09/04/2024
একজন রাইডার সকাল ৯টায় অফিসে আসে। নিজ লোকেশনের বেঁছে বেঁছে পার্সেলগুলি অ্যাসাইন করে। বহু পার্সেলের লোকেশন ক্লিয়ার থাকে না, তাদেরকে কল দিয়ে লোকেশন ক্লিয়ার করে। তারপর ৩০/৪০টা পার্সেল নিয়ে ডেলিভারিতে বের হয়। অ্যাভারেজে প্রতি পার্সেলের জন্য হয়তো ৫/৭ মিনিট সময় থাকে। এখন একজন কাস্টমার যদি ১.৫/২ ঘন্টা সময় চায়, রাইডার দিবে কোত্থেকে? অন্যান্য কাস্টমার আর মার্চেন্টরাও তো তার জন্য অপেক্ষা করছে। তাদের ৩০জনকে যথাযথ সার্ভিস দিতে গিয়ে আনফরচুনেটলি ২/১ জনের সার্ভিস স্লো হওয়াটা খুব দোষের কিছু না। সব শেষে রাতের বেলা এই রাইডারকে আবার মার্চেন্টদের পার্সেল পিক-আপ করতে হয়। অফিসে গিয়ে টাকা-পয়সা আর পার্সেলগুলি বুঝিয়ে দিতে হয়। কোন কোন পার্সেল ডেলিভারি হলো না, তার প্রতিটা পার্সেলের জন্যই আলাদা করে জবাবদিহিতা করতে হয়।
আর নরম কথা, শক্ত কথার ইস্যু খুজছেন! ক্লান্ত দেহে হাড়ভাঙা পরিশ্রমের সাথে যাকে ফোনে দৈনিক ১০০/১৫০টা কল এটেন্ড করতে হয়, তার মুখ দিয়ে সবসময় মিষ্টি কথা আসে নারে ভাই!!!
তারপরও কাস্টমারকে হামেশা বটবৃক্ষ মেনে বলতে হয়,
"হে বটবৃক্ষ, ক্ষমা করো আমায়!"