10/03/2025
রমজান ইসলামিক ক্যালেন্ডারের নবম মাস এবং মুসলমানদের কাছে এর গুরুত্ব অপরিসীম। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে মুসলিমদের রমজান মাস ২৯ বা ৩০ দিনের হয় । ইসলাম ধর্ম অনুসারে, রমজান মাসেই পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন নাজিল হয়েছিল। রোজা ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ এবং কোরআনে মুসলমানদের জন্য রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ করা হয়েছে।
রমজান মাসে মুসলমানরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খাওয়া, পান করা এবং অন্যান্য অনেক কিছু থেকে বিরত থাকে। সংযম পালন করা হয় রমজান মাসজুড়ে।রমজান মাসে বিশেষ পরিস্থিতি বিচেনায় কিছু মুসলমানদের রোজা রাখা থেকে বিরত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
যেমন গর্ভবতী বা বুকের দুধ খাওয়ানো মা, ঋতুস্রাবরত নারী, অসুস্থ ব্যক্তি বা রোজার কারণে যাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে এবং ভ্রমণকারী।
তবে, রমজানের পরে তাদের হয় বাদ পড়া রোজাগুলোর কাজা আদায় করতে হবে অথবা সেই সময়ের জন্য দরিদ্রদের কাফফারা দিতে হবে। রমজানের শেষে আসে ঈদুল ফিতরের উৎসব।ইসলামের নবী নিজে মাঝে মাঝে রোজা রাখলেও শুরুর দিকে উম্মত বা সাহাবীদের জন্য, বিশ্বাসীদের জন্য ৩০ রোজা রাখার বিষয়টি বাধ্যতামূলক ছিল না।
ইসলামে রোজা বা রমজান ফরজ হিসাবে বাধ্যতামূলক করা হয় হিজরি দ্বিতীয় বর্ষে। রোজা ফরজ ঘোষণা করে আয়াত নাজিল হয় বলে।
কোরআনের সূরা আল-বাকারার ১৮৩ নম্বর আয়াত
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا كُتِبَ عَلَیۡكُمُ الصِّیَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَی الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُوۡنَ
অনুসারে, 'তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করতে পারো।'
এরপর থেকেই অপরিবর্তিত রূপে সারা পৃথিবীতে রোজা পালন করা হচ্ছে।
সেই সময় মক্কা বা মদিনার বাসিন্দারা কয়েকটি তারিখে রোজা রাখতেন। অনেকে আশুরার দিনে রোজা রাখতেন। আবার কেউ কেউ চান্দ্র মাসের ১৩,১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখতেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজি বলেছিলেন ইসলামের নবীও মক্কায় থাকার সময় চান্দ্র মাসের তিনদিন করে সিয়াম সাধনা করতেন, যা হিসাব করলে বছরে ৩৬ দিন হয়। অর্থাৎ সেখানে আগে থেকেই রোজা রাখার বিধান ছিল।'তাফসীরে ইবনে কাসীরে উল্লেখ আছে, নবী নূহ থেকে শুরু করে শেষ নবী মুহাম্মদ পর্যন্ত সকল নবী প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে তিনটি করে রোজার রাখতেন।
নবী মূসা, নবী দাউদ, নবী ঈসা, নবী ইয়াহিয়া ও তাদের অনুসারীরা যে রোজা রাখতেন তা বাইবেল ও হাদিসে বর্ণিত আছে।
নবী মুসা তাওরাত গ্রহণকালে চল্লিশ দিন রোজা রেখেছিলেন বলে কোরআনে উল্লেখ আছে।
এছাড়া নবী আদমের সময় মাসে তিনদিন, নবী দাউদের সময় একদিন পরপর রোজা রাখা, নবী মুসার সময় প্রথমে তুর পাহাড়ে তিনি ৩০দিন রোজা রাখেন। পরবর্তীতে আরও ১০দিন যোগ করে একটানা ৪০ দিন তিনি রোজা রেখেছিলেন।
রমজানের অনেক ফজীলত সম্পর্কে রাসুল সাঃ বলেছেন ।আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে যেনো সঠিক ভাবে রোজা রাখার তৌফিক দেন (আমিন)