Abdul Akher Khandoker

Abdul Akher Khandoker আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা,
আমি বাঁধি তার ঘর!
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই,
যে মোরে করেছে পর।।

২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে বাংলাদেশের ২৩ জন কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাস...
30/05/2025

২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে বাংলাদেশের ২৩ জন কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরি করা হয় এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় শীর্ষ ২৩জন অপরাধীদের ধরিয়ে দেয়ার জন্যে পুরষ্কার ঘোষণা করে। ওই তালিকার প্রথমেই ছিলো ত্রিমোথি সুব্রত বাইন। তার নামে তখন ১লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

পরবর্তীতে সুব্রত বাইন উপায়ন্তর না দেখে তার সবচেয়ে আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত আরেক পুরস্কার ঘোষিত সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদকে নিয়ে যশোরের পুটখালি সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যায়। কিন্তু সুব্রত প্রায়ই অবৈধভাবে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে যশোরে আসতো চাঁদার টাকা সংগ্রহ করতে, এবং বসবাসের জন্যে যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকায় স্থানীয় লাল্টুর মাধ্যমে একটি বাসাও তখন ভাড়া নেয়। সুব্রতর দ্বিতীয় স্ত্রী বিউটি, সন্তান নূর, বিথি ও রিপন এখানেই অবস্থান করতো, এবং দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে মাসিক চাঁদার টাকা আদায়ের পর আবার সীমান্ত পার হয়ে কোলকাতা চলে যেতো।

এরই মাঝে কোলকাতা পুলিশ সুব্রতকে কালিঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। আটক সুব্রতকে ছাড়াতে নানামুখী তৎপরতা শুরু করে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী তানভিরুল ইসলাম জয়, এবং তার যোগাযোগ ব্যবহার করে সুব্রতকে জেল থেকে মুক্ত করে। তানভীর জয় ছোটবেলায় দার্জিলিংয়ে পড়াশোনার সুবাদে ভারতীয় স্টাবলিশমেন্টে তার কিছু বন্ধু ছিলো যারা দেশটির সামরিক বাহিনী, পুলিশ প্রশাসন এবং সরকারী বিভিন্ন কার্যালয় কর্মরত ছিলো।

এই ঘটনার পর জয়, সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে ডেকে পাঠান তৎকালীন কোলকাতার পুলিশ কমিশনার এস. কে. চক্রবর্তী। তখন থেকে মূলত এই তিনজনের ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র এবং সেনা গোয়েন্দা এম আই (Military Intelligence) এর সাথে সম্পর্ক শুরু হয়। জয় শারীরিকভাবে ফিট না হওয়ায় ‘র এর গোয়েন্দা অফিসাররা সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ ও তাদের সহযোগী গোলাম মর্তুজা বাবু ওরফে মধু বাবুকে ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে কমান্ডো প্রশিক্ষণ প্রদান করে নেয়। পরবর্তীতে ‘র এর সিনিয়র কর্মকর্তা এস. মাথুর সুব্রতদের দিল্লি ডেকে নেন এবং বাংলাদেশে লুকিয়ে থাকা ভারতের উলফা, ইউনাইটেড লিবারেশন অফ নাগাল্যান্ড সহ যেসব নিষিদ্ধ সংগঠন আছে সেসব সংগঠনের কিছু নেতাদের ছবি ও ঠিকানা দিয়ে; অস্ত্র অর্থ সহ মিশন কার্যকরী করতে যা যা প্রয়োজন সেসবের ব্যবস্থা করে দেয়।

২০০৩ সালে সকল প্রস্তুতি নিয়ে সুব্রত ঢাকায় আসে এবং মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাড়ীতে হামলা করে নাগাল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব দাবী করা বম সম্প্রদায়ের এক নেতার স্ত্রী ও তার ৭ বছরের সন্তানকে হত্যা করে। এছাড়াও পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত মোহাম্মদপুর বিহারী ক্যাম্পের মোস্তাকিম কাবাবের মালিক মোস্তাকিমকে গুলি করে হত্যা করে। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) নামের পাকিস্তান ভিত্তিক একটি সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মোস্তাকিম। এছাড়াও বহুবার উলফার নেতা পরেশ বড়ুয়াকে হত্যার চেষ্টা করে সুব্রত বাইন।

২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিশেষ অনুরোধে কোলকাতায় থাকা সন্ত্রাসীদের আটকের অভিযান শুরু হয়। তখন কোলকাতার সিআইডি কর্মকর্তা রাজিব কুমার, সুব্রত বাইনকে গ্রেফতারের জন্যে বহু চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। সুব্রত ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শে ও সহায়তায় আলী মোহাম্মদ নামে একটি ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে প্রথমে সিঙ্গাপুর, এবং পরে চীনে গিয়ে থিতু হয়। সেখানেও সুব্রত বাইন ‘র এর তত্বাবধানেই ছিলো (সংযুক্ত ছবি ১ ও ২)।

চীনে ‘র খুব বেশি তৎপর না থাকায় সুব্রত বাইন দুবাই পাড়ি জমায়। সেখানে তাকে বিলাসবহুল ভিলায় থাকার ব‍্যবস্থা করে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং তার সহযোগী মোল্লা মাসুদকেও তখন দুবাই পাঠানো হয়। 'র সুব্রত ও মোল্লা মাসুদকে দুবাইতে পলাতক ভারতীয় মোস্ট ওয়ান্টেড টাইগার মেমনের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপনের পরামর্শ দেয়, তাদের লক্ষ‍্য ছিলো টাইগার মেমন এর মাধ্যমে কোনোভাবে মাফিয়া সর্দার দাউদ ইব্রাহীমের নেটওয়ার্কে প্রবেশের। কিন্তু এই মিশনে সফল হতে পারেনি সুব্রত বাইন।

পরবর্তীতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র এর পরামর্শে সুব্রত বাইন নেপাল হয়ে ভারতে প্রবেশ করে এবং পরিকল্পনা মাফিক কোলকাতায় তার বালিগঞ্জের বাড়ী থেকে STF (Special Task Force) তাকে গ্রেফতার করে।

২০২৩ এর ফেব্রুয়ারি মাসে কোলকাতা STF সুব্রতকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে RAB এর কাছে হস্তান্তর করে। তাকে নিয়ে আসা হয় RAB সদর দপ্তরে এবং তার সাথে দেখা করেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম। সুব্রতকে নতুন লক্ষ্য দেয়া হয় এবং বলা হয় এই কাজ সফলভাবে করতে পারলে তাকে পরিবার সহ কানাডায় স্থায়ী ভাবে থাকার বন্দোবস্ত করা হবে। সুব্রত প্রস্তাবে রাজী হলে তাকে কুখ‍্যাত জিয়াউল আহসানের তত্ত্বাবধায়নে RAB কার্যালয়ের ভেতরেই একটি কক্ষে রাখা হয় এবং তার মেয়ে বিতুর সাথে নিয়মিত যোগাযোগের ব্যবস্থাও করে দেয়া হয়।

এ সময় সুব্রত বাইনকে জিয়াউল আহসানের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা দূরবর্তী টার্গেটকে লক্ষ্য করে আঘাতের প্রশিক্ষণ প্রদান করে। তাকে স্নাইপার রাইফেল এর ব্যবহার, মুভিং টার্গেটকে গুলি করার আগে বাতাসের গতি, আদ্রতা, দূরত্ব এসব খুঁটিনাটি বিষয়ে ট্রেনিং দেয়া চলতে থাকে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সুব্রতর সাথে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জিয়াউল আহসান, মনিরুল ইসলাম ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা দেখা করে এবং টার্গেট যুক্তরাজ্যে বসবাসরত একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা বলে অবহিত করে। তারা সুব্রতকে পাকিস্তানী পাসপোর্টে লন্ডন পাঠানোর কথা বলে এবং লন্ডনে মিশনটি সম্পন্ন করার জন্যে যা যা সহায়তা লাগবে তা কূটনৈতিক চ‍্যানেলে প্রদান করা হবে বলে সুব্রতকে নিশ্চিত করে।

কাজ হবার পর সুব্রত ও তার পরিবারকে ভারতীয় পাসপোর্টে (আলী মোহাম্মদ নামে) কানাডায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে — এ বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। তারা এটাও জানায় এই কাজের ব্যাপারে সরকারের (তৎকালীন) সর্বোচ্চ পর্যায়ের আগ্রহ আছে এবং সর্বোচ্চ মহলের গ্রীন সিগন্যাল পেলেই পাঠানো হবে এবং তার বেশভূষায় যেন পাকিস্তানী বলে মনে হয এ ব্যাপারেও গুরুত্ব দেয়া হয়।

কিন্তু ২০২৪ এর ৫ই অগাস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে হাসিনা সরকার পতন ও হাসিনায় পালানোর পর জিয়াউল আহসানের নির্দেশে সুব্রতকে তার মেয়ে বিথির কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়, এবং পরবর্তী আদেশের অপেক্ষার কথা জানানো হয়।

এর পর থেকেই সুব্রত বাইন প্রকাশ্যে আসা শুরু করে। পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করে ‘র এর সাথে। সুব্রতকে সহায়তা করতে বাংলাদেশে স‍্যাটেলাইট ফোনসহ পাঠানো হয় মোল্লা মাসুদকে। আর এই দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর সাথে পলাতক আওয়ামী শীর্ষ নেতাদের যোগাযোগের মাধ্যম হয় নেপালে পলাতক আরেক সন্ত্রাসী লেদার লিটনকে (সংযুক্তি ৩)।

কার্টেসী : Zulkarnain Saer ভাই,

ছবির ব্যক্তি বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, সংযুক্ত ছবিগুলো সাম্প্রতিকঃ সুব্রতর নামে ৩০টিরও অধিক খুনের ম...
30/05/2025

ছবির ব্যক্তি বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, সংযুক্ত ছবিগুলো সাম্প্রতিকঃ সুব্রতর নামে ৩০টিরও অধিক খুনের মামলা রয়েছে, যার প্রায় সবগুলোতেই এই সন্ত্রাসী সাজাপ্রাপ্ত, এছাড়াও অবৈধ অস্ত্র এবং চাঁদাবাজি সহ প্রায় ১০০ মামলার আসামীও তিনি। ২০০১ সালে পুরস্কার ঘোষিত এই শীর্ষ সন্ত্রাসী আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার রেড কর্ণার নোটিশ প্রাপ্ত।

প্রায় দেড় বছর আগে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। উদ্দেশ্য ছিলো টার্গেটেড রাজনৈতিক গুপ্তহত্যার উদ্দেশ্যে ভিন্ন পরিচয়ে যুক্তরাজ্যে পাঠানোর, তৈরিও করা হচ্ছিলো সেভাবে। কিন্তু ৫ই আগষ্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ে তার আশ্রয়দাতারা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যাওয়ার কারণে পেশাদার এই অপরাধী সাধারণ জনগণের সাথে মিশে যায়। বর্তমানে রাজধানী ঢাকাতেই বসবাস করছে সুব্রত বাইন।

২০০১ থেকে ভারতে সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থা আইবি'র ( ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো) ছত্রছায়ায় ছিলো সুব্রত। ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী তাকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে অবস্থান করা ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদি সংগঠন উলফা, নাগাল্যান্ড লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা সহ, মোস্তাকিম চাপ কাবাব এর মালিক মোস্তাকিমকে হত্যা করিয়েছে। বিশেষ সূত্রমতে, বর্তমানে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কাজ করছে তিমোথি সুব্রত বাইন হিসেবে পরিচিত এই সন্ত্রাসী।

আগষ্ট পরবর্তী সময়ে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী মতিঝিলের ইখতিয়ার (মালিবাগ সানরাইজ হোটেলে ডিবি পুলিশ হত্যা মামলার আসামী) এর মাধ্যমে সুব্রত অস্ত্র ক্রয় করেছে। থানা থেকে লুট হওয়া প্রায় ১৭টি অস্ত্র বর্তমানে তার হাতে রয়েছে। সুব্রত তার ডান হাত আরেক পুরস্কার ঘোষিত সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ(বর্তমানে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদে অবস্থানরত) এর মাধ্যমে মতিঝিল গোপীবাগের একটি ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সুব্রত বাইন সুইডেন আসলামের সাথে দেখা করে কাওরান বাজার একসাথে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারেও সমঝোতা করেছে। এছাড়াও তাকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে হাসিনার অনুগত কিছু নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা পরোক্ষ মদদ দিচ্ছে বলে অনুসন্ধানে জানা যায়। সুব্রত গত দুদিন আগে নেপালে পলাতক বিডিআর ম্যাসাকারের সহযোগী (পরে হাসিনা নিজে তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেয়ার ব্যবস্থা করে) হাজারীবাগের হারুন অর রশীদ লিটন ওরফে লেদার লিটন এবং যুবলীগের ক্যাসিনো সম্রাট (বর্তমানে কলকাতায় ও খালেদের (বর্তমানে মালেয়শিয়ায়) মাধ্যমে অস্ত্র কম মূল্যে কেনার সমঝোতা করেছে। বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে হাইভ্যালু টার্গেট এসাসিনেশনের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে এই সন্ত্রাসী।

উল্লেখ্য বিডিআর হত্যাকান্ডের প্রথমদিন ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সাবেক বিডিআর সদস্য তোরাব আলীর মোবাইল থেকে যে ১১টি কল ভারতে করা হয়েছিলো তার ৫টি কলই ছিলো সুব্রত বায়েনের কলকাতার মোবাইল নম্বরে। লেদার লিটন আপডেট দিচ্ছিলো সুব্রত বায়েন'কে।

ভারতীয় দূতাবাস কর্মকর্তা শৈবাল রায় চৌধুরী ২০০১-২০০৫
এবং সমীর কুমার দিক্ষিত ২০০৫-২০১০ একসময় সুব্রত বাইনের হ্যান্ডলার ছিলো বলে দাবি করেছে বিশেষ একটি সূত্র। এই সমীর কুমার দিক্ষিত বিডিআর ঘটনার পরিচালনাকারীদের অন্যতম বলেও সূত্র উল্লেখ করেছে। এদের দুজনের সাথেই রয়েছে সুব্রত বাইনের নিয়মিত যোগাযোগ। মূলত মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুভাষ চন্দ্র সরকারের মাধ্যমে সুব্রতর সাথে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সংযোগ স্থাপিত হয়। সুভাষ চন্দ্র সরকারকে বাংলাদেশে ভারতীয় র'এর গুরুত্বপূর্ণ এসেট হিসেবে বিবেচনা করে বিশেষ সংস্থা।

এই সুভাষ সরকার আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এর প্রকারের গুরু, জানা যায় সুভাষ সরকারের কারণেই ভারতীয় প্রভাবে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বহাল থাকেন। এছাড়াও সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সমস্ত ভারতীয় যোগাযোগ এই সুভাষ রক্ষা করতো। বিশেষ করে আজিজের ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী হারিছ আহমেদের ভারতে অবস্থান ও সুবিধাদি সুভাষের মাধ্যমে রক্ষা করা হতো। কলকাতায় সুব্রত, হারিছ, মোল্লা মাসুদ, হান্নান(লিয়াকতের ছোট ভাই)সহ অনেকের লোকাল অভিভাবক ছিলেন গৌর গোপাল সাহা, যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এই ভারতীয় বলয় চক্র বহু ডালপালার অধিকারী।

সুভাষ সরকার ডিসেম্বর ২০২৪ এ গ্রেফতারের আগে সুব্রত বাইনের সাথে যোগাযোগ করে, শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ ও হারিছের মোহাম্মদপুরের সাম্রাজ্য বাইনের কাছে দিতে চেয়েছিলেন যাতে সেখানে ইমন বা পিচ্চি হেলাল আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে। কিন্তু ওই ফোন মিটিংয়ের আগেই সুভাষ সরকারকে গ্রেফতার করা হয়।

কার্টেসী: সাংবাদিক Zulkarnain Saer ভাই,

লাউড এন্ড ক্লিয়ার.✊"ইন্টেরিম, রিমেম্বার ইলেকশন ইন ডিসেম্বার" সবার আগে বাংলাদেশ 🇧🇩🌾
29/05/2025

লাউড এন্ড ক্লিয়ার.✊

"ইন্টেরিম, রিমেম্বার ইলেকশন ইন ডিসেম্বার"
সবার আগে বাংলাদেশ 🇧🇩🌾

পিংকী র'য়ের এজেন্ট।র'য়ের কাজ শুধু ভারতের পক্ষে কাজ করা না, ভারতের শত্রুদের ভিতর থেকেও খোঁচানো, গালি দেওয়াও র'য়ের এজেন্টদ...
29/05/2025

পিংকী র'য়ের এজেন্ট।
র'য়ের কাজ শুধু ভারতের পক্ষে কাজ করা না, ভারতের শত্রুদের ভিতর থেকেও খোঁচানো, গালি দেওয়াও র'য়ের এজেন্টদের স্কিমের অংশ❗

তাই যদি কেউ ভারতের গালি দেয়, হুদাই ধরে নিও না যে সে ভারতবিরোধী। ওরা গালি দিয়েও কাজ সারতে জানে। এইটাই হাই-লেভেল গেম❗

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বর্তমানে চীনা অস্ত্রে বেশ নির্ভরশীল। আর এই বিষয়টাই ভারতকে সবচেয়ে বেশি ভয় পাইয়ে দেয়। তাই আওয়ামীলীগ আমলে সেনাবাহিনীকে "জঙ্গী/আইএসআই" ট্যাগ দেয়া হইছিলো, আর এখন "ভারতের দালাল" বলা হইতেছে!

এই ট্যাগিংয়ের পেছনের খেলাটা বুঝতে হবে❗

আগে কেউ কাউকে মারতে চাইলে বলত, "রাজাকার", "জঙ্গী"। এখন চাইলে বলে, "ভারতের দালাল", "আওয়ামীলীগের দাস"
মানে ট্যাগ চেঞ্জ হয়, কিন্তু উদ্দেশ্য একটাই—মানুষকে বিভ্রান্ত করা❗

আসলে কেউই সেনাবাহিনীর পক্ষের না বা বিপক্ষের না। সবাই নিজের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত। আর জনগণ⁉️ তারা শুধু লাইনে হাঁটে।

চীনের সাথে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক ভারতের গলার কাঁটা, পাকিস্তান-কাশ্মীর ইস্যুতে এই চীনা সাপোর্টেই ভারত ঠেকে গেছে। এটা ভারত আর আমেরিকা ভুলে নাই। তাই বাংলাদেশকে এখন চীন থেকে সরিয়ে ভারত-মার্কিন বলয়ে টেনে নেওয়ার পুরা গেম চলছে।

এই খেলায় পিংকীর মত ডাবল এজেন্টরা মুখে ভারতবিরোধী, কিন্তু কাজে ভারত-মার্কিন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে!

তাদের কাজ জনগণের ভারতবিরোধী আবেগকে হাইজ্যাক করে চীনের সংযোগের বিরুদ্ধে মানুষকে দাঁড় করানো। না করে

এটা দুই হাতের খেলা—
এক হাতে ভয় দেখাবে, আরেক হাতে আশ্বাস।
ভারত ভয় দেখাবে, আমেরিকা বাঁচাবে।

আর আমরা⁉️
চোখ বন্ধ করে শুধু শুনি, বুঝি না❗

তাই বলছি, এখন সময় এসেছে বুঝার
কে আসল দেশপ্রেমিক আর কে ফেক ভারতবিরোধী❗না হলে এই নাটকের শেষ দৃশ্য হবে—
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের কফিনে শেষ পেরেক।

লেখা: সংগৃহীত

29/05/2025

ড, ইউনুসকে এখন তারা আউব্বা বলে ডাকছে।

#ইন্টেরিম_নিপাত_যাক_গণতন্ত্র_মুক্তি_পাক।

29/05/2025

ম্যাসেজ লাউড এন্ড ক্লিয়ার 🌺

"আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত"!
— সেনা প্রধান।

#সবারআগেবাংলাদেশ

ইউনুস সরকার দশ বছর থাক,,
28/05/2025

ইউনুস সরকার দশ বছর থাক,,

28/05/2025

দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়, নয় অন্য কোন দেশ,
সবার আগে বাংলাদেশ।

তারুণ্যের আইডল Tarique Rahman ♥

নয়াপল্টনে আজকের তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্টার সমাবেশ মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে...!!
28/05/2025

নয়াপল্টনে আজকের তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্টার সমাবেশ মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে...!!

22/05/2025

মোনাফেক বেঈমানদের জেনে রাখা উচিত।

❝এবারের অঙ্গীকার,  নির্বাচিত সরকার❞-জনাব তারেক রহমান।
22/05/2025

❝এবারের অঙ্গীকার,
নির্বাচিত সরকার❞
-জনাব তারেক রহমান।

22/05/2025

২১-০৫-২০২৫ ইং,

উলিপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বাক কমিটি অনুমোদন করায় জেলা নেতৃবৃন্দের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং আনন্দ মিছিল।

বগুড়ায় তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশের সমর্থনে উলিপুর উপজেলা ও পৌর শাখার যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের বর্ণাঢ্য মিছিল।

#বুড়াবুড়ি_ইউনিয়ন_যুবদল #ছাত্রদল_স্বেচ্ছাসেবকদল #উলিপুর_উপজেলাবিএনপি

Address

Kurigaon

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Abdul Akher Khandoker posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Abdul Akher Khandoker:

Share