Mohammad Bitullah

Mohammad Bitullah Mohammad Bitullah's Official Page
We place a lot of emphasis on entertainment and information.

হাসির গল্প: আজব সমস্যাআমাদের পাড়ার রফিকের ভাই, নাম তার আব্দুল সাহেব, খুবই শান্তশিষ্ট আর সহজ-সরল একজন মানুষ। তার জীবনে ব...
05/06/2025

হাসির গল্প: আজব সমস্যা

আমাদের পাড়ার রফিকের ভাই, নাম তার আব্দুল সাহেব, খুবই শান্তশিষ্ট আর সহজ-সরল একজন মানুষ। তার জীবনে বড় কোনো ঝামেলা নেই, তাই তিনি ছোটখাটো বিষয় নিয়েও খুব চিন্তাভাবনা করেন।

একদিন আব্দুল সাহেব বাজার থেকে একজোড়া নতুন জুতো কিনলেন। জুতো জোড়া দেখতে দারুণ, কিন্তু সাইজে একটু ছোট। আব্দুল সাহেব ভাবলেন, "ধুর বাবা! নতুন জুতো, একটু আটোসাটো হবেই। পরতে পরতে ঠিক হয়ে যাবে।"

সেদিন সন্ধ্যাবেলা তিনি জুতো পরে একটু হাঁটতে বের হলেন। পাঁচ মিনিট যেতে না যেতেই তার পায়ের অবস্থা কাহিল! জুতো এত টাইট যে পা লাল হয়ে ফুলে উঠেছে। তিনি কোনোমতে খোঁড়াতে খোঁড়াতে বাড়িতে ফিরলেন।

পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আব্দুল সাহেব দেখেন, তার পা দুটো এমন ফুলেছে যে জুতো পরা তো দূরের কথা, ঘরে থাকা স্লিপারও ঢোকে না! তিনি চিন্তায় পড়ে গেলেন। কী করা যায়? এই জুতো নিয়ে তো আর বাজারে গিয়ে ফেরতও দিতে পারবেন না, কারণ দোকানের মালিক এমন পাজি যে একবার জিনিস নিলে আর ফেরত নেয় না।

তিনি তখন বুদ্ধি খাটাতে লাগলেন। হঠাৎ তার মাথায় এক মহা বুদ্ধি এলো। "আরে! জুতো ছোট হলে কী হবে? পা'টা যদি ছোট করে ফেলি, তাহলে তো জুতো ঠিক ফিট হবে!"

যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। তিনি পাশের বাড়ির কদম আলীর কাছে গেলেন। কদম আলী একজন গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার, সব রোগের চিকিৎসা সে নিজেই করে। আব্দুল সাহেব তাকে বললেন, "কদম আলী ভাই, আমার পা ছোট করার কোনো ওষুধ আছে?"

কদম আলী তো শুনে হতবাক! সে বলল, "আব্দুল ভাই, পা ছোট করার ওষুধ! এ কেমন কথা?"

আব্দুল সাহেব তখন তাকে সব খুলে বললেন। জুতো ছোট, পা ফুলে গেছে, তাই পা ছোট করতে চান। কদম আলী কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে ভাবল। তারপর গম্ভীর গলায় বলল, "আহা! এই তো সামান্য ব্যাপার। আমার কাছে একটা অব্যর্থ টোটকা আছে। তুমি এক বালতি গরম জলে নিম পাতা আর লবণ মিশিয়ে তাতে তোমার পা ডুবিয়ে রাখো। টানা তিন ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখবে। দেখবে, পা একদম চিকন হয়ে যাবে।"

আব্দুল সাহেব কদম আলীর কথা মতো পরদিন থেকেই চিকিৎসা শুরু করলেন। প্রতিদিন সকালে এক বালতি গরম জলে নিম পাতা আর লবণ মিশিয়ে তাতে পা ডুবিয়ে বসে থাকেন। প্রথম দিন পা আরও ফুলে গেল, দ্বিতীয় দিন ব্যথা বাড়ল, তৃতীয় দিন পা'টা একদম লাল টকটকে।

বাড়ির সবাই তাকে জিজ্ঞাসা করে, "কী হয়েছে আব্দুল সাহেব? এত নিম পাতা আর লবণ দিয়ে কী করছেন?"

আব্দুল সাহেব হাসিমুখে উত্তর দেন, "আরে বাবা, পা ছোট করছি! নতুন জুতো তো!"

কয়েকদিন এভাবে চিকিৎসা করার পর, আব্দুল সাহেবের পা এতটাই ব্যথা করতে শুরু করল যে তিনি আর হাঁটতেই পারলেন না। শেষে তার স্ত্রী বিরক্ত হয়ে তাকে টেনে নিয়ে আসল ডাক্তারের কাছে।

ডাক্তার সাহেব পরীক্ষা করে হাসতে হাসতে বললেন, "আব্দুল সাহেব, আপনার তো জুতোর সাইজ ছোট ছিল, পা নয়। আর আপনার পা ফুলেছে কারণ জুতো টাইট ছিল, এখন আপনি গরম জলে পা ডুবিয়ে ডুবিয়ে আরও ফোলাচ্ছেন!"

আব্দুল সাহেব তখন বুঝলেন, তিনি আসলে জুতো ছোট করার বদলে নিজের পা'কেই ছোট করার চেষ্টা করছিলেন! জুতো জোড়া শেষ পর্যন্ত তার ছোট ভাইয়ের হলো, আর আব্দুল সাহেবের জ্ঞান বাড়লো যে, সব সমস্যার সমাধান উল্টো পথে হয় না।

সালটা ছিল ১৯১২, আর সারা বিশ্ব বিস্ময়ে দেখছিল আরএমএস টাইটানিক, যা তখন পর্যন্ত নির্মিত বৃহত্তম জাহাজ, সাউদাম্পটন থেকে নিউ ...
30/05/2025

সালটা ছিল ১৯১২, আর সারা বিশ্ব বিস্ময়ে দেখছিল আরএমএস টাইটানিক, যা তখন পর্যন্ত নির্মিত বৃহত্তম জাহাজ, সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক সিটির উদ্দেশ্যে তার প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল। "অডুবনীয়" বলে ঘোষিত এই জাহাজটি ছিল প্রকৌশলের এক বিস্ময়, একটি ভাসমান প্রাসাদ যা হাজার হাজার মানুষের স্বপ্নকে বিশাল আটলান্টিকের ওপারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। জাহাজে ছিলেন সবচেয়ে ধনী অভিজাতরা, নতুন সুযোগের সন্ধানে, এবং অসংখ্য অভিবাসী, যারা আমেরিকায় নতুন করে জীবন শুরু করার আশা নিয়েছিলেন।

তাদের মধ্যে ছিলেন ইলিয়াস এবং ক্লারা, এক নবদম্পতি, যারা তারুণ্যের নিষ্পাপ আশাবাদে পূর্ণ ছিলেন। তারা তাদের দিনগুলি জাহাজের বিশাল প্রমেনাডে হেঁটে, তাদের ভবিষ্যতের বাড়ির ফিসফিস করে স্বপ্ন ভাগ করে নিয়ে, এবং জমকালো বলরুমে নাচ করে কাটাতেন। জাহাজটি জীবন দিয়ে গুঞ্জন করছিল, সমাজের এক ক্ষুদ্র প্রতিচ্ছবি, সবাই একই দূরবর্তী তীরের দিকে যাচ্ছিল, তাদের জন্য অপেক্ষা করা বরফশীতল ভাগ্যের কথা তারা জানত না।

১৪ই এপ্রিলের রাতে, বাতাস আরও ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল, এবং তারাগুলি এক অস্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নিয়ে জ্বলছিল। ডেকের নিচে, ইঞ্জিনগুলি অবিরাম শক্তিতে গর্জন করছিল। ইলিয়াস এবং ক্লারা তাদের কেবিনে ছিলেন, ক্লারা একটি পুরনো বই থেকে জোরে জোরে পড়ছিলেন, ইলিয়াস শান্তভাবে শুনছিলেন।

তারপর এল সেই ঝাঁকুনি। হিংস্র নয়, কিন্তু একটি অদ্ভুত, ঘষা লাগার মতো কম্পন যা জাহাজের বিশাল কাঠামো জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল। কয়েক মিনিট পরে, একজন স্টুয়ার্ড এসে দরজা ঠুকলো, যাত্রীদের তাদের লাইফবেল্ট পরতে এবং বোট ডেকের উপর জড়ো হতে বললেন। কোনো আতঙ্ক ছিল না, কেবল একটি হালকা অসুবিধা। সর্বোপরি, এটি ছিল টাইটানিক।

কিন্তু মিনিটগুলি যখন এক ঘণ্টায় পরিণত হল, তখন সত্যটি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে শুরু করল, যা রাতের বাতাসের চেয়েও গভীরভাবে তাদের ঠান্ডা করে দিল। ডেক কাত হয়ে যাচ্ছিল। ব্যান্ড বাজিয়ে যাচ্ছিল, ক্রমবর্ধমান ভয়ের গুঞ্জনের বিরুদ্ধে একটি মর্মস্পর্শী, জেদি সুর। লাইফবোটগুলি, দুঃখজনকভাবে কম, নামানো হচ্ছিল, অনেকগুলি অর্ধেক খালি। প্রথমে নারী ও শিশুরা।

ইলিয়াস ক্লারার হাত ধরেছিল, তার মুষ্টি শক্ত, তার চোখ ক্লারার চোখে আশ্বাস খুঁজছিল যা কেউই আসলে দিতে পারছিল না। "তোমাকে যেতে হবে, ক্লারা," সে ফিসফিস করে বলল, তার কণ্ঠস্বর না ঝরা অশ্রুতে ভারী। "আমাদের দুজনের জন্য বাঁচো।"

ক্লারা তাকে আঁকড়ে ধরল, তার মুখ ভেজা। "না, ইলিয়াস, আমি তোমাকে ছেড়ে যাব না!"

"তোমাকে যেতেই হবে," সে জোর দিয়ে বলল, তার কণ্ঠস্বর ভেঙে যাচ্ছিল। "দয়া করে। আমাদের ভবিষ্যতের জন্য।"

সে তাকে আলতো করে একটি লাইফবোটের দিকে নিয়ে গেল, কর্মকর্তাদের তাড়ার মধ্যে তাকে সামনে ঠেলে দিল। তাদের আঙ্গুলগুলি শেষ, যন্ত্রণাদায়ক এক সেকেন্ডের জন্য জড়িয়ে রইল, তারপর তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। ক্লারাকে নৌকায় টেনে নেওয়া হল, তার চোখ ইলিয়াসের দিকে স্থির, যে ডেকের উপর দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল, ভিড়ের মধ্যে একটি ম্লান মূর্তি।

লাইফবোটটি নিচে নেমে গেল, বিশাল, কাত হয়ে যাওয়া জাহাজের বিরুদ্ধে একটি ক্ষুদ্র বিন্দু। বরফশীতল জল থেকে কান্না শুরু হল। হতাশার, ভয়ের, চূড়ান্ততার এক কোরাস। টাইটানিকের আলো ঝলমল করে উঠল, তারপর নিভে গেল, দৃশ্যটিকে এক গাঢ় অন্ধকারে ডুবিয়ে দিল, যা কেবল দূরবর্তী তারা দ্বারা ভাঙা হচ্ছিল। জাহাজটি গোঙালো, একটি মৃত পশুর মতো, তার পিছনের অংশ আকাশে উঁচুতে উঠে গেল, একটি চূড়ান্ত, জেদি স্যালুট, এবং তারপর, বাতাস বের হওয়ার এক বিশাল গর্জন সহ, এটি ঢেউয়ের নিচে তলিয়ে গেল, সাথে নিয়ে গেল ১৫০০ এরও বেশি আত্মাকে।

ক্লারা, লাইফবোটে কাঁপতে কাঁপতে, বিশাল জাহাজটি অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখে আতঙ্কে জমে গেল। চিৎকারগুলি ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে গেল, তার জায়গায় এল সমুদ্রের বিশাল, ভয়ঙ্কর নীরবতা। ভোর কোনো সান্ত্বনা আনল না, কেবল বরফশীতল জলের কঠোর বাস্তবতা এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ, ভাঙা স্বপ্নের এক কবরস্থান।

কয়েক ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল, ভাগ্যবান কয়েকজনের মধ্যে সে একজন। কিন্তু তার একটি অংশ বরফশীতল গভীরতায় রয়ে গিয়েছিল, ইলিয়াস এবং অন্য সকলের সাথে যারা অডুবনীয় স্বপ্নে বিশ্বাস করেছিল। টাইটানিকের গল্প মানব অহংকার এবং প্রকৃতির ধ্বংসাত্মক শক্তির এক প্রমাণ, কিন্তু আরও গভীরভাবে, এটি বিশাল ব্যক্তিগত ক্ষতির গল্প, ভালোবাসার বিচ্ছেদের, এবং যা হতে পারত তার দীর্ঘস্থায়ী দুঃখের।

এক জনশূন্য দ্বীপে তিনজন বন্ধু – রবিন, বাবু আর আকাশ – ঘুরতে গিয়েছিল। দ্বীপে ঘুরতে ঘুরতে তারা একটা পুরনো, ধুলোমাখা মানচিত্...
29/05/2025

এক জনশূন্য দ্বীপে তিনজন বন্ধু – রবিন, বাবু আর আকাশ – ঘুরতে গিয়েছিল।

দ্বীপে ঘুরতে ঘুরতে তারা একটা পুরনো, ধুলোমাখা মানচিত্র খুঁজে পেল। মানচিত্রে একটা জায়গায় বড় করে ‘X’ আঁকা ছিল আর তার পাশে লেখা ছিল, "এখানেই ঘুমিয়ে আছে ভোঁদড়-ডাইনোসর!"
নামটা শুনেই রবিনের চোখ কপালে উঠলো, "ভোঁদড়-ডাইনোসর? এটা আবার কী জিনিস?"

বাবু তার বিশাল জ্ঞানের ভাণ্ডার থেকে তথ্য বের করার চেষ্টা করলো, "হুমম... ডাইনোসর তো শুনেছি, কিন্তু ভোঁদড়-ডাইনোসর?"
আকাশ, যে কিনা সবসময় সবকিছুতে মজা খুঁজে পায়, হেসে বলল, "তাহলে মনে হয় এরা সাঁতারও কাটতে পারত আর গর্তও খুঁড়তে পারত! ভাবো তো, একটা বিশাল টি-রেক্স নদীর পাড়ে বসে বাদামের খোলস ছাড়ছে!"

মানচিত্র ধরে তারা এগিয়ে চলল। জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হাঁটার সময় তারা অদ্ভুত পায়ের ছাপ দেখতে পেল। ছাপগুলো বড়সড় কিন্তু তাতে ছোট ছোট নখের দাগও ছিল।

"দেখো! এগুলোর মালিক নিশ্চয়ই ভোঁদড়-ডাইনোসর!" রবিন ভয়ে ভয়ে বলল।

কিছুক্ষণ পর তারা একটা বিশাল গুহার সামনে এসে দাঁড়ালো। গুহার মুখটা লতানো গাছে ঢাকা ছিল। আকাশ একটা লতা সরিয়ে উঁকি মারতেই চেঁচিয়ে উঠলো, "ওহ বাবা!"

বাবু আর রবিন তাড়াতাড়ি এগিয়ে এসে দেখলো। গুহার ভেতরে একটা বিশাল কঙ্কাল শুয়ে আছে। কঙ্কালটা একটা ডাইনোসরের মতো, তবে তার মুখের সামনে দুটো বড় বড় দাঁত আর পায়ের দিকে ছোট ছোট থাবার মতো হাড় দেখা যাচ্ছে।

"দেখেছো! বলেছিলাম না ভোঁদড়-ডাইনোসর!" আকাশ আনন্দে চিৎকার করলো।
হঠাৎ কঙ্কালের পেছনের দিক থেকে একটা খসখস আওয়াজ এল। তিনজনই ভয়ে জমে গেল। তারপর যা দেখা গেল, তাতে তাদের চোখ ছানাবড়া!

একটা ছোটখাটো, লোমশ প্রাণী, যার লম্বা লেজ আর ধারালো দাঁত, কঙ্কালের একটা হাড় চিবোচ্ছে! প্রাণীটা তাদের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে বলল, "আপনারা কি আমার পুরনো বাড়িটা দেখতে এসেছেন? এটা আমার দাদুর কঙ্কাল ছিল। বুড়ো ভোঁদড়টা বিশালদেহী ছিল বুঝলেন?"

রবিন, বাবু আর আকাশ একে অপরের দিকে বোকার মতো তাকিয়ে রইল।
বাবু ঢোঁক গিলে বলল, "তুমি... তুমি কি একটা ভোঁদড়?"
"আজ্ঞে হ্যাঁ! আমি ভোঁদড় বংশের শেষ উত্তরসূরি। আমার পূর্বপুরুষরা এই দ্বীপে ডাইনোসরদের সাথে বন্ধুত্ব করে থাকত। তারা আসলে খুব মিশুকে আর শান্ত প্রকৃতির ছিল, শুধু মাঝে মাঝে বেশি বাদাম খেয়ে ফেলত!" ছোট্ট ভোঁদড়টা হেসে উত্তর দিল।
আকাশ হেসে গড়িয়ে পড়ল, "তাহলে সেই মানচিত্রটা একজন রসিক ভোঁদড়ের কাজ ছিল!"

রবিন বলল, "কিন্তু ওই পায়ের ছাপগুলো?"
ভোঁদড়টা তার ছোট ছোট থাবা দেখিয়ে বলল, "ওগুলো আমার! আমি মাঝে মাঝে পুরনো অভ্যাস ভুলতে পারি না তো! বড়দের মতো করে হাঁটার চেষ্টা করি!"

এরপর তিনজন বন্ধু সেই মজার ভোঁদড়ের সাথে অনেকক্ষণ গল্প করলো এবং বুঝতে পারলো যে পৃথিবীতে সত্যিই অনেক অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে আছে, যাদের আমরা হয়তো ভোঁদড়-ডাইনোসর নাম দিতে পারি!

 # # 😄 **বাংলা মজার গল্প****গল্পের নামঃ** শিক্ষক বনাম ছাত্র✍️ **লেখকঃ মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ**📘 **page: Dhakapost....
22/05/2025

# # 😄 **বাংলা মজার গল্প**

**গল্পের নামঃ** শিক্ষক বনাম ছাত্র
✍️ **লেখকঃ মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ**
📘 **page: Dhakapost.net**

একদিন এক শিক্ষক ক্লাসে ছাত্রদের জিজ্ঞেস করলেন —
**শিক্ষক:** বলো তো, “বুদ্ধিমান” আর “বোকা” এর মধ্যে পার্থক্য কী?

**রাকিব:** স্যার, যারা পরীক্ষা না পড়ে পাশ করে, তারা বুদ্ধিমান।
আর যারা পড়ে পড়ে ফেল করে, তারা বোকা।

**শিক্ষক:** (হতবাক হয়ে) তুমি কোন ক্যাটাগরির?

**রাকিব:** স্যার, আমি তো মাঝামাঝি... পড়িও না, পাশও করি না।

শ্রেণিকক্ষ এক মুহূর্তে হাসিতে ফেটে পড়ল। 😂

---

# # 🤣 **বাংলা কৌতুক – ১**

**স্ত্রী ও স্বামী**
স্ত্রী: শুনছো, তোমাকে একটা খুশির খবর দেব!
স্বামী: কি খবর?
স্ত্রী: আমি আজকে রান্না করিনি!
স্বামী: (ঘেমে উঠে) ধন্যবাদ জানাই আগেই বলার জন্য, আমি এখনই হোটেলের দিকে রওনা হচ্ছি!

---

# # 🤣 **বাংলা কৌতুক – ২**

**ডাক্তারের কাছে রোগী**
রোগী: ডাক্তার সাহেব, আমি রাতে ঘুমোতে পারি না।
ডাক্তার: কেন?
রোগী: ঘুমাতে গেলে মনে হয় আমার ফেসবুক কেউ হ্যাক করছে!
ডাক্তার: তাহলে ফেসবুক অফ করে ঘুমাও।
রোগী: ধুর! ফেসবুক অফ করলেই তো স্বপ্নে নোটিফিকেশন আসে!

---

# # 🤣 **বাংলা কৌতুক – ৩**

**বাচ্চার জবাব**
শিক্ষক: কালকে স্কুলে অনুপস্থিত ছিলে কেনো?
ছাত্র: স্যার, সেদিন আম্মু বলেছে স্কুলে না গিয়েও মানুষ হওয়া যায়।
শিক্ষক: আর আমি বলছি এইভাবে থাকলে মানুষ না হয়ে মেম্বার হবা!

---

**এই রকম আরও মজার গল্প ও কৌতুক পেতে চোখ রাখুন 👉 [Dhakapost.net](https://facebook.com/dhakapost.net)**
✍️ **লেখক:** মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ



















ঠাকুমা আর নাতনির গল্পলেখক: মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ এক ছিল ঠাকুমা। তার নাম ছিল জটিলা। তার আবার একটা নাতনি ছিল, নাম অরুন্ধতী। ...
20/05/2025

ঠাকুমা আর নাতনির গল্প
লেখক: মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ

এক ছিল ঠাকুমা। তার নাম ছিল জটিলা। তার আবার একটা নাতনি ছিল, নাম অরুন্ধতী। কিন্তু নাতনিকে সে আদর করে ডাকত 'অরু'। জটিলা ঠাকুমা যেমন রসিক, তেমনি অলস। আর অরুন্ধতী ছিল ঠিক তার উল্টো। চটপটে, আর কাজে অক্লান্ত।

একদিন জটিলা ঠাকুমা অরুন্ধতীকে বলল, "অরু, আমার না আজ খুব পিঠে খেতে ইচ্ছে করছে। তুই একটু পুলি পিঠে বানাবি?"
অরুন্ধতী তো শুনেই খুশি। বলল, "ঠিক আছে ঠাকুমা, আমি এখনই বানাচ্ছি।"

অরুন্ধতী যেই না রান্নাঘরে গেছে, অমনি জটিলা ঠাকুমা বিছানায় গিয়ে লম্বা ঘুম। অরুন্ধতী অনেক কষ্ট করে পিঠে বানালো। তারপর ঠাকুমাকে ডাকতে গেল।

"ঠাকুমা, ও ঠাকুমা! পিঠে তৈরি হয়ে গেছে। উঠো, পিঠে খাবে।"
জটিলা ঠাকুমা ঘুমের ঘোরে পাশ ফিরে বলল, "উফফ, জ্বালাস না তো! ঘুমাতে দে।"

অরুন্ধতী ভাবল, ঠাকুমা হয়তো ঘুমোচ্ছে। তাই সে একটা বাটিতে করে পিঠে এনে ঠাকুমার মাথার কাছে রাখল।
খানিকক্ষণ পর ঠাকুমার ঘুম ভাঙল। সে দেখল তার মাথার কাছে একটা বাটি ভর্তি পিঠে। ঠাকুমা তো মহা খুশি। ভাবল, "ইসস, অরুটা কি ভালো! আমি যখন ঘুমোচ্ছিলাম, তখন আমাকে না জাগিয়েই পিঠে এনেছে।"

ঠাকুমা যেই না পিঠে খেতে যাবে, অমনি দেখল বাটিতে একটাও পিঠে নেই! সব পিঠে উধাও। ঠাকুমা তো রেগে টং। "অরু! ও অরু! পিঠেগুলো গেল কোথায়? তুই খেয়ে নিলি নাকি?"

অরুন্ধতী রান্নাঘর থেকে এসে বলল, "না তো ঠাকুমা, আমি তো খাইনি। আমি তো তোমার জন্যেই রেখেছিলাম।"
ঠাকুমা আর নাতনি মিলে সারা ঘর খুঁজলো, কিন্তু পিঠের কোনো হদিশ পেল না। শেষে অরুন্ধতী দেখল, ঠাকুমার বিছানার পাশে একটা ইঁদুর দিব্যি আরামে পিঠে খাচ্ছে!

অরুন্ধতী হেসে বলল, "ঠাকুমা, তোমার পিঠে তো ইঁদুর খাচ্ছে!"
জটিলা ঠাকুমা দেখে তো অবাক! বলল, "আরে বাবা! ইঁদুরগুলো দেখি আমার থেকেও অলস! আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, আর ওরা আমার অজান্তেই আমার পিঠে সাবাড় করে দিল!"
এই বলে ঠাকুমা আর নাতনি দুজনেই হাসতে শুরু করল। ঠাকুমা হাসতে হাসতে বিছানা থেকে প্রায় পড়েই যাচ্ছিল, কিন্তু অরুন্ধতী তাকে ধরে ফেলল।

পরদিন জটিলা ঠাকুমা অরুন্ধতীকে বলল, "অরু, আজ না আমার পায়েস খেতে ইচ্ছে করছে। তুই একটু পায়েস বানাবি?"
অরুন্ধতী হেসে বলল, "আজ আর ইঁদুরকে পায়েস খেতে দিও না ঠাকুমা!"

জটিলা ঠাকুমা বলল, "না রে বাবা! আজ আমি জেগে থেকে পায়েস খাবো।"
এই বলে ঠাকুমা আর নাতনি দুজনেই হাসতে শুরু করল। আর এভাবেই তাদের দিন কাটতে লাগল হাসতে হাসতে।

কিছু হ্যাশট্যাগ নিচে দেওয়া হলো:
* #ঠাকুমানাতনি
* #হাসিরগল্প
* #কৌতুক
* #মজারগল্প
* #পুলি_পিঠে
* #পায়েস
* #ইঁদুরমামা
* #গ্রামীণজীবন
* #মজার_ঘটনা
* #বাঙালিরকৃষ্টি
* #মোহাম্মদবাইতুল্লাহ

অন্ধকারের পর আলোমোহাম্মদ বাইতুল্লাহ রাত ১:৫২, মে ২০, ২০২৫। শহরের বাইরে একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামে শুভ্রা একা জেগে আছে। তা...
19/05/2025

অন্ধকারের পর আলো
মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ

রাত ১:৫২, মে ২০, ২০২৫। শহরের বাইরে একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামে শুভ্রা একা জেগে আছে। তার ঘরের জানালা খোলা, আর বাইরে ঝড়ের আভাস। তার হাতে একটি নোটবুক আর কলম। সে লিখছে—প্রশ্নের পর প্রশ্ন। "যদি ঈশ্বর সর্বশক্তিমান, তবে কেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে? কেন শিশুরা ক্ষুধায় মরে? কেন বিশ্বের আইনগুলো এত নিখুঁত, যেন কোনো স্রষ্টার প্রয়োজন নেই?"

শুভ্রা পড়াশোনায় মেধাবী। সে জানে, বিশ্ব ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে বिग ব্যাঙ থেকে শুরু হয়েছিল। সে জানে, জীবনের উৎপত্তি হয়েছিল রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, নয়তো ডিএনএ-এর গঠনের মাধ্যমে। কিন্তু তার মনে একটি প্রশ্ন জ্বলছে: "যদি এটি সবই প্রকৃতির নিয়মে ঘটে, তবে আমাদের জীবনের অর্থ কী?" ধর্ম বলে, "ঈশ্বর তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, তিনি তোমার জন্য একটি উদ্দেশ্য রেখেছেন।" কিন্তু শুভ্রা ভাবে, "যদি উদ্দেশ্যটি ঈশ্বর থেকে আসে, তবে সে উদ্দেশ্য কি সত্যিকারের আমার?"

সে বই পড়ে—রিচার্ড ডকিন্স, ডেভিড হিউম, এবং স্টিফেন হকিং। ডকিন্স বলেন, "আমরা জিনের মাধ্যমে বেঁচে থাকি, আমাদের অস্তিত্ব একটি জৈবিক প্রক্রিয়া।" হিউম জোর দেন, "কারণ ও ফলের সম্পর্কে আমাদের ধারণা মানুষের মনের উপজাত; সেখানে কোনো দৈব হস্তের প্রয়োজন নেই।" হকিং বলেন, "বিশ্বের আইনগুলো এত নির্দিষ্ট যে, একটি স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রয়োজনীয়তা শূন্য।" শুভ্রা এই যুক্তিগুলোকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে। সে ভাবে, "যদি বিশ্ব নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করতে পারে, তবে আমরা কি নিজেদের অর্থ নির্ধারণ করতে পারি না?"

পরদিন সকালে, গ্রামের একটি ধর্মীয় সভায় শুভ্রা যোগ দেয়। একজন পুরোহিত বলছেন, "ঈশ্বর আমাদের প্রতিটি কষ্টের মধ্যে আছেন, তিনি আমাদের পরীক্ষা করছেন।" শুভ্রা উঠে দাঁড়ায়। সে শান্ত গলায় বলে, "যদি ঈশ্বর পরীক্ষা করেন, তবে তিনি কেন অকৃতকার্য শিশুদের জীবন নেন? যুক্তিবাদীভাবে ভেবে দেখুন—যদি একজন বাবা তার সন্তানকে কষ্ট দেয় শুধু পরীক্ষার জন্য, তবে আমরা তাকে নৃশংস বলব। কেন ঈশ্বরের ক্ষেত্রে এই নৃশংসতা গ্রহণযোগ্য?" সভায় চাপ সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ ক্রুদ্ধ হয়, কিন্তু একজন বৃদ্ধ জোর দেন, "শুভ্রা সঠিক প্রশ্ন করেছে।"

শুভ্রা তখন গবেষণায় ঢোকে। সে জানে, পৃথিবীর ভূ-গতিবিদ্যা, আবহাওয়া, এবং জৈববৈচিত্র্য সবই প্রকৃতির নিয়মে চলে। সে একটি তত্ত্ব উপস্থাপন করে: "যদি কোনো স্রষ্টা না থাকে, তবে আমাদের কষ্টের দায়িত্ব আমাদের নিজেদের ওপর। আমরা যদি পরিবেশ সংরক্ষণ করি, শিক্ষা বাড়াই, তবে কষ্ট কমবে।" সে গ্রামের লোকদের সাথে একটি প্রকল্প শুরু করে—বন রক্ষা এবং বৈজ্ঞানিক চিন্তার প্রশিক্ষণ।

কয়েক বছর পর, গ্রামে পরিবর্তন আসে। ঝড়ের ক্ষতি কমে, শিশুরা স্কুলে যায়। শুভ্রা একদিন আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবে, "বিশ্ব আমাকে কিছু দেনি, কিন্তু আমি নিজে আমার জীবনের অর্থ তৈরি করেছি।" সে বুঝে, নাস্তিক্যবাদ মানে শুধু অবিশ্বাস নয়—এটি মানুষের স্বাধীনতা এবং দায়িত্বের জয়।

আকাশে তারাগুলো এখনো জ্বলছে, নীরবে শুভ্রার যুক্তির সাক্ষী।

#অন্ধকারেরপরআলো
#গভীরযুক্তি
#নাস্তিক্যবাদীচিন্তা
#বিজ্ঞানেরপথ
#মানবিকদায়িত্ব





#মোহাম্মদবাইতুল্লাহ

 # # # স্বর্গের ঠিকানা আর রহিমের যুক্তিরহিম ছিল গ্রামের এক নাস্তিক ছেলে, তবে তার মজার স্বভাবের জন্য সবাই তাকে পছন্দ করত।...
17/05/2025

# # # স্বর্গের ঠিকানা আর রহিমের যুক্তি

রহিম ছিল গ্রামের এক নাস্তিক ছেলে, তবে তার মজার স্বভাবের জন্য সবাই তাকে পছন্দ করত। সে সবসময় যুক্তি দিয়ে কথা বলত, কিন্তু তার কথায় হাসির ঝড় উঠত। গ্রামে এক পুরোহিত ছিলেন, নাম হরিপদ। হরিপদ সবসময় বলতেন, “দেবতার কৃপায় আমরা বেঁচে আছি। তাঁর পথে চললে স্বর্গ পাবে!”

একদিন রহিম আর হরিপদ মাঠের পাশে বসে আলু ভাজা খাচ্ছিল। হরিপদ বললেন, “রহিম, তুমি দেবতায় বিশ্বাস করো না, কিন্তু মরার পর যদি স্বর্গে যেতে হয়, তখন কী করবে?”

রহিম একটা আলু ভাজা মুখে দিয়ে হেসে বলল, “হরিপদ কাকা, স্বর্গে যাওয়ার জন্য তো ঠিকানা লাগবে! দেবতা আমাকে ঠিকানা দিয়েছেন? আমি তো ডাকঘরে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘স্বর্গের পিনকোড কত?’ তারা বলল, ‘আমরা শুধু পৃথিবীর ঠিকানায় চিঠি পাঠাই!’ তাহলে আমি কীভাবে স্বর্গে যাব?”

হরিপদ একটু গম্ভীর হয়ে বললেন, “এটা বিশ্বাসের ব্যাপার, রহিম। বিশ্বাস করলে দেবতা তোমাকে স্বর্গে নিয়ে যাবেন।”

রহিম হাসতে হাসতে বলল, “কাকা, আমার বন্ধু নাসির বলল, তার দেবতা আলাদা, সে বলে তার স্বর্গে আমার স্বর্গের দেবতার এন্ট্রি নেই। এখন আমি কোন স্বর্গে যাব? আর যদি ভুল স্বর্গে চলে যাই, তাহলে তো ফেরত আসার টিকিটও নেই! আমি তো ভাবছি, এত ঝামেলার চেয়ে পৃথিবীতেই থাকি, এখানে তো আলু ভাজা আছে!”

হরিপদ হেসে ফেললেন, “তোমার মাথায় এত প্রশ্ন কীভাবে আসে, রহিম? তুমি না দেবতায় বিশ্বাস করো না, তাহলে স্বর্গ নিয়ে এত চিন্তা কেন?”

রহিম চোখ টিপে বলল, “কাকা, আমি তো শুধু তোমার বিশ্বাসের যুক্তি পরীক্ষা করছি! আমার কাছে তো পৃথিবীই স্বর্গ—এই আলু ভাজা, তোমার সঙ্গে গল্প, আর গ্রামের এই শান্তি। এর চেয়ে বেশি স্বর্গ আমার লাগবে না। তবে তুমি যদি স্বর্গে যাও, আমার জন্য একটা আলু ভাজার প্যাকেট পাঠিয়ো, দেখি ডাকঘর সেটা পৌঁছে দেয় কি না!”

হরিপদ হাসতে হাসতে বললেন, “তোর যুক্তি আমার বিশ্বাসের চেয়েও শক্ত, রহিম! চল, আরেক প্লেট আলু ভাজা খাই।”
😄

- #হাস্যরস ( )
- #নাস্তিক্যবাদ ( )
- #যুক্তিবাদ ( )
- #আলুভাজারগল্প ( )
- #স্বর্গেরহাসি ( )
- #মজারচিন্তা ( )
- #গ্রামেরমজা ( )
- #দার্শনিকহাস্য ( )
- #মুক্তমন ( )
- #জীবনেরমজা ( )

#মোহাম্মাদবাইতুল্লাহ

ঘটনাটা ঘটেছিল আমাদের গ্রামের পাশে বক্কর চাচার চায়ের দোকানে। বক্কর চাচা মানুষটা যেমন দিলখোলা, তেমনই ভুলোমনা। তার দোকানে স...
15/05/2025

ঘটনাটা ঘটেছিল আমাদের গ্রামের পাশে বক্কর চাচার চায়ের দোকানে। বক্কর চাচা মানুষটা যেমন দিলখোলা, তেমনই ভুলোমনা। তার দোকানে সবসময় গ্রামের লোকে লোকারণ্য থাকে, কারণ চা তো অমৃতের মতো বানাতেনই, তার ওপর বিনে পয়সায় হাসির খোরাকও পাওয়া যেত।
একদিন দুপুরে, তেমন ভিড় নেই। বক্কর চাচা একা হাতে চা বানাচ্ছেন আর গুনগুন করে পুরনো দিনের গান গাইছেন। এমন সময় ঢুকলেন আমাদের গ্রামের মাতব্বর সুরুজ মিয়া। সুরুজ মিয়ার যা স্বভাব, এসেই হাঁকডাক শুরু করলেন, "ওহে বক্কর! দুটো কড়া লিকারের চা দাও তো, আর হ্যাঁ, চিনি যেন কম হয়। আমার প্রেসারটা আজকাল একটু বাড়ছে।"
বক্কর চাচা মুচকি হেসে বললেন, "অবশ্যই সুরুজ ভাই। আপনার জন্য স্পেশাল চা বানাচ্ছি।"
চা বানানোর সময় বক্কর চাচা অন্যমনস্ক হয়ে কী যেন ভাবছিলেন। চা হয়ে গেলে দুটো ভাঁড়ে ঢাললেন ঠিকই, কিন্তু চিনি দেওয়ার বেলায় ঘটলো বিপত্তি। সুরুজ মিয়া চিনি কম চেয়েছেন, এটা তার মনে ছিল না। তাই তিনি দু'চামচ ভর্তি করে চিনি দিয়ে দিলেন দুটো চায়ের ভাঁড়েই।
চা নিয়ে সুরুজ মিয়ার সামনে হাজির হয়ে বক্কর চাচা বললেন, "এই নিন সুরুজ ভাই, আপনার স্পেশাল চা। একদম কড়া লিকার আর... হ্যাঁ, চিনিটা একটু মেপে দিয়েছি।" শেষ কথাটা তিনি নিজের মনেই বিড়বিড় করে বললেন।
সুরুজ মিয়া প্রথম চুমুকটি যেই না মুখে দিয়েছেন, তার চোখ কপালে ওঠার জোগাড়! এত মিষ্টি চা তিনি জীবনেও খাননি। রাগে গরগর করতে করতে বললেন, "বক্কর! এটা কী বানিয়েছো তুমি? এটা চা না চিনির শরবত?"
বক্কর চাচা প্রথমে হকচকিয়ে গেলেন। "কী বলছেন সুরুজ ভাই? আমি তো..."
কথা শেষ না হতেই দোকানের এক কোণায় বসে থাকা নাদের আলী খ্যাক খ্যাক করে হেসে উঠলো। নাদের আলী একটু বোকা সোকা ধরনের, কিন্তু তার হাসিটা contagious. তাকে হাসতে দেখে আরও দু'একজন নিজেদের হাসি চেপে রাখতে পারলো না।
সুরুজ মিয়া আরও রেগে গিয়ে বললেন, "হাসির কী হলো? এই বোকাদাস চা বানিয়েছে আর তোমরা হাসছো?"
তখন নাদের আলী বলল, "আরে সুরুজ ভাই, রাগ করছেন কেন? আসলে বক্কর চাচা আজ সকালে ভুল করে লবণদানির জায়গায় চিনিদানি রেখে দিয়েছিলেন। হয়তো আপনার চায়ের লবণটা..."
কথা শেষ না হতেই বক্কর চাচার মাথায় হাত। "ওহ হো! তাই তো! সকালে নাস্তা বানানোর সময়..." তিনি তাড়াতাড়ি চিনির কৌটাটা হাতে নিলেন। "সুরুজ ভাই, মনে হচ্ছে ভুল করে চিনি বেশি পড়ে গেছে। আপনি একটু সবুর করুন, আমি এক্ষুনি আরেক কাপ বানিয়ে দিচ্ছি।"
সুরুজ মিয়ার রাগ তখন কিছুটা কমেছে, তবে বিরক্তি তখনও যায়নি। তিনি বললেন, "থাক আর বানাতে হবে না। আমার প্রেসারের যা অবস্থা, এই মিষ্টি চা খেলেই নির্ঘাত স্ট্রোক হবে। বরং তুমি আমার জন্য এক গ্লাস জল নিয়ে এসো।"
বক্কর চাচা তাড়াতাড়ি জল আনতে গেলেন। জল নিয়ে এসে দেখেন, সুরুজ মিয়া তখনও মুখ গোমড়া করে বসে আছেন। বক্কর চাচা আমতা আমতা করে বললেন, "সুরুজ ভাই, আসলে আজ একটু ভুল হয়ে গেছে। পরের বার থেকে আপনার চা আমি নিজ হাতে বানিয়ে দেবো, একদম পারফেক্ট হবে।"
তখন সুরুজ মিয়া একটু নরম হয়ে বললেন, "ঠিক আছে বক্কর। ভুল তো মানুষেরই হয়। তবে হ্যাঁ, পরের বার যেন মনে থাকে আমার প্রেসারের কথা।"
বক্কর চাচা হাত কচলে বললেন, "নিশ্চয়ই সুরুজ ভাই, নিশ্চয়ই। আর আজকের চায়ের দাম লাগবে না।"
কথাটা শুনে সুরুজ মিয়ার মুখটা একটু হাসি হাসি হলো। "তাহলে আরেক গ্লাস জল দাও বক্কর।"
জল খেয়ে সুরুজ মিয়া যখন দোকানের বাইরে যাচ্ছেন, তখন নাদের আলী আবার সেই খ্যাক খ্যাক হাসি শুরু করলো। এবার আর কেউ হাসি থামাতে পারলো না, এমনকি বক্কর চাচাও না। সুরুজ মিয়া পেছন ফিরে একবার তাকালেন, তবে তিনিও হালকা হাসলেন।
সেই ঘটনার পর বক্কর চাচার দোকানে মাঝে মাঝেই এই গল্পটা ওঠে আর সবাই হেসে গড়িয়ে পড়ে। আর বক্কর চাচা প্রতিবারই বলেন, "ভুল একবারই হয়, তবে সেই ভুলের জন্য এত হাসি পাওয়া যায়, তা আগে জানতাম না।"

#বাংলাদেশ #মোহাম্মাদবাইতুল্লাহ

15/05/2025

😁😁

দ্য গ্রেট চিকেন চেজ- মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ প্রথম অধ্যায়: মুরগির বিদ্রোহএকদিন গ্রামে বসে রহিম নামের একটা লোক তার চায়ের দো...
14/05/2025

দ্য গ্রেট চিকেন চেজ
- মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ

প্রথম অধ্যায়: মুরগির বিদ্রোহ

একদিন গ্রামে বসে রহিম নামের একটা লোক তার চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিল। রহিমের বয়স ৫০, কিন্তু তার মাথার চুল এখনো কালো—যদিও সেগুলোর ৯০% মাফলার দিয়ে লুকিয়ে রাখে। হঠাৎ তার মুরগী খামার থেকে একটা চিৎকার শোনা গেল। রহিম ভাবল, “আবার কি হলো? মুরগিরা কি আমাকে ট্যাক্সের টাকা দিতে বলছে?”

সে ছুটে গেল খামারে, আর দেখল তার সব মুরগি পালিয়ে গেছে! তাদের নেতা ছিল একটা মোটা মুরগি, যার নাম ছিল মিস্টার ক্লক। মিস্টার ক্লকের লাল টুপি ছিল, আর সে গলায় একটা ঘণ্টা বেঁধে ঘুরছিল। সে চেঁচিয়ে বলল, “আমরা আর ডিম দেব না! আমরা স্বাধীন মুরগি রাষ্ট্র চাই!” রহিমের মুখটা লাল হয়ে গেল, কারণ সে জানত তার সারা জীবনের টাকা মুরগিদের ওপর নির্ভরশীল।

দ্বিতীয় অধ্যায়: পাগল পাগল পড়শি

রহিম তার পড়শি হাবিবকে ডাকল, যে একজন এমন লোক যে তার মাথায় সবসময় একটা পুরোনো টিনের ঢাকনা থাকে—বলেন, “এটা আমাকে রোবটের মতো বানায়!” হাবিব এসে বলল, “আমি তোর মুরগি ধরতে পারব, কিন্তু আমার একটা শর্ত—তুই আমাকে একটা মুরগি দিতে হবে, আর সেটা আমার সঙ্গে ডান্স করবে!” রহিম হতভম্ব হয়ে বলল, “ঠিক আছে, কিন্তু ডান্স করবে কীভাবে?”

হাবিব তার টিনের ঢাকনা দিয়ে একটা ড্রাম বাজাতে শুরু করল, আর মিস্টার ক্লক তার ঘণ্টা দিয়ে সাথে সাথে টিপ-টপ ডান্স শুরু করল! গ্রামের সবাই ছুটে এসে দেখতে লাগল। একজন মুরগি মাঝখানে আস্তে আস্তে ঘুরছিল, আর হাবিব চেঁচিয়ে বলল, “দেখলি, আমি মুরগি ডিরেক্টর!” রহিমের হাসি পেল না, কারণ তার মুরগিরা এখন একটা ডান্স টিম হয়ে গেছে!

তৃতীয় অধ্যায়: পুলিশের হাঙ্গামা

গ্রামের পুলিশ কনস্টেবল রফিক এসে বলল, “এটা গোলমালের কেস! আমি এদের ধরব!” কিন্তু রফিকের পায়ে সেই দিন নতুন জুতো ছিল, যেটা সে ভুল করে তেল দিয়ে মেজে ফেলেছিল। সে দৌড়াতে গিয়ে সরাসরি মাটিতে পড়ে গেল, আর তার টুপিটা মিস্টার ক্লকের মাথায় গিয়ে পড়ল! মিস্টার ক্লক এখন পুলিশ টুপি পরে ঘুরছে, আর রফিক চেঁচাচ্ছে, “আমার টুপি ফেরত দে, নইলে তোকে জেলে দেব!”

রহিম আর হাবিব হাসতে হাসতে পড়ে গেল। এমন সময় একটা ছোট মুরগি রফিকের পায়ের ওপর দিয়ে দৌড়ে গেল, আর রফিকের জুতোটা উড়ে গিয়ে গ্রামের মাঝখানের পুকুরে পড়ল! গ্রামের লোকজন এখন হাসির দাপাদাপি—কেউ বলছে, “মুরগিদের পুলিশ তৈরি হয়ে গেল!”

চতুর্থ অধ্যায়: শেষের হাসির ঝড়

অবশেষে রহিম একটা চালাকি করল। সে তার বউকে ডাকল, যে গ্রামের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মুরগি শিকারি। তার বউ এসে একটা বড় ঝুড়ি নিয়ে মুরগিদের দিকে ছুটল, আর চেঁচিয়ে বলল, “এসব মুরগি আমার কড়াইয়ে যাবে!” মিস্টার ক্লক ভয় পেয়ে বলল, “ভাইরা, আমরা আত্মসমর্পণ করছি!” সব মুরগি ঝুড়িতে ঢুকে গেল, কিন্তু মিস্টার ক্লক তার টুপি আর ঘণ্টা নিয়ে পালাল!

রহিম তার বউকে বলল, “তুই এদের রান্না করবি?” তার বউ হেসে বলল, “না, এদের ডান্স টিম হিসেবে রাখব, গ্রামে শো করবে!” সেই থেকে শান্তিপুরে প্রতি রবিবার মুরগিদের ডান্স শো হয়—রফিক টুপি হারিয়ে মাথায় রুমাল বেঁধে দর্শক হয়, আর হাবিব তার টিনের ঢাকনা দিয়ে সঙ্গ দিয়ে। রহিম চায়ের দোকানে বসে হাসে, কারণ তার মুরগিরা এখন তার থেকে বেশি ফেমাস!










,

এক জন বিরাট ভুলোমনের গল্প:এক জন বিরাট ভুলোমনের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি এতটাই ভুলোমনা ছিলেন যে নিজের নাম পর্যন্ত মাঝে মাঝে ভু...
13/05/2025

এক জন বিরাট ভুলোমনের গল্প:

এক জন বিরাট ভুলোমনের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি এতটাই ভুলোমনা ছিলেন যে নিজের নাম পর্যন্ত মাঝে মাঝে ভুলে যেতেন! একদিন তিনি বাজারে গিয়েছেন কিছু জিনিস কিনতে। বাজারে গিয়ে তিনি কী কিনতে এসেছেন, সেটাই ভুলে গেলেন!

অনেকক্ষণ ধরে বাজারের এদিক-ওদিক ঘুরলেন, কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারলেন না তিনি কীসের জন্য এসেছেন। শেষে হতাশ হয়ে এক দোকানে গিয়ে দোকানিকে বললেন, "ভাই সাহেব, কিছু মনে করবেন না। আমি আসলে ভুলে গেছি যে আমি কী কিনতে এসেছি। আপনি কি একটু বলতে পারবেন?"

দোকানি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইলেন। কিছুক্ষণ পর বললেন, "আপনি কি নতুন কিছু?"
অধ্যাপক আরও confused হয়ে বললেন, "নতুন মানে? আমি তো সেই কবে থেকে এই শহরে থাকি!"

দোকানি হেসে বললেন, "না মানে, আপনি কি এর আগে কখনও ভুলে গিয়েছিলেন যে আপনি কী কিনতে এসেছেন?"
অধ্যাপক মাথা চুলকে বললেন, "হ্যাঁ, তবে আজ যেন একটু বেশিই ভুলে গেছি।"

তখন দোকানি বললেন, "তাহলে একটা কাজ করুন। আপনি কিছুক্ষণ এখানে বসুন। যদি মনে পড়ে যায় তো বলবেন।"
অধ্যাপক দোকানে বসলেন। কিছুক্ষণ পর তার মনে পড়ল যে তিনি আসলে ছাতা কিনতে এসেছেন! তিনি তাড়াতাড়ি দোকানিকে বললেন, "হ্যাঁ হ্যাঁ, মনে পড়েছে! আমি ছাতা কিনতে এসেছি!"
দোকানি মুচকি হেসে একটি ছাতা বের করে অধ্যাপকের হাতে দিলেন। অধ্যাপক ছাতাটি নিয়ে দাম জিজ্ঞেস করলেন।
দোকানি বললেন, "পঞ্চাশ টাকা।"

অধ্যাপক পকেট থেকে টাকা বের করতে গিয়ে দেখলেন, তার কাছে একটিও টাকা নেই! তিনি আবার হতাশ হয়ে বললেন, "ওহ হো! আমার কাছে তো একটিও টাকা নেই!"

দোকানি হেসে বললেন, "তাহলে ছাতাটা এখানেই রেখে যান। যখন টাকা আনবেন, তখন নিয়ে যাবেন।"
অধ্যাপক ছাতাটা দোকানে রেখে বাড়ি ফিরে এলেন।
পরের দিন তিনি টাকা নিয়ে আবার বাজারে গেলেন ছাতাটা নিতে। দোকানে গিয়ে তিনি দোকানিকে বললেন, "ভাই সাহেব, আমার ছাতাটা দেবেন?"

দোকানি বললেন, "কোন ছাতাটা?"
অধ্যাপক অবাক হয়ে বললেন, "কেন, যে ছাতাটা আমি গতকাল এখানে রেখে গিয়েছিলাম!"
দোকানি বললেন, "আপনি কি ছাতার কোনও বিশেষ চিহ্ন বলতে পারবেন?"

অধ্যাপক আবারও চিন্তায় পড়ে গেলেন। তিনি তার ছাতার কোনও বিশেষ চিহ্ন মনে করতে পারলেন না! অনেকক্ষণ ধরে ভাবার পর তিনি বললেন, "হ্যাঁ! আমার মনে পড়েছে! ছাতাটার হাতলটা... হ্যাঁ, হাতলটা দিয়ে..."

অধ্যাপক হাতলের কথা বলতে গিয়ে আবার ভুলে গেলেন! তিনি হাত দিয়ে একটা অদ্ভুত ভঙ্গি করতে লাগলেন, যেন কিছু একটা ধরছেন।
দোকানি হেসে বললেন, "বুঝতে পেরেছি! আপনার ছাতার হাতলটা ধরার মতো!"

অধ্যাপক হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। "হ্যাঁ হ্যাঁ! একদম ঠিক!"
দোকানি হাসতে হাসতে একটি ছাতা বের করে অধ্যাপকের হাতে দিলেন। অধ্যাপক ছাতাটি নিয়ে খুশি মনে বাড়ি ফিরলেন।
তবে গল্প এখানেই শেষ নয়! বাড়ি ফিরে অধ্যাপক দেখলেন, তার কাছে দুটো ছাতা! একটি ছাতা তিনি গতকাল কিনেছিলেন, আর একটি আজ! তিনি এতটাই ভুলোমনা ছিলেন যে গতকাল ছাতা কেনার কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন!

#হাসিরগল্প
* #কৌতুক
* #মজারছবি
* #ভুলোমনা
* #অধ্যাপক
* #বাজার
* #ছাতা
* #কমিক
* #বাংলা
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*

"আলো ঝলমলে রাতের আকাশ!"সালটা ছিল ১৮৮৩। স্থান, ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর পুরো বিশ্ব। ক্রাকাত...
13/05/2025

"আলো ঝলমলে রাতের আকাশ!"

সালটা ছিল ১৮৮৩। স্থান, ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর পুরো বিশ্ব। ক্রাকাতোয়ার ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আকাশে প্রচুর পরিমাণে ধুলো এবং ছাই ছড়িয়ে পড়েছিল। এই ছাই এবং ধুলো এতটাই বেশি ছিল যে তা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল।

এখন ভাবো, দিনের বেলা আকাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন, সূর্যের আলো ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে না। কিন্তু রাতের আকাশ যেন এক ভিন্ন রূপে সেজে উঠেছে! পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ রাতের আকাশে অদ্ভুত সুন্দর আলোর ছটা দেখতে পাচ্ছিল। সেই আলো কোনো সাধারণ তারা বা চাঁদের আলো ছিল না। আকাশে দেখা যাচ্ছিল বিভিন্ন রঙের আভা – লাল, সবুজ, সোনালী এবং বেগুনি রঙের আলোর ঝলকানি!

কেউ কেউ ভয় পেয়েছিল, ভেবেছিল বুঝি পৃথিবীর শেষ কাছে চলে এসেছে। আবার অনেকে সেই অপার্থিব সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল। রাতের আকাশ যেন কোনো জাদুকরের তুলিতে আঁকা এক বিশাল ক্যানভাসে পরিণত হয়েছিল। সংবাদপত্রগুলোতে সেই আশ্চর্য আলোর খবর ছাপা হতে লাগলো। বিজ্ঞানীরাও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন, এমন দৃশ্য আগে কখনো দেখা যায়নি।

এই আলোর ছটা এতটাই উজ্জ্বল ছিল যে কোথাও কোথাও মধ্যরাতেও দিনের আলোর মতো মনে হতো! মানুষজন রাতে বই পড়তে পারত বা বাইরে হেঁটে বেড়াতে পারত সেই আলোয়। প্রায় দুই বছর ধরে পৃথিবীর রাতের আকাশ এই অসাধারণ আলোয় ঝলমল করেছিল।

ঘটনার ব্যাখ্যা:

এই আশ্চর্য আলোর কারণ ছিল ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়া সূক্ষ্ম ধুলো এবং ছাইয়ের কণা।

আসলে, যখন সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তখন তা বিভিন্ন গ্যাসের অণু এবং ছোট কণার দ্বারা scattering বা বিক্ষিপ্ত হয়। এই scattering এর কারণেই দিনের আকাশ নীল দেখায় (নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট হওয়ায় এটি বেশি বিক্ষিপ্ত হয়)।

ক্রাকাতোয়ার অগ্ন্যুৎপাতের পর বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে অতি সূক্ষ্ম ধুলো এবং ছাইয়ের কণা ভেসে বেড়াচ্ছিল। এই কণাগুলো আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যর চেয়ে সামান্য বড় ছিল। ফলে, যখন সূর্যাস্ত হতো এবং দিগন্তের নীচ থেকে আলো আসত, তখন সেই আলো এই কণাগুলোর দ্বারা বিশেষভাবে diffracted বা অপবর্তিত হতো।

বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো বিভিন্ন দিকে বেঁকে যেত এবং রাতের আকাশে বিভিন্ন রঙের আলোর ছটা তৈরি করত। লাল রঙের আলোকরশ্মি তুলনামূলকভাবে কম বেঁকেছিল, তাই দিগন্তের কাছাকাছি লাল বা কমলা আভা বেশি দেখা যেত। অন্যদিকে, অন্যান্য রঙের আলোও বিক্ষিপ্ত হয়ে রাতের আকাশকে এক বর্ণিল রূপ দিত।

ধীরে ধীরে যখন বায়ুমণ্ডল থেকে ধুলো এবং ছাইয়ের কণা оседать শুরু করলো, তখন সেই আশ্চর্য আলোর দৃশ্যও মিলিয়ে গেল। কিন্তু সেই রাতের আকাশ, যা আগ্নেয়গিরির ধ্বংসলীলার পরেও এত সুন্দর হতে পারে, তা আজও মানুষের স্মৃতিতে এক বিষ্ময়কর ঘটনা হিসেবে গাঁথা আছে।

#আলোঝলমলেরাত
#ক্রাকাতোয়া
#আশ্চর্য_আকাশ
#১৮৮৩
#প্রকৃতির_আলো
#বায়ুমণ্ডলের_খেলা
#বিজ্ঞান_ও_বিস্ময়

#ঐতিহাসিক_আলো
#বর্ণিল_আকাশ
#আগ্নেয়গিরির_প্রভাব

Address

Dhaka
Kishoreganj
2300

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mohammad Bitullah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mohammad Bitullah:

Share