18/08/2023
🔴মৃত মানুষের পক্ষ থেকে ৪ দিনে কুলখানি ৪০ শা বা যে
কোন দিন মানুষ জড়ো করে খাওয়ানো বিদাত।
🎙️দেলোয়ার হোসাইন সাইদি।
🔴একটি ভুল রসম
দাফনের পরপর মৃতের বাড়িতে খাবারের আয়োজন করা বা তার নামে কনো মিলাদের আয়জন করা কী?
কোনো কোনো এলাকায় প্রচলন আছে, মৃতের বাড়িতে খাবারের আয়োজন করা হয় এবং জানাযার পর এলান করা হয় যে, খাবার না খেয়ে কেউ যাবেন না।
এটিও একটি ভুল রসম ও বিদআত। দাওয়াতের আয়োজন তো করা হয় কোনো আনন্দ-উৎসবের সময়, কোনো বেদনার মুহূর্তে নয়। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নত তো হল মৃতের পরিবার-পরিজনদের জন্য প্রতিবেশীর পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা। প্রশ্নোক্ত কাজটি এর সম্পূর্ণ উল্টো ও বিপরীত। তাই অবশ্যই এ থেকে বিরত থাকতে হবে।
সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকেই এটিকে নিষিদ্ধ ও মন্দ কাজ বলে গণ্য করা হত। হযরত জাবির বিন আবদুল্লাহ রা. বলেন-
كُنّا نَعُدّ الِاجْتِمَاعَ إِلَى أَهْلِ الْمَيِّتِ وَصَنِيعَةَ الطّعَامِ بَعْدَ دَفْنِهِ مِنَ النِّيَاحَةِ.
আমরা মৃতের দাফনকার্য শেষ হওয়ার পর তার বাড়িতে একত্রিত হওয়া এবং (আগতদের জন্য) খাবারের আয়োজন করাকে নিয়াহা (নিষিদ্ধ পন্থায় শোক পালন)-এর অন্তর্ভুক্ত গণ্য করতাম। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৬৯০৫
মৃত ব্যক্তির বাড়ীতে আত্মীয়-স্বজনের আপ্যায়নের জন্য রান্না-বান্না করা যাবে না। বরং প্রতিবেশীরা বা আত্মীয়-স্বজন উক্ত পরিবারের জন্য রান্না করে খাওয়াবে। মুতার যুদ্ধে জা‘ফর বিন আবু তালেব (রাঃ)-এর মৃত্যু খবর আসলে রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমরা জা‘ফরের পরিবারের জন্য খাদ্য তৈরী কর। কারণ তার পরিবার এখন শোকে কাতর (তিরমিযী, মিশকাত হা/১৭৩৯, ১৭৪৩)। প্রত্যেক মুসলিম সমাজে এ সুন্নাতী আমল জারী রাখা অবশ্য কর্তব্য। উল্লেখ্য যে, সমাজে মৃতব্যক্তির জানাযায় আগত সকলকে খাওয়ানোর রীতি চালু আছে, যা সুন্নাত পরিপন্থী। অতএব তা পরিত্যাজ্য
🔴মৃতের পক্ষ থেকে দান করুন ।মসযিদ মাদরাসায় দান করা বেশি ভাল এতে যতদিন মসযিদ মাদরাসা থাকবে ততদিন মৃতলোক দানের নেকি পেতে থাকবে ।মিলাদ, চল্লিশা, কুলখানি, কালেমা খতম, কুরআন খতম করে শুধু টাকাই নষ্ট করা হবে মৃত লোকও কোনো নেকি পাবেনা আপনারও নেকি হবে না বরং বিদাত হবে কারণ নবি সাঃ তার সন্তান মারা গেলে বা ওয়াইফ মারা গেলে মিলাদ চল্লিশা কুলখানি এসব কিছুই করেননি তাই সুন্নাহতে যা আছে এর বাইরে কিছু করলে নবি সাঃ কে অপমান করা হবে ।*যে ব্যক্তি বিদআতী আমল করবে সে যত বড়
হুজুর বা মুফতি বা আলেম ই হোন না কেন তার
সম্পর্কে রাসুল (সা:) বলেন,
ﻣَﻦْ ﻋَﻤِﻞَ ﻋَﻤَﻠًﺎ ﻟَﻴْﺲَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﻣْﺮُﻧَﺎ ﻓَﻬُﻮَ ﺭَﺩٌّ
অর্থঃ যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করবে, যার
মধ্যে আমাদের আদেশ নেই, তা আমলকারীর
উপর প্রত্যাখ্যাত হবে। – সহিহ বুখারী ও মুসলিম
🔴🔴 পিতামাতা মারা যাওয়ার পর তাদের আত্মার কল্যাণের জন্য কি কি করা যায়? তাদের জন্য নিম্নলিখিত কাজগুলো করা যায়ঃ-
(১) তাদের জন্য দুয়া করা যায়। রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, “যখন কোন মানুষ মারা যায়, তখন তার কর্ম বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি জিনিস নয়; (ক) সাদকাহ জারিয়াহ, (খ) যে বিদ্যা দ্বারা উপকার পাওয়া যায় অথবা (গ) নেক সন্তান, যে তার জন্য দুয়া করে।” (মুসলিম)
(২) দান খয়রাত করা। এক ব্যক্তি নবী (সঃ) কে বলল, ‘আমার মা হঠাৎ মারা গেছে। আমার ধারনা যে, সে কথা বলার সুযোগ পেলে সাদকাহ করত। সুতরাং আমি যদি তার পক্ষ থেকে সাদকাহ করি, তাহলে কি সে নেকি পাবে?’ তিনি বললেন, “হ্যাঁ।” (বুখারি ও মুসলিম)
আল্লাহর রাসুল (সঃ) বলেছেন, “মুমিনের মৃত্যুর পর তার আমল ও পুন্যকর্মসমুহ হতে নিশ্চিতভাবে যা এসে তার সাথে মিলিত হয়, তা হল; সেই ইলম, যা সে শিক্ষা করে প্রচার করেছে অথবা নেক সন্তান, যাকে রেখে সে মারা গেছে, অথবা কুরআন শরীফ, যা সে মিরাসরূপে ছেড়ে গেছে, অথবা মসজিদ, যা সে নিজে নির্মাণ করে গেছে, অথবা মুসাফিরখানা, যা সে মুসাফিরদের সুবিধার্থে নির্মাণ করে গেছে, অথবা পানির নালা যা সে (সেচ ইত্যাদির উদ্দেশ্যে) প্রবাহিত করে গেছে, অথবা সাদকাহ, যা সে নিজের মাল থেকে তার সুস্থ ও জীবিতাবস্থায় বের (দান) করে গেছে। এসব কর্মের সওয়াব তার মৃত্যুর পরও তার সাথে এসে মিলিত হবে।” (ইবনে মাজাহ, বাইহাকি, ইবনে খুজাইমাহ ভিন্ন শব্দে, সহিহ তারগিব ১০৭ নং
মৃত ব্যক্তির জন্য ৩ বা ৪০ দিন পর খাওয়ার অনুষ্ঠান করা কি জায়েজ ? মৃত ব্যক্তির জন্য আমাদের করনীয় কি ?আমাদের দেশে মানুষ...