Islam is my Love

Islam is my Love আসসালামু আলাইকুম,
حاسبون الله ونعمال وكيل
"হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল

👉 ১০টি জিকির পড়ুন মনে প্রশান্তি খুঁজে পাবেন 🌹
31/10/2025

👉 ১০টি জিকির পড়ুন মনে প্রশান্তি খুঁজে পাবেন 🌹

30/10/2025

দুরুদ শরীফ পড়ার অপার ফজিলত

চারটি বিষয় মাথায় রেখে দুরুদ শরীফ পড়ুন,
আপনার দুরুদের প্রতি আকর্ষণ বাড়তেই থাকবে ইনশাআল্লাহ।

১) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আপনার নাম জানেন!

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ওপর যখন আপনি দুরুদ পাঠ করেন, তখন একজন বিশেষ ফেরেশতা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে গিয়ে আপনার নাম উল্লেখ করে এই দুরুদের সংবাদ পৌঁছে দেন।

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:
"তোমরা যেখানেই থাকো না কেন, তোমাদের দুরুদ আমার কাছে পৌঁছায়।"
(সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ২০৪২; মুসনাদ আহমদ: ১০৫৯৪)

অন্য হাদিসে এসেছে,
"তোমাদের দুরুদ ফেরেশতারা আমার কাছে পৌঁছে দেয় এবং তোমাদের নাম উল্লেখ করে।"
(মুসনাদ আহমদ: ১৬৩০৩, সহিহ ইবনে হিব্বান: ৯১০, হাদিস সহিহ)

২) একবার দুরুদ পড়লে আল্লাহ দশগুণ রহমত বর্ষণ করেন!

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন:
"যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন, তার দশটি গুনাহ মাফ করে দেন এবং তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।"
(সুনান আন-নাসায়ি: ১২৯৭, সহিহ ইবনে হিব্বান: ৯০৮, সহিহ হাদিস)

আর আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন:
"নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরুদ পাঠ করেন। হে বিশ্বাসীগণ! তোমরাও নবীর প্রতি দরুদ পাঠ করো এবং যথাযথভাবে সালাম প্রেরণ করো।"
(সুরা আল-আহযাব: ৫৬)

৩) দুরুদ শরীফ সমস্যার সমাধান এনে দেয়

যে ব্যক্তি দুরুদ শরীফ বেশি বেশি পড়ে, আল্লাহ তার জীবনের সকল সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব নিয়ে নেন, এমনকি সে যদি আলাদাভাবে দোয়া নাও করে।

হাদিসে এসেছে,
"তোমাদের সমস্যার সমাধান ও গুমাহ মাফের জন্য দুরুদকে অধিক পরিমাণে নিজের উপর আবশ্যক করো।"
(সুনান আত-তিরমিজি: ২৩৮১, সহিহ হাদিস)

এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল:
"হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার দোয়ার একাংশকে আপনার জন্য দুরুদে নির্ধারণ করেছি।"
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন:
"তাহলে তোমার চিন্তা-ভাবনা থেকে দুঃখ-কষ্ট দূর করে দেওয়া হবে এবং তোমার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।"
(সুনান আত-তিরমিজি: ২৪৫৭, সহিহ হাদিস)

৪) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে জীবন উৎসর্গ করেছেন

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য কত কষ্ট সহ্য করেছেন! তাঁর সামনে তাঁর প্রিয় সাহাবীদেরকে নির্যাতন করা হয়েছে, তবুও তিনি উম্মতের জন্য দোয়া করেছেন।

কিয়ামতের দিনও তিনি আমাদের জন্য দোয়া করবেন:
"আমার উম্মত! আমার উম্মত!"
(সহিহ মুসলিম: ২০২, তিরমিজি: ২৪৪৩)

তিনি বলতেন:
"হে আল্লাহ! আমার উম্মতকে ক্ষমা করো, হে আল্লাহ! আমার উম্মতকে ক্ষমা করো।"
(সহিহ মুসলিম: ২৪৯)

অতিরিক্ত আমল: দুরুদের সাথে ইস্তেগফার ও দোয়া ইউনুস

দুরুদের পাশাপাশি বেশি বেশি ইস্তেগফার (আস্তাগফিরুল্লাহ) পড়লে এবং দোয়া ইউনুস (لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ) পাঠ করলে জীবন থেকে বিপদ দূর হয়।

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:
"যে ব্যক্তি দোয়া ইউনুস পড়বে, আল্লাহ তাকে সমস্ত সংকট থেকে মুক্তি দেবেন।"
(সুনান আত-তিরমিজি: ৩৫০৫, সহিহ হাদিস)

দুরুদ শরীফ শুধু একটি আমল নয়, এটি আমাদের জীবনের জন্য রহমত, সমস্যার সমাধান এবং জান্নাতের সুসংবাদ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি দুরুদ পড়ার তাওফিক দান করুন, আমিন!
আল্লাহুম্মা আমিন।🤲🤲

30/10/2025
হে নবি! আপনি বলে দিন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো,তাহলে আমার অনুসরণ করো,আল্লাহ‌ও তোমাদের ভালোবাসেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক...
29/10/2025

হে নবি! আপনি বলে দিন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো,তাহলে আমার অনুসরণ করো,আল্লাহ‌ও তোমাদের ভালোবাসেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

— সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ৩১

আর সাহায্য তো শুধুমাত্র আল্লাহর তরফ থেকেই হয়।(সুরা আন'আম : ১০)
28/10/2025

আর সাহায্য তো শুধুমাত্র আল্লাহর তরফ থেকেই হয়।
(সুরা আন'আম : ১০)

27/10/2025

🌿 ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত: হালাল উপার্জন
মানুষকে আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তার ইবাদতের জন্য—হালাল গ্রহণ এবং হারাম থেকে দূরে থাকার আদেশ দিয়ে। কিন্তু আজ আমরা অনেকেই ভুলে যাচ্ছি সেই নির্দেশনা। শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে হারামের দিকে ঝুঁকছি, অথচ ইবাদত করছি আল্লাহরই নামে!
আল্লাহ যখন বান্দাকে ভালোবাসেন—তাকে পরীক্ষা দেন। বিপদের মুহূর্তে আমরা কান্না করি, সজোরে দোয়া করি, সেজদায় পড়ে যাই। তারপরও দোয়া কবুল হয় না, ইবাদতে সাওয়াব আসে না—
কেন?
কারণ আমাদের উপার্জন হয়তো হালাল নয়।
যে জীবনে হারাম প্রবেশ করে—সেই দোয়া আসমানের দরজায় পৌঁছায় না।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন—
“হে ঈমানদাররা! তোমাদের আমি যে পবিত্র রিজিক দিয়েছি, তা থেকে আহার করো এবং আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হও।” (সুরা বাকারা : ১৭২)
আল্লাহ সব নবীকেও বলেছেন—
“হে রাসূলগণ! পবিত্র বস্তু ভক্ষণ করো এবং সৎকর্ম করো।” (সুরা মুমিনুন : ৫১)
রাসূল ﷺ সতর্ক করে বলেছেন—
“হারাম খাবার থেকে গঠিত দেহ জান্নাতে যাবে না। সেই দেহের আবাস জাহান্নাম।”
(ইবনে হিব্বান ১৭২৩, তিরমিজি ৬১৪)
🌟 ইসলামের সৌন্দর্য
ইসলাম সুদ হারাম করেছে—
কিন্তু দিয়েছে halal মুনাফার ব্যবসা।
ইসলাম যিনা হারাম করেছে—
কিন্তু দিয়েছে বিবাহের পবিত্র সম্পর্ক।
ইসলাম মাদক হারাম করেছে—
কিন্তু দিয়েছে সুস্থতা ও শান্তির হালাল পানীয়।
ইসলাম নোংরা খাবার হারাম করেছে—
কিন্তু দিয়েছে উত্তম খাদ্যের প্রশস্ততা।
💚 আল্লাহর করুণা সীমাহীন
তিনি কিছু পথ বন্ধ করেছেন—
অসীম পথ খুলে দিয়েছেন।
যা হারাম করেছেন—
তার চেয়েও উত্তম বিকল্প হালাল করেছেন।
কোরআনে তিনি বলেন—
“আল্লাহ চান তোমাদের ক্ষমা করতে…
তিনি চান তোমাদের ভার লাঘব করতে,
কারণ মানুষ দুর্বল।” (সুরা নিসা : ২৭-২৮)
📌 শেষ কথা
হালাল উপার্জন শুধু জীবিকা নয়—
এটাই ইবাদতের ভিত্তি, দোয়া কবুলের দরজা, জান্নাতের সোপান।
হালাল হবে—
তবেই ইবাদতে আসবে আলো,
তবেই দোয়া হবে কবুল,
তবেই মনের শান্তি হবে পূর্ণ। 🌸

রাতে যাদের ঘুম হয় না।চোখ ঝলসে দেওয়া প্রযুক্তি বিপ্লবের যুগে সবচেয়ে কমন যে রোগ মানুষের মাঝে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে তা হলো...
26/10/2025

রাতে যাদের ঘুম হয় না।

চোখ ঝলসে দেওয়া প্রযুক্তি বিপ্লবের যুগে সবচেয়ে কমন যে রোগ মানুষের মাঝে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে তা হলো—রাতে ঘুম না হওয়া।

সম্ভবত পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ মানুষ এই ‘ঘুম হয় না’ রোগে আক্রান্ত।

হতাশায় জর্জরিত হলে, চিন্তায় অস্থির থাকলে, জীবন নিয়ে ভীষণ দোটানায় নিপতিত হলে মানুষের চোখ থেকে ঘুম উধাও হয়। কিন্তু বর্তমান দুনিয়ায় চোখ থেকে ঘুম পালানোর বড় কারণ এসব নয়। এখন মানুষের যতোটাই না ‘ঘুম হয় না’, তারচেয়ে বেশি এখন মানুষ মূলত ‘ঘুমাতে চায় না।’

তবে, এই ‘ঘুমাতে না চাওয়া’ ব্যাপারটা ঐচ্ছিক কিছু নয়। কেউ যে ইচ্ছে করে ঘুমায় না তা কিন্তু বলা যাবে না। গড়ে প্রায় প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের হাতে থাকা একটা করে স্মার্টফোন আজকাল চোখ থেকে ঘুম উধাও হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ।

স্মার্টফোন আছে কিন্তু তাতে ফেইসবুক-ইউটিউব নেই—এমন ঘটনা রীতিমতো অসম্ভব!

ফেইসবুক ইউটিউবের এলগরিদম এমনভাবে সাজানো, তা খুব সহজেই একজন মানুষকে আটকে রাখতে পারঙ্গম। যেকেউ খুব সহজেই, অনেকটা নিজের অজান্তেই, এখানে পার করে দেয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। একটা ইস্যু চাঙা হলে সেটা নিয়ে একটা পোস্ট পড়ে, কিংবা একটা প্রতিক্রিয়া দেখে, অথবা কেবলমাত্র একটা ভিডিও দেখে কেউ নিজেকে নিবারণ করতে পারে না। তাকে দেখতে হয় অন্য অনেকের অভিমত, অন্য অনেকের প্রতিক্রিয়া। এই অভিমত-প্রতিক্রিয়া দেখার জন্যে তাকে ভার্চুয়ালে স্ক্রলের পর স্ক্রল করতে হয়।

এভাবে, একসাথে অনেক তথ্য মস্তিষ্কে ধারণের ফলে তার মস্তিষ্কের কার্যকলাপ তখন বহুগুণে বেড়ে যায় এবং তা নিয়ে মস্তিষ্ক ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মস্তিষ্কের এই ক্রিয়াকলাপের ফলে তার স্বাভাবিক যে ঘুমের সময় তাতে তখন ব্যাঘাত ঘটে। তথ্যগুলো মাথার মধ্যে কুটকুট করতে থাকায় তার চোখ থেকে ঘুম তখন তল্পিতল্পা নিয়ে বিদেয় হয়।

এছাড়াও, স্ক্রীন থেকে নির্গত হওয়া নীল আলো আমাদের চোখের ওপরে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। দীর্ঘক্ষণ স্ক্রীনে চোখ ডুবিয়ে রেখে ফেইসবুকিং কিংবা ইউটিউব স্ক্রলিংয়ের ফলে আমাদের চোখ থেকে স্বাভাবিক ঘুমের আবহ কমে যায় অনেকাংশে। মাথাব্যথা, উত্তেজনা, অস্থিরতা সহ নানান মানসিক রোগের কারণও স্ক্রীন থেকে নির্গত এই নীল আলো।

আমরা সঠিক সময়ে ঘুমাতে চাই ঠিকই, কিন্তু একইসাথে ভার্চুয়ালের নেশা ছাড়াটাও আমাদের পক্ষে ভীষণ দুরূহ। এজন্যেই ঘুমাতে না চাওয়াটা আমাদের ঐচ্ছিক রোগ নয়, এটা অভ্যাসগত একটা চর্চা এবং এই চর্চা ধীরে ধীরে আমাদের ওপরে ঝেঁকে বসেছে ভীষণভাবে।

এই ‘ঘুম হয় না’ রোগ সারাতে কেউ কেউ ঘুমের ওষুধ খায় হয়ত, কিংবা কেউ কেউ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্নও হয়—কীভাবে এই বদ-অভ্যাস দূর করা যাবে, কীভাবে সঠিক সময়ে ঘুমানো যাবে ইত্যাদি ব্যাপারে।

তবে, এই রোগের চিকিৎসা পেতে আপনি যদি ফুযাইল ইবন আয়ায রাহিমাহুল্লাহর শরণাপন্ন হোন, তিনি আপনাকে হাতে ধরিয়ে দেবেন একেবারে সহজ একটা প্রেসক্রিপশন। আশা করা যায়, সেই প্রেসক্রিপশন মেনে চলতে পারলে আপনার এই ‘ঘুম হয় না’ রোগ সম্পূর্ণভাবে সেরে যাবে, আল্লাহ চান তো।

তো, কী সেই প্রেসক্রিপশন?

তাঁর সুন্দর একটা নাসীহাহ আছে। তিনি বলেছেন—

‘ইস্তিগফারের চাইতে বিস্ময়কর এবং মনো-স্বস্তিদায়ক আর কোনোকিছুই আমি খুঁজে পাইনি। এমনকি, কেউ যদি বলে রাতে তার ঘুম হয় না, সে যদি নিবিষ্টমনে ইস্তিগফার করতে থাকে, তাহলে শয়তানও চায় যে সে জেগে না থেকে বরং ঘুমিয়ে পড়ুক। কারণ—জেগে থাকলে সে ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিজের গুনাহ কমিয়ে নিচ্ছে, এবং নেকির দ্বারা ভারি করে নিচ্ছে তার আমলনামা। তার চাইতে, ওই ব্যক্তির ঘুমিয়ে পড়াটাকেই শয়তান অধিক পছন্দ করে এবং তাকে (ঘুমিয়ে পড়ার ব্যাপারে) সহযোগিতা করে।’

এই প্রেসক্রিপশন খুবই সহজ এবং সবিশেষ কার্যকরী। রাতে আমরা যারা ঘুমাতে পারি না, হোক তা ভার্চুয়ালের নীল জগতে অবিরাম বিচরণ অথবা বিভিন্ন খোশালাপ, অহেতুক আড্ডাবাজির কারণে, আমরা যদি ফুযাইল ইবন আয়ায রাহিমাহুল্লাহর এই নাসীহাহটা মেনে চলতে পারি, আমাদের ‘ঘুম আসে না’ রোগ অচিরেই সেরে যাবে বলে আশা করা যায়, ইন শা আল্লাহ।

তাহলে আমাদের কাজ কী?

রাতের বেলা ঘুমানোর নির্দিষ্ট সময়গুলোতে যখন আমাদের চোখ থেকে ঘুম পালায়, আমরা যখন এপাশ-ওপাশ ফিরে ফেইসবুক আর ইউটিউব স্ক্রল করি, তখন যদি নিবিষ্টমনে, ধীর-চিত্তে আমরা ইস্তিগফার পাঠ করি, চোখজোড়া বুজে যদি আমরা গভীর মনোযোগের সাথে বলতে থাকি ‘আসতাগফিরুল্লাহ আসতাগফিরুল্লাহ’, তখন ম্যাজিকের মতো আমাদের চোখে ঘুম নামবে, ইন শা আল্লাহ।

শয়তান তখন চাইবেই না যে আপনি জেগে থাকুন। জেগে থাকলে আপনি যিকিরে থাকছেন। আর, আপনি আল্লাহর স্মরণে মশগুল আছেন—এমন দৃশ্য শয়তানের জন্য বড়োই কষ্টের‍।
#সংগৃহীত

মা-বাবার জন্য যেভাবে দোয়া করা উচিতইসলামে মা-বাবাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে আর তোমার রব আদে...
25/10/2025

মা-বাবার জন্য যেভাবে দোয়া করা উচিত
ইসলামে মা-বাবাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে আর তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদাত করবে না এবং মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার কাছে বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। আর তাদের সঙ্গে সম্মানজনক কথা বলো। (বনি ইসরাইল: ২৩)
মা-বাবার জন্য দোয়া করা আমাদের অন্যতম বড় দায়িত্ব এবং তাদের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি সুন্দর উপায়।

নিচে মা-বাবার জন্য দোয়ার কিছু আদর্শ পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো:

নবীজি মা-বাবার জন্য যে দোয়া করবেন, সেটাও শিখিয়ে দিয়েছেন। দোয়াটি হলো:
رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا (উচ্চারণ: রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।)


অর্থ: (হে আমাদের) পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি দয়া কর; যেভাবে তারা আমাকে শৈশবে লালন-পালন করেছেন।

যাদের মা-বাবা মৃত্যু বরণ করেছেন, তাদের জন্যও রসুল সা. দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। দোয়াটি হলো:
رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ يَوۡمَ يَقُومُ ٱلۡحِسَابُ (উচ্চারণ: রাব্বানাগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া, ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াক্বুমুল হিসাব।)
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! রোজ কেয়ামতে আমাকে, আমার মা-বাবা ও সব মুমিনকে ক্ষমা করুন।
আরেকটি দোয়া হলো:
رَّبِّ ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيۡتِيَ مُؤۡمِنٗا وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِۖ وَلَا تَزِدِ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا تَبَارَۢا (উচ্চারণ: রাব্বিগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া, ওয়া লিমান দাখালা বাইতিয়া মু’মিনাও ওয়ালিল মু’মিনিনা ওয়াল মু’মিনাত। ওয়ালা তাজিদিজ জা-লিমিনা ইল্লা তাবারা।)

অর্থ: হে আমার রব! আমাকে, আমার মা-বাবাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষদের ক্ষমা করুন এবং আপনি জালিমদের ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না।

আর তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা উচিত যারা সৎকর্মের দিকে আহ্বান করবে, সৎকর্মের আদেশ দেবে এবং অসৎকর্ম থেকে নিষেধ করবে।আর...
24/10/2025

আর তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা উচিত যারা সৎকর্মের দিকে আহ্বান করবে, সৎকর্মের আদেশ দেবে এবং অসৎকর্ম থেকে নিষেধ করবে।
আর তারাই সফলকাম।
সূরা আলে ইমরান - ১০৪

রিজিক আল্লাহর তাআলার অনন্য নেয়ামত। রিজিক শুধু অর্থকড়ি কিংবা খাওয়া-দাওয়া নয়। ঈমান-আমল, ইলম ও নেককার স্ত্রী-সন্তানসহ মানুষ...
23/10/2025

রিজিক আল্লাহর তাআলার অনন্য নেয়ামত। রিজিক শুধু অর্থকড়ি কিংবা খাওয়া-দাওয়া নয়। ঈমান-আমল, ইলম ও নেককার স্ত্রী-সন্তানসহ মানুষের সামগ্রিক জীবনের বৈধ সব উপায়-উপকরণই রিজিকের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তাআলা সবাইকে রিজিক দান করেন। কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ হলেন তিনি, যিনি রিজিকদাতা এবং মহাশক্তিধর ও মহাপরাক্রমশালী।’ (সুরা জারিয়াত: ৫৮)

মুসলিম অমুসলিম সবাইকে তিনি রিজিক দান করেন। অমুসলিমদের জন্য দুনিয়াতে রিজিকের পরিমাণ বেশি রাখা হয়েছে। এ সম্পর্কে কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘পার্থিব জীবনের ওপর কাফেরদের উন্মত্ত করে দেওয়া হয়েছে। আর তারা ইমানদারদের প্রতি লক্ষ করে হাসাহাসি করে। পক্ষান্তরে যারা পরহেজগার তারা সেই কাফেরদের তুলনায় কেয়ামতের দিন অত্যন্ত উচ্চমর্যাদায় থাকবে। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সীমাহীন রুজি দান করেন।’ (সুরা বাকারা: ২১২)

রিজিক আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই। তিনি এদের স্থায়ী ও অস্থায়ী অবস্থিতি সম্বন্ধে অবহিত; সুস্পষ্ট কিতাবে (জীবনধারণের) সব কিছুই লিপিবদ্ধ আছে।’ (সুরা হুদ: ৬)

পবিত্র কোরআনের ঘোষণা- রিজিকের ব্যবস্থা হয় আসমান থেকে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আকাশে আছে তোমাদের রিজিক ও প্রতিশ্রুত সবকিছু।’ (সুরা জারিয়াত: ২২)

রিজিক সমভাবে বণ্টন না হওয়ার কারণ হিসেবে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি আল্লাহ তাঁর সব বান্দাকে প্রচুর রিজিক দিতেন, তাহলে তারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করত। কিন্তু তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছা, সেই পরিমাণ (রিজিক) অবতীর্ণ করেন।’ (সুরা শুরা: ২৭)

পরীক্ষার জন্যও আল্লাহ কাউকে কম রিজিক দেন, আবার কাউকে বেশি। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তাদের বিভিন্ন শ্রেণিকে পার্থিব জীবনের সৌন্দর্যস্বরূপ উপভোগের উপকরণ হিসেবে দিয়েছি, এর মাধ্যমে তাদের পরীক্ষা করার জন্য। তোমার রবের রিজিক উৎকৃষ্ট ও অধিক স্থায়ী।’ (সুরা ত্বহা: ১৩১)

আবার কিছু পাপের কারণে আল্লাহ তাআলা বান্দার রিজিকের বরকত কমিয়ে দেন অথবা রিজিক সঙ্কুচিত হয়ে যায়। আবার কিছু আমলের কারণে রিজিকের দরজা উম্মুক্ত হয়ে যায় বা রিজিকে প্রচুর বরকত লাভ হয়।

জীবন চলার পথে নানা রকম বাধা-বিপত্তি আসবেই...তাকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। প্রত্যেকের জীবনেই ভালো-মন্...
22/10/2025

জীবন চলার পথে নানা রকম বাধা-বিপত্তি আসবেই...
তাকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। প্রত্যেকের জীবনেই ভালো-মন্দ দিন মিলেমিশে আসে। তবুও আশা হারানো যাবে না; আল্লাহর প্রতি অটল বিশ্বাস রাখতে হবে। ধৈর্য হারিয়ে ফেলা যাবে না। বুঝতে হবে, হয়তো এই মুহূর্তে সময়টা কঠিন যাচ্ছে, আল্লাহ আপনাকে পরীক্ষা নিচ্ছেন। কিন্তু এর বিনিময়ে তিনি আপনাকে এমন এমন নেয়ামত দান করবেন, যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।

কঠিন সময়ে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখুন, ধৈর্য ধরুন।

আপনি জানেন তো, আল্লাহ বলেছেন:
“নিশ্চয়ই কষ্টের পরেই রয়েছে স্বস্তি।”
সূরা ইনশিরাহ আয়াত: ৬

আলহামদুলিল্লাহ, একদম তাই। ধৈর্যশীল মানুষ সর্বদা বিজয়ী হয়।

কখনো অভিযোগ করবেন না— “আমার দোয়া কবুল হচ্ছে না, আমার সাথেই কেন এমন হচ্ছে?” — এভাবে নয়।

রব তার বান্দার জন্য সর্বদা উত্তমটিই চান। তিনি ভালো করেই জানেন কোন জিনিস আপনার জন্য কল্যাণকর, কোন জিনিস আপনার জীবনে নেয়ামত, আর কোন জিনিসের প্রয়োজন কখন। সঠিক সময়ে তিনি আপনাকে তা প্রদান করবেন।

তাই জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তাঁর দেওয়া নেয়ামতের প্রশংসা করুন। তিনি আপনাকে অগণিত নেয়ামত দান করেছেন। তার জন্য শুকরিয়া আদায় করেও শেষ করতে পারবেন না। সুতরাং জীবনের জন্য কখনো আফসোস করবেন না।

জীবনে যা-ই ঘটুক না কেন, সর্বদা দোয়া করুন, দোয়া করুন আর দোয়া করুন তাঁর নিকট।
ইন শা আল্লাহ, আপনি হবেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।

~ জান্নাতুল সাদিয়া

Address

Kushtia
7000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Islam is my Love posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Islam is my Love:

Share