23/02/2025
ন তে নবাব, ন তে নায়ক আর ন তে নাঈম। হ্যাঁ দর্শক বলিউডে যেমন নবাব পরিবারের সন্তান নায়ক সাইফ আলী খান, তেমনই আমাদের দেশের নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় নায়ক নাঈম ও নবাব পরিবারের। ঢাকায় বেড়ে উঠা এ নবাব বংশধর কিভাবে চলচ্চিত্র জগতের নায়ক হয়ে উঠলেন চলুন জেনে নিই।
নাঈমের বাবা খাজা মুরাদ হচ্ছেন ঢাকার নবাব পরিবারের খাজা সলিমুল্লাহর নাতি। নাঈমের মায়ের পরিবার ও ছিল নবাব পরিবারের। টাঙ্গাইলের করোটিয়া জমিদার বাড়ির কন্যা ছিলেন তিনি। জনপ্রিয় পপ গায়িকা সাবা তানি নাঈমের মায়ের দিক থেকে বোন হয়৷ নবাব পরিবারের আভিজাত্যের মধ্য দিয়েও ছোটবেলা থেকেই গান বাজনার প্রতি ঝোঁক ছিল নাঈমের। এমনকি নাঈমের বাবাও খুব ভালো বাঁশি বাজাতেন। নিলয় ও শেখ ইশতিয়াকের সঙ্গে একসাথে গিটার শিখতেন নাঈম। তার বোন জেবা মুরাদ ও একজন লেখক এবং ফটোগ্রাফার। আশির দশকে ১৬ বছর বয়সেই শুভ্র দেব ও সাবা তানির মিউজিক ভিডিও “চলো না ঘুরে আসি’ গানে মডেল হন নাঈম। সঙ্গে করেছেন সানস্লিক ও বাটার বিজ্ঞাপন।।
নব্বইয়ের গোড়ার দশক চলচ্চিত্রের ক্যাপ্টেন খ্যাত বিখ্যাত পরিচালক এহতেশাম নতুনদের নিয়ে ছবি নির্মানের চিন্তা করছিলেন। কিন্তু নতুন মুখ পান কোথায়। খোঁজ নিতে নিতে দেখা পান নাঈমের, কিন্তু নাঈমের ছিল গানের প্রতি ঝোঁক। অবশেষে এহতেশাম তাকে রাজি করান, সঙ্গে নায়িকা নবাগতা শাবনাজ। এভাবেই শুরু ‘'চাঁদনী” ছবির কাজ। ১৯৯১ সালে মুক্তির পর যে ছবি পুরো বাংলাদেশে হৈ চৈ ফেলে দেয়। চাঁদনী তখন শুধু নিছকই বছরের সেরা ব্যবসাসফল ছবি নয়, নাঈম আর শাবনাজের আগমনের ফলে নতুনদের নিয়ে ছবি বানানোর হিড়িক পড়ে যার সুবাদে আমরা পাই ওমর সানী, সালমান শাহ, মৌসুমী, শাবনূর,সাব্বির, আমিন খান, রিয়াজ, শাকিল, পপি, শাকিব খানদের। এই জন্য নাঈমকে নব্বইয়ের দশকের নায়কদের অগ্রদূত বলা হয়।