08/10/2021
বাংলাদেশে অসৎ ব্যবসায়ীরা ভেজাল প্রদানের প্রতিযোগিতায় নেমেছে!!!
আমাদের দেশে সম্ভবত! এমন কোন পণ্য বা খাদ্য নেই, যাতে ভেজাল দেয়া হচ্ছে না। "কচু"ছাড়া সবকিছুতেই ফরমালিন। নির্ভেজাল খাবার পাওয়া এখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে। খাদ্যে ভেজালের কারণে ক্যান্সারসহ জটিল রোগ হচ্ছে। কিছু মানুষ দানব হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অস্ট্রেলিয়ার ওলিংগং বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা জরিপ করে দেখেছে যে, দেশের মোট খাদ্যের ৩০ শতাংশে ভেজাল রয়েছে। সয়াবিন তেল, চিনি, মসলা, নুডুলস, সেমাই, বিস্কুট, পাউরুটি, দুধ,আখ ও খেজুরের গুড়, শিশুখাদ্য, ঘি, মিষ্টি, মধু, পানীয়, ফলমূল, ঔষধ, সার, কীটনাশক ইত্যাদি প্রায় সবকিছুতেই ভেজাল দেয়া হচ্ছে। দেশে এমনও বিষ পাওয়া যায়। যা খেলে কোন মানুষ কেন! কেউ মারা যাবে না। এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, মিষ্টি, সন্দেশ দই, ঘি, ছানা, সস, ডালডা, সয়াবিন, আইসক্রীমসহ কিছু পণ্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ৭৬ দশমিক ৩২ শতাংশ খাবারেই ভেজাল। খাবারে প্রায় ২০০ ধরনের বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রায় সব ফলেই ফরমালিন, কার্বাইড অথবা অন্য কোন রাসায়নিক স্প্রে করা হয়।
একটি ইংরেজি দৈনিক লিখেছে, The another name of carbide is cancer. There is no answer of cancer. "কার্বাইডের অপর নাম ক্যান্সার আর ক্যান্সারের পরিণাম নিশ্চিত মৃত্যু"। এসব ভেজাল খাবার খেয়ে মানুষ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১০ হাজার কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে ভেজাল খাবার খাওয়ার কারণে। কারণ, ভেজাল খাবার খাওয়ার কারণে নানা রোগ হচ্ছে। আর এসব রোগ নিরাময়ের জন্য ঔষধের পেছনে প্রায় ১০ হাজর কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।তাই আসুন আমরা ভেজালের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। নিজে সচেতন থাকি আর অন্যদের সচেতন করি।
জনসচেতনতায় বেশি বেশি শেয়ার করুন,,,,