Ali Akbor

Ali Akbor creator
(2)

সূরা আল হাশর, আয়াত নং ২৩তাফসীর ইবনে কাছীর আল হাশর, তাফসীর আয়াত ন২১-২৪ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ্ তা'আলা কুরআন কারীমের বু...
29/07/2025

সূরা আল হাশর, আয়াত নং ২৩
তাফসীর ইবনে কাছীর আল হাশর, তাফসীর আয়াত ন
২১-২৪ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ্ তা'আলা কুরআন কারীমের বুযুর্গী ও মাহাত্মের বর্ণনা দিচ্ছেন যে, এই পবিত্র কুরআন প্রকৃতপক্ষে উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন কিতাব। এর সামনে অন্তর ঝুঁকে পড়ে, লোম খাড়া হয়ে

যায়, কলিজা কেঁপে ওঠে। এর সত্য ওয়াদা

ও ভীতি প্রদর্শন প্রত্যেককে কাঁপিয়ে তোলে এবং আল্লাহর দরবারে সিজদায় পতিত করে। মহান আল্লাহ বলেন যদি আমি এই কুরআন পর্বতের উপর অবর্তীর্ণ করতাম তবে অবশ্যই দেখা যেতো যে, ওটা আল্লাহর ভয়ে বিনীত এবং

বিদীর্ণ হয়ে গেছে। অর্থাৎ যদি মহামহিমান্বিত আল্লাহ এই কুরআনকে কোন কঠিন ও উঁচু পর্বতের উপর অবতীর্ণ করতেন এবং ওকে চিন্তা ও অনুভূতি শক্তি দান করতেন তবে ওটাও তাঁর ভয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যেতো। তাহলে মানুষের অন্তরে তো এটা আরো অধিক ক্রিয়াশীল হওয়া

উচিত। কেননা, পর্বতের তুলনায় মানুষের অন্তর

বহুগুণে নরম ও ক্ষুদ্র এবং তাতে পূর্ণমাত্রায় বোধ ও অনুভূতি শক্তি রয়েছে। মানুষ যেন চিন্তা-গবেষণা করে এ জন্যেই আল্লাহ তাআলা মানুষের সামনে এসব দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন।

উদ্দেশ্য এই যে, মানুষের উচিত আল্লাহকে ভয়

করা ও বিনীত হওয়া। মুতাওয়াতির হাদীসে

রয়েছে যে, মিম্বর নির্মিত হওয়ার পূর্বে রাসূলুল্লাহ (সঃ) একটি খেজুর গাছের গুঁড়ির উপর দাঁড়িয়ে খুত্ব দিতেন। অতঃপর যখন মিম্বর তৈরী হয়ে গেল ও বিছিয়ে দেয়া হলো তখন তিনি তার

উপর দাঁড়িয়েই খুবাহ দিতে লাগলেন এবং ঐ

খুঁড়িটিকে সরিয়ে দেয়া হলো। ঐ সময় ঐ গুঁড়ি

হতে কান্নার শব্দ আসতে লাগলো। শিশুর মত

ওটা ফুপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকলো। কারণ

এই যে, ওকে আল্লাহর যিকির ও অহী কিছু

দূর থেকে শুনতে হচ্ছে। হযরত ইমাম বসরী

(রঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করে বলতেনঃ "হে

লোক সকল! খেজুর গাছের একটি গুড়ি যদি

আল্লাহর রাসূল (সঃ)-এর প্রতি এতো আসক্ত

হতে পারে তবে তো তোমাদের তার প্রতি ওর

চেয়ে বহুগুণ বেশী আসক্তি থাকা উচিত।

অনুরূপভাবে এই আয়াতটি যে, যদি একটি

পাহাড়ের এই অবস্থা হয় তবে এই অবস্থায় তোমাদের এর চেয়ে অগ্রগামী হওয়া উচিত। কারণ তোমরা তো শুনছো ও বুঝছো?" অন্য জায়গায় আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ 'যদি কোন কুরআন এরূপ হতো যে,

ওর কারণে পর্বতরাজিকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া

হবে অথবা যমীনকে কেটে দেয়া হবে কিংবা

মুতকে কথা বলানো হবে (তবে এর যোগ্য একমাত্র এই কুরআনই ছিল, আর তখনো কিন্তু এই কাফিররা ঈমান আনয়নের সৌভাগ্য লাভকরতো না)।" (১৩:৩১) অন্য এক জায়গায়

আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেছেনঃ

(আরবী) অর্থাৎ "পাথরও কতক এমন যে, ওটা হতে নদী-নালা প্রবাহিত হয় এবং কতক এই রূপ যে, বিদীর্ণ হওয়ার পর ওটা হতে পানি নির্গত হয়, আবার কতক এমন যা আল্লাহর ভয়ে ধ্বসে পড়ে। (২:৭৪) এরপর ইরশাদ হচ্ছেঃ আল্লাহ্

ছাড়া না কোন পালনকর্তা রয়েছে, না তার সত্তা

ছাড়া এমন কোন সত্তা রয়েছে যে, কেউ তার

কোন প্রকারের ইবাদত করতে পারে। আল্লাহ্

ছাড়া মানুষ যাদের ইবাদত করে সেগুলো সবই

বাতিল। তিনি সারা বিশ্বের দৃশ্যের ও অদৃশ্যের

পরিজ্ঞাতা। প্রকাশ্য ও গোপনীয় সব কিছুই তাঁর

কাছে পূর্ণভাবে প্রকাশমান। তিনি এমন বড়

ও প্রশস্ত রহমতের অধিকারী যে, তাঁর রহমত সমস্ত মাখলুকের উপর পূর্ণভাবে বিদ্যমান রয়েছে। তিনি দুনিয়া ও আখিরাতে রহমানও বটে এবং রাহীমও বটে। আমাদের তাফসীরের শুরুতে এ দু'টি নামের পুরো তাফসীর গত

হয়েছে। কুরআন কারীমের অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ 'আমার রহমত সমস্ত জিনিসকে পরিবেষ্টন করে রয়েছে।" (৭:১৫৬) অন্য জায়গায় আছেঃ (আরবী) অর্থাৎ

"তোমাদের প্রতিপালক তাঁর নিজের উপর

রহমত লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন।" (৬:৫৪)

আল্লাহ্ তা'আলা আরো বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ

"আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুণার প্রতিই তাদের

সন্তুষ্ট হওয়া উচিত, তাদের জমাকৃত জিনিস হতে এটাই উত্তম।" (১০:৫৮) মহান আল্লাহ্ বলেনঃ তিনিই আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোন মা'বুদ সমস্ত জিনিসের একক মালিক তিনিই।

নেই। তিনিই সবকিছুকে হেরফেরকারী। সব কিছুরই অধিকর্তা ও অধিপতি তিনিই। তিনিই সব কিছুরই ব্যবস্থাপক। কেউই এমন নেই যে তাঁর কাজে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে বা তাঁকে তাঁর কার্যসম্পাদন করা হতে বিরত রাখতে

পারে। তিনিই পবিত্র। অর্থাৎ তিনিই প্রকাশমান

ও কল্যাণময়। সত্তাগত ও গুণগত ত্রুটি-বিচ্যুতি

হতে তিনি সম্পূর্ণরূপে মুক্ত ও পবিত্র। সমস্ত

উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ফেরেশতা এবং অন্যান্য

সবই তাঁর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণায় সর্বদা

রঙ। তিনিই অতীব মহিমান্বিত। তার কোন কাজ

হিকমতশূন্য নয়। তাঁর সমুদয় কাজকর্মেও

তিনি সর্বপ্রকারের দোষ-ত্রুটি হতে পবিত্র। তিনিই নিরাপত্তা বিধায়ক। অর্থাৎ তিনি সমস্ত মাখলুককে এ ব্যাপারে নিরাপত্তা দান করেছেন যে, তাদের উপর তার পক্ষ হতে কখনো কোন

প্রকারের অত্যাচার হবে না। তিনি যে সত্য

কথা বলেছেন, এ কথা বলে তিনি সকলকে নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছেন। তিনি তাঁর মুমিন বান্দাদের ঈমানের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনিই রক্ষক অর্থাৎ তিনি তাঁর সমস্ত মাখলকের সমস্ত আমল সদা প্রত্যক্ষ ও রক্ষাকারী। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ "আল্লাহ্

সর্ববিষয়ে রক্ষক।" (৮৫:৯) আর এক জায়গায়

বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ "আল্লাহ তাদের সমস্ত

আমলের উপর সাক্ষী।" (১০:৪৬) মহান আল্লাহ্

আরো বলেনঃ... (আরবী) ভাবার্থ এই যে, ওরা

প্রত্যেকেই কি মাথার উপর স্ব-স্ব কৃতকম নিয়ে দণ্ডায়মান নয়? (১০:০০) তিনিই পরাক্রমশালী। প্রত্যেক জিনিস তাঁর আদেশ পালনে বাধা।

প্রত্যেক মাখলুকের উপর তিনি বিজয়ী। সুতরাং তার মর্যাদা, শ্রেষ্ঠত্ব, শক্তিমত্তা এবং বড়ত্ব দেখে কেউই তাঁর মুকাবিলা করতে পারে না।

তিনিই প্রবল এবং তিনিই মহিমান্বিত। শ্রেষ্ঠত্ব ও

গৌরব প্রকাশ করা শুধু তারই জন্যে শোভনীয়। অহংকার করা শুধু তারই সাজে। যেমন সহীহ্ হাদীসে এসেছে যে, আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ "বড়াই করা আমার ইয়ার এবং অহংকার করা

আমার চাদর। সুতরাং যে ব্যক্তি এ দুটোর যে

কোন একটি নিয়ে আমার সাথে টানাটানি

করবে, আমি তাকে শাস্তি প্রদান করবে।" সমস্ত

কাজের সংস্কার ও সংশোধন তারই হাতে। তিনি প্রত্যেক কুকর্মকে ঘৃণাকারী। যারা নির্বুদ্ধিতার কারণে অন্যদেরকে আল্লাহর শরীক স্থাপন করে, আল্লাহ তা হতে পবিত্র ও মহান। তিনিই

আল্লাহ সৃজনকর্তা, তিনিই উদ্ভাবনকর্তা।

অর্থাৎ তিনিই ভাগ্য নির্ধারণকারী এবং তিনিই

ওটাকে জারী ও প্রকাশকারী। তিনি যা চান তাই নির্ধারণ করেন। কেউই এমন নেই যে, ভাগ্য নির্ধারণ ও ওটাকে চালু এ দু'টোই করতে পারে। তিনি নিজের ইচ্ছামত ভাগ্য নির্ধারণ

করেন, অতঃপর ওটা অনুযায়ী ওকে চালিয়েও

থাকেন। কখনো তিনি এতে পার্থক্য সৃষ্টি হতে দেন না। বহু পরিমাণ ও পরিমাপকারী এবং বিন্যাসকারী রয়েছে যারা পরিমাণ ও পরিমাপ করার পর ওটাকে জারী করতে এবং ওটা অনুযায়ী চালু করতে সক্ষম নয়। পরিমাণ ও

পরিমাপ করার সাথে সাথে তফীযের উপরও

যিনি ক্ষমতা রাখেন তিনিই আল্লাহ্। সুতরাং (আরবী) দ্বারা (আরবী) এবং (আরবী) দ্বারা (আরবী) উদ্দেশ্য। আরবে এই শব্দগুলো এই অর্থে বরাবরই দৃষ্টান্ত স্বরূপ পেশ করার প্রচলন

রয়েছে। আল্লাহ্ তা'আলার শান বা মাহাত্ম্য এই

যে, যে জিনিসকে তিনি যখন যেভাবে করার

ইচ্ছা করেন তখন শুধু 'হও' বলে দেন, আর তখনই তা ঐ ভাবেই এবং ঐ আকারেই হয়ে যায়। যেমন তিনি বলেনঃ (আরবী) অথাৎ "যেই আকৃতিতে চেয়েছেন, তিনি তোমাকে গঠন

করেছেন।" (৮২:৮) এজন্যেই এখানে বলেনঃ

তিনি রূপদাতা। অর্থাৎ যাকে তিনি যেভাবে

গঠন করার ইচ্ছা করেন সেভাবেই করে থাকেন।

সকল উত্তম নাম তারই। সূরায়ে আ'রাফে এই

বাক্যটির ভাফসীর গত হয়েছে। তাছাড়া ঐ

হাদীসটিও বর্ণিত হয়েছে যেটি সহীহ বুখারী ও

সহীহ মুসলিমে হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে

বর্ণনা করা হয়েছে। তা এই যে, রাসুলুল্লাহ্ (সঃ)

বলেছেনঃ 'আল্লাহ্ তা'আলার নিরানব্বইটি

অর্থাৎ এক কম একশ'টি নাম রয়েছে। যে

ব্যক্তি ওগুলো গণনা করবে ও স্মরণ রাখবে সে

জান্নাতে প্রবেশ করবে। তিনি (আল্লাহ) বে-জোড়

অর্থাৎ তিনি একক এবং বে-জোড়কে অর্থাৎ একাকীকে ভালবাসেন।" জামেউত তিরমিযীতে নামগুলো স্পষ্টভাবে এসেছে। নামগুলো হলোঃ আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন মা'বুদ নেই, তিনিই (১) রহমান, (২) রাহীম, (৩) মালিক, (৪) কুদুস, (৫)

সালাম, (৬) মুমিন, (৭) মুহাইমিন, (৮) আযীয,

(৯) জাব্বার, (১০) মুতাকাব্বির, (১১) খালিক,

(১২) বারী, (১০) মুসাব্বির, (১৪) গাফফার,

(১৫) অহ্হাব, (১৬) রাযযাক, (১৭) কাহহার,

(১৮) ফাত্তাহ্, (১৯) আলীম, (২০) কাবি, (২১) বাসিত, (২২) খাফি, (২০) রাফি, (২৪) মুইযা, (২৫) মুযিল্ল, (২৬) সামী, (২৭) বাসীর, (২৮)

হাকীম, (২৯) আদুল, (০০) লাতীফ, (৩১) খাবীর, (৩২) হালীম, (৩০) আযীম, (৩৪) গাফুর,

( ৩৫) শাকুর, (৩৬) আলী, (৩৭) কাবীর, (৩৮) হাফী, (৩৯) মুকীত, (৪০) হাসীব, (৪১) জালীল, (৪২) কারীম, (৪০) রাকীব, (৪৪) মুজীব,

(৪৫) ওয়াসি, (৪৬) হাকীম, (৪৭) অদূদ, (৪৮)

মাজীদ, (৪৯) বাই'স (৫০) শাহীদ, (৫১) হাক্ক,

(৫২) অকীল, (৫৩) কাবী, (৫৪) মাতীন,

(৫৫)

ওয়ালী, (৫৬) হামীদ, (৫৭) মুহসী, (৫৮) মুবদী,

(৫৯) মুঈদ, (৬০) মুহঈ, (৬১) মুমীত, (৬২) হাই,

(৬০) কাইয়ুম, (৬৪) ওয়াজিদ, (৬৫) মাজিদ,

(৬৬) ওয়াহিদ, (৬৭) সামাদ, (৬৮) কাদির, (৬৬)

মুকতাদির, (৭০) মুকাদিম, (৭১) মুআখির,

(৭২) আওয়াল, (৭৩) আখির, (৭৪) যাহির,

(৭৫) বাতিন, (৭৬) ওয়ালী, (৭৭) মুতাআলী,

(৭৮) বারর, (৭৯) তাওয়াব, (৮০) মুনতাকিম,

(৮১) আফু, (৮২) রাউফ, (৮০) মালিকুল

মুলক, (৮৪) যুলজালালি ওয়াল ইকরাম, (৮৫)

মুকসিত, (৮৬) জামি, (৮৭) গানী, (৮৮) মুগনী,

(৮৯) মুতী, (৯০) মানি, (৯১) যারর, (৯২) নাফি, (৯৩) নূর, (৯৪) হাদী, (৯৫) বাদী, (৯৬) বাকী, (৯৭) ওয়ারিস, (৬৮) রাশীদ (৯৯) সাবুর। সুনানে

ইবনে মাজাহতেও এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে

এবং তাতে কিছু আগা-পিছা এবং কম-বেশীও

রয়েছে। মোটকথা, এসব হাদীস ইত্যাদির বর্ণনা পূর্ণরূপে সূরায়ে আ'রাফের তাফসীরে গত হয়েছে। সুতরাং এখানে শুধু এটুকু লিখাই যথেষ্ট।

বাকী সবগুলোর পুণরাবৃত্তি নিষ্প্রয়োজন। মহান

আল্লাহ্ বলেনঃ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা

কিছু আছে, সমস্তই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। যেমন তিনি অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ "সপ্ত আকাশ, পৃথিবী এবং এগুলোর মধ্যস্থিত সব কিছু তাঁরই পবিত্রতা

ও মহিমা ঘোষণা করে এবং এমন কিছু নেই

যা তাঁর সপ্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা

করে না। কিন্তু ওদের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পার না। তিনি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ণ।" (১৭:৪৪) তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। অর্থাৎ তিনি তাঁর শরীয়তের আহকামের ব্যাপারে অতীব জ্ঞানী ও বিজ্ঞানময়। হযরত মাকাল ইবনে ইয়াসার

(রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ

"যে ব্যক্তি সকালে (আরবী) পড়ার পর সূরায়ে

হাশরের শেষ তিনটি আয়াত পাঠ করে, তার

জন্যে আল্লাহ্ তা'আলা সত্তর হাজার ফেরেশতা

নিযুক্ত করে দেন যারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার উপর

রহমত বর্ষণ করতে থাকেন। যদি ঐ দিনে ভার

মৃত্যু হয়ে যায় তবে তাকে শহীদের মর্যাদা দান করা হয়। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এগুলো পাঠ করে সেও অনুরূপ মর্যাদা লাভ করে থাকে।" (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন। জামি তিরমিযীতেও এ হাদীসটি

রয়েছে এবং ইমাম তিরমিযী (রঃ) এটাকে গারীব

বলেছেন)
#বোখারী #আলকোরান
#বুখারীশরীফ

সূরা আল হাশর , আয়াত নম্বর: ২২তাফসীর ইবনে কাছীর আল হাশর, তাফসীর আয়াত ন২১-২৪ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ্ তা'আলা কুরআন কারীমে...
29/07/2025

সূরা আল হাশর , আয়াত নম্বর: ২২
তাফসীর ইবনে কাছীর আল হাশর, তাফসীর আয়াত ন
২১-২৪ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ্ তা'আলা কুরআন কারীমের বুযুর্গী ও মাহাত্মের বর্ণনা দিচ্ছেন যে, এই পবিত্র কুরআন প্রকৃতপক্ষে উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন কিতাব। এর সামনে অন্তর ঝুঁকে পড়ে, লোম খাড়া হয়ে

যায়, কলিজা কেঁপে ওঠে। এর সত্য ওয়াদা

ও ভীতি প্রদর্শন প্রত্যেককে কাঁপিয়ে তোলে এবং আল্লাহর দরবারে সিজদায় পতিত করে। মহান আল্লাহ বলেন যদি আমি এই কুরআন পর্বতের উপর অবর্তীর্ণ করতাম তবে অবশ্যই দেখা যেতো যে, ওটা আল্লাহর ভয়ে বিনীত এবং

বিদীর্ণ হয়ে গেছে। অর্থাৎ যদি মহামহিমান্বিত আল্লাহ এই কুরআনকে কোন কঠিন ও উঁচু পর্বতের উপর অবতীর্ণ করতেন এবং ওকে চিন্তা ও অনুভূতি শক্তি দান করতেন তবে ওটাও তাঁর ভয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যেতো। তাহলে মানুষের অন্তরে তো এটা আরো অধিক ক্রিয়াশীল হওয়া

উচিত। কেননা, পর্বতের তুলনায় মানুষের অন্তর

বহুগুণে নরম ও ক্ষুদ্র এবং তাতে পূর্ণমাত্রায় বোধ ও অনুভূতি শক্তি রয়েছে। মানুষ যেন চিন্তা-গবেষণা করে এ জন্যেই আল্লাহ তাআলা মানুষের সামনে এসব দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন।

উদ্দেশ্য এই যে, মানুষের উচিত আল্লাহকে ভয়

করা ও বিনীত হওয়া। মুতাওয়াতির হাদীসে

রয়েছে যে, মিম্বর নির্মিত হওয়ার পূর্বে রাসূলুল্লাহ (সঃ) একটি খেজুর গাছের গুঁড়ির উপর দাঁড়িয়ে খুত্ব দিতেন। অতঃপর যখন মিম্বর তৈরী হয়ে গেল ও বিছিয়ে দেয়া হলো তখন তিনি তার

উপর দাঁড়িয়েই খুবাহ দিতে লাগলেন এবং ঐ

খুঁড়িটিকে সরিয়ে দেয়া হলো। ঐ সময় ঐ গুঁড়ি

হতে কান্নার শব্দ আসতে লাগলো। শিশুর মত

ওটা ফুপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকলো। কারণ

এই যে, ওকে আল্লাহর যিকির ও অহী কিছু

দূর থেকে শুনতে হচ্ছে। হযরত ইমাম বসরী

(রঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করে বলতেনঃ "হে

লোক সকল! খেজুর গাছের একটি গুড়ি যদি

আল্লাহর রাসূল (সঃ)-এর প্রতি এতো আসক্ত

হতে পারে তবে তো তোমাদের তার প্রতি ওর

চেয়ে বহুগুণ বেশী আসক্তি থাকা উচিত।

অনুরূপভাবে এই আয়াতটি যে, যদি একটি

পাহাড়ের এই অবস্থা হয় তবে এই অবস্থায় তোমাদের এর চেয়ে অগ্রগামী হওয়া উচিত। কারণ তোমরা তো শুনছো ও বুঝছো?" অন্য জায়গায় আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ 'যদি কোন কুরআন এরূপ হতো যে,

ওর কারণে পর্বতরাজিকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া

হবে অথবা যমীনকে কেটে দেয়া হবে কিংবা

মুতকে কথা বলানো হবে (তবে এর যোগ্য একমাত্র এই কুরআনই ছিল, আর তখনো কিন্তু এই কাফিররা ঈমান আনয়নের সৌভাগ্য লাভকরতো না)।" (১৩:৩১) অন্য এক জায়গায়

আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেছেনঃ

(আরবী) অর্থাৎ "পাথরও কতক এমন যে, ওটা হতে নদী-নালা প্রবাহিত হয় এবং কতক এই রূপ যে, বিদীর্ণ হওয়ার পর ওটা হতে পানি নির্গত হয়, আবার কতক এমন যা আল্লাহর ভয়ে ধ্বসে পড়ে। (২:৭৪) এরপর ইরশাদ হচ্ছেঃ আল্লাহ্

ছাড়া না কোন পালনকর্তা রয়েছে, না তার সত্তা

ছাড়া এমন কোন সত্তা রয়েছে যে, কেউ তার

কোন প্রকারের ইবাদত করতে পারে। আল্লাহ্

ছাড়া মানুষ যাদের ইবাদত করে সেগুলো সবই

বাতিল। তিনি সারা বিশ্বের দৃশ্যের ও অদৃশ্যের

পরিজ্ঞাতা। প্রকাশ্য ও গোপনীয় সব কিছুই তাঁর

কাছে পূর্ণভাবে প্রকাশমান। তিনি এমন বড়

ও প্রশস্ত রহমতের অধিকারী যে, তাঁর রহমত সমস্ত মাখলুকের উপর পূর্ণভাবে বিদ্যমান রয়েছে। তিনি দুনিয়া ও আখিরাতে রহমানও বটে এবং রাহীমও বটে। আমাদের তাফসীরের শুরুতে এ দু'টি নামের পুরো তাফসীর গত

হয়েছে। কুরআন কারীমের অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ 'আমার রহমত সমস্ত জিনিসকে পরিবেষ্টন করে রয়েছে।" (৭:১৫৬) অন্য জায়গায় আছেঃ (আরবী) অর্থাৎ

"তোমাদের প্রতিপালক তাঁর নিজের উপর

রহমত লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন।" (৬:৫৪)

আল্লাহ্ তা'আলা আরো বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ

"আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুণার প্রতিই তাদের

সন্তুষ্ট হওয়া উচিত, তাদের জমাকৃত জিনিস হতে এটাই উত্তম।" (১০:৫৮) মহান আল্লাহ্ বলেনঃ তিনিই আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোন মা'বুদ সমস্ত জিনিসের একক মালিক তিনিই।

নেই। তিনিই সবকিছুকে হেরফেরকারী। সব কিছুরই অধিকর্তা ও অধিপতি তিনিই। তিনিই সব কিছুরই ব্যবস্থাপক। কেউই এমন নেই যে তাঁর কাজে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে বা তাঁকে তাঁর কার্যসম্পাদন করা হতে বিরত রাখতে

পারে। তিনিই পবিত্র। অর্থাৎ তিনিই প্রকাশমান

ও কল্যাণময়। সত্তাগত ও গুণগত ত্রুটি-বিচ্যুতি

হতে তিনি সম্পূর্ণরূপে মুক্ত ও পবিত্র। সমস্ত

উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ফেরেশতা এবং অন্যান্য

সবই তাঁর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণায় সর্বদা

রঙ। তিনিই অতীব মহিমান্বিত। তার কোন কাজ

হিকমতশূন্য নয়। তাঁর সমুদয় কাজকর্মেও

তিনি সর্বপ্রকারের দোষ-ত্রুটি হতে পবিত্র। তিনিই নিরাপত্তা বিধায়ক। অর্থাৎ তিনি সমস্ত মাখলুককে এ ব্যাপারে নিরাপত্তা দান করেছেন যে, তাদের উপর তার পক্ষ হতে কখনো কোন

প্রকারের অত্যাচার হবে না। তিনি যে সত্য

কথা বলেছেন, এ কথা বলে তিনি সকলকে নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছেন। তিনি তাঁর মুমিন বান্দাদের ঈমানের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনিই রক্ষক অর্থাৎ তিনি তাঁর সমস্ত মাখলকের সমস্ত আমল সদা প্রত্যক্ষ ও রক্ষাকারী। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ "আল্লাহ্

সর্ববিষয়ে রক্ষক।" (৮৫:৯) আর এক জায়গায়

বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ "আল্লাহ তাদের সমস্ত

আমলের উপর সাক্ষী।" (১০:৪৬) মহান আল্লাহ্

আরো বলেনঃ... (আরবী) ভাবার্থ এই যে, ওরা

প্রত্যেকেই কি মাথার উপর স্ব-স্ব কৃতকম নিয়ে দণ্ডায়মান নয়? (১০:০০) তিনিই পরাক্রমশালী। প্রত্যেক জিনিস তাঁর আদেশ পালনে বাধা।

প্রত্যেক মাখলুকের উপর তিনি বিজয়ী। সুতরাং তার মর্যাদা, শ্রেষ্ঠত্ব, শক্তিমত্তা এবং বড়ত্ব দেখে কেউই তাঁর মুকাবিলা করতে পারে না।

তিনিই প্রবল এবং তিনিই মহিমান্বিত। শ্রেষ্ঠত্ব ও

গৌরব প্রকাশ করা শুধু তারই জন্যে শোভনীয়। অহংকার করা শুধু তারই সাজে। যেমন সহীহ্ হাদীসে এসেছে যে, আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ "বড়াই করা আমার ইয়ার এবং অহংকার করা

আমার চাদর। সুতরাং যে ব্যক্তি এ দুটোর যে

কোন একটি নিয়ে আমার সাথে টানাটানি

করবে, আমি তাকে শাস্তি প্রদান করবে।" সমস্ত

কাজের সংস্কার ও সংশোধন তারই হাতে। তিনি প্রত্যেক কুকর্মকে ঘৃণাকারী। যারা নির্বুদ্ধিতার কারণে অন্যদেরকে আল্লাহর শরীক স্থাপন করে, আল্লাহ তা হতে পবিত্র ও মহান। তিনিই

আল্লাহ সৃজনকর্তা, তিনিই উদ্ভাবনকর্তা।

অর্থাৎ তিনিই ভাগ্য নির্ধারণকারী এবং তিনিই

ওটাকে জারী ও প্রকাশকারী। তিনি যা চান তাই নির্ধারণ করেন। কেউই এমন নেই যে, ভাগ্য নির্ধারণ ও ওটাকে চালু এ দু'টোই করতে পারে। তিনি নিজের ইচ্ছামত ভাগ্য নির্ধারণ

করেন, অতঃপর ওটা অনুযায়ী ওকে চালিয়েও

থাকেন। কখনো তিনি এতে পার্থক্য সৃষ্টি হতে দেন না। বহু পরিমাণ ও পরিমাপকারী এবং বিন্যাসকারী রয়েছে যারা পরিমাণ ও পরিমাপ করার পর ওটাকে জারী করতে এবং ওটা অনুযায়ী চালু করতে সক্ষম নয়। পরিমাণ ও

পরিমাপ করার সাথে সাথে তফীযের উপরও

যিনি ক্ষমতা রাখেন তিনিই আল্লাহ্। সুতরাং (আরবী) দ্বারা (আরবী) এবং (আরবী) দ্বারা (আরবী) উদ্দেশ্য। আরবে এই শব্দগুলো এই অর্থে বরাবরই দৃষ্টান্ত স্বরূপ পেশ করার প্রচলন

রয়েছে। আল্লাহ্ তা'আলার শান বা মাহাত্ম্য এই

যে, যে জিনিসকে তিনি যখন যেভাবে করার

ইচ্ছা করেন তখন শুধু 'হও' বলে দেন, আর তখনই তা ঐ ভাবেই এবং ঐ আকারেই হয়ে যায়। যেমন তিনি বলেনঃ (আরবী) অথাৎ "যেই আকৃতিতে চেয়েছেন, তিনি তোমাকে গঠন

করেছেন।" (৮২:৮) এজন্যেই এখানে বলেনঃ

তিনি রূপদাতা। অর্থাৎ যাকে তিনি যেভাবে

গঠন করার ইচ্ছা করেন সেভাবেই করে থাকেন।

সকল উত্তম নাম তারই। সূরায়ে আ'রাফে এই

বাক্যটির ভাফসীর গত হয়েছে। তাছাড়া ঐ

হাদীসটিও বর্ণিত হয়েছে যেটি সহীহ বুখারী ও

সহীহ মুসলিমে হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে

বর্ণনা করা হয়েছে। তা এই যে, রাসুলুল্লাহ্ (সঃ)

বলেছেনঃ 'আল্লাহ্ তা'আলার নিরানব্বইটি

অর্থাৎ এক কম একশ'টি নাম রয়েছে। যে

ব্যক্তি ওগুলো গণনা করবে ও স্মরণ রাখবে সে

জান্নাতে প্রবেশ করবে। তিনি (আল্লাহ) বে-জোড়

অর্থাৎ তিনি একক এবং বে-জোড়কে অর্থাৎ একাকীকে ভালবাসেন।" জামেউত তিরমিযীতে নামগুলো স্পষ্টভাবে এসেছে। নামগুলো হলোঃ আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন মা'বুদ নেই, তিনিই (১) রহমান, (২) রাহীম, (৩) মালিক, (৪) কুদুস, (৫)

সালাম, (৬) মুমিন, (৭) মুহাইমিন, (৮) আযীয,

(৯) জাব্বার, (১০) মুতাকাব্বির, (১১) খালিক,

(১২) বারী, (১০) মুসাব্বির, (১৪) গাফফার,

(১৫) অহ্হাব, (১৬) রাযযাক, (১৭) কাহহার,

(১৮) ফাত্তাহ্, (১৯) আলীম, (২০) কাবি, (২১) বাসিত, (২২) খাফি, (২০) রাফি, (২৪) মুইযা, (২৫) মুযিল্ল, (২৬) সামী, (২৭) বাসীর, (২৮)

হাকীম, (২৯) আদুল, (০০) লাতীফ, (৩১) খাবীর, (৩২) হালীম, (৩০) আযীম, (৩৪) গাফুর,

( ৩৫) শাকুর, (৩৬) আলী, (৩৭) কাবীর, (৩৮) হাফী, (৩৯) মুকীত, (৪০) হাসীব, (৪১) জালীল, (৪২) কারীম, (৪০) রাকীব, (৪৪) মুজীব,

(৪৫) ওয়াসি, (৪৬) হাকীম, (৪৭) অদূদ, (৪৮)

মাজীদ, (৪৯) বাই'স (৫০) শাহীদ, (৫১) হাক্ক,

(৫২) অকীল, (৫৩) কাবী, (৫৪) মাতীন,

(৫৫)

ওয়ালী, (৫৬) হামীদ, (৫৭) মুহসী, (৫৮) মুবদী,

(৫৯) মুঈদ, (৬০) মুহঈ, (৬১) মুমীত, (৬২) হাই,

(৬০) কাইয়ুম, (৬৪) ওয়াজিদ, (৬৫) মাজিদ,

(৬৬) ওয়াহিদ, (৬৭) সামাদ, (৬৮) কাদির, (৬৬)

মুকতাদির, (৭০) মুকাদিম, (৭১) মুআখির,

(৭২) আওয়াল, (৭৩) আখির, (৭৪) যাহির,

(৭৫) বাতিন, (৭৬) ওয়ালী, (৭৭) মুতাআলী,

(৭৮) বারর, (৭৯) তাওয়াব, (৮০) মুনতাকিম,

(৮১) আফু, (৮২) রাউফ, (৮০) মালিকুল

মুলক, (৮৪) যুলজালালি ওয়াল ইকরাম, (৮৫)

মুকসিত, (৮৬) জামি, (৮৭) গানী, (৮৮) মুগনী,

(৮৯) মুতী, (৯০) মানি, (৯১) যারর, (৯২) নাফি, (৯৩) নূর, (৯৪) হাদী, (৯৫) বাদী, (৯৬) বাকী, (৯৭) ওয়ারিস, (৬৮) রাশীদ (৯৯) সাবুর। সুনানে

ইবনে মাজাহতেও এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে

এবং তাতে কিছু আগা-পিছা এবং কম-বেশীও

রয়েছে। মোটকথা, এসব হাদীস ইত্যাদির বর্ণনা পূর্ণরূপে সূরায়ে আ'রাফের তাফসীরে গত হয়েছে। সুতরাং এখানে শুধু এটুকু লিখাই যথেষ্ট।

বাকী সবগুলোর পুণরাবৃত্তি নিষ্প্রয়োজন। মহান

আল্লাহ্ বলেনঃ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা

কিছু আছে, সমস্তই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। যেমন তিনি অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ "সপ্ত আকাশ, পৃথিবী এবং এগুলোর মধ্যস্থিত সব কিছু তাঁরই পবিত্রতা

ও মহিমা ঘোষণা করে এবং এমন কিছু নেই

যা তাঁর সপ্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা

করে না। কিন্তু ওদের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পার না। তিনি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ণ।" (১৭:৪৪) তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। অর্থাৎ তিনি তাঁর শরীয়তের আহকামের ব্যাপারে অতীব জ্ঞানী ও বিজ্ঞানময়। হযরত মাকাল ইবনে ইয়াসার

(রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ

"যে ব্যক্তি সকালে (আরবী) পড়ার পর সূরায়ে

হাশরের শেষ তিনটি আয়াত পাঠ করে, তার

জন্যে আল্লাহ্ তা'আলা সত্তর হাজার ফেরেশতা

নিযুক্ত করে দেন যারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার উপর

রহমত বর্ষণ করতে থাকেন। যদি ঐ দিনে ভার

মৃত্যু হয়ে যায় তবে তাকে শহীদের মর্যাদা দান করা হয়। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এগুলো পাঠ করে সেও অনুরূপ মর্যাদা লাভ করে থাকে।" (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন। জামি তিরমিযীতেও এ হাদীসটি

রয়েছে এবং ইমাম তিরমিযী (রঃ) এটাকে গারীব

বলেছেন)
#বোখারী #আলকোরান
#বুখারীশরীফ

৬৯৫৪; মুসলিম ২/২, হাঃ ২২৫, আহমাদ ৮০৮৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৩৭)সহিহ বুখারী: ১৩৫হাদিসের মান: সহিহ হা...
28/07/2025

৬৯৫৪; মুসলিম ২/২, হাঃ ২২৫, আহমাদ ৮০৮৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৩৭)

সহিহ বুখারী: ১৩৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
#বুখারীশরীফ

#আলকোরআন

#বোখারী
#আলকোরান Highlight
Ali Akbor

(৪৫১৪; মুসলিম ১/৫ হাঃ ১৬, আহমাদ ৬০২২, ৬৩০৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৭)সহিহ বুখারী: ৮হাদিসের মান: সহিহ হাদ...
28/07/2025

(৪৫১৪; মুসলিম ১/৫ হাঃ ১৬, আহমাদ ৬০২২, ৬৩০৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৭)

সহিহ বুখারী: ৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
#বোখারী


#আলকোরান
#বুখারীশরীফ

#আলকোরআন

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘আম্‌র (রাঃ) হতে বর্ণিত: নবী‎ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমার কথা পৌঁছিয়ে দাও, যদি তা ...
27/07/2025

‘আবদুল্লাহ ইব্‌নু ‘আম্‌র (রাঃ) হতে বর্ণিত:

নবী‎ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমার কথা পৌঁছিয়ে দাও, যদি তা এক আয়াতও হয়। আর বনী ইসরাঈলের ঘটনাবলী বর্ণনা কর। এতে কোন দোষ নেই। কিন্তু যে কেউ ইচ্ছা করে আমার উপর মিথ্যারোপ করল, সে যেন জাহান্নামকেই তার ঠিকানা নির্দিষ্ট করে নিল।

সহিহ বুখারী: ৩৪৬১
#বোখারী

#আলকোরান
#বুখারীশরীফ

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ- (১০৯০), মুসলিম।জামে' আত-তিরমিজি: ৪৯৮হাদিসের মান: সহিহ হাদিস   #বোখারী    #আলকোরান  #বুখারীশরীফ
25/07/2025

সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ- (১০৯০), মুসলিম।

জামে' আত-তিরমিজি: ৪৯৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

#বোখারী

#আলকোরান
#বুখারীশরীফ

সূরা হুদ, তাফসীর আয়াত নং: ৫------------------------------------- ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে অনেকটাই আছে, জনগণ আকাশের সামনে প...
24/07/2025

সূরা হুদ, তাফসীর আয়াত নং: ৫
-------------------------------------
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে অনেকটাই আছে, জনগণ আকাশের সামনে প্রস্রাবখানা এবং স্ত্রী সহবাস পায়। থাকতো। তখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াত অবতীর্ণ করেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) (আরবি) কে খুঁজেন। তখন ইবনু জা'ফর (রঃ) তাকে খরচ করেন (আরবি) এর অর্থ কি? তিনি উত্তরে বলেন, "ঐ লোককে সহানুভূতি করা হয়েছে, যে স্ত্রীবাস করতে ভুল বুঝতে পারে অথবা নির্জনতার পরীক্ষা পায়। তখন এই আয়াত অবতীর্ণ হয়।" ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, আবার আকাশের কাছে নির্জনে পুলিশ এবং সহবাস করতে শরম করতো এবং নিজের মুখ নিতো। বিশেষ করে ঐ সময়, যখন তারা বিছানা পেতে শুকিয়ে এবং মাথা ঢেকে নিতো। তাদের চিন্তাভাবনা এই ছিল যে, যদি তারা বাসস্থানে অবস্থান করে বা কাপড়-চোপড় কোন খারাপ কাজ করে, তবে তারা তাদের কাছ থেকে পাকার্য গোপন করতে পারে। তাই, আল্লাহ পাক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ তারা রাতের অন্ধকারে শয়ন করার সময় কাপড়ের সামনে দেয়। কিন্তু তারা কোন কাজ করেই বা প্রকাশ্যেই করুক, আল্লাহ তা জানেন। এমন কি মানুষের অন্তরের নিয়ত, মনের ইচ্ছা এবং গুপ্ত সম্পর্কেও আল্লাহ পূর্ণ ওয়াকিফহাল। সাবআ' মুআল্লাকার ফকির কবি ইউহাইর বলেছেন: (আরবি) শব্দ "তোমরা আমার গোপন কথাকে গোপন করার চেষ্টা করো না, কেননা আল্লাহ থেকে যা গোপন করা হয় তা তিনি আমার মনে হয় না। এবং কিয়ামতের জোরে প্রভাবনামায় রকেট থাকবে, না হয় দ্রুত দুনিয়াতে শান্তি দিয়ে দিতে হবে। ছিল। যেমন তিনি, পরকাল রয়েছে, তার প্রতিফল অবশ্যই জানতে হবে, যে কর্মকাণ্ড এবং আমলনামা আছে সংঘটিত হবে। কথিত আছে যে, কোন এক মুশরিক নবীর (সঃ) যাবার সময় তার মুখটি কথা বলে এবং মস্তক ঢেকে বলে। তখন আল্লাহ তা'আলা এই আয়াত অবতীর্ণ করেন। কিন্তু এটাকে ওয়ার্কের দিকে সম্বন্ধে যুক্ত করাই সঙ্কুচিত। অন্যের ভাবার্থ এই যে, সে হতে লুকাতে চায়।
#বোখারী #আলকোরআন #আলকোরান #বুখারীশরীফ Highlight

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার কাছে যে...
23/07/2025

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত:

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার কাছে যে লোক চায় না, আল্লাহ তা‘আলা তার উপর নাখোশ হন।

হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮২৭)

জামে' আত-তিরমিজি: ৩৩৭৩
হাদিসের মান: হাসান হাদিস
#বোখারী


#আলকোরআন

সূরা মোহাম্মদ আয়াত নং ১৪   #বোখারী    #আলকোরআন
23/07/2025

সূরা মোহাম্মদ আয়াত নং ১৪

#বোখারী

#আলকোরআন

সূরা, আন-নাসর #আলকোরান
21/07/2025

সূরা, আন-নাসর
#আলকোরান

21/07/2025

আসুন প্রতিদিন একটি করে হাদিস শিখি
#আলকোরান
#বুখারীশরীফ
Highlight

সহীহ : বুখারী (৩২৫২)।জামে' আত-তিরমিজি: ২৫২৩হাদিসের মান: সহিহ হাদিস #আলকোরান      #বুখারীশরীফ
20/07/2025

সহীহ : বুখারী (৩২৫২)।

জামে' আত-তিরমিজি: ২৫২৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
#আলকোরান

#বুখারীশরীফ

Address

Lakshmipur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ali Akbor posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ali Akbor:

Share