11/03/2024
বাসর ঘরে ঢুকে রবিউল খাটে নতুন বউয়ের পাশে বসতেই তার পেট মোচড় দিয়ে উঠলে বউকে বললো, আমি একটু আসতেছি!
সে বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে আবার খাটে বসে নতুন বউয়ের ঘোমটা তুলতে গিয়ে বললো, আমি একটু আসতেছি!
সে একটু পর পর আসি আসি করলে নতুন বউ জিজ্ঞেস করলো, কী হয়েছে তোমার?
রবিউল বললো, ইয়ে মানে বুঝতেছি না। পেট খারাপ হয়েছে মনেহয়। একটু পরপর পেট মোচড় দিয়ে উঠছে!
সে ওষুধ খেলেও কিছুক্ষণ পরপর তার পেট ব্যথা যাচ্ছে না। খালি বাথরুম পাচ্ছে। তার বাসর গেলো বাথরুমে যেতে যেতে। তার বাসায় সবাই বলাবলি করলো বিয়ের খাবারে কোনো ঝামেলা ছিলো! মেয়ে বাড়ির খাবারে দোষ!
কিন্তু নানা ওষুধ খেয়েও রবিউলের পেট খারাপ ভালো না হলে ডাক্তার দেখালো সে! এন্টিবায়োটিক খেয়েও কাজ হচ্ছে না তার! আধা ঘন্টা পরপর বাথরুমে যাচ্ছে সে!
নতুন বিয়ে করা বউ পড়লো লজ্জায়! আদর সোহাগ হানিমুনের সময় স্বামী পড়ে থাকে বাথরুমে! তাও পেট খারাপের মতন গরিব রোগে!
আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব সবার কানে গেলো রবিউলের অসুখের কথা! মাসখানেক হলেও তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হলো না! বড়ো বড়ো ডাক্তার দেখানো শেষ। কেউ তার কোনো অসুখ পেলো না! সবাই আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছে একটা মানুষের একটু পরপর বাথরুম কেন পাবে?
রবিউলের পেট খারাপের কথা শুনে রবিউলের এক দূরসম্পর্কের দাদি বললেন, ডাক্তার কবিরাজ দিয়া কাম হবে না। ওরে কেউ তাবিজ করছে! নাইলে একটা মানুষ এতো হাগবো কেন? এত হাগার কী আছে? ওরে হাগার জ্বীনে ধরছে! ওরে ওঝা দেখা!
রবিউলের মাও ভাবলেন কথা সত্য! এক ওঝা সত্যি সত্যি এনেছেন তিনি। ওঝা রবিউলকে তার সামনে বসিয়ে প্রথমে নাকে মরিচ পোড়া ধরে কিছুক্ষণ ঝাড়ু দিয়ে পেটালেন। ঝাড়ুর বাড়ি খেয়েও রবিউল বললো, আমি বাথরুমে যাবো!
ওঝা তখন মন্ত্র পড়া শুরু করলেন! মন্ত্র পড়া শেষে বললেন, এতো ইচ্ছা ঠাকুরের অভিশাপ! সর্বনাশ!
রবিউলের মা, বাবা, বউ, আত্মীয় স্বজন বললেন, ইচ্ছা ঠাকুর? এটা আবার কী?
ওঝা বললেন, ইচ্ছা ঠাকুর হচ্ছেন যিনি দুঃখি মানুষের ইচ্ছা পূরণ করেন! এই ছেলে কাউকে কষ্ট দিয়েছে। তার অভিশাপেই এমন হচ্ছে! ছেলে আসছে বাথরুম থেকে?
রবিউল ক্লান্ত দেহে ভেজা লুঙি পরে ওঝার সামনে বসলে, ওঝা বললেন, তুমি কাউকে কোনো কষ্ট দিয়েছো? কারো মনে আঘাত?
তখন সে পেট ধরে বললো, আমার জানামতে দেই নাই! আমার কোনো শত্রু নাই তো!
ওঝা বললেন, অসম্ভব! এটা অভিশাপের ফল! আবার মনেকরো কাউকে আঘাত করেছো? কথা দিয়ে কথা রাখো নাই এমন হয়েছে?
তখন রবিউল মি