11/02/2025
আমার বন্ধু সজীব ইদানীং মেসেন্জারে একটু বেশিই ভুজুংভাজুং করছে। মাঝে মাঝে রাত দু'টোর সময়ও দেখি কম্বলের মধ্যে থেকে ফিসফিস আওয়াজ আসে। ওয়াশরুমে গেলে ফোন সাথে নিয়ে যায়। ভিতর থেকে হাসির শব্দ শোনা যায়। দুই-তিন ঘন্টার কমে বের হয় না। ওর আচরণেও কেমন জানি অস্বাভাবিকতা। মনে হচ্ছে আমার কাছে কিছু লুকোচ্ছে।
আজ ক্লাস থেকে বেরিয়ে দেখি সজীব মোট একুশবার ফোন দিয়েছে। ওকে ফোন ব্যাক দিলাম। ওপাশে কেমন জানি অস্থিরতা। মনে হচ্ছে হাঁপাচ্ছে।
— এতবার ফোন দিয়েছিস কেন?
— তোর ফোন ধরতে এতক্ষণ লাগে!? যাহোক, আমার ফার্স্ট সেমিস্টারের শিটগুলো কোথায় রে?
— কী করবি ওগুলো?
— দরকার আছে।
— সরি, তোকে তো বলা হয়নি! আমি ওগুলো ছিঁড়ে রোজ বাসের সিট ধরতাম।
এই কথা বলার সাথে সাথে সজীব ফোন কেটে দিল। তারপর থেকে ওর ফোন বন্ধ। ফেসবুকেও দেখছি ব্লক করেছে।
রুমে ফিরেই দেখি ও উপুড় হয়ে শুয়ে আছে। চোখে-মুখে হতাশার ছোঁয়া। আমি ডাকলাম, কোনো কথা বলল না। ভাবলাম শরীর খারাপ করেছে হয়তো। মাথায় হাত দিয়ে দেখলাম জ্বর নেই। সবকিছু একদম ঠিক ঠাক। শিয়রের পড়ে থাকা মোবাইলের স্ক্রিনে এখনো আলো জ্বলছে। দেখলাম সাদিয়া নামের জুনিয়র সুন্দরী মেয়েটা ওকে দীর্ঘ মেসেজ দিয়েছে। লিখেছে,“ইমন ভাইয়া আজকে আমাকে তার সব শিটগুলো দিয়ে গেছে। আপনাকে আর আমার প্রয়োজন নেই। ভাইয়া বলেছেন, কাল থেকে তিনি আমার এক্সট্রা ক্লাস নেবেন। ইমন ভাইয়া না বললে জানতেই পারতাম না আপনি মিথ্যুক। শিট দেওয়ার নামে জুনিয়র মেয়েদের ইনবক্সে পড়ে থাকেন।" এটা বলার পর দেখলাম সাদিয়া তাকে ব্লক দিয়েছে। কিছুক্ষণ পর ফেসবুকে ঢুকে দেখি সাদিয়া ইমনকে ট্যাগ করে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার ছবি পোস্ট করে লিখেছে, ”প্রিয় ভাইয়া!"
প্রিয় ভাইয়া
— অ্যাডমিন