16/09/2024
ঈদ শব্দের আভিধানিক অর্থ খুশী বা আনন্দ উৎযাপন করা। আর মিলাদ অর্থ জন্ম, আন-নবি অর্থ আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সুতরাং ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ বলতে নবীজীর আগমনের খুশী উদযাপনকে বুঝায়। সুতরাং অশান্তি আর বর্বরতায় ভরপুর সংঘাতময় আরবের বুকে আধারের বুক চিড়ে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শান্তি নিয়ে এসে মানবজাতিকে সত্যের, সভ্যতা ও ন্যায়ের দিক নির্দেশনা দিয়ে গোটা বিশ্বকে শান্তিতে পরিপূর্ণ করে তুলেন। তাই মুসলিম সমাজ নবীজীর পবিত্র শুভাগমনতে খুশী মনে উদযাপন করে আসছে।
‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ নিয়ে পবিত্র কোরআনুল কারীমের সূরা আল-ইমরান, ৮১-৮২ নং আয়াতে আল্লাহপাক রাব্বুল আলামীন বলেন- হে প্রিয় রাসূল! আপনি স্মরণ করুন ওই দিনের ঘটনা (রোজে আজলের সময়ের) যখন আমি (আল্লাহ) আম্বিয়ায়ে কেরামগণের কাছ থেকে এভাবে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, যখন ‘আমি তোমাদেরকে কিতাব এবং হিকমত’ অর্থাৎ নবুয়ত দান করবো, অতঃপর তোমাদের কাছে এক মহান রাসূলের শুভাগমন হবে। যিনি তোমাদের প্রত্যেকের নবুয়তের সত্যায়ন করবেন, তখন তোমরা সকলে অবশ্যই তাঁর উপর ঈমান আনয়ন করবে এবং সর্বোত্তমভাবে তাঁকে সাহায্য সহযোগিতা করবে। তোমরা কি এ কথার অঙ্গীকার করছো এবং অঙ্গীকারে কি অটল থাকবে? সমস্ত নবীগণ বললেন- হ্যাঁ, আমরা অঙ্গীকার করলাম। আল্লাহ তায়ালা বললেন- তোমরা পরস্পর স্বাক্ষী থেকো এবং আমিও তোমাদের সঙ্গে স্বাক্ষী রইলাম। এরপরেও যে কেউ পিছপা হয়ে যাবে, তারা হবে ফাসেক।
এই আয়াতে আল্লাহপাক রাব্বুল আলামীন ‘মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অর্থাৎ নবীজীর আগমন সম্পর্কে রোজ আজলের মধ্যে সমস্ত নবীগণকে উপস্থিত রেখে আলোচনা করেছেন। আল্লাহপাক সব নবীগণকে মহান রাসূলের উপর ঈমান আনয়নের কথা বলেছেন এবং প্রত্যেক নবীর নবুয়তের সত্যায়নের ভারও দিয়েছেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর। তাঁর সঙ্গে অন্য কোনো নবীর তুলনা হবে না।
মানুষ যখন কোনো নেয়ামত ও রহমত প্রাপ্ত হয়, তখন তার জন্য আনন্দ উৎসব করা তার স্বভাবগত কাজ। আল্লাহর নির্দেশও তাই। পবিত্র
কোরআনে আল্লাহপাক এরশাদ করেন- হে মানবকূল তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং অন্তর সমূহের বিশুদ্ধতা, হেদায়াত এবং রহমত ঈমানদারদের জন্য। হে হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনি বলুন! আল্লাহরই অনুগ্রহ ও তাঁর দয়া প্রাপ্তিতে তারা যেন আনন্দ প্রকাশ করে।