26/06/2025
সাবেক রাষ্টপ্রতি আব্দুল হামিদও খারাপ মানুষ। তাহলে এই দেশে ভালো মানুষ কি সমন্বয়ক আর উপদেষ্টারা? জীবনের শেষ সময়ে এসে আমাদের সাবেক রাষ্টপ্রধান আব্দুল হামিদকে দেশ ছাড়তে হয়েছে, তাতেই ক্ষিপ্ত শিবির ও সমন্বয়ক গোষ্ঠী। তারা এমন ভাব করছে তিনি যেন চিহ্নিত স'ন্ত্রাসী ছিলেন! তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কি? তিনি চাঁদাবাজি করেছেন? টাকা পাচার করেছেন? তার এক্স্যাক্ট অপরাধ কি? একটু তার লাইফটা সম্পর্কে জানাই আপনাদের.... আবদুল হামিদ তাঁর জন্মস্থান ও তদসংলগ্ন অঞ্চলে ৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৪টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ৩টি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এর বাইরে কিশোরগঞ্জ নামে যে একটা এলাকা আছে এটা আমরা অনেকে জানি আমাদের সাবেক রাষ্টপ্রধানের মাধ্যমে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানগুলোতে যখন বক্তব্য রাখতেন সবাই কত উৎফুল্ল, আনন্দিত থাকতো। একজন রাষ্টপ্রধান শিক্ষার্থীদের সাথে মিশে যেতেন। আমরা কি উনার এসব আচরণ ভুলে গেছি? তাছাড়া আবদুল হামিদ এক বর্ণাঢ্য ও সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। ১৯৫৯ সালে স্কুলের ছাত্র থাকাকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগে যোগদানের মধ্য দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু। ১৯৬২-র ছাত্র আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তখন কলেজের ছাত্র। কার্যত তখনকার শরীফ শিক্ষা কমিশন রিপোর্টবিরোধী আন্দোলনে শামিল হন। এ সময় তিনি কারাবরণ করেন। ১৯৬২-১৯৬৩ সালে তিনি গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে তিনি কিশোরগঞ্জ মহকুমা ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৬৫-১৯৬৬ সালে তিনি কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৬৬-১৯৬৭ সময়ে তিনি ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানের কারণে ১৯৬৮ সালে তিনি পুনরায় গ্রেপ্তার হন। মুক্তিলাভের পর ১৯৬৯ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১৮ নির্বাচনী এলাকা থেকে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ৭১-এর মার্চের উত্তাল দিনগুলোতে তিনি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে কিশোরগঞ্জে অসহযোগ আন্দোলন সফল করা এবং স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। ১৭ই মার্চ কিশোরগঞ্জ শহরের রথখোলা মাঠে হাজার-হাজার ছাত্রজনতার উপস্থিতিতে তিনি বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত পতাকা উত্তোলন করেন। ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা