
09/04/2025
ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক আবেগপ্রবণ প্রকাশ আমাদের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সাধারণত, আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা নিজেদের সাফল্য ও উন্নয়নের গল্প তুলে ধরতে অভ্যস্ত। তারা দারিদ্র্য বা সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা এড়িয়ে চলেন, যেন তা প্রকাশ করলে তাদের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিন্তু ডক্টর ইউনূস এই প্রচলিত ধারা ভেঙে দিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি তাদের দুর্দশা দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং প্রকাশ্যে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, “আন্দোলনে আহতদের দেখতে যখন হাসপাতালে যাই, তাকাতে কষ্ট হয়। একটা ছেলে, একটা মেয়ে এই রকমভাবে কীভাবে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পা চলে গেছে, এদিকে…” এ কথা বলতে বলতে তিনি কেঁদে ফেলেন।
এমনকি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের কথা স্মরণ করে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং কাঁদেন।
ডক্টর ইউনূসের এই আবেগপ্রবণতা প্রমাণ করে যে তিনি শুধুমাত্র একজন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ নন, বরং তিনি দেশের সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট গভীরভাবে অনুভব করেন। তিনি উন্নয়নের বাহ্যিক চিত্রের আড়ালে লুকিয়ে থাকা বাস্তবতাকে সামনে এনেছেন। তার এই আন্তরিকতা এবং সত্য প্রকাশের সাহস আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।
জুলাই মাসের ঘটনাবলি শুধু আমাদের সমাজকে নয়, সম্ভবত ডক্টর ইউনূসকেও বদলে দিয়েছে। তিনি নিজের আত্মসম্মানবোধকে পাশে রেখে দেশের মানুষের দারিদ্র্য ও কষ্টের কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। এটি আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যেখানে সত্য ও মানবিকতা প্রাধান্য পেয়েছে।