Alor path

Alor path Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Alor path, Video Creator, Kuliar Char.

22/02/2024

আল্লাহর রসূলﷺ ইরশাদ করেন, সে-ই মুসলিম, যার জিহবা ও হাত হতে সকল মুসলিম নিরাপদ এবং সে-ই প্রকৃত মুহাজির, আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন তা যে ত্যাগ করে।
- সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১০

22/02/2024

"রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম) কে নিয়ে লিখা সাহাবি হাসসান বিন সাবিত (রা) এর "তোমার তারিফ" (বাংলা নাম) কবিতার অংশবিশেষ.. "

26/11/2023

❑. দ্বীনে প্রবেশের অর্থই হলো একটা যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়া। সেই যুদ্ধটা জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত বলবৎ। সেই যুদ্ধটা নিজের সাথে। নিজের নফসের সাথে।

শয়তানের ওয়াসওয়াসার সাথে। এই যুদ্ধে লড়তে গিয়ে আমরা বারবার পিছিয়ে পড়তে পারি। ভেঙে পড়তে পার। আশাহত হতে পারি। তাই এরকম অবস্থাতেও যেন আমাদের পদ্খলন না ঘটে, যাতে আমরা সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ থেকে বিচ্যুত না হই, এজন্যই রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই দুআ আমাদের শিখিয়ে দিছেন।

❝ ইয়া মুকাল্লিবাল ক্কুলুব, সাব্বিত ক্বালবি আলা দ্বীনিক। ❞
অর্থঃ ""হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আপনি আমাদের অন্তরকে দ্বীনের ওপর দৃঢ় রাখুন'।

26/11/2023

◍" PSC 'তে ভালো রেজাল্ট করা ছেলেটি পরে বুঝতে পারলো হুদায় এটা,কিছুই ছিলনা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র ll

◍" JSC ' তে ভালো রেজাল্ট করা ছেলেটি জানতে পারলো, JSC রেজাল্ট নাম মাত্র, সত্যিকারের খেলা হবে SSC তে ?

◍" SSC ' তে ভালো রেজাল্ট করা ছেলেটি জানতে পারলো, মুল খেলা নাকি HSC তে হয় ?

এদিকে HSC চলমান পরীক্ষা দেয়া ছেলেটা জানে, মুল খেলা হয় Admission এ!

ওই দিকে সদ্য গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করা ছেলেটি জানে, মুল খেলা তো সবেমাত্র শুরু...

❑. এভাবে হঠাৎ করে মৃত্যু এসে তাকে গ্রাস করে ফেলে। আর মৃত্যুর যন্ত্রণা আসবেই,কুরআন ও হাদিসে সাকারাতুল মাউত সম্পর্কে বিবরণ এসেছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَجَاءتْ سَكْرَةُ الْمَوْتِ بِالْحَقِّ ذَلِكَ مَا كُنتَ مِنْهُ تَحِيدُ
মৃত্যুযন্ত্রণা অবশ্যই আসবে। এ থেকেই তুমি পালাতে চাচ্ছিলে। [ সুরা ক্বাফ : ১৯ ]

মৃত্যুর ফেরেশতা যখন উপস্থিত হয়, মৃত্যুপথযাত্রী তাকে দেখতে পান। রাসূল সা. আমাদের বলেন, এর ব্যপ্তি হবে মিলি সেকেন্ডের মতো। যখন ব্যক্তি জীবিত থাকবে। ফেরেশতাকে তার সামনে উপস্থিত দেখতে পাবে। মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তি তখনো এই দুনিয়ার অংশ। কিন্তু মৃত্যুর ফেরেশতা উপস্থিত এবং আপনি তা দেখতে পাবেন। আল্লাহ তাআলা এ সময় সম্পর্কে কুরআনে বলেন,
لَقَدْ كُنتَ فِي غَفْلَةٍ مِّنْ هَذَا فَكَشَفْنَا عَنكَ غِطَاءكَ فَبَصَرُكَ الْيَوْمَ حَدِيدٌ

তুমি তো এই দিন সম্পর্কে উদাসীন ছিলে। এখন তোমার কাছ থেকে পর্দা সরিয়ে দিয়েছি। ফলে আজ তোমার দৃষ্টি প্রখর। [ সুরা ক্বাফ ৫০:২২ ]

01/10/2023

ইমাম ইবনুল ক্বাইয়্যিম রহি'মাহুল্লাহ বলেন,
"অন্তরের ব্যাধির লক্ষণঃ

(১) যখন কোন ব্যক্তি গুনাহ বা খারাপ কাজ করে, তখন সে অন্তরে কোনপ্রকার দুঃখ বা কষ্ট অনুভব করে না।
(২) গুনাহ করার সময় আনন্দ অনুভব করে, গুনাহ করার পরে তার মন্দ কাজ তাকে শান্তি ও তৃপ্তি দেয়।
(৩) যখন কোন ব্যক্তি কম গুরুত্বপূর্ণ কাজে বেশি মনোযোগী হয়, আর অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অবহেলা করে।
(৪) হক্ক কথা শুনতে খারাপ লাগে, হক্ক কথা গ্রহণ করতে ও মেনে নিতে কষ্ট পায়।
(৫) নেককার লোকদের সাথে অস্বস্তি বোধ করে, পাপাচারী লোকদের সাথে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
(৬) খুব সহজেই ভ্রান্ত ধারণা ও সন্দেহের শিকার হয়।
(৭) দ্বীন নিয়ে তর্ক বা ঝগড়া করতে উতসাহী, ক্বুরআন তিলাওয়াত ও নেক আমল করতে মন চায় না।
(৮) নাসীহাত শুনে তার উপর কোন প্রভাব পড়ে না।

[ ইগাসা আল-লাহফানঃ ১/৫৪৮ ]

01/10/2023

জান্নাতি মৃত্যুর ১২টি লক্ষন...!

১. মৃত্যুর সময় কালেমা পাঠ করতে পারা। ~সহীহ আবু দাউস-২৬৭৩
২. মৃত্যুর সময় কপালে ঘাম বের হওয়া।~তিরমিজি -৯৮০
৩. জুমার রাতে বা দিনে মৃত্যু বরণ করা। ~তিরমিজি-১০৭৪
৪. আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধরত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করা। ~সহিহ মুসলিম-১৯১৫
৫.প্লেগ রোগে মৃত্যু বরণ করা।~বুখারী-২৮৩০/ মুসলিম-১৯১৬
৬.যে কোনো পেটের পীড়াতে মৃত্যু বরণ করা। ~ সহিহ মুসলিম-১৯১৫
৭. কোনো কিছু ধ্বসে পড়া বা পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করা। ~সহিহ বুখারী-২৮২৯
৮.গর্ভবতী নারীর মৃত্যু বরণ করা।
~আবু দাউদ-৩১১১
৯. আগুনে পুড়ে বা যক্ষা রোগে মৃত্যু। ~সহিহ তারগিব ওয়াত তারহীব-১৩৯৬
১০.নিজের ধর্ম সম্পদ ও জীবন রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যু।
~তিরমিজ ১৪২১/মুসলিম-১৪১
১১.আল্লাহর রাস্তায় প্রহরীর দায়ীত্ব পালন করতে গিয়ে মৃত্যু।
১২. নেক আমল রত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা।

17/09/2023

সন্তানের প্রতি পিতার উপদেশ
__________________________
জগৎবাসীর মাঝে মানুষের প্রতি সবচেয়ে বেশি মমতাময়ী এবং কল্যাণকামী হচ্ছে পিতা-মাতা। ক্বুরআন, হাদীস এবং সীরাত গ্রন্থে সন্তানের প্রতি পিতার দরদমাখা যে অসীয়ত বা উপদেশ পাওয়া যায়, নিম্নে এমনই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণী বর্ণনা করা হলো।
__________________________
(১) পিতা-মাতার উচিত সন্তান জন্মের পূর্ব থেকেই তাদের সন্তান যেন নেককার হয়, তার জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দুয়া করা।
যেমন ইব্রাহীম আ’লাইহিস সালাম দুয়া করেছিলেন,
رَبِّ هَبۡ لِي مِنَ ٱلصَّٰلِحِينَ١٠٠
“হে আমার রব্ব! তুমি আমাকে একটি সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দান করো।” সুরা সাফফাতঃ ১০০।

যাকারিয়া আ’লাইহিস সালাম দুয়া করেছিলেন,
رَبِّ هَبۡ لِي مِن لَّدُنكَ ذُرِّيَّةٗطَيِّبَةًۖ إِنَّكَ سَمِيعُ ٱلدُّعَآءِ
“হে আমার রব্ব! আমাকে তোমার পক্ষ হতে একটি সুসন্তান দান করো, নিশ্চয় তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী।” সুরা আলে-ইমরানঃ ৩৮।
__________________________
(২) পিতা-মাতার সবচেয়ে বড় চিন্তা হবে, তাদের মৃত্যুর পর তাদের সন্তানেরা যেনো আল্লাহকে মাবূদ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, আল্লাহর গোলামী করে, তাঁর প্রতি অনুগত থাকে, তাঁকে ছাড়া অন্য কোনো মাবূদের পূজা না করে। একারণে নবী রাসুলগণ তাঁদের সন্তানদেরকে নসীহত করতেন।
যেমন নূহ আ’লাইহিস সালামের মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে তিনি তাঁর দুই ছেলেকে ডেকে বললেন, আমি তো অক্ষম হয়ে পড়েছি। তাই আমি তোমাদেরকে অসিয়ত করে যাচ্ছি। আমি তোমাদেরকে দুইটি বিষয়ে আদেশ করছি এবং দুইটি বিষয় থেকে নিষেধ করছি। আমি তোমাদেরকে শিরক এবং অহংকার থেকে নিষেধ করছি। আর যে দুটি বিষয়ে আদেশ করছি তার একটি হলোঃ “লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ্”। কেননা সমস্ত আসমান ও যমীন এবং এর মাঝে যা কিছু আছে সব কিছু যদি এক পাল্লায় রাখা হয় আর অপর পাল্লায় “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” রাখা হয়, তাহলে কালেমার পাল্লাই ঝুলে যাবে (ভারী হবে)। আর যদি সমস্ত আসমান-যমীন (সাত আকাশ ও সাত যমীন) এবং এর মধ্যকার যা কিছু আছে, একটি হালকা বা গোলাকার করে তার উপর এই কালেমাকে রাখা হয়, তাহলে ওজনের কারণে তা ভেঙ্গে যাবে। আর আমি তোমাদেরকে আদেশ করছি ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহা’মাদিহি’ (পাঠ করার জন্য), কেননা এটা প্রত্যেক বস্তুর তাসবীহ, এর দ্বারাই প্রত্যেক বস্তুকে রিযিক্ব দেওয়া হয়।” মুসনাদে আহমাদঃ ৬৫৮৩, মুস্তাদরাক হাকিমঃ ১৫৪, হাদীসটি সহীহ।
__________________________
(৩) একজন পিতার উচিত সমস্ত গুনাহর মাঝে তাঁর সন্তানদেরকে বিশেষভাবে শিরক থেকে সতর্ক করা। যেমন লুক্বমান আ’লাইহিস সালাম তার ছোট্ট ছেলেকে অত্যন্ত আদরমাখা কন্ঠে উপদেশ দিয়ে বলেছিলেনঃ
يَٰبُنَيَّ لَا تُشۡرِكۡ بِٱللَّهِۖ إِنَّ ٱلشِّرۡكَ لَظُلۡمٌ عَظِيمٞ ١٣
“হে আমার প্রিয় বৎস্য! তুমি আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করো না। নিশ্চয়ই শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় জুলম।” সুরা লুক্বমানঃ ১৩।
__________________________
(৪) পিতা-মাতার উচিত তাদের সন্তানদেরকে তাক্বওয়ার ব্যাপারে অসীয়ত করা, পরকালের জীবনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য উপদেশ দেওয়া।
যখন আল্লাহ তাআ’লা ক্কুরআনের এই আয়াত নাযিল করলেন,
(‏وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الأَقْرَبِينَ ‏)
“(হে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি আপনার নিকটাত্মীদেরকে সতর্ক করে দিন।” সুরা শুআ’রাঃ ২১৪।
তখন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁড়ালেন এবং ক্বুরাইশ গোত্রকে, আবদে মানাফ গোত্রকে, তাঁর চাচা আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আ’নহুকে, তাঁর ফুফু সাফিয়া রাদিয়াল্লাহু আ’নহাকে নাম ধরে ডেকে ডেকে সতর্ক করেন। অতঃপর তাঁর প্রাণপ্রিয় কন্যা ফাতিমাহ রাদিয়াল্লাহু আ’নহাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন,
“হে মুহাম্মদের কন্যা ফাতিমাহ! আমার ধন-সম্পদ থেকে তুমি যা ইচ্ছা চেয়ে নাও। (শেষ বিচারের দিন) আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করতে আমি তোমার কোন উপকার করতে পারবো না।” সহীহ বুখারীঃ ২৭৫৩।
__________________________
(৫) মানুষ যতই চেষ্টা করুক না কেনো, তার দ্বারা গুনাহ হবেই। এ কারণে বুদ্ধিমান এবং কল্যাণের অধিকারী তারাই, যারা গুনাহ হয়ে গেছে বুঝার পর বারবার তাওবা করে। সেইজন্য পিতা-মাতার উচিত সন্তানদেরকে তাওবা এবং ইস্তিগফার করার জন্য খুব বেশি নসীহত করা।
যেমন লুক্বমান আ’লাইহিস সালাম তাঁর ছেলেকে উপদেশ দিয়ে বলেছিলেন, “হে আমার বৎস! তুমি আস্তাগফিরুল্লাহ (হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা করো - এই দুয়া) অনেক বেশি পরিমাণে বলো। কেননা, নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে এমন কিছু সময় রয়েছে, যখন তিনি কোন ভিক্ষুককে ফিরিয়ে দেন না।” শুআ’বুল ঈমানঃ ১১৩, ইমাম বায়হাক্বী রহি’মাহুল্লাহ।
__________________________
(৬) পিতা-মতা যতই আশা এবং চেষ্টা করুক না কেনো, তারপরেও কিছু কিছু সন্তান পথভ্রষ্ট, দ্বীন বিমুখ থেকে যায়। এমন ক্ষেত্রে মুমিনদের উচিত হতাশ না হওয়া। আল্লাহ তাআ’লা ইতিপূর্বে অনেক বড় বড় কাফির, ইসলামের দুশমনদেরকেও হেদায়েত দিয়েছেন। সুতরাং সন্তানের নাফরমানির জন্য তাদের হেদায়েতের ব্যাপারে আল্লাহ রহমত হতে হতাশ হওয়া ঠিক না, কিংবা তাদেরকে বদ দুআ করা ঠিক না। কেননা সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার দুআ এবং বদ দুআ; দুটোই কবুল হয়।
এ কারণে নূহ আ’লাইহিস সালাম তাঁর এক কাফির সন্তানের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তার হেদায়েতের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা গেছেন। অনুরূপভাবে, খারাপ সন্তান নিয়ে পরীক্ষায় নিপতিত মুমিনের উচিত তার সন্তানকে বারবার উপদেশ দেওয়া, দ্বীনের দিকে আহবান করা। তাদের হেদায়েতের জন্য দুআ কবুলের মুহূর্তগুলোতে বেশি বেশি দুআ করা।

মহাপ্লাবনের ঠিক পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত নূহ আ’লাইহিস সালাম ‘ইয়াম’ নামক তাঁর এক সন্তানকে কুফুরী থেকে তোওবা করে ঈমান আনার দাওয়াত দিয়েছিলেন,
وَهِيَ تَجۡرِي بِهِمۡ فِي مَوۡجٖ كَٱلۡجِبَالِ وَنَادَىٰ نُوحٌ ٱبۡنَهُۥ وَكَانَ فِي مَعۡزِلٖ يَٰبُنَيَّ ٱرۡكَب مَّعَنَا وَلَا تَكُن مَّعَ ٱلۡكَٰفِرِينَ ٤٢
“পর্বত সদৃশ তরঙ্গমালার মধ্য দিয়ে তা তাদেরকে নিয়ে বয়ে চলল। তখন নূহ তার পুত্রকে, যে কিনা তাঁদের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল, তাকে ডাক দিয়ে বলল, “হে আমার পুত্র! আমাদের সঙ্গে আরোহণ কর, কাফিরদের সঙ্গে থেক না।” সুরা হুদঃ ৪২।
তাঁর সন্তান যখন দাওয়াত কবুল না করে হঠকারি প্রদর্শন করে তখন তিনি তাকে আল্লাহর রহমতের আশা এবং শাস্তির ভয় দেখান। কিন্তু সে ছিলো চরম হতভাগাদের একজন।
قَالَ سَ‍َٔاوِيٓ إِلَىٰ جَبَلٖ يَعۡصِمُنِي مِنَ ٱلۡمَآءِۚ قَالَ لَا عَاصِمَ ٱلۡيَوۡمَ مِنۡ أَمۡرِ ٱللَّهِ إِلَّا مَن رَّحِمَۚ وَحَالَ بَيۡنَهُمَا ٱلۡمَوۡجُ فَكَانَ مِنَ ٱلۡمُغۡرَقِينَ ٤٣
“সে (অর্থাৎ নূহের পুত্র) বলল, “আমি এক্ষুণি পাহাড়ে আশ্রয় নেব; যা আমাকে পানি থেকে রক্ষা করবে।” নূহ বলল, “আজ আল্লাহর হুকুম থেকে কোন কিছুই রক্ষা করতে পারবে না, অবশ্য আল্লাহ যার প্রতি দয়া করবেন সে রক্ষা পাবে।” অতঃপর ঢেউ তাদের দু’জনার মাঝে আড়াল করল আর সে ডুবে যাওয়া লোকেদের মধ্যে শামিল হয়ে গেল।” সুরা হুদঃ ৪৩।
__________________________
(৭) পিতা-মাতার উচিত তাঁদের সন্তান যেন হেদায়েতের উপরে টিকে থাকে, শিরক থেকে বেঁচে থাকে, নেক হায়াত পেয়ে সৌভাগ্যবান হয় তার জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দুআ করা।
যেমন আল্লাহর বন্ধু ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ দুআ করেছিলেন,
رَبِّ ٱجۡعَلۡ هَٰذَا ٱلۡبَلَدَ ءَامِنٗا وَٱجۡنُبۡنِي وَبَنِيَّ أَن نَّعۡبُدَ ٱلۡأَصۡنَامَ
“হে আমার রব্ব! আপনি এই (মক্কা) শহরকে নিরাপদ করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে মূর্তি পূজা থেকে বাঁচিয়ে রাখুন।” সুরা ইব্রাহীমঃ ৩৫।
__________________________
(৮) মুমিনদের সফলতা এবং কল্যাণ নিহিত আছে ক্বুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করা, এর বিধি-বিধান অনুসরণ করা, এক কথায় ক্বুরআনকে আঁকড়ে ধরার মাঝে। একারণে পিতা-মাতার উচিত, ছোটবেলা থেকেই সন্তানদেরকে ক্বুরআনওয়ালা বানানোর জন্য চেষ্টা করা এবং ক্বুরআন তিলাওয়াত করার জন্য উপদেশ দেওয়া।
যেমন, আল-আব্বাস বিন আসবাগাহ রহি’মাহুল্লাহ বলেন, মুহাম্মদ বিন ক্বাসিম রহি’মাহুল্লাহ আমাকে বলেছেন, “আমি আমার পিতাকে বললাম, হে আমার পিতা! আমাকে অসীয়ত করুন।” আমার পিতা বললেন, “আমি তোমাকে আল্লাহর কিতাবের ব্যাপারে অসীয়ত করছি। ক্বুরআন থেকে তোমার সৌভাগ্য অর্জনের ব্যাপারে তুমি ভুল করো না এবং প্রতিদিন ক্বুরআন থেকে অন্তত এক পারা তিলাওয়াত করা তোমার নিজের জন্য অত্যাবশ্যক করে নাও।” তারিখ ইলমা’আ আল-আন্দালুসঃ ১/৩৯৮।
__________________________

05/08/2023

আল্লাহুম্মা লা তুআখিযনী বিমা ইয়াকূলূন, ওয়াগফিরলী মা লা ইয়া‘লামূন)।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তারা যা বলছে সে ব্যপারে আমাকে পাকড়াও কর না এবং যে বিষয়ে তারা জানে না, সে বিষয়ে আমাকে ক্ষমা করে দাও’। জনৈক ছাহাবী এ দো‘আটি পাঠ করতেন’ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৭৬১, সনদ ছহীহ)।

স্মর্তব্য যে, প্রশংসাকৃত ব্যক্তির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে এবং এতে তার কল্যাণের সম্ভাবনা থাকলে প্রশংসা করা যেতে পারে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৬/১২৪)। তবে সামনে হৌক বা পিছনে হৌক কারো ব্যাপারে অতি প্রশংসা করা উচিৎ নয়। রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে জনৈক ছাহাবী অপর এক ছাহাবীর উচ্চ প্রশংসা করলে তিনি বলেন, আফসোস! তুমি তো তোমার সাথীর গর্দান কেটে ফেললে (কথাটি তিনি তিনবার বললেন)। অতঃপর বললেন, যদি কারো প্রশংসা করতে হয়, তবে সে যেন বলে, আমি তার ব্যাপারে এমন এমন ধারণা পোষণ করি। কারণ তার প্রকৃত হিসাব আল্লাহ জানেন...(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৮২৭)।

05/08/2023

🔰রাসুল(সাঃ) বলেছেনঃ
তিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করেছেনঃ
১) যে মদ তৈরী করে।
২) যে মাতা-পিতার নাফরমানী করে এবং
৩) ঐ চরিত্রহীন ব্যক্তি(দাইয়ুস) যে নিজ স্ত্রীকে অশ্লীলতা ও ব্যভিচার করতে সুযোগ দেয়।

(আহমাদঃ ৫৮৩৯।)

Address

Kuliar Char

Telephone

+8801737244300

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Alor path posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Alor path:

Share

Category