03/07/2025
সাঈদী সাহেব ইতিহাসের সাহসী ইমামদের উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেছিলেন দিল্লি জামে মসজিদের ইমাম সৈয়দ আবদুল্লাহ বোখারী রাহিমাহুল্লার কথা। তিনি সম্রাট শাহজাহান নির্মিত উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদটির ১২তম ইমাম ছিলেন। ১৯৭৩ সালের ৮ জুলাই থেকে ২০০০ সালের ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত আবদুল্লাহ বোখারী উক্ত মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তাঁর ছেলে আহমেদ বুখারী ইমামতি করছেন সেখানে।
কলকাতা হাইকোর্টে আল কুরআনের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রেক্ষিতে সৈয়দ আবদুল্লাহ বুখারীর একটি বক্তব্যের কথা বলছিলেন সাঈদী সাহেব। সেই বক্তব্যে আবদুল্লাহ বুখারী বলেছিলেন, 'আমি শুধু দিল্লি জামে মসজিদের ইমাম নই, গোটা হিন্দুস্তানের ২০ কোটি মুসলমানের ইমাম হিসেবে বলছি– আল কুরআনকে ব্যান করে যে জজ রায় দেবে, তাকে আমি পায়ের নিচে ফেলে বামহাত দিয়ে তার জিহ্বা ছিঁড়ে ফেলে দেবো।' খোদ হিন্দুস্তানের রাজধানীতে দাঁড়িয়ে এই ভাষায় কথা বলতে দম লাগে, ঈমান লাগে।
সাঈদী সাহেব মূলত হাজারে হাজার এমন ইমাম, এমন দাঈ প্রত্যাশা করেছিলেন বাংলাদেশের আনাচেকানাচে। মাওলানা সৈয়দ আবদুল্লাহ বুখারী এবং সাঈদী সাহেব মাত্র চৌদ্দ বছরের ব্যবধানে পৃথিবী ছাড়েন। আবদুল্লাহ বুখারী ইন্তেকাল করেন ২০০৯ সালের ৮ জুলাই। অন্যদিকে আল্লামা সাঈদী ইন্তেকাল করেন ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট। অবশ্য শাহী ইমাম আবদুল্লাহ বুখারী সাঈদী সাহেবের প্রায় ১৮ বছরের বয়োজ্যেষ্ঠ ছিলেন।
প্রশ্ন হলো– এখন আর আবদুল্লাহ বুখারী, আল্লামা সাঈদীর মতো সাহসী ইমাম এবং দাঈ তৈরি হচ্ছে না কেন? ইমাম এবং খতিবরা যখন থেকে মসজিদ কমিটিকে তাঁদের রিজিকের মালিক মনে করে নিয়েছেন, দাঈরা যখন থেকে কন্ট্রাক্ট করে টাকা নিয়ে দাওয়াহ দেওয়ার প্রচলন করেছেন; তখন থেকেই তাঁরা হারিয়ে ফেলেছেন তাঁদের মর্যাদা। ফলতঃ পাতিনেতারা এখন তাঁদের চোখ বাস্ট করে দেওয়ার হুমকি দেখায়। মসজিদের বেনামাজি সভাপতির কথায় উঠতে হয়, বসতে হয়।
'যেমন ইমাম চাই'
©