06/09/2025
হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম—এই নাম উচ্চারণের মধ্যেই যেন শান্তি ও প্রশান্তি নেমে আসে। 🌹 তিনি সেই মহান ব্যক্তিত্ব, যাঁকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ তাআলা আসমান-জমিন, চাঁদ-সূর্য, পাহাড়-পর্বত, এমনকি এই পৃথিবীও সৃষ্টি করতেন না। পৃথিবীর ইতিহাসে অসংখ্য মানুষ এসেছেন, অসংখ্য রাজা, সম্রাট, নেতা, দার্শনিক ও চিন্তাবিদ এসেছে–কিন্তু কারো জীবনই এত পরিপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠেনি, যতটা মহানবী ﷺ এর জীবন।
তিনি শুধু একজন নবী নন, তিনি রাহমাতুল্লিল আলামীন—সকল বিশ্বের জন্য রহমত। আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর আগমন মানবজাতির জন্য ছিল মুক্তির আলো। অন্ধকারাচ্ছন্ন মক্কার মূর্তিপূজার সমাজে তিনি এনেছিলেন তাওহীদের বার্তা; শোষিত-নিপীড়িত মানুষের জন্য তিনি ছিলেন আশ্রয়স্থল; দাস-দাসীদের জন্য তিনি ছিলেন মুক্তির দূত।
✨ তাঁর শিক্ষা শুধু ইবাদতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—
তিনি শিখিয়েছেন মানুষে মানুষে সমতা।
তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন নারীর অধিকার।
তিনি দেখিয়েছেন ন্যায়বিচারের পথ।
তিনি শিক্ষা দিয়েছেন ভালোবাসা, ক্ষমাশীলতা ও সহনশীলতা।
আমরা তাঁর উম্মত—এটা আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য। পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ হলেও, আল্লাহ আমাদেরকে বেছে নিয়েছেন প্রিয় নবীর ﷺ উম্মত হিসেবে। ভাবুন তো! যাঁর জন্য পৃথিবী সৃষ্টি, যাঁর জন্য ফেরেশতারা দোয়া করে, যাঁর নামের সাথে উচ্চারিত হয় “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”—আমরা তাঁর অনুসারী! এটা আমাদের জন্য কত বড় সম্মান, কত বড় নেয়ামত!
কিন্তু সেই সাথে আমাদের দায়িত্বও কম নয়। শুধু মুখে ভালোবাসা প্রকাশ করলেই হবে না, বরং তাঁর সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা, তাঁর চরিত্রকে জীবনে ধারণ করা, তাঁর শেখানো মানবতা, দয়া, সততা, ন্যায়পরায়ণতা নিজের মাঝে গড়ে তোলাই তাঁর উম্মত হওয়ার প্রকৃত মর্যাদা।
💖 আসুন, আমরা নিজেদের জীবনে নবীর ﷺ শিক্ষা বাস্তবায়ন করি। তাঁর নাম শুনলে দরুদ শরীফ পড়ি। তাঁর কথা শুনলে চোখে পানি আসে, হৃদয়ে ভালোবাসা জাগুক। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর প্রকৃত উম্মত হিসেবে কবুল করুন, আর কিয়ামতের দিন তাঁর শাফায়াত লাভ করার সৌভাগ্য দান করুন—আমিন। 🤲