
31/05/2025
গুগল ম্যাপের মাধ্যমে একটি ভালোবাসার গল্প।
প্রতিটি ছবিতে ক্যাপশন পড়ুন।
২০১৫ সালে দুই বৃদ্ধ দম্পতি পাশাপাশি বসে এক প্লেটে খাবারের খাওয়ায় বাড়ির পাশে।
এক বছর পরে,২০১৬ সালে,ক্যামেরা আবার তাদের বন্দী, এখনও একই জায়গায় বসে,শুধুমাত্র ভিন্ন আসন। তাদের পৃথিবী ছোট,কিন্তু একে অপরের যত্নবান দুটি হৃদয়ের জন্য যথেষ্ট।
২০১৭ সালে শুধু ঠাকুমাকে দেখা গিয়েছিল এক চেয়ারে বসে সামনে তাকিয়ে। কিন্তু দাদুকে আর ছবিতে দেখা যাবে না😢
২০১৮ সালে,দাদী এখনও সেখানে ছিলেন,কিন্তু তিনি আর তার স্বাভাবিক চেয়ারে বসেন না। ঘরের অর্ধবন্ধ দরজার সামনে বসেছিলেন,শরীর দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন।
২০২০ সালে দাদী আবার স্বাভাবিক চেয়ারে ফিরে এলেন, চিন্তায় এলোমেলো হয়ে বসে,কুচকে যাওয়া হাত দিয়ে থুতুকুকে আদর করে, যেন এমন কারো অপেক্ষায় যে আর ফিরবে না।
২০২১ সালে তার শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে,তার পদক্ষেপ আর স্থিতিশীল ছিল না। সে শুধু তার অতীতের ছায়া,
আজও স্মৃতি আঁকড়ে আছে।
২০২২ সালে নীল ঘরের দরজা শক্ত করে বন্ধ ছিল। ঠাকুমার কোন খোঁজ নেই। হয়তো সে তার প্রিয়তমার সাথে গিয়েছিল। তারা সম্ভবত এখন আরো শান্তিপূর্ণ জায়গায় একসাথে।
২০১৩ সালে বাড়ির চারপাশে আগাছা বেড়ে গেল,তার রঙ ম্লান হয়ে গেল,এবং দরজা বন্ধ হয়ে গেল। সিট খালি আছে আগের মত বের করা হয় নি
২০২৪ সালে আগাছা সরিয়ে ফেলা হয়েছিল,কিন্তু ঘরটা চুপ করে ছিল। চেয়ারগুলো দাঁড়িয়ে আছে,অপেক্ষা করার মত,কিন্তু দেখা হয়নি।
এবং এখন, ২০২৫ সালে,বাড়িটি চলে গেছে,গ্রাউন্ডেড। সেখানে তাদের কোন সন্ধান নেই। শুধু স্মৃতি,শুধু ছবি। ভালোবাসা... সত্যিই সুন্দর। সত্যিকারের ভালোবাসারও বিচ্ছেদ হতে হয়।
এদের সম্পর্কে কেউ গল্প বলে না। আমি বাদে। গুগল ম্যাপের মাধ্যমে।
সংগৃহিত