Islam is my Love

Islam is my Love আসসালামু আলাইকুম,
حاسبون الله ونعمال وكيل
"হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল

☞ যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চল তবে তাহারা তোমাকে আল্লাহ্‌র পথ হইতে বিচ্যুত করিবে। তাহারা তো শুধু অনুমানের অনু...
20/07/2025

☞ যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চল তবে তাহারা তোমাকে আল্লাহ্‌র পথ হইতে বিচ্যুত করিবে। তাহারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে ; আর তাহারা শুধু অনুমানভিত্তিক কথা বলে।
তাঁহার পথ ছাড়িয়া কে বিপথগামী হয় সে সম্বন্ধে তোমার প্রতিপালক তো সবিশেষ অবহিত এবং সৎপথে যাহারা আছে তাহাও তিনি সবিশেষ অবহিত।

وَاِنْ تُطِعْ اَكْثَرَ مَنْ فِى الْاَرْضِ يُضِلُّوْكَ عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِ‌ؕ اِنْ يَّتَّبِعُوْنَ اِلَّا الظَّنَّ وَاِنْ هُمْ اِلَّا يَخْرُصُوْنَ
اِنَّ رَبَّكَ هُوَ اَعْلَمُ مَنْ يَّضِلُّ عَنْ سَبِيْلِهٖ‌ۚ وَهُوَ اَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِيْنَ

✔ সূরা নম্বর: ৬ [আল আনআম], আয়াত নম্বর: ১১৬-১১৭।
#আল্লাহ #কুরআন #মুসলিম কুরআন ও হাদীসময় জীবন ব্যবস্থা

একটা পোস্ট পেলাম এক জায়গায়। সেটার অনুবাদ দিলাম।রাসূল ﷺ বলেছেন:“দাজ্জালের অনুসারীদের অধিকাংশ হবে নারী।”(সহীহ হাদীস)অন্য এ...
19/07/2025

একটা পোস্ট পেলাম এক জায়গায়। সেটার অনুবাদ দিলাম।

রাসূল ﷺ বলেছেন:
“দাজ্জালের অনুসারীদের
অধিকাংশ হবে নারী।”
(সহীহ হাদীস)

অন্য এক হাদীসে আছে,
“একজন পুরুষকে তার মা, স্ত্রী, বোন ও মেয়েকে বেঁধে রাখতে হবে,নিষ্ঠুরতা থেকে নয়, বরং এই ভয়ে যে তারা দাজ্জালের ধোঁকায় পড়ে না যায়।”

একটু ভেবে দেখুন…
নারীরা কেন দাজ্জালের প্রতারণায়
সহজে পড়ে যাবে?

আজকের বাস্তবতা দেখলে কথাটা খুব পরিষ্কার হয়ে ওঠে।
এটা নারী বিদ্বেষ নয়, বরং আত্মসমালোচনার সুযোগ।

আজ অনেক নারী দুনিয়ায়
গভীরভাবে আসক্ত;
মেকআপ, ডিজাইনার ব্যাগ, বিলাসবহুল স্টাইল, সোশ্যাল মিডিয়ার লাইকের নেশা, “সফট লাইফ” কালচার, বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রতি তীব্র আকর্ষণ।

এই জিনিসগুলো একা খারাপ নয়।কিন্তু যখন এগুলোই হৃদয়ের রাজা হয়ে যায়,তখন আত্মাও একদিন বিক্রি হয়ে যেতে পারে।

নবী ﷺ বলেছেন:
দাজ্জালের আগমনের আগে পৃথিবীতে ৩ বছর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হবে। বছর বছর খাবার কমবে, বৃষ্টি হবে না, পশু মারা যাবে, মানুষ দুর্বল আর ক্ষুধার্ত হবে।

ঠিক এই সময়েই দাজ্জাল আসবে,খাবার, পানি, নিরাপত্তা, আর বিলাসিতার প্রলোভন নিয়ে। তাকে যুক্তি দিতে হবে না,সে শুধু আপনার “নফস”-কে সন্তুষ্ট করবে। আর তখন,যাদের হৃদয় এসব ফিতনার বিরুদ্ধে প্রস্তুত ছিল না,তারা তার পেছনে ছুটে যাবে। তারা খারাপ মানুষ নয়,
তারা শুধু সেই জিনিসের জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে
যেটার পেছনে তারা সারাজীবন ছুটেছে।

তাই ভাই,
শুধু রোজগার করুন না,
পথনির্দেশনাও দিন।

আর বোন,
শুধু শরীর ঢাকলেই চলবে না,
হৃদয়কেও পরিশুদ্ধ করুন।


কারণ যেদিন দাজ্জাল আসবে সেদিন আপনার হাতে কী আছে সেটা নয়,আপনার আত্মায় কী আছে
সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হবে।

~ Ibtihaz Tahsin

18/07/2025

একদিন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বাড়ি থেকে বের হলেন। সচরাচর এই সময় তিনি বাড়ি থেকে বের হন না। বের হয়ে দেখলেন আবু বকর ও উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা তাঁর মতো বের হয়েছেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা এমন সময় কেন বের হলে?'
তারা জবাব দিলেন, ক্ষুধার তাড়নায় তারা বের হয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) জানালেন, তিনিও একই কারণে বের হয়েছেন।
তারা আবু আইয়ুব আনসারি রাদিয়াল্লাহু আনহুর বাড়িতে গেলেন। আবু আইয়ুব আনসারি মেহমানদের পেয়ে আনন্দিত হলেন। তিনি খেজুর, ছাগলের গোশত রান্না করে অতিথিদেরকে খাওয়ালেন। সবাই তৃপ্ত হলেন।
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আবু বকর ও উমর (রাদি.)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ! কিয়ামতের দিন এই নিয়ামত সম্পর্কে তোমাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে। ক্ষুধা তোমাদেরকে বাড়ি থেকে বের করেছে, অথচ তোমরা এই নিয়ামত লাভ না করে ফেরত যাওনি। (মুসলিম: ২০০৮)
ঘটনাটি একবার চিন্তা করুন। ক্ষুধার সময় রাসুলুল্লাহ (ﷺ) সামান্য ভালো খাবার খেয়েছেন, ঠিক সেই সময় স্মরণ করছেন এই খাবারের ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হবে। আর আমরা তো নিয়ামতের সাগরে ডুবে আছি। আমরা হাতের কাছে সবকিছু পাচ্ছি। যখন যা প্রয়োজন খেতে পারছি। কোনো কিছু খেতে মন চাইলে রান্না করতে হয় না, বাজার থেকে নিয়ে আসতে পারি। হোম ডেলিভারির মাধ্যমে হাতে পেয়ে যাই। আমরা কি কখনো ভাবি, এসবের জন্যও আমাদেরকে জিজ্ঞেস করা। হবে?
পরের পাঁচটি প্রশ্ন একটি হাদিসে পাওয়া যায়। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন: “কিয়ামতের দিন পাঁচটি বিষয়ে আল্লাহর জিজ্ঞাসাবাদের আগপর্যন্ত আদম সন্তান এক পাও সরাতে পারবে না।'
পাঁচটি প্রশ্ন হলো—

১) জীবন কোন কাজে লাগিয়েছ?
২) যৌবন কোন কাজে লাগিয়েছ?
৩) ধন-সম্পদ কীভাবে উপার্জন করেছ?
৪) ধন-সম্পদ কোন পথে ব্যয় করেছ?
৫) জ্ঞানার্জন করে সে অনুযায়ী আমল করেছো কিনা?
(তিরমিজি : ২০১৬)
আপনি আপনার পুরো জীবনটা কীভাবে কাটিয়েছেন? সারাদিন কী চিন্তা করেছেন? রাত কীভাবে কাটিয়েছেন? ফেসবুকে কী দেখে সময় পার করেছেন? কীসের জন্য আপনি জীবন দিতেন? সবগুলো ব্যাপারে আপনাকে জিজ্ঞেস করা হবে।
যৌবনকালে অন্য দশ জন যুবক যেভাবে প্রেম করে, আপনিও কি প্রেম করেছেন? মসজিদে নামাজ পড়তে আলসেমি করেছেন? মা-বাবার সাথে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলেছেন? আপনি যা-ই করুন না কেন, আপনাকে জিজ্ঞেস করা হবে।
বই: সফলতার সূত্র
লেখক: আরিফুল ইসলাম

দাম্পত্য জীবনে রাসুল (সা.)-এর ১০ সুন্নাহ • মুসলমানদের দৈনন্দিন তথা জীবনের সর্বক্ষেত্রে একমাত্র এবং অনুপম আদর্শ হচ্ছেন প্...
17/07/2025

দাম্পত্য জীবনে রাসুল (সা.)-এর ১০ সুন্নাহ

• মুসলমানদের দৈনন্দিন তথা জীবনের সর্বক্ষেত্রে একমাত্র এবং অনুপম আদর্শ হচ্ছেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। মহানবী (সা.) রাষ্ট্রনায়ক থেকে শুরু করে শাসক, দাঈ, পিতা এমনকি দাম্পত্য জীবনে স্বামী হিসেবেও ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অনুকরণীয় আদর্শ।

• প্রিয় নবী (সা.) এমন অনেক সুন্নত আছে, যেগুলো অনুসরণ ও অনুকরণেই গড়ে ওঠে স্বামী-স্ত্রীর সুখী দাম্পত্য জীবন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাম্পত্য জীবনই এর জলন্ত প্রমাণ।

• সাহাবিদেরও তিনি স্ত্রীকে শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসায় চাদরে মুড়িয়ে রাখার শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেন, “তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই সর্বোত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম, আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার স্ত্রীদের নিকট সর্বোত্তম ব্যক্তি”। (ইবন মাযাহ– ১৯৭৭, তিরমিযী– ৩৮৯৫)

• চলুন আজকে জেনে নেই রাসুল (আ.)-এর এমন ১০টি অসাধারণ সুন্নাহ। যেগুলো ব্যক্তিগত জীবনে কেউ যদি চর্চা করে তাহলে দাম্পত্য জীবনে সত্যিকারে সুখী মানুষ হয়ে উঠতে পারবেন।

১. স্ত্রী যে স্থানে ঠোঁট রেখে পানি পান করে সেই স্থানে ঠোঁট রেখে পানি পান করা সুন্নাহ।

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি ঋতুবতী অবস্থায় পানি পান করতাম এবং পরে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবশিষ্টটুকু প্রদান করলে আমি যেখানে মুখ লাগিয়ে পান করতাম তিনিও পাত্রের সে স্থানে মুখ লাগিয়ে পান করতেন। আবার আমি ঋতুবতী অবস্থায় হাড় খেয়ে তা নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দিলে আমি যেখানে মুখ লাগিয়েছিলাম তিনি সেখানে মুখ লাগিয়ে খেতেন। (মুসলিম– ৫৭৯)

২. স্ত্রীর কাছ থেকে চুল আঁচড়ে নেওয়া সুন্নাহ

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘আমি হায়েজ (ঋতুবতী) অবস্থায় আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাথা আঁচড়ে দিতাম।’ (বুখারি– ২৯৫)

৩. স্ত্রীর কোলে মাথা রেখে ঘুমানো সুন্নাহ

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেন যে, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে এক সফরে বের হলাম। বাইদা কিংবা যাতুল জাইশ নামক স্থানে পৌঁছার পর আমার গলার হার হারিয়ে গেল। তা খোঁজার জন্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে অবস্থান করলেন এবং লোকেরাও তাঁর সঙ্গে অবস্থান করল। সেখানেও কোনো পানি ছিল না এবং তাদের সঙ্গেও পানি ছিল না। এরপর লোকেরা আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে এলো এবং বলল, ’আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা যা করেছেন আপনি তা দেখেছেন কি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সকল লোককে আটকিয়ে রেখেছেন, অথচ সেখানেও পানি নেই আবার তাদের সঙ্গেও পানি নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার উরুতে (রানে) মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিলেন।

এমতাবস্থায় আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু এলেন এবং বললেন, তুমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সকল লোককে আটকে রেখেছো অথচ সেখানেও পানি নেই আবার তাদের সঙ্গেও পানি নেই। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন যে, আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাকে দোষারোপ করলেন এবং আল্লাহ যা চেয়েছেন তা বলেছেন এবং তার অঙ্গুলি দিয়ে আমার কোমরে ধাক্কা দিতে লাগলেন, আমার কোলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অবস্থানই আমাকে নড়াচড়া করতে বাধা দিল। পানিবিহীন অবস্থায় ভোরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুম থেকে উঠলেন। তখন আল্লাহ তাআলা তায়াম্মুমের আয়াত অবতীর্ণ করলেন, তখন সবাই তায়াম্মুম করল। তখন উসাইদ ইবনু হুযাইর বললেন, হে আবু বকর-এর বংশধর! এটাই আপনাদের কারণে পাওয়া প্রথম বারাকাত নয়।

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, যে উটের উপর আমি ছিলাম, তাকে আমরা উঠালাম তখন দেখি হারটি তার নিচে।’ (বুখারি– ৪৬০৭)

৪. স্ত্রীর সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করা সুন্নাহ

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, তিনি এক সফরে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি তার সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করে তার আগে চলে গেলাম। এরপর আমি মোটা হয়ে যাওয়ার পর তার সঙ্গে আবারও দৌড় প্রতিযোগিতা করলাম, এবার তিনি আমাকে পেছনে ফেলে দিলেন, বিজয়ী হলেন। তিনি বলেন, এ বিজয় সেই বিজয়ের বদলা।’ (আবু দাউদ– ২৫৭৮)

৫. স্ত্রীর সঙ্গে গোসল করা সুন্নাহ

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, আমি ও নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একই পাত্র (কাদাহ) থেকে (পানি নিয়ে) গোসল করতাম। সেই পাত্রকে ফারাক বলা হতো।’ (বুখারি– ২৫০)

৬. স্ত্রীর কোলে হেলান দিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করা সুন্নাহ

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার কোলে হেলান দিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করতেন। আর তখন আমি হায়েজের অবস্থায় ছিলাম।’ (বুখারি– ২৯৭)

৭. স্ত্রীর মেওসওয়াক দিয়ে দাঁত মাজা সুন্নাহ

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন যে, ‘আবদুর রহমান ইবনু আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এলেন। তখন আমি নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমার বুকে হেলান দেয়া অবস্থায় রেখেছিলাম এবং আবদুর রহমানের হাতে তাজা মিসওয়াকের ডাল ছিল যা দিয়ে সে দাঁত পরিষ্কার করছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলেন। আমি মিসওয়াকটি নিলাম এবং তা চিবিয়ে নরম করলাম। তারপর তা নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দিলাম। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা দিয়ে দাঁত মর্দন করলেন। আমি তাকে এর আগে এত সুন্দরভাবে মিসওয়াক করতে আর কখনও দেখিনি। এ থেকে অবসর হয়েই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উভয় হাত অথবা আঙ্গুল ওপরে উঠিয়ে তিনবার বললেন, উচ্চে সমাসীন বন্ধুর সঙ্গে (মিলিত হতে চাই) তারপর তিনি ইন্তিকাল করলেন। হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলতেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার বুক ও থুতনির মাঝে ইন্তিকাল করেন।’ (বুখারি– ৪৪৩৮)

৮. ঘর থেকে বের হওয়ার সময় স্ত্রীকে চুমু দেওয়া সুন্নাহ

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার এক স্ত্রীকে চুমা দিলেন, এরপর নামাজ আদায়ের জন্য বেরিয়ে গেলেন, কিন্তু অজু করেননি। আমি (উরওয়াহ) বললাম, আপনই সেই ব্যাক্তি। এতে তিনি (আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা) হাসলেন।’ (ইবনে মাজাহ ৫০২)

৯. স্ত্রীর প্রশংসা করা সুন্নাহ

হজরত আবু মুসা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, পুরুষের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা অর্জন করেছেন। কিন্তু নারীদের মধ্যে ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়া এবং ইমরানের কন্যা মারইয়াম ছাড়া আর কেউ পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়নি। তবে আয়েশার মর্যাদা সব নারীর উপর এমন, যেমন সারীদের (গোশতের সুরুয়ায় ভিজা রুটির) মর্যাদা সকল প্রকার খাদ্যের উপর।’ (বুখারি ৩৪১১)

১০. স্ত্রীর কাজে সহায়তা করা সুন্নাহ

হজরত আসওয়াদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করলাম, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরে থাকা অবস্থায় কী করতেন? তিনি বললেন, ঘরের কাজ-কর্মে ব্যস্ত থাকতেন। অর্থাৎ পরিবারবর্গের (কাজে) সহায়তা করতেন। আর নামাজের সময় হলে নামাজের জন্য চলে যেতেন।’ (বুখারি ৬৭৬)

16/07/2025

মুত্তাকী বান্দার ৬টি বৈশিষ্ট্য এবং পুরস্কার-

সূরা আল ইমরানের ১৩৩-১৩৬ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা মুত্তাকী বান্দার বৈশিষ্ট্য এবং পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।

আয়াত-১৩৩
তোমরা প্রতিযোগিতা (ত্বরা) কর, তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে ক্ষমা এবং জান্নাতের জন্য, যার প্রস্থ আকাশ ও পৃথিবীর সমান, যা ধর্মভীরুদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আয়াত-১৩৪
যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় দান করে, ক্রোধ সংবরণ করে এবং মানুষকে ক্ষমা করে থাকে। আর আল্লাহ (বিশুদ্ধচিত্ত) সৎকর্মশীলদেরকে ভালবাসেন।

আয়াত-১৩৫
যারা কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে অথবা নিজেদের প্রতি যুলুম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আল্লাহ ছাড়া অন্য কে পাপ ক্ষমা করতে পারে? এবং তারা যা (অপরাধ) করে ফেলে, তাতে জেনে-শুনে অটল থাকে না।

আয়াত-১৩৬
ঐ সকল লোকের প্রতিদান তাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা এবং জান্নাত; যার নিচে নদীসমূহ প্রবাহিত। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে এবং (সৎ) কর্মশীলদের পুরস্কার কতই না উত্তম।

উপরোক্ত আয়াত অনুযায়ী মুত্তাকী বান্দার ৬টি বৈশিষ্ট্য (যা ঐ বান্দা শুধুমাত্র আল্লাহ্ -কে খুশি করার জন্য করে)-

১) যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল উভয় অবস্থায় দান/ব্যয় করে।
২) যারা ক্রোধ, রাগ, গোস্বা সংবরণ করে।
৩) যারা মানুষকে ক্ষমা করে।
৪) যারা মানুষের প্রতি ইহসান করে অর্থাৎ মানুষের উপকার করে এবং কোনো কাজ যথাযথভাবে সুন্দরভাবে ও সুচারুরূপে সম্পাদন করে।
৫) যারা কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে অথবা নিজেদের প্রতি যুলুম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
৬) এবং তারা যা (অপরাধ) করে ফেলে, তাতে জেনে-শুনে অটল থাকে না অর্থাৎ একই ভুলের পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকে।

মুত্তাকী বান্দার জন্য পুরস্কার-
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এমন বান্দাদের ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন এবং তাদেরকে জান্নাত দান করবেন, যার পাদদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত, যেখানে তারা চিরকাল থাকবে।
আর সৎকর্মশীলদের পুরস্কার কতইনা উত্তম!

[আসুন আমরা এখন থেকেই আল্লাহর সাহায্য চেয়ে এসব বৈশিষ্ট্য অর্জনের চেষ্টা করি, যেন তিনি আমাদেরকে ক্ষমা করেন এবং তাঁর ঘোষিত পুরষ্কার জান্নাত দান করেন।]

15/07/2025
14/07/2025

নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ পরিকল্পনাকারী
(সূরা-আল আনফাল, আয়াত-৩০)

গীবতের  ভয়াবহতা:📖 রাসূল ﷺ বলেছেন:> “তুমি তোমার ভাইয়ের এমন কোনো দোষ উল্লেখ করো যা সে অপছন্দ করে।”সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন...
13/07/2025

গীবতের ভয়াবহতা:
📖 রাসূল ﷺ বলেছেন:

> “তুমি তোমার ভাইয়ের এমন কোনো দোষ উল্লেখ করো যা সে অপছন্দ করে।”
সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসূল! যদি ওই দোষ তার মধ্যে থাকে?”
তিনি বললেন: “তোমার বলা কথাটি যদি তার মধ্যে থাকে তবে সেটাই গীবত, আর না থাকলে সেটা তো অপবাদ (বুহতান)।”
— [সহীহ মুসলিম, হাদীস: ২৫৮৯]

📖 কুরআনে বলা হয়েছে:

> وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ
“তোমরা একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের কেউ কি পছন্দ করবে যে সে তার মৃত ভাইয়ের গোশত খাবে? নিশ্চয়ই তোমরা তা অপছন্দ করবে।”
— [সূরা হুজুরাত: ১২]

➡️ এই আয়াত থেকে বোঝা যায় গীবত করা মৃত মানুষের গোশত খাওয়ার মতো জঘন্য কাজ।

➡️গীবতের ভয়ংকর পরিণতি:

🔸আত্মিক অশান্তি ও অন্তরের অন্ধকার:

গীবতকারী কখনো শান্তি পায় না। সব সময় কারো না কারো দোষ খুঁজতে খুঁজতে হাসি, তৃপ্তি ও নেকীর স্বাদ হারিয়ে ফেলে।

🔸আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়া:

গীবতকারী ব্যক্তি ধীরে ধীরে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরে যায়, তার আমল বরকতহীন হয়ে পড়ে।

🔸দু’আ ও ইবাদতের প্রভাব কমে যায়:

গীবতের কারণে তার নামাজ, দোয়া, কোরআন তিলাওয়াত ইত্যাদির নূর ও প্রভাব কমে যায়।

🔸গীবত করা ব্যক্তির সদকাহ, নামাজ, রোযা ইত্যাদি নেক আমল নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা গীবত যার করা হয়েছে তার খাতায় চলে যেতে পারে।

📖 রাসূল ﷺ বলেছেন:

> “তোমরা জানো কি দেউলিয়া কে?”
সাহাবীরা বললেন: “যার কাছে ধন-সম্পদ নেই।”
তিনি বললেন: “আমার উম্মতের দেউলিয়া সে, যে কিয়ামতের দিন নামাজ, রোযা, যাকাত নিয়ে আসবে, কিন্তু সে কাউকে গালি দিয়েছে, কারো গীবত করেছে, কাউকে অপমান করেছে, কারো সম্পদ খেয়েছে বা কাউকে মেরেছে। এরপর তার নেক আমল তাদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হবে। আর যদি তার নেক আমল শেষ হয়ে যায়, তাহলে তাদের গুনাহ তার উপর চাপানো হবে। তারপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।”
— [সহীহ মুসলিম, হাদীস: ২৫৮১]

➡️ এই হাদীস থেকে বোঝা যায়, গীবতের কারণে আমল নষ্ট হয় এবং গীবতকারীর আমল গীবতের শিকার ব্যক্তির নামে লিখে দেয়া হয়।

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেন:

> “আমি যখন মিরাজে গমন করছিলাম, তখন আমি এমন কিছু লোকের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলাম, যাদের নখ ছিল তামার (লোহার), এবং তারা তা দিয়ে নিজেদের মুখ ও বুক চিঁড়ে ফেলছিল।
আমি জিজ্ঞেস করলাম: ‘হে জিবরাঈল! এরা কারা?’
তিনি বললেন:
‘এরা সেইসব লোক যারা দুনিয়ায় মানুষের গোশত খেত (অর্থাৎ গীবত করত), এবং তাদের মান-ইজ্জত নিয়ে কাটাছেঁড়া করত।’
[সহীহ আবু দাউদ: ৪৮৭৮]

এই হাদীস থেকে বোঝা যায়—

> গীবতকারীরা আখিরাতে ভয়াবহ শারীরিক শাস্তির সম্মুখীন হবে।তারা নিজেরাই নিজেদের কষ্ট দেবে, যেমন দুনিয়ায় অন্যকে কষ্ট দিত।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে গীবতের মত গুনাহ থেকে হেফাজত করুন। آمين 🤲

12/07/2025

ছোটোবেলা থেকেই সন্তানকে ঘিরে করা যায় এমন কিছু আমল।🌻

১. দুধ খাওয়ানোর সময় দুরুদ শরীফ / কালিমা / সুরা ফাতিহা পাঠ 🌸

নিয়্যত: “এই আমলের সওয়াব যেন আমার ছেলে আর মেয়ের হিফাযত ও ঈমানের জন্য হয়।”

প্রতি ফিডিং-এ অন্তত একবার ছোট দুরুদ (যেমন: “আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ”)।ওযু করে ব্রেস্টফীড করানো।

২. ঘুম পাড়ানোর সময় যিকর অথবা দু'আর শব্দে ঘুম পাড়ানো🌸

নিয়্যত: “আল্লাহ এই যিকরের শব্দ যেন তার অন্তরে গেঁথে দেন।”

পড়ে শোনাতে পারেন:

আয়াতুল কুরসী

সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস (মুষ্টিতে ফুঁ দিয়ে শরীরে হাত বুলিয়ে দেওয়া)

“হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি'মাল ওয়াকীল”

কীভাবে: ফুঁ দিয়ে হাত বুলিয়ে দেওয়া, কিংবা শুধু তার মাথার কাছে পড়ে দোয়া করা।

নিয়্যত: হিফাযতের আমল, রুহানিয়াত তৈরি করা।

ঘুমানোর আগে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলানো বা পড়া।
খুব নরম গলায় বলুন। ধীরে ধীরে সে এটায় অভ্যস্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

৩.কানে কুরআনের শব্দ🌸

কীভাবে: ঘুমানোর সময়, খেলতে খেলতে, কিংবা বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মৃদু ভলিউমে কুরআন চালান।

লক্ষ্য: শব্দ পরিচিতি, অন্তরে নরম ভাব তৈরি, শুনে অভ্যস্ততা গড়ে তোলা।

৪. গোসল করানোর সময় সুরা পড়া বা দোয়া করা🌸

“আল্লাহ, আমার মেয়েকে পবিত্র রাখুন, বাহ্যিক-অন্তর সব দিক থেকেই।”

সুরা ফাতিহা বা ইখলাস পড়া যেতে পারে।

৫. সন্তানের মাথায় হাত রেখে দু'আ করা🌸

“আল্লাহ, একে হিফাযত করুন, একে হিদায়াহ দিন, একে সৎ বান্দি করুন,নেককার দের অন্তর্ভুক্ত করুন,তাওবাহ কবুলকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন।”

৬. নিয়মিত দুরুদ পড়া ও হাদিয়া হিসেবে সন্তানের নামে সওয়াব দান করা🌸

দিনে ১০০ বার ছোট দুরুদ (যেমন: “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম”) — “ইয়া আল্লাহ, এই দুরুদের সওয়াব আমার সন্তানকে জান্নাতে পৌঁছানোর রাস্তায় সহায়ক হোক।”

৭. মা-বাবা নামাজের পর সন্তানকে নিয়ে মুনাজাত করা🌸

মনের ভাষায় দোয়া করুন। একদিন সে নিজে নিজেই সেই জায়গায় এসে বসবে ইন শা আল্লাহ।

কীভাবে:আপনি যখন নামাজে থাকেন, তাকে পাশে শুইয়ে রাখা বা সিজদার সময় পাশে বসানো।

লক্ষ্য: নামাজের পরিবেশ ও দৃশ্য ছোট থেকেই চেনা হয়ে যাওয়া।

৮. বাচ্চার ঘরের পরিবেশে কুরআনের শব্দ রাখা🌸

দিনে কিছু সময় খালি ঘরেও কুরআনের তিলাওয়াত চালানো, যাতে শব্দে বেড়ে ওঠে।

৯. বাচ্চার পক্ষ থেকে প্রতিদিন/সুযোগমতোন ছোটো সাদ্বাকাহ🌸

১ টাকা হলেও, “আল্লাহ, এই সাদাক্বাহ যেন ওর বিপদ দূর করার কারণ হয়।”

অনলাইন সাদাকাহ অপশন বা মসজিদের দানবাক্স ব্যবহার করা যায়।

১০. মা-বাবার মুখ দিয়ে সুন্দর শব্দ বের করা🌸

যেমন: “আল্লাহ তোমায় হিফাযত করুন”, “আমিন বলো”, “জান্নাতে যাবা ইন শা আল্লাহ” — এগুলো শিশুর মুখে প্রতিফলিত হবে।

১১. “জান্নাত” শব্দ পরিচিতি🌸

কীভাবে: তাকে আদর করে বলুন, “তুমি আমার জান্নাতের ফুল”, “আল্লাহ আমাদের জান্নাতে একসাথে রাখুন ইন শা আল্লাহ।”

লক্ষ্য: জান্নাত শব্দ যেন তার হৃদয়ে মিষ্টি কিছু হিসেবে গেঁথে যায়।

১২. দিনে ১বার আকাশের দিকে তাকিয়ে বলানো “আল্লাহ উপরে”🌸

কীভাবে: তাকে কোলে নিয়ে আকাশ দেখিয়ে বলুন, “আল্লাহ আকাশে আছেন” — শিশু একে অনুভব করে নেয়।

নিয়্যত: আল্লাহ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া।

১৩. ঘর থেকে বের হওয়ার আগে “বিসমিল্লাহ” বলা🌸

শিশু ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মুখে বলুন: “বিসমিল্লাহ, তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ”

কিছু না বললেও ধীরে ধীরে সে অভ্যস্ত হবে।

১৪. ‘শুকরিয়া’ অভ্যাস🌸

কীভাবে: কিছু দিলে বলুন, “আলহামদুলিল্লাহ বলো।”

প্রথমে না বললেও, এই শব্দের প্রতি এক প্রাকৃতিক টান তৈরি হবে।

১৫. আয়নায় তাকিয়ে “আল্লাহ তোমাকে কত সুন্দর বানিয়েছেন” বলা🌸

শিশুর আত্মসম্মান এবং আল্লাহর নেয়ামতের প্রতি কৃতজ্ঞতা শেখে।

১৬. জানোয়ার বা পাখি দেখিয়ে আল্লাহর সৃষ্টি চিনানো🌸

“এই বিড়ালটা কে বানিয়েছে?” — “আল্লাহ”

এভাবে প্রকৃতি দিয়ে ‘খালিক’ পরিচয় দেওয়া।

১৭. তার হয়ে “ঈমানী দু'আ” করা (প্রতিদিন অন্তত ১ বার করে হলেও)🌸

“আল্লাহ, ওকে সিদ্দিক, আমানতদার ও নামাজি বানিয়ে দাও।”

“ওকে কুরআনের হাফিযা করো।”
(আপনার নিয়্যত ও দু'আর মাধ্যমে আমল হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ)

১৮. খারাপ কিছু দেখলে বা বাজে শব্দে “আস্তাগফিরুল্লাহ” বলা🌸

সে বুঝবে, খারাপ কিছু মানেই আল্লাহকে মনে করে সংশোধন হওয়া দরকার।

১৯. ঈদ/রমাদান/জুমআর দিনকে স্পেশাল বানানো🌸

ছোট ছোট আনন্দ, মিষ্টি, নতুন জামা দিয়ে বলুন: “আজ আল্লাহর পছন্দের দিন!”

ইসলামিক কনসেপ্ট = আনন্দের মাধ্যমেও শেখানো।

২০. "বাবা-মার জন্য দু'আ করো" শেখানো🌸

ছোট্ট দোয়া: “রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি ছাগীরা”

প্রথমে শুধু “আল্লাহ মাকে ভালো রাখো” বলাও যথেষ্ট।
এভাবে আস্তে আস্তে অন্যদের জন্যেও দু'আ করতে শেখানো।

২১. নামাজের সিজদায় গিয়ে তার নাম নিয়ে দু'আ করা🌸

কীভাবে: নামাজে সিজদায় গিয়ে বলুন,
“ইয়া আল্লাহ, আমার আকিফাহ-কে আপনার পছন্দের বান্দি বানিয়ে দিন।”

শিশু কিছু না বুঝলেও আপনার নিয়্যতে সেটা আমল হয়ে যাবে।

২২. Islamic lullaby / nasheed শোনানো (বিনা বাদ্যযন্ত্রে)

উদাহরণ:

“Tala’al Badru”

“Give thanks to Allah”

কিংবা শুধু মা’র মুখে গাওয়া “আল্লাহু, আল্লাহু...” ধরণের ধ্বনি।কিংবা আপনার প্রিয় কোনো নাত ও শোনাতে পারেন।

শিশু শান্ত হয়, একইসাথে রূহানি পরিচিতি পায়।

২৩. কুরআনের আয়াত দিয়ে Nickname তৈরি করে ডাকা🌸

যেমন: “ইয়া নূর” (আলোর মতো), “হুরাইন”, “সিদ্দিকাহ”

এতে বাচ্চার পরিচয়ের সাথেই ঈমান জড়ানো হয়।

২৪. হাত ধরে ছোট্ট দু'আ-যিকির শেখানো (মুখে মুখে)🌸

“বিসমিল্লাহ”, “আলহামদুলিল্লাহ”, “আসসালামু আলাইকুম”— এভাবে একটি শব্দ এক সপ্তাহে শিখানো।

২৫. কুরআন স্পর্শ করানোর সময় “এটা আল্লাহর বই” বলা🌸

ছোট্ট হাতে কুরআন ধরালে, আলতোভাবে বলুন,
“আল্লাহর কথা, এইটা সম্মানের জিনিস”

কিছু না বুঝলেও অন্তরে ছাপ পড়ে।

২৬. Islamic mirror প্লে🌸

আয়নায় তাকিয়ে বলুন:
“আল্লাহ তোমাকে কতো সুন্দর বানিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ, তুমি আল্লাহর বান্দি!”

শিশুর আত্মপরিচয়ের ভিত্তি গড়ে।

২৭. Adhan ও Iqamah শোনানো / বলার অভ্যাস🌸

মাঝে মাঝে তাকে কানে আজান বলুন, এমনকি খেলার ছলেই।

আজান মানেই আল্লাহর ডাক— এটা মনে গেঁথে যাবে।

২৮. “সালাম” বলা ও শিখানো (খেলনার সাথেও)🌸

পুতুল ধরে বলুন:
“আসসালামু আলাইকুম বলো ওকে”

প্রথমে খেলতে খেলতেই হোক, অভ্যাস তৈরি হবে ইন শা আল্লাহ।

২৯. সূর্য / চাঁদ / তারাকে দেখে আল্লাহর নাম বলা🌸

“আল্লাহ এই চাঁদ বানাইছে, দেখো কী সুন্দর!”

Creation দিয়ে Creator চিনানো — এইভাবেই ঈমান গড়ে ওঠে।

৩০. শিশুর হাঁচি / হাই দিলে "আলহামদুলিল্লাহ" বলা🌸

নিজে বলুন, কিংবা তার পক্ষে বলুন:
“আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তোমায় হাঁচি দিয়ে বিশ্রাম দিলেন।”

৩১. খাওয়ার পর আলহামদুলিল্লাহ বলানো🌸

আপনি খাওয়ানোর পর নিজের মুখে বলুন: “আলহামদুলিল্লাহ”

ধীরে ধীরে সে অনুসরণ করতে শিখবে।

৩২. দু'আ দিয়ে কাঁদা বা কান্না থামানো🌸

শিশুর কান্না হলে বলুন:
“আল্লাহ ওকে শান্তি দাও, আরাম দাও, মা তোমার জন্য দোয়া করছে।”

আপনি শান্ত থাকবেন, আমলের নিয়্যতে দোয়া করলেন।

৩৩. ইসলামিক গল্প বলার রুটিন🌸

প্রতিদিন ১–২ মিনিট:
“এক ছিলেন ইউনুস (আ.), তিনি একদিন জাহাজে উঠলেন...”

গল্প সংক্ষিপ্ত হলেও ধারাবাহিকতা ঈমানের বীজ বোনে।

৩৪. Islamic Counting / Color Game🌸

রঙ/গণনার সাথে ইসলাম যুক্ত করা:

“১ আল্লাহ, ২ রাকাআত, ৩ সাহাবী”

“সবুজ রঙ – জান্নাতের রঙ”

৩৫. ছোট ছোট দু'আর কার্ড বানিয়ে দেয়ালে লাগানো🌸

যেমন:

“ঘুমের আগে: বিসমিকা আল্লাহুম্মা আমুতু ওয়া আহইয়া”

“খাওয়ার আগে: বিসমিল্লাহ”

আপনারাও শিখবেন, শিশুটিও বড় হয়ে দেখবে।

৩৬. দিনে একবার বলে দেওয়া: “আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসেন”🌸

শিশুর আত্মা আল্লাহর ভালোবাসার দিকে ধাবিত হয়।

৩৭. অন্যকে দোয়া করতে শেখানো🌸

যেমন: “নানু যেন ভালো থাকে, বলো আমিন”

এতে তার হৃদয় নরম হবে, আর দোয়া’র অভ্যাস গড়ে উঠবে।

৩৮. সূর্য ডোবার সময় ‘মাগরিব’ নামাজের কথা স্মরণ করানো🌸

“সূর্য ডুবে যাচ্ছে, এখন আল্লাহ ডাকেন নামাজের জন্য”

সময়/নামাজের পরিচিতি জন্মাবে।

৩৯. Islamic affirmation game🌸

বলুন, “তুমি কে?”
সে উত্তর শিখুক: “আমি আল্লাহর বান্দি/বান্দি।”

ছোট হলেও তার আত্মপরিচয় গড়বে।

৪০. Islamic tone with hugs🌸

জড়িয়ে ধরে বলুন:
“আল্লাহ তোমার উপর রহম করুন”,
“তুমি জান্নাতে যাবে ইন শা আল্লাহ”

ভালোবাসার সাথে ঈমানি বাণী—চিরস্থায়ী ছাপ ফেলবে।

৪১. প্রতিদিন একটি ‘নতুন শব্দ’ শেখানো (ইসলামিক শব্দভাণ্ডার)🌸

যেমন:

আজ: “সালাত”, কাল: “সবর”, পরশু: “কুরআন”

শিশুদের মস্তিষ্ক শব্দ ধরে রাখে, এই শব্দগুলো তার অন্তরে গেঁথে যাবে।

৪২. বৃষ্টি নামলে কানে কানে বলুন: “দোয়ার সময়”🌸

বলুন: “চল দোয়া করি, এখন আসমান খুলে গেছে।”

“আল্লাহ, আমার আকিফাহ-কে ভালো রাখুন।”

৪৩. গায়ের কাপড় পরাতে গিয়ে বলুন: “আল্লাহ তোমাকে সুন্দর কাপড় দিয়েছেন”🌸

নেয়ামতের প্রতি কৃতজ্ঞতা শেখানো হবে।

৪৪. তার খেলনাগুলোকে Islamic নাম দেওয়া🌸

যেমন: পুতুলের নাম “মারিয়াম”, “আসিয়া”, “ইব্রাহীম”, “উমর”

খেলতে খেলতে সে ইসলামি ইতিহাসের সাথে পরিচিত হবে।

৪৫. ঘুমের আগে ছোট্ট তালিম🌸

মাত্র ১ মিনিটের কথা:

“আজ আমরা কি শিখলাম?”

“আল্লাহ ভালোবাসলে কী হয়?”

আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা বাড়বে।

৪৬. কুরআনের শব্দ/আয়াত মুখস্থ করাতে ছন্দ নাহয় তাল দিয়ে বলা🌸

“কুল হুয়াল্লাহু আহাদ...” ধীরে ধীরে সুরে বলুন — শিশু সুর ধরতে পারে।

৪৭. Islamic visual toy/card বানিয়ে খেলা🌸

উল্টে উল্টে বলুন:

“এইটা কা'বা”

“এইটা জান্নাতের দরজা”

“এইটা কুরআন”

খেলনার মাঝেও ইসলাম শেখা হবে।

৪৮. তার হয়ে charity করা (সে দেখুক)🌸

কেউ দরজায় এলে বলুন:

“এইটা আকিফাহর তরফ থেকে দিচ্ছি।”

সে দান করা শিখবে।

৪৯. কখনও কান্না থামলে বলুন: “আল্লাহ তোমাকে শান্ত করেছেন”🌸

সে বুঝবে, শান্তি = আল্লাহ

৫০. পছন্দের কাজের পর “আলহামদুলিল্লাহ” দিয়ে রিক্যাপ করা🌸

যেমন: খাওয়ার পর, খেলার পর, ঘুমের পর বলুন:

“আলহামদুলিল্লাহ! আজ কত ভালো দিন গেলো, তাই না?”

৫১. আয়নার সামনে দাড় করিয়ে বলুন: “তুমি আল্লাহর সৃষ্টি, কত সুন্দর!”🌸

নিজের সম্পর্কে পজিটিভ ভাবনার ভিত্তি তৈরি হয় — এটা ইসলামিক আত্মপরিচয় গঠনের প্রথম ধাপ।

৫২. চুপ থাকা শেখানোর সময় “সুবহানাল্লাহ” বা “আল্লাহু আকবার” শেখানো🌸

খেলতে খেলতে বলুন,
“চুপ করে বলি: সুবহানাল্লাহ”

চুপচাপ থাকা মানেই তখন আল্লাহর যিকর!

৫৩. Islamic object-based hide & seek🌸

পুতুল বা খেলনার কুরআন লুকিয়ে বলুন,
“আল্লাহর কথা কোথায় লুকিয়েছে? খুঁজে বের করো!”

খেলনার মাধ্যমেও ইসলাম।

৫৪. Islamic “Yes-No” game🌸

আপনি জিজ্ঞেস করুন:
“আমরা নামাজ পড়ি?” → সে বলবে হ্যাঁ।
“আমরা মিথ্যা বলি?” → না।

ছোট প্রশ্নে বড় শিক্ষা!

৫৫. তার নাম দিয়ে ছোট্ট দোয়া বানিয়ে বারবার বলা🌸

“আল্লাহুম্মা হাফিয আলা আকিফাহ”
বা
“ইয়া রাহমান, আকিফাহ’র উপর রহম কর।”

৫৬. Islamic weather talk🌸

বৃষ্টি = আল্লাহর রহমত

রোদ = আল্লাহর নূর

ঝড় = আল্লাহর কুদরত

প্রকৃতি দিয়ে তাওহীদ শেখানো।

৫৭. তার বডি পার্ট শেখানোর সময় আল্লাহর সৃষ্টির কথা বলা 🌸

“এই চোখ? আল্লাহ দিয়েছেন।”

“এই হাত? আল্লাহ বানিয়েছেন।”

সে বুঝবে, সব কিছু আল্লাহর দেয়া।

৫৮. ইসলামিক shape & color matching game🌸

সবুজ = জান্নাত

কালো = কা’বা

সাদা = তাহারাত

রঙ আর আকৃতির মাধ্যমে বিশ্বাস শেখানো।

৫৯. ঘরের দেয়ালে Islamic Alphabet চার্ট লাগানো🌸

A – Allah

B – Bismillah

C – Caliph

ছোট থেকেই শব্দগুলোর সাথে পরিচয় করানো।

৬০. ঝিমুতে থাকা অবস্থায় মুখে মুখে ধীরে ধীরে বলুন:🌸

“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ...”

ঘুমের সাথে যিকরের সম্পর্ক তৈরি হয়, ইন শা আল্লাহ।

৬১. “হাত তুলে দোয়া করি” খেলা🌸

দুজন হাত তোলে বলুন:

“আল্লাহ, আকিফাহ যেন জান্নাতে যায়, আমিন!”

শিশুরা হাত তোলা শেখে আর দোয়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে।

৬২. Islamic clean-up song🌸

খেলনা গুছানোর সময় বলুন:

“নবীজী (সা.) ছিলেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন!”

“চল সব গুছিয়ে দেই, আল্লাহ খুশি হন।”

৬৩. ঘুম ভাঙার পর কানে বলুন:🌸

“আলহামদুলিল্লাহিল্লাযি আহইয়ানা…”

ধীরে ধীরে শিশুর মুখেও বসে যাবে।

৬৪. Islamic lullaby

ঘুমপাড়ানি গানে দিন ঈমানি কথা:

“আল্লাহ তোমায় ভালোবাসে, মা করে দোয়া, জান্নাত হবে তোমার ঘর, যদি করো সওয়াব...”

৬৫. পাখি/গাছ/ফুল দেখিয়ে বলুন: “আল্লাহ বানিয়েছেন”🌸

সৃষ্টির প্রতি বিস্ময় থেকে সৃষ্টি কর্তার প্রতি ভালোবাসা।

৬৬. যেকোনো ভালো কাজ করে বলুন: “এইটা আমলনামায় চলে গেলো”🌸

শিশুরা ‘আমলনামা’ শব্দ শুনতে শুনতে আগ্রহী হবে।

৬৭. মুভমেন্ট আর যিকরের সমন্বয়🌸

যেমন: লাফ দিতে দিতে বলুন:

“আল্লাহু আকবার!”

শরীর আর মুখ দুইটাতেই যিকরের অভ্যাস।

৬৮. যখন গায়ে কিছু লাগে বা ব্যথা পায়, বলুন: “আল্লাহ তোমায় শিফা দেবেন”🌸

অসুস্থতা = আল্লাহর কুদরত ও রহমত শেখা হয়।

৬৯. Islamic reward stickers🌸

ভালো কাজ করলে একটা স্টিকার:

“আজ তুমি বলেছো আলহামদুলিল্লাহ”

“তুমি মায়ের কথা শুনেছো”

Reward-এর মাধ্যমে ঈমানি অভ্যাস গড়ে ওঠে।

৭০. কুরআন তিলাওয়াত চালিয়ে ঘর গোছানো🌸

ঘর গোছানোর সময় সুরা চালিয়ে রাখুন — শিশু শুনতে শুনতে আয়াত ধরবে ইন শা আল্লাহ।

৭১. “আল্লাহর নাম ধরে ডাকো” খেলা

জিজ্ঞেস করুন:

“তোমার খাওয়া কে দেয়?” → সে উত্তর দেবে: “আল্লাহ!”

“তুমি কাকে ভালোবাসো?” → “আল্লাহ!”

খেলতে খেলতে তাওহীদ গেঁথে যাবে।

৭২. Islamic high-five game

কিছু ভালো কাজ হলে বলুন:

“High five for saying Bismillah!”

খেলায় খেলায় ইসলাম শেখা।

৭৩. শব্দ শেখানোতে ইসলামিক উদাহরণ

যেমন: “মা” শেখানোর সময় বলুন:

“আমার মাকে নবীজী কত ভালোবাসতেন!”

মা শেখা + আদব শেখা একসাথে।

৭৪. জুতা পরাতে গিয়ে বলুন: “ডান পা আগে”

“নবীজি আগে ডান পা দিতেন।”

সুন্নাহ ছোট থেকেই অনুশীলন হবে।

৭৫. জান্নাত-ভিত্তিক পুরস্কার দেওয়া

বলুন: “তুমি জান্নাতি কাজ করেছো!”

আর একটা স্টিকার বা ছোট পুরস্কার দিন।

৭৬. পানি খাওয়ানোর সময় বলুন: “৩ বার করে খাই”

এক নিঃশ্বাসে না খেয়ে তিনবারে খাওয়ার সুন্নাহ শেখান।

৭৭. Islamic shadow play

টর্চের আলোতে বলুন:

“আলো কার?” → “আল্লাহর”

“ছায়া কার?” → “আল্লাহর সৃষ্টি”

মজা করেই তাওহীদ বোঝান।

৭৮. একসাথে তাসবীহ গোনা

তসবীহ হাতে দিয়ে বলুন:

“সুবহানাল্লাহ বলো, আমরা ৩টা বলবো!”

গোনার মাধ্যমে সংখ্যা শেখা + যিকর।

৭৯. ‘সোনা মেয়ে’, ‘জান্নাতি বাচ্চা’ — ঈমানি টাইটেল ব্যবহার

প্রশংসার সময় বলুন:

“আল্লাহর প্রিয় বান্দি!”

“জান্নাতের ফুল তুমি!”

৮০. শিখতে না পারলেও প্রশংসা দিয়ে উৎসাহ দিন

“তুমি চেষ্টা করেছো, আল্লাহ খুব খুশি হবেন।”

শুধু অর্জন না, নিয়্যত ও চেষ্টার মূল্য শেখা।

৮১. প্রতিদিন একবার বলুন: “আল্লাহ তোমাকে দেখছেন” (দয়া ও দৃষ্টি বোঝাতে)

ভয় নয়, ভালোবাসা দিয়ে এই বাক্য বলুন।

শিশুর হৃদয়ে গেঁথে যাবে: “আমার রব আছেন, তিনি দেখেন”

৮২. ঘুমাতে যাওয়ার সময় মাথায় হাত রেখে দোয়া করুন

ধীরে ধীরে উচ্চস্বরে বলুন:

“আল্লাহুম্মা নিই’জকা মিনাশ শাইতান...”

আপনার দোয়ার আওয়াজ শিশুর ঘুমের এক অংশ হয়ে যাবে।

৮৩. Islamic animal sounds game

বলুন: “বকরি কী করে?” → “ম্যাআআ”

তারপর বলুন: “এই বকরি আল্লাহ বানিয়েছেন”

খেলার ফাঁকে সৃষ্টিকর্তার পরিচয়।

৮৪. হাঁচি দিলে বলুন: “আলহামদুলিল্লাহ” — আর তাকে বলান “ইয়ারহামুকাল্লাহ”

হাঁচি দিয়েই ছোট্ট সুন্নাহ শেখা।

৮৫. Islamic matching puzzle বানিয়ে দিন

কা’বা + হাজ্জ

কুরআন + তিলাওয়াত

জান্নাত + ভালো কাজ

Matching করতে করতে ইসলামি ধারণা মজবুত হয়।

৮৬. একদিনের টার্গেট দিন: “আজ সারাদিন আলহামদুলিল্লাহ বলবো”

সে হয়তো ভুলে যাবে, কিন্তু আপনি বলুন,

“তুমি বলেছো, আল্লাহ শুনেছেন!”

৮৭. Islamic colors day

আজ শুধু সবুজ জিনিস খুঁজবো (জান্নাত)

কাল সাদা জিনিস (তাহারাত)

রঙ দিয়ে ঈমানি সংযোগ।

৮৮. Islamic rhymes with actions

যেমন:

“Raise your hands, say Bismillah,
Eat your food, and say Alhamdulillah!”

বাচ্চাদের প্রিয় রাইমসের জায়গায় ইসলাম বসিয়ে দিন।

৮৯. হাঁটার সময় ‘মনের দোয়া’ করতে শেখান

আপনি বলুন:

“আল্লাহ, আমার মেয়ে যেন পড়ে না যায়”

সে শেখে, হাঁটাও আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে।

৯০. “আল্লাহ আমাদের কোথায় রেখেছেন?” খেলা

ঘরের ভেতরে জিজ্ঞেস করুন:

“আমরা কোথায়?”

“আল্লাহর দুনিয়ায়”

সে বুঝবে, এই জগৎ আল্লাহরই সৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে।

৯১. Islamic mirror play

আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে বলুন:

“আল্লাহ কত সুন্দর বানিয়েছেন তোমাকে!”

আত্মসম্মান + আল্লাহর শোকর দুটোই।

৯২. হাঁটার সময় “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” ধীরে ধীরে বলুন

প্রতিটি পা ফেলতে ফেলতে বলুন — সে হোক কোলে বা মাটিতে।

৯৩. দুধ খাওয়ার সময় বলুন: “রাব্বি যিদনি ইলমা”

যেন জ্ঞানের শুরু হয় সবচেয়ে নিরাপদ সময়ে — মায়ের কোলে।

৯৪. Islamic flashcards বানান

ছবি দিয়ে দেখান: কা'বা, কুরআন, চাঁদ, নামাজ...

দৈনিক একটা করে দেখান — আল্লাহর নামও শেখাতে পারেন।

৯৫. Islamic animal book

বইয়ে দেখিয়ে বলুন:

“উট? হজে যায়!”

“মক্কায় কি আছে? কা'বা!”

চেনা জগতে ইসলামকে বসানো।

৯৬. Islamic pretend play

নামাজে দাঁড়ায়, সেজদা করে, খিলখিল হাসে —
আপনি বলুন: “আল্লাহ খুব খুশি!”

৯৭. দাঁত ব্রাশ করার সময় বলুন: “পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ”

ব্রাশ করা = ঈমানের শিক্ষা।

৯৮. Islamic sensory play

পানি, বালি, তুলা দিয়ে খেলায় বলুন:

“আল্লাহ পানির মাঝে জীবন রেখেছেন।”

“এই তুলার মত সফট বানাক আল্লাহ তোমার অন্তর।”

৯৯. দোয়া শেখার সময় ‘আঙ্গুল দিয়ে গোনা’ খেলুন

যেমন:

আঙ্গুল ১ → “বিসমিল্লাহ”

২ → “আলহামদুলিল্লাহ”

৩ → “ইয়া আল্লাহ, জান্নাত দাও”

কল্পনার সাথে দ্বীনের বুনন।

১০০. ঘুমানোর আগে মাথায় হাত দিয়ে এই দোয়া করুন:

> “আল্লাহ, আমার এই Amanah (আকিফাহ) কে তুমি রক্ষা করো, হিদায়াহ দাও, জান্নাতের রাস্তায় চালাও — আমি তো শুধু চেষ্টা করছি, তাওফিক তোমারই।”

এই দোয়ার মধ্যেই লুকানো আছে আপনার মা হিসেবে সকল কষ্ট, চেষ্টা আর নিয়্যতের সারাংশ।

মনে রাখবেন:

একটি আমলও “ছোটো” নয় — নিয়্যতই বড়। আপনার দুরুদ, চোখের পানি, বাচ্চার কপালে চুমু দিয়ে করা দু'আ — আল্লাহর কাছে অনেক মূল্যবান।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সন্তানদের কুরআনের হিফায, দ্বীননদারিতা এবং নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রেমে বড় করার তাওফিক দিন। আমীন। ~ সিলভীয়া

শায়খ ফাহদ কিন্দারী। কুয়েতের আলেম ও ক্বারী। সুন্দর কুরআন তিলাওয়াত করেন। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে কুরআন প্রেমিকদের...
11/07/2025

শায়খ ফাহদ কিন্দারী। কুয়েতের আলেম ও ক্বারী। সুন্দর কুরআন তিলাওয়াত করেন। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে কুরআন প্রেমিকদের বের করে আনেন। একবার একজন অন্ধ হাফেযকে বের করলেন। ছোট্ট ছেলে। ছেলেটা বলে কি না,

— আমি অন্ধ, এতেই আমি খুশি। কারণ আমি চোখের গুনাহ থেকে বেঁচে যাবো। শেষ বিচারের দিন, কিছু প্রশ্ন থেকে মুক্তি পাবো।

ড. কিন্দারি ছেলেটার এমন ঈমানদীপ্ত কথা শুনে বিহ্বল হয়ে পড়লেন। তার মুখ দিয়ে কথা সরছিল না। কী বলছে এই ছোট্ট বালকটা!

ব‌ই : আই লাভ কুরআন, পৃ. ১৫২-১৫৩।

দরুদ পড়ছেন তো⁉️🌺দরুদ বা দরুদ শরীফ🌺◾দরুদ শব্দের অর্থঃএটি একটি ফার্সি শব্দ।  দরুদ শব্দের আরবি হলো 'সলাত'।সলাত শব্দের মূল চ...
10/07/2025

দরুদ পড়ছেন তো⁉️

🌺দরুদ বা দরুদ শরীফ🌺

◾দরুদ শব্দের অর্থঃএটি একটি ফার্সি শব্দ। দরুদ শব্দের আরবি হলো 'সলাত'।সলাত শব্দের মূল চারটি অর্থ-- দরুদ বা শুভকামনা, তাসবিহ বা গুণকীর্তন,রহমত বা দয়া করুণা ও ইস্তিগফার বা ক্ষমাপ্রার্থনা।

◾দরুুদ কীঃ দরুদ হলো একটি সম্ভাষণ যা মুসলমানরা নির্দিষ্ট বাক্যাংশ পড়ে ইসলামের শেষ পয়গম্বর মুহাম্মাদের শান্তির প্রার্থনা উদ্দেশ্য পাঠ করা হয়ে থাকে। বৃহত্তর অর্থে মুহাম্মাদের প্রতি এবং তাঁর পরিবার-পরিজনে,সন্তান-সন্ততি এবং সহচরদের প্রতি আল্লাহর দয়া ও শান্তিবর্ষণের জন্য প্রার্থনা করাই হলো দরুদ।
দরুদকে প্রায়ই সন্মানসূচক ভাবে ইসলামি পরিভাষায় "দরুদ শরীফ" - ও বলা হয়ে থাকে।

◾দরুদ পাঠের নির্দেশঃ স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা মহানবী (স) এর প্রতি দরুদ পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ইরশাদ করেন, 'অবশ্যই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি সালাত প্রেরণ করেন। হে মুমিননরা! তোমরাও তাঁর প্রতি সালাত ও সালাম পেশ করো।' (সূরা আহযাব-৫৬)
সালাত আরবি শব্দ। তার বিভিন্ন অর্থ বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার হয় যেমন- রহমত,দোয়া, দরুদ,ইস্তেগফার,তাসবিহ।আল্লাহর পক্ষ থেকে হলে রহমত,বান্দার পক্ষ থেকে দরুদ, ফেরেশতাদের পক্ষ থেকে ইওস্তিগফার,দোয়া ও সন্মান অর্থ বুঝায়।
"সালাম" অর্থ নিরাপত্তা, শান্তি। এর উদ্দেশ্য ত্রুটি,দোষ ও বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকা।

◾দরুদ পাঠের বিধানঃ মহানবী (স) এর নাম বললে ও শুনলে তাঁর প্রতি দরুদ পড়া ওয়াজিব। তবে বারবার তাঁর নাম বললে ও শুনলে প্রথমবার দরুদ পড়া ওয়াজিব অন্যান্য বার মুস্তাহাব। মুখে উচ্চারণ করলে যেমন দরুদ ও সালাম ওয়াজিব, তেমনি কলমে লিখলেও ওয়াজিব। জীবনে একবার দরুদ পড়া ফরজ।মহানবী (স) বলেছেন, "সেই ব্যক্তি অপমানিত হোক, যার সামনে আমার নাম উচ্চারণ করা হলে দরুদ পাঠ করে না।" (মিশকাত: ৯২৭)

আলী (রা) থেকে বর্ণিত রাসূল (স) ইরশাদ করেন, 'সেই ব্যক্তি কৃপণ যার কাছে আমার নাম উচ্চারণ করা হলে দরুদ পাঠ করে না। ' (মিশকাত: ৯৩৩)

◾দরুদ পাঠের ফজিলতঃদরুদ পাঠে রয়েছে অনেক ফজিলত। আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে আল্লাহ তায়া’লা তার প্রতি ১০ টি রহমত বর্ষণ করেন। " (মুসলিম,মিশকাত :৯২১)

আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, মহানবী (স) বলেন, "যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ শরীফ পাঠ করে,আল্লাহ তায়া’লা তার প্রতি ১০ টি রহমত বর্ষণ করেন, ১০ টি পাপ মোচন করেন এবং ১০ টি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। " (নাসায়ি : ১/১৪৫, মুসনাদে আহমদ: ১/১০২)।

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,, "কিয়ামতের দিন আমার কাছে অতি উত্তম হবে ঐ ব্যক্তি যে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করে।" (তিরমিজি)

মহানবী ( স) আরও বলেন,' জমিনে আল্লাহর একদল বিচরণশীল ফেরেশতা রয়েছে, যারা আমার উম্মতের সালাম আমার কাছে পৌঁছিয়ে দেয় '। (নাসায়ি ও দারেমি)

তিনি আরও বলেন, আমার প্রতি কেউ দরুদ পাঠ করলে আমি তার উত্তর দিই।(আবু দাউদ,বায়হাকি)

হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন কেউ আমার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে সালাম দিলে আমি তা শুনতে পাই,আর দূর থেকে সালাম দিলে আমাকে তা পৌঁছানো হয়।(বায়হাকি)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,যে ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি একবার দরুদ পাঠ করে আল্লাহ তায়া’লা তার প্রতি ৭০ টি তরহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তার জন্য ৭০ বার ইস্তেগফার করেন। (মুসনাদ আহমদ, মিশকাত : ৯৩৫)

মহানবী (স) অন্যত্র বলেছেন, জিবরাইল (আ) আমাকেল বলেছেন, "আমি কি আপনাকে এমন একটা সুসংবাদ দিব যা আল্লাহ তায়া’লা আপনাকে বলেছেন তা হলো যে ব্যক্তি আপনার ওপর দরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তায়া’লা তার প্রতি রহমত বর্ষণ করবেন,আর যে ব্যক্তি আপনাকে সালাম দেবে আল্লাহ তায়া’লা তার ওপর শান্তি বর্ষণ করবেন। (মুসনাদ,আহমদ)

দোয়া কবুল হওয়ার উত্তম পন্থা হলো,প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা করা,তারপর প্রিয় নবী (স) এর প্রতি দরুদ পাঠ করা।অতঃপর কাঙ্ক্ষিত জিনিস স্বীয় প্রভুর কাছে চাওয়া। ওমর ফারুক (রা) বলেন, রাসূল (স) এর প্রতি দরুদ পাঠ না করে হলে সেই দোয়া আসমান ও জমিনের মাঝে স্থগিত থাকে। সেই দোয়া আল্লাহর দরবারে পৌঁছে না। (তিরমিজি)

বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার দিন অধিকহারে দরুদপাঠের ব্যাপারে হাদিসে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। অধিক হারে দরুদ পাঠে আল্লাহর রহমত লাভ হয়,পাঠকারীর মর্যাদা বৃদ্ধি পায় ও গুনাহ মাফ হয়।

◾দরুদ ও সালাম প্রেরণঃ মহানবী (স) এর প্রতি দরুদ ও সালাম উভয়ই প্রেরণ করতে হবে। ইমাম নববী বলেছেন, রাসূল (স) এর ওপর যখন কেউ দরুদ পাঠ করে, তখন তার সালাম ও পেশ করা উচিত। শুধু দরুদ বা সালাম পেশ করে ক্ষান্ত হওয়া উচিত নয়।ফলে 'আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম'(তাঁর প্রতি দরুদ ও সালাম) বলতে হবে। কেননা আল্লাহ তায়া’লা ইরশাদ করেছেন,....."হে মুমিনরা! তোমরা নবীর ওপর দরুদ পাঠাও ও সালাম পাঠাও"।(সূরা আহযাব-৫৬)

◾ অন্য নবীদের প্রতি সালামঃ আমাদের রাসূল ছাড়া অন্য নবী-রাসূূল ও ফেরেশতাদের ওপর সালাম পেশ করা মুস্তাহাব। আলেমদের ঐক্যমতে অন্যান্য নবীদের প্রতিও দরুদ পাঠ করা যাবে।

Address

Kushtia

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Islam is my Love posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Islam is my Love:

Share