13/11/2024
অভিশপ্ত পড়ি পর্ব ৫
'আমাকেই মেরে ফেলো!
তবুও অভিসপ্ত পরীকে কদম ফুলটী দিয়ে দাও প্লিজ।অনেক মানুষের জীবন নির্ভর করতেছে ফুলের উপর?'না আমাকে মেরে ফেলো।
কিন্তু রাকিবকে যেতে দাও।
'তোরা কি দুজন দুজনকে ভালোবাসিস।
নাকি এমনি পরিচয় শুধুমাত্র।
'মুহূর্তে অভিসপ্ত পরীটা বলে উঠলো।
হ্যাঁ আমরা দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসি।
একে অপরকে ছাড়া বাচতে পারবো না।
'ভালোবাসিস এর প্রমান কি।
আমার মনে হচ্ছে তোরা আমাকে মিথ্যা বলতেছিস।'সেই ভয়ংকর লোকটি কথাটি শেষ হওয়ার আগেই
অভিসপ্ত পরী রাকিবকে জড়িয়ে ধরে ।
যেটা দেখে ভয়ংকর লোকটি বেশ খুশি হয়।
'হ্যাঁ বিশ্বাস হয়েছে।
আমি তোদের কাউকেই মারবো না।
'কেনো একটু আগেই না মারতে চাইলে তাহলে
এখন মারবে না কেনো?'হ্যাঁ মারতে চেয়েছি।
কিন্তু এখন যদি একজনকে মেরে ফেলি তাহলে অন্যজন কিভাবে বাচবে!তাই কাউকে মেরে ফেলবো না 'তাহলে আমাদের ফুলটী দিয়ে দাও।
আমরা চলে যাবো।
'অবশ্যই ফুল দিবো।
এর আগে আমাকে কথা দিতে হবে আর কখনো
এই জঙ্গলে আসবি না তোরা।
'কথা দিচ্ছি আর কখনো জঙ্গলে আসবো না।
কেউ আসতে চাইলে বাধা দিবো।
রাকিবের কথাটি শেষ হওয়া মাত্রই আপনা আপনি একটি কদম ফুল সামনে চলে আসে।
অভিসপ্ত পরী ফুলটা হাতে নেয়া মাত্রই জঙ্গলের চার দিকে যেই দেয়ালটি তৈরি হয়েছিলো সেটা নিমিষেই উধাও হয়ে যায়।
'ঠিক তখন ভয়ংকর লোকটি বলে।
এই মুহূর্তে এখান থেকে দুজনে চলে যা।
নাহলে আরও বিপদে পরবি।
'কথাটি শোনা মাত্রই দুজনে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হিন্দুদের শসান ঘাটে প্রবেশ করে।
প্রবেশ করা মাত্রই রাকিবের আচারন
পরিবর্তন হতে থাকে।রাকিব বলল
'ফুলটি আমাকে দে?
'আমার কাছে থাকলে কি সমস্যা রাকিব।
ফুলটী আমার কাছেই থাকুক।
'বেশি কথা বলবি না।
তোকে যেটা বলেছি সেইটা কর।
'তুমি এভাবে কথা বলতেছো কেনো।
একটু আগেই তো সুন্দর ভাবে কথা বললে।
'এতো প্রশ্নো করবি না।
আমাকে ফুলটি দিয়ে দে!
না-হলে এখানেই মেরে ফেলবো?
'এই তোমার কি হয়েছে হ্যাঁ।
নিজেদের মাঝে ঝামেলা সৃষ্টি করতেছো কেনো।
'অভিসপ্ত পরীর কথাটি শেষ হওয়া মাত্রই রাকিব কশে একটি থাপ্পর মারে।
যার কারনে মুহূর্তেই পরীটা দুরে গিয়ে পরে।
'ফুলটি দিয়ে দে?আমি এখান থেকে চলে যাবো।
'এইবার অভিসপ্ত পরীটা বুজতে পারে এইটা রাকিব না!নিশ্চয়ই সেই সয়তানটি আবরা ভর করেছে।
'এই ফুল তোকে ধংস করার জন্যে নিয়েছি।
এতো সহজেই তোকে দিবো।
কখনোই না!'দিবিনা।'কখনোই দিবোনা।যদি শক্তি থাকে আমার থেকে নিয়ে দেখাও।'অভিসপ্ত পরীর কথায় রাকিব এতোটাই রাগান্বিত হয়েছে যে চোখ দিয়ে গল-গল করে রক্ত
বাহিরে পরছিলো।রাকিবের এমন অবস্থা দেখে পরীও কিছুটা ভয় পায়।কারন এমন ভয়ংকর রুপে সায়তানটি আগে কখনোই আসেনি।'এরপরে অভিসপ্ত পরীটা সয়তানর ভয়ে শসানের বাহিরে চলে আসে।
মুহূর্তেই সয়তানটি পরীকে আক্রমন করার জন্যে শসানের বাহিরে চলে আসা মাত্রই রাকিব
আবার ঠিক হয়ে যায়।
'অভিসপ্ত পরীটা বুজতে পারে শসান অপবিত্র
হওয়ার কারনে সয়তানটি রাকিবকে
আবার ভর করেছিলো।
'এভাবে পালাচ্ছো কোথায়।{রাকিব}
'কোথায় পালাচ্ছি জানোনা।
তুমি আমাকে তাড়া করছিলে একটু আগে।
'মানে?'শসানে প্রবেশ করা মাত্রই সেই সয়তানটি তোমাকে আবার ভর করেছিলো।
আর কদম ফুলটি নেয়ার চেষ্টা করছিলো।
'কি হলো এসব।তার মানে আমার শসানে প্রবেশ করা যাবে না।'ঠিক বলছো তোমার শসানে প্রবেশ করা যাবেনা।
প্রবেশ করলেই সয়তান ভর করবে। 'বুজতে পেরেছি।এখন বাসায় চলো একটু পরেই ফজরের আযান দিবে।'হ্যাঁ চলো।
কথাটি বলেই অভিসপ্ত পরী রাকিবকে উরে নিয়ে যায়।'বাড়িতে এসে রাকিব অভিসপ্ত পরীকে জিঙ্গেস করে।আচ্ছা তুমি আমাকে ভালোবাসো।
'হঠাৎ এমন প্রশ্নো।
'জঙ্গলে বললে না তুমি আমাকে ভালোবাসো।
আমাকে ছাড়া বাচবে না।
আবার আমাকে জড়িয়ে ধরলে ।'এসব নাটক ছিলো।আমি ছোট্ট কালে দাদির কাছে শুনেছিলাম ভালোবাসা দিয়ে সব কিছু জয় করা যায়।
সেই কারনে ওর সামনে ভালোবাসা দেখিয়েছি।'এই ব্যপার।আমি ভাবলাম তুমি মনে হয় সত্যি সত্যিই
আমাকে ভালোবাস তাই এমনটা করলে।
'সরি!আর কখনো এমন করবো না।
'না করিও আমার বেশ ভালোই লেগেছে।
রাকিব বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।
আমরা শুধুমাত্র বন্ধু।এর থেকে বেশি কিছু না।
'এমনি মজা করলাম।
আচ্ছা কালকে রাত কয়টার দিকে নদীতে
পদ্ধ ফুল তুলতে যাবো আমরা।
'প্রায় ১২/১ টার দিকে যাবো।
যখন নদীতে কেউ থাকবে না।
'ঠিক আছে ঘুম গেলাম।
আল্লাহ্ হাফেজ।
'পরের দিন রাকিব এবং অভিসপ্ত পরী
সকল প্রস্তুতি নিতে রাত ১২টা দিকে নদীর
পাড়ে চলে আসে।
'নদীর পাড়ে আসা মাত্রই দেখতে পায়
অনেক গুলা নৌকা পরে রয়েছে।
সেখান থেকে একটি ভালো নৌকা চুরি করে যেইনা নদিতে নামতে যাবে এমন মুহূর্তে।