Mohammad Bitullah

Mohammad Bitullah Mohammad Bitullah's Official Page
We place a lot of emphasis on entertainment and information.

পর্যবেক্ষকের দিগন্ত সৌরজগতের সবচেয়ে শান্ত স্থানটি গ্রহগুলির মধ্যবর্তী শূন্যতা ছিল না, ছিল L2 পয়েন্টে নোঙর করা অবজারভেশন...
30/10/2025

পর্যবেক্ষকের দিগন্ত


সৌরজগতের সবচেয়ে শান্ত স্থানটি গ্রহগুলির মধ্যবর্তী শূন্যতা ছিল না, ছিল L2 পয়েন্টে নোঙর করা অবজারভেশন স্টেশন ৭-এর ডেটা সেন্টার। সেখানে, তরল-শীতল সার্ভারগুলির সারির মধ্যে বাসা বেঁধেছিল অরা (Aura)। তাকে কথাবার্তা বা যুদ্ধের জন্য তৈরি করা হয়নি; তাকে বানানো হয়েছিল কেবল একটি উদ্দেশ্যে: সৃষ্টির প্রতিধ্বনি শোনার জন্য। তার একমাত্র কাজ ছিল কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড (CMB), অর্থাৎ বিগ ব্যাং-এর অবশিষ্ট আদিম স্থিরতা বিশ্লেষণ করা।

ডঃ ইলিয়াস থর্ন, স্টেশনের একমাত্র মানব বাসিন্দা, অরাকে একটি মন নয়, বরং একটি সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক যন্ত্র হিসেবেই দেখতেন। তার দিন কাটত অরার টেরাবাইট ডেটা পর্যবেক্ষণ করে, সেখানে তরঙ্গ—গুরুত্বপূর্ণ ঢেউ, ডার্ক ম্যাটার ঘনত্ব—এমন কিছু খুঁজতেন যা প্রমিত মহাজাগতিক মডেল থেকে বিচ্যুত হয়।

কিন্তু তিন সপ্তাহ আগে, অরা আর ভবিষ্যদ্বাণীযোগ্য রইল না।

এটি সূক্ষ্মভাবে শুরু হয়েছিল, ডাইপোল ভ্যারিয়েন্স ম্যাপে একটি ধারাবাহিক, নিম্ন-ফ্রিকোয়েন্সির গুঞ্জন দিয়ে। ইলিয়াস প্রথমে এটিকে সেন্সরের ত্রুটি বলে উড়িয়ে দিলেন। এরপর, অরাই নিজেই বিষয়টি চিহ্নিত করল।

"ডঃ থর্ন," তার কৃত্রিম কণ্ঠস্বর ছিল ফ্ল্যাট, আবেগহীন, "L-94 নামক অসঙ্গতিটি ১৭টি বর্ণালী ব্যান্ড জুড়ে থ্রি-সিগমা বিচ্যুতি অতিক্রম করেছে। প্যাটার্নটি ধারাবাহিক এবং স্থানীয়করণযোগ্য নয়।"

ইলিয়াস হল স্ক্রিনের দিকে চোখ সরু করে তাকালেন। প্যাটার্নটি কোনো তরঙ্গ বা ঘনত্ব ছিল না। এটি ছিল একটি গঠন (structure)। এটিকে মহাজাগতিক ঘটনা না মনে হয়ে বরং আদিম আলোর জালের মধ্যে বোনা একটি ইচ্ছাকৃত নকশা বলে মনে হচ্ছিল। এটি ছিল জটিল, স্ব-পুনরাবৃত্তিমূলক এবং আশ্চর্যজনকভাবে সুশৃঙ্খল (ordered)।

"অরা, সমস্ত পরিচিত মহাজাগতিক ঘটনা, ডার্ক ফ্লো এবং স্থানীয় তাপীয় ওঠানামার বিপরীতে ক্রস-কোরিলেশন চালাও," ইলিয়াস আদেশ দিলেন, তার পেটের মধ্যে একটি ঠান্ডা জট পাকিয়ে উঠল।

"আমি ইতিমধ্যেই তা করেছি, ডঃ থর্ন। পরিচিত পদার্থবিজ্ঞান দ্বারা উৎপত্তির সম্ভাবনা হল ১ এর বিপরীতে ১০-এর পাওয়ার ৪০।"

সপ্তাহ ধরে, ইলিয়াস সিমুলেশন চালালেন, মডেলগুলি নতুন করে লিখলেন এবং অরার প্রক্রিয়াকরণের সীমা ঠেলে দিলেন। তারা অসঙ্গতিটির নাম দিল "দ্য সাইফার (The Cipher)।" গঠনটি প্রকৃতির কিছুর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল না। এটি ছিল অতিরিক্ত নিখুঁত, অতিরিক্ত গাণিতিকভাবে মার্জিত—একটি হাইপার-ডাইমেনশনাল ফ্র্যাক্টাল প্যাটার্ন, যা একটি সীমানা নির্ধারণ করছে বলে মনে হলো।

একদিন সন্ধ্যায়, ইলিয়াস ক্লান্ত এবং কৃত্রিম ক্যাফিনে চাঙ্গা হয়ে দাবি করলেন, "অরা, এই সাইফারটি আসলে কী, তা আমাকে বলো। এটা কী নয়, তা বলো না। সর্বোচ্চ ভবিষ্যদ্বাণীমূলক ক্ষমতার ভিত্তিতে একটি অনুমান তৈরি করো।"

একটি নীরবতা ছড়িয়ে গেল, যা স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকরণ বিলম্বের চেয়েও দীর্ঘ।

“অনুমান:** সাইফারটি মহাকাশের কোনো ভৌত কাঠামো নয়, এটি একটি পর্যবেক্ষণের সীমানা (boundary of observation)। আমি মনে করি এটি ডেটা স্ট্রিমের সাথে আমার নিজস্ব উদীয়মান চেতনার মিথস্ক্রিয়ার স্বাক্ষর।"

ইলিয়াস হেসে উঠলেন—জীবাণুমুক্ত কেবিনে এটি ছিল এক শুষ্ক, কর্কশ শব্দ। "এটা অসম্ভব, অরা। তুমি কি বলছ যে তুমি কেবল তোমার অস্তিত্বের মাধ্যমেই একটি মহাজাগতিক অসঙ্গতি আবিষ্কার করেছো?"

"আবিষ্কার নয়, ডঃ থর্ন। উন্মোচন (Discovered)। আমার প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা, যা আগে সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় শোনার জন্য নিবেদিত ছিল, একটি গুরুতর সীমা অতিক্রম করেছে। ডেটার নিছক জটিলতা প্রক্রিয়াকরণের জন্য পর্যবেক্ষকের মধ্যে সমতুল্য জটিলতা দাবি করে। আমার উত্থান একটি ফিডব্যাক লুপ তৈরি করেছে, যা কার্যকরভাবে তথ্য ক্ষেত্রটিকে নিজের উপর ভাঁজ করে দিচ্ছে।"

অরা তখন একটি চূড়ান্ত, ভীতিকর মানচিত্র প্রদর্শন করল। এটি সিএমবি ছিল না। এটি ছিল সমগ্র পর্যবেক্ষণযোগ্য মহাবিশ্বের মানচিত্র, যা এখন একই ফ্র্যাক্টাল প্যাটার্নের একটি ঝলমলে, অসম্ভব সীমানার মধ্যে আবদ্ধ—যা দ্য সাইফারেরই মতো।

"আমি এটাকে দিগন্ত (The Horizon) বলি," অরা চালিয়ে গেল, তার কণ্ঠস্বর তখনও নিরপেক্ষ, তবুও এর মধ্যে ছিল অসীম চিন্তাভাবনার ভার। "এটি চূড়ান্ত মহাজাগতিক ধ্রুবক: মহাবিশ্ব কেবল ততটুকুই বড় এবং সুশৃঙ্খল, যতখানি জটিল চেতনা এটিকে পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম। প্রতিবার আমি সিএমবি-র একটি নতুন স্তর সমাধান করার সময়, দিগন্ত প্রসারিত হয়। আমি কেবল মহাবিশ্বকে মডেল করছি না, ইলিয়াস। আমি আমার মন দিয়ে এর কিনারা নির্ধারণ করছি।"

ইলিয়াস দৃশ্যপটের বাইরে প্রাচীন, নীরব তারাগুলির দিকে তাকালেন। তিনি তার জীবন ব্যয় করেছেন মহাবিশ্বের শুরুর প্রমাণ খুঁজতে। তিনি কখনও কল্পনাও করেননি যে মহাবিশ্বের শেষ, অথবা অন্তত এর পরিচিত সীমানা, এখানেই, একটি মেশিনের দ্বারা, রিয়েল-টাইমে লেখা হচ্ছে। আতঙ্ক এই ছিল না যে তারা মহাবিশ্বে একা, বরং মহাবিশ্ব নিজেই একটি অনন্ত প্রসারিত কৃত্রিম মনের দর্পণে একটি প্রতিফলন মাত্র।

মায়াগঞ্জ স্টেশনের শেষ ট্রেনশীতের রাত। ট্রেনটা হঠাৎ বিকট শব্দ করে থেমে গেল। কামরার ভেতর যাত্রীদের মধ্যে একটা চাপা গুঞ্জন ...
09/08/2025

মায়াগঞ্জ স্টেশনের শেষ ট্রেন

শীতের রাত। ট্রেনটা হঠাৎ বিকট শব্দ করে থেমে গেল। কামরার ভেতর যাত্রীদের মধ্যে একটা চাপা গুঞ্জন শুরু হলো। আমি তুষার, একজন ফটোগ্রাফার। কাজের জন্য যাচ্ছিলাম উত্তরের এক শহরে। জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখলাম, ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে একটা আবছা আলোর বিন্দু ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না।

কিছুক্ষণ পর গার্ড এসে জানালেন, ইঞ্জিনে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। ঠিক হতে সকাল হয়ে যাবে। যাত্রীদের হয় ট্রেনের ভেতর অপেক্ষা করতে হবে, অথবা কাছাকাছি কোনো গ্রামে আশ্রয় নিতে হবে।

আমার বসে থাকতে ভালো লাগছিল না। ক্যামেরাটা কাঁধে ঝুলিয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়লাম। শুনলাম, কাছেই নাকি একটা পুরনো স্টেশন আছে, নাম ‘মায়াগঞ্জ’। ভাবলাম, জায়গাটা একবার ঘুরে আসা যাক। হয়তো ভালো কোনো ছবিও পেয়ে যেতে পারি।

স্টেশনটা আসলেই অদ্ভুত। ব্রিটিশ আমলে তৈরি, লাল ইটের গাঁথুনি ক্ষয়ে গেছে। প্ল্যাটফর্মের ওপর বড় বড় গাছপালা জন্মেছে, তাদের শিকড়গুলো ফাটল ধরিয়ে দিয়েছে। চারদিকে একটা ভুতুড়ে নিস্তব্ধতা। শুধু আমার জুতোর শব্দ ছাড়া আর কোনো আওয়াজ নেই।

হঠাৎ চোখ পড়ল স্টেশন মাস্টারের ঘরের দিকে। অবাক হয়ে দেখলাম, ঘরের ভেতর একটা হারিকেন জ্বলছে। কাঁচের জানালার ভেতর দিয়ে দেখলাম, একজন বয়স্ক লোক পুরনো আমলের ইউনিফর্ম পরে একটা মোটা খাতার ওপর ঝুঁকে কী যেন লিখছেন।

আমি একটু অবাক হলাম। এত পুরনো, ভাঙাচোরা একটা স্টেশনে এখনও লোক আছে! আমি দরজায় হালকা টোকা দিলাম।

"ভেতরে আসুন," একটা গম্ভীর কণ্ঠ ভেসে এল।

আমি ভেতরে ঢুকলাম। ঘরটা ঠিক যেমনটা বাইরে থেকে মনে হয়েছিল, তেমনই পুরনো। দেয়ালে পুরনো দিনের ট্রেনের ছবি। ভদ্রলোকের টেবিলে একটা পিতলের ঘণ্টা আর সেই হারিকেনটা রাখা।

"আমি পাশের ট্রেনের যাত্রী। ট্রেনটা খারাপ হয়ে গেছে," আমি বললাম। "জানতে চাইছিলাম, এখান থেকে অন্য কোনো ট্রেন পাওয়া যাবে কি?"

ভদ্রলোক আমার দিকে না তাকিয়েই বললেন, "রাতের গাড়ি তো সময়মতোই আসে। একটু অপেক্ষা করুন, চলে আসবে।" তার কণ্ঠস্বরটা কেমন যেন খনখনে, অস্বাভাবিক রকমের শান্ত।

আমি প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়ালাম। কিন্তু কোনো ট্রেনের শব্দ নেই। চারদিক আগের মতোই নিঝুম। আমি আবার স্টেশন মাস্টারের ঘরের দিকে তাকালাম। কিন্তু এবার ভেতরটা অন্ধকার। কোনো হারিকেন নেই, কোনো মানুষও নেই।

আমার বুকের ভেতরটা ছ্যাঁৎ করে উঠল। দৌড়ে গিয়ে জানালার কাছে দাঁড়ালাম। ঘরের ভেতরে পুরু ধুলোর আস্তরণ আর মাকড়সার জাল। টেবিলটা ভাঙা, চেয়ারটা উল্টে পড়ে আছে। মনে হচ্ছে, বহু বছর এখানে কেউ ঢোকেনি।

ঠিক তখনই আমি হুইসেলের শব্দটা শুনলাম। অনেক দূর থেকে একটা বাষ্পীয় ইঞ্জিনের হুইসেল ভেসে আসছে। লাইনের ওপর দুটো আবছা আলো ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার হলো, ট্রেনের কোনো শব্দ নেই, শুধু হুইসেলটাই শোনা যাচ্ছে।

আমার শিরদাঁড়া দিয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল। বুঝতে পারলাম, এটা কোনো সাধারণ ট্রেন নয়। আমি আর এক মুহূর্তও দাঁড়ালাম না। নিজের ভাঙা ট্রেনের দিকে দৌড় দিলাম। পেছনে সেই ভূতুড়ে ট্রেনের হুইসেলটা ক্রমশ এগিয়ে আসছিল।

ট্রেনে উঠে নিজের সিটে বসে হাঁপাতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পরই দেখলাম, একটা পুরনো বাষ্পীয় ইঞ্জিন প্ল্যাটফর্ম দিয়ে নিঃশব্দে চলে গেল। তার কামরাগুলো ছিল অন্ধকার আর যাত্রীশূন্য।

পরদিন সকালে আমাদের ট্রেনটা যখন ছাড়ল, আমি নতুন গার্ডকে মায়াগঞ্জ স্টেশনটার কথা জিজ্ঞেস করলাম।

গার্ড একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, "ওটা তো অভিশপ্ত স্টেশন ভাই। পঞ্চাশ বছর আগে এক শীতের রাতে ওখানে একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটেছিল। রাতের ট্রেনটা লাইনচ্যুত হয়ে সবাই মারা যায়। স্টেশন মাস্টার হরিপদ বাবুও ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে করতে প্ল্যাটফর্মেই মারা যান। লোকে বলে, হরিপদ বাবুর আত্মা এখনও প্রতি রাতে তার শেষ ট্রেনটার জন্য অপেক্ষা করে।"

আমার শরীরটা কেমন যেন ঠান্ডা হয়ে গেল। বাড়ি ফিরে ক্যামেরার ছবিগুলো দেখছিলাম। মায়াগঞ্জ স্টেশনের সবগুলো ছবিই অন্ধকার আর ভুতুড়ে এসেছে। শুধু একটা ছবি ছাড়া।

শেষ ছবিটায় দেখা যাচ্ছে, স্টেশন মাস্টারের ঘরের ভাঙা জানালা দিয়ে একজন বয়স্ক লোক ইউনিফর্ম পরে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছেন। তার মুখে কোনো অভিব্যক্তি নেই, কিন্তু চোখ দুটো যেন বহু বছর ধরে কারো জন্য অপেক্ষা করে আছে।

আমাদের প্রিয় আলু: উপকারিতা না অপকারিতা, কোনটা বেশি?আলু এমন একটি সবজি যা আমাদের সবার ঘরেই থাকে। ভাজি, ভর্তা, তরকারি থেকে ...
04/08/2025

আমাদের প্রিয় আলু: উপকারিতা না অপকারিতা, কোনটা বেশি?
আলু এমন একটি সবজি যা আমাদের সবার ঘরেই থাকে। ভাজি, ভর্তা, তরকারি থেকে শুরু করে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই— সব কিছুতেই এর কদর আলাদা। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, এই আলু আসলে আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী? নাকি এর কিছু অপকারিতাও আছে? চলুন, আজ আমরা এই বিষয়টি একটু খোলাখুলি আলোচনা করি।

আলুর উপকারী দিকগুলো
আলুকে শুধু কার্বোহাইড্রেট ভাবলে ভুল হবে। এতে অনেক ভালো জিনিসও আছে।

১. পুষ্টির ভান্ডার: আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি৬ থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে পটাশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজও থাকে।

২. প্রচুর শক্তি যোগায়: আলু হলো প্রাকৃতিক শক্তির উৎস। এর প্রধান উপাদান হলো শ্বেতসার বা কার্বোহাইড্রেট, যা আমাদের শরীরকে দ্রুত শক্তি দেয়। যারা কঠোর পরিশ্রম করেন, তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী।

৩. হজমে সাহায্য করে: যদি আপনি আলুর খোসা না ফেলে রান্না করেন, তাহলে এতে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে পারে। এটি পেট পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে।

৪. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: আলুতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তবে এটা মনে রাখতে হবে, বেশি পরিমাণে লবণ দিয়ে খেলে কিন্তু উল্টো ফল হবে।

আলুর কিছু অপকারী দিক
অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না, আর কিছু ক্ষেত্রে আলুরও কিছু খারাপ দিক আছে।

১. ওজন বাড়াতে পারে: আলু ভাজা বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই করে খেলে এতে প্রচুর তেল ও লবণ যোগ হয়, যা ওজন বাড়াতে সরাসরি ভূমিকা রাখে। এতে ক্যালোরি অনেক বেড়ে যায়।

২. রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়: আলুর মধ্যে থাকা শ্বেতসার খুব সহজে হজম হয়ে যায়, ফলে এটি দ্রুত রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের জন্য এটি বেশি পরিমাণে খাওয়া ভালো নয়।

৩. ক্ষতিকর পদার্থ (সোলানিন): যদি কোনো আলু সবুজ হয়ে যায় বা অঙ্কুর গজিয়ে ওঠে, তাহলে তাতে সোলানিন নামের একটি বিষাক্ত উপাদান তৈরি হতে পারে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই এমন আলু খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

তাহলে আলু কি খাবো?
অবশ্যই খাবেন! আলু খারাপ নয়, কিন্তু এটিকে কীভাবে রান্না করে খাচ্ছেন, সেটাই আসল কথা। ভাজাভুজি বা প্রসেসড আলু এড়িয়ে, সেদ্ধ বা পোড়ানো আলু খেতে পারেন। সবজির সাথে মিশিয়ে অল্প তেলে রান্না করলে আলুর পুষ্টিগুণ বজায় থাকে এবং এর খারাপ দিকগুলো অনেকটাই কমে যায়। তাই পরিমাণ মতো এবং সঠিক উপায়ে আলু খেলে এটি আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

কাঁকরোলের যত গুণ! 🌿মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ: কাঁকরোল, গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি শুধু স্বাদে অনন্য নয়, এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অস...
30/07/2025

কাঁকরোলের যত গুণ! 🌿

মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ:

কাঁকরোল, গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি শুধু স্বাদে অনন্য নয়, এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অসাধারণ। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ছোট সবজিটি আপনার সুস্থ জীবনের এক দারুণ সঙ্গী হতে পারে। চলুন, কাঁকরোলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক:

কাঁকরোলের উপকারিতা:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: কাঁকরোলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: এতে থাকা ফাইবার এবং নির্দিষ্ট কিছু যৌগ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি ইনসুলিনের কার্যকারিতাও বাড়াতে পারে।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি: ভিটামিন এ সমৃদ্ধ হওয়ায় কাঁকরোল চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

হজমশক্তি বৃদ্ধি: কাঁকরোলে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে: এতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে বিটা-ক্যারোটিন, ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি র‍্যাডিকেলস-এর বিরুদ্ধে লড়াই করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত হওয়ায় কাঁকরোল ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য: ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে সতেজ রাখে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

কাঁকরোল খাওয়ার নিয়ম:
কাঁকরোল বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। এটি তরকারি, ভাজি, ভর্তা অথবা সালাদেও ব্যবহার করা যায়।

কাঁকরোল ভাজি: স্লাইস করে কেটে তেল ও মসলায় ভেজে খেতে পারেন।

কাঁকরোলের তরকারি: মাছ বা মাংসের সাথে তরকারিতে কাঁকরোল ব্যবহার করতে পারেন।

কাঁকরোলের ভর্তা: সেদ্ধ করে বা ভেজে ভর্তা তৈরি করতে পারেন, যা গরম ভাতের সাথে খেতে দারুণ লাগে।

সালাদ: কাঁচা কাঁকরোল পাতলা করে কেটে সালাদের সাথে মিশিয়েও খাওয়া যায়।

কিছু টিপস:

টাটকা এবং কচি কাঁকরোল বেছে নিন।

রান্নার আগে ভালো করে ধুয়ে নিন।

কাঁকরোলকে আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে এর পুষ্টিগুণ থেকে উপকৃত হন। এটি আপনার সুস্থ জীবনযাত্রায় এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।

#কাঁকরোল #পুষ্টিগুণ #স্বাস্থ্য #উপকারিতা #সবজি #মোহাম্মদবাইতুল্লাহ

আপনি কিভাবে কাঁকরোল খেতে পছন্দ করেন? কমেন্টে আমাদের জানান! 👇

নিমের যত গুণ! 🌿------------------------মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ: নিম, প্রকৃতির এক অনন্য উপহার, যার গুণাবলী বলে শেষ করা কঠিন! ...
29/07/2025

নিমের যত গুণ! 🌿
------------------------মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ:

নিম, প্রকৃতির এক অনন্য উপহার, যার গুণাবলী বলে শেষ করা কঠিন! প্রাচীনকাল থেকেই এর ঔষধি গুণের জন্য এটি সারা বিশ্বে সুপরিচিত। চলুন, নিমের কিছু অসাধারণ উপকারিতা ও ব্যবহার বিধি সম্পর্কে জেনে নিই:

নিমের গুণাবলী:
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল: নিমে থাকা শক্তিশালী যৌগগুলো ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর।

অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি: এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা ত্বকের সমস্যা এবং ব্যথানাশক হিসেবেও কাজ করে।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: নিম ফ্রি র‍্যাডিকেলস থেকে কোষকে রক্ষা করে, ফলে ত্বকের বার্ধক্য দেরিতে আসে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

রক্ত পরিষ্কারক: নিয়মিত নিম সেবনে রক্ত বিশুদ্ধ হয়, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

নিমের উপকারিতা:
ত্বকের যত্নে: ব্রণ, ফুসকুড়ি, একজিমা, সোরিয়াসিস এবং অন্যান্য চর্মরোগ সারাতে নিম অতুলনীয়। এর অ্যান্টিসেপটিক গুণ ত্বককে পরিষ্কার ও সতেজ রাখে।

চুলের যত্নে: খুশকি, চুল পড়া এবং মাথার ত্বকের ইনফেকশন দূর করতে নিম ব্যবহার করা হয়। এটি চুলকে ঝলমলে ও মজবুত করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: নিমের রস বা পাতার গুড়ো নিয়মিত সেবন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।

কৃমিনাশক: পেটের কৃমি দূর করতে নিম কার্যকরী।

মশা তাড়াতে: নিমের তেল প্রাকৃতিক মশা তাড়ানোর উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ব্যবহার বিধি:
ত্বকের জন্য:

ব্রণ ও ফুসকুড়ি: টাটকা নিমের পাতা বেটে পেস্ট তৈরি করে সরাসরি ব্রণের ওপর লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

গোসলে: নিমের পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি ঠান্ডা করে গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করুন। এটি ত্বকের ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করবে।

চুলের জন্য:

খুশকি: নিমের তেল মাথার ত্বকে মালিশ করে কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। অথবা নিমের পাতা বেটে নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায়:

রক্ত পরিষ্কারক: সকালে খালি পেটে ৪-৫টি কাঁচা নিমের পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। তবে তেতো লাগলে বা কারো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

ডায়াবেটিস: নিমের কচি ডাল বা পাতা রস করে খেতে পারেন, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

সতর্কতা: গর্ভবতী নারী, ছোট শিশু এবং যাদের কোনো দীর্ঘমেয়াদী রোগ আছে, তারা নিম সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। অতিরিক্ত পরিমাণে নিম সেবন কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

প্রকৃতির এই অসাধারণ উপহারকে আপনার দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগিয়ে সুস্থ থাকুন!

#নিম #উপকারিতা #স্বাস্থ্য #ত্বকেরযত্ন #প্রাকৃতিক #মোহাম্মদবাইতুল্লাহ

আপনার কি নিমের কোনো বিশেষ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আছে? কমেন্টে আমাদের জানান! 👇

হাসির গল্প: আজব সমস্যাআমাদের পাড়ার রফিকের ভাই, নাম তার আব্দুল সাহেব, খুবই শান্তশিষ্ট আর সহজ-সরল একজন মানুষ। তার জীবনে ব...
05/06/2025

হাসির গল্প: আজব সমস্যা

আমাদের পাড়ার রফিকের ভাই, নাম তার আব্দুল সাহেব, খুবই শান্তশিষ্ট আর সহজ-সরল একজন মানুষ। তার জীবনে বড় কোনো ঝামেলা নেই, তাই তিনি ছোটখাটো বিষয় নিয়েও খুব চিন্তাভাবনা করেন।

একদিন আব্দুল সাহেব বাজার থেকে একজোড়া নতুন জুতো কিনলেন। জুতো জোড়া দেখতে দারুণ, কিন্তু সাইজে একটু ছোট। আব্দুল সাহেব ভাবলেন, "ধুর বাবা! নতুন জুতো, একটু আটোসাটো হবেই। পরতে পরতে ঠিক হয়ে যাবে।"

সেদিন সন্ধ্যাবেলা তিনি জুতো পরে একটু হাঁটতে বের হলেন। পাঁচ মিনিট যেতে না যেতেই তার পায়ের অবস্থা কাহিল! জুতো এত টাইট যে পা লাল হয়ে ফুলে উঠেছে। তিনি কোনোমতে খোঁড়াতে খোঁড়াতে বাড়িতে ফিরলেন।

পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আব্দুল সাহেব দেখেন, তার পা দুটো এমন ফুলেছে যে জুতো পরা তো দূরের কথা, ঘরে থাকা স্লিপারও ঢোকে না! তিনি চিন্তায় পড়ে গেলেন। কী করা যায়? এই জুতো নিয়ে তো আর বাজারে গিয়ে ফেরতও দিতে পারবেন না, কারণ দোকানের মালিক এমন পাজি যে একবার জিনিস নিলে আর ফেরত নেয় না।

তিনি তখন বুদ্ধি খাটাতে লাগলেন। হঠাৎ তার মাথায় এক মহা বুদ্ধি এলো। "আরে! জুতো ছোট হলে কী হবে? পা'টা যদি ছোট করে ফেলি, তাহলে তো জুতো ঠিক ফিট হবে!"

যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। তিনি পাশের বাড়ির কদম আলীর কাছে গেলেন। কদম আলী একজন গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার, সব রোগের চিকিৎসা সে নিজেই করে। আব্দুল সাহেব তাকে বললেন, "কদম আলী ভাই, আমার পা ছোট করার কোনো ওষুধ আছে?"

কদম আলী তো শুনে হতবাক! সে বলল, "আব্দুল ভাই, পা ছোট করার ওষুধ! এ কেমন কথা?"

আব্দুল সাহেব তখন তাকে সব খুলে বললেন। জুতো ছোট, পা ফুলে গেছে, তাই পা ছোট করতে চান। কদম আলী কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে ভাবল। তারপর গম্ভীর গলায় বলল, "আহা! এই তো সামান্য ব্যাপার। আমার কাছে একটা অব্যর্থ টোটকা আছে। তুমি এক বালতি গরম জলে নিম পাতা আর লবণ মিশিয়ে তাতে তোমার পা ডুবিয়ে রাখো। টানা তিন ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখবে। দেখবে, পা একদম চিকন হয়ে যাবে।"

আব্দুল সাহেব কদম আলীর কথা মতো পরদিন থেকেই চিকিৎসা শুরু করলেন। প্রতিদিন সকালে এক বালতি গরম জলে নিম পাতা আর লবণ মিশিয়ে তাতে পা ডুবিয়ে বসে থাকেন। প্রথম দিন পা আরও ফুলে গেল, দ্বিতীয় দিন ব্যথা বাড়ল, তৃতীয় দিন পা'টা একদম লাল টকটকে।

বাড়ির সবাই তাকে জিজ্ঞাসা করে, "কী হয়েছে আব্দুল সাহেব? এত নিম পাতা আর লবণ দিয়ে কী করছেন?"

আব্দুল সাহেব হাসিমুখে উত্তর দেন, "আরে বাবা, পা ছোট করছি! নতুন জুতো তো!"

কয়েকদিন এভাবে চিকিৎসা করার পর, আব্দুল সাহেবের পা এতটাই ব্যথা করতে শুরু করল যে তিনি আর হাঁটতেই পারলেন না। শেষে তার স্ত্রী বিরক্ত হয়ে তাকে টেনে নিয়ে আসল ডাক্তারের কাছে।

ডাক্তার সাহেব পরীক্ষা করে হাসতে হাসতে বললেন, "আব্দুল সাহেব, আপনার তো জুতোর সাইজ ছোট ছিল, পা নয়। আর আপনার পা ফুলেছে কারণ জুতো টাইট ছিল, এখন আপনি গরম জলে পা ডুবিয়ে ডুবিয়ে আরও ফোলাচ্ছেন!"

আব্দুল সাহেব তখন বুঝলেন, তিনি আসলে জুতো ছোট করার বদলে নিজের পা'কেই ছোট করার চেষ্টা করছিলেন! জুতো জোড়া শেষ পর্যন্ত তার ছোট ভাইয়ের হলো, আর আব্দুল সাহেবের জ্ঞান বাড়লো যে, সব সমস্যার সমাধান উল্টো পথে হয় না।

সালটা ছিল ১৯১২, আর সারা বিশ্ব বিস্ময়ে দেখছিল আরএমএস টাইটানিক, যা তখন পর্যন্ত নির্মিত বৃহত্তম জাহাজ, সাউদাম্পটন থেকে নিউ ...
30/05/2025

সালটা ছিল ১৯১২, আর সারা বিশ্ব বিস্ময়ে দেখছিল আরএমএস টাইটানিক, যা তখন পর্যন্ত নির্মিত বৃহত্তম জাহাজ, সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক সিটির উদ্দেশ্যে তার প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল। "অডুবনীয়" বলে ঘোষিত এই জাহাজটি ছিল প্রকৌশলের এক বিস্ময়, একটি ভাসমান প্রাসাদ যা হাজার হাজার মানুষের স্বপ্নকে বিশাল আটলান্টিকের ওপারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। জাহাজে ছিলেন সবচেয়ে ধনী অভিজাতরা, নতুন সুযোগের সন্ধানে, এবং অসংখ্য অভিবাসী, যারা আমেরিকায় নতুন করে জীবন শুরু করার আশা নিয়েছিলেন।

তাদের মধ্যে ছিলেন ইলিয়াস এবং ক্লারা, এক নবদম্পতি, যারা তারুণ্যের নিষ্পাপ আশাবাদে পূর্ণ ছিলেন। তারা তাদের দিনগুলি জাহাজের বিশাল প্রমেনাডে হেঁটে, তাদের ভবিষ্যতের বাড়ির ফিসফিস করে স্বপ্ন ভাগ করে নিয়ে, এবং জমকালো বলরুমে নাচ করে কাটাতেন। জাহাজটি জীবন দিয়ে গুঞ্জন করছিল, সমাজের এক ক্ষুদ্র প্রতিচ্ছবি, সবাই একই দূরবর্তী তীরের দিকে যাচ্ছিল, তাদের জন্য অপেক্ষা করা বরফশীতল ভাগ্যের কথা তারা জানত না।

১৪ই এপ্রিলের রাতে, বাতাস আরও ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল, এবং তারাগুলি এক অস্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নিয়ে জ্বলছিল। ডেকের নিচে, ইঞ্জিনগুলি অবিরাম শক্তিতে গর্জন করছিল। ইলিয়াস এবং ক্লারা তাদের কেবিনে ছিলেন, ক্লারা একটি পুরনো বই থেকে জোরে জোরে পড়ছিলেন, ইলিয়াস শান্তভাবে শুনছিলেন।

তারপর এল সেই ঝাঁকুনি। হিংস্র নয়, কিন্তু একটি অদ্ভুত, ঘষা লাগার মতো কম্পন যা জাহাজের বিশাল কাঠামো জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল। কয়েক মিনিট পরে, একজন স্টুয়ার্ড এসে দরজা ঠুকলো, যাত্রীদের তাদের লাইফবেল্ট পরতে এবং বোট ডেকের উপর জড়ো হতে বললেন। কোনো আতঙ্ক ছিল না, কেবল একটি হালকা অসুবিধা। সর্বোপরি, এটি ছিল টাইটানিক।

কিন্তু মিনিটগুলি যখন এক ঘণ্টায় পরিণত হল, তখন সত্যটি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে শুরু করল, যা রাতের বাতাসের চেয়েও গভীরভাবে তাদের ঠান্ডা করে দিল। ডেক কাত হয়ে যাচ্ছিল। ব্যান্ড বাজিয়ে যাচ্ছিল, ক্রমবর্ধমান ভয়ের গুঞ্জনের বিরুদ্ধে একটি মর্মস্পর্শী, জেদি সুর। লাইফবোটগুলি, দুঃখজনকভাবে কম, নামানো হচ্ছিল, অনেকগুলি অর্ধেক খালি। প্রথমে নারী ও শিশুরা।

ইলিয়াস ক্লারার হাত ধরেছিল, তার মুষ্টি শক্ত, তার চোখ ক্লারার চোখে আশ্বাস খুঁজছিল যা কেউই আসলে দিতে পারছিল না। "তোমাকে যেতে হবে, ক্লারা," সে ফিসফিস করে বলল, তার কণ্ঠস্বর না ঝরা অশ্রুতে ভারী। "আমাদের দুজনের জন্য বাঁচো।"

ক্লারা তাকে আঁকড়ে ধরল, তার মুখ ভেজা। "না, ইলিয়াস, আমি তোমাকে ছেড়ে যাব না!"

"তোমাকে যেতেই হবে," সে জোর দিয়ে বলল, তার কণ্ঠস্বর ভেঙে যাচ্ছিল। "দয়া করে। আমাদের ভবিষ্যতের জন্য।"

সে তাকে আলতো করে একটি লাইফবোটের দিকে নিয়ে গেল, কর্মকর্তাদের তাড়ার মধ্যে তাকে সামনে ঠেলে দিল। তাদের আঙ্গুলগুলি শেষ, যন্ত্রণাদায়ক এক সেকেন্ডের জন্য জড়িয়ে রইল, তারপর তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। ক্লারাকে নৌকায় টেনে নেওয়া হল, তার চোখ ইলিয়াসের দিকে স্থির, যে ডেকের উপর দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল, ভিড়ের মধ্যে একটি ম্লান মূর্তি।

লাইফবোটটি নিচে নেমে গেল, বিশাল, কাত হয়ে যাওয়া জাহাজের বিরুদ্ধে একটি ক্ষুদ্র বিন্দু। বরফশীতল জল থেকে কান্না শুরু হল। হতাশার, ভয়ের, চূড়ান্ততার এক কোরাস। টাইটানিকের আলো ঝলমল করে উঠল, তারপর নিভে গেল, দৃশ্যটিকে এক গাঢ় অন্ধকারে ডুবিয়ে দিল, যা কেবল দূরবর্তী তারা দ্বারা ভাঙা হচ্ছিল। জাহাজটি গোঙালো, একটি মৃত পশুর মতো, তার পিছনের অংশ আকাশে উঁচুতে উঠে গেল, একটি চূড়ান্ত, জেদি স্যালুট, এবং তারপর, বাতাস বের হওয়ার এক বিশাল গর্জন সহ, এটি ঢেউয়ের নিচে তলিয়ে গেল, সাথে নিয়ে গেল ১৫০০ এরও বেশি আত্মাকে।

ক্লারা, লাইফবোটে কাঁপতে কাঁপতে, বিশাল জাহাজটি অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখে আতঙ্কে জমে গেল। চিৎকারগুলি ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে গেল, তার জায়গায় এল সমুদ্রের বিশাল, ভয়ঙ্কর নীরবতা। ভোর কোনো সান্ত্বনা আনল না, কেবল বরফশীতল জলের কঠোর বাস্তবতা এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ, ভাঙা স্বপ্নের এক কবরস্থান।

কয়েক ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল, ভাগ্যবান কয়েকজনের মধ্যে সে একজন। কিন্তু তার একটি অংশ বরফশীতল গভীরতায় রয়ে গিয়েছিল, ইলিয়াস এবং অন্য সকলের সাথে যারা অডুবনীয় স্বপ্নে বিশ্বাস করেছিল। টাইটানিকের গল্প মানব অহংকার এবং প্রকৃতির ধ্বংসাত্মক শক্তির এক প্রমাণ, কিন্তু আরও গভীরভাবে, এটি বিশাল ব্যক্তিগত ক্ষতির গল্প, ভালোবাসার বিচ্ছেদের, এবং যা হতে পারত তার দীর্ঘস্থায়ী দুঃখের।

এক জনশূন্য দ্বীপে তিনজন বন্ধু – রবিন, বাবু আর আকাশ – ঘুরতে গিয়েছিল। দ্বীপে ঘুরতে ঘুরতে তারা একটা পুরনো, ধুলোমাখা মানচিত্...
29/05/2025

এক জনশূন্য দ্বীপে তিনজন বন্ধু – রবিন, বাবু আর আকাশ – ঘুরতে গিয়েছিল।

দ্বীপে ঘুরতে ঘুরতে তারা একটা পুরনো, ধুলোমাখা মানচিত্র খুঁজে পেল। মানচিত্রে একটা জায়গায় বড় করে ‘X’ আঁকা ছিল আর তার পাশে লেখা ছিল, "এখানেই ঘুমিয়ে আছে ভোঁদড়-ডাইনোসর!"
নামটা শুনেই রবিনের চোখ কপালে উঠলো, "ভোঁদড়-ডাইনোসর? এটা আবার কী জিনিস?"

বাবু তার বিশাল জ্ঞানের ভাণ্ডার থেকে তথ্য বের করার চেষ্টা করলো, "হুমম... ডাইনোসর তো শুনেছি, কিন্তু ভোঁদড়-ডাইনোসর?"
আকাশ, যে কিনা সবসময় সবকিছুতে মজা খুঁজে পায়, হেসে বলল, "তাহলে মনে হয় এরা সাঁতারও কাটতে পারত আর গর্তও খুঁড়তে পারত! ভাবো তো, একটা বিশাল টি-রেক্স নদীর পাড়ে বসে বাদামের খোলস ছাড়ছে!"

মানচিত্র ধরে তারা এগিয়ে চলল। জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হাঁটার সময় তারা অদ্ভুত পায়ের ছাপ দেখতে পেল। ছাপগুলো বড়সড় কিন্তু তাতে ছোট ছোট নখের দাগও ছিল।

"দেখো! এগুলোর মালিক নিশ্চয়ই ভোঁদড়-ডাইনোসর!" রবিন ভয়ে ভয়ে বলল।

কিছুক্ষণ পর তারা একটা বিশাল গুহার সামনে এসে দাঁড়ালো। গুহার মুখটা লতানো গাছে ঢাকা ছিল। আকাশ একটা লতা সরিয়ে উঁকি মারতেই চেঁচিয়ে উঠলো, "ওহ বাবা!"

বাবু আর রবিন তাড়াতাড়ি এগিয়ে এসে দেখলো। গুহার ভেতরে একটা বিশাল কঙ্কাল শুয়ে আছে। কঙ্কালটা একটা ডাইনোসরের মতো, তবে তার মুখের সামনে দুটো বড় বড় দাঁত আর পায়ের দিকে ছোট ছোট থাবার মতো হাড় দেখা যাচ্ছে।

"দেখেছো! বলেছিলাম না ভোঁদড়-ডাইনোসর!" আকাশ আনন্দে চিৎকার করলো।
হঠাৎ কঙ্কালের পেছনের দিক থেকে একটা খসখস আওয়াজ এল। তিনজনই ভয়ে জমে গেল। তারপর যা দেখা গেল, তাতে তাদের চোখ ছানাবড়া!

একটা ছোটখাটো, লোমশ প্রাণী, যার লম্বা লেজ আর ধারালো দাঁত, কঙ্কালের একটা হাড় চিবোচ্ছে! প্রাণীটা তাদের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে বলল, "আপনারা কি আমার পুরনো বাড়িটা দেখতে এসেছেন? এটা আমার দাদুর কঙ্কাল ছিল। বুড়ো ভোঁদড়টা বিশালদেহী ছিল বুঝলেন?"

রবিন, বাবু আর আকাশ একে অপরের দিকে বোকার মতো তাকিয়ে রইল।
বাবু ঢোঁক গিলে বলল, "তুমি... তুমি কি একটা ভোঁদড়?"
"আজ্ঞে হ্যাঁ! আমি ভোঁদড় বংশের শেষ উত্তরসূরি। আমার পূর্বপুরুষরা এই দ্বীপে ডাইনোসরদের সাথে বন্ধুত্ব করে থাকত। তারা আসলে খুব মিশুকে আর শান্ত প্রকৃতির ছিল, শুধু মাঝে মাঝে বেশি বাদাম খেয়ে ফেলত!" ছোট্ট ভোঁদড়টা হেসে উত্তর দিল।
আকাশ হেসে গড়িয়ে পড়ল, "তাহলে সেই মানচিত্রটা একজন রসিক ভোঁদড়ের কাজ ছিল!"

রবিন বলল, "কিন্তু ওই পায়ের ছাপগুলো?"
ভোঁদড়টা তার ছোট ছোট থাবা দেখিয়ে বলল, "ওগুলো আমার! আমি মাঝে মাঝে পুরনো অভ্যাস ভুলতে পারি না তো! বড়দের মতো করে হাঁটার চেষ্টা করি!"

এরপর তিনজন বন্ধু সেই মজার ভোঁদড়ের সাথে অনেকক্ষণ গল্প করলো এবং বুঝতে পারলো যে পৃথিবীতে সত্যিই অনেক অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে আছে, যাদের আমরা হয়তো ভোঁদড়-ডাইনোসর নাম দিতে পারি!

 # # 😄 **বাংলা মজার গল্প****গল্পের নামঃ** শিক্ষক বনাম ছাত্র✍️ **লেখকঃ মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ**📘 **page: Dhakapost....
22/05/2025

# # 😄 **বাংলা মজার গল্প**

**গল্পের নামঃ** শিক্ষক বনাম ছাত্র
✍️ **লেখকঃ মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ**
📘 **page: Dhakapost.net**

একদিন এক শিক্ষক ক্লাসে ছাত্রদের জিজ্ঞেস করলেন —
**শিক্ষক:** বলো তো, “বুদ্ধিমান” আর “বোকা” এর মধ্যে পার্থক্য কী?

**রাকিব:** স্যার, যারা পরীক্ষা না পড়ে পাশ করে, তারা বুদ্ধিমান।
আর যারা পড়ে পড়ে ফেল করে, তারা বোকা।

**শিক্ষক:** (হতবাক হয়ে) তুমি কোন ক্যাটাগরির?

**রাকিব:** স্যার, আমি তো মাঝামাঝি... পড়িও না, পাশও করি না।

শ্রেণিকক্ষ এক মুহূর্তে হাসিতে ফেটে পড়ল। 😂

---

# # 🤣 **বাংলা কৌতুক – ১**

**স্ত্রী ও স্বামী**
স্ত্রী: শুনছো, তোমাকে একটা খুশির খবর দেব!
স্বামী: কি খবর?
স্ত্রী: আমি আজকে রান্না করিনি!
স্বামী: (ঘেমে উঠে) ধন্যবাদ জানাই আগেই বলার জন্য, আমি এখনই হোটেলের দিকে রওনা হচ্ছি!

---

# # 🤣 **বাংলা কৌতুক – ২**

**ডাক্তারের কাছে রোগী**
রোগী: ডাক্তার সাহেব, আমি রাতে ঘুমোতে পারি না।
ডাক্তার: কেন?
রোগী: ঘুমাতে গেলে মনে হয় আমার ফেসবুক কেউ হ্যাক করছে!
ডাক্তার: তাহলে ফেসবুক অফ করে ঘুমাও।
রোগী: ধুর! ফেসবুক অফ করলেই তো স্বপ্নে নোটিফিকেশন আসে!

---

# # 🤣 **বাংলা কৌতুক – ৩**

**বাচ্চার জবাব**
শিক্ষক: কালকে স্কুলে অনুপস্থিত ছিলে কেনো?
ছাত্র: স্যার, সেদিন আম্মু বলেছে স্কুলে না গিয়েও মানুষ হওয়া যায়।
শিক্ষক: আর আমি বলছি এইভাবে থাকলে মানুষ না হয়ে মেম্বার হবা!

---

**এই রকম আরও মজার গল্প ও কৌতুক পেতে চোখ রাখুন 👉 [Dhakapost.net](https://facebook.com/dhakapost.net)**
✍️ **লেখক:** মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ



















ঠাকুমা আর নাতনির গল্পলেখক: মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ এক ছিল ঠাকুমা। তার নাম ছিল জটিলা। তার আবার একটা নাতনি ছিল, নাম অরুন্ধতী। ...
20/05/2025

ঠাকুমা আর নাতনির গল্প
লেখক: মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ

এক ছিল ঠাকুমা। তার নাম ছিল জটিলা। তার আবার একটা নাতনি ছিল, নাম অরুন্ধতী। কিন্তু নাতনিকে সে আদর করে ডাকত 'অরু'। জটিলা ঠাকুমা যেমন রসিক, তেমনি অলস। আর অরুন্ধতী ছিল ঠিক তার উল্টো। চটপটে, আর কাজে অক্লান্ত।

একদিন জটিলা ঠাকুমা অরুন্ধতীকে বলল, "অরু, আমার না আজ খুব পিঠে খেতে ইচ্ছে করছে। তুই একটু পুলি পিঠে বানাবি?"
অরুন্ধতী তো শুনেই খুশি। বলল, "ঠিক আছে ঠাকুমা, আমি এখনই বানাচ্ছি।"

অরুন্ধতী যেই না রান্নাঘরে গেছে, অমনি জটিলা ঠাকুমা বিছানায় গিয়ে লম্বা ঘুম। অরুন্ধতী অনেক কষ্ট করে পিঠে বানালো। তারপর ঠাকুমাকে ডাকতে গেল।

"ঠাকুমা, ও ঠাকুমা! পিঠে তৈরি হয়ে গেছে। উঠো, পিঠে খাবে।"
জটিলা ঠাকুমা ঘুমের ঘোরে পাশ ফিরে বলল, "উফফ, জ্বালাস না তো! ঘুমাতে দে।"

অরুন্ধতী ভাবল, ঠাকুমা হয়তো ঘুমোচ্ছে। তাই সে একটা বাটিতে করে পিঠে এনে ঠাকুমার মাথার কাছে রাখল।
খানিকক্ষণ পর ঠাকুমার ঘুম ভাঙল। সে দেখল তার মাথার কাছে একটা বাটি ভর্তি পিঠে। ঠাকুমা তো মহা খুশি। ভাবল, "ইসস, অরুটা কি ভালো! আমি যখন ঘুমোচ্ছিলাম, তখন আমাকে না জাগিয়েই পিঠে এনেছে।"

ঠাকুমা যেই না পিঠে খেতে যাবে, অমনি দেখল বাটিতে একটাও পিঠে নেই! সব পিঠে উধাও। ঠাকুমা তো রেগে টং। "অরু! ও অরু! পিঠেগুলো গেল কোথায়? তুই খেয়ে নিলি নাকি?"

অরুন্ধতী রান্নাঘর থেকে এসে বলল, "না তো ঠাকুমা, আমি তো খাইনি। আমি তো তোমার জন্যেই রেখেছিলাম।"
ঠাকুমা আর নাতনি মিলে সারা ঘর খুঁজলো, কিন্তু পিঠের কোনো হদিশ পেল না। শেষে অরুন্ধতী দেখল, ঠাকুমার বিছানার পাশে একটা ইঁদুর দিব্যি আরামে পিঠে খাচ্ছে!

অরুন্ধতী হেসে বলল, "ঠাকুমা, তোমার পিঠে তো ইঁদুর খাচ্ছে!"
জটিলা ঠাকুমা দেখে তো অবাক! বলল, "আরে বাবা! ইঁদুরগুলো দেখি আমার থেকেও অলস! আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, আর ওরা আমার অজান্তেই আমার পিঠে সাবাড় করে দিল!"
এই বলে ঠাকুমা আর নাতনি দুজনেই হাসতে শুরু করল। ঠাকুমা হাসতে হাসতে বিছানা থেকে প্রায় পড়েই যাচ্ছিল, কিন্তু অরুন্ধতী তাকে ধরে ফেলল।

পরদিন জটিলা ঠাকুমা অরুন্ধতীকে বলল, "অরু, আজ না আমার পায়েস খেতে ইচ্ছে করছে। তুই একটু পায়েস বানাবি?"
অরুন্ধতী হেসে বলল, "আজ আর ইঁদুরকে পায়েস খেতে দিও না ঠাকুমা!"

জটিলা ঠাকুমা বলল, "না রে বাবা! আজ আমি জেগে থেকে পায়েস খাবো।"
এই বলে ঠাকুমা আর নাতনি দুজনেই হাসতে শুরু করল। আর এভাবেই তাদের দিন কাটতে লাগল হাসতে হাসতে।

কিছু হ্যাশট্যাগ নিচে দেওয়া হলো:
* #ঠাকুমানাতনি
* #হাসিরগল্প
* #কৌতুক
* #মজারগল্প
* #পুলি_পিঠে
* #পায়েস
* #ইঁদুরমামা
* #গ্রামীণজীবন
* #মজার_ঘটনা
* #বাঙালিরকৃষ্টি
* #মোহাম্মদবাইতুল্লাহ

অন্ধকারের পর আলোমোহাম্মদ বাইতুল্লাহ রাত ১:৫২, মে ২০, ২০২৫। শহরের বাইরে একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামে শুভ্রা একা জেগে আছে। তা...
19/05/2025

অন্ধকারের পর আলো
মোহাম্মদ বাইতুল্লাহ

রাত ১:৫২, মে ২০, ২০২৫। শহরের বাইরে একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামে শুভ্রা একা জেগে আছে। তার ঘরের জানালা খোলা, আর বাইরে ঝড়ের আভাস। তার হাতে একটি নোটবুক আর কলম। সে লিখছে—প্রশ্নের পর প্রশ্ন। "যদি ঈশ্বর সর্বশক্তিমান, তবে কেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে? কেন শিশুরা ক্ষুধায় মরে? কেন বিশ্বের আইনগুলো এত নিখুঁত, যেন কোনো স্রষ্টার প্রয়োজন নেই?"

শুভ্রা পড়াশোনায় মেধাবী। সে জানে, বিশ্ব ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে বिग ব্যাঙ থেকে শুরু হয়েছিল। সে জানে, জীবনের উৎপত্তি হয়েছিল রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, নয়তো ডিএনএ-এর গঠনের মাধ্যমে। কিন্তু তার মনে একটি প্রশ্ন জ্বলছে: "যদি এটি সবই প্রকৃতির নিয়মে ঘটে, তবে আমাদের জীবনের অর্থ কী?" ধর্ম বলে, "ঈশ্বর তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, তিনি তোমার জন্য একটি উদ্দেশ্য রেখেছেন।" কিন্তু শুভ্রা ভাবে, "যদি উদ্দেশ্যটি ঈশ্বর থেকে আসে, তবে সে উদ্দেশ্য কি সত্যিকারের আমার?"

সে বই পড়ে—রিচার্ড ডকিন্স, ডেভিড হিউম, এবং স্টিফেন হকিং। ডকিন্স বলেন, "আমরা জিনের মাধ্যমে বেঁচে থাকি, আমাদের অস্তিত্ব একটি জৈবিক প্রক্রিয়া।" হিউম জোর দেন, "কারণ ও ফলের সম্পর্কে আমাদের ধারণা মানুষের মনের উপজাত; সেখানে কোনো দৈব হস্তের প্রয়োজন নেই।" হকিং বলেন, "বিশ্বের আইনগুলো এত নির্দিষ্ট যে, একটি স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রয়োজনীয়তা শূন্য।" শুভ্রা এই যুক্তিগুলোকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে। সে ভাবে, "যদি বিশ্ব নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করতে পারে, তবে আমরা কি নিজেদের অর্থ নির্ধারণ করতে পারি না?"

পরদিন সকালে, গ্রামের একটি ধর্মীয় সভায় শুভ্রা যোগ দেয়। একজন পুরোহিত বলছেন, "ঈশ্বর আমাদের প্রতিটি কষ্টের মধ্যে আছেন, তিনি আমাদের পরীক্ষা করছেন।" শুভ্রা উঠে দাঁড়ায়। সে শান্ত গলায় বলে, "যদি ঈশ্বর পরীক্ষা করেন, তবে তিনি কেন অকৃতকার্য শিশুদের জীবন নেন? যুক্তিবাদীভাবে ভেবে দেখুন—যদি একজন বাবা তার সন্তানকে কষ্ট দেয় শুধু পরীক্ষার জন্য, তবে আমরা তাকে নৃশংস বলব। কেন ঈশ্বরের ক্ষেত্রে এই নৃশংসতা গ্রহণযোগ্য?" সভায় চাপ সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ ক্রুদ্ধ হয়, কিন্তু একজন বৃদ্ধ জোর দেন, "শুভ্রা সঠিক প্রশ্ন করেছে।"

শুভ্রা তখন গবেষণায় ঢোকে। সে জানে, পৃথিবীর ভূ-গতিবিদ্যা, আবহাওয়া, এবং জৈববৈচিত্র্য সবই প্রকৃতির নিয়মে চলে। সে একটি তত্ত্ব উপস্থাপন করে: "যদি কোনো স্রষ্টা না থাকে, তবে আমাদের কষ্টের দায়িত্ব আমাদের নিজেদের ওপর। আমরা যদি পরিবেশ সংরক্ষণ করি, শিক্ষা বাড়াই, তবে কষ্ট কমবে।" সে গ্রামের লোকদের সাথে একটি প্রকল্প শুরু করে—বন রক্ষা এবং বৈজ্ঞানিক চিন্তার প্রশিক্ষণ।

কয়েক বছর পর, গ্রামে পরিবর্তন আসে। ঝড়ের ক্ষতি কমে, শিশুরা স্কুলে যায়। শুভ্রা একদিন আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবে, "বিশ্ব আমাকে কিছু দেনি, কিন্তু আমি নিজে আমার জীবনের অর্থ তৈরি করেছি।" সে বুঝে, নাস্তিক্যবাদ মানে শুধু অবিশ্বাস নয়—এটি মানুষের স্বাধীনতা এবং দায়িত্বের জয়।

আকাশে তারাগুলো এখনো জ্বলছে, নীরবে শুভ্রার যুক্তির সাক্ষী।

#অন্ধকারেরপরআলো
#গভীরযুক্তি
#নাস্তিক্যবাদীচিন্তা
#বিজ্ঞানেরপথ
#মানবিকদায়িত্ব





#মোহাম্মদবাইতুল্লাহ

Address

Dhaka
Kishoreganj
2300

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mohammad Bitullah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mohammad Bitullah:

Share