16/06/2023
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার সকালে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সকালে ১০টা ৪৬ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজধানী ঢাকা থেকে ২০২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। এই ভূমিকম্প ছিল ৪.৫ মাত্রার।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এই ভূমিকম্পকে ‘হালকা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বা ইউএসজিএস তথ্য অনুযায়ী ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিলে সিলেটের গোলাপগঞ্জ এলাকায়। উৎপত্তিস্থলে ভূমিকম্প ছিল পাঁচ মাত্রার। বাংলাদেশের পাশাপাশি সীমান্তের অপর পাশে ভারতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
সিলেট থেকে সাংবাদিক গুলজার আহমেদ বিবিসি বাংলাকে জানান, সিলেট শহরে ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি ছিল আঁতকে ওঠার মতো। তাঁর ধারণা, এই ভূমিকম্প আট থেকে দশ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছে। এ সময় আতঙ্কে বিভিন্ন বহুতল ভবন থেকে বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসেন।
“ তখন বাইরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল। এ অবস্থাতেই অনেকে ভবন থেকে রাস্তায় নেমে আসেন। আমি নিজেও তিনতলা থেকে রাস্তা নেমে এসেছিলাম,” বলেন গুলজার আহমেদ। এই ভূমিকম্পে এখনো পর্যন্ত কোন ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
গত ৫ই মে ঢাকায় সর্বশেষ ভূমিকম্প হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এর হিসেব অনুযায়ী তখন ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৩।
আমেরিকান সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার কাছে বিক্রমপুরের দোহার থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলকে এমনিতেই ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করেন বিজ্ঞানিরা।
ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে কয়েকটি প্লেট থাকার কারণে এসব এলাকা ভূমিকম্পের বড় ঝুঁকিতে রয়েছে।
সুনামগঞ্জ, জাফলং অংশে ডাউকি ফল্টের পূর্বপ্রান্তেও ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন।
এসব ফল্টে ভূমিকম্প হলে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বা বিপদের মাত্রা অনেক বেশি বলে তিনি আশঙ্কা