06/07/2025
অল্পতে রেগে যায় এমন পুরুষকে বিয়ে করা থেকে নিজেকে বিরত রাখো।
তার রাগ শুধু ক্ষণিকের কিছু মুহূর্ত নষ্ট করবে না —
তা ধ্বংস করে দেবে তোমার মনকে,
তোমার মানসিক শান্তিকে,
এমনকি তোমার ভবিষ্যৎ সন্তানদের জীবনকেও।
জীবনসঙ্গী হিসেবে এমন একজন পুরুষকে বেছে নাও,
যার হৃদয়ে রয়েছে ধৈর্য, সহনশীলতা আর শান্তি।
প্রার্থনা করো এমন একজন মানুষের জন্য,
যার পাশে জীবনটা সহজ হবে, কঠিন নয়।
মনে রেখো, জীবন এমনিতেই যথেষ্ট কঠিন —
নিজ হাতে সেটাকে আরও কঠিন করে তুলো না।
রাসূল ﷺ এর চূড়ান্ত উপদেশ : রাগ করোনা
জীবনে চলার পথে বিভিন্ন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক বিষয়ের সম্মুখীন হতে হবে আপনাকে। কখনো রাগ করবেন না।
আল-আহনাফ ইবনে কায়েস বর্ণনা করেছেন,
এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে এমন একটি কথা বলুন যা আমার উপকারে আসবে, তবে তা সংক্ষিপ্ত রাখুন যাতে আমি তা বুঝতে পারি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, রাগ করো না। লোকটি সেই প্রশ্নটি পুনরাবৃত্তি করল এবং প্রতিবার নবি ﷺ বললেন, রাগ করো না। (মুসনাদে আহমাদ : ১৯৮৪৪)
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে,
এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলল, আমাকে কিছু উপদেশ দিন। তিনি বললেন, রাগ করো না। লোকটি বার বার রাসুলের নিকট উপদেশ চায় আর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রাগ করো না। (সহিহ বুখারি : ৬১১৬)
ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন,
আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল ﷺ আমাকে একটি কথা বলুন এবং ছোট করে দিন যাতে আমি তা বুঝতে পারি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, রাগ করো না। আমি আমার প্রশ্ন দু'বার
পুনরাবৃত্তি করলাম এবং প্রতিবারই নবি জবাব দিলেন, রাগ করো না। (মুসনাদে আবি ইয়ালা : ৫৬৮৫)
হুমায়দ ইবনে আবদুর রহমান রাহিমাহুল্লাহ বর্ণনা করেন,
এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে নির্দেশ দিন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, রাগ করো না। লোকটি বলল, আমি নবিজি যা বলেছেন তা নিয়ে ভাবলাম এবং আমার মনে হল যে, ক্রোধই সব মন্দের জন্ম দেয়। (মুসনাদে আহমাদ : ২২৬৬০)
একাধিক হাদিস দ্বারা রাগ করার নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে আমরা জানতে পারলাম। আবু দাউদের হাদিসে রাগকে শয়তানী কুমন্ত্রনার ফল বলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হাদিসে এসবই বলা হয়েছে ব্যক্তিগত কারণে সৃষ্ট রাগ সম্পর্কে। কারণ দ্বীনের শত্রুদের বিরুদ্ধে মুমিনের অন্তরে যে ঘৃণা-রাগ-ক্রোধের উদ্রেক হয় তা হলো অন্তরে ঈমান থাকার বাস্তব নিদর্শন। যদি কেউ দ্বীনের ক্ষতি সাধনে তৎপর হয় সে ক্ষেত্রে মুমিনের অন্তরে পুষে রাখা ক্রোধের আগ্নেয়গিরি হতে যদি অগ্নুৎপাত শুরু না হয় তবে বুঝতে হবে তার ঈমানের দাবী মিথ্যা কিংবা সে দুর্বলতম ঈমানের অধিকারী।
বই : রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন ,পৃ. ৯৫-৯৭।
#সীরাহ
©
অতিরিক্ত রাগ-জিদ নারী পুরুষ কেউর জন্যই ভালো না কল্যানকর না। সাধারণত অতিরিক্ত রাগ জিদ পুরুষ করে থাকে তাই সে ক্ষেত্রে পুরুষকে আলাদা করে বুঝানোর জন্য পুরুষের রাগ জিদ নিয়ে পোস্ট করা হয়েছে, পুরুষদের ডেডিকেটেড করে পোস্ট টা হলেও এখানে শিক্ষা সবার জন্য থাকবেই।
উপরে ও কমেন্টে হাদিস দেওয়া আছে আর হাদিস নারী-পুরুষ সবার জন্য।🤍🤍