রবি হাসান

রবি হাসান সৃষ্টিকর্তাই মহান!
(5)

 ゚  এক লোক কূপে পড়ে গেলো। বিকট আওয়াজে চিৎকার করতে লাগলো: -বাঁচাও! বাঁচাও! গ্রামের লোকেরা আর্তচিৎকার শুনে উদ্ধার করতে দ...
05/09/2025

゚ এক লোক কূপে পড়ে গেলো। বিকট আওয়াজে চিৎকার করতে লাগলো: -বাঁচাও! বাঁচাও! গ্রামের লোকেরা আর্তচিৎকার শুনে উদ্ধার করতে দৌড়ে এলো। একটা রশি নামানো হলো। লোকটা রশি বেয়ে উঠে এলো। সে হাঁপাচ্ছিলো। বুকটা হাপরের মতো ওঠানামা করছিলো। ভীষণ ক্লান্ত আর অবসন্ন দেখাচ্ছিলো তাকে। একজনের কাছে তাজা দুধ ছিলো। সে তাকে একগ্লাস দুধ খেতে দিলো। লোকটা ঢকঢক করের দুধটুকু খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুললো। লোকেরা জানতে চাইলো, -তুমি কূপে পড়ে গেলে কিভাবে? সে বললো, আমার মেষগুলোকে পানি পান করাতে এসেছিলাম। বালতিটা কূপে ফেলে উপরের দিকে টানছিলাম। তখন আমি এভাবে কূপের কিনারায় দাঁড়িয়েছিলাম । লোকটা কিভাবে কূপের কিনারায় দাঁড়িয়েছিলো সেটা হুবহু দেখাতে গিয়ে, আবার কূপে পড়ে গেলো। এবার পড়ে আর বাঁচলো না। বেকায়দায় পড়ে বেমক্কা ঘাড় মটকে মারা গেলো। গ্রামের লোকজনের আফসোসের সীমা রইলো না। গাঁয়ের ইমাম সাহেব পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি বললেন, -লোকটা কূপ থেকে উঠে এসেছিলো মূলতঃ রিজিকের টানে। রিজিকের এক গ্লাস দুধ তার পাওনা রয়ে গিয়েছিলো। রিজিক সুনির্ধারিত। আলহামদুলিল্লাহ।

 ゚  জীবনে আমরা অনেক মানুষের সাথে পরিচিত হই।তাদের মধ্যে দু’জনকে কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়প্রথমজন, যিনি আপনাকে বিপদে ফেলেছিল...
04/09/2025

゚ জীবনে আমরা অনেক মানুষের সাথে পরিচিত হই।
তাদের মধ্যে দু’জনকে কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়

প্রথমজন, যিনি আপনাকে বিপদে ফেলেছিলেন।
তার কথা মনে রাখবেন, যেন ভবিষ্যতে আবার সেই একই ভুল না করেন এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।

দ্বিতীয়জন, যিনি আপনার সবচেয়ে খারাপ সময়ে নিঃস্বার্থভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন, কারণ বিপদের সময়ের সেই হাতই সত্যিকারের সম্পর্কের মূল্য বুঝিয়ে দেয়।

যারা ক্ষতি করেছে, তারা শিক্ষা দেয়।
আর যারা সাহায্য করেছে, তারা জীবনকে সুন্দর করে তোলে।
তাই এই দুই ধরনের মানুষকে মনে রাখুন—একজন সতর্কতার জন্য, আরেকজন কৃতজ্ঞতার জন্য।

  সময় থাকতে সংগ্রহ করে রাখা উচিত হোক অর্থ বা জ্ঞান.......!!!একবার এক রাজা তাঁর তিনজন মন্ত্রীকে ডেকে দিলেন। প্রত্যেককে এ...
02/09/2025

সময় থাকতে সংগ্রহ করে রাখা উচিত হোক অর্থ বা জ্ঞান.......!!!

একবার এক রাজা তাঁর তিনজন মন্ত্রীকে ডেকে দিলেন। প্রত্যেককে একটি করে খালি বস্তা হাতে তুলে দিয়ে বললেন“তোমাদের কাজ হলো বনে গিয়ে যতটা পারো ফল কুড়িয়ে এই বস্তা ভর্তি করে আনবে। দেখি কে কেমনভাবে কাজ করো।”

তিন মন্ত্রী বনে রওনা হলেন।
প্রথম মন্ত্রী ভাবলেন, রাজা যখন বলেছেন, নিশ্চয়ই এর মধ্যে গভীর কোনো অর্থ আছে। তাই তিনি বেছে বেছে ভালো ফল কুড়িয়ে বস্তা ভর্তি করলেন।

দ্বিতীয় মন্ত্রী মনে করলো, রাজা তো আর সব ফল একে একে দেখবেন না। তাই নিচে পচা ফল ভরে, ওপরে সামান্য কিছু ভালো ফল সাজিয়ে নিয়ে এলো।

তৃতীয় মন্ত্রী মনে করল, রাজা তো শুধু দেখবেন বস্তা ভর্তি হয়েছে কিনা, ভেতরে কী আছে তা খোঁজার সময় তাঁর নেই। তাই সে শুকনো পাতা, কাঠি, ঘাস ইত্যাদি দিয়ে বস্তা ভরে ফেলল।

রাজপ্রাসাদে ফেরার পর রাজা তিনজনের বস্তা দেখলেন। বস্তা ভর্তি দেখে তিনি কিছু বললেন না, শুধু হাসলেন। মন্ত্রীরা ভাবলেন কাজ শেষ, এবার পুরস্কার মিলবে। কিন্তু রাজা ঘোষণা করলেন“তোমাদের এই বস্তা সহ সাত দিনের জন্য আলাদা আলাদা কারাগারে পাঠানো হবে। খাবার কিছু দেওয়া হবে না, শুধু বস্তার ভেতরের জিনিসগুলোই তোমাদের ভরসা।”

যেমন বলা তেমন কাজ। তিন মন্ত্রীকে বন্দি করা হলো।
প্রথম মন্ত্রী সাত দিন ধরে নিজের কুড়িয়ে আনা ফল খেয়ে বেঁচে গেল।
দ্বিতীয় মন্ত্রী শুরুতে কিছু ভালো ফল পেলেও, পরের দিনগুলোতে পচা ফল খেতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল।
আর তৃতীয় মন্ত্রীর বস্তায় যখন কিছুই খাওয়ার মতো ছিল না, সে অনাহারে প্রাণ হারাল।

এই কাহিনির শিক্ষা সহজ জীবনে পড়াশোনা, কাজ কিংবা সম্পর্ক যাই করি না কেন, ফাঁকি দিয়ে যদি ভরাট করি, সময়ের সাথে সেই ফাঁকিই আমাদের পতনের কারণ হবে। আর পরিশ্রম ও সততা দিয়ে জমা করা জিনিসই ভবিষ্যতে আমাদের রক্ষা করবে।

02/09/2025

  মুরগিদের সমস্যা হলো, তারা তাদের জনসভায় সবসময় প্রধান অতিথি করে একজন শিয়ালকে।ওই শিয়ালের বিরুদ্ধে কিছু বলা যায় না।এক...
01/09/2025

মুরগিদের সমস্যা হলো, তারা তাদের জনসভায় সবসময় প্রধান অতিথি করে একজন শিয়ালকে।

ওই শিয়ালের বিরুদ্ধে কিছু বলা যায় না।

একবার এক কবুতর, শিয়ালদের ডেরা থেকে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করলো, এবং মুরগিদের তা দেখিয়ে বললো,

এই হাড়গুলো তোমাদের।

প্রতিবার জনসভা শেষে যে-মুরগিগুলো শিয়ালকে এগিয়ে দিয়ে আসে, তারা যে আর কখনো ফিরে আসে না এটি খেয়াল করেছো?

হ্যাঁ, করেছি।

মুরগিরা বলে, শিয়াল স্যার তাদেরকে আপেল বাগান দেখাতে নিয়ে যান।

স্যার বলেছেন, বড়ো হলে আমরাও একদিন আপেল বাগান দেখার সুযোগ পাবো।

তোমরা তা বিশ্বাস করেছো? কবুতরের প্রশ্ন।

বিশ্বাস না করার কী আছে? শিয়াল স্যার আগেই বলেছেন, মুরগিদের উন্নতি কখনো কবুতরেরা সহ্য করতে পারে না।

তারা নানাভাবে তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে। ওরা চাইবে না, তোমরা কখনো আপেল খাও।

শুনো কবুতর, এই হাড় দেখিয়ে তুমি আমাদেরকে বিপথগামী করার চেষ্টা করছো। কিন্তু আমরা বিপথে যাবো না।

শিয়াল স্যারের ওপর আমাদের অগাধ আস্থা।

কিন্তু আমি স্বচক্ষে দেখেছি, কবুতর বলে, কটকই গাছের ঝোপে শিয়াল তোমাদের একজনকে ধরে খাচ্ছে।

আমার কথা বিশ্বাস না হলে একদিন নিজে গিয়ে দেখে আসতে পারো। আমি নিয়ে যাবো। আগামী সভার দিনই চলো?

শুনো কবুতর, মুরগিরা বলে, তুমি কি শিয়াল স্যারের ওপর আমাদের বিশ্বাসের পরীক্ষা নিতে চাচ্ছো?

আমরা এ ফাঁদে পা দেবো না। তুমি সাবধান হয়ে যাও।

তোমরা আমাকে ভুল বুঝছো, কবুতর বলল। শিয়ালদের কোনো আপেল বাগান নেই।

ওই পাহাড় আমি তন্নতন্ন করে খুঁজেছি, কোথাও আপেল বাগান পাইনি। শুধু শিয়াল আর শিয়াল।

এ পর্যায়ে একটি বুড়ো মুরগি, মাথা চুলকিয়ে বলে, আমাদের জমিরের বাপ একদিন শিয়াল স্যারের লগে পাহাড়ে গেছিলো, আঠারো মাস আগে,

হে অহনও ফিরা আহে নাই, শিয়াল স্যার কইছে, হে সারাদিন বাগানে আপেল খায়, আপেল খাইয়া শইল-গতরও ভালা হইছে, কিছু আপেল একবার আমগো লাইগা পাঠাইছিলোও, কিন্তু শিয়াল স্যার আনতে ভুইলা গেছে।

শুনতাছি শিয়াল স্যার আমারে আর জমিররেও আপেল বাগানে লইয়া যাইবো, আমি তো যাইবার চাই না, তয় তোমার লগে একবার যাইতে চাই কবুতর।

কিন্তু শিয়াল স্যারের নামে কোনো আজেবাজে কথা কইবা না। আমারে সোজা আপেল বাগানে লইয়া যাইবা, আমি জমিরের বাপরে এক নজর দেইখা-ই আইয়া পড়মু।

শিয়াল স্যার যেন এইডা আবার টের না পায়।

উপস্থিত মুরগিরা রি রি করে ওঠে। তারা বলে, জমিরের মা, তুমি কিন্তু শিয়াল স্যারের ওপর সন্দেহ প্রকাশ করতেছো।

শিয়াল স্যার বলছেন, যে- মুরগি কবুতরের কথায় তার নেতাকে সন্দেহ করবে, তার অপঘাতে মৃত্যু হবে।

তুমি আমাদের দল থেকে বেরিয়ে যাও।

একজন বললো, শরীল- গতর ভালা অইলে শিয়াল স্যার এমনিতেই তোমারে বাগানে নিতো। কয়ডা দিন অপেক্ষা করতে পারলা না।

সবাই স্লোগান দিলো- শকুনের দালাল নিপাত যাক। হুঁশিয়ার, সাবধান।

জমির নিজেও এ স্লোগানে অংশ নিলো। সব মুরগি জমিরের মা’কে ঠুকরিয়ে বের করে দিলো।

দৌড়ে গিয়ে একটি বাঁশঝাড়ে আশ্রয় না নিলে, জমিরের মা ওখানেই লাশ হয়ে যেতো।

কবুতরটি যতোই বলে, জমিরের বাপ জীবিত নেই, পাহাড়ে কোনো আপেল বাগান নেই, জমিরের মা ততোই কবুতরটির সাথে পাহাড়ে যাওয়ার জেদ ধরতে থাকে।

একদিন জনসভা শেষে, কবুতরটি চুপিচুপি, জমিরের মাকে নিয়ে পাহাড়ের দিকে রওয়ানা দেয়।

পাহাড়ে পৌঁছে তারা দেখতে পায়, শিয়াল তার পেছনে পেছনে আসা মুরগিদেরকে নিয়ে একটি ঝোপের ভেতর ঢুকছে।

এর কয়েক মিনিট পর জমিরের মা তার ভাতিজা রহমত আলির চিৎকার শুনতে পায়।

রহমত আলি অরণ্যের গহীন থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছে। জমিরের মা এ চিৎকার শুনে ভয়ে নিজেও চিৎকার দিয়ে ওঠে।

কবুতরের সাবধানবাণীর কথা সে ভুলে যায়। কক কক কক করে দৌড়ে যায় দশ ফুট, আর অমনি জমিরের মা’র গলাটি খপ করে ধরে ফেলে একটি শিয়াল।

কবুতরটি শুনতে পায়, জমিরের মা সর্বশক্তি দিয়ে বলছে, জমির, ও বাবা জমির, শিয়ালদের কোনো আপেল বাগান নাই রে।

আমাদের জনসভাই তাদের আপেল বাগান।

  ১২টি গোপন সত্য যা ধনী লোকেরা আপনাকে জানতে দিতে চায় না.......আমরা এমন এক দুনিয়ায় বাস করি যা ধনীদের দ্বারা এবং ধনীদের...
31/08/2025

১২টি গোপন সত্য যা ধনী লোকেরা আপনাকে জানতে দিতে চায় না.......
আমরা এমন এক দুনিয়ায় বাস করি যা ধনীদের দ্বারা এবং ধনীদের জন্য গঠিত। আপনি যে মিডিয়া দেখেন, যে পরামর্শ শুনেন—সবকিছুই সুচিন্তিতভাবে সাজানো হয় আপনাকে কর্মজীবনের দৌড়ে ফাঁসিয়ে রাখার জন্য, যাতে তারা আরও উপরে উঠতে পারে। কিন্তু এবার পর্দা সরানোর সময় এসেছে এবং সেই সত্যগুলো জানার সময় এসেছে যা ধনী ব্যক্তিরা আপনাকে জানতে দিতে চায় না। প্রস্তুত থাকুন, কারণ এই তথ্যগুলো আপনার বিশ্বাসের অনেক ভ্রান্তি ভেঙে দিতে পারে।
১. কঠোর পরিশ্রম আপনাকে ধনী করবে না
হ্যাঁ, তারা আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে বলে, কিন্তু সত্যটা জানে—ধনী হওয়ার মূল চাবিকাঠি শ্রম নয়, লেভারেজ। মানে, যখন আপনি অতিরিক্ত সময় কাজ করে আপনার শক্তি খরচ করছেন, তারা অন্যের সময়, অর্থ এবং দক্ষতাকে ব্যবহার করে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলছে।
২. তারা চায় আপনি বিশ্বাস করুন যে টাকা খারাপ জিনিস
আপনি যদি মনে করেন টাকা লোভ এবং দুর্নীতির প্রতীক, তাহলে আপনি কখনো এটি অর্জনের জন্য আত্মবিশ্বাসী হবেন না। অথচ ধনীরা জানে যে অর্থ কেবল একটি হাতিয়ার—যা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে প্রভাব বিস্তারের শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে।
৩. সঞ্চয় আপনাকে ধনী করবে না
তারা বলে "সঞ্চয় করুন এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করুন", কিন্তু নিজেরা তা করে না। তারা বিনিয়োগ করে বড় ঝুঁকি ও বড় লাভের সুযোগে—স্টার্টআপ, রিয়েল এস্টেট, স্টক মার্কেট এবং ব্যবসায়, যা তাদের সম্পদকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।
৪. শিক্ষাব্যবস্থা আসলে একটি ফাঁদ
শিক্ষাব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো আপনাকে আজ্ঞাবহ কর্মচারী বানানো, উদ্যোক্তা বা ঝুঁকি গ্রহণকারী নয়। আপনাকে শেখানো হয় কীভাবে অর্থের জন্য কাজ করতে হয়, কিন্তু ধনী ব্যক্তিরা শেখে কীভাবে অর্থকে তাদের জন্য কাজ করানো যায়।
৫. কর ব্যবস্থা ধনীদের জন্য সুবিধাজনকভাবে তৈরি
তারা জানে কর কমানোর উপায়, আইনি ফাঁকফোকর এবং বিভিন্ন কর সুবিধা। কিন্তু সাধারণ মানুষ তাদের আয়ের বড় একটি অংশ কর হিসেবে পরিশোধ করতে বাধ্য হয়। ধনীরা বেতনভোগী নয়, তারা সম্পদের মালিক—আর সম্পদের ওপর করের হার ভিন্ন।
৬. ঋণ হলো শক্তিশালী অস্ত্র—যদি আপনি এটি ব্যবহার করতে জানেন
তারা চায় আপনি ঋণকে ভয় পান, কিন্তু ধনীরা ঋণকে ব্যবহার করে আরও বেশি সম্পদ অর্জন করতে। তারা অন্যের অর্থ (OPM) দিয়ে বিনিয়োগ করে এমন সম্পদ কেনে, যা তাদের জন্য নিয়মিত আয় সৃষ্টি করে এবং সেই আয় দিয়েই ঋণ শোধ হয়ে যায়।
৭. আপনার ভোগবাদ তাদের বিলাসী জীবনযাত্রার মূল কারণ
প্রতিবার যখন আপনি নতুন মোবাইল, ফ্যাশনেবল পোশাক বা দামি কফি কিনছেন, তখন আসলে আপনি তাদের পকেটেই অর্থ ঢালছেন। অন্যদিকে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে এমন সম্পদে, যা সময়ের সঙ্গে আরও মূল্যবান হয়।
৮. পরিচিতি প্রতিভার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ
তারা চায় না আপনি জানেন যে সঠিক মানুষের সংস্পর্শ আপনার জন্য অমূল্য সুযোগ তৈরি করতে পারে। তারা নিজেদের জন্য একটি এলিট নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে, যা তাদের ধনী থাকার সুযোগ নিশ্চিত করে এবং বাইরের লোকদের প্রবেশের পথ বন্ধ রাখে।
৯. সময় হলো তাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ
তারা সময় নষ্ট করে না। তারা এমন কাজ করে না যা অন্যরা করতে পারে। তারা মানুষ নিয়োগ করে তাদের জন্য কাজ করাতে, যাতে তারা সম্পদ গঠনের ওপর ফোকাস করতে পারে।
১০. শেয়ার বাজার তাদের সুবিধার জন্য নিয়ন্ত্রিত
আপনার শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ থেকে নিয়মিত মুনাফার আশা থাকলেও, তারা ইন্সাইডার তথ্য, স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং প্রযুক্তি এবং বিশাল মূলধন ব্যবহার করে বাজারকে নিজেদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রণ করে।
১১. ব্যর্থতা তাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা
তারা ব্যর্থতাকে ভয় পায় না, বরং প্রতিটি ব্যর্থতাকে শিক্ষার সুযোগ হিসেবে দেখে। কিন্তু আপনাকে শেখানো হয় নিরাপদ খেলা খেলতে, ঝুঁকি না নিতে। ধনীরা জানে বড় পুরস্কারের জন্য বড় ঝুঁকি নেওয়া লাগে।
১২. তারা চায় আপনি অজ্ঞ থাকুন
যত কম আপনি অর্থ, বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সম্পর্কে জানবেন, তত বেশি তারা আপনার শ্রম, সময় এবং ভোক্তাস্বভাবকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আরও ধনী করে তুলবে।
তাহলে আপনাকে কী করতে হবে?
এই নিয়ন্ত্রিত খেলায় আর অংশ নেবেন না। টাকার ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করুন, ইনভেস্টরের মতো চিন্তা করতে শিখুন, এবং ভোগের পরিবর্তে সম্পদের মালিক হওয়ার দিকে মনোযোগ দিন। গড়পড়তা জীবনের শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে এসে নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তুলুন। এখনই সময় এসেছে ব্যবস্থা নেওয়ার, যাতে আপনি সেই সম্পদ এবং ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন যা ধনীরা আপনাকে পেতে দিতে চায় না।
゚ #বাস্তবগল্প ゚

  ঋণ করে ঘি খাওয়া মধ্যবিত্তের জাতীয় রোগে পরিণত হয়েছে।আপনার নতুন ফোনের মাসিক কিস্তি (EMI) দেওয়ার তারিখ আসলেই কি বুকের ...
30/08/2025

ঋণ করে ঘি খাওয়া মধ্যবিত্তের জাতীয় রোগে পরিণত হয়েছে।

আপনার নতুন ফোনের মাসিক কিস্তি (EMI) দেওয়ার তারিখ আসলেই কি বুকের ভেতরটা ধড়াস করে ওঠে? পাশের বাসার ভাবীর নতুন নেকলেস দেখে আপনার স্ত্রীর দীর্ঘশ্বাস কি কানে বাজে? বাচ্চার স্কুলের বাড়তি ফি জোগাতে গিয়ে মাস শেষ হওয়ার আগেই পকেট খালি? যদি এই প্রশ্নগুলোর উত্তরে আপনার মাথা হ্যাঁ-সূচক নড়ে, তাহলে আপনাকে স্বাগতম! আপনি এক গভীর চোরাবালিতে দাঁড়িয়ে আছেন, যা আপনাকে একটু একটু করে নিচের দিকে টেনে নিচ্ছে।

কী হলো? কথাগুলো তেতো লাগছে? গায়ে লাগছে খুব? মনে হচ্ছে, লেখক আপনার ব্যক্তিগত ক্ষতে নুন ছিটিয়ে দিচ্ছে? দিন, যত খুশি গালি দিন। আপনার সব রাগ আমি মাথা পেতে নিচ্ছি। কিন্তু একটাই অনুরোধ, লেখাটা শেষ পর্যন্ত পড়ুন। যদি আপনার সাজানো-গোছানো 'ভালো থাকার' মিথ্যা দেওয়ালটা একটুও না কাঁপে, তবে বুঝবেন আমার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

আমরা এমন এক অদ্ভুত সমাজে বাস করি, যেখানে নিজের সামর্থ্যের চেয়ে অন্যের চোখে 'বড়লোক' সাজার অভিনয় করতেই আমরা বেশি ভালোবাসি। আমরা এমন এক প্রতিযোগিতায় নেমেছি, যেখানে জেতার কোনো পুরস্কার নেই, আছে শুধু ঋণের বোঝা আর দীর্ঘশ্বাস। এই লেখা কোনো অর্থনীতিবিদের কঠিন আলোচনা নয়। এটা আমাদের মধ্যবিত্ত সমাজের সেই ভয়ংকর অসুখের এক্স-রে প্লেট, যার নাম 'ধার করে স্ট্যাটাস বজায় রাখা'।

কখনো ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখেছেন, আপনার আসল প্রয়োজনটা কতটুকু? এমন একটা ফোন, যা দিয়ে ভালোভাবে কথা বলা যায় আর ইন্টারনেট চলে? নাকি বাজারের সবচেয়ে দামী সেই ফোনটা, যেটা হাতে থাকলে বন্ধুদের আড্ডায় একটা আলাদা ভাব পাওয়া যায়?

এই অসুখের জীবাণু আমাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছে মূলত সোশ্যাল মিডিয়া আর আমাদের চারপাশের মানুষ। ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রাম খুললেই দেখবেন, কেউ দামী রেস্তোরাঁয় খাচ্ছে, কেউ বিদেশে ঘুরতে গেছে, কেউ নতুন গাড়ি কিনে ছবি পোস্ট করছে। এই ঝলমলে ছবিগুলো দেখতে দেখতে আমাদের অবচেতন মনে একটা হীনম্মন্যতা তৈরি হয়। আমাদের মনে হতে থাকে, "আরে, সবাই কত আনন্দে আছে! আমিই কি শুধু পিছিয়ে পড়লাম?"

এই 'পিছিয়ে পড়ার ভয়' থেকেই শুরু হয় এক অন্ধ দৌড়। অমুকের ছেলে দামী স্কুলে পড়ে, আমার ছেলেকেও সেখানেই পড়াতে হবে—দরকার হলে লোন নেব। অমুকের বউ প্রতি ঈদে নতুন ডিজাইনের শাড়ি কেনে, আমার বউকে এর চেয়েও ভালোটা কিনে দিতে হবে—ক্রেডিট কার্ড তো আছেই! এই 'দেখাতেই হবে'র নেশা যেকোনো মাদকের চেয়েও ভয়ঙ্কর।

আর এই নেশার আগুনে ঘি ঢালে আমাদের আত্মীয়-স্বজন আর বন্ধু-বান্ধবরাই। "কী রে, এখনো পুরনো বাইকটা চালাচ্ছিস?" বা "ভাবী তো দার্জিলিং ঘুরে এলো, তুমি এবার কোথায় যাচ্ছো?"—এই সাধারণ প্রশ্নগুলোই আমাদের বুকে তীরের মতো এসে বেঁধে। এই চাপ সহ্য করতে না পেরেই একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ ঋণের ফাঁদে পা দেয়। সে ভাবে, এইটুকু বিলাসিতা তার পরিবারকে খুশি করবে। কিন্তু সে বোঝে না, এটা খুশি নয়, এটা সর্বনাশের শুরু।

ব্যাংক আর বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এই খেলার আসল শিকারি, আর আমরা হলাম তাদের সহজ শিকার। 'জিরো পার্সেন্ট ইন্টারেস্ট', 'এখনই কিনুন, পরে টাকা দিন', 'সহজ মাসিক কিস্তি'—এই কথাগুলো হলো মাছ ধরার টোপ। আমরা ভাবি, "মাসে মাত্র কয়েক হাজার টাকা তো! এটা তো দেওয়াই যায়।"

এটাই সবচেয়ে বড় ভুল। আপনি যখন পকেট থেকে একবারে অনেকগুলো টাকা দিয়ে কিছু কেনেন, তখন আপনার মনে একটা কষ্ট হয়। এই কষ্টটা আপনাকে অপ্রয়োজনীয় খরচ থেকে বাঁচায়। কিন্তু EMI এই কষ্টের অনুভূতিটাকেই মেরে ফেলে। এটা একটা মিষ্টি বিষের মতো, যা আপনি আনন্দের সাথে গ্রহণ করেন।

প্রথম একটা-দুটো কিস্তি হয়তো আপনার গায়েই লাগে না। কিন্তু যখন আপনার ফোন, ফ্রিজ, টিভি, গাড়ি—সবকিছুর কিস্তি একসাথে আপনার বেতনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, তখন আপনি বুঝতে পারেন, আপনি আসলে আপনার জীবনের মালিক নন। আপনার জীবনের রিমোট কন্ট্রোল এখন ব্যাংকের হাতে। আপনি মাসভর হাড়ভাঙা খাটুনি খাটেন নিজের বা পরিবারের জন্য নয়, ব্যাংকের দেনা শোধ করার জন্য।

আপনি চাইলেও আর চাকরি ছাড়তে পারেন না, বস যতই অপমান করুক। আপনি নিজের একটা ব্যবসা শুরু করার স্বপ্ন দেখতে ভয় পান। আপনি অসুস্থ হলে ভালো ডাক্তার দেখাতে ইতস্তত করেন, কারণ কিস্তির টাকাটা তো দিতেই হবে। আপনি তখন আর মুক্ত মানুষ নন, আপনি একজন আধুনিক দাস। যার গলায় শেকল নেই, কিন্তু ঘাড়ে আছে ঋণের অদৃশ্য এক পাহাড়।

এখন অনেকেই হয়তো বলবেন, "তার মানে কি আমরা ঋণ নেবই না? বাড়ি বা গাড়ি করার স্বপ্ন দেখব না?"

পার্থক্যটা এখানেই। সব ঋণ খারাপ নয়। আপনাকে বুঝতে হবে, কোনটা দরকারী আর কোনটা শখের।

দরকারী ঋণ : যে ঋণ আপনার জন্য ভবিষ্যতে সম্পদ তৈরি করে বা আপনার আয় বাড়াতে সাহায্য করে, সেটাই ভালো ঋণ। যেমন:

বাড়ি কেনার লোন: ভাড়ার টাকাটা না দিয়ে আপনি নিজের বাড়ির জন্য কিস্তি দিচ্ছেন। একদিন বাড়িটা আপনার নিজের হবে, যা একটা বিশাল সম্পদ।

শিক্ষার জন্য লোন: এই বিনিয়োগ ভবিষ্যতে ভালো চাকরির মাধ্যমে কয়েকগুণ হয়ে ফেরত আসবে।

ব্যবসার জন্য লোন: যা সরাসরি আপনার আয় বাড়াতে সাহায্য করে।

শখের ঋণ : যে ঋণ শুধুমাত্র লোক দেখানো বা সাময়িক আনন্দের জন্য নেওয়া হয়, সেটাই মরণফাঁদ। যেমন:

দামী মোবাইল, যা এক বছর পরেই পুরনো হয়ে যাবে।

ব্র্যান্ডেড জামা-কাপড় বা ঘড়ি।

বিদেশে ছুটি কাটানোর জন্য পার্সোনাল লোন।

সাধ্যের বাইরে গিয়ে বিয়ে বা জন্মদিনের অনুষ্ঠান করা।

এই শখের ঋণগুলো হলো নিজের রক্ত বিক্রি করে দামী মদ খাওয়ার মতো। মুহূর্তের আনন্দ, কিন্তু এর পরিণাম দীর্ঘস্থায়ী আর ভয়ংকর।

আমরা শুধু টাকার হিসাবটাই করি। কিন্তু ঋণের কারণে আমাদের মনের যে কী অবস্থা হয়, সেই হিসাব কি কখনো করি?

স্থায়ী টেনশন: মাস শেষে কিস্তির টাকা কীভাবে জোগাড় হবে, এই চিন্তাটা মাথার মধ্যে পোকার মতো কিলবিল করতে থাকে।

রাতের ঘুম হারাম: টেনশনে রাতে ভালো ঘুম হয় না। শরীর ও মন দুটোই দুর্বল হতে থাকে।

পারিবারিক অশান্তি: টাকার টানাটানি থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া, অবিশ্বাস আর দূরত্ব বাড়ে। অনেক সাজানো সংসার এই ঋণের চাপে ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।

আত্মসম্মান নষ্ট: যখন আপনি পাওনাদারের ফোন ধরা বন্ধ করে দেন বা বন্ধুর কাছে হাত পাততে বাধ্য হন, তখন নিজের কাছেই নিজে ছোট হয়ে যান।

একবার ভাবুন তো, আপনার কেনা সেই দামী সোফা বা নতুন ফোনটা কি আপনার রাতের ঘুম আর মানসিক শান্তির চেয়েও বেশি দামী? যে 'ভালো থাকা' দেখাতে গিয়ে আপনার ভেতরটা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে, সেই ভালো থাকার কি আদৌ কোনো দাম আছে?

এই লোকদেখানো জীবনের ফাঁদ থেকে বেরোনোর পথটা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। এর জন্য দরকার শুধু একটু সাহস আর আত্মসম্মানবোধ।

অন্যের সাথে নিজের তুলনা করা বন্ধ করুন। আপনার জীবন আপনার, আপনার সুখ আপনার নিজের শর্তে।

'না' বলতে শিখুন। পরিবারের অপ্রয়োজনীয় বা লোকদেখানো আবদারকে হাসিমুখে 'না' বলার সাহস রাখুন। সাময়িক মন খারাপ হলেও, আখেরে আপনার পরিবারই বাঁচবে।

আয়ের মধ্যে বাঁচতে শিখুন। চাদর যত বড়, পা ততটুকুই মেলান। এটাই সুখী থাকার সবচেয়ে সহজ সূত্র।

খরচের হিসাব রাখুন। কোথায় কত টাকা যাচ্ছে, তার একটা হিসাব থাকলে অপ্রয়োজনীয় খরচ আপনি নিজেই বন্ধ করতে পারবেন।

সময় এসেছে এই মিথ্যা স্ট্যাটাসের মুখোশটা ছুড়ে ফেলার। সময় এসেছে এটা মেনে নেওয়ার যে, ঋণের টাকায় কেনা জিনিস দিয়ে সুখী হওয়া যায় না। আসল সুখ থাকে দুশ্চিন্তামুক্ত ঘুমে, পরিবারের সাথে কাটানো হাসিখুশি মুহূর্তে আর মানসিক শান্তিতে।

এখন শেষবার নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনার ক্রেডিট কার্ডটা কি আপনার কাছে স্বাধীনতার চাবি মনে হচ্ছে, নাকি দাসত্বের শেকল?
#রবিহাসান ゚

  ছবিটা দেখে আমরা ভাবছি লোকটি অনেক বোকা!ভাবছি…লোকটি যদি চাবি আনার চেষ্টা করতো, তাহলে এখান থেকে মুক্তি পেয়ে যেতোএবং রুটি...
29/08/2025

ছবিটা দেখে আমরা ভাবছি লোকটি অনেক বোকা!
ভাবছি…
লোকটি যদি চাবি আনার চেষ্টা করতো, তাহলে এখান থেকে মুক্তি পেয়ে যেতো
এবং রুটিও পেয়ে যেতো।

তেমনিভাবে আমরাও অনেক বোকা! আমরা সংক্ষিপ্ত এই দুনিয়ার পিছনে না পড়ে, যদি আখিরাতের পিছনে পড়ে থাকতাম, তাহলে আমরা দুনিয়াও পেতাম, আখিরাতও পেতাম।

  Every post on this page is very important!, #একটি_শিক্ষামূলক_গল্প ✅✅সিংহ শিয়ালকে বলে - যা আমার জন্য খাবার নিয়ে আয়।শিয়া...
28/08/2025

Every post on this page is very important!, #একটি_শিক্ষামূলক_গল্প
✅✅সিংহ শিয়ালকে বলে - যা আমার জন্য খাবার নিয়ে আয়।

শিয়াল ঘোড়ার কাছে গিয়ে বলে- ভাই কেমন আছেন?
ঘোড়া চিন্তা করে- যে শিয়াল খ্যাক খ্যাক করা ছাড়া কোনো কথা বলে না- সে আজ এতো মধুর স্বরে ডাকছে কেন?
নিশ্চয়ই কোনো বদ মতলব আছে।
ঘোড়া শিয়ালের ডাকে সাড়া দেয় না।

শিয়াল এবার ময়ুরীর কাছে গিয়ে বলে- দিদিমনি কেমন আছো। দেখতে খুবই মিষ্টি লাগছে।
ময়ুরীও বুঝতে পারে- শিয়ালের মুখে মিষ্টি বচন। নিশ্চয়ই লক্ষণ ভালো না।
সে ও সাড়া দেয় না।

শিয়াল এবার গাধার কাছে গিয়ে বলে- বাহ! তোমাকে খুবই হ্যান্ডসাম মনে হচ্ছে।
এরকম হ্যান্ডসাম একটা প্রাণী খেটে খেটে জীবনটা নষ্ট করে দিলো।
তোমাকে আর কষ্ট করতে হবেনা। রাজার বয়স হয়ে গেছে।
তিনি অবসরে যাবেন। আর তোমাকে রাজা বানাবেন।
চলো আমার সাথে সিংহাসনে চলো।

গাধা খুব খুশি হয়। শিয়ালের সাথে সিংহাসনে আসে।

সিংহের কাছে আসা মাত্রই সিংহের এক থাবায় গাধা তার কান দুটো হারায়।
কিন্তু কোনো রকমে পালিয়ে বাঁচে।

শিয়াল গাধার কাছে এসে বলে- এতো বোকা হলে রাজা হবে কিভাবে।
রাজা তোমার মাথায় মুকুট পরাবে। কিন্তু দুপাশে দুটো কান থাকলে কি রাজমুকুট ঠিকমতো মাথায় বসবে।
তাইতো তোমার কান দুটো তুলে নেওয়া হয়েছে।
কিছু বুঝো না অবুঝ প্রাণী- এটাকে গ্রুমিং বলে।
চলো চলো আমার সাথে চলো। দেরি হলে অন্য কেউ আবার রাজা হয়ে যাবে।

গাধা আবার সিংহের কাছে আসে। এবার সিংহের আরেক থাবায় তার লেজখানা খসে পড়ে।
কিন্তু এবারও পালিয়ে বাঁচে।

শিয়াল যথারীতি গাধার কাছে এসে বলে- আবারও ভুল করলে।
লেজ থাকলে রাজ সিংহাসনে বসবে কিভাবে।
তাই তোমার লেজটা খসানো হয়েছে।
অবুঝ প্রাণী দূরদর্শী চিন্তা করতেই পারোনা।
এটা হলো আলট্রা গ্রুমিং। মানে একেবারে ফাইনাল টাচ।
চলো চলো তাড়াতাড়ি সিংহাসনে চলো।

গাধা আবারও সিংহাসনে আসে।
এবার আর সে বাঁচতে পারে না।
সিংহের থাবায় তার ক্ষত বিক্ষত দেহ খানা মাটিতে পড়ে আছে।
সিংহের দাঁতে মুখে রক্তের দাগ।

শিয়াল সিংহকে বলে - মহারাজ এতো কষ্ট করে আপনি খাবেন।
মাথাটা আমাকে দেন। সুন্দর করে প্লেটে সাজিয়ে দেই।
শিয়াল গাধার ব্রেণটুকু খেয়ে মাথার অবশিষ্ট অংশ সিংহকে দেয়।
সিংহ বলে- ব্রেণ কোথায়।
শিয়াল বলে- মহারাজ যে বারবার ধোকা খেয়েও আপনার কাছে এসেছে- আপনি কি মনে করেন তার ব্রেণ বলে কিছু আছে।

গাছের ডালের উপর থেকে ময়ুর বলে-
তার ব্রেণ ঠিকই আছে। কিন্তু অতি সহজ সরল হওয়ায় প্রতারকদের বুঝতে পারেনি।

প্যাঁচা তার সন্তানকে বলে -এই ঘটনা থেকে তোমরা কি শিখলে?

✅কি শিখলামঃ
হঠাৎ করে কেউ যদি বড় আপন হয়ে ওঠে, বুঝতে হবে তার গোপন দূরভিসন্ধি আছে।
এটাও শিখলাম- যার যে কাজ তাকে সেটাই করতে হয়। অন্যের কুমন্ত্রণা শুনতে হয়না।
লোভের ফল কখনো মিষ্টি হয়না।
সাদাসিদা হওয়া ভালো। কিন্তু বোকা হওয়া ভালো না।
সবচেয়ে বড় জিনিস যেটা শিখলাম তা হলো- প্রতারকদের একবার বিশ্বাস করা যায়। কিন্তু বারবার বিশ্বাস করা যায় না।
যে অতি বিশ্বাস করে সে ঠকেছে। আর নিজের জীবন দিয়ে তার বিশ্বাসের মর্মন্তুদ পরিসমাপ্তি ঘটেছে।

#রবিহাসান
#সংগ্রহীত

  “সবার সাথেই ভালো ব্যবহার করা মানে এই নয় যে, সবাই আপনাকে সম্মান করবে!”আমরা অনেকেই মনে করি—👉 আমি যদি সবসময় ভদ্র থাকি, সব...
27/08/2025

“সবার সাথেই ভালো ব্যবহার করা মানে এই নয় যে, সবাই আপনাকে সম্মান করবে!”

আমরা অনেকেই মনে করি—
👉 আমি যদি সবসময় ভদ্র থাকি, সবার সাথে ভালো ব্যবহার করি, সবাইকেই ‘হ্যাঁ’ বলি—তাহলেই মানুষ আমাকে পছন্দ করবে।

বাস্তবতা হলো উল্টো।
যখন আপনি সবকিছুতে রাজি হন, তখন মানুষ আপনাকে গুরুত্বহীন ভেবে নেয়।
যখন আপনি না বলতে জানেন না, তখন আপনার মূল্য কমে যায়।

💡 আসল ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স হলো—

কারো প্রতি রূঢ় না হয়ে, নিজের সীমা টেনে দেওয়া।

সবাইকে খুশি না করে, সঠিক মানুষদের খুশি করা।

মানুষকে বুঝতে গিয়ে, নিজেকে হারিয়ে না ফেলা।

কেউ যদি আপনাকে ভুল বুঝে যায়, তাতে সমস্যা নেই।
নিজেকে বুঝে, নিজের সীমা তৈরি করাই সবচেয়ে বড় সম্মান।

👉 প্রশ্ন হলো—আপনি কি এখনো সবাইকে খুশি করার চেষ্টা করছেন, নাকি নিজেকে সম্মান দেওয়ার যাত্রা শুরু করেছেন?

゚ #

  আপনার মাস্টার্স সার্টিফিকেটটা ছিঁড়ে ফেলুন! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। যে কাগজ আপনার পেটের ভাত জোগাতে পারে না, আত্মসম্মান বাঁ...
26/08/2025

আপনার মাস্টার্স সার্টিফিকেটটা ছিঁড়ে ফেলুন! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। যে কাগজ আপনার পেটের ভাত জোগাতে পারে না, আত্মসম্মান বাঁচাতে পারে না, সেই কাগজকে বুকে জড়িয়ে ধরে আর কতদিন কাঁদবেন? লজ্জা আপনার নয়, লজ্জা এই পচে যাওয়া সমাজের, যে আপনার মেধার দাম দিতে জানে না। বাবার হোটেলে খাচ্ছেন? বেশ করছেন! চোরের মতো নয়, রাজার মতো খান। কারণ এই সমাজ আপনার সাথে প্রতারণা করেছে।

আপনার হাতে ধরা ঐ দামি সার্টিফিকেটটা কি এখন একটা বোঝা মনে হচ্ছে? অনার্স-মাস্টার্সের সোনালী রঙের-এ বাঁধানো কাগজটা কি রাতের অন্ধকারে আপনাকে বিদ্রূপ করে? চারপাশের মানুষের প্রশ্নে জর্জরিত হতে হতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কি নিজেকেই প্রশ্ন করেন—"আমি কি সত্যিই অযোগ্য? আমার জীবনের কি কোনো দাম নেই?"

যদি এই প্রশ্নগুলো আপনার মগজের ভেতরে সারাদিন হাতুড়ি পেটায়, যদি সমাজের বিষাক্ত মন্তব্য আপনার আত্মবিশ্বাসকে সাপের মতো দংশন করে, তবে এই লেখাটি আপনার জন্য। প্রতিটি শব্দ আপনার ভেতরের জমে থাকা আগুনকে প্রকাশ করার জন্য।

আমরা এক অভিশপ্ত প্রজন্মের নাম, যারা পুঁথিগত বিদ্যায় সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও বাস্তবতার কঠিন মাঠে পরাজিত সৈনিক। আমাদের অপরাধ? আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম, ভালো করে পড়াশোনা করলে, ভালো রেজাল্ট করলে একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ পাওয়া যাবে। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র—সকলেই তো এই স্বপ্ন দেখিয়েছিল। কিন্তু আজ সেই স্বপ্ন ভাঙা কাঁচের মতো আমাদের পায়ে বিঁধছে। আর সমাজ? সেই সমাজই আজ আমাদের দিকে আঙুল তুলে বলছে, "এত পাশ করে কী লাভ হলো? বাবার হোটেলে বসে খাচ্ছে!"

কিসের লজ্জা? আমি ফারহানা হিসেবে আপনাকে সরাসরি প্রশ্ন করতে চাই, লজ্জাটা ঠিক কিসের? যে বাবা-মায়ের টাকায় আপনি পড়াশোনা করেছেন, আজ বিপদে পড়লে তাদের অন্ন গ্রহণ করাটা লজ্জা? নাকি লজ্জাটা সেই সিস্টেমের, যে লক্ষ লক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করে, কিন্তু তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে না? যে সমাজ আপনাকে চাকরি দিতে পারে না, সেই সমাজের খোঁটা শোনার কোনো নৈতিক দায় আপনার নেই। যে আত্মীয় আপনার বিপদের দিনে এক টাকা দিয়ে সাহায্য করেনি, সে যখন আপনার বেকারত্ব নিয়ে কুমিরের কান্না কাঁদে, তখন বুঝে নেবেন—এটা সহানুভূতি নয়, এটা পৈশাচিক আনন্দ।

একবার ভেবে দেখুন তো, এই সমাজ কতটা দ্বিচারী। যখন আপনি দিনরাত এক করে লাইব্রেরিতে পড়ে থাকতেন, তখন তারাই বলত, "আহা! ছেলেটা/মেয়েটা কত কষ্ট করছে, একদিন ঠিক বড় কিছু হবে।" আজ যখন সেই "বড় কিছু" হওয়ার দৌড়ে আপনি হোঁচট খেয়েছেন, তখন তারাই আপনার ক্ষতস্থানে নুন ছিটিয়ে দিচ্ছে। এই দ্বিচারিতাই আমাদের সবচেয়ে বড় মানসিক কারাগার। আমরা সমাজের চোখে "সফল" হওয়ার জন্য বাঁচি, নিজের জন্য নয়।

"কী করছো এখন?"—এই নিরীহ প্রশ্নটা এখন একটা ধারালো অস্ত্রের মতো লাগে। কারণ প্রশ্নকর্তা উত্তরটা জানে। সে আপনার অসহায়ত্ব দেখতে চায়, আপনার ভাঙা স্বপ্নকে নিয়ে ব্যঙ্গ করতে চায়। তাদের চোখে আপনি একজন "ব্যর্থ"। কিন্তু আমি ফারহানা বলছি, আপনি ব্যর্থ নন। ব্যর্থ এই সমাজ, এই কাঠামো, যা মেধার মূল্যায়ন করতে জানে না, যা আপনাকে শুধু একজন কর্মচারী হওয়ার শিক্ষা দিয়েছে, উদ্যোক্তা বা স্বাবলম্বী হওয়ার নয়।

আপনার সার্টিফিকেট কোনো অভিশাপ নয়। এটা আপনার দীর্ঘদিনের পরিশ্রম, আপনার মেধা আর ধৈর্যের প্রতীক। কিন্তু মনে রাখবেন, "সার্টিফিকেট পুঁজি, আত্মবিশ্বাস নয়"। আপনার সার্টিফিকেট আপনার জ্ঞান এবং যোগ্যতার একটা প্রমাণপত্র, কিন্তু এটা আপনার সম্পূর্ণ পরিচায়ক নয়। আপনার আসল পরিচয় আপনার ভেতরের শক্তি, আপনার ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা, আপনার নতুন কিছু শেখার আগ্রহ। একটা কাগজের টুকরো আপনার লাইফ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, যদি না আপনি তাকে সেই ক্ষমতা দেন।

যারা আপনাকে "বাবার হোটেলে খাচ্ছেন" বলে খোঁটা দেয়, তাদের দিকে তাকিয়ে হাসুন। কারণ তারা জানে না, এই "বাবার হোটেল" কোনো লজ্জা নয়, এটা আপনার দুর্গ। এটা সেই নিরাপদ আশ্রয়, যেখানে আপনি বাইরের পৃথিবীর ঝড় থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে নতুন করে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে পারেন। বাবা-মা আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি, বোঝা নন। তাদের ছায়ায় থেকে যদি আপনি নিজেকে আরও ধারালো করতে পারেন, নতুন কোনো দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, তবে সেটাই হবে আপনার সবচেয়ে বড় জয়।

লজ্জা পেয়ে ঘরকুনো হয়ে বসে থাকবেন না। এই সময়টাকে কাজে লাগান। আপনার পুঁথিগত বিদ্যার বাইরেও একটা বিশাল পৃথিবী আছে। নিজেকে প্রশ্ন করুন:

আমি নতুন কী শিখতে পারি? (গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং—হাজারো পথ খোলা আছে)

আমার কোন শখ বা আগ্রহকে আমি পেশায় পরিণত করতে পারি?

আমি কি ছোট করে হলেও নিজে কিছু শুরু করতে পারি? (একটি অনলাইন পেজ, একটি ছোটখাটো ব্যবসা, টিউশনি বা কোচিং)

আমার মতো সমস্যায় আর কারা আছে? আমরা কি একসাথে মিলে কিছু করতে পারি?

মনে রাখবেন, যে আপনাকে চাকরি দেবে, সে আপনার সিজিপিএ-এর থেকে বেশি দেখবে আপনার দক্ষতা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা। আপনার মাস্টার্সের সার্টিফিকেট আপনাকে ইন্টারভিউ বোর্ড পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে, কিন্তু চাকরিটা পাইয়ে দেবে আপনার আত্মবিশ্বাস আর প্রায়োগিক জ্ঞান। তাই এই সময়টাতে হতাশায় ডুবে না থেকে নিজেকে পরবর্তী যুদ্ধের জন্য সেরা অস্ত্রে সজ্জিত করুন।

সমাজ বদলাবে না। অন্তত আজকের এই লেখায় বা আপনার একার চেষ্টায় তো নয়ই। তাই সমাজকে বদলানোর বৃথা চেষ্টা না করে নিজেকে বদলান। নিজের চিন্তার পদ্ধতিকে বদলান।

১. তুলনা করা বন্ধ করুন: ফেসবুকে বন্ধুর ইউরোপ ভ্রমণের ছবি বা কর্পোরেট জীবনের আপডেট দেখে নিজের জীবনকে অর্থহীন ভাবা বন্ধ করুন। প্রত্যেকের পথ আলাদা, প্রত্যেকের যাত্রার সময়কাল ভিন্ন। আপনার সময়ও আসবে।

২. নেতিবাচক মানুষ এড়িয়ে চলুন: যে আত্মীয় বা বন্ধু আপনার মনবলে আঘাত করে, তার থেকে সচেতনভাবে দূরত্ব বজায় রাখুন। আপনার মানসিক শান্তি এখন সবচেয়ে দামি।

৩. ছোট ছোট পদক্ষেপে বিশ্বাস রাখুন: প্রতিদিন নতুন কিছু শেখা, নিজের সিভি আপডেট করা, নতুন কোনো স্কিলের উপর কোর্স করা—এই ছোট ছোট পদক্ষেপগুলোই একদিন আপনাকে বড় সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে।

৪. শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন: বেকারত্বের হতাশা শরীর ও মনকে ভেঙে দেয়। নিয়মিত ব্যায়াম করুন, বই পড়ুন, ভালো সিনেমা দেখুন বা এমন কিছু করুন যা আপনাকে আনন্দ দেয়। মনে রাখবেন, সুস্থ শরীর আর স্থির মস্তিষ্ক ছাড়া কোনো যুদ্ধই জেতা যায় না।

আমি ফারহানা আবারও বলছি, আপনার লড়াইটা একান্তই আপনার। এই লড়াইয়ে সমাজ আপনাকে বাহবা দেবে না, বরং সুযোগ পেলেই টেনে নামানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু যেদিন আপনি সফল হবেন, সেদিন এই লোকেরাই আপনার সাফল্যের ভাগিদার হতে ছুটে আসবে।

তাই সার্টিফিকেটটাকে সিন্দুকে তুলে রাখুন। ওটা আপনার অর্জন, আপনার বোঝা নয়। এবার নিজের আত্মবিশ্বাসকে জাগিয়ে তুলুন। পৃথিবীকে দেখিয়ে দিন, একটা চাকরি আপনার পরিচয় নয়। আপনি নিজেই নিজের পরিচয়। আপনি শিক্ষিত, কিন্তু বেকার নন। আপনি একজন সুযোগের অপেক্ষায় থাকা যোদ্ধা, যিনি সঠিক সময়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন।

আজ থেকে নিজের পরিচয় দিন এভাবে—"আমি শিখছি, আমি নিজেকে প্রস্তুত করছি, আমি আমার সময়কে বিনিয়োগ করছি এক নতুন ভবিষ্যতের জন্য।"

লড়াইটা চলুক। আপনার ভেতরের আগুনটা নিভতে দেবেন না। এই আগুনই একদিন সব অন্ধকারকে পুড়িয়ে দিয়ে আপনার জন্য নতুন ভোরের আলো নিয়ে আসবে।

, ゚

  খুব ছোট একটা রূপকথার গল্প বলি। একবার বনের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এক গাঁধা, একটা মৃত সিংহের চামড়া কুঁড়িয়ে পেলো। কিছু ...
25/08/2025

খুব ছোট একটা রূপকথার গল্প বলি।

একবার বনের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এক গাঁধা, একটা মৃত সিংহের চামড়া কুঁড়িয়ে পেলো। কিছু না ভেবেই, সে চামড়ার আস্তরণ নিজের গায়ের ওপর চাপিয়ে নিয়ে নদীর ধারে ছুটে গেলো। নদীতে পানি পান করতে আসা অন্যান্য প্রাণী, এমনকি মানুষও গাঁধাকে সিংহ ভেবে ভয়ে পালিয়ে যেতে লাগলো। এটা গাঁধাকে প্রচুর আনন্দ দিলো।

পুরো গ্রাম থেকে বন এধার থেকে ওধার যেখানে খুশি, গাঁধাটা ঘুরে বেড়াতে লাগলো। কেউ তাকে বিরক্ত করে না, উত্ত্যোক্ত করে না বরং সবাই তার থেকে দূরত্ব বজায় রাখে। এই সুযোগে গাঁধাটার যেমন খুশি তেমন খাওয়া দাওয়া চলতে লাগলো। এর ফসলের ক্ষেত খেয়ে ফেলে তো ওর তার বসত ভিটার খড় খেয়ে ফেলে। এসবই চলতে লাগলো।

গ্রামের লোকজনের মধ্যে মৃদু সন্দেহের উদ্রেক হলো। কারন, সিংহের কাজ তো ঘাস লতাপাতা কিংবা খড়কুটো খাওয়া না। খুব খেয়াল করে, গ্রামের কোন এক বুদ্ধিমান লোক, বিচুলির পাতা এনে রাখলো খড়ের গাদায়। গাঁধাটাও না বুঝে বিচুলি খেয়ে জোরে করে "ঢেচ্চ্যু" বলে ডেকে উঠলো। সেই সাথে তার গায়ে চাপানো সিংহের চামড়াটাও খসে পড়লো। সবাই বুঝতে পারলো এটা মুলত একটা গাঁধা ছিলো। যা এতদিন সিংহের ভানধরে গ্রামের সবাইকে জ্বালাতন করতো। তারপর পুরো গ্রামের সবাই মিলে উত্তম-মধ্যম দিয়ে গাঁধাটাকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিলো।
---
পুরো গল্পের মধ্যে কয়েকটা মুলকথা লুকিয়ে আছে। প্রথমত, আপনি যদি গাঁধা হন, তাহলে সিংহ তো দুরের বিষয়, মৃত সিংহের ধারের কাছেও যাবেন না। এতে করে আপনার মধ্যে সিংহ হবার স্বপ্ন লালিত হবে না।

দ্বিতীয়ত, সিংহ হওয়ার সুপ্ত বাসনায় যদি ভুল ক্রমে সিংহের চামড়াও গায়ে চাপিয়ে ফেলেন, তাহলে অন্তত মুখটা বন্ধ রাখুন। কারন, গাঁধার মুখ থেকে "ঢেচ্চ্যু" ছাড়া গর্জন বের হবার কোন সুযোগ নেই!

তৃতীয়ত, সিংহের চামড়া গায়ে চাপিয়ে, যদি একবার মুখথেকে "ঢেচ্চ্যু" বের হয়, তাহলে জীবন রক্ষা পাবার কোন কারন নেই। অক্কা পেতেই হবে অকালে।

"ঢেচ্চ্যু" থেকে সাবধান।

Address

Lalmonirhat
5500

Telephone

+8801722716774

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রবি হাসান posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to রবি হাসান:

Share