রবি হাসান

রবি হাসান সৃষ্টিকর্তাই মহান!
(5)

  বুদ্ধি থাকতে গায়ের জোরের প্রজন হয়না!বুদ্ধিমান ছাগলছানা ও ভয় দেখানো শিয়ালঅনেক দিন আগের কথা। এক পাহাড়ি জঙ্গলের ধারে ...
01/10/2025

বুদ্ধি থাকতে গায়ের জোরের প্রজন হয়না!
বুদ্ধিমান ছাগলছানা ও ভয় দেখানো শিয়াল
অনেক দিন আগের কথা। এক পাহাড়ি জঙ্গলের ধারে বাস করত এক ছাগলছানা, যার নাম ছিল মিতুল। মিতুল ছিল খুব চটপটে, কিন্তু আকারে বেশ ছোট। সে তার মায়ের কাছ থেকে সব সময় শুনেছিল যে জঙ্গলের পথে একা একা যাওয়া বিপদজনক, কারণ সেখানে শিয়াল লুকিয়ে থাকে।
একদিন মিতুল ঘাস খেতে খেতে তার মায়ের নজর এড়িয়ে দূরে চলে গেল। জঙ্গলের একটু ভেতরে যেতেই সে দেখল, একটি শিয়াল তার দিকে এগিয়ে আসছে। শিয়ালটি ছিল খুব ধূর্ত এবং মিতুলকে দেখেই তার মুখে জল এল।
শিয়ালটি দাঁত বের করে বলল, "আহা! আজ আমার কপাল ভালো! এত তাজা আর নরম একটি খাবার নিজে থেকেই আমার কাছে চলে এসেছে! এবার আমি তোমাকে ধরে খাব!"
মিতুল ভয় পেয়ে গেল, কিন্তু সে জানত ভয় পেলে চলবে না। তার মা তাকে শিখিয়েছিল—বিপদের সময় সাহস আর বুদ্ধি দিয়ে কাজ করতে হয়।
মিতুল নিজেকে সামলে নিল এবং শিয়ালটিকে বলল, "শিয়াল মামা, দাঁড়াও! তুমি আমাকে এখনই খেতে পারবে না।"
শিয়াল অবাক হয়ে বলল, "কেন? কেন খেতে পারব না? তোমার কি কোনো বিশেষ ক্ষমতা আছে নাকি?"
মিতুল খুব চালাকির সঙ্গে বলল, "হ্যাঁ, মামা। আমার মা আমাকে শিখিয়েছেন, যখন কোনো শিকারি আমাকে ধরতে আসে, তখন আমি যেন তাকে একটা বিশেষ কাজ করি। তুমি যদি আমাকে খাও, তবে তোমাকে প্রথমে একটা গান গাইতে হবে।"
শিয়ালটি তখন একটু হাসল। সে ভাবল, 'আহা, এ তো আরো মজার ব্যাপার! গান গেয়ে খাবার পাওয়া যাবে!'
শিয়ালটি বলল, "বেশ তো! বলো, কেমন গান গাইব?"
মিতুল বলল, "আমার মায়ের বারণ আছে। তিনি বলেছেন, জোরে জোরে গান গাইতে। যাতে দূর থেকে অন্য কেউ শুনতে না পায়।" আসলে মিতুল চেয়েছিল শিয়ালটি যেন জোরে চেঁচিয়ে গান গায়।
শিয়ালটি খুশি হয়ে জোরে জোরে হুক্কা হুয়া করে গান গাইতে শুরু করল। তার সেই কর্কশ ও জোরে ডাক শুনে আশেপাশের এলাকার কুকুরগুলো সতর্ক হয়ে গেল।
মিতুল তখন শিয়ালকে বলল, "বাহ্! খুব সুন্দর গাইছো, মামা! আরেকটু জোরে গাও তো!"
শিয়ালটি আরও জোরে চিৎকার করে গান গাইতে লাগল। কিছুক্ষণের মধ্যেই শিয়ালের শব্দ লক্ষ্য করে গ্রামের রাখাল ও কুকুরগুলো ছুটে এল। তারা লাঠি হাতে শিয়ালকে তাড়া করল।
শিয়াল তখন প্রাণের ভয়ে লেজ তুলে সেই জঙ্গল থেকে পালাল। সে বুঝতে পারল, এই ছোট ছাগলছানাটি দেখতে ছোট হলেও আসলে খুব চালাক!
মিতুল তখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল এবং দৌড়ে মায়ের কাছে ফিরে গেল। সেদিনের পর থেকে মিতুল আর কখনো একা দূরে যেত না, কিন্তু সে এটা শিখেছিল যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতেও বুদ্ধি খাটালে নিজেকে রক্ষা করা যায়।
গল্পের শিক্ষা:
এই গল্পের শিক্ষা হলো: বিপদে ধৈর্য ধরো, আর বুদ্ধি খাটাও। শুধু শক্তি বা আকার দিয়ে সব কাজ হয় না। অনেক সময় সাহস আর বুদ্ধির জোরে দুর্বলও শক্তিশালীকে হারিয়ে দিতে পারে।

With Tanzin Food bd – I'm on a streak! I've been a top fan for 12 months in a row. 🎉
30/09/2025

With Tanzin Food bd – I'm on a streak! I've been a top fan for 12 months in a row. 🎉

  মানুষের জীবনে সাফল্য একদিনে আসে না। কেউই শুধু ভাগ্যের উপর ভরসা করে জীবনে বড় হতে পারে না। আবার শুধু অন্ধ পরিশ্রম করলেও ...
30/09/2025

মানুষের জীবনে সাফল্য একদিনে আসে না। কেউই শুধু ভাগ্যের উপর ভরসা করে জীবনে বড় হতে পারে না। আবার শুধু অন্ধ পরিশ্রম করলেও সবসময় কাঙ্ক্ষিত ফল মেলে না। আসল কথা হলো— ভাগ্যে যা লেখা আছে, তা পেতে হলে চেষ্টা ও পরিশ্রম করতে হয়।

ভাবুন তো, কৃষক যদি বীজ মাটিতে না ফেলে, তবে কি শুধু ভাগ্যের জোরে ফসল উঠবে? নিশ্চয়ই না। তাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়— মাটি চাষ করতে হয়, নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়। এরপর বৃষ্টিপাত বা আবহাওয়ার মতো অদৃশ্য বিষয়গুলো তার ভাগ্যের অংশ হয়ে যায়। অর্থাৎ চেষ্টা ছাড়া ভাগ্যের দানও বৃথা হয়ে যায়।

ইতিহাসে দেখা যায়, যাঁরা জীবনে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছেন, তাঁদের সবার পথচলায় ছিল নিরলস পরিশ্রম। ভাগ্যের সহায়তা তাঁরা পেয়েছিলেন, কিন্তু সেই সহায়তা কাজে লাগিয়েছিলেন চেষ্টা আর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে।

তাই আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে— ভাগ্য দরকার, কিন্তু চেষ্টা ছাড়া ভাগ্যও অসহায়। যে মানুষ স্বপ্ন দেখে, লক্ষ্য স্থির করে, আর নিরলস পরিশ্রম করে, তার ভাগ্যও একসময় তাকে সফলতার সিঁড়িতে তুলে দেয়।

তাই বলাই যায়— ভাগ্যে লেখা থাকলেও চেষ্টা ও পরিশ্রম ছাড়া সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। চেষ্টা করো, পরিশ্রম করো, ভাগ্য একদিন তোমার দুয়ারেই কড়া নাড়বে।




With MD Sumon Islam – I'm on a streak! I've been a top fan for 12 months in a row. 🎉
30/09/2025

With MD Sumon Islam – I'm on a streak! I've been a top fan for 12 months in a row. 🎉

  ১০টি নিয়ম, যা আপনাকে ৯৭% মানুষের থেকে এগিয়ে রাখবেআমরা প্রতিদিনই প্রতিযোগিতায় আছি চাকরি, ব্যবসা, সম্পর্ক বা ব্যক্তিগত উ...
29/09/2025

১০টি নিয়ম, যা আপনাকে ৯৭% মানুষের থেকে এগিয়ে রাখবে

আমরা প্রতিদিনই প্রতিযোগিতায় আছি চাকরি, ব্যবসা, সম্পর্ক বা ব্যক্তিগত উন্নতি সবখানেই। কিন্তু যারা সত্যিই এগিয়ে যায়, তারা শুধু বেশি পরিশ্রম করে না; তারা আলাদা কৌশল ব্যবহার করে:

১. অন্ধ ভরসা নয়, বুদ্ধিমত্তা

বন্ধুদের ওপর অতিরিক্ত ভরসা করা বিপদজনক হতে পারে। বরং পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিপক্ষকেও কাজে লাগাতে শিখুন।

২. কম বলুন, বেশি শুনুন

প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কথা মানুষকে দুর্বল করে। সংযত হওয়া মানেই শক্তিশালী হওয়া।

৩. নিখুঁত না দেখানোর কৌশল

অতিরিক্ত নিখুঁত মানুষ হিংসা জাগায়। সামান্য অসম্পূর্ণতাই আপনাকে মানবিক করে তোলে।

৪. সময় বোঝার শিল্প

সফলতা নির্ভর করে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর।

৫. কাজ দিয়ে জিতুন

তর্কে নয়, কাজের ফলাফলে মানুষ মুগ্ধ হয়। প্রমাণ দিন কাজে।

৬. কোথায় থামতে হবে শিখুন

জেতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সঠিক সময়ে থামতে পারাটাও বুদ্ধিমত্তা।

৭. নিজেকে আলাদা করবেন না

দুর্গ বানিয়ে বিচ্ছিন্ন হওয়া আপনাকে দুর্বল করে। সংযোগই আসল শক্তি।

৮. অনুপস্থিতিকে শক্তি বানান

সবসময় উপস্থিত থাকলে আপনার মূল্য কমে যায়। কখনো অনুপস্থিত থাকুন, যাতে আপনার উপস্থিতি আরও সম্মানের হয়।

৯. শক্তি কেন্দ্রীভূত করুন

এদিক-ওদিক শক্তি ছড়াবেন না। এক জায়গায় ফোকাস করলে ফলাফল বহুগুণ হয়।

১০. ভেতরে ভিন্ন, বাইরে মানানসই

মন যা চায় ভাবুন, কিন্তু সমাজে টিকে থাকতে আচরণে সবার সঙ্গে মানানসই হন।

👉 প্রশ্ন হলো, আপনি কি ভিড়ে হারিয়ে যাবেন, নাকি ৩%–এর দলে নাম লেখাবেন?

  🌸 কিছুই থেমে থাকে না, সময় তার আপন গতিতেই ছুটে চলে…সবকিছু বদলে যায়, মানুষ, মুহূর্ত, সম্পর্ক—তবুও কিছু একটা থেকে যায় চুপ...
28/09/2025

🌸 কিছুই থেমে থাকে না, সময় তার আপন গতিতেই ছুটে চলে…
সবকিছু বদলে যায়, মানুষ, মুহূর্ত, সম্পর্ক—
তবুও কিছু একটা থেকে যায় চুপচাপ জমে…
💭 সেটাই স্মৃতি।

স্মৃতিরা আমাদের হাসায়, কখনো কাঁদায়, আবার কখনো নিঃশব্দে হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর সাথে মিলিয়ে দেয়।
জীবন এগিয়ে চলে, কিন্তু হৃদয়ের কোণে স্মৃতিগুলোই হয়ে থাকে চির অমর হয়ে!

With Jerin Akter – I'm on a streak! I've been a top fan for 12 months in a row. 🎉
28/09/2025

With Jerin Akter – I'm on a streak! I've been a top fan for 12 months in a row. 🎉

  রাজা না খেয়ে মরলেও ভিক্ষা করে না।ঈগল পাখি কখনো মৃত প্রাণীর মাংস খায় না।কারণ? এটাই তাদের আত্মসম্মানবোধ, ইগো নয় এটা হ...
27/09/2025

রাজা না খেয়ে মরলেও ভিক্ষা করে না।

ঈগল পাখি কখনো মৃত প্রাণীর মাংস খায় না।
কারণ? এটাই তাদের আত্মসম্মানবোধ, ইগো নয় এটা হলো স্ট্রং মেন্টালিটি।

🔑 স্ট্রং মেন্টালিটি মানে কি?

অযাচিত আগ্রহ কমিয়ে দেয়া।

মেপে কথা বলা ও মেপে চলা।

যেখানে আপনি গুরুত্ব পাচ্ছেন না, সেখান থেকে সাহস করে সরে আসা।

🧠 নতুন দিক:

1. সীমারেখা (Boundaries) তৈরি করুন যেকোনো সম্পর্কে বা পরিস্থিতিতে স্পষ্ট সীমা নির্ধারণ করুন। এতে আত্মসম্মান বজায় থাকে, অযথা মানসিক চাপ আসে না।

2. গ্রোথ মাইন্ডসেট গড়ে তুলুন সমস্যাকে ব্যর্থতা নয়, শেখার সুযোগ ভাবুন। ঈগল যেমন আকাশে উড়ে ঝড়কে নিজের শক্তিতে পরিণত করে, তেমনি সমস্যাগুলো আপনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে।

3. ডিট্যাচমেন্ট (Detachment) প্র্যাকটিস করুন কাউকে ভালোবাসা মানে তাকে নিজের জীবনের আবশ্যিক অংশ বানানো নয়। একসাথে না থেকেও সম্পর্ক টিকে থাকে, যদি আপনি মনের শান্তিকে অগ্রাধিকার দেন।

4. শোনার অভ্যাস গড়ুন সবসময় উত্তর দেওয়া জরুরি নয়। অনেক সময় শুধু শোনা-ই সবচেয়ে বড় শক্তি।

5. মিনিমালিজমে অভ্যস্ত হন কম বলুন, কম ব্যাখ্যা দিন, কম অজুহাত দিন। অপ্রয়োজনীয় শব্দ, ব্যস্ততা আর মানুষের প্রত্যাশার বাইরে গেলেই জীবনের চাপ কমে যায়।

🌱 মনে রাখুন:

নিজের কাছে হার মানা মানেই শেষ নয়, আবার উঠে দাঁড়ানো মানেই নতুন জীবন।

অন্যরা আপনার জীবন লিড করছে না, আপনি নিজেই নিজের নেতা।

পজিটিভ মানুষ দেখতে সুন্দর, তবে তাদের সংগ্রাম সবচেয়ে বেশি।

🦅 ঈগলের মতো সাহস রাখুন, একা হলেও নিজের পথে চলুন।
কারণ, আত্মসম্মান আর মানসিক শক্তিই জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ।

゚viralfbreelsfypシ゚viral #

  অন্ধের মতো সবার সঙ্গে পথ চলার আগে সাবধান হও..অন্ধভাবে ভিড়ের সাথে চলা সহজ,কারণ সেখানে নিজেকে আলাদা করে চিন্তাভাবনা করতে...
27/09/2025

অন্ধের মতো সবার সঙ্গে পথ চলার আগে সাবধান হও..

অন্ধভাবে ভিড়ের সাথে চলা সহজ,
কারণ সেখানে নিজেকে আলাদা করে চিন্তাভাবনা করতে হয় না।
কিন্তু মনে রেখো—
👉 ভিড় সবসময় সঠিক পথে চলে না।

যেখানে সবাই যাচ্ছে, সেখানেই যে সত্যিকারের সাফল্য বা শান্তি আছে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।
বরং অনেক সময় ভিড়ের সাথে মিশে গিয়ে তুমি নিজের স্বপ্ন, লক্ষ্য আর অনন্যতাকে হারিয়ে ফেলো।

✨ তাই—

নিজের বুদ্ধি ব্যবহার করো।

বিশ্লেষণ করো কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল।

সঠিক হলে তবেই সেই পথে হাঁটো, নাহলে সাহসী হয়ে নিজের পথ তৈরি করো।

💡 ইতিহাসে যারা পরিবর্তন এনেছে, তারা ভিড়ের সাথে চলেনি—
তারা নিজেরাই নতুন ভিড় তৈরি করেছে।

👉 তাই, সিদ্ধান্ত তোমার—
অন্ধভাবে ভিড়ের পেছনে হাঁটবে, নাকি চোখ খুলে নিজের পথ নিজেই তৈরি করবে..!!


゚viralfbreelsfypシ゚viral

  ঠকবাজি আর অভিশাপের বাণীবাজার করতে গিয়ে আপনি কি কখনো ঠকেছেন? পচা মাছ, চর্বিযুক্ত মাংস কিংবা গোলমেলে সবজি কি বাজারের ব্য...
26/09/2025

ঠকবাজি আর অভিশাপের বাণী

বাজার করতে গিয়ে আপনি কি কখনো ঠকেছেন? পচা মাছ, চর্বিযুক্ত মাংস কিংবা গোলমেলে সবজি কি বাজারের ব্যাগে ঘরে চলে এসেছে? দাম ও মানে- দু’টোর দিকেই যখন ধরা খান, তখন বউয়ের বকুনি নিশ্চিত। মা-বাবাও হয়তো বলেন— “ব্যাটা, তোর বোধবুদ্ধি হবে কবে? কীভাবে টিকে থাকবি ধরাধামে?”

আসলেই, যাদের বুদ্ধি-সুদ্ধি কম, তারা প্রায়ই ঠকে যায়। দূরের মানুষ, আবার মনের মানুষ- মাঝে মাঝে তো প্রতিযোগিতা করে ঠকায়। তা সে খাবার কেনা হোক কিংবা পোশাক—সহজ-সরলদের জয় পাওয়া ভার। এমনকি চতুরদেরও এই বাজারে জান-মাল নিয়ে অক্ষত ফেরা কঠিন। তবে যাদের কুবুদ্ধি আছে, তারা হয়তো ব্যালান্স করে নিতে পারে।

আপনার ঠকে যাওয়া সাময়িক সমস্যা বটে, কিন্তু যিনি আপনাকে ঠকিয়েছেন—মূল অপরাধটা করেছেন তিনিই। আপনি ঠকে কী করলেন? নিরুপায় হয়ে হয়তো অভিশাপ দিলেন, অথবা অবচেতনে অভিযোগ জানালেন। যাচাই করার ক্ষমতা যেহেতু আপনার হাতেই ছিল, কাজেই দায় একেবারে অন্যের ঘাড়ে চাপানো যায় না। তবে যিনি ইচ্ছা করে ঠকিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করেছেন, আপনার জীবনকে কঠিন করেছেন—তাকে প্রায়শ্চিত্ত করতেই হবে। তার এই অন্যায়ের শাস্তি ছাড়া উপায় নেই। ব্যবসা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ কাজ, কিন্তু ব্যবসায়ের অপব্যবহার করে যারা প্রতারণা করে, তাদের কৈফিয়ত শুরু হয় দুনিয়া থেকেই এবং শেষ হয় না আখেরাতেও।

স্বাভাবিকের চেয়ে বহুগুণ দাম বাড়িয়ে, মজুদ করে মুনাফা করা—এ কোনো দান-সদকার কাজ নয়। অনেকে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অহেতুক লাভ করে, তারপর মসজিদ-মাদরাসায় দান করে দানবীর সাজে। কিন্তু খোদার কাছে এ দানবীরত্বের বিন্দুমাত্র মূল্য নেই। আল্লাহর কাছে প্রকৃত সৎ ব্যবসায়ীই বেশি প্রিয়। বরকতের যে নয়ভাগ ব্যবসায় রাখা হয়েছে, তা কখনোই অসৎ ব্যবসায়ীদের জন্য নয়। অতি-মুনাফাখোরদের জন্য দাউ দাউ করে আগুনের লেলিহান শিখা অপেক্ষা করছে।

যে-ই মানুষকে কষ্ট দেবে, শাস্তি সে পাবেই। এক কেজির জায়গায় ৯৭০ গ্রাম মাংস দেওয়া আর তার ভেতরে ২০০ গ্রাম চর্বি ঢুকিয়ে দেওয়া—এটাই বরকতবিহীন জীবনের সূচনা। অবৈধ অর্থের শেষ হয় সন্তানের নেশায়, সঙ্গীর বিশ্বাসভঙ্গে কিংবা নিজের মানসিক যন্ত্রণায়। কাউকে ঠকালে বুকের গভীর থেকে যে দীর্ঘশ্বাস বের হয়, তা অনেককিছুকেই ভস্ম করে দেয়। মাছে রাসায়নিক, মাংসে ভেজাল কিংবা সবজিতে বিষাক্ত দ্রবণ—এসব আসলে নিজের ধ্বংসকে নিজেই ডেকে আনা ছাড়া আর কিছু নয়। যে জাতি খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে আবার সেটাই ভক্ষণ করে, তারা চিন্তা ও মানসিকতায় অক্ষম হয়েই বেড়ে ওঠে।

রাষ্ট্র নিয়ম-কানুন সংস্কার করছে, কিন্তু মূল সংস্কার দরকার মানুষের চিন্তা, চেতনা, আচরণ ও ব্যবহারে। মানুষ যতদিন মানুষ না হয়ে উঠবে, ততদিন তকদিরও বদলাবে না। অন্যের ক্ষতি করে অনেকেই ভাবে—“আমি তো জিতে গেছি।” অথচ ভুলে যায়, তার ক্ষতি করার জন্য আরও দশজন সুযোগের অপেক্ষায় আছে। চোরের চক্রে ব্যবসায়ী, ডাক্তার, শিক্ষক কিংবা সাধু সেজে থাকা ভণ্ড—কে নেই? সুযোগ পেলে দরবেশও মুরগি বগলদাবা করে। তবে অভিশাপ আর দীর্ঘশ্বাসের কবল থেকে কেউই রক্ষা পাবে না। যে ঠকলো, সে হয়তো মুক্তি পাবে, কিন্তু যে ঠকালো, তার চূড়ান্ত মুক্তি নেই। কোথাও না কোথাও খেসারত দিতেই হবে। প্রকৃতির এই শৃঙ্খলা কখনো ভাঙে না, ব্যত্যয় ঘটে না ঐশ্বরিক প্রতিশ্রুতির। অনেক সময় মানুষ ভুলপথে সুখকে হত্যা করে দুঃখের মাঝেই বিলীন হয়।
゚viralfbreelsfypシ゚viral

25/09/2025

  তিনটা জিনিস শরীরকে অসুস্থ করে :(১) কথা বেশি বলা,(২) অধিক নিদ্রা ও বিশ্রাম,(৩) অতিরিক্ত পানাহার করা।চারটা জিনিস শরীরকে ...
25/09/2025

তিনটা জিনিস শরীরকে অসুস্থ করে :
(১) কথা বেশি বলা,
(২) অধিক নিদ্রা ও বিশ্রাম,
(৩) অতিরিক্ত পানাহার করা।

চারটা জিনিস শরীরকে ধ্বংস করে :
(১) দুঃশ্চিন্তা ও পেরেশানি,
(২) দুঃখ ও হতাশা,
(৩) ক্ষুধা,
(৪) অনর্থক অধিক রাত্রি পর্যন্ত জেগে থাকা।

চারটা জিনিস চেহারাকে মলিন করে এবং আনন্দ ও সম্মান কেড়ে নেয় :
(১) মিথ্যা,
(২) ঔদ্ধত্য ও অহংকার,
(৩) ইলমি বিষয় ছাড়া অতিরিক্ত প্রশ্ন করা,
(৪) লজ্জাহীনতা ও অশ্লীলতা।

চারটা জিনিস আনন্দ ও সম্মান ফিরিয়ে আনে :
(১) তাক্বওয়া,
(২) সত্যবাদীতা,
(৩) দানশীলতা,
(৪) আত্মসম্মান রক্ষা।

চারটা জিনিস রিযিক বৃদ্ধি করে :
(১) রাত জেগে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করা,
(২) সূর্যোদয়ের পূর্বে অধিক পরিমানে আল্লাহর যিকির করা,
(৩) নিয়মিত দান করা,
(৪) দিনের শুরু ও শেষে আল্লাহর যিকির করা।

চারটা জিনিস রিযিক কমিয়ে দেয় :
(১) (ফজরের পরে) সকাল বেলা ঘুমিয়ে থাকা,
(২) সালাতে ত্রুটি বা কম করা,
(৩) অলসতা,
(৪) প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা।

— ইমাম হাফিজ ইবনুল কাইয়িম (রহিমাহুল্লাহ)
[সূত্র : যাদ আল-মায়াদ; চিকিৎসা অধ্যায় : ৪/৩৭৮]

Address

Lalmonirhat
5500

Telephone

+8801722716774

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রবি হাসান posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to রবি হাসান:

Share