26/10/2025
Md Abdus Salam ভাইয়ের লেখাটি পড়ুন ভালো লাগবে।
মোটিভেশনাল স্পিকার চান?
তারেক রহমানকে বসিয়ে দিন।
পতনের অতল গহ্বরে তিনি নিজে পড়েছিলেন।
দলও পড়েছিল।
দেশও হোঁচট খেয়েছিল।
তার বিরুদ্ধে ডিজিএফআই যে চটি লেখা মিডিয়ায় পাঠাত, সাংবাদিক নামধারী অনেক ইতর ভয়ে কিংবা সুবিধা পাওয়ার আশায় ছাপাতো।
আজ মানবজমিনের মতি সৎ সাংবাদিকতার বড় বড় বুলি আওড়ান। অথচ তার "জনতার চোখে" সাপ্তাহিকেও ডিজিএফআইয়ের অশ্লীল গল্প ছেপে তারেক রহমানের চরিত্রহনন করেছিল।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে এরাই আবার “হাসিনার আমলে নির্যাতিত” বলে সুবিধা নিতে চাইবে। অথচ প্রথম আলোর মতি-মাহফুজদের চেয়ে মানবজমিনের মতি কম ছিলেন না ১/১১-র সময়।
,১/১১ এর সেই অন্ধকারের সময়, তারেক রহমানের নানী মারা গেলেন।
শেষ দেখা দেখতে প্যারোলে তাঁকে ক্যান্টনমেন্টের বাসায় আনা হয়।
সরকার নিরাপত্তার অজুহাতে দুই ভাই তারেক ও কোকো কে আলাদা করে আনে।
এক ভাই আরেক ভাইকে দেখতে পারেননি।
নানীর মৃত্যুশোকও একসাথে ভাগ করতে পারেননি।
শোকে মুহ্যমান তারেক রহমান জিজ্ঞেস করেছিলেন, “কোকো কোথায়?”
একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন, “নিরাপত্তার কারণে দুজনকে একসাথে আনা হয়নি।”
তখন তারেক রহমান স্তব্ধ হয়ে বলেছিলেন —
“দেশের জন্য আমাদের পরিবারের এত অবদান, আজ আমরাই দেশের জন্য নিরাপত্তার হুমকি হয়ে গেলাম!”
ভাবুন তো — এত অপমান, এত অপবাদ, জনপ্রিয়তার শীর্ষ থেকে পতন,
মিডিয়া, সিভিল সোসাইটি, পথে-ঘাটে সংগঠিতভাবে ভিলেন বানানোর পর কয়জন মানুষ মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে?
কয়জন আবার উঠে দাঁড়িয়ে পজিটিভভাবে চিন্তা করতে পারে?
তারেক রহমান পেরেছেন।
তার চেয়ে বড় মোটিভেশনাল স্পিকার আর কে হতে পারে!
গতকাল শিশুদের সঙ্গে তাঁর প্রশ্নোত্তর পর্ব দেখলাম।
আমরা যারা তাকে ফলো করি বা যারা তাঁকে চেনেন, তাদের জন্য এটা অবাক হওয়ার কিছু নয়, এটাই তারেক রহমান।
তার মধ্যে মানুষের সঙ্গে কানেক্ট হওয়ার এক সহজাত, সম্মানজনক বৈশিষ্ট্য আছে।
তাকে একসাথে আপনি যেমন শ্রদ্ধা করবেন, তেমনি মনে হবে, তিনি আপনার পাশের ঘরের বড় ভাই, বাবা বা ছেলে।
তাঁর ব্যবহারে সম্মান নিজে থেকেই জন্ম নেয়,
আবার সেই সম্মানের ভিতর থেকেও কথা বলার স্বাধীনতা থাকে।
এই গুণটা বড় নেতাদের মধ্যে খুবই বিরল।
আমি ব্যক্তিগতভাবে, চাইবো তারেক রহমান স্কুলের শিশুদের, কলেজের তরুণদের, বিশ্ববিদ্যালয়ের যুবকদের, কৃষক-শ্রমিকদের, আলেমদের, সংখ্যালঘু ও বিভিন্ন বিষয়ের কমিউনিটির লিডারদের সঙ্গে এমন নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।
প্রতি ১৫ দিন পর একেক গ্রুপ নিয়ে দেড়-দুই ঘণ্টার ওপেন ভিডিও সেশন করতে পারেন তিনি।
মানুষ এমন এক নেতার জন্য যুগের পর যুগ অপেক্ষা করেছে —
যে শুনবে,
আশার কথা মানুষকে বলবে,উদ্দীপ্ত করবে
বিনয়ী হবে,
সম্মান দেবে,
এবং নিজেও সম্মানিত হবে।
এই অভাগা দেশের জন্য তারেক রহমানকে দরকার অনেক বছর। তার সুস্থ ও দীর্ঘ হায়াতের জন্য দোয়া করি।