Islamic Tv

Islamic Tv اِقۡرَاۡ بِاسۡمِ رَبِّکَ الَّذِیۡ خَلَقَ ۚ
তুমি পাঠ কর তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।
Read! In the Name of your Lord, Who has created (all that exists),

ভুল চিকিৎসার ছড়াছড়ি: রোগীরা এসে বলে নাকে পলিপাস হয়েছে। অথচ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১০০ জনের মধ্যে ২/১ জনের নাকে পলিপ হয়...
17/10/2025

ভুল চিকিৎসার ছড়াছড়ি:
রোগীরা এসে বলে নাকে পলিপাস হয়েছে। অথচ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১০০ জনের মধ্যে ২/১ জনের নাকে পলিপ হয়তো পাওয়া যায় বাকি সব টারবিনেট এনলার্জমেন্ট । কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বুঝে না বুঝে এই টারবিনেট কে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে । অথচ টারবিনেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টিস্যু যা বাতাসকে উষ্ণ এবং আদ্র করে ফুসফুসে পাঠাতে সাহায্য করে।

আসুন, পলিপ ও টারবিনেটের পার্থক্য জেনে নিই।

#পলিপ এবং #টারবিনেট দুটি ভিন্ন জিনিস, যদিও উভয়ই নাকের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। পলিপ হলো শ্লেষ্মা ঝিল্লি থেকে গঠিত একটি অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড, যা প্রায়শই প্রদাহের কারণে হয়। অন্যদিকে, টারবিনেট হলো নাকের ভেতরের স্বাভাবিক গঠন যা বাতাসকে উষ্ণ এবং আর্দ্র করতে সাহায্য করে, কিন্তু এটি অ্যালার্জি বা প্রদাহের কারণে ফুলে যেতে পারে।

#নাকের_পলিপ:
সংজ্ঞা: নাকের ভেতরের শ্লেষ্মা ঝিল্লি থেকে সৃষ্ট এক ধরনের অস্বাভাবিক ও নরম মাংসপিণ্ড।

কারণ: সাধারণত সাইনাস বা নাকে প্রদাহের কারণে এটি তৈরি হয়।

লক্ষণ: নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে ঘন সর্দি পড়া, গন্ধ কমে যাওয়া, মুখের চাপ অনুভব করা এবং বারবার সাইনোসাইটিস হওয়া।

আকৃতি: এটি ঝুলে থাকা, নরম এবং সাধারণত বেদনাদায়ক নয়।

ক্যান্সারের ঝুঁকি: নাকের পলিপ সাধারণত ক্ষতিকর নয।

#টারবিনেট
সংজ্ঞা: নাকের ভেতরের দেওয়ালে থাকা স্বাভাবিক টিস্যু, যা বাতাসকে উষ্ণ এবং আর্দ্র করে ফুসফুসে পাঠাতে সাহায্য করে।

কারণ: অ্যালার্জি, সাইনোসাইটিস বা ধুলোবালির কারণে এটি ফুলে যেতে পারে (টারবিনেট হাইপারট্রফি)।

লক্ষণ: নাকের ভেতর বড় হয়ে যাওয়ায় শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।

আকৃতি: এটি নরম এবং প্রোব দিয়ে খোঁচা দিলে সংকুচিত হয়। এটি পলিপের মতো ঝুলে থাকে না। এটি আবহাওয়ার সাথে ছোট বড় হয় এবং নিজে নিজে ঠিক হয়ে যায়। কখনো কখনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

07/10/2025

ছবিতে যাকে দেখছেন তিনি আগ্রাবাদ সিডিএ বায়তুল আমিন জামে মসজিদের দীর্ঘদিনের খতিব এবং ইমাম।ছোট একটা বাচ্চা কুকুর আঁচড় দিয়েছিলো।আঁচড় টা নরমাল ছিলো তাই তিনি এতোটা পাত্তা দেয় নাই বিষয় টা।রেবিস হওয়ার পর ডাক্তারা ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছিলো কিন্তু তিনি তার আগেই মারা গেছেন।তার মৃত্যু আমি সরাসরি দেখেছি কি ভয়ানক মৃত্যু।রেবিস রোগী মৃত্যুর আগে পাগলের মত আচরণ করে তখন ডাক্তাররা বুজে যায়।।সে দিন এই ইমাম সাহেব যখন শেষ পর্যায়ে তখন দেখলাম নার্স রা রুম থেকে সবাইকে বের করে দিয়েছে,আর রুম কে তালা মেরে দিয়েছে,কারন শেষ মুহূর্তে তারা পাগল হয়ে যায় সামনে যাকে পাবে তাকে কামড় বা আঁচড় দিবে,এই রোগী যাকে কামড় দিবে তারও মৃত্যু ১০০০% নিশ্চিত হয়ে যাবে।।দরজা তালা মেরে দেওয়ার পর বাঁচার জন্য কি করলো,কত চাইলো রুম থেকে বের হতে,রুমের ভিতর দৌড়া,দৌড়ি করতে লাগলো আর শুধু ধাক্কা খাচ্ছিলো দেওয়াল আর চৌকির সাথে,এটা দেখে তাদের আত্নীয়রা নার্সদের থেকে অনুমতি চাইলো দরজা খুলে তাকে একটু ধরে রাখবে যাথে ধাক্কা না খাই।কিন্তু নার্সরা অনুমতি দিলো না,তারা বললো তিনি আর ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে মারা যাবে অপেক্ষা করুন,ওনার জন্য তো আমরা আপনাদের মৃত্যুর মুখে ফেলে দিতে পারি না।একটা দেশি মুরগী জবাই দেওয়ার পর মুরগী যেভাবে চটপট চটপট করে মৃত্যু হয় জলাতঙ্ক রোগীর মৃত্যু একদম সেম ভাবে হয়।।।
১৪০০শ বছর আগে আমাদের প্রিয় নবী বলে গিয়েছেন কুকুর নাপাক প্রানী।।১৪০০ বছর পর মেডিকেল সায়েন্স বলছে জলাতঙ্ক ভেকসিন করা নাই ঐ ধরনের কুকুরকে আপনি হাত দিয়ে স্পর্শ করলে আপনারও হয়ে যেথে পারে জলাতঙ্ক,কুকুর স্পর্শ করে আমরা যদি আমাদের শরীর চুলকায় বা আমাকের শরীরের কোন ক্ষত স্থানে সে হাত লেগে যায় তাহলেও রিক্স থাকে জলাতঙ্কের,রেবিস ভাইরাস রক্তের মাধ্যম আমাদের শরীরে প্রবেশ করে না,রেবিস ভাইরাস আমাদের চামড়ার নিচে যে সাদা একটা চর্বির আস্তর থাকে সেই চর্বি থেকে মাথায় চলে যায়,প্রথমে আমাদের ব্রেন আক্রমন করে ব্রেন ইনজুরি করে দেয়,পরে আস্তে আস্তে আমাদের গলাতে নামতে শুরু করে,আমাদের গলার যে নার্ভ থাকে সে নার্ভকে ধ্বংস করে দেয়,গলার নার্ভের মাধ্যমে আমরা পানি খেয়ে থাকি বা অন্যন্য খাবার খেয়ে থাকি।নার্ভ যখন পুরাপুরি বিকল হয়ে যায় তখন এই রোগী গলা দিয়ে কোন পানি বা খাবার খেতে পারবে না,গলাতে কিছু গেলেই তার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে কারন যেই নার্ভ খাবার গিলতে সাহায্য করে তা আর কাজ করছে না,তাই সে পানির পিপাসায় একটা সময় মারা যায়।।তারা পানি দেখলেই ভয় পাই কারন পানি গলায় গেলে সে আর শ্বাস নিতে পারে না, যদি আপনি জলাতঙ্ক ভেকসিন না নিয়ে থাকেন।আমাদের একটা ভুল ধারনা আছে,আমরা মনে করি কুকুর কামড়ালে বা আছড় দিলে রেবিস ভেকসিন দিতে হয়,মেডিকেল সায়েন্স বলছে,কুকুরের লালা তে সবচেয়ে বেশি জলাতঙ্ক ভাইরাস রেবিস থাকে,কুকুর তার জিহবা দিয়ে তার শরীল চাটে,এই চাটার কারনে কুকুরের পুরা শরীলে রেবিস জীবানু থাকার রিক্স থাকে মনে রাখবেন যদি দেখেন কুকুরের শরীল পানি ধারা ভেজা সে ভেজা কুরুর আপনার হাত স্পর্শ হয় বা পায়ে স্পর্শ হয় তাহলে সাথে সাথে এই স্থান কাপড় কাঁচা সাবান নিয়ে ১৫ মিনিট ওয়াশ করবেন।।তাই সকলে কুকুর থেকে সাবধানে থাকবেন।কুকুর আপনার শরীল স্পর্শ করলে সাথে সাথে ১৫ মিনিট কাপড়কাচার সাবান দিয়ে পরিষ্কার করবেন। তারপর বেরিস ভেকসিন দিয়ে দিবেন,আর রেবিস ভেকসিন কখনো সরকারি মেডিকেল ছাড়া অন্য যায়গায় দিবেন না,যে কোন টিকা সরকারি মেডিকেল ছাড়া অন্য যায়গায় দিবেন না,আমরা অনেকে ফার্মেসিতে ভেকসিন বা টিকা দিয়ে থাকি এটা উচিত না,একজন ফার্মেসির কাজ ঔষধ বিক্রি করা টিকা দেওয়া না,ভেকসিন দেওয়ার নিয়মই তারা জানে না,,রেভিস ভেকসিন নিদিষ্ট তাপমাত্রায় রাখা লাগে না হয় সেই ভেকসিন কাজ করবে না ,।মেডিকেল সায়েন্স বলছে ৯৯ % জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায় কুকুর।।বিড়ালেরও জলাতঙ্ক হয় যদি সেই বিড়াল কুকুরের কামড় খায় বা কুকুর যে যায়গায় খাবার খাই একই যায়গায় বিড়াল মুখ দেয় তাহলে সে বিড়ালও জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়।তাই বিড়ালের কামড় বা বিড়ালের আচড় বা বিড়াল আপনার পা চেটে দিয়েছে তাহলেও আপনাকে ভেকসিন দিতে হবে।একবার আপনার শরীলে রেবিস ভাইরাস ঢুকে গেলে নিশ্চিত মৃত্যু, কারন জলাতঙ্ক রোগের কোন চিকিৎসা নাই।আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুক।।। জলাতঙ্ক রোগীর মৃত্যু হয় অনেক কষ্টদায়ক ভাবে।।২/৩ টা জলাতঙ্ক রোগীর মৃত্যু নিজ চোখে দেখার পর আমি শপথ নিয়েছি এই বিষয়ে আমি সবাইকে সতর্ক করবো।।
আমার পোষ্টটা সবাই শেয়ার করবেন যাথে সবাই একটু সতর্ক হয়।রেবিস ভেকসিন সকল টপিক্যাল সরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ ফ্রিতে দেওয়া হয়।কেউ যদি কখনো কুকুরের আক্রমণে আক্রান্ত হন আমার সাথে যোগাযোগ করবেন,ইনশাআল্লাহ আমি আমৃত্যু সবাইকে সাহায্য করবো,আমি চাইনা এই করুণ মৃত্যু আর কোন ব্যক্তির হোক।।কুকুরের আক্রমণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভেকসিন দিতেই হবে।আপনারা ইউটিউবে জলাতঙ্ক রোগী দিয়ে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন এই রোগ কতটা ভয়াবহ।আমরা রাস্তার কুকুরকে পাত্তাই দি না সবাই দয়া করে একটু সচেতন হয়।।।
(সংগৃহিত-মোশাররফ হোসাইন মামুনের টাইম লাইন থেকে)

রোগ যাই হোক নিচের লক্ষণ গুলো পেলে আমরা নাইট্রিক এসিড এপ্লাই করলে রোগী অবশ্যই সম্পূর্ণ সুস্থ হবে ইনশাআল্লাহ। ১/ অতিশয় শার...
06/10/2025

রোগ যাই হোক নিচের লক্ষণ গুলো পেলে আমরা নাইট্রিক এসিড এপ্লাই করলে রোগী অবশ্যই সম্পূর্ণ সুস্থ হবে ইনশাআল্লাহ।

১/ অতিশয় শারীরিক উত্তেজনা প্রবণতা।

২/ দীর্ঘদিনের উৎকণ্ঠা ও অনিদ্রা। অনিদ্রা ও উৎকণ্ঠা সমান্তরালে বেড়েই চলে।

৩/ প্রিয়জনের মৃত্যুর পর রোগ হলে

৪/ নিজের রোগ সম্বন্ধে অত্যধিক উদ্বিগ্ন। অতীতের কষ্ট ও রোগ সম্বন্ধে অতিরিক্ত চিন্তা। অতীতের কষ্টগুলিকে বারবার ভাবতে থাকে।

৫/ উত্তেজনাপ্রবণ, উগ্র স্বভাব, ঘৃণাপূর্ণ, প্রতিহিংসাপরায়ণ, কু-মতলবযুক্ত, ক্ষমা চাইলেও মন নরম হয় না, ক্ষমা করে না।

৬/ রোগ সংবেদনশীল। যেমন ব্যথা, শব্দ, গন্ধ, স্পর্শ, আলো, গতি ইত্যাদি।

৭/ অত্যন্ত রাগী, প্রতিশোধপ্রবণ।

৮ ক্রোধের বশে অনেক ক্ষতিই করতে পারে।

রোগ যাই হোক নিচের লক্ষণ গুলো পেলে আমরা রোগীকে গ্রাফাইটিস প্রয়োগ করলে রোগী সম্পূর্ণ আরোগ্য হবে ১.মোটা হবার প্রবণতা।২.রোগ...
05/10/2025

রোগ যাই হোক নিচের লক্ষণ গুলো পেলে আমরা রোগীকে গ্রাফাইটিস প্রয়োগ করলে রোগী সম্পূর্ণ আরোগ্য হবে

১.মোটা হবার প্রবণতা।

২.রোগী খুবই মোটাসোটা। স্থূলকায়া। টানটান শরীর, আঁটসাট চেহারা।

৩.স্কুলকায়া সঙ্গে স্থূলকায় তার ত্বক, নখ। এমনকী চর্মরোগ থেকে নিঃসৃত রসও স্থুল , চটচটে হয়। ঋতুস্রাবও ঘন, তবে সাদা স্রাব পাতলা।

৪.ঘাম কম হয়।

৫.রোগী মোটা কিন্তু দেহ শিথিল নয়। টানটান।

৬ গাত্রত্বক শুষ্ক, স্থুল। দেহ নরম বা শিথিল কোনটাই নয়। বরং স্থূল, আঁটসাট।

৭.সন্ধিস্থলে চটাওঠা, ঘা, চুলকানি। ফাটাফাটা চর্ম, চটচটে রস।

৮ স্ত্রী বা পুরুষ উভয়ের সঙ্গমেচ্ছার অভাব।

৯.মিষ্টি বা লবণ, মাছ বা মাংস, সংগীত অথবা সঙ্গম সব কিছুতে অনিচ্ছা।

১০.কোষ্ঠবদ্ধতা সব রোগের সাথেই লক্ষ করা যায়।

১১.মুখমন্ডলে মাকড়সার জাল লেগে গেছে এমন অনুভূতি।

১২.শারীরিক বা জৈবিক উষ্ণতার অভাব, শরীর শীতল।

মলদ্বার ফাটা-  নিয়ে কোন রোগী আসলে আমরা প্রথমে যে মেডিসিন গুলোর কথা চিন্তা করি, তাহলো-১ গ্রাফাইটিস ২  র‍্যাটেনহিয়া ৩ পিওন...
04/10/2025

মলদ্বার ফাটা- নিয়ে কোন রোগী আসলে আমরা প্রথমে যে মেডিসিন গুলোর কথা চিন্তা করি,
তাহলো-
১ গ্রাফাইটিস
২ র‍্যাটেনহিয়া
৩ পিওনিয়া
৪ নাইট্রিক এসিড
৫ সাইলেসিয়া
আসুন পার্থক্যটা দেখি.......

মলদ্বার ফাটিলে গ্রাফাইটিস শ্রেষ্ঠ ঔষধ। রোগী দেখতে মোটাসোটা, মধুর মত আঠালো রস যুক্ত চর্মরোগ, হাতের আঙ্গুলের ডগা পায়ের আঙ্গুলের ডগা, স্তনের বোটা, মলদ্বার যোনিদ্বার ফাটাফাটা থাকে এবং হাতের ও পায়ের নখ পুরু অথচ সহজে ভেঙে যায় তাহলে অবশ্যই গ্রাফারটিস প্রয়োগ করতে হবে।
র‍্যাটেনহিয়া- গুহ্যদ্বার ফাটা সহ মলদ্বার সংকুচিত বোধ করিলে ইহা ব্যবহারে ফল পাওয়া যায়।
রোগীর বহু কষ্টে বাহ্য হয় এবং বাহ্যের পর অনেকক্ষণ ধরিয়া মলদ্বার ব্যথা ও জ্বালা করে।

পিওনিয়া-গুহ্যদ্বার ফাটার সহিত যদি উহা হইতে রস চুয়ায় এবং সর্বদা ভিজে থাকে এবং
সেই সঙ্গে যদি তথায় যথেষ্ট টাটানি ব্যথা থাকে তবে এ ঔষধ প্রয়োগে সুন্দর কাজ করে।

নাইট্রিক এসিড- এটাও মলদ্বার ফাটার ভাল ঔষধ। এতে মলদ্বারে কাঠি বা কাঁচ ফুটিতেছে এইরূপ মনে হয়। উপরোক্ত ঔষধগুলি সবগুলিই কম বেশী বেগ আছে। কিন্তু গ্রাফাইটিসে কিছুমাত্র নাই বা থাকলেও সামান্য।

সাইলিসিয়া-এটাও মলদ্বার ফাটার ঔষধ। রোগী বেগ দিয়া মল বাহির করতে চায় কিন্তু বাহির হয় না, কতকটা বাহির হয়ে আবার ভিতরে চলে যায়।

03/10/2025

ডাঃ নীলমনি ঘটকের কিছু কেস

পর্ব --২

একক ঔষধের দ্বারা আরোগ্য কেস, যেরকম প্রেসক্রিপশন করা হোমিওপ্যাথির নিয়ম।

সিঙ্গেল মেডিসিন, মিনিমাম ডোজ কিভাবে যে অনেক কঠিন অসুখ সারাতে পারে, তা দেখানোর জন্য দিলাম।

আশা করি এসব দেখে অপহোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা ব্যক্তিরা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মূলস্রোতে ফিরে আসার চেষ্টা করবে।

###########################x

★ বোরাক্স
( স্তনদুগ্ধ বিস্বাদ)

কলকাতার একজন বিখ্যাত এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক তার শিশুপুত্রের চিকিৎসার জন্য আমাকে আহ্বান করেন। এটি তাদের চতুর্থ সন্তান। এর আগের তিনটি সন্তান তিন চার মাসের মধ্যেই মারা যায়। এই বাচ্চাটাকে যদি বাঁচানো সম্ভব তাই আমাকে আহ্বান করা হয়েছে।

রোগটা কি, ডাক্তারবাবু জানালেন প্রত্যেক ছেলে মেয়ে ৩/৪ মাসের মধ্যে শুকিয়ে যেতে থাকে, চেহারা ক্ষীন হয়ে পড়ে, তারপর মারা যায়। তাদের শরীর এত দুর্বল হয়ে পড়তো যে তারা স্তন দুগ্ধও পান করতে পারতো না।

শরীর দুর্বল হয়ে পড়লেও একটিও বাচ্চা স্তন্যপান করতো না কেন, এই চিন্তাই আমার মনের মধ্যে উদয় হল। আচ্ছা স্তন্য দুগ্ধে কোন দোষ নেই তো? ডাক্তারবাবুকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, এই চিন্তা আমারও মাথায় এসেছিল, এবং তার জন্য আমি দুগ্ধ পরীক্ষা করিয়েছি। কিন্তু দুগ্ধে কোন দোষ পাওয়া যায়নি।

আমি মাতার ১০/১৫ ফোঁটা স্তনদুগ্ধ এক বাটি জলে দিয়া দেখিলাম উহা জলে মিশিল না, বাটিটির তলায় জমিয়া গেল। কিরকম স্বাদ জানিতে ওই জল মিশ্রিত দুগ্ধ কিছু আস্বাদ করিলাম। উহা বড় বিস্বাদ ও লবনাক্ত লাগিল এবং কেমন এক প্রকার গন্ধযুক্ত মনে হইল।

আমি বুঝিলাম ঐ বিস্বাদ ও লবণাক্ত দুগ্ধ কোন শিশুই পান করিতে ইচ্ছুক ছিল না।

আমি আমার চিন্তাধারা নিশ্চিত করতে ডাক্তারবাবুর বাড়ির নিচে একটি দোকানদারের শিশু পুত্র ছিল তাকে আনিয়ে ঐ মাতার স্তন্যপান করানোর চেষ্টা করি।। শিশুটি একবার মাত্র স্তনবৃন্ত টেনে ভয়ানক বিশ্রী মুখভঙ্গি করে বমি করে ফেলল, আর কিছুতেই স্তনবৃন্তে মুখ দিল না।

মাতৃদুগ্ধ খুব মোটা ও বিস্বাদ বোরাক্স ঔষধে আছে। কিন্তু আমি বোরাক্স দিবার পূর্বে ঐ মাতার মধ্যে আর কোন বোরাক্সের লক্ষণ আছে কিনা জানতে চাইলাম।

ঐ মাতার অতিশয় যন্ত্রণাদায়ক ঋতুস্রাব হয়। অনেক পরিমাণে দুর্গন্ধ ও তীব্র জ্বালাকর সাদাস্রাব হয়। সাদা স্রাব বেরুনোর সময় খুব গরম অনুভব হয় ।

রোগী খুবই স্নায়বিক ও ভীত। রাস্তায় - বলো হরি, হরি বোল, বলিয়া চিৎকার করিয়া মৃতদেহ নিমতলার গঙ্গার ঘাটে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি এত ভীত হয়ে পড়েন যে বিব্রতভাবে কাউকে জড়িয়ে ধরেন। তার স্বামী বললেন বিশেষ করে রাত্রিবেলা এরকম শব্দ শুনলে সে ভয়ে অস্থির হয়ে পড়ে এবং তার হৃৎকম্পন আরম্ভ হয়।

স্তন্যদুগ্ধের চরিত্র, মানসিক লক্ষন, মাসিক, সাদাস্রাব , সবকিছুর লক্ষণ বোরাক্সের সাথে মিলে যাওয়ায় আমি বোরাক্স দিতে আর কোনরকম কুণ্ঠাবোধ করিনি।

এই ঔষধ ক্রমান্বয়ে ২০০, ১০০০, এবং ১০ এম পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল। ১০০০ শক্তি দেওয়ার পরে শিশুটির স্তন্যপান করার আগ্রহ দেখা যায়। আস্তে আস্তে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে।

বলা বাহুল্য এরপরে ঐ মাতার আরেকটি কন্যা সন্তান হয়েছিল এবং সেই সন্তান নির্বিঘ্নে স্তন্য দুগ্ধ পান করেছিল, এখনও সুস্থভাবে জীবিত।

আমার মন্তব্য ---মেটিরিয়া মেডিকায় প্রখর জ্ঞান না থাকলে এই প্রেসক্রিপশন করা সম্ভব হত না। শুধু মেটিরিয়া মেডিকায় জ্ঞান নয়, বাচ্চাটির মায়ের দুধ নিয়ে পরীক্ষা করা একজন চিকিৎসকের অন্তর্দৃষ্টি ও ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় ছাড়া সম্ভব নয়, যে কথা আমি বারবার বলি।

আমার বলা চিকিৎসার মেথড অনেক নিন্দুক সমালোচনা করে, বলে ওসব তো হানিমানের কথা। আমি বারবারই বলেছি হানিমান, কেন্ট ইত্যাদি মনীষীদের কথা ও বক্তব্যের সাথে আমার নিজস্ব অনেক কিছু যোগ করেছি। এই যেমন সিক্সথ সেন্স এ্যাপ্লাই করতে হবে। যেটা ডাক্তার ঘটক করেছিলেন। এইরকম অনেক নতুন তথ্য আমি যোগ করেছি।

কেন্টের রেপার্টরিতে Chest চ্যাপ্টারের Milk রুবরিকে Milk - taste কোন রুবরিক নেই। দেখতে হবে সাব রুবরিক, Child refuses mothers milk.

নিচে কেন্টের রুবরিকের ঐ জায়গা এবং হেরিংয়ের মেটিরিয়ার অংশ বিশেষের স্ক্রিনশর্ট দিলাম।

১৪ রকম ঔষধ মিশিয়ে দিলে এই কেস কি আরোগ্য করা সম্ভব হতো?

02/10/2025

🎍🎍১০টি ভিন্ন ভিন্ন রোগের জন্য ৩টি করে হোমিও ঔষধ এবং তাদের প্রধান কাজ (লক্ষণ) সাজিয়ে দিলাম:

১. জ্বর (Fever)

1. Aconite – হঠাৎ ঠান্ডা লাগার পর জ্বর, অস্থিরতা, ভয়।

2. Belladonna – হঠাৎ উচ্চ জ্বর, লালচে চোখ-মুখ, মাথা ব্যথা।

3. Arsenicum Album – জ্বরের সাথে তীব্র দুর্বলতা, তৃষ্ণা, উদ্বেগ।

২. কাশি (Cough)

1. Drosera – দীর্ঘক্ষণ কাশি, রাতে বেশি, বমি পর্যন্ত হয়।

2. Spongia – শুকনা কাশি, শ্বাসে বাঁশির মত শব্দ।

3. Antimonium Tart – বুক ভরা কফ, উঠাতে কষ্ট হয়।

৩. ডায়রিয়া (Diarrhoea)

1. Podophyllum – সকালে পাতলা, ঝর্ণার মত পায়খানা।

2. Arsenicum Album – ডায়রিয়ার সাথে দুর্বলতা ও তীব্র তৃষ্ণা।

3. China – বেশি পরিমাণ ডায়রিয়ার পর দুর্বলতা।

৪. মাথা ব্যথা (Headache)

1. Belladonna – হঠাৎ মাথা ব্যথা, লাল চোখ, আলো সহ্য হয় না।

2. Nux Vomica – কাজের চাপ বা বদহজমে মাথা ব্যথা।

3. Glonoinum – রোদে হাঁটার পর মাথা ব্যথা।

৫. পেট ব্যথা (Abdominal Pain)

1. Colocynth – ক্রোধ বা দুঃখের পর তীব্র পেট ব্যথা, হাঁটু মুড়ে শোয়ার ইচ্ছে।

2. China – গ্যাস জমে পেট ফাঁপা, চাপ দিলে আরাম।

3. Carbo Veg – অতিরিক্ত গ্যাস, ডাকার পর আরাম।

৬. ত্বকের সমস্যা (Skin Diseases)

1. Sulphur – পুরনো চুলকানি, গরমে বাড়ে, রাতে বেশি।

2. Graphites – ত্বক ফেটে যায়, আঠালো স্রাব বের হয়।

3. Rhus Tox – চুলকানি, ফোস্কা, গরমে আরাম লাগে।

৭. বমি (Vomiting)

1. Ipecac – অবিরাম বমি বমি ভাব, কিছু খেলেই বমি।

2. Nux Vomica – অতিভোজন বা মদ্যপানের পর বমি।

3. Arsenicum Album – খাবার-পানির সাথে বমি, দুর্বলতা।

৮. মূত্র সমস্যা (Urinary Disorders)

1. Cantharis – ঘন ঘন প্রস্রাব, জ্বালা, অল্প অল্প প্রস্রাব।

2. Apis Mellifica – প্রস্রাব আটকে থাকে, জ্বালা, ফুলে যাওয়া।

3. Sarsaparilla – প্রস্রাবের শেষে জ্বালা, কিডনির সমস্যা।

৯. অ্যাজমা / শ্বাসকষ্ট (Asthma)

1. Arsenicum Album – রাতে শ্বাসকষ্ট, শুতে পারা যায় না।

2. Ipecac – কাশি ও শ্বাসকষ্ট একসাথে, কফ ওঠে না।

3. Antimonium Tart – বুক ভরা কফ, শ্বাসকষ্টে হাঁপ ধরা।

১০. স্নায়বিক দুর্বলতা (Nervous Weakness)

1. Phosphoric Acid – দুঃখ বা চিন্তার পর দুর্বলতা।

2. Kali Phos – অতিরিক্ত পড়াশোনা বা কাজের পর স্নায়বিক দুর্বলতা।

3. Ignatia – মানসিক আঘাত বা দুঃখে দুর্বলতা, হঠাৎ কান্না।

🩺Dr.Md.Forhad Hossain
D.H.M.S(B.H.B),DHAKA
Pdt(Hom)
Consultant:Homoeopathic Medicine
Helpline:01955507911

02/10/2025

ডাঃ ঘটকের কিছু কেস

একক ঔষধের দ্বারা আরোগ্য কেস, যেরকম প্রেসক্রিপশন করা হোমিওপ্যাথির নিয়ম।

সিঙ্গেল মেডিসিন, মিনিমাম ডোজ কিভাবে যে অনেক কঠিন অসুখ সারাতে পারে, তা দেখানোর জন্য দিলাম।

আশা করি এসব দেখে অপহোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা ব্যক্তিরা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মূলস্রোতে ফিরে আসার চেষ্টা করবে।

★ Abrotanum
( এ্যাব্রোটেনাম )

২২ বছর বয়সী একজন মহিলা রোগীর হৃদপিন্ডে দারুন ব্যথা। নড়াচড়ায় ব্যথার বৃদ্ধি দেখে আমি প্রথমে ব্রায়োনিয়া ও পরে রাস টকস দিয়েছিলাম। কোন উপকার না পাওয়ায় ভালো করে কেস হিস্ট্রী পর্যালোচনা করে জানতে পারলাম ২/৩ বছর আগে রোগীনির বাতের ব্যথা আরম্ভ হয়েছিল। তখন এ্যালোপ্যাথিক অনেক ব্যথার মলম লাগানো হয়েছিল এবং ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল।

আমার ধারণা দৃঢ় হল রোগিনীর বাতের ব্যথা চাপা পড়ে হৃদযন্ত্র আক্রমণ হয়েছে , অর্থাৎ মেটাসটেসিস। -- বাত থেকে হৃদযন্ত্র আক্রমন।

মডালিটি বা হ্রাসবৃদ্ধির কথা জিজ্ঞাসায় জানলাম হৃদপিন্ডের ব্যথা রাত্রে বাড়ে, ঠান্ডায় বাড়ে।

সব সিমপটমস মিলিয়ে এ্যাব্রেটেনাম দেওয়ার পক্ষে আমি কোন বাধা মনে করলাম না।

আমি রোগিনীকে এ্যাব্রোটেনাম ১০০০ শক্তির ৪/৫ টি গ্লেবিউলস একটি শিশিতে জলের মধ্যে দিলাম। ১ ঘন্টা অন্তর মাত্র তিনটি মাত্রা দিয়েছিলাম। দুইদিন পরে খবর দিতে বলি।

দুইদিন পরে রোগিনীর বুকের ব্যথা একেবারেই কমে যায়, তবে বুকের অর্থাৎ হৃদপিন্ডের ব্যথা কমার সাথে সাথে তার আগের বাতের ব্যথা প্রকাশ পায়।

★ Acetic Acid
( এ্যাসেটিক এ্যাসিড )

একজন বয়স্ক পুরুষ ভয়ানক শোথ রোগে আক্রান্ত হয়। তার পা দুটি ছাড়া পুরুষাঙ্গ ও অন্ডকোষ ভীষণভাবে ফুলে ওঠে।

তার অত্যন্ত পিপাসা ছিল। তার সাথে ছিল রক্তহীনতা, গরম অত্যন্ত বেশি, স্নান না করলে থাকতেই পারে না, ঠান্ডা খোলা বাতাসে উপশম, ইত্যাদি লক্ষণে এ্যাসেটিক এ্যাসিড প্রথমে ৩, এবং পরে ৬, ও ৩০ শক্তির ঔষধ দিয়ে নির্মল ভাবে তাকে আরোগ্য করি। শেষে সালফার প্রয়োগের প্রয়োজন হয়েছিল।

★ Aconite Nap
( এ্যাকোনাইট ন্যাপ)

২৩ বছর বয়স্ক ভদ্রমহিলার প্রসবের পরে সেপটিক জ্বর আরম্ভ হয়। অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা চলছিল, কিন্তু জ্বর কমছিল না। জ্বর আরম্ভ হওয়ার ১৪ দিন পরে আমি ডাক পাই।

দেখলাম রোগী পূর্ণ উন্মাদিনী , সর্বদাই অস্থির, ভয়ানক পিপাসা, এবং মনের কিছু ঠিক নেই।

এ্যাকোনাইটের সব লক্ষণ পেলেও ঔষধটি দেওয়ার পূর্বে কিছুটা ইতস্তত করছিলাম, কারণ যেহেতু এ্যাকোনাইট রোগের একেবারে প্রথমে অর্থাৎ প্রারম্ভিক অবস্থায় ব্যবহৃত হয় , কিন্তু এখানে তো ১৪ দিন পার হয়ে গেছে।

কিন্তু সব লক্ষণ মিলছে বলে আমি এ্যাকোনাইট ১০০০ শক্তির একমাত্র দিই। ঐ এক মাত্রা এ্যাকোনাইটে রোগিণীর অধিকাংশ রোগ লক্ষণ অপসারিত হয়েছিল। কেবল শুকনো কাশি থাকাতে ২/৩ দিন পরে স্কুইলা ৩০ কয়েক ডোজ দিয়েছিলাম ।

★ Aesculus Hip
( ইস্কুলাস হিপ)

১৯১৮ সালের জুলাই মাসে এক বিকালে আমি পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধের উপর হাঁটছিলাম।

দেখলাম এক ভদ্রলোক কিছুটা হাঁটছেন তারপর আবার বসে পড়ছেন, আবার কিছুটা হাঁটছেন, আবার বসে পড়ছেন। কারণ কি তাকে জিজ্ঞাসা করাতে জানলাম, কোমরে ভীষণ ব্যথা, এবং এই কোমরের ব্যথা তার বহুদিনের। রাস্তায় সামান্য একটু চললেই মনে হয় কোমরটা ভেঙ্গে যাবে। আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ, তাই ভালো ডাক্তারও দেখাতে পারি না। এর সাথে অর্শও আছে।

আমি ভদ্রলোককে বললাম তিনি যেন আমার বাড়ীতে দেখা করেন, আমি তাকে ঔষধ দেবো, কোন টাকা লাগবে না।

ভদ্রলোক দেখা করলে আরও কিছু লক্ষণ সংগ্রহ করে তাকে ইস্কুলাস ২০০ শক্তি সপ্তাহে একবার করে তিন মাত্রা দিয়েছিলাম। দুই মাস ভালো থাকার পর পুনরায় একটু বৃদ্ধি হলে ১০০০ শক্তির একমাত্রা দিয়েছিলাম। তার কোমরের ব্যথা সম্পূর্ণ সেরে গিয়েছিল।

★ Aethusa Cynapium
( ইথুজা সাইনেপিয়াম )

পুরুলিয়ার বিখ্যাত এক উকিলের মাত্র ১০ দিনের এক বাচ্চা রোগী । বাচ্চাটি জন্ম দেওয়ার সাত দিনের মাথায় তার মা মারা গেছে।

দেখলাম ছেলেটির সর্বাঙ্গ একেবারে শক্ত হয়ে আছে। শরীরটা ধনুকের মতন বেঁকে গেছে। মুখে ফেনা, জ্বর ১০৩ ডিগ্রী, মাঝে মাঝে দুর্গন্ধ জমাট বাঁধা ছানা কাটার মতন বমি করছে। বমির সময় বাচ্চাটার যা কষ্ট হচ্ছে তা চোখে দেখা যায় না। নিশ্বাসেও বড় কষ্ট, মনে হয় যেন দম বন্ধ হয়ে মারা যাবে। ৮ ঘন্টা প্রস্রাব হয়নি, সারাদিনে মলত্যাগও করেনি।

ইথুজা ২০০ শক্তির দুইটি বড়ি একটা কাঁচের গ্লাসে মিশিয়ে ঐ গ্লাস থেকে মাত্র ২/৩ ফোঁটা জল মিশ্রিত ঔষধ প্রত্যেক বারের খিঁচুনির পর আমি নিজে বসে থেকে দিতে থাকলাম। ২ ঘণ্টার মধ্যে সকল লক্ষণের উন্নতি দেখে ঔষধ বন্ধ করি।

সন্ধ্যা ৭ টায় আমি গিয়েছিলাম। সারাক্ষণ পাশে বসেছিলাম। রাত ১ টার সময় ছেলেটির সব কষ্ট কমে যায় এবং সে ঘুমিয়ে পড়ে। তার আর কোন অসুবিধা হয়নি। তখন আমি বাড়ী ফিরি।

ছেলেটির জীবনের আশা সকলেই ত্যাগ করেছিল।

★ Agaricus Muscarius
( এগারিকাস মাসকেরিয়াস )

একটা কলেরা রোগীকে প্রচন্ড অবসন্ন ভাব এবং তার পায়ের ডিমে ভয়ানক আক্ষেপ, ইত্যাদি লক্ষণে কুপ্রাম মেট প্রয়োগ করি। কিছু আরাম হলো বটে, কিন্তু ৪ / ৫ ঘণ্টা পরে রোগীর ডিলিরিয়াম বা বিকার আরম্ভ হয়।

চোখগুলো লাল হয়েছে, বিড়বিড় করে নানান রকম বাজে বাজে কথা বলছে, এবং সর্বদা জোর করে বিছানা থেকে উঠতে চাইছে। জোর করে বিছানা থেকে এমনভাবে উঠতে চাইছে যে রোগীকে বিছানায় রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠলো।

বিছানা থেকে সর্বদা জোর করে উঠতে চায় ---এটা এ্যাগারিকাসের একটি অদ্ভুত লক্ষণ। এই লক্ষনটাকেই জোর দিয়ে আমি এ্যাগারিকাস ২০০ শক্তি, ১৫ মিনিট অন্তর ৩ মাত্রা দিই।

রোগী ঘুমিয়ে পড়ে, এবং প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঘুমের পরে সে উঠে অনেকটা প্রস্রাব করে। তার আর কোন অসুবিধা হয়নি, এবং সকল কষ্টের উপশম হয়।

( চলবে )

30/09/2025

#আমি_বেলেডোনা:

#জন্ম:
আমি ইউরোপের এটরোফা বেলেডোনা নামক বিষাক্ত একটি গাছ থেকে তৈরী।

#প্রভিং:আমাকে প্রভিং করেছেন ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেডরিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান।

#আমার_ক্লিনিক্যাল_এ্যাকশন:
কারো যদি নিচের রোগগুলো হয় আমি ভালো কাজ করতে পারি
--Fever
--Cough
--Whooping Cough
--Mumps
--Meningitis
-- piles
-- Dysentery
-- Uterine Affection
--Brain Affection
--Lung Affection
--pleurisy
আরও অনেক কাজে লাগি...

#আমাকে_সহজে_চিনার_উপায়:
এই চারটি মনে রাখলেই আমি বেলা আমাকে চেনা সহজ হবে-
-Inflammation (sensitiveness)
-Heat,
-Redness,
-Burning

#আমার_চারিত্রিক_বৈশিষ্ট্য :

★আমি বেলেডোনা আমার নামটা ২ টা ল্যাটিন শব্দ থেকে এসেছে "Bella" এর অর্থ সুন্দর "donna"অর্থ মহিলা।

★*আমি যখনই কারো সাথে কথা বলি হাসি।যেকারণে সবাই আমাকে বিউটিফুল লেডি বলে থাকে😊।

★*আমি শীতকাতর মানুষ।আমার সকল রোগ আমার শরীরের ডানদিকে বেশি হয়।আমি যখন কথা বলি খুব দ্রুত বলি আর খুব দ্রুত চলাফেরা করি, আমি দেখতে মোটাসোটা তাতে আমার সমস্যা নেই আমি খুশি😊।

★*আমি খুব অদ্ভুত আমি হঠাৎ আসি আবার হঠাৎ চলে যাই একটানা কোথাও থাকিনা।মা যখনই আমার চুল কেটে দিতো তখনই নাকি দমকা ঠান্ডা বাতাসে আমার সর্দি লাগতো।আমার বান্ধবী আমাকে অনেক রোদের মধ্যেও শপিং এ নিতে চায় আমি বাহাবা দেই যাই না কারণ আমার আবার সূর্যের আলোতে গেলে মাথা ব্যাথা হয় কি এক বিপদ বলুন আমি আলো সহ্য করতে পারিনা।

★*আমার যখন মাথা ব্যাথা হয় আমি ডানদিকেই বেশি হয়, কপালে হয় বেশি আমি তখন কি করি জানেন বালিশ দিয়ে মাথা ঘষতে থাকি ভালো লাগে।

*★আমার খুব মাথা ব্যাথা আবার এলো সেই বান্ধবী শপিং এ যেতে ও এসে দেখলো আমার চোখ লাল হয়ে গেছ ও বলছিলো তোর চোখ তো বের হয়ে যাবে আমারও তাই লাগছিলো।
আমার যখন পিরিয়ড হয় তখন তলপেটে ব্যাথা হয় তখনও চোখ মুখ লাল হয়ে যায়।

★*একদিন সিনেমা দেখতে যাবো আমার খুব জ্বর হলো বাবা আমাকে লেবুর রস খেতে দিলো আর কিছুই খেলাম না বান্ধবীর ভালোবেসে মাংস আর দুধ খেতে দিলো খেলাম না ওর তো ভীষণ মন খারাপ হলো।
আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলো সাথে সাথে গেলো বাবা আর ছোট বোন...
আমাকে ডাক্তার যখন আমার সব রোগ সম্পর্কে জানতে চাইলো আমি বললাম সব বাড়িয়ে বাড়িয়ে 😉😊।আমি বাড়িয়ে বলি যাতে ওনি আমাকে মনোযোগ দিয়ে চিকিৎসা করেন।আমি শুধু ডাক্তারকে সবার আগে আমার ব্যাথা কমাতে বলতেই থাকলাম।ডাক্তারের টেবিলে রাখা পেপারওয়েট, কলমদানি নিয়ে আমরা ২ বোনই নড়াচড়া করছিলাম আমাকে তিনি না করলো আমি তবু করছিলাম😀।
বাবা বললো আমার মেয়ে রেগে গেলে কেউ আটকাতে পারেনা তখন তার শক্তি কয়েকগুন বেড়ে যায়।

*★*আমার রোগ সারলো না
আমি খুবই স্পর্শকাতর। আমার অসুখের সময় কেউ আমার পাশ দিয়ে হাঁটলেও অসহ্য লাগে। আমি আমার ছোট বোনকে সেসময় আমার খাঁটে বসতেও দেইনি। রাতে ঘুমালে লাথি মারতাম।
চোখের সামনে ভূত,রাক্ষস দেখতাম 😥।
শব্দ পছন্দ হতো না।

*★*বাসার সবাই ভেবেছিলো আমি পাগল হয়ে গেছি
নিজের চুল নিজে টানতাম,পাগলের মতো বকবক করতাম,ঘরের সব জিনিস ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলতাম।
মা বাবা খুব চিন্তায় পড়ে গেলো কি হলো মেয়ে আমার শপিং এ যায় না ঘুরেও না পাগলের মতো আচরণ করছে..
মা দাদুকে বলছে আমার মেয়ে-
মাথা ছাড়া সমস্ত শরীর খুলে রাখতে চায়।
আমি পাগলের মতো চিৎকার করতাম, কুকুরের মতো ডাকতাম
যা সবাইকে ভাবিয়ে তুলে।
আমাকে কেউ কিছু প্রশ্ন করলে বোকার মতো উত্তর দিতাম।
আমাকে কেউ promise করলে বিশ্বাস হতো না।
আমি যখন একা থাকতাম মনে হতো আত্মহত্যা করি😥😥।

★*আমার শুয়ে থাকলে ভালো লাগে
সোজা হয়ে হেলান দিলেও লাগে
একদিন সন্ধ্যায় শুয়েছিলাম মা এসে ভয় পেয়ে গেলো মাথা ভয়ানক গরম কিন্তু পা দুটি বরফের মতো ঠান্ডা।

*★*আমার এক সময় মনে হলো আমার রোগ সারছে না আমি কোন ঔষধ খাবো না।

★আমার কমপ্লিমেন্টারি : Calcarea

★আমার Antidote: Camph, Coffee, O***m, Aconite

29/09/2025

গুরুজি DrRabin Barman লেখা

টিউবারকিউলিনাম

ভূমিকা

টিউবারকিউলোসিস রোগের মূলে যে একটি জীবানু তা প্রথম আবিষ্কার করেন রবার্ট কচ ১৮৮২ সালে। তা জানার পরে আমেরিকার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডাঃ সোয়ান একটি গরুর লিম্ফ গ্লান্ড থেকে কিছু টিসু নিয়ে টিউবারকিউলিনাম ঔষধটি তৈরি করেন।

পরে ডাঃ কেন্ট একই ফর্মুলায় নিজের তত্ত্বাবধানে একজন পশু চিকিৎসককে দিয়ে টি বি আক্রান্ত একটি ষাঁড়ের লিম্ফ গ্লান্ড থেকে টিসু কালেকশন করে ফিলাডেলফিয়ার বোরিক এ্যান্ড ট্যাফেল কোম্পানিকে দিয়ে আলাদাভাবে টিউবারকিউলিনাম ঔষধ তৈরি করান, এবং স্কিনার মেশিনে ৩০,২০০, ১০০০, ইত্যাদি উচ্চশক্তি বানান। কেন্ট তার তত্ত্বাবধানে তৈরি হওয়া টিউবারকিউলিনামের নাম দিলেন টিউবারকিউলিনাম বোভাইনাম। কারণ, বোভাইনাম ইংরাজি শব্দের অর্থ ষাঁড় জাতীয় গরু। যেহেতু ষাঁড়ের লিম্ফ গ্লান্ড থেকে তিনি ঔষধটি তৈরি করিয়েছিলেন তাই এই নামটি তিনি দিয়েছিলেন।

তবে টিউবারকিউলিনাম আর টিউবারকিউলিনাম বোভিনাম মোটামুটি একই ভাবে একই রকম কাজ করে।

এর বেশ কিছুদিন পরে লন্ডনের ডাঃ বার্নেট টি বি হওয়া একজন মানুষের ফুসফুসের অংশ কালেকশন করে নিজের তত্ত্বাবধানে ট্রাইটেশন করিয়ে 1X শক্তি তৈরি করান এবং পরে জাম্পিং পোটেনসির মাধ্যমে ৩০, ২০০, ১০০০, ইত্যাদি শক্তি বানান। তিনি এই প্রিপারেশনের নাম দেন ব্যাসিলিনাম। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় লক্ষন মোটামুটি ঐ টিউবারকিউলিনামের মতন পাওয়া গেল।

তবে এই সব প্রিপারেশনগুলি ক্লিনিক্যালি পরীক্ষা হয়েছে। কোন প্রিপারেশন হ্যানিম্যানিয়ান পদ্ধতিতে প্রুভিং হয়নি।

ক্লার্কের ডিকসনারি অব মেটিরিয়া মেডিকা বা বোরিকের বইয়ের টিউবারকিউলিনাম ঔষধের রিলেশনে টিউবারকিউলিনাম কচ, টিউবারকিউলিনাম এ্যাভেরি, ইত্যাদি নামে কিছু ঔষধ দেখতে পাওয়া যায়। তবে এগুলি মোটেই নির্ভরযোগ্য নয়। ডাঃ পিয়ার স্মিথ তার Defective illness বইয়ে কিছু নোসোডস আলোচনা প্রসঙ্গে এইসব নতুন প্রিপারেশন সম্বন্ধে পরিষ্কারভাবে বলেছেন --As for the other Tuberculinum preparations, the indications we have are theoretical, arbitrary, conventional and empirical.

যাইহোক টিউবারকিউলিনাম এবং টিউবারকিউলিনাম বোভিনামের ক্লিনিক্যালি পাওয়া লক্ষণগুলি মোটামুটি একই রকম ----

★ প্রায় সর্দি কাশি লাগে, খুব সাবধানে থাকলেও কিভাবে যে সর্দি লাগে, কোথা থেকে লাগে, কেমন ভাবে লাগে, তা মোটেই বোঝা যায় না। দুই চার দিন অন্তর শুধু ঠান্ডা বা সর্দি কাশি লেগেই চলে। তাই মজা করে বলা যেতে পারে -- টিউবারকিউলিনাম রোগীর বিয়ের রাতে ঠান্ডা লাগলে তা সারে তার হানিমুন সফর শেষ হলেও সারে না।

( সহজে সর্দি লাগে -- ব্যারাইটা কার্ব, ক্যাল্কেরিয়া কার্ব, হিপার, কেলি কার্ব, নেট্রাম মিউর, নাইট্রিক এ্যাসিড, সোরিনাম, সাইলিসিয়া )

★ প্রচন্ড দুর্বলতা। দুর্বলতার কারণও বোঝা যায় না, খিদে ভালো, খায়-দায় ভালো, অথচ শরীরে ভীষণ দুর্বলতা। সবরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও খারাপ কিছু রোগ ধরা পড়ে না, কিন্তু শরীরে ভীষণ দূর্বলতা।

( ভীষণ দুর্বলতা --- আর্সেনিক, জেলস ) ,

★ শরীর দিন দিন শুকিয়ে যায়, অর্থাৎ রোগা হতে থাকে, ওজন কমতে থাকে। খায় দায় অথচ শরীর শুকিয়ে যেতে থাকে, গায়ে মোটেই মাংস লাগে না, চেহারার কোন উন্নতি নেই

( এ্যাব্রোটেনাম, আয়োডাম, নেট্রাম মিউর, স্যানিকিউলা, টিউবার, )

★ লম্বা রোগাটে চেহারা, বুকের ছাতি প্রশস্ত নয়, কাঁধ দুটি যেন ভিতরের দিকে ডেবে থাকে।

★ পরিচ্ছন্ন, আর্টিস্টিক এবং শিল্পী মনের --- এরা খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বা টিপটপ থাকতে ভালোবাসে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে বেড়াতে ভালোবাসে। বাচ্চারা বড়দের হাত ধরে টেনে টেনে বাড়ির বাইরে নিয়ে যেতে চায়।

★ গান-বাজনা খুব একটা পছন্দ করে না।

★ অ্যাডভেঞ্চার টাইপের মানসিকতা ---কোন কিছু চিন্তা ভাবনা করে না, যখন যা মনে হয় তাই করে । হঠাৎ ডিসিশন নিয়ে কোন জায়গায় বেড়াতে বেরিয়ে পড়ে। অফিসে জানালো না, স্ত্রীর সাথে কোন আলোচনা করলো না, কোথায় থাকবে, কিছু অসুবিধা হবে কি না , এসব চিন্তা করার কোন মানসিকতা থাকে না। কুইক ডিসিশন, কুইক স্টার্ট।

★ যে খাবারে রোগ বৃদ্ধি সেই খাবার খেতে চায়, যে কারণে রোগবৃদ্ধি সেই কারণকে কোনরকম গুরুত্ব দিতে চায় না,

★ ঝড়-বৃষ্টি মেঘলা আবহাওয়া ভালোবাসে, এইরকম আবহাওয়ায় মনে রোমাঞ্চ অনুভব করে।
( কার্সিনোসিন, সিপিয়া)

( ঝড় বৃষ্টি মেঘলা আবহাওয়া ভালোবাসে না, ভয় পায়,বা শরীর খারাপ করে --- জেলস, নেট্রাম কার্ব, মেডো, নেট্রাম মিউর, নাইট্রিক এ্যাসিড, ফসফরাস, সোরিনাম, রানানকিউলাস , রডোডেনড্রন,)

★ ভীষণ রাগ, জেদ --- অতি সহজেই রেগে যায়, রাগ কিছুতেই কন্ট্রোল করতে পারে না, রাগের চোটে জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলে বা ভেঙে ফেলে। অতিশয় রুক্ষ, ও অসন্তুষ্ট৷ কোন ব্যাপারে কোনরকম উৎকন্ঠ থাকে না।

★ মনের বড় পরিবর্তনশীলতা ---বৈচিত্রতাই এদের জীবনের অঙ্গ। এক জায়গা বেশিদিন ভালো লাগে না, এক চাকরি বেশিদিন ভালো লাগে না, একই জায়গায় থাকতে বেশি দিন ভালো লাগে না, একই রকম জামা প্যান্ট পরতে বেশি দিন ভালো লাগে না, এক বন্ধু বেশিদিন ভালো লাগেনা, একজন ডাক্তারকে বেশীদিন দেখাতে চায় না --দুই চার দিন পরেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। এদের সাথে যারা প্রেম করে তাদের কপালেও দুঃখ জোটে, হয়তো মেয়েটি স্বপ্ন দেখছিল ঘর বাঁধার, কিন্তু তার স্বপ্ন দেখার মাঝেই পাখি অন্য ডালে বসতে আরম্ভ করে!

( সবকিছুতে পরিবর্তনশীলতা নয়, শুধু যৌনসংসর্গ অর্থাৎ সহবাস করার জন্য বা সেক্স ডিজায়ার চরিতার্থ করার জন্য নিত্য নতুন পার্টনার চায়, সম্পর্ক একবার হয়ে গেলে আর যোগাযোগ রাখতে চায় না --- ফ্লুওরিক এ্যাসিড )

★ বড় আশবাদী ----নানান রকম রোগে ভুগলেও, এবং ভীষণ শারীরিক দুর্বলতা থাকলেও এরা খুব আশাবাদী, কোনরকম নৈরাশ্যবোধে ভোগে না, সহজে হতাশ হয় না।

( মোটেই আশাবাদী নয়, সহজে হতাশ বা আশাহত হয় -- সোরিনাম )

★ রোগের পরিবর্তনশীলতা ---এই ঔষধে শুধু একজন মানুষের মনের পরিবর্তন হয় তা নয়, একজন মানুষের শরীরের বিভিন্ন রোগেরও পরিবর্তন দেখা যায়, রোগ এক অর্গান থেকে অন্য অর্গানে, বা এক সিস্টেম থেকে অন্য সিস্টেমে ধাবিত হয়। যেমন কিছুদিন রেসপিরেটরি সিস্টেমের শ্বাসকষ্টের রোগ চলার পরে ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের পাকস্থলী বা ইনটেসটিনের রোগ আরম্ভ হয়। কিছুদিন পর পর রোগের এইরকম সিস্টেমের পরিবর্তন হওয়ার পিছনে আপাতগ্রাহ্য কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।

★ টিউবারকিউলার ডায়াথেসিসের উন্নতি হয় ---- টিউবারকিউলার ডায়াথেসিস রোগীদের ঠিক করতে বা সুস্থ রাখতে এই ঔষধের উচ্চশক্তির দুই এক ডোজ লক্ষন মিলিয়ে দিলে রোগীদের অত্যন্ত উপকার হয়।

ব্যাপারটা কি? ডায়াথেসিস কথার অর্থ হলো প্রবণতা বা টেন্ডেন্সি। যেমন, রোগীর টি বি হয়নি। বাহ্যিক কোন পরীক্ষা নিরীক্ষায় টি বির কোন জার্ম পাওয়া যাচ্ছে না, কিন্তু টি বি রোগ হলে যে সব কমন সিমপটমসগুলি দেখা যায়, সেইরকম কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যেমন --শরীরে জ্বর জ্বর ভাব থাকছে বিশেষ করে রাতের দিকে, খিদে কম হচ্ছে, চেহারা শুকিয়ে যাচ্ছে , ওজন কমে যাচ্ছে, প্রায়ই সর্দি কাশি লাগছে, রাতে ঘুমের মধ্যে শরীরে অল্পস্বল্প ঘাম হচ্ছে, ঘাড়ের লিম্ফ গ্লান্ড দুই একটা ফুলে থাকছে, ইত্যাদি।

এ্যলোপ্যাথিক চিকিৎসকরা এমন স্টেজে টি বির মতন লক্ষণ পেলেও যেহেতু সব রিপোর্ট নেগেটিভ, তাই টি বির কোন ঔষধ দিতে পারবে না, আর দিলেও তা মারাত্মক ক্ষতিকর হবে। এই ক্ষেত্রে আমাদের শক্তিকৃত টিউবারকিউলিনাম রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করতে পারে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে -- রক্তে টি বির জার্ম নেই, তবু এমন টি বি, রোগের লক্ষনের মতন ভাব হচ্ছে কেন? উত্তর হচ্ছে -- রোগীর শরীরে টিবির জার্ম ঢুকেছে, তারা শরীরে অবস্থান করছে, কিন্তু জীবণী শক্তির সঙ্গে লড়াই করে ঠিক মতন আক্রমণ সানাতেতে পারছে না। রোগের এই অবস্থাকে বলা যেতে পারে সুপ্ত প্যাথলজি বা ডাইনামিক প্যাথলজি। বাজারে যেসব প্যাথলজি বা প্রাকটিস অব মেডিসিন বই পাওয়া যায়, যা বিভিন্ন কোর্সে পড়ানো হয়, যা চিকিৎসকরা জানে, পড়ে, মানে, তা হচ্ছে সবই ডায়নামিক প্যাথলজির পরের স্টেজ, অর্থাৎ গ্রস প্যাথলজি, অর্থাৎ স্ট্রাকচারাল প্যাথলজি। ডায়নামিক প্যাথলজির কথা কোন প্রাকটিস অব মেডিসিনে বইয়ে বলা নেই।

★ মাংস, ও মিষ্টি পছন্দ করে, পাতে কাঁচা নুনও অনেকে খেতে চায়৷ তবে মাংস কখনো অপছন্দের তালিকায়ও থাকে।

★ রোগী শীতকাতর কি গরম কাতর তা পরিষ্কার বোঝা যায় না, তবে কিছুটা গরম কাতর বলা যেতে পারে,তাই এই বিষয় নিয়ে বেশি মাথা না ঘামানোই ভালো।

★ সামান্য চলাফেরায় বা পরিশ্রমে শরীরে খুব ঘাম হয়, তার সাথে থাকে দুর্বলতা।

★ রোগীর আগে একবার টি বি হয়েছিল, ঔষধ খেয়েছিল, ঔষধের কোর্স কমপ্লিটও করেছিল। কিন্তু তারপর থেকেই শরীরটা ভালো যাচ্ছে না, প্রায় সর্দি কাশি লাগছে, ঘাড়ের কাছে গ্লান্ড ফুলছে, খিদে ভালো হচ্ছে না, এমন ক্ষেত্রে টিউবারকিউলিনাম উচ্চশক্তির দুই এক ডোজ ঐ রোগীকে সুস্থ করে।

★ সব লক্ষণ মিললেও সুনির্দিষ্ট ঔষধে কোনো কাজ হচ্ছে না, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন ঔষধ দিতে থাকলেও স্যাটিশফ্যাক্টরি বা আশাতীত ফল পাওয়া যাচ্ছে না, কিন্তু বংশে কারুর টি বি ছিল, তা সে মায়ের বাড়ির দিকেই হোক বা বাবার দিকেই হোক, এমন ক্ষেত্রে টিইবারকিউলিনাম উচ্চশক্তির এক ডোজ প্রয়োজন হতে পারে, এবং দ্রুত রোগী উন্নতির দিকে যেতে পারে।

★ ট্যাকিকার্ডিয়া, অর্থাৎ হার্ট রেট কারুর কারুর বেশি হতে পারে।

★ জিভের উপরটা অনেকের লিচু ফলের বা স্ট্রবেরি ফলের বাইরের মতন ডুমো ডুমো দেখা যায়। একে বলা হয় Strawberry tongue.

★ পিপাসা ভালো, ঠান্ডা জল খেতে চায়।

★ ক্ষুধা পরিবর্তনশীল, কখনো ভালো ক্ষুধা, আবার কখনো একেবারেই ক্ষুধা থাকে না।

★ অনেক লক্ষণ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

★ যদি কিছু চরিত্রগত লক্ষন মেলে তবে উপকার পাওয়া যেতে পারে নিম্নলিখিত ক্লিনিক্যাল কন্ডিশনগুলিতে --

* মহিলাদের ব্রেস্ট টিউমারে ,

* মহিলাদের মাসিকের সময় পেট ব্যথায়,

* মর্নিং ডায়েরিয়া অর্থাৎ সকালের দিকে পাতলা পায়খানা চলতে থাকলে ,

* তীব্র মাথা যন্ত্রণায়, বিশেষ করে ডান দিকের, এবং স্কুলে যাওয়া মেয়েদের ,

* বহুদিন ধরে ভুগতে থাকা টনসিলাইটিস রোগে,

* বিষফোঁড়া যখন দলে দলে বের হয়, ( সালফার )

* শরীরের স্থানে স্থানে একজিমা হতে থাকলে

★ টিউবারকিউলার মেনিনজাইটিস রোগে , ইত্যাদি।

Address

Kushtia
1122

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Islamic Tv posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share