গল্প

গল্প এখানে বিভিন্ন ধরণের গল্প আপলোড করা হয়?

07/07/2025

ইরান এবং ইসরায়েলের যুদ্ধ প্রসঙ্গে পিনাকি দাদা কি বলে দেখুন

বিয়ের পরের দিন সকালেই বর খুব তাড়াহুড়োয় অফিস বেড়িয়ে গেলো। যাওয়ার আগে গোসল সেরে বলে গেলো – " মীরা আজ ভীষণ ব্যস্ত আছ...
06/07/2025

বিয়ের পরের দিন সকালেই বর খুব তাড়াহুড়োয় অফিস বেড়িয়ে গেলো। যাওয়ার আগে গোসল সেরে বলে গেলো

– " মীরা আজ ভীষণ ব্যস্ত আছি আমার জামাকাপড় গুলো একটু ধুয়ে মেলে দিও। "

আমি হাসি মুখে মাথা নাড়ালাম। যত্ন করে কাপড় গুলো ধুয়ে শুকোতে দিয়ে এলাম ছাদে।

আমি নিজেও অফিস যাই। তবে বিয়ে বলে পাঁচ-দিন ছুটি নিয়েছি। আমার বরের নাম রেহান। সে আইটি সেক্টরে চাকরি করে। দুজনের অফিসের সময় একই। কিন্তু মাঝে মাঝে রেহানকে গুরুত্বপূর্ণ কাজের কারণে তাড়াতাড়ি যেতে হয়। আমাদের বিয়েটা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হলেও গত দুই মাস আমরা ভালোই প্রেম করেছি। রেহানকে আমার কোনোদিক দিয়েই খারাপ মনে হয়নি।

রেহান এলো রাত আটটার। ওর ক্লান্ত শরীর দেখে আমি নিজেই রান্নাঘর থেকে শরবত বানিয়ে নিয়ে গেলাম। পাশে বসে কিছুক্ষন মাথা টিপে দিলাম। রেহান চোখ বুজেই আমার কোমর পেঁচিয়ে ধরে পেটে মুখ গুঁজলো। আমি শিরশিরিয়ে উঠলাম। নতুন অনুভুতি ভাসিয়ে নিয়ে গেলো আমায়। রেহান একইভাবে থেকে ধীর কন্ঠে বলল " লাকি টু হ্যাভ ইউ মীরা "

আমি লাজুক হেসে রেহানের মাথায় বিলি কেটে দিলাম কিছুক্ষণ। তারপর রেহানকে ভীষন ক্লান্ত দেখে ওর খাবারটা উপরেই নিয়ে এলাম। সে আরোও সুযোগ পেয়ে আমার হাতে খাওয়ার বায়না ধরলো। আমি জানি এখন খাওয়ার থেকে সে দুষ্টুমি বেশি করবে। তাও আমি সায় দিলাম। আমার নিজেরও মন্দ লাগে না তার এই মিষ্টি দুষ্টুমি। সেই রাতে রেহান আমায় অসীম ভালোবাসার খোঁজ দিলো। আমিও ধীরে ধীরে তলিয়ে গেলাম সেখানে।
এইভাবেই কেটে গেলো পাঁচটা দিন। এই পাঁচদিনে আমি একজন পারফেক্ট হাউজ ওয়াইফের মতো সবই করেছি। সকালে রেহানকে কফি করে দেওয়া থেকে শুরু করে তিন বেলার রান্না করা। রেহান আসলেই তার সামনে কিছু না কিছু পছন্দের আইটেম বানিয়ে দেওয়া। রাতে চুলে বিলি কেটে দেওয়া।

তবে এর পরের দিনের চিত্রটা হলো কিছুটা অন্যরকম। আমার সকালে অফিস চালু হওয়ায় আমি সকালে উঠে শুধু সবার জন্য ব্রেকফাস্ট আর আমাদের দুজনের টিফিন বানালাম। আমার শাশুড়ি কে কড়াও বলে চলে না নরমও বলা চলে না। তিনি যে কখন কি চান সেটাই বোঝা বড়ো দায়।

অফিসের প্রথমদিন থাকায় আসতে আমার বেশ দেরি হলো। রাত সাড়ে আটটা বেজে গেলো। আমি ক্লান্ত শরীর নিয়ে রুমে ঢুকে দেখলাম রেহান ল্যাপটপে মুভি দেখছে। আমায় দেখে মুচকি হেসে বলল ফ্রেশ হয়ে নাও। আর শোনোনা কিছু বানিয়ে দেবে খুব ক্ষিদে পেয়েছে।

আমার খারাপ লাগলেও প্রথম প্রথম আমি কাজ থেকে এসেই রেহানের জন্য স্ন্যাক্স বানিয়ে দিতাম। এক একদিন শাশুড়ি মায়ের গম্ভীর মুখ দেখে রাতের রান্নাও করতাম। প্লেট গুছিয়ে শুতে যেতে দেরি হলে আবার রেহান রাগারাগি করতো।

কিছুদিন এইভাবেই চলার পর আমি দেখলাম সবাই আমার উপর ধীরে ধীরে পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। রেহান সকালে উঠেই গোসল করে জামাকাপড় ছেড়ে রেখেই অফিসে চলে যায়। মাঝে মাঝে আমার এই কারণে অফিসে যেতেও লেট হয়েছে। রেহানকে বললেও সে কোথায় তেমন গুরুত্ব দেয় না। অফিস থেকে এসেও রেহানের রোজকার আবদার চলে এটা বানিয়ে দাও সেটা বানিয়ে দাও। তারসাথে রোজকার শাশুড়ি শ্বশুরের চা নাস্তা তো আছেই। রাতের রান্নাও এখন তাকে প্রায়ই করতে হয়।

আমি রাতে ভীষন হাঁপিয়ে উঠি। বাপের বাড়িতেও কাজ করতাম তাই বলে এতো না। সারাদিনের কাজ শেষে শরীর দেয় না আমার। রেহান এতে বেশ বিরক্ত হয় এটা বেশ বুঝি আমি।

আমি আর সেই রাত ঘুমাই না। চোখের কোনে জল আসা আটকাই। ভোরের দিকে একটু চোখ লেগে আসতেই রেহান আমায় ডাকতে লাগে

" এই মীরা.. কফি দেবে না..? আজ কি ব্রেকফাস্ট টিফিন বানাবে না..? এতো দেরি করছ যে..?"

আমি শান্ত ভঙ্গিতে উঠে বসে আড়মোড়া ভাঙ্গি। তারপর বলি আজ শরীরটা খারাপ লাগছে তাই আজ অফিস যাবো না তাই নো ব্রেকফাস্ট বানানো নো টিফিন বানানো। তুমি যাও রেডি হয়ে নীচে গিয়ে কিছু ব্রেকফাস্ট করে অফিস চলে যাও। আমি আজ লেটে উঠবো।

রেহান অবাক কন্ঠে বলে " মানে..? তুমি যাবে না তো কি হয়েছে আমি তো অফিস যাবো। আর আমার জামাকাপড় গুলো কে ধোবে..?"

আমি হাই তুলে বলি তুমি অফিস যাবে তুমি টিফিন বানাও। ব্রেড বাটার ছাড়া কিছু খেতে ইচ্ছে হলে বানিয়ে নাও। আর হ্যাঁ আমায়ও দিয়ো।"

রেহান যেনো কথা বলতে ভুলে যায়। আমি তা দেখে মাথা চুলকে বলি " ওপস তোমার জামাকাপড়...আমার গুলোও পারলে ধুয়ে দিও কেমন। ওই যে সোফায় রাখা।"

বলেই আমি শুয়ে পরলাম আরামে। রেহান রাগে গজ গজ করতে করতে চলে গেলো। আমি হাসি দিলাম প্রশান্তির। রেহান যে আমায় ভালোবাসে না তা ঠিক না। তবে তাকেও আমার করা জিনিসের মূল্য বুঝতে হবে। যাদের জন্য খেটে মরবো তারাই সব দেখে শুনে আরও খাটাবে এইভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না না।

রেহান বেশ তিরিক্ষি মেজাজ নিয়ে উপরে এলো। নেক্সট পাঠ কথা কাব্য তে পাবেন। বুঝলাম মা কথা শুনিয়েছেন। রেহান আমায় রাগ দেখিয়েও অনেক কথা বলল। আমি শুধু শুনলাম। আমি ফিরিয়ে দেওয়ায় বিশ্বাসী। যা দেবে তা এক না এক টাইমে আমি ফিরিয়ে দেবই।

দুপুরে টেবিলে গিয়ে বসে আয়েশী ভঙ্গিতে খেলাম। শাশুড়ি মা পুরোটা সময় মুখ হাঁড়ির মত করে রাখলেন। আমি বুঝেও না বোঝার ভান করে রইলাম। রেহান অফিস থেকে ফেরার পর আমিও টিভি থেকে চোখ সরিয়ে তাকে দেখে মিষ্টি হাসি দিয়ে বললাম

চলবে.....

গল্পঃ সংসার
চন্দ্রাবতী
পর্ব ১

(সংসার) সকল পর্ব
open this link
https://www.facebook.com/share/p/f5K4csM6Vz3qFb9o/?mibextid=oFDknk

10/06/2025
23/04/2025

#গল্প - একটি অতিপ্রাকৃত ঘটনা
“বাসায় কাজের লোক না থাকলে আমার কি যে ঝামেলা যায়, এ কথাটা শাহেদ কখনোই বুঝলো না। হুট করে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে বাসায় ফিরলো। কি আর করা!অগত্যা রান্না বান্না করে সবাইকে খাইয়ে বিদায় দিতে দিতে রাত ১২টা বেজে গেল। আমিও থালাবাটি গুলো নিয়ে রান্নাঘরে ঢুকলাম। সব ধুয়ে অবসর হতে হতেই ভাবলাম কাল সকালের নাস্তার জন্যে সবজি কেটে ফ্রিজে রেখে দিই। সকালে উঠে ক’টা রুটি বানিয়ে,সবজিটা ভেজে দিলেই হবে। আর ডিম তো আছেই পোচ করে দেবক্ষন।বেডরুমে ঢুকে দেখি বাহ শ্রীমান তার দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে কি আরামের একটা ঘুমদিয়েছেন! পুরুষমানুষগুলো কি যে স্বার্থপর হয়! এই যেমন আমার ছেলেটা। নয় বছর বয়স হয়েছে, ওর সব কিছু এখনো আমাকেই করে দিতে হয়। মেয়েটা পাঁচ বছরের। অথচদেখো কি লক্ষী। আজো যখন বাসায় এত গেস্ট, মেয়েটা আমাকে টেবিলে প্লেটসাজাতে সাহায্য করলো। গ্লাসগুলো সাজিয়ে দিল। আরছেলেটা বসে বসে তখন কার্টুন দেখছিল। আমি বাথরুমে ঢুকে মুখহাত ধুয়ে ফ্রেশহয়ে নিলাম। তারপর মুখে ক্রিম ঘঁষতে ঘঁষতে একদম বিছানায় শরীর আরবইছে না। ওয়াল ঘড়িতে দেখলাম সময় রাত দেড়টা বাজে। হাত বাড়িয়ে বেডসুইচ অফকরে শুয়ে পড়লাম। আমার বাঁদিকে শাহেদ, ডানপাশে মেয়ে টায়রা আর ওরপাশে দেয়াল বরাবর ছেলে টোকন। ওদের দিকে একবার তাকিয়ে আমি চোখ বন্ধকরে ঘুমানোর চেষ্টায় ডুবে গেলাম। চোখটা লেগে এসেছিল প্রায়। কোন এক অজানা কারনে ঘুমটা ভেঙ্গে গেছে। পাশ ফিরে শুতে গিয়ে হোঁচট খেলাম মনে মনে।বাইরের স্ট্রীট ল্যাম্পের আলো পর্দা ছাড়িয়ে আমার ঘরে এসে একচিলতে ফিতের মত পড়ে থাকে প্রতিদিন। আজো পড়েছে, সে আলোয় আমি দেখলাম সম্পূর্ন অপরিচিত মোটা, কালো, মধ্যবয়স্ক এবং কুৎসিত এক লোক মুখ হা করে আমারপাশে ঘুমুচ্ছে। আমার সমস্ত শরীর যেন অবশ হয়ে আসতে চাইলো। কেমনযেনবিশ্রী একটা গন্ধ চারপাশে। কোনমতে পাশ ফিরে দেখলাম ঐপাশে কালো কালো দু’টো অপরিচিত ছেলেমেয়ে পাশাপাশি শুয়ে আছে। কিছুই বুঝতে পারছি না! এবার আমি অবাকহয়ে লক্ষ্য করলাম, বিছানাটা আমার নয়, এমনকি বাড়ীটাও। কেমন যেন পুরনো দিনেরএকটা বাড়ী। হায় হায়, এ আমি কোথায়? বাড়ী যদি অন্যের হয় বেডসুইচটা কি আছে?কোন কিছু না ভেবেই আমি লাফ দিয়ে উঠে বসে হাত বাড়িয়ে বেড সুইচটা অনকরে দিলাম। আলো জ্বলে উঠতেই আমার বুকটা যেন আরো হিম হয়ে উঠলো। দেখি,আমার বর শাহেদ আর ছেলেমেয়ে দু’টো বিছানায় উঠে বসে আছে আর একদৃষ্ট

23/03/2025
14/03/2025
মাছ ভাজি, আলু দিয়ে মাছের ডিম,  আলু আর টমেটো দিয়ে সিদল             ,, ❤️❤️❤️❤️আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছি বললেই এই পেইজটাতে স...
23/01/2025

মাছ ভাজি, আলু দিয়ে মাছের ডিম, আলু আর টমেটো দিয়ে সিদল ,, ❤️❤️❤️❤️

আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছি বললেই এই পেইজটাতে সব সময় মজা করি,,
আশা করি ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে,,, কেমন,,,

যদি ইউটিউবে আমাকে দেখতে চাও,,,তাহলে এই লিংকে যাও,,,😍😍

https://youtube.com/?si=VRp1iGQkFkmIYZWe

ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানিও,,,, বা রিয়েক্ট দিয়ো,,
ভালো থাকবে সবাই,,, আর প্রচুর খেতে হবে,,,,
(আমি ফুড ভ্লগার না ফুড লভার)

আজকে দুপুরের  খাবার
14/01/2025

আজকে দুপুরের খাবার

18/07/2023

Address

Kishoreganj

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when গল্প posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share