কিশোরগঞ্জ জেলা সংবাদ

কিশোরগঞ্জ জেলা সংবাদ কিশোরগঞ্জ জেলা সকল থানার সংবাদ পেতে ক?

নারীকে উত্ত্যক্ত বা নিপীড়নের জন্য বাংলাদেশের আইনে যেসব শাস্তির কথা বলা হয়েছেউত্ত্যক্ত করা বা ইভটিজিং উৎস জনসমক্ষে হোক ব...
14/03/2025

নারীকে উত্ত্যক্ত বা নিপীড়নের জন্য বাংলাদেশের আইনে যেসব শাস্তির কথা বলা হয়েছে

উত্ত্যক্ত করা বা ইভটিজিং উৎস জনসমক্ষে হোক বা নির্জনে কেউ নারীদের উত্ত্যক্ত করলেই তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে

রাস্তা দিয়ে একা হেঁটে যাওয়ার সময় একজন নারীকে কেউ উত্ত্যক্ত করলে, কোনো জনসমাগমপূর্ণ স্থানে বা উৎসবে কোনো নারীকে হয়রানি করা হলে আইনের দৃষ্টিতে সেটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এমনকি কখনো কখনো সেটা যৌন হয়রানি হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।

সম্প্রতি বাংলাদেশে লালমাটিয়ায় চায়ের দোকানে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই নারীকে লাঞ্ছিত করা অথবা মাগুরায় আট বছর বয়সী শিশুকে যৌন নির্যাতনের মতো এরকম আরও অনেক ঘটনায় নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ জোরালো হয়ে উঠেছে।

অথচ বাংলাদেশ নারী নির্যাতন বা হয়রানির বিরুদ্ধে বেশ কিছু আইন রয়েছে।

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, ইভ টিজিং একটি গুরুতর যৌন নির্যাতন হিসেবেও গণ্য হবে বলে জানান আইনজীবীরা।

আইনজীবীরা বলছেন, ধর্ষণ, ইভ টিজিং (উত্যক্ত করা) বা হয়রানি- এসব অভিযোগে সুনির্দিষ্ট শাস্তি রয়েছে। তবে দেশের আইন শক্ত হলেও সংজ্ঞার ভুল ব্যাখ্যা ও ব্যবহারের কারণে ভুক্তভোগীর বিচার পাওয়া অনেক সময় দুরূহ হয়ে দাঁড়ায়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন বিবিসি বাংলাকে বলেন, "আমাদের দেশের আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞায় ভুল রয়েছে। প্রেমের প্রলোভন দেখানো- এটাকেও ধর্ষণের সংজ্ঞায় ঢুকিয়ে রেখেছে। অর্থাৎ এফআইআরে যখন লেখা হয় বিয়ের প্রেমের নামে প্রতারণা বা শারীরিক সম্পর্ক করা হয়েছে, এর ফলে যে ক্ষতিটা হয়েছে সেটা হলো ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকেও খর্ব করা হয়েছে।"

দেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এ নারীর শ্লীলতাহানি, যৌন পীড়নের দণ্ড হিসেবে যেমন সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড রয়েছে, তেমনি দণ্ডবিধি বা পেনাল কোডসহ অন্যান্য বিভিন্ন আইনে বিভিন্ন মেয়াদী দণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ডের শাস্তিও রয়েছে।

যৌন নিপীড়ন, ইভ টিজিংয়ের মতো অপরাধের জন্য বাংলাদেশের আইনে কী ধরনের শাস্তি রয়েছে, এই প্রতিবেদনে সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর
আইন করে ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার বিচার নিশ্চিত করতে পারবে সরকার?
১০ মার্চ ২০২৫
স্পর্শের ভালো-খারাপ, শিশুদের সচেতন করতে হবে যেভাবে
৭ মার্চ ২০২৫
'শতকরা প্রায় ৮৫ ভাগ ক্ষেত্রেই যৌন নির্যাতনকারীরা শিশুর পরিচিত'
১১ মার্চ ২০২৫
আইনের শাসনের প্রতীকছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,আইনজীবীরা বলছেন, দেশের আইনে থাকলেও সংজ্ঞার ভুল ব্যাখ্যা ও ব্যবহারের কারণে ভুক্তভোগীর বিচার পাওয়া অনেক সময় দুরূহ হয়ে দাঁড়ায়
যৌন নিপীড়ন, ইভ টিজিংয়ের শাস্তি
আইনজীবীরা জানান, অপরাধের ধরন ও মাত্রাভেদে বিভিন্ন আইন অনুযায়ী বিচার করা হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি ধারায় যৌন নিপীড়নের সংজ্ঞা ব্যাখ্যা করে এ অপরাধের শাস্তি উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি অবৈধভাবে তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তার শরীরের যে কোনো অঙ্গ বা বস্তু দ্বারা কোনো নারী বা শিশুর যৌন অঙ্গ বা অন্য কোনো অঙ্গ স্পর্শ করে বা কোনো নারীর শ্লীলতাহানি করে তাহলে এই কাজ যৌন পীড়ন হবে।

এজন্য দায়ী ব্যক্তি অনধিক ১০ বছর, কিন্তু ন্যূনতম তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।

আইনজীবীরা বলছেন, যদি কোনো ব্যক্তি অন্যদের বিরক্তি সৃষ্টি করে, কোনো প্রকাশ্য স্থানে কোনো অশ্লীল কাজ করে অথবা প্রকাশ্য স্থানে কোনো অশ্লীল গান বা পদাবলি গায়, আবৃত্তি করে বা উচ্চারণ করে তাহলেও আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে।

দণ্ডবিধির আইনের একটি ধারা অনুযায়ী অন্যদের বিরক্তি সৃষ্টিকারী ব্যক্তি তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন বলে বলা হয়েছে।

এই আইনের আরেকটি ধারায় বলা হয়েছে, যদি কেউ কোনো নারীর শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে কথা, অঙ্গভঙ্গি বা কোনো কাজ করে, তাহলে দায়ী ব্যক্তিকে এক বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সাজা বা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।

তবে আইনের এসব ধারার প্রয়োগ একেবারেই নেই বললেই চলে বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন।

মিজ নাসরিন বিবিসি বাংলাকে বলেন, "আইনজীবী হিসেবে আমার ১২ বছরের ক্যারিয়ারে আইনের এই দুই ধারার প্রয়োগ একটা মামলাতেও হতে দেখিনি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েদের ওপর দোষ চাপানো হয়।"

এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশেও ইভ টিজিং বা উত্ত্যক্তের বিষয়ে শাস্তির কথা বলা হয়েছে।

এই অধ্যাদেশের একটি ধারার সংজ্ঞায় নারীকে অপমান বা বিরক্ত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, 'যদি কেউ কোনো রাস্তায় বা পাবলিক প্লেস থেকে স্বেচ্ছায় এবং অশালীনভাবে নিজের শরীর এমনভাবে প্রদর্শন করে যে কোনো বাড়ি বা ভবনের ভেতর থেকে কোনো নারী দেখতে পায়, অথবা স্বেচ্ছায় কোনো রাস্তায় বা পাবলিক প্লেসে কোনো নারীকে অপমান বা বিরক্ত করে বা তার পথ রোধ করে।'

অথবা 'কোনো রাস্তায় বা পাবলিক প্লেসে কোনো অশালীন ভাষা ব্যবহার করে, অশ্লীল আওয়াজ, অঙ্গভঙ্গি বা মন্তব্য করে কোনো নারীকে অপমান বা বিরক্ত করে, তবে সেই ব্যক্তি এক বছরের কারাদণ্ড দণ্ডিত হবেন, অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন' বলে এই পুলিশ অধ্যাদেশে বলা হয়েছে।

এই অধ্যাদেশের আরেকটি ধারায় সমাজে অশালীন বা উচ্ছৃঙ্খল আচরণের শাস্তি হিসেবে তিন মাস মেয়াদ পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ৫০০ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের কথা বলা হয়েছে।

এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনানুযায়ী, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে কোনো অপরাধ হয়ে থাকলে তখনই অপরাধ আমলে নিয়ে শাস্তি দেয়ার বিধান রয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা। এই আইনে সর্বোচ্চ দুই বছর শাস্তি দেয়ার বিধান রয়েছে।

বিবিসি বাংলার খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল অনুসরণ করুন।

ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বা প্রতিবেশীদের মাধ্যমে বেশিরভাগ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে গবেষণায় দেখা গেছেছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বা প্রতিবেশীদের মাধ্যমে বেশিরভাগ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে গবেষণায় দেখা গেছে (প্রতীকী ছবি)
কীভাবে পাওয়া যাবে আইনি প্রতিকার
আইনজীবীরা বলছেন, ইভ টিজিং এর শিকার হলে অবশ্যই আইনের আশ্রয় নিতে হবে। কারণ আইনের আশ্রয় নেয়ার অর্থ হলো এ ঘটনার প্রতিবাদ করা ও আইনিভাবে প্রতিকার চাওয়া।

ফলে ইভ টিজিংয়ের শিকার হলে প্রথমে নিকটস্থ থানায় গিয়ে দ্রুত বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি লিখিত অভিযোগ করা যাবে। এমনকি পুলিশ নিজে বাদী হয়েও মামলা করতে পারে।

এছাড়া থানায় অভিযোগ না নিলে সরাসরি আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার সুযোগ আছে বলেও জানান আইনজীবীরা।

কেউ ইভ টিজিংয়ের শিকার হয় বা হচ্ছে, এমন কোনো ঘটনা দেখলে, আশপাশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সঙ্গে সঙ্গে অবহিত করা উচিত।

তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত যদি হাতেনাতে প্রমাণ পায়, তাহলে ঘটনাস্থলেই শাস্তি দিতে পারবে।

তবে এক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নিরীহ কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা করলে এর ফল উল্টো হতে পারে বলেও জানান আইনবিদরা।

বাংলাদেশের সংবিধানে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

ফলে সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক নারীর প্রতি যে কোনো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিলে তা সংবিধানের লঙ্ঘন বলে মনে করেন আইনজীবী মিজ নাসরিন।

"সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যদি অন্য কোনো স্ট্যাটিউটরি আইন করা হয় যেটা দিয়ে এ অপরাধকে পেনাল্টির মধ্যে আনা হবে সেটা করাটা ভালো হবে" বলেন মিজ নাসরিন।

এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আরেকজন আইনজীবী ফওজিয়া করিম মনে করেন, "অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি, এটিই মূলত এ ধরনের অপরাধকে প্রভাবিত করে। অপরাধকে ঢাকার জন্য অর্থ ও রাজনীতির ব্যবহারের ফলে মানুষ মনে করতো আমরা অপরাধ করে পার পেয়ে যাবো।"

মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনটি সংশোধনের জন্য অংশীদারদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই আইনে বেশ কিছু সংশোধনী আনার বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানান মিজ করিম।

অভিযুক্ত ব্যক্তি আটক হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করা এবং যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি না ধরা পড়েন সেক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার জন্য সংশোধনী আইনে আনা হতে পারে বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।

কেউ ইভ টিজিংয়ের শিকার হয় বা হচ্ছে- এমন কোনো ঘটনা দেখলে, আশপাশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে স....

11/03/2025

কীভাবে তৈরী হয় আলমের ১ নং পঁচা সাবান

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় ফেসবুক। জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে এই সোশ্যাল মিডিয়াটি। ব্যক্তিগত যোগাযোগ থ...
20/02/2025

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় ফেসবুক। জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে এই সোশ্যাল মিডিয়াটি। ব্যক্তিগত যোগাযোগ থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে মতামত তুলে ধরা হয় এই মাধ্যমে। তবে ফেসবুকে এমন কিছু পোস্ট, কমেন্ট বা ভিডিও শেয়ার করলে বিপদসহ আইনি ঝামেলায় পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। প্রমাণ হলে জেল, জরিমানা দুই-ই হতে পারে।

জেনে নিন কোন ধরনের পোস্ট থেকে পড়তে পারেন বিপদে।

আপত্তিকর বা উসকানিমূলক পোস্ট
জাতীয় বা সাম্প্রদায়িক ভাবাবেগকে আঘাত করে এমন পোস্ট করে ফেললে কিন্তু ইউজারের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের নানা ধারায় মামলা রুজু হতে পারে। এই ধরনের পোস্টকে সাইবার অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। কাজেই এই ধরনের বিষয় শেয়ার করা তো বটেই, কোনও ধরনের কমেন্ট করার ক্ষেত্রেও সাবধান থাকতে হবে।

প্রাইভেসি লঙ্ঘন
ফেসবুকে কারও ছবি, ভিডিও তাঁর অনুমতি না নিয়ে পোস্ট কারও বিপজ্জনক হতে পারে। অভিযোগ প্রমাণ হলে জেল, জরিমানা দুই-ই হতে পারে। তাই কারও অনুমতি না নিয়ে তাঁর ছবি বা ভিডিও শেয়ার করবেন না। তাছাড়া কারও ব্যক্তিগত তথ্য যথা ফোন নম্বর, ঠিকানা বা ব্যাঙ্ক ডিটেইলস শেয়ার করাও একই রকম অন্যায়। এই ধরনের কার্যকলাপ থেকে সতর্ক হোন।

ফেক প্রোফাইল
অন্য কোনও ব্যক্তির নাম, ছবি বা তথ্যের ব্যবহার করে 'ফেক' অ্যাকাউন্ট শেয়ার করলে কিন্তু বিপদকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বসবেন। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে জেল হতে পারে। দিতে হতে পারে জরিমানাও।

মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানো
সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য বা গুজব ছড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যেমন- ভুয়া সংবাদ বা ভিডিও পোস্ট করা, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জাতীয় সংকটের সময় ভুয়া তথ্য প্রচার। তাই যে কোনো নিউজ শেয়ার করার আগে তার সত্যতা যাচাই করে নেবেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় ফেসবুক। জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে এই সোশ্যাল মিডিয়াটি। ব্যক্তিগত যোগাযোগ থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে মতামত তুলে ধরা হয় এই মাধ্যমে। তবে ফেসবুকে এমন কিছু পোস্ট, কমেন্ট বা ভিডিও শেয়ার করলে বিপদসহ আইনি ঝামেলায় পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। প্রমাণ হলে জেল, জরিমানা দুই-ই হতে পারে।

বিস্তারিত:https://www.ekushey-tv.com/social-media/1360873111111158393

কটিয়াদীর বৈশাখী মেলাক্ষমতাসীনদের দ্বন্দ্বে মেলা কেন বন্ধ হবেগ্রামীণ মেলা আমাদের আদি সংস্কৃতির অংশ। দেশের আরও অন্যান্য এল...
13/05/2024

কটিয়াদীর বৈশাখী মেলা
ক্ষমতাসীনদের দ্বন্দ্বে মেলা কেন বন্ধ হবে

গ্রামীণ মেলা আমাদের আদি সংস্কৃতির অংশ। দেশের আরও অন্যান্য এলাকার মতো বৈশাখ মাসে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতেও একটি মেলা বসে। এটির আলাদা একটি গুরুত্ব হচ্ছে অস্কারজয়ী ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ির ভিটায় বসে এ মেলা বসে, তা-ও ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে। এবার স্থানীয় ক্ষমতাসীন নেতাদের দ্বন্দ্বে এ বছর সেই মেলা বসেনি। এতে মেলার নিয়মিত দর্শনার্থীরা হতাশা ও স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষেরা ২০০ বছর আগে কালভৈরব পূজাকে উৎসবের মাত্রা দিতে এ বৈশাখী মেলার প্রচলন করেন। প্রতিবছর বৈশাখের শেষ বুধবার থেকে সাত দিনব্যাপী এ মেলা চলে। আর কে না জানে, বৈশাখী মেলা মানেই গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী সব জিনিস বেচাকেনার অন্যতম স্থান। ফলে বিশাল এলাকাজুড়ে চলা এ মেলাকে ঘিরে বসে অনেক দোকানপাট। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মেলায় আসেন। কবি-সাহিত্যিকদের আগমন ঘটে মেলায়, হয় কবিতা পাঠ ও সাহিত্যচর্চা। সব মিলিয়ে এ মেলা হয়ে উঠেছে কটিয়াদীর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ।

গ্রামে গ্রামে ক্ষমতাচর্চা কতটা শিকড় গেড়েছে, তার একটি ছোট্ট নমুনা হচ্ছে এ বছর মেলাটির ধারাবাহিকতার ছেদ পড়া। এত দিন স্থানীয় লোকজন মিলেমিশে মেলা পরিচালনা করে আসছিলেন। তবে গত কয়েক বছরে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এক ইউপি সদস্য সেটির নেতৃত্ব নেন। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মেলায় প্রভাব বিস্তার করতে চান ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে মেলা বসানোর অনুমতি না দিতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তিনি আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনও এবার মেলা বসানোর অনুমতি দেয়নি।

যুবলীগ নেতার দাবি, মেলাকে ঘিরে সম্ভাব্য সহিংসতা এড়াতে তিনি এমন আবেদন করেছেন। কথা হচ্ছে সহিংসতা করবেন কারা? তিনি নিজেকেও কি এর অন্তর্ভুক্ত করছেন না? মেলা বন্ধের এ আবেদনের মাধ্যমে সহিংস পরিস্থিতি তৈরির একপ্রকার হুমকিও দেওয়া হলো না? স্থানীয় লোকজন বলছেন, দুই পক্ষের মধ্যে বনিবনা হয়ে গেলে মেলা বসা নিয়ে কোনো সমস্যা থাকবে না। আর স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগ নিলেই সেটি সম্ভব।

করোনা মহামারি ছাড়া এর আগে কখনো এ মেলা বন্ধ হয়নি। এবার স্থানীয় ক্ষমতাসীন নেতাদের বিরোধে এমনটি ঘটল। কথা হচ্ছে, যে মেলা এত দিন স্থানীয় লোকজন পরিচালনা করে আসছেন, সেখানে কেন ক্ষমতাসীন নেতারা বাগড়া দেবেন? তাঁদের ব্যক্তিগত স্বার্থ ও দ্বন্দ্বের কারণে ঐতিহ্যবাহী একটি মেলা কেন বন্ধ হয়ে যাবে? আমরা চাই স্থানীয় প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় স্থানীয় লোকজনকে নিয়েই এ মেলার আয়োজন হোক।

গ্রামীণ মেলা আমাদের আদি সংস্কৃতির অংশ। দেশের আরও অন্যান্য এলাকার মতো বৈশাখ মাসে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতেও একটি মে.....

হোসেনপুরের সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের...
14/11/2023

হোসেনপুরের সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের বাসুরচর গ্রাম থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

মৃতরা হলেন সৌদি প্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার, মেয়ে মোহনা (১১) ও বন্যা (৭)।

মঞ্জিল মিয়ার চাচাত ভাই মো. আরিফ জানান, মোহনা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। আর বন্যা পড়ত প্রথম শ্রেণিতে। সকালে মোহনার বন্ধু ফারজানা তাকে ডাকতে গিয়ে দেখে তিনজন খাটের ওপর মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মা ও দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করি। নিহতের স্বামী একজন সৌদি প্রবাসী বলে জানতে পেরেছি। তবে তাদের মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক।”

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে উপ....

Address

কিশোরগঞ্জ জেলা সংবাদ
Kishoreganj
360

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কিশোরগঞ্জ জেলা সংবাদ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share