
25/10/2024
""ছাত্র স্যারকে বলেন""
স্যার একটা কথা বলবো?-কি বলো?
-আজ আমার সারে ১২টায় ছুটি দেবেন?
স্যার বলেন কেন? কি করবি?
ছাএ বলেন বাড়ি গিয়ে ভাত খাবো, পেটে খুব ক্ষিধা লাগছে।
স্যার বলেন কেন?সকালে খেয়ে আসোনি?
ছাএ বলে না।
স্যার বলেন কেন?
ছাএ বলে তরকারি নেই। আর লবণ দিয়ে ভাত খেতে ইচ্ছে করে না তাই ভাত খেতে পারিনি।
কথাটা শুনতেই বুকের মধ্যে কেমন যেন
লাগলো স্যারের?
স্যার বলেন রাতে কি খেয়েছো?
ছাএ বলে গরম ভাতে পানি দিয়ে ডাল মনে করে ভাত খেয়েছি।
স্যার বলেন এখন কি দিয়ে খাবে?
ছাএ বলে,মা বললো স্কুল ছুটির পর গেলে কচু তরকারি রান্না করে রাখবো।
সেটি দিয়ে মজা মজা করে ভাত খাবো।
মায় খুব মজা করে কচু তরকারী রান্না করতে পারে।
কখন যে চোখটা ঝাপসা হয়ে আসল বুঝতে পারেননি স্যার।
স্যার বলেন একদিন তোমার মায়ের হাতের রান্না করা কচু তরকারী
খেয়ে আসবো। নিয়ে যাবে তোমাদের বাড়ী?
ছাএ বলে যাবেন স্যার সত্যি আমাদের বাড়ি,
স্যার বলেন হ্যাঁ সত্যি যাবো। এখন যাও, বাড়ি গিয়ে পেট ভরে ভাত খাও।
মুখে পৃথিবীর জয় করা হাসি নিয়ে বই হাতে নিয়ে আনন্দ করতে করতে চলে যাওয়ার দিকে মন্ত্র মুগ্ধের মত তাকিয়ে রইলেন স্যার।
তরকারির জন্য ভাত খেতে পারছে না। অথচ
আমাদের এই সমাজে কত মানুষ আছে যাদের
খাবারের মেনুতে কত আইটেম থাকে। যা তারা
খেয়ে শেষ করতে পারে না। অবশিষ্ট অংশ চলে যায় ডাস্টবিনে। এমন অনেক
বাবা মা আছেন যারা ছেলেকে বিভিন্ন নামি দামি
স্কুলে
পড়ান। গাড়ি করে নিয়ে যান। ছেলের কত আবদার!
সব পূরণ করতে ব্যস্ত। অথচ রাস্তায় পড়ে থাকা
""মানুষ""
গুলোর দিকে ফিরেও তাকায় না। তাকাবেন কেন??
তাকালেই তো ঘাড়ে এসে পড়বে। আমরা তো-
নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। হাজার টাকার টাকার বডি স্প্রে
গায়ে দিয়ে ঘুরে
বেড়াই। ঈদ আসলে,পুজো আসলে ব্যস্ত হয়ে পড়ি শপিং নামক
টাকা উড়ানোর খেলায়। বিভিন্ন নামি দামি কোম্পানির সব পোশাক
কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু বুঝতে চাই না এই
বাহিরের দেশের পোশাক গুলোতে আমাকে কি
মানাচ্ছে?
অথচ একটা গরীব লোক এসে বলছে-দুটো
টাকা
দেন। তখন বলি -খুচরা টাকা নাই। মাফ করো।
গার্লফ্রেন্ডকে
নিয়ে চাইনিজ খেতে যাই। কত টাকা খরচ হয় হিসাব রাখে না অথচ
গরীব রিক্সাচালক যখন বলে-পাঁচটা টাকা বাড়তি দেন।
তখন তার গায়ে হাত তুলতে দ্বিধাবোধ করে না। ঐ
গরীব লোক গুলোর অপরাধ কি?
অপরাধ একটাই যে সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে
গরীবের
ঘরে জন্ম দিয়েছেন। আর আপনাকে সোনার
চামচ মুখে