Abdul Akher Khandoker

Abdul Akher Khandoker আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা,
আমি বাঁধি তার ঘর!
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই,
যে মোরে করেছে পর।।

15/07/2025

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান—
কুড়িগ্রামে ১০ শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব Tarique Rahman,

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে নিহত কুড়িগ্রামের ১০টি শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান।
চব্বিশের গণআন্দোলন চলাকালে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় নিহত ১০ জন হলেন— শহীদ গোলাম রব্বানী, শহীদ আশিকুর রহমান, শহীদ নূর আলম, শহীদ রাশেদুল ইসলাম, শহীদ রায়হানুল ইসলাম, শহীদ সৈকত, শহীদ মোঃ আব্দুল্লাহ আল তাহির, শহীদ কামাল আহম্মেদ বিপুল, শহীদ শফিকুল ইসলাম ও শহীদ শফিকুল ইসলাম শফি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে (১৫ জুলাই ২০২৫) কুড়িগ্রাম জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ ময়দান মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ পরিবারগুলোর মাঝে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন— দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট শহীদ পরিবারের প্রতি ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান-এর পক্ষ থেকে সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন— সংগঠনটির আহবায়ক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন।

কুড়িগ্রামে অনুষ্ঠিত মানবিক এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন— বিএনপি’র রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, সংগঠনটির সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন ও জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি।

আজকের প্রোগ্রামে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রদলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।

তারিখ : ১৫ জুলাই ২০২৫

অনুপস্থিতির মধ্যেও উপস্থিত এক নেতার নাম….বাংলাদেশে উপস্থিত নাই, কিন্তু তার প্রভাব রাজপথে, রাজনীতিতে, কর্মীদের হৃদয়ে; প্...
14/07/2025

অনুপস্থিতির মধ্যেও উপস্থিত এক নেতার নাম….

বাংলাদেশে উপস্থিত নাই, কিন্তু তার প্রভাব রাজপথে, রাজনীতিতে, কর্মীদের হৃদয়ে; প্রত্যেকটি মুহূর্তে স্পন্দিত হয়…যিনি প্রবাসে থেকেও সবচেয়ে ‘উপস্থিত’ রাজনীতিবিদ…দীর্ঘ ১৭’বছর ধরে পদচারণা না করেও একটি পুরো রাজনৈতিক কাঠামোর অনুপ্রেরণা তিনি…একজন তারেক রহমান যতটা বাস্তব, তার চেয়েও বেশি এক প্রেরণার নাম…

তারেক রহমান কেবল একজন নেতা নন, তিনি এই প্রজন্মের এক ‘প্রতীক’…তিনি অনুপস্থিত থেকেও যে উপস্থিতির ছাপ রাখেন, তা দেশের রাজনীতিতে আর কারো মধ্যে নেই…তাঁর বক্তৃতা, তাঁর দিকনির্দেশনা, দলীয় সাংগঠনিক শক্তি ও তাঁর প্রতি কর্মীদের অবিচল আস্থা; সব মিলিয়ে তিনি যেন এক অনিবার্য সত্য, যাকে অস্বীকার করা যায় না…এটা কেবল কৌশলের ফল নয়, এটা একজন প্রকৃত নেতার স্বীকৃতি…

বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী তাঁর ডাকে সাড়া দেয়, তাঁর নির্দেশে পথে নামে, অথচ তিনি সাড়ে ছয় হাজার মাইল দূরে…এই যোগসূত্র কেবল রাজনৈতিক নয়; এ এক বিশ্বাস, এক প্রতিজ্ঞা, যে “তিনি ফিরে আসবেন”, এবং দেশ ফের গড়ে উঠবে একটি গণতান্ত্রিক কাঠামোর ওপর…

স্বৈরাচারী শাসকের পতনের পর মানুষ ভেবেছিল, বন্দী গণতন্ত্র মুক্ত হবে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অবসান হবে…কিন্তু বাস্তবতা হলো, যারা পতিত স্বৈরশক্তিকে প্রতিস্থাপন করেছে, তারাই নতুন রূপে পুরনো খেলা খেলছে…আর তার প্রথম শিকার তারেক রহমান…কারণ তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক উত্তরসূরি নন, তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের এক সম্ভাবনাময় প্রতীক, যাকে দূরে রাখতে পারলেই যেন একমাত্র প্রতিপক্ষকে সরিয়ে ফেলা যায়…

তাঁর অনুপস্থিতি নিয়েও তাঁকে নিয়ে রাজনীতি হয়…তাঁকে নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালানো হয়, আবার তাঁকেই ব্যবহার করে বিরোধী শক্তিকে দমন করা হয়…তিনি যেন অনুপস্থিত এক ‘উপস্থিতি’…যার ছায়াও কিছু লোকের চোখে দংশন হয়ে ধরা দেয়…ষড়যন্ত্রের শেষ নাই তাঁকে নিয়ে…

সকল ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে দেশনায়ক তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন হবে শুধু একজন নেতার ফিরে আসা নয়; এর মধ্য দিয়ে ফিরে আসবে বাংলাদেশের বহু কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং জাতীয় আত্মমর্যাদা…

Farzana আপা,

14/07/2025

A K M Wahiduzzaman ভাইয়ের ওয়াল থেকে নেয়া।

আইফোন অনুদান নেয়া কোন ধরনের বন্দোবস্ত?
(রশিদে ফোনের সিরিয়াল নাম্বার দেয়া আছে, সহজে বের করা সম্ভব গত কয়েক মাস এটি কে ব্যবহার করেছেন)
পারটেক্স এবং ওয়ালটন থেকে পার্টির ফান্ড নিতে হবে, সেটাও ওই ভদ্রমহিলার মাধ্যমে! এখানে আরো দুই লাখ আশি হাজার টাকা নেয়ার প্রমাণ আছে। টাকা নেওয়া গাড়ি ব্যবহার করা শেষ হয়ে গেলে তারপর আর দেখা করার সময় হয় নাই। কিছুদিন এদিক-ওদিক ঘুরিয়ে রেস্টুরেন্টে বসিয়ে রেখে অপেক্ষা করিয়ে শেষে ফোন ধরাও বন্ধ করে দিয়েছে ঐ "ভাই"।
এটাই নতুন বন্দোবস্ত! এটাই খেলার নতুন নিয়ম!

14/07/2025

মিডফোর্ড হত্যাকান্ডের মূল আসামি মহিন। সে নাপা জাশির মিছিলে গিয়ে স্লোগান ধরেছিলোঃ

"ব্যাবসায়ীদের ভয় নাই, চাঁদাবাজের ঠাই নাই!"

একজন চৌকশ পুলিশ অফিসার ফুটেজ দেখে তারে চিনে ফেলে। প্রথমদফা ধরতে গেলে জামাত-নাপার মাস্তানরা ধরতে বাঁধা দেয়। পুলিশ কঠোর হলে , পাথর ঠাণ্ডা হয়ে যায় মহিন! তব্দা খেয়ে যায় নাপাজাশির গুন্ডারা। পরে গুন্ডাদের সামনে বসিয়ে কানে ধরে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে বড় গুন্ডাটাকে।

14/07/2025

আপনার ব্রেইন যদি মাথায় না থেকে টুপকি তে থাকে, তাহলে আপনি এ ধরণের বয়ান দিবেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়া ২৯৮ আসনের মধ্যে ২৯৭টিতেই প্রার্থী দিয়েছিল চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। হাতপাখা প্রতীক নিয়ে সর্বাধিক আসনে ভোটযুদ্ধে নেমে দলটির মনোনীত প্রার্থীরা পেয়েছেন ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ ভোট। তবে একজন বাদে বাকি সবাই জামানত হারিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভোটের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মোট ভোটের ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে হাত পাখা। ভোটের হিসেবে তাদের অবস্থান চতুর্থ। তবে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান সবার ওপরে।..

একথা জাশির ক্ষেত্রেও খাটে, কারণ দেশের ৯৫% মুসলিম হওয়ার পরেও তারা কোন ভোট পায়না,কারন তারা মোনাফেক এবং যুদ্ধপরাধী...

কার্টেসী: রফিকুল ইসলাম রফিক ভাই

তারেক রহমান "দ্যা হোপ অব বাংলাদেশ" বইটা সংগ্রহ করে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন অনেক তথ্য পাবেন।।
14/07/2025

তারেক রহমান "দ্যা হোপ অব বাংলাদেশ" বইটা সংগ্রহ করে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন অনেক তথ্য পাবেন।।

14/07/2025

ড: ইউনুস সাহেব NCP রে তাজা মোটা করার প্রক্রিয়া শুরু করছেন - আওয়ামীলীগ পুনর্বাসন কিভাবে করবে শুনেন NCPর মুখে।
NCP রে উপদেষ্টা পরিষদে রাইখা NCP র প্রেমিক প্রেস সচিব শফিক রে সরকারে রাইখা - রাজনৈতিক মাঠে ক্যাচাল লাগায়ে দিয়া আপনি কিসের শান্তি পাইতেছেন তা আল্লাহই মালুম।
ঐ একটাই - বি এন পি ঠেকাও - দরকার হইলে আবার আওয়ামী আন - ইন্ডিয়ান এজেন্ডা তাই না?
আম ও কিন্তু গিয়েছে ইলিশতো আরও আগে গিয়েছে মৌদী দুলা ভাই এর জন্য।
ওরা যমুনা টারেও গিলে ফেললো - হায় জুলাই ।
চলুক - কি বলেন -

Wahid Un Nobi ভাই,

14/07/2025

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা:

১। হত্যাকাণ্ডের ভিডিওতে যারা ইট ও পাথর দিয়ে নৃশংসভাবে মারছে দেখা গিয়েছে, তারাই কি বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা-কর্মী?
উত্তর: না — ভিডিও ফুটেজে যেসব হত্যাকারীকে দেখা গিয়েছে এবং বিএনপি যাদের বহিষ্কার করেছে — তারা ভিন্ন ব্যক্তি। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে প্রকৃত খুনিদের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করে সবাইকে দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

২। এই ঘটনায় বিএনপি যাদের বহিষ্কার করেছে, তারা কি ঘটনাস্থলে ছিল?
উত্তর: বিএনপি থেকে বহিষ্কৃতরা ঘটনাস্থলে ছিল না। একটি বিতর্কিত প্রক্রিয়ায় মামলার এজাহারে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে জনগণের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা এবং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের প্রতি আস্থার জায়গা থেকে অভিযুক্তদের তদন্তের আগেই বহিষ্কার করা হয়। একটি নিরপেক্ষ তদন্তই প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করবে।

৩। মর্মান্তিক ঘটনার সময় সিসিটিভি ফুটেজে যাদের দেখা গিয়েছিল, তাদের সবাইকে কি পুলিশ গ্রেফতার করেছে?
উত্তর: ভিডিওতে ইট-পাথর দিয়ে মারতে থাকা সন্ত্রাসীদের পুলিশ এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। রহস্যজনকভাবে, ভিডিওতে দেখা খুনীদের সবার নাম মামলার এজাহারেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। নিহতের পরিবারও বারবার হতাশা প্রকাশ করে বলেছে যে, মূল অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গিয়েছে এবং কীভাবে গ্রেফতার এড়িয়ে চলছে। ঠিক কি কারণে এমন পৈশাচিক হত্যা, এর পেছনে কারা রয়েছে, কিভাবে হত্যাকান্ড ভিডিও করা হলো, কারা অনলাইনে ছড়ানো শুরু করলো — বিষয়গুলো উদ্ঘাটন করা জরুরি।

৪। চাঁদাবাজির কারণেই কি এই বর্বরতা?
উত্তর: পুলিশ ও স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছে, এটি কোনো চাঁদাবাজির ঘটনা নয়। ব্যবসায়িক ও স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে।

৫। হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিহতের পরিবারের বক্তব্য কী?
উত্তর: নিহতের পরিবার গণমাধ্যমে বলে, “দ্বিতীয়বার যে এজাহার রেডি করা হয়েছে, সেটায় তিনজন মূল আসামির নাম কেটে দিয়ে যারা এর সঙ্গে কোনোভাবে জড়িতই না, তাদের নাম জোর করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেখানে আমার মা না বুঝে সিগনেচার করে ফেলেছেন। যারা এই ঘটনার মূল হোতা, তাদের বাদ দিয়ে নিরপরাধদের আসামি করা হয়েছে।”

৬। হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশের বক্তব্য কী?
উত্তর: লালবাগ বিভাগের পুলিশের ডিসি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমে বলেন, “আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় হচ্ছে, একটি অপরাধ সংগঠিত হয়েছে — এটি কারা করেছে? যারা অপরাধী, তাদের পরিচয় অপরাধের প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করতে পারিনি। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি, কিন্তু তারা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি। আমরা ভবিষ্যতে বাকি আসামিদের গ্রেফতার ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করব, এবং যদি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, তা অবশ্যই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।”

৭। এই ঘটনা কি সাথে সাথেই অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে?
উত্তর: না — পূর্বপরিকল্পিতভাবে ৯ জুলাই হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর, ১১ তারিখ শুক্রবার জুমার নামাজের পর, বাংলাদেশের প্রাইম টাইমে ইন্টারনেটে ভিডিও ও তথ্য বিকৃতি ছড়ানো শুরু হয়। খুলনা, কুমিল্লা, চাঁদপুরসহ দেশজুড়ে যে নৃশংস হত্যাকান্ড ও অরাজকতা ঘটে চলেছে, সেখানে এই গোষ্ঠীর নির্লিপ্ততা এবং একটি সুনির্দিষ্ট ঘটনা নিয়ে কেন অপতৎপরতা, সেই যৌক্তিক প্রশ্ন উঠেছে।

৮। হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে যেসব ফটোকার্ড, ভিডিও ও ন্যারেটিভ আসতে থাকে, সেগুলো কি প্রকৃত সত্য ঘটনা তুলে ধরে?
উত্তর: পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট কিছু সোশ্যাল মিডিয়া আইডি ও পেজ থেকে আগে থেকেই তৈরি করে রাখা মিসলিডিং ফটোকার্ডগুলো অনলাইনে ছড়ানো শুরু হয়। এটি প্রতীয়মান যে, অনলাইনে ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন শুরুর আগেই প্রোপাগান্ডা ম্যাটেরিয়াল তৈরি করে রাখা হয়েছিল।

৯। এই বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে কেন অশালীন ভাষায় আক্রমণ করা হলো?
উত্তর: শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে দলীয় পদ থেকে অপসারণের দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপকে স্বাগত না জানিয়ে, ফ্যাসিবাদী কায়দায় বিএনপির জনপ্রিয়তাকে নষ্ট করতে, গুজব ও প্রোপাগান্ডা চালিয়ে বিষোদগার করা হয়েছে। শিষ্টাচার বহিৰ্ভূত এই অপপ্রয়াস গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সম্পূর্ণ বিপরীত। তবে যেকোনো অপপ্রচার, উস্কানি বা ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে, সংঘাতের পথ পরিহার করে, বিএনপি দেশের স্থিতিশীলতা ও জনগণের নিরাপত্তা বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

১০। সরকার কি যথাযথ তদন্ত, বিচার এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সক্ষমতা দেখাতে পারছে?
উত্তর: রাজধানীর জনবহুল এলাকায় নৃশংসভাবে একজন মানুষকে হত্যা করার ঘটনা শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির শোচনীয় অবস্থাই নয়, বরং সার্বিক বিচারহীন সংস্কৃতির ভয়াবহ প্রতিফলন। একইভাবে উদ্বেগজনক হলো— এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বার্থানেষী মহল পরিকল্পিতভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ও কিছু জায়গায় অশালীন আচরণ, হেট্রেড কনটেন্ট এবং ফেক ন্যারেটিভ ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। জনগণ আশা করে, অন্তর্বর্তী সরকার সকল অপরাধ ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, আইনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে, এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

© মাহদী আমিন ভাই
(বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের উপদেষ্টা)

♥♥
14/07/2025

♥♥

14/07/2025

Celebrating my 2nd year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉

২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে বাংলাদেশের ২৩ জন কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাস...
30/05/2025

২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে বাংলাদেশের ২৩ জন কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরি করা হয় এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় শীর্ষ ২৩জন অপরাধীদের ধরিয়ে দেয়ার জন্যে পুরষ্কার ঘোষণা করে। ওই তালিকার প্রথমেই ছিলো ত্রিমোথি সুব্রত বাইন। তার নামে তখন ১লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

পরবর্তীতে সুব্রত বাইন উপায়ন্তর না দেখে তার সবচেয়ে আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত আরেক পুরস্কার ঘোষিত সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদকে নিয়ে যশোরের পুটখালি সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যায়। কিন্তু সুব্রত প্রায়ই অবৈধভাবে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে যশোরে আসতো চাঁদার টাকা সংগ্রহ করতে, এবং বসবাসের জন্যে যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকায় স্থানীয় লাল্টুর মাধ্যমে একটি বাসাও তখন ভাড়া নেয়। সুব্রতর দ্বিতীয় স্ত্রী বিউটি, সন্তান নূর, বিথি ও রিপন এখানেই অবস্থান করতো, এবং দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে মাসিক চাঁদার টাকা আদায়ের পর আবার সীমান্ত পার হয়ে কোলকাতা চলে যেতো।

এরই মাঝে কোলকাতা পুলিশ সুব্রতকে কালিঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। আটক সুব্রতকে ছাড়াতে নানামুখী তৎপরতা শুরু করে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী তানভিরুল ইসলাম জয়, এবং তার যোগাযোগ ব্যবহার করে সুব্রতকে জেল থেকে মুক্ত করে। তানভীর জয় ছোটবেলায় দার্জিলিংয়ে পড়াশোনার সুবাদে ভারতীয় স্টাবলিশমেন্টে তার কিছু বন্ধু ছিলো যারা দেশটির সামরিক বাহিনী, পুলিশ প্রশাসন এবং সরকারী বিভিন্ন কার্যালয় কর্মরত ছিলো।

এই ঘটনার পর জয়, সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে ডেকে পাঠান তৎকালীন কোলকাতার পুলিশ কমিশনার এস. কে. চক্রবর্তী। তখন থেকে মূলত এই তিনজনের ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র এবং সেনা গোয়েন্দা এম আই (Military Intelligence) এর সাথে সম্পর্ক শুরু হয়। জয় শারীরিকভাবে ফিট না হওয়ায় ‘র এর গোয়েন্দা অফিসাররা সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ ও তাদের সহযোগী গোলাম মর্তুজা বাবু ওরফে মধু বাবুকে ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে কমান্ডো প্রশিক্ষণ প্রদান করে নেয়। পরবর্তীতে ‘র এর সিনিয়র কর্মকর্তা এস. মাথুর সুব্রতদের দিল্লি ডেকে নেন এবং বাংলাদেশে লুকিয়ে থাকা ভারতের উলফা, ইউনাইটেড লিবারেশন অফ নাগাল্যান্ড সহ যেসব নিষিদ্ধ সংগঠন আছে সেসব সংগঠনের কিছু নেতাদের ছবি ও ঠিকানা দিয়ে; অস্ত্র অর্থ সহ মিশন কার্যকরী করতে যা যা প্রয়োজন সেসবের ব্যবস্থা করে দেয়।

২০০৩ সালে সকল প্রস্তুতি নিয়ে সুব্রত ঢাকায় আসে এবং মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাড়ীতে হামলা করে নাগাল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব দাবী করা বম সম্প্রদায়ের এক নেতার স্ত্রী ও তার ৭ বছরের সন্তানকে হত্যা করে। এছাড়াও পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত মোহাম্মদপুর বিহারী ক্যাম্পের মোস্তাকিম কাবাবের মালিক মোস্তাকিমকে গুলি করে হত্যা করে। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) নামের পাকিস্তান ভিত্তিক একটি সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মোস্তাকিম। এছাড়াও বহুবার উলফার নেতা পরেশ বড়ুয়াকে হত্যার চেষ্টা করে সুব্রত বাইন।

২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিশেষ অনুরোধে কোলকাতায় থাকা সন্ত্রাসীদের আটকের অভিযান শুরু হয়। তখন কোলকাতার সিআইডি কর্মকর্তা রাজিব কুমার, সুব্রত বাইনকে গ্রেফতারের জন্যে বহু চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। সুব্রত ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শে ও সহায়তায় আলী মোহাম্মদ নামে একটি ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে প্রথমে সিঙ্গাপুর, এবং পরে চীনে গিয়ে থিতু হয়। সেখানেও সুব্রত বাইন ‘র এর তত্বাবধানেই ছিলো (সংযুক্ত ছবি ১ ও ২)।

চীনে ‘র খুব বেশি তৎপর না থাকায় সুব্রত বাইন দুবাই পাড়ি জমায়। সেখানে তাকে বিলাসবহুল ভিলায় থাকার ব‍্যবস্থা করে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং তার সহযোগী মোল্লা মাসুদকেও তখন দুবাই পাঠানো হয়। 'র সুব্রত ও মোল্লা মাসুদকে দুবাইতে পলাতক ভারতীয় মোস্ট ওয়ান্টেড টাইগার মেমনের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপনের পরামর্শ দেয়, তাদের লক্ষ‍্য ছিলো টাইগার মেমন এর মাধ্যমে কোনোভাবে মাফিয়া সর্দার দাউদ ইব্রাহীমের নেটওয়ার্কে প্রবেশের। কিন্তু এই মিশনে সফল হতে পারেনি সুব্রত বাইন।

পরবর্তীতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র এর পরামর্শে সুব্রত বাইন নেপাল হয়ে ভারতে প্রবেশ করে এবং পরিকল্পনা মাফিক কোলকাতায় তার বালিগঞ্জের বাড়ী থেকে STF (Special Task Force) তাকে গ্রেফতার করে।

২০২৩ এর ফেব্রুয়ারি মাসে কোলকাতা STF সুব্রতকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে RAB এর কাছে হস্তান্তর করে। তাকে নিয়ে আসা হয় RAB সদর দপ্তরে এবং তার সাথে দেখা করেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম। সুব্রতকে নতুন লক্ষ্য দেয়া হয় এবং বলা হয় এই কাজ সফলভাবে করতে পারলে তাকে পরিবার সহ কানাডায় স্থায়ী ভাবে থাকার বন্দোবস্ত করা হবে। সুব্রত প্রস্তাবে রাজী হলে তাকে কুখ‍্যাত জিয়াউল আহসানের তত্ত্বাবধায়নে RAB কার্যালয়ের ভেতরেই একটি কক্ষে রাখা হয় এবং তার মেয়ে বিতুর সাথে নিয়মিত যোগাযোগের ব্যবস্থাও করে দেয়া হয়।

এ সময় সুব্রত বাইনকে জিয়াউল আহসানের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা দূরবর্তী টার্গেটকে লক্ষ্য করে আঘাতের প্রশিক্ষণ প্রদান করে। তাকে স্নাইপার রাইফেল এর ব্যবহার, মুভিং টার্গেটকে গুলি করার আগে বাতাসের গতি, আদ্রতা, দূরত্ব এসব খুঁটিনাটি বিষয়ে ট্রেনিং দেয়া চলতে থাকে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সুব্রতর সাথে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জিয়াউল আহসান, মনিরুল ইসলাম ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা দেখা করে এবং টার্গেট যুক্তরাজ্যে বসবাসরত একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা বলে অবহিত করে। তারা সুব্রতকে পাকিস্তানী পাসপোর্টে লন্ডন পাঠানোর কথা বলে এবং লন্ডনে মিশনটি সম্পন্ন করার জন্যে যা যা সহায়তা লাগবে তা কূটনৈতিক চ‍্যানেলে প্রদান করা হবে বলে সুব্রতকে নিশ্চিত করে।

কাজ হবার পর সুব্রত ও তার পরিবারকে ভারতীয় পাসপোর্টে (আলী মোহাম্মদ নামে) কানাডায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে — এ বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। তারা এটাও জানায় এই কাজের ব্যাপারে সরকারের (তৎকালীন) সর্বোচ্চ পর্যায়ের আগ্রহ আছে এবং সর্বোচ্চ মহলের গ্রীন সিগন্যাল পেলেই পাঠানো হবে এবং তার বেশভূষায় যেন পাকিস্তানী বলে মনে হয এ ব্যাপারেও গুরুত্ব দেয়া হয়।

কিন্তু ২০২৪ এর ৫ই অগাস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে হাসিনা সরকার পতন ও হাসিনায় পালানোর পর জিয়াউল আহসানের নির্দেশে সুব্রতকে তার মেয়ে বিথির কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়, এবং পরবর্তী আদেশের অপেক্ষার কথা জানানো হয়।

এর পর থেকেই সুব্রত বাইন প্রকাশ্যে আসা শুরু করে। পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করে ‘র এর সাথে। সুব্রতকে সহায়তা করতে বাংলাদেশে স‍্যাটেলাইট ফোনসহ পাঠানো হয় মোল্লা মাসুদকে। আর এই দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর সাথে পলাতক আওয়ামী শীর্ষ নেতাদের যোগাযোগের মাধ্যম হয় নেপালে পলাতক আরেক সন্ত্রাসী লেদার লিটনকে (সংযুক্তি ৩)।

কার্টেসী : Zulkarnain Saer ভাই,

Address

Kurigaon

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Abdul Akher Khandoker posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Abdul Akher Khandoker:

Share