায় খোলসের রঙ আলাদা। সেখানে বিশেষ স্নায়ুতন্তু থাকে। মাটির কম্পন বুঝতে পারে। আপনি কতদূরে আছেন, আপনি সাইজে কতবড়, সে বুঝতে পারে। পালিয়ে যায়।

বেলি, হাস্নাহেনার গন্ধে কখনো সাপ আসে না। কেউকেউ জীবদ্দশায় বেলি, হাস্নাহেনা গন্ধরাজের তলায় সাপ দেখেছেন হয়তো। মনে রাখবেন, সাপের ঘ্রাণশক্তি খুবই দূর্বল। সে গন্ধ পায় না। সুগন্ধি ফুলে পোকামাকড় আকৃষ্ট হয় বেশি। পোকা খেতে ব্যাঙ আসে। ব্যাঙ খেতে মাঝেমাঝে সাপ আসতে পারে। খাবার পর মানুষের মত সাপও ক্লান্ত হয়। মানুষ খাবারের পর যেমন আয়েশ করে ঘুমায় তেমনই সাপও বেলি-হাস্নাহেনার তলায় ঘুমুতে পারে। তবে এসব গাছ যদি বাড়ির ভেতর থাকে তবে সাপ কম আসে। কারণ মানুষের উপস্থিতি তারা ভয় পায়। তবে বাড়ির সাইডে, ঝোপঝাড়ে এমন গাছ থাকলে সাপ আসা স্বাভাবিক।

একটা সাপকে মারলে তার জোড়া সঙ্গী কখনোই আপনাকে খুঁজে দংশন করতে আসবে না। সাপের স্মৃতিশক্তি খুবই দূর্বল। সাপ বাংলা সিনেমার স্বর্পরাজ শাকিব খান কিংবা নাগিন মুনমুন নয় যে সঙ্গীহারার প্রতিশোধ নিতে ছুটে আসবে। সাপ নিম্নজাতের প্রাণি। এদের মধ্যে রিভেঞ্জ বলে কিছু নাই। কিন্তু একটা সাপ মারার পর আরেকটা সাপ প্রায়ই একই স্থানে দেখা যায়, কারণ কী?

সিম্পল। মেটিং এর সময় তাদের পার্টনার আশেপাশে থাকতেই পারে কিংবা আশেপাশে গর্ত থাকলে তার বাচ্চাকাচ্চা কিংবা আরো সাপ উঠে আসতেই পারে। সে প্রতিশোধ নিতে আসেনি বরং ভুল করে গর্ত থেকে চলে এসেছে।

ছোট সাপের বিষ নাই কথাটা ভুল। সাপের বাচ্চাও সাপ। কেঁচোর সমান একটা কেউটের কামড়ে আমার চোখের সামনে এক রোগীকে টানা ২৪ ঘণ্টা জীবনের সাথে ফাইট করতে হয়েছে। আইসিইউতে আমরা তিন ডাক্তার তার পাশে ২৪ ঘন্টা লড়েছিলাম।

আর্টিফিশিয়াল ভেন্টিলেশন থেকে শুরু করে একাধিকবার অ্যান্টি-ভেনম দিয়েছি। সে সুস্থ হয়ে বাড়িতে গেছে। যাবার আগে আমাদের গালিগালাজ করে গেছে। আমরা নাকি তাকে অনেক দামী ঔষুধ দিয়েছি। সে জানে না, একডোজ অ্যান্টিভেনমের দাম ১০ হাজার টাকা। লজিক্যালি লোকটার দোষ নেই। সে ছিল জেলে। দিনে হয়তো এক দেড়শ টাকা তার ইনকাম। রাতে যারা বাজার থেকে অন্ধকারে ঘরে ফেরে তাদের এবং জেলেদের সাপ বেশি কাটে। জেলেরা বর্ষায় রাতে আইল বরশি ফেলে, জাল ফেলে মাছ ধরে। নদী বা নালায় মাঝ ধরে। সাপ শুকনো ভেবে সেখানে থাকে। কামড় দেয়।

সিনেমা বলে, সাপ দুধ খায়। গরুর দুধ খেতে গোলাঘরে হানা দেয়। ভুল কথা। এসব সাপ ক্ষেতের ব্যাঙ-পোকামাকড় খায়। কালো রঙ্গের দাড়াশ সাপ দেখি, এরা আমাদের উপকার করে। ফসল বাঁচায়। এদের না মারা উত্তম।

সাপে কাটলে ব্লেড দিয়ে কেটে দিলে বিষ বের হয়ে যায় কথাটা ভুল। ভুলেও এই কাজ করবেন না। ব্লেড দিয়ে কাটলেন তো বিষকে রক্তের সাথে নিজহাতে মিশিয়ে দিলেন।

দংশন করা সাপকে উল্টোকামড় দিলে বিষ ফেরত চলে যায় সাপের ভেতরে কথাটা ভুল। পায়ে কাটলে বিষ সেখানে। আপনার মুখের দাঁতে তো বিষ নাই। কীভাবে ফেরত দিবেন? সাপের বিষ তার দাঁতে থাকে না। সে যখন কামড় দেয় তার মুখের পেশিগুলো টানটান হয়ে যায়।

দাঁতের কাছেই থাকে বিষধর। সেখান থেকে বিষ দাঁত বেয়ে আপনার শরীরে প্রবেশ করে।

শক্ত করে বাঁধলে বিষ ছড়াতে পারে না এমন ধারনা ভুলে যান। আপনি নিজেও নিশ্চিত না সাপটা বিষধর ছিল কি না, তাহলে শক্ত করে বাঁধবেন কেন? অনেক ডাক্তার সাপে কাটার পর বাঁধতে নিষেধও করেন। কারণ এতে হিতে বিপরীত হয়।

ফুটবলের অ্যাংলেট পায়ে দিলে যেমন আটসাট হয়ে থাকে এমন ভাবে গামছা বা শার্ট বা শাড়ি দিয়ে দংশনের কিছু উপরে পেঁচিয়ে নিতে পারেন। বাঁধন অবশ্যই ঢিলা রাখবেন। দুট আঙ্গুল ঢোকে এমনভাবে ঢিলা করবেন। আবার খুব ঢিলাও না। ২০ মিনিট পরপর খুলে আবার লাগাতে পারেন। ভুলেও লোহার তার, সুতলি, কারেন্টের তার বা অন্য সরু জিনিস দিয়ে বাঁধবেন না। বাঁধলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে হাতে-পায়ে পঁচন শুরু হবে। চিরতরে হাত বা পা খোয়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। হয়তো আপনাকে বিষধর সাপ কাটেই নি অথচ আপনি ভয়ে গিট্টু দিয়ে হাত পা পঁচিয়ে পঙ্গু হয়ে গেলেন। কেমন হবে?

সাপ কাটলে কিন্তু আংটি, চুড়ি, ব্রেসলেট খুলে ফেলবেন। কিছু সাপের বিষে আপনার আঙ্গুল, হাত বা পা ফুলে যেতে পারে। আংটি বা চুড়ি থাকলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে পঁচন ঘটতে পারে।

সাপ কখন দংশন করে?

১। যদি ভুলে আপনার মুখোমুখি হয় সে পালাতে চেষ্টা করে। কিন্তু সে নিজে ভয় পেলে হিংস্র হয়। সব প্রাণিই এমন। মুরগীও মাঝেমাঝে মানুষকে ঠোকর দেয়। সামনে সাপ পড়লে তাকে চলে যেতে দিন।

২। বর্ষাকাল মানেই হাসপাতালে সাপে কাটা রোগী। বর্ষায় গর্তে পানি উঠে যায়। ফলে সাপ ডাঙ্গায়, শুকনো জায়গায় উঠে আসে। সেটা ক্ষেতের আইল, রাস্তা কিংবা আপনার ঘরের তোশকের তলা, বালিশের তলা, আলনার ভেতর, কাঠের স্তুপ যেকোন জায়গাতেই আসতে পারে।

৩। অন্ধকারে সাপের শরীরে পা পড়লে। জঙ্গলায় ভুলে তার শরীরে পা পড়লে কামড় দেয়।

৪। ইদুরের গর্তে সাপ থাকলে সেখানে পা রাখলে বা বসে থাকলে কামড় দিতে পারে। বাচ্চা ছেলেরা মাঝেমাঝে বসে গর্তের মুখে প্রস্রাব করে। সন্তানকে শিক্ষা দিন। এই কাজ যেন না করে।

সব সাপ বিষাক্ত? বাংলাদেশে ৮০ ধরণের সাপ আছে। মাত্র ২৭ টা বিষাক্ত। অধিকাংশই সামুদ্রিক। মাত্র ৫/৬ প্রজাতি স্থলে আছে যারা বিষধর। আপনার চোখের সামনে নিয়মিত যাদের ঘোরাফেরা দেখেন, তারা বিষাক্ত নয়। পানির সাপ অধিকাংশই বিষাক্ত নয়। তবে সামুদ্রিক সাপ সবাই বিষাক্ত। যদি চেনেন তবে বলি গোখরা, কালকেউটে, শঙ্খচূড়, চন্দ্রবোড়া বিষাক্ত।

সাপে কাটলে বুঝবেন কীভাবে? দংশন করেছে এমন মনে হবার পর যদি সরাসরি সাপ দেখেন, তাহলে ভাবতে পারেন সে আপনাকে দংশন করেছে।

একবার এক ছেলে হাসপাতালে আসল। মাটির ঘরে অন্ধকারে হেলান দিয়ে ছিল। পীঠে সাপ কেটেছে। সারাদিন হাসপাতালে আমাদের অবজারভেশনে ছিল। রাতে রিলিজের আগে খবর আসল, যেখানে হেলান দিয়ে ছিল, সেখানে কে যেন তারকাটা পুতে রেখেছিল। পীঠে লেগে তারকাটা দেয়ালে ঢুকে যায়। খোচা লাগাকে সাপে কাটা ভেবে সে হাসপাতালে আসে। ২৪ ঘণ্টা ভয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে ঘরে ফেরে সুস্থ অবস্থায়।

বিষাক্ত সাপে কাটলে বোঝা বেশ সহজ।

১। শিকারি পশুর মত সাপের দুটো দাঁত বড় থাকে। বাঁকানো। দংশন করলে গভীর ক্ষত হয়। দুঁটো দাঁতের অস্তিত্ব থাকলে ধরে নিতে পারেন, আপনাকে বিষাক্ত সাপ দংশন করেছে।

২। যদি অনেকগুলো দাঁত থাকে, সেখানে মাংস তুলে নিলেও ভেবে নিতে পারেন এটা ছাগলের মত। অনেক দাঁত কিন্তু বিষদাঁত নাই। আপনার কিছু হবে না।

৩। সাপের বিষ কয়েক ধরণের। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে নিউরোটক্সিন রিলিজ করা সাপের কামড়ে। এক্ষেত্রে ঝিমঝিম লাগবে। চোখে ঝাঁপসা দেখবে। চোখের উপরের পাতা নেমে চোখ অংশিক বন্ধ হয়ে যাবে। মাথা ঝুলে যাবে। জিহ্বা ও শ্বাসনালী ফুলে যাবে। শ্বাস নিতে পারবে না। মুখে লালা ঝরবে। দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। বমি করতে পারে।

আরো নানাবিধ লক্ষণ আছে।

চন্দ্রবোড়া কামড় দিলে লোহিত রক্তকনিকা ভেঙ্গে যায়। ফলে রক্তবমি, রক্তপায়খানা হতে পারে। কামরের জায়গায় রক্ত ঝরতে পারে। ফুলে যেতে পারে, লাল হতে পারে। ফোস্কা পড়তে পারে। কালোও হতে পারে। কিছু সাপের কামড়ে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারাও যেতে পারে।

মাঝেমাঝে নির্বিষ সাপ কামড়েও মানুষ মারা যায়।কেন জানেন?

ভয় পেয়ে হার্ট অ্যাটাক করে।

সাপের কামড়ে সিনেমায় গড়াগড়ি দেখেন, বিষের কারণে চেঁচামেচি দেখেন। এগুলো অভিনয়। সাপের বিষ নিয়ে একটা প্রবাদ আছে, কেমন ব্যাথা বুঝিবে সে কীসে, কভু আশীবিষে দংশেনি যারে... এইসব ভুলে যান। সাপে কাটা মানুষ খুব স্বাভাবিক থাকে শুরুতে। কোন ব্যাথা নাও থাকতে পারে। এমনকী মৃত্যু ঘটার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত কোন ব্যাথা নাও বুঝতে পারে।

চিকিৎসা?

একদম ঘাবড়াবেন না। বেশি ঘাবড়ালেই বিষ বেশি ছড়াবে।

সাপেকাটা জায়গা ধুয়ে ফেলুন সাবান দিয়ে। কাটবেন না ব্লেডে।

চুষে রক্ত বের করবেন, এমন চিন্তা ভুলে যান। যেখানে কামড়াবে সেখানকার নাড়াচাড়া বন্ধ। হাতে কামড়ালে হাত নাড়ালে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে যায়। হাত একদম নাড়াবেন না। পায়ে কামড়ালে হাঁটবেন না। সাপেকাটা স্থানে ভুলেও অ্যাসিড ঢালবেন না। মরিচের গুড়ো দিবেন না। কার্বলিক অ্যাসিডে ঝলসাবেন না। কোন ফলের বীজ, সর্পরাজ তেল, গুটি, আটি, বড়ি, তাবিজ কিছুই লাগাবেন না।

সাপটাকে পারলে চিনে রাখুন। ডাক্তারকে বললে চিকিৎসা পেতে সুবিধা হবে। তবে ধররতে যাবেন না। মেরেও ফেলার দরকার নাই।

মৃত সাপকে ধরতে যাওয়াও নিরাপদ নয়। এরা মৃত্যুর ভান করে শুয়ে থাকতে পারে।

জীবিত ধরে ওঝার কাছে যাবেন, এমন চিন্তা থাকলেও ঝেড়ে ফেলুন। ওঝা সাপের বিষ নামাতে পারে না। ওঝারা অনেক রোগী ভালো করে। যেগুলো আসলেই বিষাক্ত সাপের কামড় ছিল না। বিষাক্ত হলে একটা সময় বুঝতে পারে তখন নানা অজুহাত নাগ-নাগিনির কথা বলে এরা হাসপাতালে রোগী রেফার করে। আমরা হাসপাতালে অনেক পাই যারা একেবারে শেষ মুহুর্তে আসে। ওঝার কাছে গিয়ে জীবন খুইয়ে ফেলার পরিস্থিতি তৈরি করে আসে।

বিষাক্ত সাপে কাটলে আপনি বাঁচতে পারেন একটামাত্র পথ অনুসরণ করলে। সেটা হল - দুনিয়ার কারো মতামত নিবেন না। সরাসরি হাসপাতাল যাবেন।

সাপে কাটলে এক সেকেন্ড সময় নষ্ট না করে সরকারি বড় হাসপাতালে যান। রাসেল ভাইপার বাদে সব সাপেরই বিষের অ্যান্টিভেনম আছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই চিকিৎসা শেষে ফিরে আসবেন। [রাসেল ভাইপার বাংলাদেশে বিলুপ্ত সাপ। তবে রাজশাহীতে কয়েকবার নতুন করে পাওয়া গেছে। ফরিদপুরে পাওয়া গেছে কিছুদিন আগে। বন্যার জল-স্রোতে এরা আবার ছড়িয়ে পড়তে পারে দেশময়]

যদি বুঝে ফেলেন, সাপটা বিষধর নয়, তাহলে কী করবেন?

তবুও হাসপাতালে যাবেন। ভর্তি হয়ে প্রয়োজনে বিছানায় ২৪ ঘন্টা বসে থাকবেন। তবুও হাসপাতালে যাবেন।

[নোটঃ অধিকাংশ সাপই নির্বিষ। সাপ মারবেন না। সাপ বাস্তুতন্ত্রের অংশ। ঘরে সাপ পাওয়া গেলে স্নেক রেস্কিউয়ারকে জানাতে পারেন। ওঝাদের জানিয়ে পরিবেশ থেকে এসব সাপ বিলুপ্ত করবেন না। ওঝারা সাপ মেরে পুড়িয়ে তেল বানায়। সেই তেল বাত-ব্যাথা-সাপের বিষ নামানো-হারানো যৌবন পুনরুত্থান নামক নানাকিসিমের মিথ্যা চিকিৎসায় ব্যবহার করে। তাদের এই কাজ করতে দিবেন না। কারণ দিনশেষে সেই সাপের তেল হয়তো আপনার আত্মীয়ই কিনে নিয়ে ব্যবহার করছে]

কার্বলিক অ্যাসিডে সাপ পালায়? সাপের ঘ্রাণ শক্তিই এত দূর্বল যে ফুলের গন্ধেও আসে না, তাহলে কার্বলিকে সাপ পালাবে কে বলল আপনাকে? এসব সেইফটি এককালে প্রচলিত ছিল। এখন ব্যর্থ টোটকা।

বাড়িতে খড়ের গাদা, লাকড়ির স্তুপ থাকলে আপনার মা বা স্ত্রীকে সতর্ক করে দিন। খড় বা লাকড়ি নেবার আগে সেখানে লাঠি দিয়ে কিছুক্ষণ শব্দ করুন। সাপ থাকলে চলে যাবে। রাতে বিছানা এমনকী বালিশের তলাও চেক করবেন। আলনার ভেতরে থাকতে পারে। শব্দ করে কাপড় নিতে যাবেন। বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড় থাকলে কেটে ফেলুন। ঈদুরের গর্ত থাকলে ভরাট করে ফেলুন।

বর্ষাকাল এসেছে। এখন সাপ আপনার বাড়িতে-ঘরে আশ্রয় নিতে আসতেই পারে। সাবধান থাকুন। অন্যদের সতর্ক করে রাখুন। গ্রামের আপন মানুষদের (বাবা-মা, বউ-বাচ্চা-বন্ধু) সাপের ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়ে রাখুন। সতর্ক থাকবেন-ভয় পাবেন না-অবহেলা করবেন না।

© ডা. রাজীব হোসাইন সরকার

Kishoreganj Beauty Hacks



“দাজ্জাল” শুধু একজন ব্যক্তি না — সে একটা পূর্ণ ‘সিস্টেম’। একটা ফাঁদ। এক ভয়ংকর কন্ট্রোল মেশিন। আমরা অনেকেই হয়তো দাজ্জালকে...
30/06/2025

“দাজ্জাল” শুধু একজন ব্যক্তি না — সে একটা পূর্ণ ‘সিস্টেম’। একটা ফাঁদ। এক ভয়ংকর কন্ট্রোল মেশিন। আমরা অনেকেই হয়তো দাজ্জালকে ভবিষ্যতের কেউ মনে করি — কিন্তু তার ছায়া ইতিমধ্যেই আমাদের জীবনে ঢুকে গেছে, চোখের সামনে।

আজ একটু খোলা চোখে চিন্তা করি…

📡 RFID চিপ — শরীরে ঢোকানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে “সুবিধা হবে”। বাস্তবে? আপনার লোকেশন, অর্থ, স্বাস্থ্য, চলাফেরা সব ট্র্যাকিংয়ের আওতায়।

🤖 AI (Artificial Intelligence) — এখন শুধু প্রশ্নের উত্তর দেয় না, আপনার মন কী চায় সেটাও অনুমান করে। AI দিয়ে তৈরি হচ্ছে deepfake ভিডিও, যেখানে মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে দেখানো হচ্ছে। দাজ্জালের সেই “অগ্নি ও জান্নাতের বিভ্রান্তি” কি একে মনে পড়ে না?

💳 Centralized Banking System — এক দেশ নয়, পুরো পৃথিবীর পেমেন্ট সিস্টেম এক এক করে ক্যাশলেস হচ্ছে। আগামী দিনে বলা হবে, “RFID ছাড়া কেনাবেচা নিষিদ্ধ”। আপনি যদি দাজ্জালীয় সিস্টেম মেনে না চলেন — আপনার একাউন্ট বন্ধ।

🛰️ Satellite Surveillance + Smart City — ঘরে, রাস্তায়, গাড়িতে, অফিসে, এমনকি বাথরুমে পর্যন্ত ক্যামেরা-সেন্সর বসছে। কে কোথায়, কার সাথে, কী ভাবছে, কী খাচ্ছে, সব রেকর্ড হচ্ছে।

🧬 Genetic Engineering & Cloning — রোগ নিরাময়ের নামে DNA বদলানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে বলা হবে, “আমরা আপনাকে দুর্বলতা ছাড়া মানুষ বানাবো।” আসলে বানাবে “আত্মাহীন রোবট মানুষ” — যাদের ইচ্ছাও নিয়ন্ত্রণযোগ্য।

🔐 Personal Data = সবচেয়ে বড় অস্ত্র
আপনি কী ভয় পান, কী বিশ্বাস করেন, কখন কাঁদেন, কোথায় সফট… এসবই AI দিয়ে বিশ্লেষণ করে রাখা হচ্ছে। আর আপনি ভেবেছেন, “আমি তো ফেসবুকে শুধু মজা করি”?

💣 Nuclear Weapon Systems এখন AI দ্বারা চালিত — যদি দাজ্জালের মত একজন এগুলো হ্যাক করে বা তারই তৈরি AI এগুলো চালায়? আপনি ঠান্ডা মাথায় কল্পনা করুন — যদি মানুষ নয়, কোন “সিস্টেম” পুরো মানবজাতির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে?

🕋 Religion Elimination Plan — বলা হবে, “সব ধর্ম এক করো, নতুন এক Global Unity বানাও।”
যারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে, নামাজ পড়বে, তারা হবে “cut-off”।
তাদের ওপর নামবে লেনদেন নিষেধাজ্ঞা, খাদ্য নিষেধ, চিকিৎসা নিষেধ।
ঠিক যেমন হাদিসে বলা হয়েছে:
“যে তার অনুসরণ করবে না, সে খেতে পাবে না, চলতে পারবে না।”

আজকের AI, Blockchain, BioChip, Surveillance Technology, Digital Currency — এগুলো কী কেবল অগ্রগতি?
না কি এগুলোই একদিন বলবে:
“তুমি যদি দাজ্জালকে না মানো, তুমি পৃথিবীর নাগরিক না!”

✅ আমি কারও বিরুদ্ধে না, আমি প্রযুক্তিরও বিরোধী না। আমি শুধু বলছি:

তুমি প্রযুক্তি ব্যবহার করো — কিন্তু প্রযুক্তি যেন তোমাকে ব্যবহার না করে।
তুমি চিপ ব্যবহার করো না — যেন চিপ একদিন তোমার ঈমান না ব্যবহার করে।

🔰 করণীয়:
• সূরা কাহফ পড়ো, অন্তত প্রতি শুক্রবার
• দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার দোয়া মুখস্থ রাখো
• জীবনকে ধীরে ধীরে “Tayyib” করো — খাবার, চিন্তা, সমাজ
• সন্তানকে শেখাও “সত্য-মিথ্যার পার্থক্য”
• আর সবশেষে, এমনভাবে তৈরি হও — যেন সে (দাজ্জাল) এলে তুমি বলতে পারো:
“আমি আল্লাহর বান্দা — কোনো সিস্টেম, কোনো ইল্যুশন, কোনো ফেক ঈশ্বর আমাকে কিনতে পারবে না।”

দাজ্জাল আসবে। এটা কুরআন-হাদিসে নিশ্চিত। কিন্তু সে আসার আগেই যদি আমরা তার সিস্টেমে ঢুকে পড়ি — তখন আর আমাদের বের হবার পথ থাকবে না।
আজ থেকে প্রস্তুতি নিন, ঈমানকে Technology Proof করুন।

Kishoreganj Beauty Hacks



📱 মোবাইলে কথা বললেই মস্তিষ্কে আগুন? বিজ্ঞান বলছে যা জানলে আপনি থমকে যাবেন!আপনি কি জানেন, দিনে মাত্র ৩০ মিনিট মোবাইলে কথা...
29/06/2025

📱 মোবাইলে কথা বললেই মস্তিষ্কে আগুন? বিজ্ঞান বলছে যা জানলে আপনি থমকে যাবেন!
আপনি কি জানেন, দিনে মাত্র ৩০ মিনিট মোবাইলে কথা বললেই আপনার মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে ‘সেদ্ধ’ হতে শুরু করে?

হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। মোবাইল ফোন থেকে নির্গত রেডিয়েশন (Radio Frequency Radiation) এমনই এক অদৃশ্য শত্রু, যা ধীরে ধীরে আপনার ব্রেনকে গরম করে, কোষের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে, এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়।

😱 এক ভৌতিক বাস্তবতা: যখন MRI-তে ধরা পড়ল ‘অদ্ভুত গরম অংশ’!
ইতালির এক নিউরো সার্জনের কাছে একটি 28 বছর বয়সী রোগী এসেছিলেন – দীর্ঘদিন ধরে মাথা ব্যথা, স্মৃতিভ্রংশ, মনোযোগে ঘাটতি। MRI রিপোর্ট দেখে ডাক্তার স্তব্ধ! রোগীর ব্রেনের এক পাশ অস্বাভাবিকভাবে গরম – যেন সেখানে কোনো অদৃশ্য আগুন জ্বলছে।

জিজ্ঞাসা করে জানা গেল, ছেলেটি দিনে প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা মোবাইলে কথা বলতো, বিশেষ করে এক কানে ফোন চেপে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলত।

📊 গবেষণা কী বলছে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) মোবাইল রেডিয়েশনকে “possibly carcinogenic” বলে ঘোষণা দিয়েছে।
👉 ১০ বছর ধরে প্রতিদিন ৩০ মিনিটের বেশি মোবাইলে কথা বললে, ব্রেন টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা ৬০% পর্যন্ত বেড়ে যায়।
👉 শিশুদের ব্রেন মোবাইল রেডিয়েশন শোষণ করে দু'গুণ বেশি!

🚨 শুধু ব্রেন নয়, আরো যেসব ক্ষতি হয়:
🧠 স্মৃতিশক্তি কমে যায়

💤 ঘুমের সমস্যা বাড়ে (Insomnia)

📉 মনোযোগ ও একাগ্রতা কমে

❤️ হৃদস্পন্দনের সমস্যা

👶 গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে শিশুর জন্মগত ত্রুটি হতে পারে

💡 সমাধান কী?
ইয়ারফোন বা স্পিকার মোড ব্যবহার করুন

ফোনে কথা বলার সময় এক কানেই বেশি চাপ দেবেন না

দীর্ঘ কথা বলার বদলে মেসেজ বা টেক্সট করুন

ঘুমের সময় ফোন বিছানা থেকে দূরে রাখুন

শিশুদের হাতে মোবাইল না দেওয়াই শ্রেয়

🔥 অবশেষে...
মোবাইল আমাদের জীবন সহজ করেছে, কিন্তু সচেতন না হলে সেটাই হতে পারে নীরব ঘাতক।

এই পোস্টটা যদি আপনি এখনি বন্ধুর সাথে শেয়ার করেন, হয়তো আপনি কারো জীবন বদলে দিতে পারবেন।
ভুলবেন না – আপনি সতর্ক হলেই আপনার প্রিয়জন রক্ষা পাবে।

📢 আপনি কি দিনের বেশিরভাগ সময় ফোনে কথা বলেন? এখনই আপনার অভ্যাস বদলান, নয়তো আপনার ব্রেনের ভিতরে শুরু হয়ে যেতে পারে এক ভয়াবহ বিপর্যয়!
Kishoreganj Beauty Hacks



Address

Gurudayal Govt. College Road
Kishoreganj
2300

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kishoreganj Beauty Hacks posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Kishoreganj Beauty Hacks:

Share