20/10/2025
তুলসীর মালা তিন প্যাচ ধারণের বিস্তারিত🙏🙏🙏
👉🏻প্রশ্নঃ- গলায় তুলসী মালা কেন তিন প্যাঁচ দিয়ে পরতে হয়!
এক প্যাঁচ দিয়ে পরতে নেই কেন।
👉🏻উত্তরঃ- স্কন্দপুরাণে বলা হয়েছে-
যৎকন্ঠে তুলসী নাস্তি তে নরা মূঢ় মানসাঃ।
সুনো বিষ্ঠা-সমং চান্নং জলং চ মদিরা সমং।।
যে ব্যক্তি নিজের গলায় তুলসী মালা ধারণ করে না ওই মূঢ় ব্যক্তি যদি জল স্পর্শ করে তাহলে ঐজল মদের সমান হয়ে যায় আর যদি অন্ন স্পর্শ করে তাহলে সেই অন্ন রাজহংসের বিষ্ঠা (মল)সম হয়ে যায়।
তাই প্রত্যেক মানুষের তুলসী মালা পরিধান করা একান্ত কর্তব্য।
পদ্মপুরাণে বলা হয়েছে--
স্নানকালে তু যস্যাঙ্গে,দৃশ্য তে তুলসী শুভাঃ।
সর্বতীর্থেসু স্নানং ভবতি তে নন সংশয়।।
যখন কোন মানুষ গলায় তুলসী মালা ধারণ করে স্নান করে তখন ওই তুলসীকে স্পর্শ করে জল সর্বাঙ্গে স্নান হয় ঐ ব্যক্তি এই পৃথিবীর সর্ব তীর্থ স্নানের পুণ্যফল প্রাপ্তি হয়ে যায়।
শ্রীল ব্যাসদেব গোস্বামী পদ্মপুরাণে এই সত্য কথা লিখেছেন এতে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না।
এবার তুলসী মালা কেন তিন প্যাঁচ দিয়ে গলায় ধারণ করা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করা যাক!
শাস্ত্র-সম্মত ভাবে গলায় তিনি প্যাঁচ দিয়ে তুলসী মালা ধারণ করা কর্তব্য কারণ স্মৃতিশাস্ত্রে তিন প্যাঁচ দিয়ে তুলসী মালা ধারণ করার কথা উল্লাখ করা হয়েছে। তিন প্যাঁচ দিয়ে তুলসী মালা ধারণ করার সময় তিনটি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হয়---
👉🏻১৷ প্রথম প্যাঁচ দিয়ে বলতে হয় আমি নিজেকে উদ্ধার করিব হরিনামের দ্বারা!
👉🏻২৷ দ্বিতীয় প্যাঁচ দিয়ে বলতে হয় আমি আমার পরিবারকে উদ্ধার করিব হরিনামের দ্বারা!
👉🏻৩৷ তৃতীয় প্যাঁচ দিয়ে বলতে হয় আমি যাহাকে দেখিব তাহাকে বলিব হরিনাম করিলে উদ্ধার হইবে এ হরিনামের দ্বারা।
তুলসী মালা প্রথম প্যাঁচ নিদের্শ করে সমন্ধ তত্ত্ব অর্থাৎ জীবের স্বরূপ হয় কৃষ্ণের নিত্য দাস, কৃষ্ণের সঙ্গে যে আমার নিত্য-সমন্ধ রয়েছে সেই সমন্ধকে স্মরণ করে গভীর প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে।
তুলসী মালার দ্বিতীয় প্যাঁচ নিদের্শ করে অভিধেয় তত্ত্ব অর্থাৎ কৃষ্ণের সঙ্গে যে একমাত্র সমন্ধ রয়েছে তাকে পাওয়া একমাত্র উপায় হল ভক্তি!
সমস্ত বৈদিক শাস্ত্র তাই ভগবদ্ভক্তির পন্থাকে অভিধেয় বলে বর্ণনা করা হয়েছে তাই এই তুলসী দ্বিতীয় প্যাঁচ দিয়ে আমি যেন সেই শুদ্ধ ভক্তি লাভ করতে পারি।👏
তুলসী মালা তৃতীয় প্যাঁচ নিদের্শ করে প্রয়োজন তত্ত্ব সমস্ত জীবের একমাত্র প্রয়োজন হল কৃষ্ণ প্রেম লাভ করা।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণকৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই স-কলকে সেয়ার করবেন।
প্রনিপাত👏
সদা - সর্বদা শ্রীশ্রী রাধা ও কৃষ্ণের পাদপদ্মের কথা স্মরণ করুন তাহলে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা আপনার জন্য বরাদ্দকৃত কার্য্য সম্পাদন করতে কোন ও অসুবিধা অনুভব করতে হবে না।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণের কৃপার প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভরসা রাখতে হবে শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র নামটিতে অসাধারণ আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে কারণ শ্রীকৃষ্ণের নাম স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের থেকে আলেদা নহে---
ঐকান্তিক ভালবাসা এবং নিষ্ঠার সাথে এই নামগুলি জপ করুন তবেই আপনি চিন্ময় আনন্দ অনুভব করবেন।👏
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণকৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
゚