
15/05/2025
৫০ বছর আগে জন্মাইলে বড় বাচাঁ বেচেঁ যাইতাম। গ্রামে থাকতাম, পুকুরে নেমে ডুব দিয়ে গোফের উপর কাদার লেয়ার ফেলতাম।
স্কুলে যাওয়ার বদলে নারকেল চুরি করতাম, কলাগাছের কলা চুরি করতাম। কাদার ভেতর লুটোপুটি করতাম।
পরের দিন স্কুলে গিয়ে স্কুলে না আসার কারনে স্যারের ঠেংগানী খাইতাম।
এরপর স্কুলে যাওয়াই বন্ধ করে দিতাম।
বাপের সাথে মাঠে যাইতাম, ধান লাগাইতাম। পাট লাগাইতাম, মাছ ধরতাম জাল দিয়ে। নদীতে নেমে আচ্ছা মত ডুবাইতাম।
২০-২২ বছর বয়সে বিয়ে করতাম।
ঘর হইত মাটির। বৃস্টি হইলে চুয়ে চুয়ে পানি পড়তো খড়ের চাল দিয়ে, চালে উঠে সেটা ঠিক করতাম।
সকাল হইলে পান্তা ভাত দেখে বউরে খানিক্ষন ঝাড়তাম।
এরপর না খেয়েই মাঠে জাইতাম,
কাদায় নেমে কাজ করতাম।
পাশের বাড়ির ভাবি এসে বউকে বুদ্ধি দিত,
তোমার জামাইডা ভালো না, খালি চিল্লায়।
বউ উত্তর দিতো, ব্যাটা মানুষ এক্টু এমুন হয়ই।
এমনে মানুষটা বালা আছে।
নারকেলের মত, বাইরে শক্ত, ভেতরে টলটলা পানি।
এরপর দুপুরে বাসায় এসে ঠিক ই দেখতাম খাওন রেডি।
প্লেট ভর্তি ভাত আর খেতের সব্জি সাথে নিজের ধরে আনা মাছ। আর মুর্গির ডিম।
সপ্তাহে এক দিন মুর্গির মাংস।
সাপ্তাহিক হাটে গিয়ে হাট করতাম।
দুই আনা দাম কমানোর জন্য হেব্বি মুলামুলি করতাম।
বউ এর জন্য লাল ফিতা আর প্লাস্তিকের লাল চুরি আইনা দিতাম।
সেই রাতে বউ খুশিতে বাক বাকুম করতো।
টেনশান নাই,রোগ বালাই হইলে কবিরাজের অসুধ খাইতাম।
মাঠে কাজ করে পায়ে ইনফেকশান হয়ে গেলে তুতে লাগাইতাম শিশি থেকে।
লাইফ ক্যারিয়ার সাক্সেস, পিজ্জা বার্গার, আইফোন,
ম্যাকবুক, ফেসবুক, ড্রোন,
মাসের বাসা ভাড়া, গাড়ি ,বাইক,
পশ লাইফ, কিসু নিয়ে কোন চিন্তা নাই।
গার্ল ফ্রেন্ড এর বাপ স্টাব্লিশড না হইলে বিয়ে দিবেনা সেই চিন্তা নেই।
গাড়ি বাড়ির চিন্তা নেই।
কোথাও বুশ গিয়া কই বু*ম ফুডাইসে কে কারে এটাক দিসে , দুনিয়া নিয়া চিন্তা নাই, কে ভাইরাল হইলো নাকি কারেন্ট ইস্যু কি , এসব ভাবার টাইম নাই। সন্ধার পরেই ঘুম।
বাসা ভাড়া দেয়ার পেরা নাই।
বাবা মা ছেড়ে দুরে একলা থাকা নেই।
চিন্তা নেই, কাজ করো খাও ঘুমাও, আর বছর বছর বাচ্চা পয়দা করো, হার্ট এটাক, হার্টে ব্লক, অফিসের প্যারা, বসের ঝাড়ি,
এসব নেই।